হানাফী মাযহাব এর মূল শিকড় সাহাবী পর্যন্ত বিস্তৃতঃ

<p dir="ltr"><b><i>হানাফী মাযহাব হচ্ছে হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর মাযহাব। দেখুন কিভাবেঃ</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>♥ </i></b><b><i>হযরত উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ইরাকের কুফা নগরীতে মানুষকে দ্বীন শিক্ষার জন্য প্রেরণ করেছিলেন।</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>♥ </i></b><b><i>কুফা তে তাঁর ছাত্রদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিলেন ইমাম ইবরাহীম নাখয়ী রাহিমাহুল্লাহ। পরবর্তীতে ইবারাহীম নাখয়ী (রহঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) এর মাযহাব ও ফতোয়া চালু রেখেছিলেন। এবং সে অনুপাতে তিনি ছাত্রদেরকে তা'লীম দিয়েছিলেন। </i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>♥ </i></b><b><i>তাঁর ছাত্রদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিলেন হাম্মাদ বিন সুলাইমান (রহঃ)। ইমাম হাম্মাদ বিন সুলাইমান (রহঃ) একই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত ইলম এবং ফতোয়া জারী রেখেছিলেন এবং সে অনুপাতে তাঁর ছাত্রদেরকে তা'লীম দিয়েছিলেন।</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>♥</i></b><b><i> আর হাম্মাদ বিন সুলাইমান (রহঃ) এর ছাত্রদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিলেন ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)।</i></b><br> <b><i>সুতরাং হানাফী মাযহাব এর মূল শিকড় হচ্ছে হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর মাযহাব।</i></b><br> </p>

হানাফী মাযহাব এর মূল শিকড় সাহাবী পর্যন্ত বিস্তৃতঃ

হানাফী মাযহাব হচ্ছে হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর মাযহাব। দেখুন কিভাবেঃ ♥ হযরত উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত আব্দুল্লাহ বিন মা...

Read more »

প্রশ্নঃ ইকামতের সময় মুসল্লিগণ কখন দাঁড়াবেন?

