রসুলাল্লাহ ও অন্যান্যদের পার্থক্য

<p dir="ltr">সপ্তদশ  অধ্যায়ঃ  রাসূল  ও  অন্যান্যদের  মধ্যে  পার্থক্য  (একনজরে) <br>==============<br>০১। রাসূল হলেন আল্লাহ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি- ফিরিস্তা বা অন্যান্য মানুষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি নয়। <br>০২।  রাসূল   হলেন    সংবাদদাতা  ও  প্রশাসনিক   কর্তা- ফিরিস্তা  জিবরাইল    হচ্ছে   শুধু  সংবাদবাহক-   প্রশাসক  নয়। <br>০৩। রাসূল হলেন  মাখদুম- জিবরাইল ফেরেস্তা হচ্ছেন তাঁর খাদেম। <br>০৪।   রাসূল হলেন  আল্লাহর  আইনের   হাকিম- অন্যরা হলো সেই আইনের অধীন। <br>০৫।    মানুষ     রাসূলের     উন্মত    আছে-    কিন্তু     ফিরিস্তা  রাসূলের উম্মত নেই। <br>০৬।   রাসূলের বাণী আইন  হয়-   ফিরিস্তার বাণী আইন  হয় না। <br>০৭। রাসূল হলেন বা-ইখতিয়ার বা ক্ষমতাবান- ফিরিস্তা হচ্ছে বে-ইখতিয়ার বা ক্ষমতাহীন। <br>০৮। রাসূল হলেন পবিত্রতা দানকারী -অন্যরা পবিত্রতা গ্রহণকারী। <br>০৯।   রাসূল   যত   ইচ্ছে   বিবাহ  করতে  পারেন-  উম্মত চারের অধিক পারেনা। <br>১০।  রাসূল   হলেন    ক্বলব  বা   হৃৎপিন্ড  স্বরূপ-   উম্মত হচ্ছে দেহ স্বরূপ। <br>১১।  রাসূল হলেন     ফয়েয  দাতা - উম্মত হচ্ছে  ফয়েয  গ্রহীতা। <br>১২। রাসূল হলেন সব কিছুর মাধ্যম - বান্দারা তা নয়। <br>১৩।   রাসূল হলেন   আল্লাহর রশি-  বান্দারা হচ্ছে   সেই রশি ধারক। <br>১৪। রাসূল হলেন ঈমান- আমরা হলোম মো’মেন।<br>১৫।   রাসূল   হলেন   আল্লাহ  হতে  গ্রহণকারী  -   আমরা  হচ্ছি রাসূল হতে গ্রহণকারী। <br>১৬।  রাসূল   হলেন  জাহানের কান্ডারী- আমরা  হলোম আরোহী।<br>১৭।   রাসূল   হলেন   হাদী    -   আমরা    হলাম    হেদায়াত গ্রহণকারী। <br>১৮। রাসূল জন্মসূত্রে আরিফ বিল্লাহ - আমরা তা নাই। <br>১৯।  রাসূল   আল্লাহ  কর্তৃক  শিক্ষাপ্রাপ্ত  -  আমরা   মানুষ কর্তৃক শিক্ষাপ্রাপ্ত। <br>২০। রাসূল জন্মসূত্রে  নিষ্পাপ বা মাসুম - আমরা  কেউ মাসুম নই। অলীগণ হলেন মাহফুয। <br>২১।    রাসূল  সাল্লাল্লাহু  আলাইহি    ওয়া  সাল্লাম  স্বচক্ষে   আল্লাহর দীদার লাভকারী -  অন্য  কেউ   সাক্ষাৎ দীদার লাভকারী নয়। <br>২২।  রাসূলের  উপাধী   হাযির   ও  নাযির  -  অন্য   কেউ  হাযির-নাযির উপাধী প্ৰাপ্ত নয়। <br>২৩।   রাসূলের  সত্ত্বা   প্রত্যেক  কবরে    উপস্থিত  -  অন্য  কারো সত্ত্বা নয়। <br>২৪।  রাসূল  জান্নাত   ও    হাউযে   কাউছারের   মালিক  - আমরা জান্নাতের বাসিন্দা ও কাউছার পানকারী। <br>২৫।    রাসূলের  নাম  আল্লাহর   নামের   সাথে   অঙ্কিত  -  অন্য কারো নাম অঙ্কিত নয়। <br>২৬।    