বাচ্চাদের হজ্জ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="text-align: left;"></div><div style="text-align: justify;">اَلۡحَمۡدُ    لِلہِ    رَبِّ      الۡعٰلَمِیۡنَ     وَالصَّلٰوۃُ    وَالسَّلَامُ     عَلٰی    سَیِّدِ الۡمُرۡسَلِیۡنَ </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">اَمَّا  بَعۡدُ فَاَعُوۡذُ بِا للہِ مِنَ الشَّیۡطٰنِ الرَّجِیۡمِ         ؕ بِسۡمِ اللہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ        ؕ </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">বাচ্চাদের হজ্ব </div><div style="text-align: justify;">======== </div><div style="text-align: justify;">দরূদ শরীফের ফযিলত </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">নবী করীম, রউফুর রহীম, রাসুলে আমীন صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم   ইরশাদ   করেছেন:   “আল্লাহর  যিকির অধিক করা এবং আমার দরূদ  পড়া দারিদ্রতাকে  দূর  করে।” (আল কাওলুল বাদী, ২৭৩ পৃষ্ঠা) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আলমে ওয়াজদ মে রুকছা মেরা পার পার হোতা, </div><div style="text-align: justify;">কাশ! মে গুম্বদে খায্‌রা কা কাবুতর হোতা। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">صَلُّوْا  عَلَی الۡحَبِیۡب!                              صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: বাচ্চাও কি হজ্ব করতে পারে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:   জ্বি,  হ্যাঁ!   যেমন:   হযরত  সায়্যিদুনা   আবদুল্লাহ ইবনে  আব্বাস  رَضِیَ  اللہُ    تَعَالٰی   عَنۡہُ    বর্ণনা   করেছেন; ছরকারে দোআলম,  নূরে মুজাস্‌সম, নবীয়ে  আকরাম,  হুযুর صَلَّی اللہُ تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم রূওহা  নামক স্থানে একটি কাফিলার সাথে সাক্ষাত হলে তিনি صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم   জিজ্ঞাসা  করলেন:  এরা  কারা?   তার  আরজ    করলেন;    আমরা    মুসলমান,    অতঃপর    তারা  জিজ্ঞাসা   করল   যে;  আপনি  কে?  তিনি  صَلَّی  اللہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم   ইশরাদ   করলেন:   আল্লাহ   তাআলার  রাসুল।   তাদের   মধ্য   থেকে   একজন  মহিলা   বাচ্চাকে উপরে উঠিয়ে জিজ্ঞাসা করল: কি এরও (বাচ্চারও) হজ্ব হয়ে  যাবে?  ইরশাদ   করলেন:   হ্যাঁ!   এবং   তোমাকেও এর সাওয়াব দেয়া হবে। (মুসলীম, ৬৯৭ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৩৩৬)    প্রসিদ্ধ     মুফাস্‌সির    হাকিমুল    উম্মত     হযরত মুফতি     আহমদ    ইয়ার    খান    رَحۡمَۃُ    اللہِ    تَعَالٰی     عَلَیْہِ বলেছেন: অর্থাৎ বাচ্চাকেও হজ্ব করার সাওয়াব দেওয়া হবে   এবং    তোমাকেও   হজ্ব  করানোর   সাওয়াব   দেয়া হবে।  আরও  বলেছেন: এই   হাদীসে পাক থেকে   বুঝা গেল    যে,   বাচ্চাদের  নেকী   দেয়া  হবে   (বাচ্চাও  নেকী পাবে) বাচ্চার বাবা-মাকেও নেকী দেয়া হবে। অতএব  তাদেরকে নাময, রোজার নিয়মিত আদায়কারী বানান। (মিরাত, ৪র্থ খন্ড, ৮৮ পৃষ্ঠা) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: তাহলে   কি হজ্ব করলে বাচ্চার  ফরয  আদায় হয়ে যাবে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:  জ্বি,  না!    হজ্বের   শর্ত  সমূহ  থেকে   একটি     শর্ত বালিগ   হওয়াও   রয়েছে।     