ঈদে মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন আল-কুরআন ও তফসীর থেকেঃ

<p dir="ltr"><b><i>ঈদে মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মোবারকঃ আল-কুরআন ও তফসীর থেকেঃ</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>যারা লক্ষ হাদিস মুখস্ত জানতেন আর যারা ১০০০ হাদিসও মুখস্ত জানে না তারা কি এক? সিদ্ধান্ত আপনার, আপনে কাদেরকে মানবেন?</i></b><br> <b><i>ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করতে এত প্রমান লাগে? কুরআনের আয়াত ও তার তফসীর থেকেই দেখে নিনঃ</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>আল-কুরআনঃ </i></b><br> <b><i>__________________________</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>আয়াত ১</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>♦ হে হাবীব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আমি আপনাকে সমস্ত বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরুপ প্রেরণ করেছি !"' (সূরা আম্বিয়া ১০৭)</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>আয়াত ২</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>♦ হে হাবীব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) !</i></b><br> <b><i>আপনি উম্মাহকে বলে দিন , মহান আল্লাহ যে "অনুগ্রহ ও রহমত" প্রেরন করেছেন, </i></b><br> <b><i>সেজন্য তারা যেন "খুশি" প্রকাশ করে। এ খুশি প্রকাশ করাটা "সব চাইতে উত্তম", যা তারা সঞ্চয় করে রাখে।"</i></b><br> <b><i>★ সূরা ইউনূছ ৫৮</i></b><br> <b><i>[ঈদ অর্থঃ আনন্দ, খুশি এটা সবারই জানা।]</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>আয়াত ৩</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>♦আল্লাহ পাক বলেন:-</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>অর্থ : তোমাদের যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে, তোমরা সে নিয়ামতকে স্মরন করো !"</i></b><br> <b><i>( সূরা আল ইমরান ১০৩)</i></b><br> <b><i>[হুজুর পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তো সমস্ত মুমিনের জন্য এই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত]</i></b><br> <b><i>__________________________</i></b><br> <b><i>ইমাম, মুহাদ্দিসীন, মুফাসসিরীন দ্বারা [সুরা ইউনুস ৫৮] আয়াতের তফসীরঃ</i></b><br> <b><i>__________________________</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>তফসীর ১ :</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>♦ ১ লক্ষ হাদিসের হাফেজ ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ূতী (রহঃ) বলেনঃ-</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>عن ابن عباس رضي الله تعال عنهما قال في الاية فضل الله العلم و رحمته محمد صلي الله عليه و سلم قال الله تعالي وما ارسلناك الا رحمة للعلمين</i></b></p> <p dir="rtl"><b><i>অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, এ আয়াত এর তাফসিরে "অনুগ্রহ" দ্বারা "ইলিম" বুঝানো হয়েছে | আর "রহমত" দ্বারা "হুজুর পাক (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)" কে বুঝানো হয়েছে। যেমন, আল্লাহ পাক বলেন, আমিতো আপনাকে তামাম আলমের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি |"</i></b><br> <b><i>★ [তাফসীরে দূররুল মানছুর - ১০ নং সূরা - ১১ পারা- সূরা ইউনূছ ৫৮]</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>তফসীর ২</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>♦ইমাম ইবনুল জাওযী নিজ ‘তাফসীর’গ্রন্থে সূরা ইউনূসের উক্ত ৫৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, “আদ্ দাহাক হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: এই আয়াতে ‘ফযল’ বলতে জ্ঞান (অর্থাৎ, আল-কুরআন ও তাওহীদ)-কে বুঝিয়েছে; আর ‘রহমত’ বলতে মহানবী(ﷺসা) -কে বোঝানো হয়েছে।”</i></b><br> <b><i>★ [ইবনে জাওযী কৃত ‘যা’দ আল-মাসীর ফী এলম আত্ তাফসীর’, ৪:৪০]</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>তফসীর ৩ </i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>♦ইমাম আবু হাইয়ান আন্দালুসী এ সম্পর্কে বলেন, “ফযল বলতে জ্ঞানকে, আর রহমত বলতে রাসূলুল্লাহ (ﷺসা) -কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।” </i></b><br> <b><i>★ [তাফসীর আল-বাহর আল-মুহীত, ৫:১৭১]</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>তফসীর ৪</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>♦আল্লামা আলূসী ব্যাখ্যা করেন যে এমন কি ‘ফযল’ (অনুগ্রহ) বলতেও হযূর পাক (দ:)-কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে, যেমনিভাবে বর্ণিত হয়েছে আল-খতীব ও ইবনে আসাকির থেকে যে আয়াতোক্ত ‘ফযল’ হলেন মহানবী(ﷺসা) । </i></b><br> <b><i>★ [আলূসী রচিত রূহুল মাআনী, ১১:১৪১]</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>তফসীর ৫</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>♦আয়াতের ব্যাখ্যায় ‘আল্লাহ বড় (অশেষ) অনুগ্রহশীল’ বাক্যটিকে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) ব্যাখ্যা করেন এভাবে:</i></b><br> <b><i>আল্লাহর অনুগ্রহ অফুরন্ত, যেহেতু তিনি মহানবী (সাﷺ) -কে ইসলাম ও নবুয়্যত দান করেছেন; এও বলা হয়েছে যে এর মানে ঈমানদারদের প্রতি তিনি ইসলামের নেয়ামত বর্ষণ করেছেন। আর এ কথাও বলা হয়েছে যে এর অর্থ তাঁর সৃষ্টিজগতের প্রতি তিনি অনুগ্রহ করেছেন মহানবী (ﷺসা) এবং কেতাব (কুরআন) প্রেরণ করে। </i></b><br> <b><i>★ [তানবির আল-মিকবাস মিন তাফসীর ইবনে আব্বাস]</i></b></p>

ঈদে মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন আল-কুরআন ও তফসীর থেকেঃ

ঈদে মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মোবারকঃ আল-কুরআন ও তফসীর থেকেঃ যারা লক্ষ হাদিস মুখস্ত জানতেন আর যারা ১০০০ হাদিসও মুখস্ত জা...

Read more »