রাসূলের   নামের   সাইনবোর্ড   জান্নাতের  সর্বত্র  - অন্য কারো নামের সাইনবোর্ড সেখানে নেই। <br>২৭।  রাসূল  মু’মিনের  প্রাণের   চেয়েও  বেশী   নিকটে  - অন্য কেউ এরূপ নয়। <br>২৮।     রাসূল    সমগ্র     সৃষ্টির     জন্য    রহমত     -    অন্যরা রহমতপ্রাপ্ত। <br>২৯।    রাসূল    শরিয়ত    প্রনেতা    -      অন্যরা    শরিয়তের অনুসারী। <br>৩০। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরিয়তের আইনে  ব্যতিক্রম করতে  পারেন- অন্যরা পরিবর্তন  বা ব্যতিক্রম করতে পারে না। <br>৩১। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুপারিশের মাধ্যমে বিনা হিসাবে জান্নাত দিতে পারেন- অন্য কেউ পারে না।<br>৩২। সৈয়দ জামাআত আলী শাহ  মোহাদেস আলীপুরী (রহঃ)  এবং  মুফতী   আহমদ     ইয়ার   খান   নঈমী  (রঃ) উল্লেখ করেছেন-</p><p dir="ltr">নবী  করিম   সাল্লাল্লাহু  আলাইহি   ওয়া  সাল্লাম  সাধারণ  মানুষের  চেয়ে  ২৭গুন  ঊর্ধ্ব  মর্যাদায়  উন্নীত!  যেমনঃ-  (১) মানুষ (২) মু’মিন (৩) অলী (৪) শহীদ (৫) মুত্তাকী (৬)     মুজতাহিদ    (৭)    আবরার     (৮)     আওতাদ      (৯) আবদাল   (১০)  কুতুব  (১১)   কুতুবুল    আকতাব   (১২)  গাউস (১৩) গাউসুল আযম (১৪) তাবে তাবেয়ী (১৫)  তাবেয়ী   (১৬)  সাহাবী  (১৭)  আনসার  (১৮)    মুহাজির (১৯)   সিন্দীক   (২০)   নবী   (২১)   রাসূল   (২২)   উলুল  আযম   (২৩)  খলিলুল্লাহ  (২৪)  খাতামুন্নাবিয়্যীন   (২৫) রাহমাতুল্লিল          আলামীন       (২৬)       হাবিবুল্লাহ       (২৭)  মোহাম্মদ   মোস্তাফা   সাল্লাল্লাহু   আলাইহি   ওয়াসাল্লাম।  এরপর শুধু উলুহিয়াতের স্থান। </p><p dir="ltr">এগুলো  সাধারণ  মানুষ  এবং  রাসূলের  মধ্যে    মৌলিক পার্থক্য।  এছাড়াও  হাজার  রকম  পার্থক্য   আছে।   এক কথায়-   তিনি   বে-নাজীর   ও   বে-মিছাল।   তিনি   কোন  ক্ষেত্রেই      আমাদের     মত     নন    এবং    আমরাও    কোন ক্ষেত্রেই  তার   মতো   নই।  এটাই  চূড়ান্ত  কথা।  আমরা  তাঁর   মুখাপেক্ষী-   সমগ্র  সৃষ্টিও  তাঁর  মুখাপেক্ষী।   যারা  বলবে-     তিনি   আমাদের    মত   মানুষ-   তাদের   অন্তরে  বেদ্বীনি       রোগ      আছে।      (ছালাতান       ওয়া      সালামান আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ)। <br><br><br></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-_MyXuavmEWM/Wa_lu1RMdUI/AAAAAAAAA7o/r4l3KW41grcFSPYBQxh6uipD6riIBkCbgCHMYCw/s1600/images-11.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-_MyXuavmEWM/Wa_lu1RMdUI/AAAAAAAAA7o/r4l3KW41grcFSPYBQxh6uipD6riIBkCbgCHMYCw/s640-rw/images-11.jpg"> </a> </div>

