ইসলামী বিশ্বকোষ

৪০ টি হাদিস ২য় অংশ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">দরসে হাদিসঃ ২য় অংশ </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">১নং হাদিসঃপ্রতিটি কাজ তার নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">২ নং হাদিসঃ ইসলামের ভিত্তী পাঁচটি </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">৩ নং হাদিস ঈমানদারের তিনটি বৈশিষ্ট্য</div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><iframe allowfullscreen="allowfullscreen" class="b-hbp-video b-uploaded" frameborder="0" height="266" id="BLOGGER-video-9985800f6242cfac-14575" mozallowfullscreen="mozallowfullscreen" src="https://www.blogger.com/video.g?token=AD6v5dyrHC4Hm2aY4fwZcx7K7jahmcILnj1lpTPzaS7Rv06Tvz-BJ2cTyM0ZpGloi7UlCo1RGPYQv_GCZwYYCXYLEYZAGVM2dAyj81XKVQJd-pac00HVdoEzjnVdH0k2gMIfE6kDrPLB" webkitallowfullscreen="webkitallowfullscreen" width="320"></iframe></div><br /></div>

৪০ টি হাদিস ২য় অংশ

দরসে হাদিসঃ ২য় অংশ ১নং হাদিসঃপ্রতিটি কাজ তার নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল ২ নং হাদিসঃ ইসলামের ভিত্তী পাঁচটি ৩ নং হাদিস ঈমানদারের তিনটি বৈশিষ্ট্...

আগস্ট ২৯, ২০১৭

৪০ টি হাদিস ১ম অংশ

৪০ টি হাদিস ১ম অংশ

দরসে হাদিসঃ ১ম অংশ হাদিস শিক্ষার ফযিলত, হাদিসের মজলিসের আদব, হাদিসের পরিচয়

আগস্ট ২৯, ২০১৭

নবীজীর শত্রুরাই নির্বংশ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div dir="ltr">
</div>
<div style="text-align: justify;">
কুখ্যাত   কাফের   নবীজির   পরম   দুশমন   আস    ইবনে  ওয়াইলসহ অন্যরা যখন নবীজিকে আবতার বা নির্বংশ বলে  উপহাস করল এবং নবীজির পবিত্র হৃদয়ে  ব্যাথা  দিল। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তখন   মাহবুবের     মনের   ব্যাথা  দূর  করার    জন্য  স্বয়ং রাব্বুল  আলামীন উক্ত  সূরাটি অবতীর্ণ করে  এ    শান্ত্বনা প্রদান করলেন-  হে বন্ধু  আপনি কেন    এ   দুষ্ট লোকের কথায়  চিন্তিত    হচ্ছেন।  আমি  তো  আপনাকে  কাউছার দান  করেছি।  যা  হচ্ছে  উভয়জগতের  সমস্ত  কল্যাণের  চাবিকাঠি। আপনি নির্বংশ নন। বরং সেই নির্বংশ, সেই কুখ্যাত, সেই লেজকাটা। যেমন কবি বলেন- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
خالق کل نے آپ کو مالک کل بنادیا </div>
<div style="text-align: justify;">
دونوں جہاں ہیں آپ کے قبضہ واختیار میں- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ:  সমগ্র  সৃষ্টির  স্রষ্টা আপনাকে সমগ্র সৃষ্টির  মালিক বানিয়ে দিয়েছেন। উভয় জাহানই আপনার আয়ত্বাধীন এবং আপনার ইচ্ছাধীন। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
সুতরাং   হে    হাবিব!   আপনার   প্রভূর   উদ্দেশ্যে   নামায  পড়ুন     ও কুরবানি করুন। অতঃপর এ সূরার  সর্বশেষ  আয়াতে    আল্লাহ       তায়ালা    তাদের     কটুক্তির    জবাবে বলেন- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ان شانئك هو الابتر </div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থাৎ  হে হাবিব!  নিশ্চয় আপনার শত্রুই লেজকাটা বা  নির্বংশ। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এ  আয়াতে   কারীমা  দ্বারা  নবীজির  একটি  শান প্রকাশ পেল     যে,    যদি    কেউ    নবীজির     হৃদয়ে    কষ্ট    দেয়ার অপপ্রয়াস  করে   তখন স্বয়ং রাব্বুল আলামীন নবীজির   পে জবাব প্রদান করেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এ  ছাড়া আরো  একটি   বিষয়  পরিস্কার হয়ে  গেল যে, শুধু   আস  ইবনে  ওয়াইল নয় বরং  যে ব্যক্তিই নবীজির শানে কটুক্তি, বেআদবি ও  শত্রুতা পোষণ   করবে সেই হবে      নির্বংশ,   সেই  হবে  লেজকাটা,   সেই  হবে   সমস্ত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে মেয়ে ধন সম্পদ    কোন  কিছুই কাজে  আসবে  না। তার  নাম  স্মরণ   করার   মত   কেউ   থাকবে   না।   তাকে   আল্লাহর  আযাব-গযব থেকে  রা করার  জন্য   কোন  সাহায্যকারী পাবে না। সুতরাং সেই হবে নির্বংশ। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এ প্রসঙ্গে ইমাম তাবারী বলেন- </div>
<div style="text-align: justify;">
واولى  الاقوال فى  ذالك عندى  بالصواب ان يقال-  ان    الله تعالى  ذكره   اخبر     ان  مبغض  رسول  الله  صلى  الله  عليه وسلم  هو  الاقل الاذل المنقطع  عقبه فذلك صفة كل   من ابغضه    من    الناس    وان    كانت    الايه    نزلت    فى    شخص  بعينه- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ:   আমার   নিকট    এ    ব্যাপারে   সবচেয়ে   সঠিক   ও উত্তম    কথা হল-  আল্লাহ  তায়ালা উক্ত  আয়াত দ্বারা  এ সংবাদ     প্রদান     করেছেন     যে,     রাসূলুল্লাহ     সাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়াসাল্লাম  এর   শত্রুগণই    দুর্বল  নির্বংশ   ও সমস্ত     কল্যাণ    থেকে     বঞ্চিত।    অতএব    ইহা     এমন  প্রত্যেক লোকের চরিত্র বলে গণ্য হবে যারা রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু    আলাইহি    ওয়াসাল্লাম     এর    শানে      শত্রুতা পোষণ     করবে।       যদিও      আয়াতটি     নির্দিষ্ট     একজন লোকের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছিল। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আস ইবনে ওয়াইল কিভাবে নির্বংশ </div>
<div style="text-align: justify;">
============ </div>
<div style="text-align: justify;">
আল্লাহ  তায়ালা  বলেছেন   হে  হাবিব!  আপনার  শত্র“ই   আবতার বা নির্বংশ। এখানে একটি প্রশ্ন দেখা দেয়, তা হল   আয়াতটি  নাজিল  হয়েছে    আস  ইবনে  ওয়াইলের  ব্যাপারে।    তার     তো   পুত্র   সন্তান   ছিল।     তাহলে     সে কিভাবে নির্বংশ হল? </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এর জবাব হল, এখানে ‘আবতার’ দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, সে  সকল সৌন্দর্য   থেকে বঞ্চিত। অথবা  অর্থ এই  যে,  তার সন্তানদেরকে ইসলামের হেদায়ত প্রদান করা হবে।  যা  দ্বারা  পিতা  ও  পুত্রের  মাঝে  দ্বীনি  মতানৈক্য  সৃষ্টি হবে। আর দ্বীনি মতানৈক্য মূলত: মৃত্যুরই শামিল। এজন্যই  মুসলমানদের মিরাস, জানাযা,   দাফন-কাপন তার   কাফির   পিতা    অথবা   পুত্র    করতে    পারবে    না। বাস্তবিকই আসের পুত্র হযরত আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু ইসলাম        গ্রহণ       করে       একজন      সম্মানিত      সাহাবি  হয়েছিলেন।   অতএব   আস বিন ওয়াইল প্রকৃত পক্ষেই নির্বংশ। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
শেষ কথা </div>
<div style="text-align: justify;">
===== </div>
<div style="text-align: justify;">
আল্লাহপাকের  দরবারে    লক্ষ    কোটি  শোকরিয়া।   তাঁর অশেষ  মেহেরবাণীতে   ছাক্বিয়ে কাউছার নবী  মোস্তাফা সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে সামান্য কিছু আলোচনা   করেছি।   শুধুমাত্র   আল্লাহ   ও   তাঁর   পিয়ারা  হাবিবের  রেজামন্দী  হাসিলের  জন্য।  হে    আল্লাহ  তুমি আমার     এ     ক্ষুদ্র     প্রয়াসটুকু      কবুল     কর।      বিনিময়ে কিয়ামতের    কঠিন    দিনে    তোমার     হাবিবের     হাউজে কাউছার নসিব কর। আমিন।</div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">
<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-9_Fwu0Ewk-Q/WaTzeqx4ddI/AAAAAAAAAhs/c7SliV5UHAkndSv498blKkq2_ZwFw-KIgCHMYCw/s1600/qs%2Bal-kautsar.gif" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-9_Fwu0Ewk-Q/WaTzeqx4ddI/AAAAAAAAAhs/c7SliV5UHAkndSv498blKkq2_ZwFw-KIgCHMYCw/s640-rw/qs%2Bal-kautsar.gif" /> </a> </div>
</div>

