কোরআনে নবীর নামের সাথে ৪০ জায়গায় আল্লাহর নাম

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr">সংযোজনী-৪<br />কোরআন মজিদের ৪০ আয়াতে আল্লাহ-রাসুলের নাম একসাথে পাশাপাশি লিখাঃ যেমন-<br />(১) وَمَنۡ يُّطِعِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ يُدۡخِلۡهُ جَنّٰتٍ تَجۡرِىۡ مِنۡ تَحۡتِهَا الۡاَنۡهٰرُ خٰلِدِيۡنَ فِيۡهَا‌<br />“যে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অনুগত হবে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।“ (নিসা-১৩)<br /> (২) وَمَنۡ يَّعۡصِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ وَيَتَعَدَّ حُدُوۡدَهٗ يُدۡخِلۡهُ نَارًا خَالِدًا فِيۡهَا <br />“আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্য হবে, তাকে তিনি জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন।“ (নিসা-১৪)<br /> (৩) يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِيۡعُوۡا اللّٰهَ وَاَطِيۡعُوۡا الرَّسُوۡلَ وَاُولِىۡ الۡاَمۡرِ مِنۡكُمۡ‌ۚ<br />”হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসুলের আনুগত্য করো এবং তোমাদের মধ্যে উলিল আমরেরও।” (নির্দেশ দাতা) (নিসা-৫৯)<br />(৪) فَاِنۡ تَنَازَعۡتُمۡ فِىۡ شَىۡءٍ فَرُدُّوۡهُ اِلَى اللّٰهِ وَالرَّسُوۡلِ<br />”যদি তোমরা কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহনে বিবাদে লিপ্ত হও - তাহলে উক্ত বিষয়টির ফায়সালা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের কাছে ন্যাস্ত করো।” (নিসা-৫৯)<br />(৫) مَنۡ يُّطِعِ الرَّسُوۡلَ فَقَدۡ اَطَاعَ اللّٰهَ‌ۚ<br />”যে রাসুলের আনুগত্য করে, সে মূলতঃ আল্লাহরই আনুগত্য করলো” (নিসা-৮০)<br />(৬) يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيَ أَنزَلَ مِن قَبْلُ وَمَن يَكْفُرْ بِاللّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلاَلاً بَعِيدًا<br />”যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলগণকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলগণের মধ্যে তারতম্য করতে ইচ্ছা করে এবং বলে- আমরা কিছু মানি- কিছু মানিনা এবং আল্লাহ ও রাসুলগণের মধ্যবর্তী তৃতীয় রাস্তা উদ্ভাবন করতে চায়- তারাই পাক্কা কাফের।” (নিসা-১৫০)<br />(৭) اِنَّمَا جَزٰٓؤُا الَّذِيۡنَ يُحَارِبُوۡنَ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ وَيَسۡعَوۡنَ فِىۡ الۡاَرۡضِ فَسَادًا اَنۡ يُّقَتَّلُوۡۤا اَوۡ يُصَلَّبُوۡۤا<br />”যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের বিরূদ্ধে সংগ্রাম করে এবং জমীনে ফাছাদ সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে কতল করা অথবা ফাঁসিতে চড়ানো।” (মায়েদা-৩৩)<br />(৮) قُلِ الۡاَنۡفَالُ لِلّٰهِ وَالرَّسُوۡلِ‌ۚ<br />”বলুন হে প্রিয় হাবীব! যুদ্ধেপ্রাপ্ত সম্পদের মালিক হচ্ছেন আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল [ﷺ]।” (আন্-ফাল-১)<br />(৯) وَمَنۡ يُّشَاقِقِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ فَاِنَّ اللّٰهَ شَدِيۡدُ الۡعِقَابِ‏<br />”যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্য হয়, নিঃসন্দেহে (তাদের জন্য) আল্লাহর শাস্তি অতি কঠোর।” (আনফাল-১৩)<br />(১০) فَاضۡرِبُوۡا فَوۡقَ الۡاَعۡنَاقِ وَاضۡرِبُوۡا مِنۡهُمۡ كُلَّ بَنَانٍؕ‏ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمۡ شَآقُّوۡا اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ‌<br />”হে ফেরেশতাগণ, তোমরা বদরের যুদ্ধে কোরাইশ কাফিরদের গর্দানের শাহ্নগে এবং তাদের শরীরের জোড়ায় জোড়ায় আঘাত হানো। কেননা, তারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্য হয়ে গেছে।” (আনফাল-১৩)<br />(১১) يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا اسۡتَجِيۡبُوۡا لِلّٰهِ وَلِلرَّسُوۡلِ اِذَا دَعَاكُمۡ<br />”হে মো’মেনগণ, তোমরা আল্লাহ-রাসুলের ডাকে সাড়া দাও - যখনই রাসুল তোমাদেরকে ডাকেন।” (আন্-ফাল-২৪)<br /> (১২) وَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّمَا غَنِمۡتُمۡ مِّنۡ شَىۡءٍ فَاَنَّ لِلّٰهِ خُمُسَهٗ وَلِلرَّسُوۡلِ<br />”হে মো’মেনগণ! জেনে নাও- তোমরা গণিমতের মাল হিসাবে যা কিছু পেয়েছো- তার পঞ্চমাংশের খাস মালিক হচ্ছেন আল্লাহও তাঁর রাসুল।” (আন্-ফাল-৪১)<br /> (১৩) بَرَآءَةٌ مِّنَ اللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖۤ اِلَى الَّذِيۡنَ عٰهَدتُّمۡ مِّنَ الۡمُشۡرِكِيۡنَ<br />”আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ হতে সম্পর্কচ্ছেদ করা হলো মুশরিকদের সাথে।” (তাওবা-১)<br />(১৪) وَأَذَانٌ مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْحَجِّ الأَكْبَرِ أَنَّ اللّهَ بَرِيءٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ وَرَسُولُهُ<br />”আর হজ্বে আকবরের দিনে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ হতে এই ঘোষণা করা হলো যে, আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল [ﷺ] মুশরিকদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।” (তওবা-৩)<br />(১৫) وَلَمۡ يَتَّخِذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ وَلَا رَسُوۡلِهٖ وَلَا الۡمُؤۡمِنِيۡنَ وَلِيۡجَةً‌ؕ<br />”যারা আল্লাহ্, তাঁর রাসুল ও মো’মেনগণ ব্যতিত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা থেকে বিরত না রয়েছে”- (সেসব মুনাফিকদেরকে এমনিতে ছেড়ে দেয়া হবে না)। (তওবা-১৬)<br />(১৬) وَلَا يُحَرِّمُوۡنَ مَا حَرَّمَ اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗ <br />(”যুদ্ধ করো তাদের বিরুদ্ধে)- যারা হারাম মনে করেনা ঐ জিনিসকে- যা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল [ﷺ] হারাম ঘোষনা করেছেন” (তাওবা-২৯)।<br />(১৭) وَمَا مَنَعَهُمۡ اَنۡ تُقۡبَلَ مِنۡهُمۡ نَفَقٰتُهُمۡ اِلَّاۤ اَنَّهُمۡ كَفَرُوۡا بِاللّٰهِ وَبِرَسُوۡلِهٖ<br />”মুনাফিকদের দান কবুল না হওয়ার একমাত্র কারণ হলো- তারা আল্লাহও তার রাসুলকে অস্বীকার করছে।” (তাওবা-৫৪)<br /> (১৮) وَلَوۡ اَنَّهُمۡ رَضُوۡا مَاۤ اٰتٰٮهُمُ اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗۙ<br />”কতই না ভাল হতো- যদি মুনাফিকরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল প্রদত্ত্ব গণিমতের সম্পদে রাযী থাকতো”’। (তাওবা-৫৯)<br /> (১৯) وَقَالُوۡا حَسۡبُنَا اللّٰهُ سَيُؤۡتِيۡنَا اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ وَرَسُوۡلُهٗ <br />(আর মুনাফিকরা যা পেয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট থেকে)- ”যদি তারা বলতো-আল্লাহ ও তাঁর রাসুল আপন অনুগ্রহে যা দিয়েছেন- এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট- তাহলে কতই না ভাল হতো।” (তাওবা-৫৯)<br />(২০) وَاللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗۤ اَحَقُّ اَنۡ يُّرۡضُوۡهُ اِنۡ كَانُوۡا مُؤۡمِنِيۡنَ<br />”আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলকে রাজী রাখাই অত্যাবশ্যক - যদি তার মো’মেন হয়ে থাকে।” (তাওবা-৬২)<br /> (২১) اَلَمۡ يَعۡلَمُوۡۤا اَنَّهٗ مَنۡ يُّحَادِدِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ فَاَنَّ لَهٗ نَارَ جَهَنَّمَ خٰلِدًا فِيۡهَا‌ؕ<br />”তারা কি একথা অবগত নয় যে, যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের সাথে শত্রুতা করেছে- তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন।” (তাওবা-৬৩)<br /> (২২) اَغۡنٰٮهُمُ اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗ مِنۡ فَضۡلِهٖ‌ۚ<br />”আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসুল আপন অনুগ্রহে তাদেরকে ধনী বানিয়েছে।” (তাওবা-৭৪)<br /> (২৩) وَاِذَا دُعُوۡۤا اِلَى اللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖ لِيَحۡكُمَ بَيۡنَهُمۡ اِذَا فَرِيۡقٌ مِّنۡهُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ<br />”যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসুল মোনাফিকদেরকে আহবান করেন তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দিতে, তখন তাদের একটি দল মুখ ফিরিয়ে নেয়।” (ছুরা নূর-৪৮)<br /> (২৪) أَفِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ أَمِ ارْتَابُوا أَمْ يَخَافُونَ أَن يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ وَرَسُولُهُ <br />“মুনাফিকরা কি ভয় পায় যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তাদের প্রতি অবিচার করবে?” (নূর-৫০)<br /> (২৫) اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖ <br />“প্রকৃত মুমিনতো তারাই- যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছে।“ (নূর-৬২)।<br /> (২৬) وَلَمَّا رَاَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الۡاَحۡزَابَۙ قَالُوۡا هٰذَا مَا وَعَدَنَا اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗ <br />(খন্দকের যুদ্ধে শত্রুসৈন্য দেখে সাহাবীগণ বলে উঠলেন) - “এরই তো আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল।” (আহযাব-২২)<br /> (২৭) وَصَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَمَا زَادَهُمْ إِلَّا إِيمَانًا وَتَسْلِيمًا <br />(সাহাবীগণ আরো বললেন) - “আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সত্য বলেছেন। এতে তাদের ঈমান ও আত্মসমর্পনের মনোভাব আরো বৃদ্ধি পেলো।” (আহযাব-২২)<br /> (২৮) وَإِن كُنتُنَّ تُرِدْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الْآخِرَةَ فَإِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْمُحْسِنَاتِ مِنكُنَّ أَجْرًا عَظِيمًا<br /> “হে নবীপত্নীগণ, তোমরা যদি ভোগবিলাস ত্যাগ করে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল এবং আখেরাতকে প্রাধান্য দাও, তাহলে তোমাদের পূতঃ পবিত্রজনদের জন্য আল্লাহ্ তায়ালা বিরাট পুরস্কার তৈরী করে রেখেছেন।” (আহযাব-২৯)<br /> (২৯) وَمَن يَقْنُتْ مِنكُنَّ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ وَتَعْمَلْ صَالِحًا نُّؤْتِهَا أَجْرَهَا مَرَّتَيْنِ وَأَعْتَدْنَا لَهَا رِزْقًا كَرِيمًا<br />“হে ঃপত্নীগণ, তোমাদের মধ্যে যিনি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অনুগত হবে এবং নেক আমল করবে, আমি তাঁকে ডাবল পুরস্কার দেবো।” (আহযাব-৩১)<br /> (৩০) وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٍ وَّلَا مُؤۡمِنَةٍ اِذَا قَضَى اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗۤ اَمۡرًا اَنۡ يَّكُوۡنَ لَهُمُ الۡخِيَرَةُ مِنۡ اَمۡرِهِمۡؕ <br />“কোন বিষয়ে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল নির্দেশ দেয়ার পর ঐ বিষয়ে কোন ঈমানদার পুরুষ এবং কোন ঈমানদার নারীর ভিন্নমত পোষণ করার অধিকার নেই।” (আহযাব-৩৬)<br />(যায়েদ ইবনে হারেছার (رضي الله عنه) সাথে বিবি যয়নব (رضي الله عنه) এর বিবাহের ব্যাপারে তাঁর ভাই আবদুল্লাহর আপত্তি সম্পর্কে এই উক্তি)।<br /> (৩১) وَمَنۡ يَّعۡصِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلٰلاً مُّبِيۡنًاؕ‏ <br />“আর যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্য হবে- তারা স্পষ্ট গোমরাহীর মধ্যে পতিত হয়ে গিয়েছে।” (আহযাব-৩৬)<br /> (৩২) اِنَّ الَّذِيۡنَ يُؤۡذُوۡنَ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ لَعَنَهُمُ اللّٰهُ فِىۡ الدُّنۡيَا وَالۡاٰخِرَةِ <br />“যারা আল্লাহ্ ও তাঁর প্রিয় রাসুলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও পরকালে লা’নত করবেন বা অভিশপ্ত করবেন।” (আহযাব-৫৭)<br /> (৩৩) إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا - لِتُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُعَزِّرُوهُ وَتُوَقِّرُوهُ وَتُسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا <br />“হে প্রিয় রাসুল, আমি আপনাকে চাক্ষুস স্বাক্ষী (হাযির-নাযির), জান্নাতের সুসংবাদদাতা ও জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শনের ক্ষমতা দিয়ে প্রেরণ করেছি - যাতে তোমরা (মানুষ) আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আন, রাসুলকে সাহায্য করো, তাঁকে উচ্চমানের সম্মান প্রদর্শন করো এবং সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর সালাত পাঠ করো।” (আল-ফাত্হঃ ৮-৯)<br /> (৩৪) يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُقَدِّمُوۡا بَيۡنَ يَدَىِ اللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖ‌ <br />“হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ্ রাসুলের সামনে আগ বাড়িয়ে কিছু করোনা।” (হুজুরাত-১)<br /> (৩৫) اٰمِنُوۡا بِاللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖ وَاَنۡفِقُوۡا مِمَّا جَعَلَكُمۡ مُّسۡتَخۡلَفِيۡنَ فِيۡهِ‌ؕ <br />“তোমরা ঈমান আনো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপর- আর ব্যয় কর ঐ সম্পদ থেকে- আল্লাহ যার উত্তরাধিকারী করেছেন তোমাদেরকে।” (ছুরা হাদীদ-৭) <br />(৩৬) وَمَا لَكُمۡ لَا تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰهِ‌ۚ وَالرَّسُوۡلُ يَدۡعُوۡكُمۡ لِتُؤۡمِنُوۡا بِرَبِّكُمۡ <br />“তোমাদের কি হলো যে, তোমরা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করছোনা? - অথচ রাসুল [ﷺ] তোমাদেরকে আহবান জানাচ্ছেন - যাতে তোমরা তোমাদের রবের প্রতি ঈমান আন।” (হাদীদ-৮)<br /> (৩৭) وَالَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ أُوْلَئِكَ هُمُ الصِّدِّيقُونَ وَالشُّهَدَاء عِندَ رَبِّهِمْ<br />“যারা আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসুলের উপর ঈমান এনেছে, তারাইতো আল্লাহর নিকট সিদ্দিক ও শহীদ বলে গণ্য।” (হাদীদ-১৯)<br /> (৩৮) اِنَّ الَّذِيۡنَ يُحَآدُّوۡنَ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ كُبِتُوۡا <br />“যারা আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসুলের বিরুদ্ধাচারণ করে- তারা অপদস্ত হয়েছে।” (মুজদালাহ-৫)<br /> (৩৯) لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ<br /> “হে প্রিয় রাসুল, যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী - এমন কাউকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসুলের বিরুদ্ধাচরণকারীর সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনকারীরূপে পাবেননা।” (মুজাদালাহ-২২, তাঁদের উপাধী রাদিয়াল্লাহু আনহু)<br /> (৪০) وَلِلّٰهِ الۡعِزَّةُ وَلِرَسُوۡلِهٖ وَلِلۡمُؤۡمِنِيۡنَ وَلٰكِنَّ الۡمُنٰفِقِيۡنَ لَا يَعۡلَمُوۡنَ <br />“শক্তি ও সম্মান তো আল্লাহ ও রাসুলের এবং মোমিনদের প্রাপ্য - কিন্তু মুনাফিকরা তার ভেদ জানেনা।” (ছুরা মুনাফিকুন-৮)</div><div dir="ltr">নোটঃ ‘আল্লাহ ও রাসুলের নাম একসাথে পাশাপাশি’- এর প্রমাণস্বরূপ কোরআন মজিদ থেকে মাত্র ৪০টি আয়াত উল্লেখ করা হলো। কোরআনের সর্বত্র আল্লাহ-রাসুলের নাম একসাথে এসেছে। খোদ ঈমানী কালেমায় “আল্লাহ ও মুহাম্মদ” নাম একসাথে পাশাপাশি রয়েছে। এর মধ্যখানে “এবং” অব্যয়টি নেই। এতেই বুঝা যায়-আল্লাহ-রাসুল কত ঘনিষ্ট।</div><div dir="ltr">কি সাধ্য আছে মোর-গাইতে নবীর গান<br />কলম মোর ধন্য হলো-লিখে নবীর শান।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">কোরবানীর মাসআলা মাসাইল শিখতে এখানে ক্লিক করুন <a href="https://islamijiboon.blogspot.qa/search/label/%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80" target="_blank">কোরবানীর মাসআলা</a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-w3tohB2mOvY/WaOcXVQ04gI/AAAAAAAAAfE/BVIj0kuXSQQgLmph5-RRlzlbqoW3WNcNQCHMYCw/s1600/allah%2Bmuhammad%2B-.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-w3tohB2mOvY/WaOcXVQ04gI/AAAAAAAAAfE/BVIj0kuXSQQgLmph5-RRlzlbqoW3WNcNQCHMYCw/s640-rw/allah%2Bmuhammad%2B-.jpg" /> </a> </div></div>