রসুলাল্লাহ ও অন্যান্যদের পার্থক্য

সপ্তদশ  অধ্যায়ঃ  রাসূল  ও  অন্যান্যদের  মধ্যে  পার্থক্য  (একনজরে) ============== ০১। রাসূল হলেন আল্লাহ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি- ফিরি...

Read more »

ঈমান ও তার সংজ্ঞা

<p dir="ltr">ঈমান  না হলে মু’মিন  হয় না।   মু’মিন  না হলে  জান্নাত  লাভ হয়  না। শুধু তৌহিদ জান্নাত   লাভের  জন্য  যথেষ্ট নয়।  কোরআনের ঘোষণা   হলো- ”যারা ঈমান এনেছে  এবং সৎকাজ করেছে তাদের জন্য জান্নাতুল ফিরদাউস রয়েছে”। সুতরাং জান্নাত লাভের জন্য শুধু তৌহিদ নয় -বরং  ঈমান   শর্ত।    ঈমানের   দু'টি  অংশ-   তৌহিদ   ও  রিসালাত।  এখন  জানতে হবে ঈমানের  অর্থ   কী  এবং সংজ্ঞা কী? <br> <br>ঈমানের অর্থঃ <br>ঈমান (إِيمَان‏) শব্দটি আমনুন (آمَنَ‏) ধাতু হতে নিৰ্গত  যার অর্থ নিষ্কৃতি দেওয়া  ও  নিষ্কৃতি   পাওয়া।  আল্লাহর এক সিফাতী   নাম (مُؤْمِن)  মু’মিন, অর্থাৎ-  শাস্তি  হতে নিষ্কৃতিদাতা। বান্দার গুণবাচক নামও মু’মিন- (مُؤْمِن) অর্থাৎ- নিষ্কৃতি লাভকারী। বান্দা মু’মিন হলে আল্লাহও তার জন্য মু’মিন   হয়ে যান- অর্থাৎ তাকে  আযাব হতে  নিষ্কৃতি দেন। <br> <br>ঈমানের সংজ্ঞাঃ <br>”শরহে   আকায়েদে      নসফী”তে   এভাবে   সংজ্ঞা   দেয়া  হয়েছে- <br>الإيمان هو تضييق النبي صلّى اللّة عليه وسلم بما جاء به من عند الله - <br>অর্থাৎ, ”নবী  করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  ও  তাঁর কর্তৃক আনীত যাবতীয় বিষয়কে  সত্য  বলে মেনে নেয়ার নাম ঈমান”। <br> <br>এখানে  নবী   করিম   সাল্লাল্লাহু    আলাইহি   ওয়া  সাল্লাম  হচ্ছেন  মূখ্য বিষয়  এবং   তিনি  কর্তৃক আনীত  যাবতীয় বিষয়  তাঁর  সত্যতার  উপর   নির্ভরশীল।  এজন্যই  নবী  করিম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া  সাল্লাম প্রথম  দাওয়াত দিয়েছিলেন-  ”আমাকে   সত্যবাদী   মনে   করো    কিনা? আমি  হচ্ছি- প্রকাশ্য সতর্ককারী”। আল্লাহর    পরিচয়ের  জন্য নবীর ওপর ঈমান আনা পূর্বশর্ত। <br> <br>ঈমানের প্রাণঃ <br>প্রত্যেক  বস্তুরই দেহ  ও প্রাণ থাকে। তদ্রূপ   ঈমানেরও দেহ এবং প্রাণ আছে। সপ্ত  ঈমান হচ্ছে দেহ এবং তার প্রাণ হচ্ছে নবীজির   মহব্বত। শেফা শরীফ   ও অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে উল্লেখ আছে- <br>ختب التبى هو روخ الإيمان <br>অর্থাৎ-    ”নবীজির    মহব্বতই    হচ্ছে    ঈমানের    প্রাণ”।  প্রাণহীন দেহ যেমন মৃত, মহব্বতবিহীন ঈমানও তদ্রূপ মৃত।   এজন্যই   নবী   করিম   সাল্লাল্লাহু   আলাইহি   ওয়া  সাল্লাম      মহব্বতের       উপর      বেশী      জোর      দিয়েছেন  এভাবে- <br> <br>لا يؤ من أحَدُكُمْ حَتّى أكون أحب إليه من والده وولده وَالنّاس أجمعين و فى رواية من نفيسة – <br>অর্থাৎ-     ”তোমাদের     পিতা-মাতা,      সন্তানাদি,     সমস্ত   লোক- এমনকি তোমাদের নিজেদের চেয়েও   আমাকে  বেশি   মহব্বত   না  করা   পর্যন্ত    তোমরা  কেউ  মো’মেন হতে পারবেনা।” (বুখারী)। <br> <br>তাই, আল্লামা ইকবাল বলেছেন- <br>مغز قرآن روح ایمان جان دین <br>هست حلب رحمة للعالميس - <br> <br>অর্থাৎ-    “কোরআনের    সারবস্তু,     ঈমানের    রূহ     এবং  দ্বীনের  প্রাণ     হচ্ছে   হোব্বে   রাসূল  সাল্লাল্লাহু   আলাইহি ওয়া সাল্লাম”। <br> <br>আল্লাহ      আমাদেরকে      কালেমার       সঠিক       তাৎপৰ্য্য উপলদ্ধি করার তৌফিক দিন। আমীন। </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-kijVhXBqlLc/Wa_lc00PkNI/AAAAAAAAA7k/VAJydTM7o50l-b3jWkFwsd2UpXrjHqUVACHMYCw/s1600/download-8.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-kijVhXBqlLc/Wa_lc00PkNI/AAAAAAAAA7k/VAJydTM7o50l-b3jWkFwsd2UpXrjHqUVACHMYCw/s640-rw/download-8.jpg"> </a> </div>

ঈমান ও তার সংজ্ঞা

ঈমান  না হলে মু’মিন  হয় না।   মু’মিন  না হলে  জান্নাত  লাভ হয়  না। শুধু তৌহিদ জান্নাত   লাভের  জন্য  যথেষ্ট নয়।  কোরআনের ঘোষণা   হলো- ”য...