নবীজীর শত্রুরাই নির্বংশ

কুখ্যাত কাফের নবীজির পরম দুশমন আস ইবনে ওয়াইলসহ অন্যরা যখন নবীজিকে আবতার বা নির্বংশ বলে উপহাস করল এবং নবীজির পবিত্র হৃদয়ে...

আগস্ট ২৯, ২০১৭

নবীজীর বংশধারা কেয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবে

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div dir="ltr">
</div>
<div style="text-align: justify;">
নবীজীর বংশধারা কেয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবে<br />
<br />
কাফেররা  যেই   অর্থে   নবীজিকে   নির্বংশ    বলে  কটুক্তি করেছিল, সেই অর্থে   নবীজি কখনই নির্বংশ   নন। বরং সেই অর্থে কাফেররা  নিজেরাই  নির্বংশ। তাদের ধারনা ছিল  নবীজির    যেহেতু  পুত্র-সন্তান  ইন্তেকাল  করেছেন। সুতরাং     তার     শান-মান       বর্ণনা      করার      মত     লোক পরবর্তীতে    কেউ    থাকবে    না।    এর    জবাবে    আল্লাহ  তায়ালা   নবীজিকে     কাউছার   প্রদানের   ঘোষণা    দিয়ে  শান্ত্বনা দান  করলেন- আল্লাহ    তায়ালা এরশাদ করেন- হে     নবী     নিশ্চয়ই     আমি     আপনাকে       কাউছার     দান করেছি। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
কাউছারের  একটি  অর্থ  হলো  অধিক  চর্চা।  তখন  অর্থ  হবে কাফিররা ধারণা করেছিল পরবর্তীতে তাঁর  নামের চর্চা   বন্ধ   হয়ে   যাবে।   তাঁকে   কেউ   চিনবে   না।   কেউ  তাঁকে  স্মরণও  করবে    না।  কিন্তু   আল্লাহ   তায়ালা  তাঁর হাবিবের নামের চর্চা কিয়ামত পর্যন্ত সবার উপরে জারি রেখেছেন। আল্লাহ  তায়ালা বলেন- ورفعنالك ذكرك অর্থ আমি আপনার যিকিরকে বুলন্দ করেছি। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আবার কাউছারের আরেকটি অর্থ হল অধিক সন্তান। এতে দুটি  ব্যাখ্যা  হতে    পারে।     প্রথমটি  হল-   যদিও রাসূলেপাক  সাল্লাল্লাহু    আলাইহি  ওয়াসাল্লাম   এর  পুত্র  সন্তান কেউ জীবিত নেই কিন্তু নবীজির মেয়ে  বেহেস্তের মহিলাদের  সর্দার  মা    ফাতিমা  রাদিয়াল্লাহু   আনহু  এর মাধ্যমে তাঁর বংশ কিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে। </div>
<br />
<div dir="ltr">
</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
দ্বিতীয়টি   হল   নবীগণ   হচ্ছেন   পিতৃতুল্য   আর   তাদের  উম্মতগণ  তাদের   সন্তান  সমতুল্য।  নবীজির   উম্মতগণ তাঁর সন্তান স্বরূপ। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
যেমন     আল্লাহ     তায়ালা      পবিত্র     কোরআন      মাজীদে বলেন- </div>
<div style="text-align: justify;">
النبى اولى بالمؤمنين من انفسهم وازواجه امهاتهم- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ:     নবী     করিম     সাল্লাল্লাহু     আলাইহি       ওয়াসাল্লাম মুমিনদের   প্রাণের   চেয়েও   অধিক   নিকটে   এবং   তাঁর  স্ত্রীগণ মুমিনদের মা।  </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এ  আয়াতের  ব্যাখ্যায়   তাফসিরে  রুহুল    বয়ানে   বর্ণিত হয়েছে- </div>
<div style="text-align: justify;">
وفى  قرأة  ابن  مسعود  النبى  اولى  بالمؤمنين  من  انفسهم  وهو اب لهم- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ:    হযরত   ইবনে   মাসউদ   রাদিয়াল্লাহু    আনহু    এর কেরাতে   রয়েছে   যে,  নবী   করিম  সাল্লাল্লাহু   আলাইহি  ওয়াসাল্লাম  মুমিনদের   প্রাণের   চেয়েও   অধিক   নিকটে এবং তিনি মুমিনগণের পিতা। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এ    প্রসঙ্গে    মিশকাত    শরীফে     হযরত     আবু    হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একখানা হাদিস- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
قال  رسول الله صلى الله عليه  وسلم   انما انا لكم مثل الوالد لولده اعلمكم اذا اتيتم الغائط فلاتستقبلوا القبلة  ولاتستدبروها- الخ (رواه ابن ماجه والدارمى) </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- পুত্রের নিকট পিতা যেমন, তোমাদের নিকট আমিও তেমন।  আমি তোমাদেরকে শিক্ষা দেই। যখন  তোমরা         পেশাব-পায়খানা     (বাথরুমে)     যাবে     তখন কিবলার দিকে মুখ করে অথবা পিছন ফিরে বসবে না। (সংক্ষিপ্ত) ইবনে মাজাহ ও দারেমি।</div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">
<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-BfL6uF4t1xU/WaTzMdf1z2I/AAAAAAAAAho/hFwSRr9Ra5c4-rTQZr7ReIS2z0wcQRAzQCHMYCw/s1600/qs%2Bal-kautsar.gif" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-BfL6uF4t1xU/WaTzMdf1z2I/AAAAAAAAAho/hFwSRr9Ra5c4-rTQZr7ReIS2z0wcQRAzQCHMYCw/s640-rw/qs%2Bal-kautsar.gif" /> </a> </div>
</div>

নবীজীর বংশধারা কেয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবে

নবীজীর বংশধারা কেয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবে কাফেররা যেই অর্থে নবীজিকে নির্বংশ বলে কটুক্তি করেছিল, সেই অর্থে নবীজি কখনই নির্...