কোরআনে নবীর নামের সাথে ৪০ জায়গায় আল্লাহর নাম

সংযোজনী-৪ কোরআন মজিদের ৪০ আয়াতে আল্লাহ-রাসুলের নাম একসাথে পাশাপাশি লিখাঃ যেমন- (১) وَمَنۡ يُّطِعِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ يُدۡخِلۡهُ جَنّٰتٍ تَ...

Read more »

নবীজীর পবিত্র নামসমুহ

<p dir="ltr"><br>হযরত রাসুল করিম [ﷺ]-এঁর পবিত্র ১৬১ নামঃ<br>আল্লাহর যেমন যাতি ও সিফাতি নাম আছে-তদ্রুপ নবী করিম [ﷺ]-এঁরও যাতি এবং সিফাতি নাম আছে। আল্লাহ তায়ালার ৯৯ নাম। রাসূলে পাকেরও ৯৯ নাম। আবু বকর ইবনে আরবী (رحمة الله عليه) বলেছেন- সুফিয়ায়ে কেরামের মতে আল্লাহর এক হাজার নাম এবং রাসূলে পাকেরও এক হাজার নাম। কাযী আয়ায (رحمة الله عليه) বলেন- আল্লাহ তাঁর ৯৯ নাম থেকে ৩০ টি নবীজীকে দান করেছেন। শেখ আবদুল হক মোহাদ্দেছ দেহলভী (رحمة الله عليه) তাঁর মাদারেজ গ্রন্থে এবং আল্লামা কাসতুলানী তাঁর মাওয়াহিব গ্রন্থে বলেছেন- আল্লাহ তায়ালা ৯৯ নাম থেকে ৭০ টি নাম রাসুল [ﷺ]-কে দান করেছেন। (দেখুন আনওয়ারে মোহাম্মদীয়া)<br> <br>ইমামে আহলে সুন্নাত ইমাম আহমদ রেযা (رضي الله عنه)-এঁর মতে হুযুরের ১৪০০ সিফাতি নাম রয়েছে। ঐ সব পবিত্র নাম বিভিন্ন গ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে। মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া কিতাবে আল্লামা শিহাবুদ্দিন কাস্-তুলানী শারেহে বোখারী এরূপ চার শতাধিক নামের তালিকা লিখেছেন। উক্ত গ্রন্থ থেকে আল্লামা ইউসুফ নাব্-হানী (رضي الله عنه) তাঁর আনওয়ারে মোহাম্মদীয়া গ্রন্থে কতিপয় নামের উল্লেখ করেছেন। ইমামে আহ্-লে সুন্নাত শাহ আহ্-মদ রেযা খান (رضي الله عنه) তার তাফসীর ”কান্-যুল ঈমানে” হুযুর [ﷺ]-এঁর কতিপয় নাম লিখেছেন। উক্ত দুটি গ্রন্থ হতে নিম্ন তালিকা পেশ করা হলো- লেখক।<br>বিঃ দ্রঃ প্রত্যেক নামের পরে দুরূদ শরীফ পড়ে নেবেন।<br>১। محمد ﷺ, ২। احمد (আহমদ) [ﷺ], ৩। محمود (মাহমুদ), ৪। نور (নূর) <br>৫। منير (মুনির), ৬। اول (আউয়াল), ৭। اخر (আখির), ৮। ظاهر (যাহির)<br>৯। باطن (বাত্বিন), ১০। بر (বাররুন), ১১। رؤوف (রাউফুন), ১২। رحيم (রাহিমুন) <br>১৩। حق (হাককুন), ১৪। بين (বাইয়েনুন), ১৫। عظيم (আযীমুম), ১৬। عزيز (আযিযুন)<br>১৭। جبار (জাববারুন), ১৮। عليم (আলীমুন), ১৯। حليم (হালীমুন), ২০। خبير (খবীরুন)<br>২১। كريم (কারীমুন), ২২। رشيد (রাশীদুন), ২৩। بصير (বাচীরুন), ২৪। شكور (শাকুরুন)<br>২৫। حبيب (হাবীবুন), ২৬। حسيب (হাছীবুন), ২৭। مجيب (মুজীবুন), ২৮। مؤمن (মু’মিনুন)<br>২৯। امين (আমীনুন), ৩০। مامون (মা’মুনুন), ৩১। مؤتمن (মু’তামিনুন), ৩২। حافظ (হা-ফিযুন)<br>৩৩। ناصر (না-ছিরুন), ৩৪। كامل (কা-মিলুন), ৩৫। منصور (মানছুরুন), ৩৬। قريب (ক্বারীবুন)<br>৩৭। متين (মাতীনুন), ৩৮। شهيد (শাহীদুন), ৩৯। شاهد (শা-হিদুন), ৪০। شفيع (শাফীউন) <br>৪১। شافع (শা-ফিউন), ৪২। يتيم (ইয়াতিমুন), ৪৩। شارع (শা-রিউন), ৪৪। ولى (ওয়ালিয়্যুন) <br>৪৫। وفي (ওয়াফিয়্যুন), ৪৬। صفي (ছাফিয়্যুন), ৪৭। نقي (নাকিয়্যুন), ৪৮। قوي (ক্বাভিয়্যুন) <br>৪৯। حفي (হাফিয়্যুন), ৫০। امر (আ-মিরুন), ৫১। ناهي (না-হিয়ুন), ৫২। امى (উম্মিয়্যুন) <br>৫৩। احيد (উহীদুন), ৫৪। اولى (আওলা), ৫৫। اكرم الناس (আক্ রামুন্নাছ), ৫৬। امام الخير (ইমামুল খাইরী)<br>৫৭। امام المتقين (ইমামুল মুত্তাক্বীন), ৫৮। امام النبيين (ইমামুন নাবিয়্যীন), ৫৯। بشير (বাশীরুন), ৬০। نذير (নাযীরুন)<br>৬১। برهان (বুরহানুন), ৬২। (نارقليط বারক্বালীত), ৬৩। تهامي (তিহামিয়্যুন), ৬৪। جواد (জাওয়াদুন)<br>৬৫। حاشر (হা-শিরুন), ৬৬। حامد (হা-মিদুন), ৬৭। حماد (হাম্মাদুন), ৬৮। حجاذي (হিজাযিয়্যুন)<br>৬৯। حنيف (হানীফুন), ৭০। حمطايا (হামত্বায়া), ৭১। خليل (খালীলুন), ৭২। خاتم (খা-তামুন)<br>৭৩। خليفة (খালীফাতুন), ৭৪। خير البرية (খাইরুল বারিয়্যাহ), ৭৫। خيرةالله (খিয়ারাতুল্লাহ), ৭৬। خطيب الانبياء (খাতীবুল