আর   আমার   আক্বা     আ’লা হযরত ইমাম  আহমদ   রযা  খান رَحۡمَۃُ  اللہِ   تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেছেন: বাচ্চার উপর  হজ্ব  ফরয নয়। যদি করে নেয়  তাহলে  নফল হবে, সাওয়াব বাচ্চাই পাবে।  বাবা এবং অন্যান্য বৃদ্ধরাও শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সাওয়াবে পাবে। আবার  যখন    বালিগ  হওয়র    পর  শর্ত   সমূহ  একত্রিত হবে,      তখন     তার     উপর     হজ্ব     ফরয      হয়ে      যাবে। শিশুকালের      হজ্ব     যথেষ্ট      হবে      না।      (ফাতোওয়ায়ে রযবীয়াহ, ১০ম খন্ড, ৭৭৫ পৃষ্ঠা) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:    হজ্বের   গুরুত্বপূর্ণ    আহকামের    ক্ষেত্রে   বাচ্চাদের  কতটি প্রকার রয়েছে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: এই  দৃষ্টি ভঙ্গিতে বাচ্চাদের ২টি প্রকার রয়েছে। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">(১)    বিবেকবান:   যে   পাক-নাপাক,   ঝাল-মিষ্টির    স্বাদ পার্থক্য     করতে      পারে।     কারণ      ইসলাম     নাজাতের মাধ্যম। (ইরশাদুস্‌সারী, হাশিয়া   মানাসীক,  ৩৭ পৃষ্ঠা) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">(২) অবুঝ: যে উপরোক্ত কাজ সমূহের বুদ্ধি জ্ঞান রাখে না। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:  বিবেকবান   বাচ্চাদরা    কি  হজ্বের  আহকাম  সমূহ নিজেই আদায় করতে হবে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:   জ্বি, হ্যাঁ!  বিবেকবান   বাচ্চা নিজেই হজ্বের কাজ সমূহ   আদায়   করবে।   রমী     (অর্থাৎ     পাথর   নিক্ষেপ) ইত্যাদি কাজ ছেড়ে দিলে কাফ্‌ফারা ইত্যাদি ওয়াজিব নয়। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১০৭৫ পৃষ্ঠা) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:  বিবেকবান   বাচ্চা   কিছু কাজ  নিজে  করতে পারে এবং কিছু করতে পারে না তাহলে কি করবে? কাউকে কি নিজের স্থলাভিষিক্ত করতে পারবে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: হযরত আল্লামা আলী ক্বারী رَحۡمَۃُ اللہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেছেন:   যে   কাজ  বিবেকবান   বাচ্চা  নিজেই  করতে   পারে তার মধ্যে  কাউকে নিজের স্থলাবিষিক্ত করা ঠিক নয়   এবং  যে কাজ   নিজে করতে  পারবে  না সেগুলোর মধ্যে    অন্যকে  নিজের  স্থলাবিষিক্ত   করা  সঠিক।   কিন্তু তাওয়াফের পরের দু’রাকাত নামায যদি   নিজে  পরতে নাপারে  তাহলে   অন্য    কেউ  তার   পক্ষ    থেকে  আদায় করতে  পারবে  না। (আল মাসলাকুল মুতাকাসীত  লিল ক্বারী, ১১৩ পৃষ্ঠা) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">অবুঝ বাচ্চার হজ্বের পদ্ধতি </div><div style="text-align: justify;">======== </div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: অবুঝ বাচ্চা  হজ্বের জরুরি    কাজ  কিভাবে  আদায়  করবে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: যে কাজ  গুলোতে  নিয়্যত করা   শর্ত রয়েছে;  ঐ  সমস্ত   কাজ   সমূহ   তার    পক্ষ   থেকে   তার   অবিভাবক  আদায়  করবে,   আর  যে  সমস্ত    কাজের    মধ্যে  নিয়্যত করা   শর্ত      নয়  সেগুলো  নিজেই  করতে  পারবে,  আর  ফকিহগণ رَحِمَہُمُ   اللہُ  السَّلَام  বলেন: অবুঝ বাচ্চা যদি  ইহরাম বাঁধল অথবা  হজ্বের  কাজ   সমূহ সম্পন্ন   করল, তাহলে  হজ্ব আদায় হল না। বরং তার  অবিভাবক  তার পক্ষ  থেকে  আদায়    করবে।   কিন্তু   তাওয়াফের   পরের  দু’রাকাত যা বাচ্চার পক্ষ থেকে তার অবিভাবক আদায় করবে  না।  