আগস্ট ২৯, ২০১৭

কাউসার সম্পর্কে ইমাম কুরতুবীর পর্যালোচনা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div dir="ltr">
</div>
<div style="text-align: justify;">
ইমাম    কুরতুবি   স্বীয়    তাফসিরগ্রন্থে   ‘কাউছার’   শব্দের ১৬টি অর্থ বর্ণনা করেছেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
প্রথম: কাউছার হচ্ছে জান্নাতে  অবস্থিত একটি নদী বা  জান্নাতী    প্রস্রবন। এ     ব্যাপারে ইমাম বুখারি ও ইমাম  তিরমিজি     হযরত    আনাস    রাদিয়াল্লাহু    আনহু     থেকে হাদিস    বর্ণনা    করেছেন।    তাছাড়া    ইমাম    তিরমিজি  হযরত    ইবনে   উমর   রাদিয়াল্লাহু  আনহু  থেকে  একটি  হাদিস বর্ণনা করেছেন নিম্নরূপ </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
عن ابن عمر رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله  عليه وسلم الكوثر  نهر فى  الجنة حافتاه  من ذهب   ومجراه على  الدر والياقوت تربته اطيب من  المسك وماؤه  احلى من العسل وابيض من الثلج- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ:  হযরত    ইবনে   উমর  রাদিয়াল্লাহু   আনহু    বলেন- রাসূলুল্লাহ   সাল্লাল্লাহু   আলাইহি   ওয়াসাল্লাম   বলেছেন-  কাউছার  হচ্ছে  জান্নাতে  অবস্থিত একটি নদী বা   ঝর্ণা। যার   উভয়   তীর   স্বর্ণ   নির্মিত।  পানি  গড়িয়ে   পড়ার   জাগা   হবে  মণিমুক্তা   ও     ইয়াকুত   নির্মিত।  মাটি   হবে মেশক  আম্বরের  চেয়ে   সুগন্ধ।  পানি    হবে  মধুর  চেয়ে মিষ্টি ও  বরফের   চেয়ে  শুভ্র।  (ইমাম তিরমিজি ইহাকে  হাসান ও সহিহ বলেছেন) </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
দ্বিতীয়:     কাউছার     হচ্ছে     হাশরের    ময়দানে    অবস্থিত নবীজির  হাউজ।   আত্বা  এই  মতকে   গ্রহণ   করেছেন।  যেমন মুসলিম শরীফে বর্ণিত হাদিস- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
عن  انس  قال   بينما  نحن    عند رسول  الله  صلى الله عليه وسلم  اذا اغفى اغفاءة ثم   رفع  رأسه  متبسما- فقلنا  ما اضحكك يا رسول الله- قال نزلت على انفا سورة- فقرأ بسم الله الرحمن الرحيم انا اعطينك الكوثر فصل لربك  وانحر ان شانئك  هو  الابتر- ثم قال  اتدرون  ما  الكوثر- قلنا  الله ورسوله اعلم- قال فانه نهر وعدنى ربى عز وجل عليه خير  كثير  هو  حوض ترد  عليه  امتى يوم القيامة انيته عدد النجوم فيختلج العبد منهم فاقول انه من امتى فيقال انك لا تدرى ما احدث بعدك- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ:  হযরত আনাস   রাদিয়াল্লাহু  আনহু  থেকে  বর্ণিত,  তিনি  বলেন-   আমরা   রাসূলেপাক  সাল্লাল্লাহু   আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এর  দরবারে  উপস্থিত  ছিলাম  এমন  সময়  তিনি   তন্দ্রাবস্থায় ছিলেন।  অতঃপর মুসকি  হেঁসে  মাথা মোবারক    উত্তোলন    করলেন।    আমরা    বললাম    ইয়া  রাসূলাল্লাহ!  আপনার  হাসির কারণ  কি? তিনি বললেন এইমাত্র  আমার  কাছে    একটি   সূরা  অবতীর্ণ    হয়েছে। অতঃপর তিনি সূরা কাউছার তিলাওয়াত করলেন। যার অর্থ   হচ্ছে-   ১.   নিশ্চয়   আমি  আপনাকে  কাউছার  দান করেছি। ২.  অতএব   আপনি আপনার  প্রভূর উদ্দেশ্যে   নামাজ পড়ুন এবং কুরবানি করুন। ৩. নিশ্চয় আপনার শত্রুই নির্বংশ বা লেজকাঁটা। অতঃপর  নবীজি  বললেন তোমরা   কি   জান   কাউছার    কি?    আমরা   বললাম   এ বিষয়ে  আল্লাহ   এবং  তাঁর  রাসূল   ভাল  জানেন।    তিনি বললেন-    কাউছার   হচ্ছে    একটি   ঝর্ণা।     যে   সম্পর্কে   আল্লাহ তায়ালা  আমাকে অঙ্গীকার করেছেন।  তা  হবে   অজস্র   কল্যাণ।   ইহা   হচ্ছে   হাউজ।   কিয়ামতের   দিন  আমার  উম্মতদেরকে    সেখানে  প্রেরণ  করা  হবে।  যার পানপাত্র  হবে   নত্রের    সমান।  সে  দিন  কিছু   লোককে সেখান থেকে তাড়িয়ে  দেয়া হবে।  তখন আমি বলব,  সে    তো  আমার   উম্মতের    অন্তর্ভূক্ত।   তখন  বলা  হবে  আপনি অবগত  নন যে, সে আপানার পরিবর্তীতে  ধর্মে কি নতুন জিনিস আবিস্কার করেছে। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তৃতীয়:    হাউজ   অর্থ   হল   নবুয়ত  ও    কিতাব।   হযরত ইকরামাহ        রাদিয়াল্লাহু        আনহু        এ        মত        পোষণ  করেছেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
চতর্থ:    কাউছার    অর্থ   হচ্ছে  আল   কুরআনুল  কারীম।  হযরত হাসান এ মত প্রদান করেছেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
পঞ্চম:    কাউছার   অর্থ   হল  ইসলাম।  হযরত    মুগীরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু এ মত পোষণ করেছেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ষষ্ঠ:        কাউছার       অর্থ          হল        কুরআনুল       কারীমের  সহজবোধ্যতা   ও     শরিয়তের   শীথিলতা।   হাসান   বিন ফদল এ মত পোষণ করেছেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
সপ্তম:    কাউছার  হচ্ছে  সাহাবায়ে  কেরাম   ও  উম্মতের আধিক্যতা।    হযরত     আবু    বকর    বিন     আয়াশ    এবং ইয়ামান বিন রিআব এ মতটি ব্যক্তি করেছেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অষ্টম:    কাউছর   অর্থ   হচ্ছে  সম্মান    ও  মর্যাদা।  ইবনে কায়ছান উক্ত মতের অধিকারী। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
নবম:   কাউছার  অর্থ  হচ্ছে  যিকিরের  উচ্চ  মর্যাদা।  এ  মত ব্যক্ত করেছেন আল মাওরিদী। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
দশম:  কাউছার  অর্থ হচ্ছে  আপনার   (নবীর)  কলবের  নূর মোবারক। যা আপনাকে  আমার দিকে   পথপ্রদর্শন করেছে       এবং    আমি     ব্যতিত     অন্য     সবকিছু    থেকে আপনাকে দূরে রেখেছে। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
একাদশ: কাউছার অর্থ হচ্ছে শাফায়াত। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
দ্বাদশ:    কাউছার  হচ্ছে  আপনার  প্রভূর   সেই   কুদরত, যার   মাধ্যমে    আহলে    ইজাবগণ     আপনার   দাওয়াতে  হিদায়তপ্রাপ্ত  হয়েছে।  ইমাম  ছালাবী  এ    মতটি    গ্রহণ  করেছেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ত্রয়োদশ: হিলাল  বিন ইয়াছাফ বলেছেন   কাউছার অর্থ হল        কালিমা           লা         ইলাহা        ইল্লাল্লাহু        মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
চতুর্দশ:     কেউ   কেউ    বলেছেন,    কাউছার   হল   ধর্মীয় ফিকাহশাস্ত্র। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
পঞ্চদশ:    কারো    মতে     কাউছার    হচ্ছে     পাঁচ    ওয়াক্ত নামাজ। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ষোড়শ: ইবনে ইসহাকের মতে কাউছার হচ্ছে সুমহান বা সুউচ্চ বিষয়। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অতঃপর           ইমাম           কুরতুবি           বলেন-           উল্লেখিত  ব্যাখ্যাসমূহের  মধ্যে  প্রথম  ও   দ্বিতীয়  অর্থটিই   অধিক  বিশুদ্ধ। কেননা এগুলোর পে নস বা দলিল রয়েছে।</div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">
<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-SAbr5GM0OgE/WaTy4un1QPI/AAAAAAAAAhk/G59wErZVbOAWidlnmuB2z2V7iyRgz0KSwCHMYCw/s1600/qs%2Bal-kautsar.gif" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-SAbr5GM0OgE/WaTy4un1QPI/AAAAAAAAAhk/G59wErZVbOAWidlnmuB2z2V7iyRgz0KSwCHMYCw/s640-rw/qs%2Bal-kautsar.gif" /> </a> </div>
</div>