আম্বিয়া)<br>৭৭/৭৮। (دليل الخيرات দালীলুল খাইরাত), ৭৯। دارالحكمة (দারুল হিকমাহ্), ৮০। رسول (রাছুলুন), <br>৮১। رسول الرحمة (রাছুলুর রাহমাত), ৮২। روح القدس (রুহুল কুদ্দুছ), ৮৩। رحمة للعالمين (রাহমাতুল্লিল আলামিন)<br>৮৪। سراج (ছিরাজুন), ৮৫। سعيد (ছায়ীদুন), ৮৬। مسعود (মাছউদুন), ৮৭। سيد (ছাইয়েদুন), ৮৮। شمس (শামছুন)<br>৮৯। قمر (ক্বামারুন), ৯০। شاف (শাফিন), ৯১। صادق (ছাদিকুন), ৯২। مسدوق (মাছদূকুন) <br>৯৩। صالح (ছালিহুন), ৯৪। مصلح (মুছলিহুন), ৯৫। صفوة (ছাফওয়াতুন), ৯৬। صفوح (ছাফুহুন)<br>৯৭। صاحب الواء (ছাহিবুল লিওয়া), ৯৮। صاحب الحوض الكوثر (ছাহিবুল হাউযিল কাউসার)<br>৯৯। صاحب المقام المحمود (ছাহিবুল মাক্বামিল মাহমুদ), ১০০। صاحب المعجزات (ছাহিবুল মুজিযাত)<br>১০১। ضحاك (দাহ্-হাকুন), ১০২। طيب (ত্বাইয়িবুন), ১০৩। طاهر (ত্বা-হিরুন), ১০৪। مطهر (মুত্বাহ্হারুন)<br>১০৫। طه (ত্বা-হা), ১০৬। طاب طاب (ত্বাবত্বাব), ১০৭। عادل (আ-দিলুন), ১০৮। عاقب (আ-ক্বিবুন)<br>১০৯। عبدالله (আবদুল্লাহ), ১১০। علم اليقين (ইলমুল ইয়াক্বীন), ১১১। عروة وثقى (উরওয়াতুন উছক্বা)<br>১১২। عطوف (আতূফুন), ১১৩। عفو (আফ্উন), ১১৪। فاتح (ফা-তিহুন), ১১৫। فاروق (ফা-রুকুন)<br>১১৬। قاسم (ক্বা-ছিমুন), ১১৭। قرشي (ক্বারশিউন), ১১৮। قثم (কুছামুন), ১১৯। مزمل (মুযাম্মিলুন)<br>১২০। مدثر (মুদাচ্ছিরুন), ১২১। ماحي (মা-হিয়ুন), ১২২। مصباح (মিছবাহুন), ১২৩। مخمنا (মুখমিনান)<br>১২৪। مشفح (মুশাফফিহুন), ১২৫। مقيم السنة (মুক্বীমুছ ছুন্নাত), ১২৬। ماذماذ (মাযমায)<br>১২৭। موذموذ (মুযমুয), ১২৮। مذكر (মুজাক্কিরুন), ১২৯। مبلغ (মুবাল্লিগুন), ১৩০। ميسر (মুয়াছছিরুন) <br>১৩১। مبشر (মুবাশশিরুন), ১৩২। منذر (মুনযিরুন), ১৩৩। مبارك (মুবারাকুন), ১৩৪। مختار (মুখতারুন)<br>১৩৫। مولى (মাওলা), ১৩৬। مكى (মাক্কিয়্যুন), ১৩৭। مد يي (মাদানিয়্যুন), ১৩৮। عربي (আরাবিয়্যুন)<br>১৩৯। مصطفى (মুস্তাফা), ১৪০। مجتبى (মুজতাবা), ১৪১। مرتضى (মুরতাদ্বা), ১৪২। مؤيد (মুআইয়িদুন)<br>১৪৩। مخلص (মুখলিছুন), ১৪৪। مقدس (মুক্বাদ্দাছুন), ১৪৫। معصوم (মা’ছুমুন), ১৪৬। مكين (মাকীনুন)<br>১৪৭। منج (মুনজিন), ১৪৮। مفتاح الجنة (মিফতাহুল জান্নাত), ১৪৯। مدينة العلم (মাদীনাতুল ইলম)<br>১৫০। نقيب (নাক্বীবুন), ১৫১। نبى (নাবিয়্যুন), ১৫৭। هادي (হা-দিয়ুন), ১৫৮। الهدى (আলাহুদা)<br>১৫৯। هدية الله (হাদ্ইয়াতুল্লাহ), ১৬০। يس (ইয়াছিন), ১৬১। حم (হা-মীম) <br><br></p><p dir="ltr">ইসলামের পঞ্চবেনাঃ<br>ইসলামের পঞ্চবেনা নাযিলের ক্রমধারা- উক্ত পঞ্চবেনার তাবলীগ করা ফরযে কেয়ায়াঃ <br>১। কলেমা বা ইমানঃ জাবালে নূর বা গারে হেরায় ৬১০ খৃষ্টাব্দে ২৭শে রমযান সোমবারে নাযিল হয়েছে।<br>২। নামায বা ছালাতঃ নবুয়তের দ্বাদশ সালে রজবের ২৭ তারিখ শবে মে’রাজে লা মাকানে ফরয করা হয়েছে।<br>৩। রোযা বা সিয়ামঃ ২য় হিজরীর শা’বান মাসের ১৫ই শবে বরাত রাত্রে ফরয হয়েছে।<br>৪। যাকাতঃ ২য় হিজরীর মধ্য রমযানে ফরয হয়েছে। <br>৫। হজ্বঃ ৯ম হিজরীর শাওয়াল মাসে ফরয হয়েছে।</p><p dir="ltr">হানাফী মাযহাব মতে আল্লাহর হক্ব- ঈমান, নামায, রোযা ও হজ্ব প্রথমে এবং বান্দার হক্ব যাকাত পরে হবে। এই ক্রমানুসারেই সমন্বয় করতে হবে। (কলেমা, নামায, রোযা, হজ্জ্ব ও যাকাত)</p><p dir="ltr">বি দ্রঃ মোট ২২ বৎসরে ইসলামের পঞ্চবেনা নাযিল হয়েছে। ঈমানের ১২ বৎসর পর নামায, ১৫ বৎসর পর রোযা ও যাকাত এবং ২২ বৎসর পর হজ্বের আদেশ নাযিল হয়েছে। ক্রম অনুসারেই গুরুত্ব।<br></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-UDy5HX84mj8/WaObqQ2th4I/AAAAAAAAAe8/XUHLYTT_22sWAgP-r_79LkIcNhya8odRQCHMYCw/s1600/images-7.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-UDy5HX84mj8/WaObqQ2th4I/AAAAAAAAAe8/XUHLYTT_22sWAgP-r_79LkIcNhya8odRQCHMYCw/s640-rw/images-7.jpg"> </a> </div>