তার  সাথে  বাবা  এবং  ভাই  দুইজনই হলে বাবা আরকান সমূহ   আদায়  করবে।   (আলমগিরী, ১ম খন্ড,   ২৩৬ পৃষ্ঠা। বাহারে  শরীয়াত,  ১ম  খন্ড, ১০৭৫ পৃষ্ঠা) সদরুশ শরীয়াহ, বদরুত তরিকা হযরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ আমজাদ  আলী আজমী رَحۡمَۃُ اللہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেছেন: এই (অবুঝ   বাচ্চা অথবা পাগল) নিজে ঐ কাজ সমূহ করতে পারবে না, যার মধ্যে নিয়্যত করা জরুরি। যেমন: ইহরাম বাঁধা অথবা তাওয়াফ করা বরং তার   পক্ষ  থেকে  যেন অন্য  কেউ করে, আর যে কাজে নিয়্যত করা শর্ত নয় যেমন:  উকুফে  আরাফাত নিজেই করতে  পারবে।  (বাহারে   শরীয়াত,   ১ম   খন্ড,  ১০৪৬ পৃষ্ঠা) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: কি ইহরামের পূর্বে বাচ্চাদেরকেও গোসল করাতে হবে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:  জ্বি,  হ্যাঁ!  ফতোওয়ায়ে     শামী,  ৩য়  খন্ড,  ৫৫৭ পৃষ্ঠার মধ্যে লিখিত অংশের সারাংশ হচ্ছে: বিবেকবান  বাচ্চা    এবং     অবুঝ    বাচ্চা      উভয়ই     গোসল     করবে। অন্যথায়  এই   পার্থক্য    আছে    যে,  বিবেকবানের  জন্য নিজেই গোসল করা মুশতাহাব এবং অবিভাবকের জন্য গোসলের আদেশ দেয়া মুশতাহাব এবং অবুঝ বাচ্চাকে অবিভাবকের জন্য অথবা মা ইত্যাদির সাহায্যে গোসল করানো মুশতাহাব হবে। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:    অবুঝ    বাচ্চাকে    কি    ইহরাম    পরিধান    করাতে  হবে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:   জ্বি,   হ্যাঁ!  এমন  করা   উচিৎ  যে,  অবুঝ  বাচ্চার সেলাই করা  পোশাক  খুলে  চাদর তেহবন্দ  অভিবাবক অথবা অন্য কেউ পরিধান করিয়ে দিবে। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">কিন্তু  তার  পক্ষ  থেকে  বাবা,  বাবা  না  হলে  ভাই  এবং  ভাই   না   হলে    অন্য  কেউ  তার  রক্তের  ক্ষেত্রে  আত্মীয় হলে সে, তার পক্ষ থেকে ইহরমের নিয়্যত করবে, আর ঐ     কাজ    সমূহ    থেকে     বাঁচাবে    যা    মুহরিমের     জন্য নাজায়েয, আর সদরুশ  শরীয়া,  বদরুত  তরিকা হযরত আল্লামা     মাওলানা    মুফতি    মুহাম্মদ     আমজাদ    আলী আজমী    رَحۡمَۃُ   اللہِ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  বলেছেন:  বাচ্চার  পক্ষ থেকে  ইহরাম  বাঁধলে,  তবে  তার  সেলাইকৃত  কাপড়  খুলে     নেওয়া   উচিৎ।   চাদর     এবং   তেহবন্দ   পরিধান করিয়ে দেয়া  এবং  ঐ  সমস্ত কাজ   সমূহ থেকে বাঁচাবে  যা  মুহরিমের  জন্য  নাজায়েয।  (বাহারে  শরীয়াত,  ১ম  খন্ড,     ৬ষ্ঠ      অংশ,     ১০৭৫    পৃষ্ঠা)    বিবেকবান    বাচ্চা ইহরামের নিয়্যত নিজেই করবে। অবিভাবক তার পক্ষ থেকে ইহরাম বাঁধতে  পারবে না। যেমন; শামীর  মধ্যে রয়েছে:  যদি  বাচ্চা     বিবেকবান    হয়,   তাহলে  তাকেই ইহরাম   বাঁধতে     হবে।    অবিভাবক    তার   পক্ষ    থেকে  বাঁধতে     পারবে     না,     কেননা    জায়েয     নেই।     (রদ্দুল মুহতার,  ৩য়  খন্ড,  ৫৩৫ পৃষ্ঠা) যদি বিবেকবান বাচ্চা   নিজেই  ইহরাম   বাঁধার  ক্ষমতা   রাখে,  তাহলে   তাকেই ইহরাম    বাঁধতে   হবে।   অবিভাবক     তার    পক্ষ    থেকে  ইহরাম    বাঁধতে   পারবে    না।     যদি   বিবেকবান    বাচ্চা নিজেই     ইহরাম     বাঁধার    ক্ষমতা     না    রাখে,     তাহলে   অবিভাবক তার পক্ষ থেকে ইহরাম বাঁধবে। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: অবুঝ বাচ্চার পক্ষ থেকে অবিভাবক কি ইহরামের নফল পড়তে পারবে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:  জ্বি,  না।     