কাউসার সম্পর্কে ইমাম কুরতুবীর পর্যালোচনা

ইমাম কুরতুবি স্বীয় তাফসিরগ্রন্থে ‘কাউছার’ শব্দের ১৬টি অর্থ বর্ণনা করেছেন। প্রথম: কাউছার হচ্ছে জান্নাতে অবস্থিত একটি ন...

আগস্ট ২৯, ২০১৭

কাউসার শব্দের অর্থ ও ব্যাখ্যা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div dir="rtl">
</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
কাউসার শব্দের অর্থ ও ব্যাখ্যা</div>
<div style="text-align: justify;">
كوثر </div>
<div style="text-align: justify;">
শব্দটি فوعل এর ওজনে مبالغه  এর ছিগা। শব্দটি </div>
<div style="text-align: justify;">
الكثرة   মূল  ধাতু   থেকে   উৎকলিত।  এর   অর্থ   হলো অত্যধিক,    অফুরন্ত,   অসীম  প্রভৃতি।  সূরা   কাউছারের  ব্যাখ্যায় মুফাসসিরীনে কেরাম লিখেছেন- কাউছার অর্থ হল    নবীজির    উচ্চ    মর্যাদা,    অগণিত   উম্মত,   অফুরন্ত নিয়ামত,  খতমে  নবুয়ত, অসংখ্য  কল্যাণ, কোরআনুল কারীম,   শাফায়াতে  উজমা, আলে  আওলাদ,  উম্মতের আলেমগণ, পাঁচ ওয়াক্ত    নামায, নবীজির   শান-মানের অধিক  চর্চা  ও আবে   কাউছার  প্রভৃতি।  নিম্নে বিস্তারিত বর্ণনা প্রদত্ত হলো- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তাফসিরে জালালাইন শরীফে উল্লেখিত আছে- </div>
<div style="text-align: justify;">
الكوثر  الخير   الكثير   من   النبوة   والقران  والشفاعة  ونحوها </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ:    কাউছার   হল    অফুরন্ত   কল্যাণ।   যেমন   নবুয়ত, কুরআন এবং শাফায়াত ইত্যাদি। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
মিশকত    শরীফের      ৪৮৭    পৃষ্ঠায়    পাশ্বটীকায়    বর্ণিত হয়েছে- </div>
<div style="text-align: justify;">
ويفسر  بالخير   الكثير  المفرط  من  العلم   والعمل   وشرف الدارين     والنهر     المذكور    من     جزئياته    وفى    القاموس الكوثر الكثير من كل شئ- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ:  কাউছার  শব্দের    অর্থ   হচ্ছে  অফুরন্ত  কল্যাণ,   যা ইলিম  আমল  উভয়     জগতের     মর্যাদা     বা    হাদিসে   বর্ণিত     ঝর্ণা ইত্যাদি   বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। ‘কামুস’ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে- প্রত্যেক  বিষয়ে আধিক্যতাই হচ্ছে কাউছার। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
যেমন    হযরত    আব্দুল্লাহ    ইবনে    আব্বাস    রাদিয়াল্লাহু  আনহু থেকে বর্ণিত হাদিস- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
عن ابن   عباس رضى الله تعالى   عنه قال الكوثر  الخير الكثير الذى  اعطاه  الله  اياه- قال ابو بشر قلت    لسعيد ان    اناسا  يزعمون  انه  نهر   فى  الجنة  فقال  سعيد-  النهر الذى فى الجنة من الخير الذى اعطاه الله اياه- (بخارى) </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস  রাদিয়াল্লাহু    আনহু বলেন- কাউছার   হল  অফুরন্ত কল্যাণ, যা আল্লাহ  তায়ালা তাঁর  প্রিয় হাবিবকে প্রদান করেছেন।  বর্ণনাকারী আবু বিশর বলেন, আমি সাঈদ বিন জুবাইরকে  জিজ্ঞাসা  করলাম, মানুষতো  মনে করেন কাউছার হচ্ছে জান্নাতে অবস্থিত  একটি  নদী  বা    ঝর্ণা।  তখন  সাঈদ    বললেন  জান্নাতে  অবস্থিত     ঝর্ণাটি    অফুরন্ত   কল্যাণসমূহের   একটি।    যা আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীকে প্রদান করেছেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
যেমন তাফসিরে জালালাইন শরীফে বলা হয়েছে- </div>
<div style="text-align: justify;">
الكوثر هو نهر فى الجنة او هو حوضه ترد عليه امته- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ  কাউছার  হচ্ছে  জান্নাতে   অবস্থিত  একটি  ঝর্ণা   বা নদী।   অথবা  হাউজ  হল   কাউছার।  যার   প্রতি  উম্মতে মুহাম্মদীদেরকে প্রেরণ করা হবে।৪ </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
মিশকাত      শরীফের    ৪৮৭    পৃষ্ঠায়   পাশ্বটীকায়   বর্ণিত হয়েছে- </div>
<div style="text-align: justify;">
هو  نهر فى الجنة  ينفجر منه   جميع  انهارها-  وقيل   هو اولاده واتباعه او علماء امته وهو ايضا من افراده- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ: কাউছার হচ্ছে জান্নাতে অবস্থিত একটি নদী। ইহা হচ্ছে    সমস্ত    নদী   বা     ঝর্ণাসমূহের    মূল   উৎস।   কেউ বলেছেন কাউছার হল রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়াসাল্লাম  এর সন্তান    এবং অনুসারীগণ।  অথবা তাঁর উম্মতের     উলামাগণ,   অথবা  কাউছার  দ্বারা   উম্মতের  সংখ্যা ও বুঝায়।  </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এ   প্রসঙ্গে   হযরত    আনাস     রাদিয়াল্লাহু    আনহু   থেকে বর্ণিত হাদিসখানা দেখুন- </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
عن  انس عن النبى صلى الله    عليه   وسلم قال  بينما   انا  اسير   فى  الجنة  اذا   انا  بنهر  حافتاه  قباب  الدر  المجوف قلت ما هذا    يا    جبريل-  قال  هذا الكوثر الذى  اعطاك ربك فاذا طينه او طيبه مسك اذفر- (بخارى) </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অর্থ:   হযরত  আনাস   রাদিয়াল্লাহু  আনহু   থেকে  বর্ণিত, নবী    করিম  সাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়াসাল্লাম  বলেছেন- আমি   জান্নাতে  ভ্রমণ  করছিলাম,      এমন  সময়   একটি নদীর      তীরে     উপস্থিত     হলাম।      যার      উভয়       পার্শ্বে মণি-মুক্তা খচিত প্রাসাদসমূহ বিদ্যমান। আমি  বললাম  হে    জিব্রাইল     ইহা    কী?      তিনি    বললেন     ইহা     হচ্ছে কাউছার।  যা আল্লাহপাক  আপনাকে   প্রদান করেছেন। ইহার সুঘ্রাণ মেশ্ক আম্বরের চেয়ে অধিক। (বুখারি)</div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">
<a href="https://lh3.googleusercontent.com/-bcfsPYgxwho/WaTygjvcD3I/AAAAAAAAAhg/1jVkYbGK1lsYzYSMoEgarycI4kv6OAj4wCHMYCw/s1600/qs%2Bal-kautsar.gif" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-bcfsPYgxwho/WaTygjvcD3I/AAAAAAAAAhg/1jVkYbGK1lsYzYSMoEgarycI4kv6OAj4wCHMYCw/s640-rw/qs%2Bal-kautsar.gif" /> </a> </div>
</div>