<p dir="ltr">যা<b>রা লোপ পেয়ে যাওয়া একটি</b><b> সুন্নাতকে পুনর্জীবিত করবেন- তারা একশত শহীদের সওয়াব পাবেন। </b><br> <b>★ </b><b>মিশকাত শরীফ, ৩০ পৃষ্ঠা, </b><br> <b>★ </b><b>বায়হাকী শরীফ 'কিতাবুল জিহাদে' ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে]</b></p> <p dir="ltr"><b>রাসূলাল্লাহ [ﷺ ] কে দেখার পূর্বে দাঁড়ানো নিষেধঃ</b><br> <b>_____________________________________</b><br> <b>হযরত আবু কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে করীম [ﷺ ] ইরশাদ ফরমায়েছেনঃ</b><br> <b>ﻋﻦ ﺃﺑﻰ ﻗﺘﺎﺩﺓ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ‏[ ﷺ ‏] ﺇﺯﺍ ﺃﻗﻴﻤﺖ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﻼ ﺗﻘﻮﻣﻮﺍ ﺣﺘﻰ ﺗﺮﻭﻧﻰ .</b><br> <b>"নামাযের ইকামত দেওয়া শুরু হলে তোমরা আমাকে (হুজরা শরীফ থেকে বের হতে) দেখার পূর্বে দাঁড়াবে না।"</b><br> <b>হাদিস থেকে কয়েকটি বিষয় প্রতিয়মান হয়ঃ</b><br> <b>(১) প্রিয় নবীজী [ ﷺ ] ইকামত শুরু হওয়ার পর হুজরা মোবারক থেকে বের হতেন।</b><br> <b>(২) হুজুর [ﷺ ] বেরিয়ে আসার পূর্বে মুসল্লিদের দাঁড়াতে নিষেধ করেছেন।</b><br> <b>(৩) ইকামতে দাঁড়ানোর বিষয়টি ইমামের সাথে সম্পৃক্ত।</b><br> <b>প্রকাশ থাকে যে, প্রিয় নবীজী [ﷺ ]'র হুজরা মোবারক মসজিদে নববী'র মেহরাবের অতি নিকটবর্তী ছিল। অতি সামান্য ব্যবধানেই তিনি মেহরাবে তাশরীফ নিতেন।</b><br> <b>[(ক) আবূ দাউদ; খন্ড-০১, পৃ.১৪৮, হাদীস: ৫৩৯, ৫৪০;</b><br> <b>(খ) তিরমিযী; খন্ড-০২, পৃ.৪৮৭, হাদীস: ৫৯২;</b><br> <b>(গ) নাসাঈ; খন্ড-২, হাদীস: ৬৮৭;</b><br> <b>(ঘ) সহীহ ইবনু হিব্বান; খন্ড-৫, পৃ.৬০১, হাদীস:২২২৩</b><br> <b>(ঙ) শুয়াবুল ঈমান; খন্ড-২, পৃ.২০, হাদীস: ২১২০;</b><br> <b>(চ) সহীহ মুসলিম; খন্ড-০১, পৃ.৪২২, হাদীস: ৬০৪]</b><br> <b>।।।</b></p> <p dir="ltr"><b>রাসূলাল্লাহ [ﷺ ] হুজরা শরীফ থেকে ইকামতের কোন মুহূর্তে মেহরাবে আসতেনঃ</b><br> <b>_____________________________________</b><br> <b>এ ব্যাপারে মোল্লা আলী ক্বারী (রহঃ) "মিরকাতুল মাফাতীহ" গ্রন্থে লিখেনঃ</b><br> <b>ﻟﻌﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻛﺎﻥ ﻳﺨﺮﺝ ﻣﻨﺎ ﺍﻟﺤﺠﺮﺓ ﺑﻌﺪ ﺷﺮﻭﻉ ﺍﻟﻤﺆﺯﻥ ﻓﻲ ﺍﻻﻗﺎﻣﺔ ﻭﻳﺪﺧﻞ ﻓﻲ ﻣﺤﺮﺏ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻋﻨﺪ ﻗﻮﻟﻪ ﺣﻲ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺼﻼﺓ .</b><br> <b>"আর সম্ভবত নবী করিম [ﷺ ] হুজরা শরীফ থেকে বের হতেন মুয়াজ্জিন ইকামত শুরু করার পর এবং 'হাইয়্যা আলাছ ছালাহ' বলার সময় তিঁনি মেহরাবে প্রবেশ করতেন।" [মিরকাতুল মাফাতীহ লিল মোল্লা আলী ক্বারী]</b><br> <b>নবী করিম [ﷺ ] ইকামত বলা শুরু করার পরই হুজরা শরীফ থেকে বের হতেন এবং তাঁকে দেখার পূর্বে দাঁড়াতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং হাদীসের মাধ্যমে বুঝা গেল ইকামতের পূর্বে দাঁড়ানো নিষেধ।</b><br> <b>।।।</b><br> <b>ණ ইকামতের পূর্বে না পরে কাতার সোজা করবেনঃ</b><br> <b>[ ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﺍﻗﻴﻤﺖ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﺎﻗﺒﻞ ﻋﻠﻴﻨﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻮﺟﻬﻪ ﻓﻘﺎﻝ : ﻭﺃﻗﻴﻤﻮﺍ ﺻﻔﻮﻓﻜﻢ ﻭﺗﺮﺍﺻﻮﺍ ﻓﺈﻧﻰ ﺃﺭﺍﻛﻢ ﻣﻦ ﻭﺭﺍﺀ ﻇﻬﺮﺉ . ]</b><br> <b>অর্থাৎঃ খাদেমে রাসূল হযরত আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "নামাযের ইকামত হয়ে গেছে। অতঃপর প্রিয় রাসূল [ ﷺ ] আমাদের দিকে সামনা-সামনি হয়ে ফিরে গেলেন এবং বললেনঃ তোমাদের কাতার বা লাইনসমূহ সোজা কর এবং একে অন্যের সাথে লাগিয়ে মিলিয়ে দাঁড়াও। কেননা নিশ্চয়ই আমি আমার পিছনের দিক থেকেও তোমাদেরকে দেখতে পাই।" [বুখারী শরীফ; ১ম খন্ড, পৃ.১০০, হাদীস: ৭১৯]</b></p> <p dir="ltr"><b>আবূ দাউদ শরীফের ১ম খন্ড ৯৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছেঃ</b><br> <b>[ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﻌﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﺑﺸﻴﺮ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﺴﻮﺉ ﺻﻔﻮﻓﻨﺎ ﺍﺫﺍ ﻗﻤﻨﺎ ﻟﻠﺼﻼﺓ ﻓﺎﺫﺍ ﺍﺳﺘﻮﻳﻨﺎ ﻛﺒﺮ . ]</b><br> <b>অর্থাৎঃ হযরত নু'মান বিন বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা যখন নামাযের জন্য দাঁড়িয়ে যেতাম, তখন প্রিয় রাসূল [ ﷺ ] আমাদের (নামাযের) কাতার সোজা করতেন। কাতার যখন সম্পূর্ণ সোজা হয়ে যেত তখন তিনি তাকবীরে তাহরীমা বলতেন। [মিশকাত শরীফ; পৃ. ৯৮, হাদীসঃ ১০২৭]</b></p> <p dir="ltr"><b>জামাআতের সময় ইমাম ও মুসল্লীগণ কখন দাঁড়াবেন?</b><br> <b>_____________________________________</b></p> <p dir="ltr"><b>১। আইনী শরহে বুখারীতে (৪র্থ খন্ডের ৩৫৭ পৃষ্টায়) উল্লেখ আছে-</b><br> <b>[ ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﻭﻣﺤﻤﺪ ﻳﻘﻮﻣﻮﻥ ﻓﻰ ﺍﻟﺼﻒ ﺍﺯﺍ ﻗﺎﻝ ﺣﻰ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﺼﻠﻮﺓ . ]</b><br> <b>অর্থাৎ- ইমাম আবু হানিফা [ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ] ও তার শাগরীদ ইমাম মুহাম্মদ [ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ] বলেছেন - যখন মুয়াজ্জিন 'হাইয়্যা আলাছ ছালাহ' বলবে তখন মুসল্লীগণ দাঁড়াবেন।