Read more »

শাফায়ত বিষয়ক কতিপয় জ্ঞাতব্য

<p dir="ltr">(১)    “কালেমা    তৈয়্যোবার”   লেখক    মাওলানা   আব্দুর রহীম  বলেছেন, “শাফাআত অর্থ সাধারণ সুপারিশ- যা কবুল হতেও পারে- আবার নাও হতে পারে”। <br> <br>এই  তথ্য  সম্পূর্ণ  ভুল।  বুখারী  শরীফের  হাদীসে  স্পষ্ট  ভাষায়    বলা    হয়েছে    আল্লাহ    তায়ালা    রোয      হাশরে  নবীজীর সিজদায় সন্তুষ্ট হয়ে বলবেন, <br>فَيَقُولُ يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ وَقُلْ يُسْمَعْ  لَكَ وَسَلْ تُعْطَ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ - অর্থাৎ- “হে প্রিয় হাবীব! আপনি সিজদা হতে মাথা তুলুন এবং যা বলার বলুন- তা   গৃহীত হবে, যা চাওয়ার চান-  তা   দেয়া হবে, যা  সুপারিশ করবেন- তা কবুল করা হবে”। (বুখারী পর্ব ৯৭ /৩৬ হাঃ ৭৫১০, মুসলিম হাঃ ) <br> <br>এখানে শাফাআত   কবুল  হওয়ার নিশ্চয়তা  দুনিয়াতেই দেয়া হয়ে গেছে। <br> <br>“কবুল        হতে       পারে-       নাও      হতে      পারে”       -এমন দোদোল্যমান কথা হাদীসে নেই। <br> <br>(২) ”ইংল্যান্ডে  ভাষণে”   মিঃ  মঊদূদী   বলেছেন- ”নবী করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া   সাল্লাম পরের  কল্যাণ  তো     দূরের  কথা-   নিজের   কল্যাণ-অকল্যাণ  করতেও অক্ষম”। (লন্ডনের ভাষণ)। <br> <br>তার    এই    কথা    শানে    রিসালাতের    ওপর    মারাত্মক  আঘাত      স্বরূপ।     হাশরের       ময়দানের     বিপদ      হলো সবচেয়ে বড় বিপদ। ঐ বিপদের বন্ধু ও কান্ডারী হবেন প্রিয়নবী   মোহাম্মদ  মোস্তফা  সাল্লাল্লাহু    আলাইহি   ওয়া সাল্লাম।      সমস্ত     হাশরবাসীই      ঐ      মহাবিপদ      থেকে উদ্ধারের জন্য তার দ্বারস্থ  হবে। তিনিই তখন  সুপারিশ করে    বিচার    অনুষ্ঠান     শুরু    করবেন।     সুতরাং    তিনি কল্যাণকারী। <br> <br>(৩) যারা  বলে-  রাসূলের নিকট সাহায্য চাওয়া শিরক- তারাই হাশরের দিনে সাহায্যের জন্য বেশী   পেরেশান  হয়ে  দৌড়াদৌড়ি   করবে  এবং  নবীগণের   দ্বারস্থ  হবে। অবশেষে সব জায়গা থেকে নিরাশ হয়ে নবীজির কাছে যাবে।    তখন    নবী    করিম    সাল্লাল্লাহু    আলাইহি    ওয়া  সাল্লাম  বলবেন  না যে,  তোমরা তো   দুনিয়াতে  আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করাকে শিরক বলেছিলে- কাজেই তামাদের      জন্য       সুপারিশ      করবোনা।       বরং      তিনি দাস্ত-দুষমন      নির্বিশেষে      সকলের      জন্যই      সুপারিশ  করবেন। <br> <br>(৪) দুনিয়াতে যারা সুপারিশকে শিরক বলতো- তাদের ভাষ্যমতে  সেই  কথিত  শিরক  দিয়েই  আল্লাহ  তায়ালা  বিচার  শুরু   করবেন।  