নবীজীর পবিত্র নামসমুহ

হযরত রাসুল করিম [ﷺ]-এঁর পবিত্র ১৬১ নামঃ আল্লাহর যেমন যাতি ও সিফাতি নাম আছে-তদ্রুপ নবী করিম [ﷺ]-এঁরও যাতি এবং সিফাতি নাম আছে। আল্লাহ তায়ালার ...

Read more »

এক নজরে নবীজীর বংশ পরিচয়

<p dir="ltr"><br>এক নযরে নবীজীর বংশ পরিচয়<br>চার কুরছি<br>১। সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা [ﷺ]<br>২। মাতাঃ হযরত আমেনা (رضي الله عنها) (মুসলিম)।<br>৩। পিতাঃ হযরত আবদুল্লাহ (رضي الله عنه) (মুসলিম)।<br>৪। দাদাঃ আবদুল মোত্তালিব (হানীফ-মিল্লাতে ইবরাহীমী)।<br>৫। দাদার পিতাঃ হাশেম (হানীফ-মিল্লাতে ইবরাহীমী)।<br>৬। দাদার পিতামহঃ আব্দে মুনাফ (হানীফ-মিল্লাতে ইবরাহীমী)।<br> <br>পবিত্র উম্মাহাতুল মোমিনীন<br>১। হযরত খাদিজাতুল কোবরা (رضي الله عنه) (প্রথম মুসলিম জননী) -কোরায়শী।<br>২। হযরত ছাওদা বিনতে জামআ (رضي الله عنه) -কোরায়াশী।<br>৩। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা বিনতে আবু বকর (عليه السلام)<br>৪। হযরত হাফছা বিনতে ওমর (رضي الله عنه)<br>৫। হযরত উম্মে হাবীবা বিনতে আবু সুফিয়ান (رضي الله عنه)<br>৬। হযরত উম্মে ছালমা (رضي الله عنه) বিনতে আবু উমাইয়া<br>৭। হযরত যয়নব (رضي الله عنه) বিনতে জাহাশ (ফুফাতো বোন) -বনী আছাদ, আরবী।<br>৮। হযরত যয়নব (رضي الله عنه) বিনতে খোযায়মা উম্মুল মাছাকীন -বনী হেলাল, আরবী।<br>৯। হযরত মায়মুনা (رضي الله عنه) বিনতে হারেছ -বনী হেলাল, আরবী।<br>১০। হযরত জোয়াইরিয়া (رضي الله عنه) বিনতে হারেছ -বনী মোসতালাক, আরবী।<br>১১। হযরত ছফিযা (رضي الله عنه) বিনতে হুয়াই -বনী নাযির, ইসলাইলী, খায়বর।<br>১২। হযরত মারিয়া কিবতিয়া (رضي الله عنه) -মিশরীয় কিব্তী বংশ।</p><p dir="ltr">পবিত্র সন্তান সন্তুতি :<br>১। হযরত কাছেম (رضي الله عنه)<br>২। হযরত আবদুল্লাহ (رضي الله عنه) (তৈয়্যেব ও তাহের উপাধী)।<br>৩। হযরত ইব্রাহীম (رضي الله عنه)<br>৪। হযরত জয়নব (رضي الله عنه)।<br>৫। হযরত রোকাইয়া (رضي الله عنه)<br>৬। হযরত উম্মে কুলছুম (رضي الله عنه)<br>৭। হযরত ফাতিমা (رضي الله عنها), বেহেস্তী মহিলাগণের ছয়দার এবং পরবর্তী আওলাদে রাসুলগণের জননী।<br>(হযরত ইবরাহীম (رضي الله عنه) মারিয়া কিবতিয়া (رضي الله عنه)-এঁর গর্ভে এবং অন্যান্য ৬ অথবা ৮ জন সবাই হযরত খদিজার (رضي الله عنها) এর গর্ভে।<br></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-_ZtlTStjR6I/WaObOnesVYI/AAAAAAAAAe4/mw1a29ZqyKwepvNut-uuq-GFP0_WIHLUgCHMYCw/s1600/FB_IMG_14760255499275369.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-_ZtlTStjR6I/WaObOnesVYI/AAAAAAAAAe4/mw1a29ZqyKwepvNut-uuq-GFP0_WIHLUgCHMYCw/s640-rw/FB_IMG_14760255499275369.jpg"> </a> </div>

এক নজরে নবীজীর বংশ পরিচয়

এক নযরে নবীজীর বংশ পরিচয় চার কুরছি ১। সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা [ﷺ] ২। মাতাঃ হযরত আমেনা (رضي الله عنها) (মুসলিম)। ৩। পিতাঃ হযর...