</b></p> <p dir="ltr"><b>২। ফতহুল বারী শরহে বুখারীতে (২য় খন্ডের ১৪০ পৃষ্ঠায়) উল্লেখ আছে-</b><br> <b>[ ﻋﻦ ﺍﺑﻰ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﻳﻘﻮﻣﻮﻥ ﺍﺯﺍ ﻗﺎﻝ ﺣﻰ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻔﻼﺡ . ]</b><br> <b>অর্থাৎ- ইমাম আবু হানিফা [ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ] হতে বর্ণিত আছে যে- যখন মুয়াজ্জিন 'হাইয়্যা আলাল ফালাহ' বলবে তখন মুসল্লিগণ দাঁড়াবেন।</b></p> <p dir="ltr"><b>৩। আল্লামা নববী [ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ] শরহে মুসলিমের মধ্যে (১ম খন্ডের ২২১ পৃষ্ঠায়) উল্লেখ করেছেন-</b><br> <b>[ ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻭﺍﻟﻜﻮﻓﻴﻮﻥ - ﻳﻘﻮﻣﻮﻥ ﻓﻰ ﺍﻟﺼﻒ ﺍﺯﺍ ﻗﺎﻝ ﺣﻰ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﺼﻠﻮﺓ . ]</b><br> <b>অর্থাৎ- ইমাম আবু হানিফা [ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ এবং কুফার ফকিহগণ বলেছেন- যখন মুয়াজ্জিন 'হাইয়্যা আলাছ ছালাহ' বলবে তখন মুসল্লীগণ দাঁড়াবেন।</b></p> <p dir="ltr"><b>৪। আউনুল মা'বুদ শরহে আবু দাউদ -এ (২য় খন্ডের ১২৮ পৃষ্ঠায়) উল্লেখ আছে-</b><br> <b>[ ﻋﻦ ﺍﺑﻰ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﻳﻘﻮﻣﻮﻥ ﺍﺯﺍ ﻗﺎﻝ ﺣﻰ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻔﻼﺡ . ]</b><br> <b>অর্থাৎ- ইমাম আবু হানিফা [ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ] হতে বর্ণিত, যখন মুয়াজ্জিন 'হাইয়্যা আলাল ফালাহ' বলবে তখন মুসল্লীগণ দাঁড়াবেন।</b><br> <b>বিঃ দ্রঃ উপরের দুইটি প্রদ্ধতি ইমাম আবু হানিফা [ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ] থেকে বর্ণিত হয়েছে। দুইটি বর্ণনায় "হাইয়্যা আলাল ফালাহ" উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত বর্ণনার ফয়সালা বা সমন্বয় মুফতীগণ এভাবে করেছেন "হাইয়্যা আলাছ ছালাহ" বলার সময় দাঁড়ানো শুরু করবে "হাইয়্যা আলাল ফালাহ" বলার সময় পূর্ণভাবে দাঁড়াবে।</b></p> <p dir="ltr"><b>৫। তাহতাভী আলা মারাকিল ফালাহ' তে (২য় খন্ডের ২২০ পৃষ্ঠায়) উল্লেখ আছে-</b><br> <b>[ ﺍﺫﺍ ﺍﺧﺬ ﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻓﻰ ﺍﻻﻗﺎﻣﺔ ﻭﺩﺧﻞ ﺭﺟﻞ ﻓﻰ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻓﺎﻧﻪ ﻳﻘﻌﺪ ﻭﻻ ﻳﻨﺘﻈﺮ ﻗﺎﺋﻤﺎ ﻓﺎﻧﻪ ﻣﻜﺮﻭﻩ ﻛﻤﺎ ﻓﻰ ﺍﻟﻤﻀﻤﺮﺍﺕ ﻗﻬﺴﺘﺎﻧﻰ ﻭﻳﻔﻬﻢ ﻣﻨﻪ ﻛﺮﺍﻫﺔ ﺍﺑﺘﺪﺍﺀ ﺍﻻﻗﺎﻣﺔ - ﻭﺍﻟﻨﺎﺱ ﻋﻨﻪ ﻏﺎﻓﻠﻮﻥ . ]</b><br> <b>অর্থাৎ- যখন মুয়াজ্জিন ইকামত শুরু করবে, এমন সময় যদি কোন মুসল্লী মসজিদে প্রবেশ করে তা হলে তাকে বসে যেতে হবে। দাঁড়িয়ে (হাইয়্যা আলাছ ছালাহ বা ফালাহ) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবে না কেননা উহা মাকরুহ। আল্লামা কাহাস্তানীর মুজমিরাত গ্রন্থে এরুপই বর্ণিত আছে। তাহতাভী প্রণেতা বলেন কাহাস্তানীর ইবারত দ্বারা বুঝা গেল - ইকামতের শুরুতে দাঁড়িয়ে যাওয়া মাকরুহে তাহরীমী। কিন্তু লোকেরা এ সম্পর্কে খুবই গাফেল।</b></p> <p dir="ltr"><b>(উল্লেখ্য যে, আল্লামা তাহতাভীর যুগের লোকেরাও এ সম্পর্কে গাফলতি করে একটি মারাত্মক মাকরুহ কাজে লিপ্ত ছিল। বর্তমান কালে এরুপ করা কোন নতুন বিষয় নয়। আমাদের বিপরীত চিন্তার লোকেরা ভারতের জন্মলাভ করার পূর্বে ফতোয়ায়ে আলমগীরী রচিত হয়েছে। বাদশাহ আলমগীর ৭০০ বিজ্ঞ আলেম দিয়ে তৎকালীন ষোল লক্ষ টাকা ব্যয় করে উক্ত ফতোয়া রচনা করেছেন যাদের মধ্যে শাহ্ আব্দুর রহীম দেহলভী [ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ] অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তখন দেওবন্দ মাদ্রাসা ছিল না। উক্ত ফতোয়ায় মুসল্লিগণের দাঁড়ানোর একটি মাত্র পদ্ধতিই বর্ণনা করা হয়েছে তা হল "হাইয়্যা আলাল ফালাহ" তে দাঁড়ানো শেষ করা। নিন্মে আলমগীরীর ইবারত দেখুন।)</b></p> <p dir="ltr"><b>৬। (ফতোয়ায়ে) আলমগীরীতে উল্লেখ আছে-</b><br> <b>[ ﺍﺫﺍ ﺩﺧﻞ ﺭﺟﻞ ﻋﻨﺪ ﺍﻻﻗﺎﻣﺔ ﻳﻜﺮﻩ ﻟﻪ ﺍﻻﻧﺘﻈﺎﺭ ﻗﺎﺋﻤﺎ - ﻭﻟﻜﻦ ﻳﻘﻌﺪ ﺛﻢ ﻳﻘﻮﻡ ﺍﺫﺍ ﺑﻠﻎ ﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻗﻮﻟﻪ ﺣﻰ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻔﻼﺡ ﻛﺬﺍ ﺍﻟﻤﻀﻤﺮﺍﺕ ﺍﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻏﻴﺮ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﻭﻛﺎﻥ ﺍﻟﻘﻮﻡ ﻣﻊ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﻓﻰ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻓﺎﻧﻪ ﻳﻘﻮﻡ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﻭﺍﻟﻘﻮﻡ ﺍﺫﺍ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﺣﻰ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻔﻼﺡ ﻋﻨﺪ ﻋﻠﻤﺎﺋﻨﺎ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ ﻭﻫﻮ ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ . ]</b><br> <b>অর্থাৎ- ইকামতের সময় কোন মুসল্লী মসজিদে প্রবেশ করলে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করা মাকরুহ বরং সে বসে যাবে। মুয়াজ্জিন যখন "হাইয়্যা আলাল ফালাহ" বলবে তখন সে পূর্ণভাবে দাঁড়াবে। মুজমিরাত গ্রন্থে এরুপ ফতোয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। অনুরুপভাবে ইমাম ও মুসল্লীগণ একসাথে মুয়াজ্জিনের "হাইয়্যা আলাল ফালাহ" বলার সময় দাঁড়াবে যদি তারা ইকামতের পূর্ব হতেই মসজিদে বসা থাকেন। হানাফী মাযহাবের প্রথম তিন ইমাম আবু ইউসূফের ইহা ঐক্যমত। ফতোয়ার নীতিমালা অনুযায়ী ইহাকে বিশুদ্ধ সহীহ্ একমাত্র গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বলা হয়। (ফতোয়ায়ে আলমগীরী, ১ম খন্ড ৫৭ পৃঃ)</b><br> <b>অন্য তিন মাযহাবের মতামতঃ</b><br> <b>১। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল [ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ] এর মতামত সম্পর্কে ইমাম নববী শরহে মুসলিমে (মুসলিম শরীফ ১ম খন্ড ২২১ পৃষ্ঠায়) বলেন-</b><br> <b>[ ﻭﻛﺎﻥ ﺍﻧﺲ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻳﻘﻮﻡ ﺍﺫﺍ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻗﺪ ﻗﺎﻣﺖ ﺍﻟﺼﻠﻮﺕ ﻭﺑﻪ ﻗﺎﻝ ﺍﺣﻤﺪ . ]</b><br> <b>অর্থাৎ- রাসূলে পাক [ ﷺ ] এর খাদেম হযরত আনাস [ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ] ইকামতের সময় তখন দাঁড়াতেন যখন মুয়াজ্জিন বলতেন ক্বাদ ক্বামাতিছ ছালাহ। ইহাই ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের অভিমত।</b><br> <b>২। আল্লামা আইনী শরহে বুখারীতে (৪র্থ খন্ড ৩৫৭ পৃষ্ঠায়) ইমাম আহমদের অভিমত এভাবে উল্লেখ করেছেন-</b><br> <b>[ ﻗﺎﻝ ﺍﺣﻤﺪ ﺍﺫﺍ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻗﺪ ﻗﺎﻣﺖ ﺍﻟﺼﻠﻮﺕ ﻳﻘﻮﻡ ﺍﻻﻣﺎﻡ . ]</b><br> <b>অর্থাৎ- ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল [ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ] এই অভিমত দিয়েছেন যে, যখন মুয়াজ্জিন বলবে " ক্বাদ ক্বামাতিছ ছালাহ" তখন ইমাম দাঁড়াবে।</b><br> <b>৩। ইমাম শাফেয়ী [ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ] এর অভিমত সম্পর্কে আল্লামা কাস্তুলানী বলেন-</b><br> <b>[ ﻭﺍﺧﺘﻠﻒ ﻓﻰ ﻭﻗﺖ ﺍﻟﻘﻴﺎﻡ ﺍﻟﻰ ﺍﻟﺼﻠﻮﺓ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻟﺸﺎﻓﻌﺊ ﻭﺍﻟﺠﻤﻬﻮﺭ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻔﺮﺍﻍ ﻣﻦ ﺍﻻﻗﺎﻣﺔ ﻭﻫﻮ ﻗﻮﻝ ﺍﺑﻰ ﻳﻮﺳﻒ . ]</b><br> <b>অর্থাৎ- নামাযের জামাতে দাঁড়ানোর সময়ের ব্যাপারে ইমামগণের মধ্যে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। ইমাম শাফেয়ী এবং অধিকাংশ উলামাগণের মতে ইকামত সমাপ্ত হওয়ার পর ইমাম ও মুসল্লীগণ দাঁড়াবে। হানাফী মাযহাবের ইমাম আবু ইউসুফ [ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ] তাঁর পৃথক একটি মতে ইমাম শাফেয়ীর ন্যায় অভিমত দিয়েছেন। [মুসলিম শরীফ ১ম খন্ড ২২১ পৃষ্ঠা এবং শরহে মুসলিম শরীফেও রয়েছে]</b><br> <b>৪। ইমাম মালেক [ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ] এর অভিমত সম্পর্কে আউনুল মা'বুদ শরহে আবু দাউদ (২য় খন্ড ১২৮ পৃষ্ঠায়) এবং ফতহুল বারী শরহে বুখারী গ্রন্থদ্বয়ে উল্লেখ রয়েছে-</b><br> <b>[ ﻭﻗﺎﻝ ﻣﺎﻟﻚ ﻓﻰ ﺍﻻﻣﺆﻃﺎ ﻟﻢ ﺍﺳﻤﻊ ﻓﻰ ﻗﻴﺎﻡ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺣﻴﻦ ﺗﻘﺎﻡ ﺍﻟﺼﻠﻮﺓ ﺑﺤﺪ ﻣﺤﺪﻭﺩ ﺍﻻ ﺍﻧﻰ ﺍﺭﻯ ﺯﻟﻚ ﻋﻠﻰ ﻃﺎﻗﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻓﺎﻥ ﻓﻴﻬﻢ ﺍﻟﺜﻘﻴﻞ ﻭﺍﻟﻀﻌﻴﻒ ﻭﺫﻫﺐ ﺍﻻﻛﺜﺮﻭﻥ ﺍﻟﻰ ﺍﻧﻬﻢ ﺍﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﻣﻌﻬﻢ ﻓﻰ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻟﻢ ﻳﻘﻮﻣﻮﺍ ﺣﺘﻰ ﻳﻔﺮﻍ ﻣﻦ ﺍﻻﻗﺎﻣﺔ . ]</b><br> <b>অর্থাৎ- ইমাম মালেক [ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ] বলেছেন- নামাযের ইকামতের কোন পর্যায়ে মুসল্লীগণকে দাঁড়াতে হবে- এ সম্পর্কে আমি কোন চুড়ান্ত হাদীছ এ পর্যন্ত শুনিনি। তবে আমি মুসল্লীগণের শারীরিক শক্তির উপর দাঁড়ানোর বিষয়টি ন্যস্ত করছি। কেননা, মুসল্লীদের মধ্যে কেউ আছে শারীরিকভাবে দূর্বল এবং কেউ আছেন হালকা পাতলা। তবে অধিকাংশ আলেমগণ (মালেকী) অভিমত দিয়েছেন যে, ইকামত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইমাম ও মুসল্লীগণ দাঁড়াবে না।</b></p> <p dir="ltr"><b>কাতার কখন সোজা করবেন?</b><br> <b>_________________________</b><br> <b>কাতার সোজা করা ওয়াজিব। ওয়াজিব কখন আদায় করবেন? এর দুটি পদ্ধতি রয়েছে।</b><br> <b>একঃ হযরত ওমর [ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ] কাতার সোজা করতেন ইকামতের পরে। তিনি হযরত আলী [ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ] কে দিয়ে কাতার সোজা করে তারপর তাকবীরে তাহরীমা বাঁধতেন (মিশকাত)। মদিনা শরীফের মসজিদে নববীতে এই প্রথাই বর্তমানে চালু আছে।</b><br> <b>দুইঃ বর্তমানে প্রায় সকল মসজিদেই কাতার চিহ্ন দেয়া থাকে। কোন গাফেল মুসল্লী যদি কাতার ভঙ্গ করে বসে থাকেন- তাহলে ইমাম সাহেব ইকামতের পূর্বে সকল মুসল্লীকে দাঁড় করিয়ে কাতার সোজা করে বসিয়ে দিয়ে মুয়াজ্জিনকে ইকামতের নির্দেশ দিলে ওয়াজিব এবং সুন্নাত উভয়টিই পালন করা সহজ হয়। এটা ইমামের সতর্কতার উপর নির্ভরশীল। তিনি জেনে শুনে মুসল্লীগণকে দিয়ে মাকরুহ' কাজ করালে সেজন্য তিনিই দায়ী থাকবেন। [কৃত- প্রিন্সিপাল হাফেয এম এ জলীল (রহঃ)]</b></p>