আমাদের  মতে  তা  শিরক  নয়।  দুনিয়াতে  নবীজির  সাহায্য   প্রার্থনা  করা  সাহাবীগণের  সুন্নাত।  তারা  যেকোন  বিপদে   নবীজির     দ্বারস্থ  হতেন এবং    হুযুরের    কাছে     প্রার্থনা    করতেন।    নবী     করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে নিয়ম কানুন বাতলে দিতেন। <br> <br>(৫)  আল্লাহ পাক  নবীজিকে  উছিলা  বা মাধ্যম  বানিয়ে গুনাহ   ক্ষমার  প্রার্থনা   করার     জন্য   আমাদেরকে  পাক কালামে শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহ পাক বলেন, <br>وَلَوْ   أَنَّهُمْ     إِذ   ظَّلَمُواْ   أَنفُسَهُمْ   جَآؤُوكَ   فَاسْتَغْفَرُواْ   اللّهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُواْ اللّهَ تَوَّابًا رَّحِيمًا <br>অর্থ- “তারা যদি গুনাহ করে  ক্ষমার  উদ্দেশ্যে আপনার  দরবারে এসে   আল্লাহর কাছে  ক্ষমা প্রার্থনা   করে  এবং আপনিও      তাদের      জন্য     সুপারিশ      করেন-     তাহলে অবশ্যই তারা  আল্লাহকে   তাওবা কবুলকারী   ও দয়ালু  হিসাবে পাবে”। (সূরা নিসা, ৬৪ আয়াত)। <br> <br>উক্ত  আলোচনা   দ্বারা বুঝা গেল-  নবী করিম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু সংবাদদাতা নন - বরং তিনি সাহায্যকারীও          বটে।          বিপদে          আপদে             তিনি সাহায্যকারী। <br> <br>শুধু  মানুষ    নয়-    বনের  হরিণী,  পালের  উট  নিজেদের দুঃখ দুর্দশার কথা নবীজির দরবারে পেশ করতো এবং মুক্তি       পেতো।        প্রমাণিত       হলো        আমাদের        নবী  সাহায্যকারী    নবী,  ফরিয়াদ   কবুলকারী   নবী-  সাহায্য  প্রার্থনা      তাঁর    কাছেই    করা   যেতে   পারে-   যিনি   দুঃখ বেদনা      ও    প্রয়োজনের     সব      কিছু    জানেন।    এটাই  কালেমার দ্বিতীয়াংশের সারমর্ম। <br> <br>সংক্ষেপে     বুঝে     নিন-     কালেমার       প্রথমাংশ      হলো-  পাসপোর্ট  স্বরূপ  এবং   দ্বিতীয়াংশ   হলো   ভিসা  স্বরূপ। ভ্রমণের     জন্য     যেমন      পাসপোর্টের      প্রয়োজন      হয়- তেমনিভাবে  ভিসারও  প্রয়োজন  হয়।  ভিসা  ছাড়া  শুধু   পাসপোর্টে  ভ্রমণ করা  যায়   না।  আল্লাহর কাছে  যেতে  হলে তার হাবীবের ভিসা লাগবে। </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-rzQEbQUCQiQ/Wa_lLSaFNpI/AAAAAAAAA7g/pz1-1C8b_Ukb29Ul06EYaiX-otkpblPAQCHMYCw/s1600/images-11.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-rzQEbQUCQiQ/Wa_lLSaFNpI/AAAAAAAAA7g/pz1-1C8b_Ukb29Ul06EYaiX-otkpblPAQCHMYCw/s640-rw/images-11.jpg"> </a> </div>