Read more »

নবী পাকের কতিপয় একক মর্যাদা

<p dir="ltr">ক সংযোজনী-১<br>নবী করিম [ﷺ]-এঁর কতিপয় একক মর্যাদা<br>নবী করিম [ﷺ] এরশাদ করেছেন- “আমাকে আল্লাহ তায়ালা পাঁচটি বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন-যা আমার পূর্বে কোন নবীকেই দান করেননি।” তা হচ্ছে-<br>১। আমাকে ব্যাপক অর্থবোধক সংক্ষিপ্ত কালাম করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।<br>২। প্রত্যেক নবী তাঁদের স্বজাতির প্রতি প্রেরিত, কিন্তু আমি নিখিল বিশ্বনবী।<br>৩। আমার পূর্বে যুদ্ধলব্ধ গণিমতের মাল হালাল ছিল না। কিন্তু আমার উম্মতের জন্য তা হালাল।<br>৪। আমার উম্মতের জন্য সমগ্র জমিনকেই সিজদার উপযুক্ত করে দেয়া হয়েছে এবং পানির অভাবে অযু গোসলের পরিবর্তে মাটি দ্বারা তৈয়ম্মুম করার অনুমতিও দেয়া হয়েছে।<br>৫। এক মাসের দূরত্বে আমার নামের ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে। (মিশকতা)<br>৬। আমাকে সবার জন্য শাফাআত করার অধিকার দেয়া হয়েছে। - (বোখারী শরীফ)<br>৭। আলশ-করছি, লওহ-কলম, আসমান-জমিন, চন্দ্র-সূর্য সব মাখলুক নবীজীর নূরে পয়দা আর তিনি পয়দা স্বয়ং আল্লাহর যাতী নূর হতে। মুসান্নাফ-হযরত জাবের (رضي الله عنه)<br>৮। আরশে আযীমে আল্লাহর নামের সাথে শুধু নবী করিম [ﷺ]-এঁর নাম মোবারক অঙ্কিত। কানযুল ওম্মাল<br>৯। তিনি নির্মল ও পাক পবিত্র অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছেন।-ইবনে ছাআদ<br>১০। শিশুকালে চাঁদের সাথে তিনি কথা বলতেন ও খেলা করতেন।-আব্বাস (رضي الله عنه)<br>১১। খররৌদ্রতাপে মেঘমালা তাঁকে ছায়া দিত।-আবু নোয়াইম<br>১২। কোরআন মজিদে হুযুর [ﷺ]-এঁর প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গের বিবরণ-আল-কোরআন<br>১৩। তিনি সামেন, পিছনে, দিনে ও রাত্রে সমান দেখতেন।-বুখারী, বায়হাকী<br>১৪। তিনি নিদ্রাবস্থায়ও সবকিছু দেখতে ও শুনতেন।-বোখারী<br>১৫। হুযুর [ﷺ]-এঁর ঘাম মোবারক মেশ্ক-এঁর চেয়েও বেশি সুগন্ধ ছিল। - আবু নোয়াইম<br>১৬। তাঁর দেহ মোবারকের ছায়া ছিল না। কেননা, তিনি ছিলেন আপাদমস্ত নূর। -তাফসীরে কবীর ও শিফা শরীফ<br>১৭। মি’রাজ রজনীতে সশরীরে ও সচক্ষে আল্লাহর দীদার লাভ। বিশ্ব জগত তাঁর পদতলে। তিনি লা-মাকানের বাসিন্দা। -বোখারী ও মুসলিম ও এবং মুসান্নাফ<br>১৮। নবীগণের মধ্যে একমাত্র তিনিই উম্মী (সৃষ্টির মূল) উপাধী প্রাপ্ত। -রুহুল বয়ান<br>১৯। সমস্ত ধনভাণ্ডার ও ইলমে গায়েব-এঁর চাবি তাঁর অধিকারে। - বুখারি, মুসলিম ও মাওয়াহিব<br>২০। তিনি পঁয়ষট্টি হাজার মোজেযার অধিকারী। অন্যান্য নবীগণ অনধিক নয়টির অধিকারী। -পয়গামে মোহাম্মদী<br>২১। সমস্ত নবীগণের সম্মিলিত উম্মতের চেয়ে হুযুর [ﷺ]-এঁর উম্মত বেশী। -সুরা কাউছার<br>২২। সমস্ত নবীগণকে নাম ধরে সম্বোধন, কিন্তু হুজুর [ﷺ]-কে তাঁর উপাধী ধরে সম্বোধন করা হয়েছে। -আল-কোরআন<br>২৩। সকল নবী আল্লাহর প্রেমিক, কিন্তু আল্লাহ হলেরন নবীজীর প্রেমিক। তিনি একাধারে খলিলুল্লাহ ও হাবীবুল্লাহ (আল্লাহর প্রেমিক ও প্রেমাস্পদ)। -মাওয়াহিব<br>২৪। তিনি ভুল-ত্রুটি হতে সম্পর্ণ মুক্ত। -দিওয়ানে হাসসান ও বায়যাভী<br>২৫। কবরে শুধু হুযুর [ﷺ]-এঁর পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হবে-অন্য কোন নবীর পরিচয় নয়।-তাফসীরে নাঈমী ও মাওয়াহিব<br>২৬। শয়তান নবী করিম [ﷺ]-এঁর সুরত ধারণ করতে পারেনা। -মেশকাত ও বুখারী<br>২৭। রাসুল [ﷺ]-এঁর সকল সাহাবী আদেল ও নির্ভরযোগ্য। -মাওয়াহিব<br>২৮। শরীয়তের বিধানে বিশেষ ব্যক্তির জন্য তিনি বিশেষ ধরণের বিধান নির্ধারনের এখতিয়ার প্রাপ্ত। যেমন-সাহাবী খোযায়মার সাক্ষী দু’জনের সমান, হযরত ফাতিমার উপর অন্য স্ত্রী গ্রহণ করা হযরত আলীর জন্য হারাম ঘোষণা। -মাওয়াহিব<br>২৯। বিনা ইমামে এবং চার তকবীর ব্যতিত শুধু দরুদ ও সালামের মাধ্যমে হুযুর [ﷺ]-এঁর জানাযা। -মাওয়াহিব ও বেদায়া<br>৩০। রওযা মোবারকে দুনিয়ার শরীর মোবারক নিয়েই জীবিত বা হায়াতুন্নবী। তিনি মদিনা শরীফ থেকেই সমস্ত উম্মতের সালাম শুনতে পান। -তাবরানী শরীফ<br>৩১। দিনে-রাতে একলাখ চল্লিশ হাজার ফেরেশতা রওযা পাকে কিয়াম অবস্থায় দরুদ পাঠে রত। -মিশকাত<br>৩২। কেয়ামতের দিনে ৭০ হাজার ফিরেস্তা বেষ্টিত হয়ে নবীজীর ময়দানে হাশরে গমন। -মিশকাত-কা’ব আহ্বার<br>৩৩। তিনি চাঁদকে আঙ্গুলের ইশারায় দ্বি-খ–িত করেছিলেন। -আল কোরআন ও হাদীস<br>৩৪। মাকামে সাহবায় ৭ম হিজরীতে তিনি ডুবন্ত সূর্যকে পুনরায় উদিত করেছিলেন। -বেদায়া নেহায়া-আসমা বিনতে উমায়ছ বর্ণিত হাদীস<br>৩৫। আল্লাহর মাহমুদ ও আহাদ নাম হতে নবীজীর নাম মুহাম্মদ ও আহমদ রাখা হয়েছে। -তাফসীর রুহুল বয়ান ও হযরত হাসসান (رضي الله عنه)<br>৩৬। আল্লাহর ৯৯ সিফাতি নামের মধ্যে ৭০টি নাম রাসুল [ﷺ]-কে দান করা হয়েছে। যেমন-রাহিম, করিম, রাউফ, আউয়াল, আখের, যাহের, বাতেন, নূর ইত্যাদি। -মাদারেজুন্নবুয়ত।<br>৩৭। রাসুল [ﷺ] সকল নবী ও উম্মতের কার্যকলাপের একমাত্র চাক্ষুস সাক্ষী-হাযির ও নাযির। -আল কোরআন ও আখবারুল আখইয়ার-আবদুল হক দেহলভী<br>৩৮। মাকামে মাহমুদের (শাফাআত-কুবরা) অধিকারী একমাত্র নবী করিম [ﷺ]। -আল কোরআন<br>৩৯। ৭০ হাজার উম্মত বিনা হিসাবে নবীজীর শাফাআতে বেহেস্তী। আবার প্রত্যেকের সাথে পুনরায় ৭০ হাজার করে সর্বমোট চারশ নব্বই কোটি বিনা হিসাবে বেহেস্তী। -হাদিকা, মাওয়াহিব, কাযী আয়ায<br>৪০। রওযা মোবারক আরশ হতেও উত্তম। - মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া, ফতোয়া শামী <br>৪১। নামাযের মধ্যে নবী করিম [ﷺ]-কে সম্বোধন করে ছালাম দেওয়া ওয়াজিব। অন্য কাউকে ছালাম দিলে নামায ভঙ্গ। -আলমগীরী ও শামী<br>৪২। ৪০টি আয়াতে আল্লাহ ও রাসূলের নাম একসাথে লিখিত। (সংযোজনী ৪ দেখুন)<br>বিঃ দ্রঃ-ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতি খাসায়েছে কোবরা গ্রন্থে ১২০০ (বার শত) বৈশিষ্ট্য লিপিবদ্ধ করেছেন। নমুনা স্বরূপ ৪২টি বৈশিষ্ট্য পেশ করা হলো। <br>অধম<br>হাফেয মোহাম্মদ আবদুল জলিল<br></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-Mn_YfEhpqYc/WaOa6AjUyII/AAAAAAAAAe0/rhc4NPQynukNDIYPAtBV8QnBMHYVMOLoQCHMYCw/s1600/FB_IMG_14822564047891778.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-Mn_YfEhpqYc/WaOa6AjUyII/AAAAAAAAAe0/rhc4NPQynukNDIYPAtBV8QnBMHYVMOLoQCHMYCw/s640-rw/FB_IMG_14822564047891778.jpg"> </a> </div>