প্রশ্নঃ ইকামতের সময় মুসল্লিগণ কখন দাঁড়াবেন?

যা রা লোপ পেয়ে যাওয়া একটি সুন্নাতকে পুনর্জীবিত করবেন- তারা একশত শহীদের সওয়াব পাবেন। ★ মিশকাত শরীফ, ৩০ পৃষ্ঠা, ★ বায়হাকী শরীফ 'কিতাবুল...

Read more »

দেওবন্দীদের গুরু আশরাফ আলী থানবী রাসুল (সাঃ) নূর তৈরি তা মানতঃ

<p dir="ltr">(Fatwa: 903/876=D)</p> <p dir="ltr"><b>Hazrat Hakimul Ummah, Maulana Ashraf Ali Thanwi has mentioned a Hadith in his book نشر الطیب فی ذکر النبی الحبیب صلی اللہ علیہ وسلم with reference of Ahkam bin Al-Qattan that Hazrat Ali bin Al-Hussain (Zainul Abdeen) narrated from his father Hazrat Hussain (رضی اللہ عنہ) and he narrated from his father (Hazrat Ali رضی اللہ عنہ) that the Prophet (صلی اللہ علیہ وسلم) said: ?I was a noor (light) in front of my Lord some forty thousand years before the birth of Hazrat Adam (علیہ السلام)?.</b><br> <b>There are some more traditions which prove that the noor of the Prophet (صلی اللہ علیہ وسلم) was created in the earliest time, some traditions say that his noor was created before the Tablet, the Pen, earth, sky and even before all creatures.</b><br> <b>Allah knows Best!</b></p> <p dir="ltr"><b>Darul Ifta,</b><br> <b>Darul Uloom Deoband</b><br> <b>http://www.darulifta-deoband.com/home/en/Hadith--Sunnah/3126</b></p>

দেওবন্দীদের গুরু আশরাফ আলী থানবী রাসুল (সাঃ) নূর তৈরি তা মানতঃ

(Fatwa: 903/876=D) Hazrat Hakimul Ummah, Maulana Ashraf Ali Thanwi has mentioned a Hadith in his book نشر الطیب فی ذکر النبی الحبیب صلی الل...

Read more »

আব্দুল ওহাব নজদি ও ওহাবী সম্পর্কে দেওবন্দিরা যা লিখেছেনঃ

<p dir="ltr"><b><i>১.</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী যাকে দেওবন্দিরা উপাধি দিয়েছে গাউছে ছমদানী কুতুবুল আ’লম ইমাম রব্বানী ফখরুল মুহাদ্দিসীন যুবদাতুল ফুকাহা ইত্যাদি।তিনি বলেছেন… “মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব নজদীর অনুসারীদের ওহাবী বলে।তার আকিদা ভাল ছিল আর তার মাযহাব ছিল হাম্বলী।অবশ্য তার মেজাযে কঠোরতা ছিল।কিন্তু সে আর তার অনুসারীরা ভাল।কিন্তু হাঁ,যে সীমালঙ্গন করেছে তার মধ্যে ফাসাদ চলে এসেছে আর আকিদা সবার একই।আমলের মধ্যে হানাফী মালেকী হাম্বলী পার্থক্য মাত্র” </i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>★ তথ্যসূত্র:ফাতাওয়া রশীদিয়া 266 পৃষ্ঠা মাকতাবা মাহমুদিয়্যাহ সাহারানপুর ইউপি।</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>২.</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>কিন্তু মক্কা মাদীনার সম্মানিত আলেমরা যখন মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব সমপর্কে দেওবন্দিদের আকিদা কী জানতে চেয়েছেন তার জবাবে সকল দেওবন্দিদের পক্ষ থেকে খলীল আহমদ সাহারানপুরী বলেছেন… আমরা দেওবন্দিরা মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব নজদী সমপর্কে সেই মনোভাব ও আকিদা পোষণ করি,যা রদ্দুল মুহতার শীর্ষক গ্রন্থাকার আল্লামা শামী রহ.ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন,খারেজীদের শিংওয়ালা এক দল যারা হযরত আলী রা.কে ভ্রান্ত বাতিল বলে তাঁর ওপর কুফরীর ফতওয়া জারী করে তাঁর ওপর চড়াও হয়েছিল।তাঁকে (হযরত আলী রা.)কে হত্যা করা ওয়াজিব ফতওয়া দিয়েছিল।তাঁরই সাথে তারা হযরত আলী রা.এর প্রাণ ধন সম্পদ ধ্বংস করে দেয়া হালাল মনে করে,মহিলা আটক ও বন্দি করা বৈধ ফতওয়া দিয়েছিল এবং সমগ্র মুসলমান জাতিকে (তাদের অনুসারী ছাড়া) ধর্মত্যাগী হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল। তারা বলেছিল তাদের ওপর এ ফতওয়া জারীর কারণ হল তারা কুরান ছেড়ে তাবীল এর আশ্রয় নিয়েছে।</i></b><br> <b><i>আল্লামা শামী রহ.ঐ কিতাবের হাশিয়ায় উল্লেখ করেছেন খারেজীদের মত আমাদের এ যুগে নজদ এলাকা থেকে মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব হারামাইন শরীফাইনে চড়াও হয়েছে এবং ঐ খারেজী আকিদা পোষণ করে তাদের মতই সমগ্র মুসলমান (সুন্নী যারা) জাতিকে হত্যা করা বৈধ মনে করছে।আমরা মনে করি ঐ ওহাবীরা সে যুগের খারেজীদেরই উত্তরসূরী।ওরা মুসলমান নয়। তারা হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী দাবি করলেও তারা মনে করে মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব নজদী ও তার অনুসারীগণ কেবল মুসলমান আর অন্যরা সকলেই মুশরিক।এই মনোভাব ও মতবাদের ওপর ভিত্তি করেই তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী মুসলমান ও তাদের উলামায়ে কেরামকে হত্যা করা বৈধ দাবি করে বসে।</i></b><br> <b><i>অতঃপর আল্লাহই তাদের শিং ভেঙ্গে দিয়েছেন…এখানেই আল্লামা শামীর বক্তব্য শেষ।এরপর দেওবন্দিরা একটু পরে সর্বশেষ সিদ্ধান্তে বলেন,আমরা ও আমাদের সকল মাশায়েখ এ নীতিতেই বিশ্বাস করে তা অনুকরণ করে থাকেন। আশা করব আমাদের প্রতি ওহাবী সংশ্লিষ্টতার গন্ধ ও আপনাদের সংশয়ের অবসান হবে ইনশাআল্লাহ।এটাই ছিল মক্কা মাদীনার আলেমদের প্রতি দেওবন্দিদের জবাব।</i></b></p> <p dir="ltr"><b><i>★ তথ্যসূত্র:আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ আরবী বাংলা 39 ও 40 পৃষ্ঠা আল হাবীব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।</i></b><br></p> <p dir="ltr"><b>প</b><b>র্যালোচনাঃ</b></p> <p dir="ltr"><b>১.যদি রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর বক্তব্য মেনে নেয় তাহলে বাকী সকল দেওবন্দিদেরকে মিথ্যুক বাটপার কাযযাব ধোঁকাবাজ বলতে হবে।</b></p> <p dir="ltr"><b>২.যদি সকল দেওবন্দিদের পক্ষে খলীল আহমদ সাহারানপুরীর বক্তব্য মেনে নেয় তাহলে বড় বড় উপাধি দিয়েছে যাকে সেই রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীকে মিথ্যুক ধোঁকাবাজ বাটপার মেনে নিতে হবে!তবে তারা কোনটাই করে না। কারণ তারা বিশ্ব বেহায়া বিশ্ব বাটপার বিশ্ব ধোঁকাবাজ বিশ্ব কাযযাব এটাই দেওবন্দিদের চরিতের বৈশিষ্ট্য।</b><br> </p>