কাউসার শব্দের অর্থ ও ব্যাখ্যা

কাউসার শব্দের অর্থ ও ব্যাখ্যা كوثر শব্দটি فوعل এর ওজনে مبالغه এর ছিগা। শব্দটি الكثرة মূল ধাতু থেকে উৎকলিত। এর অর্থ...

আগস্ট ২৯, ২০১৭

সূরা কাউসার ও এর শানে নূযূল

<p dir="ltr"><u>পবিত্র</u>    কোরআন      মজিদের      ১১৪     টি    সুরার     মধ্যে সবচেয়ে ছোট সূরা হল সূরা কাউছার।  সূরাটি নবীজির শান-মান       ও       মর্যাদায়          ভরপুর।       এই       সূরাতেই আল্লাহপাক      নবীজিকে      কাউছার      প্রদানের     ঘোষণা দিয়েছেন-<br><br>انا   اعطينك  الكوثر-   فصل  لربك   وانحر-    ان  شانك  هو الابتر-<br><br>অর্থ: হে হাবিব! নিশ্চয়ই আমি আপানাকে কাউছার দান করেছি।    অতএব    আপনি    আপনার    প্রভূর    উদ্দেশ্যে  নামায      পড়–ন।    এবং    কোরবানি    করুন।    নিশ্চয়ই   আপনার শত্রুই নির্বংশ।<br><br>সূরা কাউছারের শানে নুযুল<br>============<br>সূরা   কাউছার কুখ্যাত আস ইবনে ওয়াইলের  ব্যাপারে নাজিল  হয়েছে।   সে   রাসূলেপাক   সাল্লাল্লাহু    আলাইহি ওয়াসাল্লামকে     আবতার       বা     নির্বংশ     বলে      কটুক্তি  করেছিল।    এর     পরিপ্রেক্ষিতে     আল্লাহতায়ালা    সূরাটি অবতীর্ণ করে  তার জবাব   প্রদান    করেন। সাথে সাথে  রাসূলেপাক  সাল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়াসাল্লামকে   শান্ত্বনা প্রদান করেন।<br><br>মুহাম্মদ    ইবনে   আলী   ইবনে    হোসাইন    থেকে   বর্ণিত আছে- যে ব্যক্তির পুত্র সন্তান মারা যায় আরবিতে তাকে আবতার   বা   নির্বংশ  বলা   হয়।  রাসূলেপাক   সাল্লাল্লাহু আলাইহি   ওয়াসাল্লাম এর   পুত্র   হযরত কাসেম অথবা ইব্রাহিম    যখন       শৈশবেই    ইন্তেকাল     করলেন,    তখন কাফেরগণ     তাকে     আবতার     বলে     উপহাস      করতে  লাগল। তাদের মধ্যে আস   ইবনে ওয়াইল  জঘণ্যতম। তার সামনে রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন  আলোচনা হলে সে  বলত, আরে উনার কথা বাদ দাও, উনি তো আবতার।  উনার  মৃত্যুর পর উনার নাম   উচ্চারণ   করার    মতো    কেউ   থাকবে   না।   তখন আল্লাহ তায়ালা সূরা কাউছার অবতীর্ণ করেন। <br><br>তাফসিরে সাভীতে বর্ণিত হয়েছে এভাবে-<br>ان العاص بن وائل السهمى تلا قى مع رسول الله صلى الله عليه  وسلم فى المسجد عند باب بنى  سهم- فتحدثا  وناس من صناديد قريش جلوس فى المسجد- فلما دخل قالوا له من الذى تحدث معه؟ فقال ذلك الابتر يعنى به النبى وكان قد   توفى ولده القاسم فلما قال  تلك  المقالة نزلت السورة تسلية وتبشيراله-<br><br>অর্থ: একবার আস বিন ওয়াইল কাবা ঘরের বনী সাহম দরজার       নিকট       রাসূলেপাক         সাল্লাল্লাহু       আলাইহি ওয়াসাল্লাম    এর    সাথে    সাাত    করে    কিছু    বাক্যলাপ  করল।      তখন      কুরাইশদের        নেতৃস্থানীয়       লোকজন মসজিদের    ভিতরে    বসা    ছিল।    অতঃপর      যখন    সে ভিতরে প্রবেশ   করল   তখন তারা  জিজ্ঞাসা করল তুমি  কার   সাথে    কথা   বললে?     সে   বলল    ঐ   আবতারের সাথে।       অর্থাৎ       নবী       করিম       সাল্লাল্লাহু       আলাইহি  ওয়াসাল্লাম  এর সাথে।  সে সময় নবী  করিম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি     ওয়াসাল্লাম      এর     পুত্র     কাসেম     ইন্তেকাল  করেছিলেন। আসের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালা    তাঁর  হাবিবকে   শান্ত্বনা  ও   সুসংবাদ  প্রদানের  জন্য সূরা কাউছার অবতীর্ণ করেন। </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-cIrQaxy7Xik/WaTx_vNfRQI/AAAAAAAAAhY/XUhB1USc30QIv6PHmUPYJ6NtUWVWIykdQCHMYCw/s1600/qs%2Bal-kautsar.gif" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-cIrQaxy7Xik/WaTx_vNfRQI/AAAAAAAAAhY/XUhB1USc30QIv6PHmUPYJ6NtUWVWIykdQCHMYCw/s640-rw/qs%2Bal-kautsar.gif"> </a> </div>

সূরা কাউসার ও এর শানে নূযূল

পবিত্র কোরআন মজিদের ১১৪ টি সুরার মধ্যে সবচেয়ে ছোট সূরা হল সূরা কাউছার। সূরাটি নবীজির শান-মান ও মর্যাদা...

আগস্ট ২৯, ২০১৭

প্রথমে হাউজে কাউসারের পানি পান করবেন কারা?