শাফায়ত বিষয়ক কতিপয় জ্ঞাতব্য

(১)    “কালেমা    তৈয়্যোবার”   লেখক    মাওলানা   আব্দুর রহীম  বলেছেন, “শাফাআত অর্থ সাধারণ সুপারিশ- যা কবুল হতেও পারে- আবার নাও হতে পারে”। ...

Read more »

নবীজীর ইলমে গায়েব

<p dir="ltr">(১) মিশকাত শরীফে ”ফাযায়েলে ওমর (রাঃ)” অধ্যায়ে বর্ণিত   আছে,  একদা   নবী  করিম   সাল্লাল্লাহু    আলাইহি ওয়া      সাল্লাম     হযরত     আয়েশা    সিদ্দীকা    রাদিয়াল্লাহু আনহার   কামরায়  প্রবেশ   করলেন।  তখন   ছিল   রাত্রি   এবং  আকাশ   ছিল তারকারাজীতে  সুশোভিত।  হযরত আয়েশা   (রাঃ)  আর্য  করলেন-  ইয়া  রাসুলাল্লাহ!   এমন কোন      ব্যক্তি      আছে     কি-       যার     ইবাদত     ও     নেকী তারকারাজীর   সমসংখ্যক?   হযুর   সাল্লাল্লাহু   আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- হ্যাঁ, ওমরের। <br> <br>হযরত   আয়েশা   (রাঃ)   এতে   একটু   মনঃক্ষুন্ন   হলেন-  কেননা,    হুযুর    সাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়া  সাল্লাম   তাঁর  পিতা    হযরত   আবু   বকর    (রাঃ)    -এর   নেকীর   কোন উল্লেখ করেন নি। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর  মনোভাব  টের  পেয়ে   বললেন-  “তোমার  পিতার  একরাত্রের নেকী হযরত ওমরের সারা জীবনের নেকীর চেয়েও বেশি”। <br> <br>উল্লেখ্য-    ঐ   একটি   রাত্রি   ছিল   গারে    ছাওরের   প্রথম রাত্রি-   যে   রাত্রিতে   হযরত   আবু   বকর   (রাঃ)   সাপের  দংশন হজম করে নবীজিকে আরাম দিয়েছিলেন। <br> <br>এখানে  বুঝার  বিষয়    হলো-   আকাশের  তারকারাজীর  সংখ্যা  সম্পর্কে  হুযুরের     জ্ঞান   বা   ইলেমের  পরিমাণ। তারকারাজী  বিভিন্ন  আসমানে  রয়েছে।  এমনসব  ক্ষুদ্র  ক্ষুদ্র  তারকা   রয়েছে- যার  অস্তিত্ব এখনও  পর্যন্ত   কোন বিজ্ঞানীর    দৃষ্টিতে  ধরা  পড়েনি।  কিন্তু  হুযুরের   দৃষ্টিতে ঐসব তারকাও ছিল।  মা  আয়েশা (রাঃ) -এর  আক্বীদা ছিল-- হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়া সাল্লাম  -এর দৃষ্টি আরশ      ও      ফরশে      বিস্তৃত।      এটাই     ইলমে      গায়েব (আতায়ী)। <br> <br>তাই কোন আশেক কবি গেয়েছেন – <br>سر عرش پر ھے تیری گزر <br>دل فرش پرھے تیری نظر <br>مکلوت و مللٹ میں کؤی شیخ نھیں <br>وہ جو تجاه پر عیان نھیری۔ <br>অর্থ-    ”আরশের   উপর  ভ্রমণ  তোমার-   দিলের  ফরশে নযর তোমার, <br>ঊর্ধ্বজগতে      নেই     কিছু     এমন-     যা      অজানা      বিষয় তোমার।” <br> <br>উক্ত ঘটনায় কয়েকটি শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে- <br>ক) হযরত আয়েশা (রাঃ) -এর তারকা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে  হুযুর  সাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়া   সাল্লাম   একথা বলেন  নি যে, অপেক্ষা  করো   জিব্রাঈল   আসুক- তাকে জিজ্ঞেস   করে   তারকার   সংখ্যা   বলবো।   অপেক্ষা   না  করেই বলে দিলেন। <br> <br>খ)    একথাও   তিনি   বলেন    নি   যে,   একটু   চিন্তা   করে হিসাব করে তারকার সংখ্যা তোমাকে বলে দিব - বরং সাথে সাথেই বলে দিলেন- ”আকাশের তারকার সংখ্যা যত,       ওমরের       নেকীর      সংখ্যাও      তত”।       নবীজির মহাশুন্যের   জ্ঞান    হলো  আল্লাহ  প্রদত্ত   ইলমে   গায়েব, ইলমে লাদুমী বা ইলমে হুযুৱী। <br> <br>গ) হযরত   ওমর  (রাঃ) এবং  হযরত   আবু  বকর (রাঃ) -এর নেকীর পরিমাণ  যে  নবী জানেন-  সেই নবী সমস্ত উম্মতের   নেক    আমল   সম্পর্কেও     অবহিত   রয়েছেন। তিনি    হলেন  উম্মতের  সর্ব  বিষয়ে  জ্ঞাত   নবী।  হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে- <br> <br>انما   اعمالكم    تعرضون    على    فان    رأيت    فيها    خيرا  خمذاث الله ٔ وان رایت شرا اشتغفاز لگام – <br>অর্থ-    “তোমাদের    যাবতীয়     আমল    (মন্দ    বা     ভাল) আমার  দৃষ্টিতে   আনা   হয়।    যদি  ভাল    দেখি-  তাহলে  আল্লাহর  প্রশংসা    করি।   আর  যদি  মন্দ   দেখি  তাহলে তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি”। <br> <br>(২)   মিশকাত    শরীফে   “সদকা”     বিষয়ক     পরিচ্ছেদে উল্লেখ আছে- হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়া সাল্লামের  বিবিগণ জানতে চাইলেন- <br>ايتنا  أوّلُ  لحَوقا  بك  يارسول  اللّه  অর্থ-  ”হে  আল্লাহর  প্রিয় রাসূল! আমাদের   মধ্যে সবার আগে  কে আপনার সাথে   মিলিত   হবে”?   হুযুর   সাল্লাল্লাহু   আলাইহি   ওয়া  সাল্লাম সাথে    সাথে বললেন-  أطولكن يدا  “তোমাদের মধ্যে যার হাত লম্বা- তিনি”। <br> <br>হযরত     আয়েশা    (রাঃ)    বলেন-    আমরা    হাত    মেপে  দেখতে  পেলাম-   হুযুরের  দ্বিতীয়   বিবি  হযরত     সত্তদা (রাঃ) -এর  হাত বেশী    লম্বা। আমাদের  ধারণা   তিনিই আমাদের     মধ্যে     প্রথম     ইনতিকাল     করবেন।     কিন্তু  আমাদের  ভুল   ভাঙলো  তখন-   যখন  দেখলাম  হযরত জয়নব বিনতে  খোযায়মা (রাঃ) আমাদের মধ্যে প্রথমে ইনতিকাল  করলেন। তখন  বুঝতে পারলাম- লম্বা হাত মানে  সদকা  খয়রাত    করা।   কেননা,  আমাদের   মধ্যে হযরত      জয়নবই      বেশী      দান      খয়রাত      করতেন।”  (মিশকাত) <br> <br>উক্ত হাদীসে যে কয়টি বিষয় জানা গেলো- তা হলোঃ <br>ক) হুযুরের বিবিগণের এই আক্বিদা ছিল যে, কে  কখন মারা   যাবে-  তা  নবী   করিম  সাল্লাল্লাহু   আলাইহি   ওয়া সাল্লাম জানেন। তা না হলে উক্ত প্রশ্ন করতেন না। এটি মৃত্যু        সম্পর্কীয়        ইলমে         গায়েব-         যা        আল্লাহর   পঞ্চ-এলেমের একটি। <br> <br>খ)   “আপনার   সাথে   প্রথম   কে   মিলিত   হবেন”   -এই  প্রশ্নের  দ্বারা  বুঝা    গেল    ওনাদের  ইনতিকাল  ঈমানের উপর    হবে-    এই      বিষয়টিও    নবী     করিম     সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  জানতেন।  নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা জানতেন বলেই ঐ রূপ উত্তর দিয়েছিলেন। <br> <br>গ) ”কে কখন মারা যাবে”-  তা আল্লাহর পঞ্চ-এলেমের অন্তর্ভুক্ত-   যাকে    ”মাফাতীহুল    গায়ব”   বলা  হয়।  এক শ্রেণীর   লোক     দাবী   করে-  এই   এলম  আল্লাহর   জন্য খাস- অন্য কেউ মোটেই তা জানে না। তাদের এই বদ ও  বাতিল  আক্বীদা  অত্র  সহীহ হাদীস  দ্বারা  খণ্ডন  হয়ে গেলো। কেননা, উন্মুল মোমেনীন হযরত আয়েশা (রাঃ) সহ   হুযুরের   সমস্ত   বিবিগণের   আক্বীদা   ছিল-   আল্লাহ  তায়ালা   নবীজিকে   পঞ্চ-এলেমের   অন্যতম   এলেমও  দান        করেছেন।       এটাই       আহলে          সুন্নাত        ওয়াল জামাআতের সঠিক আক্বিদা। <br> <br>(৩) বুখারী  শরীফে ”প্রস্রাব  থেকে সতর্ক থাকা”  শীর্ষক অধ্যায়ে    উল্লেখ    আছে-    একদা    নবী   করিম   রাউফুর রাহীম   সাল্লাল্লাহু   আলাইহি   ওয়া   সাল্লাম   একটি   স্থান  অতিক্রম করছিলেন। তিনি পার্শের দুইটি কবরের প্রতি ইঙ্গিত করে এরশাদ করলেন- <br>هُمَا يُعدّ بان وما يُعدّ بان بكبير الخ <br>অর্থ-     “এই    কবরবাসীদ্বয়ের     আযাব     হচ্ছে।    