আব্দুল ওহাব নজদি ও ওহাবী সম্পর্কে দেওবন্দিরা যা লিখেছেনঃ

১. রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী যাকে দেওবন্দিরা উপাধি দিয়েছে গাউছে ছমদানী কুতুবুল আ’লম ইমাম রব্বানী ফখরুল মুহাদ্দিসীন যুবদাতুল ফুকাহা ইত্যাদি।তিনি বল...

Read more »

হযরত আলী (রাঃ) ও হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর মধ্যকার ইজতিহাদি বিরোধ সম্পর্কে মিমাংসাঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> শিয়ারা বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করে হযরত আলী (রাঃ) ও হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর মধ্যকার বিরোধকে কেন্দ করে এখন সুন্নী মুসলমানদেরও পথভ্রষ্ট করছে। এই ঘটনার হাকিকত কি ছিল? এটা বুঝার জন্য এই পোস্টটি পড়ুন। ইনশাআল্লাহ পোস্টটি উপকারে আসবে।</div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> 1.</div> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;"> আমিরুল মু'মিনিন মাওলা হযরত 'আলী (তাঁর প্রতি সালাম) ইবনে আবি তালিব (আল্লাহ্ তাঁকে উপযুক্ত মর্যাদা প্রদান করুন) হযরত মুয়াবিয়া (তাঁর প্রতি সালাম) সম্পর্কে তদীয় রচনা হিসেবে প্রসিদ্ধ </div> <div style="text-align: justify;"> ``নাহযুল বালাগা`` পত্র সম্ভার কিতাবের ৫৮ নং. পত্রে উভয়ের সিদক্ব (কুফরের উপর নয়) প্রসঙ্গে বলেন :</div> <div style="text-align: justify;"> (তিনি এই পত্রটিতে উভয়ের অবস্থা তুলে ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরন করেছিলেন)</div> <div style="text-align: justify;"> উভয়ই হক্বের উপর প্রতিষ্ঠিত।</div> <br> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> وَكَانَ بَدْءُ أَمْرِنَا أَنَّا الْتَقَيْنَا وَالْقَوْمُ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ، وَالظَّاهِرُ أَنَّ رَبَّنَا وَاحِدٌ (1) ، وَنَبِيَّنَا وَاحِدٌ، وَدَعْوَتَنَا فِي الْإِِسْلاَمِ وَاحِدَةٌ، لاَ نَسْتَزِيدُهُمْ (2) فِي الْإِيمَانِ باللهِ وَالتَّصْدِيقِ بِرَسُولِهِ، وَلاَ يَسْتَزِيدُونَنَا: الْأَمْرُ وَاحِدٌ، إِلاَّ مَا اخْتَلَفْنَا فِيهِ مِنْ دَمِ عُثْمانَ، وَنَحْنُ مِنْهُ بَرَاءٌ! فَقُلْنَا: تَعَالَوْا نُدَاوِ مَا لاَ يُدْرَكُ الْيَوْمَ بِإِطْفَاءِ النَّائِرَةِ (3) ، وَتَسْكِينِ الْعَامَّةِ، حَتَّى يَشْتَدَّ الْأَمْرُ وَيَسْتَجْمِعَ، فَنَقْوَى عَلَى وَضْعِ الْحَقِّ مَوَاضِعَهُ. فَقَالُوا: بَلْ نُدَاوِيهِ بِالْمُكَابَرَةِ (4) ! فَأَبَوْا حَتَّى جَنَحَتِ (5) الْحَرْبُ وَرَكَدَتْ (6) ، وَوَقَدَتْ (7) نِيرَانُهَا وَحَمِشَتْ (8) . فَلَمَّا ضَرَّسَتْنَا (9) وَإِيَّاهُمْ، وَوَضَعَتْ مَخَالِبَهَا فِينَا وَفِيهِمْ، أَجَابُوا عِنْدَ ذلِكَ إِلَى الَّذي دَعَوْنَاهُمْ إِلَيْهِ، فَأَجَبْنَاهُمْ إِلَى مَا دَعَوْا، وَسَارَعْنَاهُمْ (10) إِلَى مَا طَلَبُوا، حَتَّى اسْتَبَانَتْ عَلَيْهِمُ الْحُجَّةُ، وَانْق َطَعَتْ مِنْهُمُ الْمَعْذِرَةُ. فَمَنْ تَمَّ عَلَى ذلِكَ مِنْهُمْ فَهُوَ الَّذِي أَنْقَذَهُ اللهُ مِنَ الْهَلَكَةِ، وَمَنْ لَجَّ وَتَمَادَى فَهُوَ الرَّاكِسُ (11) الَّذِي رَانَ (12) اللهُ عَلَى قَلْبِهِ، وَصَارَتْ دَائِرَةُ السَّوْءِ عَلَى رَأْسِهِ</div> <div dir="rtl"> </div> <div style="text-align: justify;"> আমাদের মধ্যে সূচিত ঘটনার প্রারম্ভে আমরা এবং শামের লোকেরা পরষ্পর সাক্ষাতে মিলিত হয়েছিলাম; নি:সন্দেহে আমাদের মা'বুদ একক, আমাদের প্রতি প্রেরিত আল্লাহর রাসূল (صلى الله عليه و آله وسلم) অভিন্ন। আর ইসলামে আমাদের দা'ওয়াতও অভিন্ন। আমরা ও তাঁরা কেউই নিজেদের আল্লাহর প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপনে ও তাঁর রাসূল (صلى الله عليه و آله وسلم) এর প্রতি সত্যায়নে অাধিক্য সম্পন্ন মনে করি না। আমাদের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন, কেবল আমীরুল মু'মিনিন হযরত উসমান যিন্নুরাইন (তাঁর প্রতি সালাম) এর রক্তের প্রতিশোধের ব্যাপার ব্যতীত; আর আমরা উভয়ই তাঁর শাহাদাৎ এর ব্যাপারে নির্দোষ-মাসূম। (সংক্ষেপিত)</div> <div style="text-align: justify;"> [গ্রন্থ সূত্রঃ নাহযুল বালাগা, কৃত আমিরুল মু'মিনিন মাওলা হযরত 'আলী (তাঁর প্রতি সালাম); পত্র নং. ৫৮।]</div> <br> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> 2.</div> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;"> আমিরুল মু'মিনিন মাওলা হযরত 'আলী (তাঁর প্রতি সালাম) ইবনে আবি তালিব (আল্লাহ্ তাঁকে উপযুক্ত মর্যাদা প্রদান করুন) তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধরতদের সম্পর্কে শির্ক-কুফরকারী না বলে তিনি বলেন :</div> <div style="text-align: justify;"> وسائل‏الشيعة جزء15صفحة83 – باب حكم قتال البغاة</div> <div style="text-align: justify;"> – عبد الله بن جعفر الحميري في (قرب الاسناد) عن هارون بن مسلم، عن مسعدة بن زياد، عن جعفر، عن أبيه ان عليا (عليه السلام) لم يكن ينسب أحدا من أهل حربه إلى الشرك ولا إلى النفاق، ولكنه كان يقول: هم إخواننا بغوا علينا.</div> <div style="text-align: justify;"> আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরতরা আমাদের ভাই।</div> <div style="text-align: justify;"> [গ্রন্থ সূত্র : ওয়াসায়িল আল-শিয়া; খণ্ড ১৫, পৃষ্ঠা ৮৩।]</div> <br> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> 3.</div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> হাসান সনদে ইমাম বায়হাকী রহ. কৃত সূনান এ উদ্ধৃত হয়েছে :</div> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;"> أبو عبد الله الحافظ وأبو سعيد بن أبى عمرو قالا ثنا أبو العباس محمد بن يعقوب ثنا احمد بن عبد الجبار ثنا حفص ابن غياث عن عبد الملك بن سلع عن عبد خير قال سئل على رضى الله عنه عن اهل الجمل فقال اخواننا بغوا علينا فقاتلناهم وقد فاؤا وقد قبلنا منهم.</div> <div style="text-align: justify;"> السنن الكبرى ج8 ص182</div> <br> <div dir="rtl"> </div> <div style="text-align: justify;"> আমিরুল মু'মিনিন মাওলা হযরত 'আলী (তাঁর প্রতি সালাম) ইবনে আবি তালিব (আল্লাহ্ তাঁকে উপযুক্ত মর্যাদা প্রদান করুন) জঙ্গে জামালে ও জঙ্গে সিফফিনে তাঁর বিরোধী লোকদের ব্যাপারে বলেন : আমাদের বিরুদ্ধে যাঁরা যুদ্ধ করেছেন তাঁরা আমাদের ভাই।</div> <div style="text-align: justify;"> [গ্রন্থ সূত্র : ইমাম বায়হাকী রহ., আস সূনানুল কুবরা, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৮২।]</div> <br> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;"> অনূরুপ বর্ণনা মুসান্নাফ ইবন আবূ শায়বা শরীফেও উদ্ধৃত হয়েছে :</div> <div style="text-align: justify;"> 37763 – حدثنا يزيد بن هارون عن شريك عن أبي العنبس عن أبي البختري قال سئل علي عن أهل الجمل قال قيل أمشركون هم قال من الشرك فروا قيل أمنافقون هم قال إن المنافقين لا يذكرون الله إلا قليلا قيل إخواننا بغوا علينا</div> <br> <div dir="rtl" style="text-align: justify;"> ইমাম বায়হাকী রহ. কৃত "সূনানুল কুবরা" খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ১৭৩ :</div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> 16490 – أخبرنا أبو عبد الله الحافظ أنبأ أبو الوليد الفقيه ثنا الحسن بن سفيان ثنا أبو بكر بن أبي شيبة ثنا يزيد بن هارون عن شريك عن أبي العنبس عن أبي البختري قال سئل علي رضي الله عنه عن أهل الجمل أمشركون هم قال من الشرك فروا قيل أمنافقون هم قال إن المنافقين لا يذكرون الله إلا قليلا قيل فما هم قال إخواننا بغوا علينا</div> <div dir="rtl" style="text-align: justify;"> তাছাড়া সহীহ্ সনদে "মুসান্নাফ ইবন আবূ শায়বা" তে বর্ণিত হয়েছে :</div> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;"> روى ابن أبي شيبة في مصنفه بسند صحيح : حدثنا أبو أسامة قال حدثنا مسعر عن ثابت بن عبيد قال : سمعت أبا جعفر يقول : لم يكفر أهل الجمل</div> <div style="text-align: justify;"> . المصنف ج8 ص708 يقصد علي</div> <div style="text-align: justify;"> এই বর্ণনায় বলা হয়েছে "জঙ্গে জামাল"-এর যুদ্ধে যাঁরা ছিলেন তাঁরা কেউই যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার কারনে কুফরে পতিত ছিলেন না, অর্থাৎ তাঁরা কেউই কাফীর নন।</div> <div style="text-align: justify;"> [গ্রন্থ সূত্র : মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা; খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ৭০৮।]</div> <div style="text-align: justify;"> কাজেই সহীহ্ সনদে প্রমানিত; তাঁদের বিরুদ্ধে কুফরীর অভিযোগ মিথ্যা প্রচারনা।</div> <br> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> 4.</div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> শিয়া ফির্কার ইমাম মাজলিসী তদীয় প্রসিদ্ধ পুস্তক ``বিহারুল আনওয়ার``, ৩২/৩২৪ এ বলেন : ইমামুল মু'মিনিন জাফর আস সাদিক্ব (তাঁর প্রতি সালাম) বলেছেন, </div> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;"> إن عليا لم يكن ينسب أحدا من أهل حربه إلى الشرك ولا إلى النفاق ولكنه كان يقول: هم أخواننا بغوا علينا</div> <div style="text-align: justify;"> رواه الحميري رحمه الله في الحديث : ” 297 و 302 ” من كتاب قرب الاسناد ، ص 45 ط 1</div> <br> <div dir="rtl"> </div> <div style="text-align: justify;"> আমিরুল মু'মিনিন মাওলা হযরত 'আলী (তাঁর প্রতি সালাম) ইবনে আবি তালিব (আল্লাহ্ তাঁকে উপযুক্ত মর্যাদা প্রদান করুন) জঙ্গে জামালে তাঁর বিরুদ্ধে বিবাদকারীদের প্রতি কোন প্রকারের শির্ক-কুফর বা ভণ্ডামীর হুকুম আরোপ করেন নি; বরং তিনি বলেন : আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরতরা আমাদের ভাই।</div> <div style="text-align: justify;"> [গ্রন্থ সূত্র : মাজলিসী কৃত প্রসিদ্ধ পুস্তক ``বিহারুল আনওয়ার``, ৩২/৩২৪।]</div> <div style="text-align: justify;"> ____________</div> <br> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> তাঁদের মধ্যকার বিষয়টি ছিল ইজতিহাদি misunderstanding/ভূল বুঝাবুঝি; আর এই বিভেদের কারন বর্তমানের ন্যায় ইসলামের দুষমনদের নিয়োজিত নও মুসলিম, তখন মুনাফিক ইবনে উবাই (লা'নাতুল্লাহি 'আলাইহি)।</div> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;"> মুরতাদ ও শিয়া থেকে সাবধান:</div> <div style="text-align: justify;"> *****************************</div> <br> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;"> এদের সম্পর্কে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্বেই সতর্ক করে ভবিষ্যতবানী করেছেন: </div> <div style="text-align: justify;"> عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنَّ اللَّهَ اخْتَارَنِي ، وَاخْتَارَ أَصْحَابِي ، وَإِنَّهُ سَيَجِيءُ قَوْمٌ يَنْتَقِصُونَهُمْ ، وَيُعِيبُونَهُمْ ، وَيَسُبُّونَهُمْ ، فَلا تُجَالِسُوهُمْ ، وَلا تُؤَاكِلُوهُمْ ، وَلا تُشَارِبُوهُمْ ، وَلا تُصَلُّوا مَعَهُمْ ، وَلا تُصَلُّوا عَلَيْهِمْ " .</div> <div style="text-align: justify;"> “অতি শীঘ্রই একটি দল বের হবে, যারা আমার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগনকে গালি দিবে, উনাদের নাকিছ বা অপূর্ন বলবে। সাবধান ! সাবধান ! তোমরা তাদের মজলিসে বসবে না, তাদের সাথে পানাহার করবে না, তাদের সাথে বিয়ে-শাদীর ব্যবস্থা করবে না। অন্য রেওয়াতে আছে, তাদের পেছনে নামাজ পড়বে না এবং তাদের জন্য দোয়া করবে না ও তাদের জানাযায় অংশ গ্রহন করবেনা।”</div> <br> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;"> (. الجامع لأخلاق الراوي وآداب السامع للخطيب গ্ধ بَابُ : اتِّخَاذِ الْمُسْتَمْلِي গ্ধ إِمْلاءُ فَضَائِلِ الصَّحَابَةِ وَمَنَاقِبِهِمْ ، ... رقم الحديث: </div> <div style="text-align: justify;"> ১৩৮২) কানযুল উম্মাল-৩২৪৬৮ )</div> </div>

হযরত আলী (রাঃ) ও হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর মধ্যকার ইজতিহাদি বিরোধ সম্পর্কে মিমাংসাঃ

শিয়ারা বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করে হযরত আলী (রাঃ) ও হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর মধ্যকার বিরোধকে কেন্দ করে এখন সুন্নী মুসলমানদেরও পথভ্রষ্ট করছে। ...