<p dir="ltr">মহাত্যাগী       দরিদ্র       মুহাজিরগণ        সর্বপ্রথম        হাউজে  কাউছারের পানি পান করার সুযোগ পাবেন। <br>এ   প্রসঙ্গে   হযরত  সাওবান  রাদিয়াল্লাহু     আনহু   থেকে একখানা হাদিস বর্ণিত হয়েছে-<br><br>خرج  ابن  ما   جة   عن  ثوبان   مولى   رسول  الله  صلى  الله عليه وسلم قال:  ان  حوضى ما بين عدن  الى   ايلة-  اشد  بياضا من  اللبن  واحلى  من  العسل-  اكاويبه  كعدد نجوم  السماء- من شرب منه لم يظمأ بعدها ابدا-  واول  الناس   من    يرد   على   الحوض      فقراء   المهاجرين    الدنس     ثيابا والشعث رءوسا- الذين   لاينكحون  لمتنعمات   ولاتفتح  لهم ابواب  السدد-   قال:  فبكى   عمر  حتى  ابتلت  لحيته  فقال  لكنى نكحت المتنعمات وفتحت لى ابواب السدد- لاجرم انى لا اغسل  ثوبى الذى يلى جسدى حتى   ينسخ-  ولا  ادهن رأسى حتى تشعث-<br><br>অর্থ:   রাসূলুল্লাহ   সাল্লাল্লাহু   আলাইহি   ওয়াসাল্লাম   এর  আযাদকৃত  গোলাম  হযরত সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে ইবনে   মাজাহ বর্ণনা করেছেন। হযরত সাওবান  রাদিয়াল্লাহু    আনহু    বলেন-    রাসূলে    খোদা    সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন- আমার হাউজে কাউছারের   পরিধি   হবে   এডেন   থেকে   আয়লা   পর্যন্ত  (ইয়ামেন)।  উহার পানি দুধের চেয়ে  সাদা, মধুর চেয়ে মিষ্টি।    তার   গ্লাসসমূহ   হবে    আকাশের   তারকারাজির সমান। যারাই   উক্ত পানি   পান করবে-  কোনদিন আর পিপাসিত হবে না।  আর আমার উক্ত হাউজে সর্বপ্রথম  প্রবেশাধিকার  পাবে  গরিব মুহাজিরীন (যারা   বাড়িঘর আত্মীয়-স্বজন      ছেড়ে      মদিনায়      হিজরত      করেছেন  একমাত্র আল্লাহ  ও রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য)  তাঁদের বস্ত্র ছিল    ধুলামলিন    ও    পুরাতন    এবং    মাথার    চুল    ছিল  তৈলবিহীন   উসকো   খুসকো।   তাঁরা    (মদিনায়    গিয়ে)  কোন    ধনবতী  মহিলাকে  বিবাহ  করতে  পারেনি,  আর কোন ধনাঢ্য  ব্যক্তির দরজাও তাদের জন্য খোলা   ছিল না।’ (এত কষ্ট করেছেন তাঁরা)<br><br>হযরত সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু  বলেন- একথা শুনে হযরত  ওমর  রাদিয়াল্লাহু আনহু কেঁদে ফেললেন।  তাঁর চোখের  পানিতে  দাঁড়ি ভিজে   গেলো। তিনি  বললেন- আমি   ধনবতী   মহিলাকে   বিবাহ   করেছি   এবং   ধনাঢ্য  ব্যক্তিদের     দরজাও      আমার     জন্য      খোলা।     তাহলে অবশ্যই  আমি আমার   শরীরের  কাপড়  চোপড়  আর ধৌত  করবে   না-  যে,   পর্যন্ত   না  তা   ছিরে    যায়।  আর মাথায়    তৈলও    মালিশ    করবো      না।    যাতে     উসকো খুসকো হয়ে যায়। (ইবনে মাজাহ)<br><br>ব্যাখ্যা: গরিব মুহাজিরদের ফজিলত শুনে হযরত ওমর ঐ     ফজিলত     পাওয়ার    জন্যই      এই     আরজু     প্রকাশ করেছিলেন।   পূর্ব   হাদিসে   তো   প্রমাণিত   হয়েছে   যে,  তিনি হাউজে কাউছারের দায়িত্বে ও কর্তৃত্বে নিয়োজিত থাকবেন।   কিন্তু   তিনি   ঐ    দায়িত্বের   চেয়ে    গরিবদের সম্মানের   অধিকারী  হতেও    ইচ্ছাপোষণ   করেছিলেন। এটা        হলো         সাহাবায়ে         কেরামের        বিনয়        এবং রাসূলেপাকের      ঘোষণার    প্রতি     আকুলতা    ও    আগ্রহ প্রকাশ। (হায়াত মউত কবর হাশর) </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-gdyd6B7WrsU/WaTxN27MASI/AAAAAAAAAhQ/IuLTOZV-_TQf2i9B3NjxyzljlaxrO3gWQCHMYCw/s1600/10_mub-600x375.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-gdyd6B7WrsU/WaTxN27MASI/AAAAAAAAAhQ/IuLTOZV-_TQf2i9B3NjxyzljlaxrO3gWQCHMYCw/s640-rw/10_mub-600x375.jpg"> </a> </div>

প্রথমে হাউজে কাউসারের পানি পান করবেন কারা?

মহাত্যাগী দরিদ্র মুহাজিরগণ সর্বপ্রথম হাউজে কাউছারের পানি পান করার সুযোগ পাবেন। এ প্রসঙ্গে হযরত সাওবান রা...