নবী পাকের কতিপয় একক মর্যাদা

ক সংযোজনী-১ নবী করিম [ﷺ]-এঁর কতিপয় একক মর্যাদা নবী করিম [ﷺ] এরশাদ করেছেন- “আমাকে আল্লাহ তায়ালা পাঁচটি বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন-যা আমার পূর্ব...

Read more »

মা ফাতেমার আহজারী

<p dir="ltr">তিষট্টিতম অধ্যায়ঃ হযরত ফাতিমা (رضي الله عنها)-এঁর আহাজারীঃ<br>প্রসঙ্গঃ হযরত ফাতিমা (رضي الله عنها) ও খিযির আলাইহিস সালামের শোক প্রকাশঃ-<br>==========<br>ফাতেমা (رضي الله عنها)’র বিলাপঃ<br>নবী করীম [ﷺ]-এঁর ইন্তিকালের পর হযরত ফাতিমা (رضي الله عنها) এভাবে শোক প্রকাশ করেছিলেন- “হায় আব্বাজান! আপনি আল্লাহর ডাকে প্রস্থান করেছেন। হায় আব্বা-জান্নাতুল ফেরদাউস আপনার আবাসস্থল। হায় আব্বা! ইন্তিকালের সময়ে জিবরাইলের সাথে তো আপনি গোপনে কথা বলেছিলেন।” যখন নবী করিম [ﷺ]-কে দাফন করা হয়, তখন বিবি ফাতিমা (رضي الله عنها) আনাস ইবনে মালেক (رضي الله عنه)-কে লক্ষ্য করে কেঁদে কেঁদে বলেন - হে আনাস! রাসুলে খোদার উপর মাটি স্থাপন করে কি তোমাদের হৃদয় এবার শান্ত হয়েছে”? [বোখারী-সূত্রে আনাস (رضي الله عنه)]</p><p dir="ltr">ফেরেশতার সান্ত্বনা বাণীঃ<br>ইমাম বায়হাকীর একটি দীর্ঘ হাদিস ইবনে কাছির তাঁর আল-বেদায়া গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। উক্ত হাদীসে বলা হয়েছে যে, “নবী করিম [ﷺ] অসুস্থ হওয়ার পর ফেরেশতাগণ দলে দলে এসে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন। ইন্তিকালের দিন হযরত জিব্রাইল (عليه السلام)-এঁর সাথে একজন ফেরেশতা আসলেন। তাঁর নাম ইসমাঈল (عليه السلام)। তাঁর সাথে ছিল একলক্ষ ফেরেশতা - আবার প্রত্যেকের সঙ্গে ছিলেন একলক্ষ ফেরেশতা। এভাবে এক হাজার কেটি ফেরেশতা অনুমতি নিয়ে হযরত জিব্রাইল (عليه السلام) সহ হুযুরের হুজরা মোবারকে প্রবেশ করেন। অতৎপর জিব্রাইল (عليه السلام) বলেন - “ইয়া রাসুলুল্লাহ! মালাকুল মউত আপনার জান কবয করার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করছেন। আপনার পূর্বে তিনি কারো অনুমতি প্রার্থনা করেননি এবং আপনার পরেও কারো অনুমতি প্রার্থনা করবেননা।“ নবী করিম [ﷺ] বললেন - “আসতে বলো।“ আযরাইল (عليه السلام) প্রবেশ করে নবী করিম [ﷺ]-কে সালাম দিয়ে আরয করলেন - “হে প্রিয় মোহাম্মদ [ﷺ]! আল্লাহ তায়ালা আমাকে আপনার খেদমতে এই নির্দেশ দিয়ে পাঠিয়েছেন যে, যদি আপনি জান কবয করার অনুমতি দেন, তাহলেই যেন আমি রূহ মোবারক কবয করি। আর যদি নিষেধ করেন- তাহলে যেন ফিরে যাই।” নবী করিম [ﷺ] জিজ্ঞাসা করলেন - “হে মালাকুল মউত! তুমি কি রুহ কবয করার ইচ্ছা করো?” আযরাইল বললেন - “জ্বী হ্যাঁ, আমি একাজ করতে আদিষ্ট হয়েছি। তবে আমাকে এ নির্দেশও দেয়া হয়েছে যে, আমি যেন আপনার নির্দেশের আনুগত্য করি।“</p><p dir="ltr">নবী করিম [ﷺ] জিবরাইলের দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টি দিলেন। হযরত জিব্রাইল (عليه السلام) বললেন - “হে প্রিয় মোহাম্মদ [ﷺ]! আল্লাহ তায়ালা আপনার দীদারের প্রতীক্ষায় উদগ্রীব হয়ে আছেন। একথা শুনে নবী করিম [ﷺ] আযরাইলকে বললেন - “নির্দেশ মোতাবেক তোমার কাজ সমাধা করোঃ।“ ইন্না নিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!</p><p dir="ltr">হযরত খিযিরের শান্ত্বনা বাণীঃ<br>যখন নবী করিম [ﷺ] ইনতিকাল করলেন, তখন চতুর্দিকে থেকে কান্নার রোল ভেসে আসলো এবং শোকের ছায়া নেমে আসলো ঐ সময় সকলে হুযুরের ঘরের এক কোণ থেকে একটি আওয়ায শুনতে পেলেন - “আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহ্লাল বাইত; ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। প্রত্যেক মসিবেতে শান্ত্বনা একমাত্র আল্লাহর হাতে।”<br>হযরত আলী (رضي الله عنه) অন্যদেরকে বললেন - “ইনি কে, আপনারা কি জানেন? ইনি হচ্ছেন খিযির عليه السلام।” এটা ছিল হযরত আলীর কারামত।</p><p dir="ltr">হযরত আনাস (رضي الله عنه) বলেন - ”নবী করিম [ﷺ]-এঁর ইন্তিকালে সাহাবায়ে কেরাম তাঁর চারপাশে বসে কান্নাকটি করছিলেন। এমন সময় উজ্জ্বল চেহারা ও সাদা দাঁড়ি বিশিষ্ট একজন লোক ঘরে প্রবেশ করে কেঁদে ফেললেন এবং উপস্থিত সাহাবীদের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন - “প্রত্যেক মুসিবতে আল্লাহর হাতেই শান্ত্বনা।” একথা বলেই তিনি চলে গেলেন। লোকেরা একজন অপরজনকে জিজ্ঞাসা করলেন - তাঁকে চিনেন কিনা? হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) ও হযরত আলী (رضي الله عنه) বললেন - “হাঁ! চিনি-ইনি রাসুল পাক [ﷺ]-এঁর সজাতি ভাই, হযরত খিজির (عليه السلام)। <br>(আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া ৫ম খণ্ড ২৭৭ পৃষ্ঠা)।</p><p dir="ltr">হে আল্লাহ! তুমি সকলকে হোববে রাসুল ও দীদারের রাসুল নসীব করো। ওয়া ছাল্লাল্লাহু আলা খাইরি খালক্বিহী ওয়া নূরে যাতিহী ওয়া জীনাতি ফারশিহী সাইয়েদিনা ওয়া মাওলানা মোহাম্মাদিও ওয়া ‘আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন। আমিন!<br>(পাণ্ডুলিপি লেখার কাজ মধ্য মার্চ ’৯৫ থেকে শুরু করে ১৪ ই নভেম্বর ’৯৫ মঙ্গলবার সমাপ্ত)। <br>খাদেমুল ইলম<br>হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল জলিল<br></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-ydqOboYccPc/WaOZNWl8vSI/AAAAAAAAAeo/qHzPxYJMpLkG3EalNWkIgOlTC-oEtw6sQCHMYCw/s1600/12459533475.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-ydqOboYccPc/WaOZNWl8vSI/AAAAAAAAAeo/qHzPxYJMpLkG3EalNWkIgOlTC-oEtw6sQCHMYCw/s640-rw/12459533475.jpg"> </a> </div>