Read more »

মাযহাব না মানলে কবরে সাজাঃ সহিহ হাদিস থেকে

<p dir="ltr"></p> <p dir="ltr"><b><i>বুখারী শরীফের১নং খন্ডের ১৭৮ পৃষ্ঠায়,</i></b><br> <b><i>স্কানশট সহ,</i></b><br> <b><i>.</i></b><br> <b><i>লক্ষ করুন স্কানশটের লাল চিহেৃ বলা হয়েছে-</i></b><br> <b><i>.</i></b><br> <b><i>ﻳﻀﺮﺏ ﺑﻤﻄﺮﻗﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﺤﺪﻳﺪ ﻭ ﻳﻘﺎﻝ ﻻ ﺩﺭﻳﺖ ﻭﻻ ﺗﻠﻴﺖ ﺍﻱ : ﻣﺎ ﻋﻠﻤﺖ ﺑﻤﻔﺴﻚ ﺑﺎﻻﺳﺘﺪﻻﻝ ﻭﻻ ﺍﺗﺒﻌﺖ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ﻓﻴﻤﺎ ﻳﻘﻮﻟﻮﻥ – ‏( ﺣﺎﺷﻴﺔ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻋﻦ ﺍﻟﻘﺴﻄﻼﻥ 178 - )</i></b><br> <b><i>.</i></b><br> <b><i>রাসুল সা. বলেছেন এদেরকে কবরে লোহার হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হবে। আর বলা হবে তুই তো মুজতাহিদও ছিলে না, মুকাল্লিদও ছিলেনা। ওলামায় কেরামের তাকলিদও করিসনি। তাই তোর আজ এই সাজা।</i></b><br> <b><i>.</i></b><br> <b><i>(বুখারী-১/১৭৮)</i></b><br> <b><i>.</i></b><br> <b><i>তাই লা মাযহাবীরা তাদের মাযহাব বিদ্ধেষীর পরিনতি দুনিয়া থেকেই দেখে নেওয়া উচিৎ।</i></b><br> </p> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgY6ohN0juK78fKLNVcwJvwaDBoQeUfzb03_rjLQgude0zHyPk1eWHIaD60GC_QoxlBdvDG4gDuz-C-AyyM_JwD81FzIWxqz-nw0CIYChmrv2IPUvhPOw0OzZhVymUORLjf8q3aVSw7fx4/s1600/PicsArt_10-20-07.00.40.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgY6ohN0juK78fKLNVcwJvwaDBoQeUfzb03_rjLQgude0zHyPk1eWHIaD60GC_QoxlBdvDG4gDuz-C-AyyM_JwD81FzIWxqz-nw0CIYChmrv2IPUvhPOw0OzZhVymUORLjf8q3aVSw7fx4/s640-rw/PicsArt_10-20-07.00.40.jpg"> </a> </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj54Gqw73FPxDoB7OmFfhMue22vxDW1wzxdtWdhTfvqRtPQubVMlYKGguOSnHNPifFagtkVAyFblsju_C6ypyAgscImODqfy4d9lBwCb_QXW5InNpr-wGrNYQTFSlnkHBPYQBVWmkG3jCc/s1600/PicsArt_10-20-07.02.23.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj54Gqw73FPxDoB7OmFfhMue22vxDW1wzxdtWdhTfvqRtPQubVMlYKGguOSnHNPifFagtkVAyFblsju_C6ypyAgscImODqfy4d9lBwCb_QXW5InNpr-wGrNYQTFSlnkHBPYQBVWmkG3jCc/s640-rw/PicsArt_10-20-07.02.23.jpg"> </a> </div>

মাযহাব না মানলে কবরে সাজাঃ সহিহ হাদিস থেকে

বুখারী শরীফের১নং খন্ডের ১৭৮ পৃষ্ঠায়, স্কানশট সহ, . লক্ষ করুন স্কানশটের লাল চিহেৃ বলা হয়েছে- . ﻳﻀﺮﺏ ﺑﻤﻄﺮﻗﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﺤﺪﻳﺪ ﻭ ﻳﻘﺎﻝ ﻻ ﺩﺭﻳﺖ ﻭﻻ ﺗ...

Read more »

ইয়াজিদকে লানত দেয়া যাবে কি?