আগস্ট ২৯, ২০১৭

হাউজে কাউসারের দায়িত্বে থাকবেন নবীজীর চার খলিফা

<p dir="ltr"> এ  প্রসঙ্গে ইমাম কুরতুবি  ‘গায়লানিয়াত’ গ্রন্থের বরাতে হযরত  আনাস রাদিয়াল্লাহু   আনহু কর্তৃক  বর্ণিত  একটি মরফু হাদিস এভাবে বর্ণনা করেছেন-<br><br>وقد  رفع   صاحب  الغيلانيات من حديث  حميد  عن انس  رضى الله تعالى  عنه  قال قال   رسول  الله صلى  الله  عليه وسلم ان على حوضى اربعة  اركان  فاول ركن منها فى  يد ابى  بكر-  الركن  الثانى  فى   يد  عمر-   والركن  الثالث  فى  يد عثمان-  والركن    الرابع  فى   يد  على   رضى   الله   تعالى   عنهم اجمعين- فمن   احب ابا بكر وابغض عمر لم يسقه ابو بكر- ومن احب عمر وابغض ابا بكر-  لم  يسقه  عمر- ومن احب عثمان   وابغض   عليا-   لم   يسقه  عثمان-   ومن   احب  عليا  وابغض عثمان- لم يسقه على- (الغيلانيات والتذكره)<br><br>অর্থ: ‘হোমায়েদ- এর সনদে হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু  থেকে  গায়লানিয়াত  এর  গ্রন্থকার  একটি  মরফু  হাদিস     বর্ণনা    করেছেন।    হযরত   আনাস   রাদিয়াল্লাহু আনহু       বলেন-       নবী       করিম       সাল্লাল্লাহু       আলাইহি  ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-<br><br>‘আমার  হাউজে  কাউছারের  চারটি  কর্ণার  হবে।  প্রথম  কর্ণার   থাকবে    হযরত  আবু   বকরের   দায়িত্বে,  দ্বিতীয় কর্ণার  থাকবে  হযরত  ওমরের  দায়িত্বে,  তৃতীয়  কর্ণার  থাকবে হযরত উসমানের দায়িত্বে, চতুর্থ কর্ণার থাকবে হযরত   আলীর দায়িত্বে। যে ব্যক্তি  আবু বকরের   প্রতি  ভালবাসা  পোষণ    করবে-  কিন্তু   ওমরের   প্রতি  শত্রুতা ভাব   রাখবে,   তাকে    হযরত    আবু     বকর    রাদিয়াল্লাহু আনহু    পানি    পান    করাবেন    না।    যে    ব্যক্তি    হযরত  ওমরের প্রতি মহব্বত পোষণ    করে, কিন্তু  হযরত   আবু বকরের প্রতি বিদ্বেষভাব   পোষণ করবে, তাকে  হযরত ওমর  রাদিয়াল্লাহু  আনহু   পানি   পান  করাবেন  না।   যে ব্যক্তি হযরত ওসমানের প্রতি মহ্বত পোষণ করে,  কিন্তু হযরত  আলীর   প্রতি  বিদ্বেষভাব     রাখে,  তাকে  হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু পানি পান করাবেন না। আর যে  ব্যক্তি  হযরত    আলীর  প্রতি  মহব্বত  পোষণ  করে,  কিন্তু   হযরত   ওসমানের   প্রতি   বিদ্বেষ   পোষণ   করবে,  তাকেও   হযরত   আলী   রাদিয়াল্লাহু     আনহু   পানি   পান করাবেন না। (তাযকিরাহ- ৩৩২ পৃষ্ঠা)<br><br>ব্যাখ্যা:    বুঝা    গেল-      চার    খলিফা    পরস্পরের     প্রতি শ্রদ্ধাশীল।  যে  কোন  একজনের     প্রতি    বিদ্বেষ   পোষণ করলে  অন্যরা   তাকে    হাউজে  কাউছারের   পানি   পান করাবেন    না।    সুতরাং  চার  আসহাবের  সকলের  প্রতি মহাব্বত না রাখলে পরকালে তাদের  কোনই সহনুভুতি পাওয়া  যাবে  না।  ইহা  নবীজির   বাণী।  এক্ষেত্রে   শিয়া সুন্নীর   প্রশ্ন   নেই।     প্রশ্ন   হলো-   নবীজির   সুপারিশ     ও হাউজে         কাউছার        নিয়ে।         আল্লাহ         আমাদেরকে  খোলাফায়ে     রাশেদীনের     প্রতি    সুবিচার     ও     যথাযথ মহব্বত     করার    তৌফিক   দিন।    (শিয়াদের    জন্য   এ  হাদিসখানা   চরম   আঘাত  স্বরূপ।  কেননা   তারা  প্রথম তিন    সাহাবিকে   বাতিল   বলে)   (হায়াত    মউত     কবর  হাশর) </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-cBLYn4C5yDU/WaTwmqqWvHI/AAAAAAAAAhI/Gh9_QZyPX8QHxjcVs-kWEmN7eqILLV9uQCHMYCw/s1600/images-12.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-cBLYn4C5yDU/WaTwmqqWvHI/AAAAAAAAAhI/Gh9_QZyPX8QHxjcVs-kWEmN7eqILLV9uQCHMYCw/s640-rw/images-12.jpg"> </a> </div>

হাউজে কাউসারের দায়িত্বে থাকবেন নবীজীর চার খলিফা

এ প্রসঙ্গে ইমাম কুরতুবি ‘গায়লানিয়াত’ গ্রন্থের বরাতে হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত একটি মরফু হাদিস এভাবে বর্ণনা করেছেন- ...

আগস্ট ২৯, ২০১৭

নবীজীর মিম্বর শরীফ হাউজে কাউসারের উপর প্রতিষ্ঠিত

<p dir="ltr"> রাসূলেপাক   সাল্লাল্লাহু   আলাইহি  ওয়াসাল্লাম  মসজিদে নববীতে    যে    মিম্বর   শরীফের    উপর   দাঁড়িয়ে   খুতবা প্রদান      করতেন,      তা      হাউজের       উপর      প্রতিষ্ঠিত।  এব্যাপারে    ইমাম    বুখারি    ইমাম    মুসলিম    ও    ইমাম  আহমদসহ অন্যান্য ইমামগণ হাদিস বর্ণনা করেছেন-<br><br>عن ابي هريرة رضى الله تعالى عنه ان رسول الله صلى الله عليه  وسلم  قال ما بين  بيتى ومنبرى روضة من رياض الجنة ومنبرى على حوضى (متفق عليه)<br><br>অর্থ:   হযরত   আবু   হুরায়রা   রাদিয়াল্লাহু   আনহু   থেকে  বর্ণিত    নবী     করিম     সাল্লাল্লাহু    আলাইহি     ওয়াসাল্লাম  বলেন-    আমার     ঘর     ও   মিম্বরের    মধ্যখানে   অবস্থিত জায়গাটুকু    জান্নাতের    বাগানের    একটি   অংশ।     আর আমার মিম্বর আমার হাউজের উপর প্রতিষ্ঠিত। (বুখারি ও মুসলিম) <br><br>উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী ‘ফতহুল বারি’ গ্রন্থে বলেন-<br><br>واما قوله ( ومنبرى على حوضى) اى ينتقل يوم القيامة فينصب على الحوض- وقال الاكثر  المراد  منبره  بعينه  الذى قال هذه المقالة وهو فوقه- وقيل المراد المنبر الذى يوضع له يوم القيامة والاول اظهر- يؤيده حديث ابى سعيد المتقدم- وقد  رواه  الطبرانى  فى الكبير من   حديث ابى واقد  الليثى   رفعه-  ان    قوائم  منبرى  رواتب  فى   الجنة  وقيل   معناه   ان   قصد   منبره   بالحضور   عنده   لملازمة  الاعمال الصالحة- يورد  صاحبه   الى الحوض ويقتضى   شربه منه- (والله اعلم)<br><br>অর্থ:   রাসূলের   বাণী   ‘আমার   মিম্বর   আমার   হাউজের  উপর  প্রতিষ্ঠিত’   এ   কথার  অর্থ  হল  ‘কিয়ামতের   দিন মিম্বর      শরীফকে       স্থানান্তর        করে       হাউজের       উপর প্রতিস্থাপন করা হবে। অধিকাংশ উলামায়ে কেরামদের মতে,    এখানে   মিম্বর     বলতে   সে   মিম্বরকেই   বুঝানো হয়েছে     যার     উপর    দাঁড়িয়ে    রাসূলেপাক    সাল্লাল্লাহু আলাইহি   ওয়াসাল্লাম   এ     হাদিসটি   বর্ণনা    করেছেন।  আবার    কেউ    কেউ     বলেছেন-     এখানে      মিম্বর    দ্বারা সেটাকে  বুঝানো হয়েছে   যা কিয়ামতের  দিন  নবীজির  জন্য স্থাপন  করা হবে। তবে প্রথম অভিমতটিই অধিক বিশুদ্ধ।   পূর্বে   বর্ণিত   আবু   সাঈদ   এর   হাদিসটি   উক্ত  মতকে  সমর্থন  করে।  যেমন   ইমাম   তাবরানী  ‘কবির’  গ্রন্থে   আবি   ওয়াকিদ   আল   লাইছি   থেকে    মরফুভাবে  বর্ণনা      করেছেন-     রাসূলেপাক     সাল্লাল্লাহু        আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-  নিশ্চয়  আমার মিম্বরের   পায়াগুলো  জান্নাতের মধ্যে স্থাপিত।<br><br>কেউ     কেউ      বলেছেন-     উক্ত      হাদিসের      অর্থ     হল-  মিম্বরশরীফের  জিয়ারতের  উদ্দেশ্যে  সেখানে  উপস্থিত  হয়ে  নেকআমল করলে  সে  ব্যক্তিকে   কিয়ামতের দিন  হাউজের  প্রতি প্রেরণ করা হবে। এবং সে ব্যক্তি হাউজ থেকে পান করবে। (আল্লাহ ভাল জানেন) </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-K6QLcPzXgVg/WaTu3NfHnBI/AAAAAAAAAg8/ItZluIbYYoIQa4TnPAh_MSTUznW9_0HXACHMYCw/s1600/sufia_1379930457_12-secret-signs-in-the-mosque-300x241.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-K6QLcPzXgVg/WaTu3NfHnBI/AAAAAAAAAg8/ItZluIbYYoIQa4TnPAh_MSTUznW9_0HXACHMYCw/s640-rw/sufia_1379930457_12-secret-signs-in-the-mosque-300x241.jpg"> </a> </div>

নবীজীর মিম্বর শরীফ হাউজে কাউসারের উপর প্রতিষ্ঠিত

রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে যে মিম্বর শরীফের উপর দাঁড়িয়ে খুতবা প্রদান করতেন, তা ...