তাদের আযাবের   কারণ   এমন  দুটি  কাজ-    যার   থেকে    বেঁচে থাকা তেমন কঠিন ছিলনা। তাদের একজন চৌগলিখুরী করতো,  আর একজন উটের   প্রস্রাব  থেকে সতর্ক ছিল না”। <br> <br>অতঃপর একটি তাজা খেজুরের ডাল নিয়ে দু'ভাগ করে দু'জনের   কবরে   গেড়ে   বললেন-   ”যতক্ষণ   ডাল   দুটি  তাজা  থাকবে-   তাদের   কবরের  আযাব   হালকা   হবে” (বুখারী)। <br> <br>এ হাদীস থেকে কয়েকটি মাসআলা জানা যায়- <br>ক)      হুযুর      সাল্লাল্লাহু     আলাইহি     ওয়া     সাল্লাম     -এর দৃষ্টিশক্তিকে    মাটি    আড়াল     করতে     পারেনা।    মাটির নীচেও  তিনি  দেখেন।  হাদীস  শরীফে  আছে,  “আল্লাহ  তায়ালা  আকাশ  জমীন  হুযুরের  দৃষ্টির    সামনে   উন্মুক্ত করে  রেখেছেন।   কিয়ামত  অবধি তিনি  সব কিছু এক   নজরে      হাতের       তালুর       ন্যায়       দেখতে        থাকবেন” (তিবরানী)। <br> <br>খ)     হুযুর     সাল্লাল্লাহু     আলাইহি     ওয়া     সাল্লাম     সমস্ত  উম্মতের নেকী, বদী ও তার পরিমাণ সম্পর্কে অবহিত। উক্ত দুই ব্যক্তি  দুনিয়াতে   কি  কাজ  করতো-  তা  হুযুর  সাল্লাল্লাহু   আলাইহি   ওয়া   সাল্লাম   জানতেন।   একজন  করতো চৌগলিখুৱী, দ্বিতীয়জন   ছিল উটের বা নিজের   প্রস্রাবের   ছিটাফোটা  থেকে   অসতর্ক।  তিনি    উম্মতের  যাবতীয় আমলের গায়েবী সংবাদদাতা নবী। <br> <br>গ) কবর আযাব হালকা করার জন্য তাজা ডাল,   তাজা ফুল, তাজা ঘাস ইত্যাদি কবরে স্থাপন করা বা লাগানো অত্র   হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।   কারণ  তাজা  বস্তু আল্লাহর তাসবীহ     পড়ে।    এই     তাসবীহের     গুণে    কবরবাসীর আযাব হালকা হয়। <br> <br>ঘ)    কবরের     পার্শে    কোরআন    তিলাওয়াত     করলেও কবরের আযাব  হালকা হয়  এবং   মাফ হয়। ডাল  আর  ফুলের তাসবীহ যদি আযাব হালকা হওয়ার কারণ হয়- তাহলে  মানুষের  তাসবীহ  যে     আরো   বেশী  উপকারী   হবে- তাতে কোন সন্দেহ নেই (ফতোয়ায়ে শামী)। <br> <br>ঙ)   হুযুর    সাল্লাল্লাহু    আলাইহি   ওয়া   সাল্লাম   দুনিয়ায়, কবরে,  হাশরে, মিজানে, পুলসিরাতে-    সর্বত্র উম্মতের  খবরাখবর  রাখেন ও রাখবেন এবং  সাহায্য  করেন   ও  করবেন। হাশরে সর্বপ্রথম তিনিই গমন করবেন- যাতে তাঁর আগাচরে  কিছু  না ঘটে।  তিনিই বিচার অনুষ্ঠানের প্রথম সুপারিশ করবেন। তারপর অন্যান্য নবীগণ নিজ নিজ উম্মতের জন্য  সুপারিশ   করতে পারবেন এবং তা গৃহীত     হবে।     বিচার     অনুষ্ঠানের     সুপারিশ    একমাত্র  আমাদের  প্রিয়  নবীর  জন্য  খাস।  এটাকে  শাফাআতে  কোবরা বলা হয় (হাদিকাতুন নাদিয়া)। <br> <br>বিঃদ্রঃ-   আমাদের   প্রিয়নবী   সাল্লাল্লাহু   আলাইহি   ওয়া  সাল্লাম  হাশরে  পাঁচ  প্রকারের   সুপারিশ   করবেন-   (১) বিচার অনুষ্ঠানের  জন্য। (২) বিনা হিসাবে ৪৯০ কোটি লোকের    জান্নাতে   প্রবেশের   জন্য।    (৩)   জান্নাতীদের পদমর্যাদা বৃদ্ধির জন্য।  (৪)   জাহান্নামের   তালিকাভূক্ত কিছু  মো’মেনদের  নাম  খারিজ  করার  জন্য  এবং  (৫)  জাহান্নামে       প্রবিষ্টদের       বের       করে       আনার        জন্য   (হাদিকতুন-নাদিয়া, আল্লামা আবদুল গণি নাবুলুসী)। </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-YsFNlX5_N74/Wa_k5NOzQMI/AAAAAAAAA7c/ZtCADeFUFRwF4PUu2Ez_CU4X89DLiRzaACHMYCw/s1600/images-11.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-YsFNlX5_N74/Wa_k5NOzQMI/AAAAAAAAA7c/ZtCADeFUFRwF4PUu2Ez_CU4X89DLiRzaACHMYCw/s640-rw/images-11.jpg"> </a> </div>

নবীজীর ইলমে গায়েব

(১) মিশকাত শরীফে ”ফাযায়েলে ওমর (রাঃ)” অধ্যায়ে বর্ণিত   আছে,  একদা   নবী  করিম   সাল্লাল্লাহু    আলাইহি ওয়া      সাল্লাম     হযরত     আয়...

Read more »