<p dir="ltr">ইয়াজিদকে লানত দেয়া প্রসঙ্গেঃ</p> <p dir="ltr">বিখ্যাত হাম্বলী আলেম ও ইতিহাসবিদ আল্লামা আবদুর রহমান ইবনুল জওযী (৫১০-৫৯৭) এর লেখা তাঁর ঐতিহাসিক <br> الرد على المتعصب العنيد المانع من ذم يزيد নামের কিতাবে তিনি বর্ণনা করেছেনঃ</p> <p dir="rtl">إن الإمام أحمد لما سأله ولده عبد الله عن لعن يزيد قال: كيف لا يلعن من لعنه الله تعالى في كتابه؟ فقال عبد الله قد قرأت كتاب الله عز وجل فلم أجد فيه لعن يزيد؟ فقال الإمام: أن الله تعالى يقول : فهم عسيتم إن توليتم أن تفسدوا في الأرض وتقطعوا أرحامكم . أولئك الذين لعنهم الله [سورة محمد ، الآية رقم 23] وأي فساد وقطيعة أشد مما فعله يزيد. [روح المعاني - سورة محمد - تفسير الآية رقم ( 23 ) - الجزء : ( 17)]. </p> <p dir="rtl">অর্থঃ ইমাম আহমদকে তাঁর ছেলে আবদুল্লাহ যখন এজিদকে লানত করার কারণ জিজ্ঞেস করলো, তখন তিনি বললেন, ‘যাকে আল্লাহ তাঁর কিতাবে লানত করেছেন, তাকে কেন লানত করা হবে না?’ তখন আবদুল্লাহ বললো, আমিতো আল্লাহর কিতাব পড়েছি। তবে তাতে এজিদকে লানতের কথা পাইনি। তখন ইমাম আহমদ বললেন, ‘আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা কি এটার নিকটবর্তী হয়েছো যে, ক্ষমতাসীন হলে জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করবে এবং রক্তের সম্পর্ক ছিন্ন করবে? বস্তুত ওরা সেসব লোক, যাদেরকে আল্লাহ লানত করেছেন।” তো এজিদ যা করেছে, তার চেয়ে বড় ফাসাদ ও রক্তের সম্পর্ক ছিন্নকরণ আর কি হতে পারে?</p> <p dir="ltr">প্রসঙ্গত,<br> ★ আল্লামা দুমাইরীর হায়াতুল হায়াওয়ান, খন্ড- ২, পৃষ্ঠা- ১৭৫<br> ★ বিখ্যাত হানাফী মুফাসসির আল্লামা আলুসী বাগদাদী (রহঃ) তাঁর রচিত তাফসীর ‘রুহুল মাআনী’তে সূরা মুহাম্মদের ২৩ নম্বরে আয়াতের তাফসীরেও ইমাম আহমদের উপরোক্ত বক্তব্যটি এনেছেন।</p> <p dir="ltr">-<br> এবার আসুন এজিদকে লানত দেওয়া জায়েয ও উচিত বলেছেন এমন সালাফ ও খলফদের নাম শুনিঃ</p> <p dir="ltr">১. ইমাম আবু হানীফা (দ্রষ্টব্যঃ আল্লামা দুমাইরীর হায়াতুল হায়াওয়ান, খন্ড- ২, পৃষ্ঠা- ১৭৫)<br> ২. ইমাম মালেক বিন আনাস (দ্রষ্টব্যঃ ঐ) <br> ৩. ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (দ্রষ্টব্যঃ ঐ এবং ইবনে কাছীরের আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়া, খন্ড- ৮, পৃষ্ঠা- ২২৩) <br> ৪. কাজী আবু ইয়ালা হাম্বলী (দ্রষ্টব্যঃ ঐ) <br> ৫. কাজী আবুল হুসাইন হাম্বলী (দ্রষ্টব্যঃ ঐ)<br> ৬. আবুল ফরজ ইবনুল জওযী (দ্রষ্টব্যঃ তাঁর লিখিত ‘আর-রদ্দু আলাল মুতআচ্ছিবিল আনীদ আল-মানে মিন যম্মি ইয়াযীদ)<br> ৭. ইবনে আকীল হাম্বলী (দ্রষ্টব্যঃ সিবত ইবনুল জওযীর তাযকিরাতুল খওয়াছ, পৃষ্টা- ২৬১) <br> ৮. আল্লাম সাদুদ্দীন তাফতাজানী (দ্র্ষ্টব্যঃ শরহুল আকায়িদিন নাসাফিয়া, পৃষ্ঠা- ১৮১)<br> ৯. হাফিজুদ্দীন আল-কুরদী আল-হানাফী (দ্রষ্টব্যঃ মানাভীর ফয়যুল কদীর, খন্ড- , পৃষ্ঠা- ২৬৫)<br> ১০. কিওয়ামুদ্দীন আছ-ছফারী (দ্রষ্টব্যঃ ঐ)<br> ১১. আল-মাওলা ইবনুল কামাল (দ্রষ্টব্যঃ ঐ)<br> ১২. আল্লামা শাওকানী (দ্রষ্টব্যঃ তাঁর স্বরচিত নাইলুল আউতার, খন্ড- ৭, পৃষ্ঠা- ৩৬২)<br> ১৩. আল্লামা আলুসী হানাফী (দ্রষ্টব্যঃ তাঁর স্বরচিত রূহুল মাআনী, খন্ড-২৬, পৃষ্ঠা- ৭৩)<br> ১৪. আল্লামা আহমদ ছিদ্দীক আল-গুমারী (দ্রষ্টব্যঃ তাঁর স্বরচিত জুনাতুল আত্তার. খন্ড- ২, পৃষ্ঠা- ১৫৪)।</p> <p dir="ltr">-<br> এজিদের রাজাগারির শুরু-শেষঃ<br> -</p> <p dir="ltr">এ ব্যাপারে আল্লামা যাহাবী বলেছেনঃ<br> افتتح دولته بمقتل الشهيد الحسين ، واختتمها بواقعة الحرة ، فمقته الناس، ولم يبارك في عمره . وخرج عليه غير واحد بعدالحسين . كأهل المدينة قاموا لله ... وابن الزبير بمكة.<br> অর্থ: ‘এজিদ তার রাজত্ব শুরু করেছিল শহীদ হুসাইনকে হত্যা করার মাধ্যমে, আর তার রাজত্বের সমাপ্তি হারার ঘটনার (মদীনায় গণহত্যা) মাধ্যমে। সুতরাং লোকজন তাকে অপছন্দ করে। তার হায়াতে বরকত হয়নি (৪০ বছরের আগেই ধ্বংস হয়েছে)। হুসাইনের পর তার বিরুদ্ধে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে লড়তে অনেকেই বের হয়েছেন, যেমন মদিনাবাসী (মদীনাতে), আবদুল্লাহ বিন যুবাইর মক্কাতে।’ [যাহাবী রচিত সিয়ারু আলামিন নুবালা, খ- ৪, পৃ- ৩৮]</p> <p dir="ltr">-<br> এজিদকে আমীর বলার শাস্তিঃ<br> -</p> <p dir="ltr">যাহাবী আরো লিখেছনঃ<br> عن نوفل بن أبي الفرات ، قال : كنت عند عمر بن عبد العزيز فقال رجل : قال أمير المؤمنين يزيد ، فأمر به فضرب عشرين سوطا.<br> অর্থ: ‘নওফাল বিন ফুরাত বলেন, আমি উমর ইবন আবদুল আযিযের সাথে ছিলাম । তখন এক ব্যক্তি এজিদের ব্যাপারে বললো, ‘আমিরুল মুমিনিন ইয়াযিদ।’ এটি শুনে উমর ইবন আবদুল আযিয সে লোককে বিশটি চাবুক মারতে আদেশ দিলেন।’ <br> [যাহাবী রচিত সিয়ারু আলামিন নুবালা, খ- ৪, পৃ- ৩৯]</p> <p dir="ltr">বিস্তারিতঃ <b>Related topics About Yazid bin Muwabiya (LA) :-</b></p> <p dir="ltr">★★★ ইয়াজিদকে লানত দেয়া প্রসঙ্গেঃ<br> <a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/11/blog-post.html?m=1">http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/11/blog-post.html?m=1</a><br> <b>★★★ ইয়াজিদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী (রহ) এর নামে মিথ্যাচারকারী ড জাকির নায়েকের জবাবঃ</b><br> <b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/07/blog-post_30.html?m=1">http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/07/blog-post_30.html?m=1</a></b><br> <b>★★★ কারবালার ক্রিমিনাল কুখ্যাত ইয়াজিদ ড. জাকির নায়েকের চোখে হিরো !!!</b><br> <b><a href="http://goo.gl/2aqwdm">http://goo.gl/2aqwdm</a></b><br> <b>★★★ ইয়াজিদ সম্পর্কে আহলুস- সুন্নাহ এর ফতোওয়া (পর্ব ১-২) : -</b><br> <b>১) </b><b><a href="http://goo.gl/uuBGv8">http://goo.gl/uuBGv8</a></b><br> <b>২) </b><b><a href="http://goo.gl/qqBkGy">http://goo.gl/qqBkGy</a></b><br> <b>কাফির ইয়াজিদ কি ন্যায়সঙ্গত উত্তরাধিকারী?</b><br> <b><a href="http://goo.gl/hyGvBy">http://goo.gl/hyGvBy</a></b><br> <b>শানে হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু:-</b><br> <b><a href="http://goo.gl/Zo74vZ">http://goo.gl/Zo74vZ</a></b><br> <b>ইমামে আকবর ইমাম হোসাইন (রা) এর স্মরনে :-</b><br> <b><a href="http://goo.gl/XuVa4j">http://goo.gl/XuVa4j</a></b><br> <b>ইসলামের পবিত্র স্থান, জান্নাতুল বাকি ও অন্যান্য মাযারগুলো কারা ধ্বংশ করল?</b><br> <b><a href="http://goo.gl/LaI2jI">http://goo.gl/LaI2jI</a></b><br> <b>ইয়াজিদ, যিয়াদ ও কারবালা যুদ্ধের হিংস্র নরপশুদের করুন পরিনতি :-</b><br> <b><a href="http://goo.gl/7xlvEa">http://goo.gl/7xlvEa</a></b></p>

ইয়াজিদকে লানত দেয়া যাবে কি?

ইয়াজিদকে লানত দেয়া প্রসঙ্গেঃ বিখ্যাত হাম্বলী আলেম ও ইতিহাসবিদ আল্লামা আবদুর রহমান ইবনুল জওযী (৫১০-৫৯৭) এর লেখা তাঁর ঐতিহাসিক الرد على المت...

Read more »