আগস্ট ২৯, ২০১৭

নবীজী হাউজে কাউসার দেখতে পাচ্ছেন এই হাদিসের ভাবার্থ

<p dir="ltr"> ইমাম বুখারি  হযরত উকবাহ  রাদিয়াল্লাহু  আনহু  থেকে একখানা হাদিস বর্ণনা করেছেন-<br><br>عن عقبة  رضى  الله تعالى  عنه ان النبى  صلى الله عليه وسلم    خرج يوما  فصلى على  اهل احد   صلاته على الميت ثم  انصرف  على  المنبر  فقال   انى  فرط  لكم   وانا  شهيد عليكم    وانى   والله  لانظر  الى   حوضى  الان-  وانى  اعطيت مفاتيح خزائن الارض او مفاتيح الارض وانى والله ما اخاف عليكم ان تشركوا بعدى ولكن اخاف عليكم ان تنافسوا فيها- <br><br>অর্থ:  হযরত   উকবাহ  রাদিয়াল্লাহু  আনহু থেকে  বর্ণিত- একদা    নবী    করিম    সাল্লাল্লাহু    আলাইহি    ওয়াসাল্লাম  উহুদের    ময়দানে    তাশরীফ   নিলেন।    অতঃপর   উহুদ যুদ্ধে  শাহাদতপ্রাপ্ত   সাহাবিদের   জন্য প্রার্থনা করলেন। অতঃপর সেখান থেকে  প্রত্যাবর্তন করে মিম্বর  শরীফে তাশরীফ   আনলেন।    অতঃপর  বললেন-    নিশ্চয়  আমি তোমাদের     অগ্রগামী      হব।     এবং       তোমাদের     জন্য সাক্ষীদাতা    হব।    আল্লাহর     শপথ-   নিশ্চয়   আমি   এই মুহূর্তে  আমার    হাউজ   দেখতে    পাচ্ছি।  আর  আমাকে  প্রদান করা হয়েছে ভূরত্নের  চাবিসমূহ।<br><br>আল্লাহর কসম আমি এই  ভয় করি না যে, আমার পরে তোমরা সব মুশরিক  হয়ে যাবে।  তবে আমার আশঙ্খা হল   তোমরা  দুনিয়ার   এই  ধনরত্নের  লোভে  মত্ত   হয়ে যাবে। <br><br>উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী ‘ফতহুল বারী’ গ্রন্থে লিখেন-<br><br>قوله ( والله انى لانظر الى حوضى الان) يحتمل انه كشف له عنه    لما خاطب   وهذا هو الظاهر  ويحتمل  ان  يريد رؤية القلب-<br><br>অর্থ:  রাসূলের  বাণী-  এই  মুহূর্তে  আমি  আমার  হাউজ  দেখতে    পাচ্ছি’    এ    কথার     অর্থ      হতে    পারে,     যখন রাসূলেপাক    সাল্লাল্লাহু    আলাইহি      ওয়াসাল্লাম     খুতবা প্রদান  করছিলেন  তখন  হাউজকে   তার    সামনে   খুলে  দেয়া  হয়েছিল।  (অর্থাৎ    হাউজ   ও   নবীজির   মধ্যবর্তী সমস্ত আবরণ সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। ইহা হচ্ছে বাহ্যিক অর্থ) আবার ইহাও হতে পারে যে, ইহা ছিল কালবী বা আত্মদর্শন।  অতঃপর  ইমাম   আসকালানী   ইবনে   তীন এর সুন্দর একটি উক্ত নকল করেছেন-<br><br>وقال ابن التين  النكتة  فى ذكره عقب التحذير الذى  قبله انه  يشير  الى   تحذيرهم   من   فعل     ما  يقتضى  ابعادهم   عن الحوض-<br><br>অর্থ:    ইবনে   তীন   বলেন-   পূর্বে     বর্ণিত   ‘তাহযির’   বা সতর্কীকরণ  হাদিসের  পরে  এ  হাদিসটি  বর্ণনার  মধ্যে  একটি    সুক্ষ   বিষয়  রয়েছে। তা হলো, যে  সমস্ত  লোক এমন    মন্দ  কাজ  করবে  যার    পরিপ্রেক্ষিত  তাদেরকে  হাউজ   থেকে    তাড়িয়ে   দেয়া    হবে   তাদের   জন্য    এ হাদিসে সতর্কবাণী রয়েছে। <br><br>ইবনে   তীনের   উক্তিটি   চমৎকার।   তিনি    রাসূলেপাক   সাল্লাল্লাহু   আলাইহি   ওয়াসাল্লাম   এর   ইলমে   গাইবের  প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।  অর্থাৎ কারা   পানি পান করতে   পারবে আর কাদেরকে ফিরিস্তাগণ তাড়িয়ে দিবেন সব কিছু  রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু   আলাইহি  ওয়াসাল্লাম  স্বচে অবলোকন করেছেন। অতএব  সাবধান!  যদি হাউজের পানি   পান     করতে    চাও    তাহলে    নতুন    নতুন   ধর্মীয় ফিতনা ফাসাদ ও জাহিলী কার্যক্রম থেকে বিরত থাক। </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-uC8rNwpHIX8/WaTt2dlaXgI/AAAAAAAAAgw/-bM7Opk5wwkqklrwFESq0TR2AYXf4IXuwCHMYCw/s1600/Kuba-Masjid-Muhammad-1024x768.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-uC8rNwpHIX8/WaTt2dlaXgI/AAAAAAAAAgw/-bM7Opk5wwkqklrwFESq0TR2AYXf4IXuwCHMYCw/s640-rw/Kuba-Masjid-Muhammad-1024x768.jpg"> </a> </div>

নবীজী হাউজে কাউসার দেখতে পাচ্ছেন এই হাদিসের ভাবার্থ

ইমাম বুখারি হযরত উকবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একখানা হাদিস বর্ণনা করেছেন- عن عقبة رضى الله تعالى عنه ان النبى صلى الله عليه وسل...

আগস্ট ২৯, ২০১৭

Top

ইসলামি বিশ্বকোষ

৪০ টি হাদিস ২য় অংশ

৪০ টি হাদিস ১ম অংশ

নবীজীর শত্রুরাই নির্বংশ

নবীজীর বংশধারা কেয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবে

কাউসার সম্পর্কে ইমাম কুরতুবীর পর্যালোচনা

কাউসার শব্দের অর্থ ও ব্যাখ্যা

সূরা কাউসার ও এর শানে নূযূল

প্রথমে হাউজে কাউসারের পানি পান করবেন কারা?

হাউজে কাউসারের দায়িত্বে থাকবেন নবীজীর চার খলিফা

নবীজীর মিম্বর শরীফ হাউজে কাউসারের উপর প্রতিষ্ঠিত

নবীজী হাউজে কাউসার দেখতে পাচ্ছেন এই হাদিসের ভাবার্থ

পোস্টসমূহ

Categories

পপুলার