মা ফাতেমার আহজারী

তিষট্টিতম অধ্যায়ঃ হযরত ফাতিমা (رضي الله عنها)-এঁর আহাজারীঃ প্রসঙ্গঃ হযরত ফাতিমা (رضي الله عنها) ও খিযির আলাইহিস সালামের শোক প্রকাশঃ- =======...

Read more »

হায়াতুন্নবীর চাক্ষুষ প্রমাণ

<p dir="ltr"> বাষট্টিতম অধ্যায়ঃ হায়াতুন্নবীর চাক্ষুস প্রমাণঃ<br>প্রসঙ্গঃ মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ ও রওযা মোবারককে মসজিদের ভিতরে আনায়নঃ হযরত ওমর (رضي الله عنه)-এঁর পা এবং রাসুল্লাহ [ﷺ]-এঁর হাত মোবারক প্রকাশ।<br>===========<br>৮৬ হিজরী সনের ঘটনাঃ<br>৮৬ হিজরী সনে উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালিক-এঁর যুগে মসজিদে নববী দ্বিতীয়বার সম্প্রসারিত হয়। তখন মদিনার গভর্ণর ছিলেন হযরত ওমর ইবনে আবদুল আযিয (رضي الله عنه)। তিনি যাজান নামক এক কারিগরের দ্বারা মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ কাজ সমাধা করেন। তিনি মসজিদকে পূর্বদিকে সম্প্রসারণ করে রওযা মোবারককে মসজিদের ভিতরে নিয়ে আসেন।</p><p dir="ltr">সেসময়ে একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছিল-রওযা মোবারকের এক দিকের দেয়াল ঐ সময় ভেঙ্গে যায়। রওযা মোবারকের ভিতর থেকে একখানা পা মোবারক দৃষ্টিগোচর হয়। উপস্থিত সকলে ভীত ও সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়লেন এ কথা ভেবে যে, হয়তো বা তা নবী করিম [ﷺ]-এঁর কদম মোবারক হবে। কিন্তু উপস্থিত হযরত উরওয়াহ্ ইব্নে যোবাইর (رضي الله عنه) অনুসন্ধান করে বললেন-এটা হযরত ওমর (رضي الله عنه)-এঁর কদম মোবারক - রাসুল্লাল্লাহর নয়। সুব্হানাল্লাহ্! ২৩ হিজরীতে হযরত ওমর (رضي الله عنه) শহীদ হন। ৮৬ হিজরীতে এসেও তাঁর কদম মোবারক তরতাজা ছিল। মূলতঃ শহীদগণ অমর।</p><p dir="ltr">৫০৯ ও ৫৫৭ হিজরী সনের ঘটনাঃ<br>অনুরূপভাবে ৫০৯ হিজরী সালে এবং ৫৫৭ হিজরীতে যথাক্রমে হযরত বড়পীড় আবদুল কাদে জিলানী (رضي الله عنه) সাইয়েদ আহমদ রেফায়ী (رضي الله عنه) মদিনা শরীফ যিয়ারতকালে তাঁদের ফরিয়াদে জিন্দা নবীরাসুলে করিম [ﷺ]-এঁর ডান হাত মোবারক রওযা শরীফ থেকে উপরে উঠে আসে এবং তাঁরা হস্ত মোবারক চুম্বন করেন। (বাহ্জাতুল আসরার, নুজহাতুল খাতির, হুসনুল মার্কাসিদ-প্রভৃতি গ্রন্থ)। নবীগণ এবং অলীগণ কবরে যিন্দা থাকেন- তার বাস্তব প্রমাণ উক্ত তিনটি ঘটনা। জালালুদ্দীন সূয়ুতির হুসনুস মাকাসিদ, আবুল হাসান শাত্নুফীর বাহ্জাতুল আসরার ও মোল্লা আলী ক্বারীর নুজহাতুল খাতির গ্রন্থের নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে কারো কোন সন্দেহ থাকতে পারেনা। অধমের রচিত কারামাতে গাউসুল আযম (رضي الله عنه) গ্রন্থে হুযুরের হাত উত্তোলনের আরবী দলীল দেখুন।<br></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-n_UePo2QORc/WaOY31JAjOI/AAAAAAAAAek/HXoR0aIkwLICDrf3G-H8fob1xauRUriTACHMYCw/s1600/Kuba-Masjid-Muhammad-1024x768.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-n_UePo2QORc/WaOY31JAjOI/AAAAAAAAAek/HXoR0aIkwLICDrf3G-H8fob1xauRUriTACHMYCw/s640-rw/Kuba-Masjid-Muhammad-1024x768.jpg"> </a> </div>

হায়াতুন্নবীর চাক্ষুষ প্রমাণ

বাষট্টিতম অধ্যায়ঃ হায়াতুন্নবীর চাক্ষুস প্রমাণঃ প্রসঙ্গঃ মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ ও রওযা মোবারককে মসজিদের ভিতরে আনায়নঃ হযরত ওমর (رضي الله عنه...

Read more »