অবুঝ   বচ্চার  পক্ষ  থেকে  অবিভাবক ইহরামের নফল পড়তে পারবে না। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">অবুঝ বাচ্চার   পক্ষ থেকে নিয়্যত  এবং  লাব্বাইকা  এর নিয়ম </div><div style="text-align: justify;">=========== </div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: অবুঝ বাচ্চার পক্ষ থেকে নিয়্যত  এবং লাব্বাইকা  এর নিয়ম বলে দিন। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:  অবুঝ বাচ্চার পক্ষ থেকে ইহরামের নিয়্যত তার অবিভাবক   করবে,  আর  এভাবে   বলবে     اَحۡرَمۡتُ  عَنۡ فُلانٍঅর্থাৎ   আমি   অমুকের  পক্ষ  থেকে  ইহরাম  বাঁধার নিয়্যত  করছি। (অমুকের জায়গায় বাচ্চার নাম নিবে।) অনুরূপভাবে  লাব্বাইকাও  এরকম   বলবে:     لَبَّيۡک  عَنۡ  فُلانٍ   (অমুকের জায়গায়   বাচ্চার নাম   নিবে এবং শেষ পর্যন্ত    لَبَّیْکَ  সম্পন্ন  করবে)   আরবিতে   নিয়্যত  তখনই কার্জকর   হবে,   যখন  এর  অর্থ  জানা    থাকবে।  আপন মাতৃভাষায়     নিয়্যত    করতে    পারেন।   যেমন:    হেলাল রযা’র  পক্ষ   থেকে ইহরাম  বাঁধছি। এটাও মনে রাখতে হবে,   অন্তরে  নিয়্যত   হওয়াটা  শর্ত।     যেহেতু   উচ্চারণ করে নিয়্যত করা মুশতাহাব।   যদি  মুখ থেকে উচ্চারণ  করে     নিয়্যত  না  করে,   তাহলে  কোন  অসুবিধা  নেই। لَبَّیْکَ লাব্বাইকা উচ্চারণ করে বলা জরুরি, আর সেটাও যেন  কমপক্ষে  এত  আওয়াজে  হয়,  যাতে  কোন  বাঁধা  ছাড়া নিজে  শুনতে  পারে এবং এখানে  এভাবে বলবে যে, যেমন: </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">لَبَّیْکَ    عَن ہِلال  رضا  اَللّٰھُمَّ   لَبَّیْکَ ط لَبَّیْکَ لَا شَرِیْکَ  لَکَ لَبَّیْکَ ط اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَۃَ لَکَ وَالْمُلْکَ ط لَاشَرِیْکَ لَکَ ط </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">অবুঝের পক্ষ থেকে তাওয়াফের নিয়্যত </div><div style="text-align: justify;">এবং ইসতিলাম করার নিয়ম </div><div style="text-align: justify;">======== </div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: অবুঝ বাচ্চার পক্ষ থেকে তাওয়াফের এবং হাজরে আসওয়াদের       ইসতিলামের      নিয়্যতের     নিয়ম     বলে দিন। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: অন্তরে   নিয়্যত যথেষ্ট। উত্তম  হচ্ছে মুখ  থেকেও যেন  এভাবে উচ্চারণ  করে   নেয়, যেমন: আমি  হেলাল রযার পক্ষ থেকে তাওয়াফের ৭ চক্করের নিয়্যত করছি। এরপর  যা  ইসতিলাম হবে, সেটাও বাচ্চার  পক্ষ থেকে হবে। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: কোলে তুলে তাওয়াফ করাবে না আঙ্গুল ধরে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: যেভাবে সুবিধা হয় সেভাবে। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:      তাওয়াফের      সময়       কি      অবিভাবক        নিজের তাওয়াফেরও নিয়্যত করতে পারে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: জ্বি,  হ্যাঁ!  বরং  করে নেওয়া উচিৎ। এভাবে এক সাথে দু’জনের  তাওয়াফ  হয়ে যাবে। কিন্তু  এটা  স্মরণ   রাখবেন! প্রত্যেক চক্করের পর দু’বার ইসতিলাম করতে হবে। একবার নিজের পক্ষ থেকে আর একবার বাচ্চার পক্ষ থেকে। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: বাচ্চা কিভাবে তাওয়াফ করবে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:     বিবেকবান      বাচ্চা      নিজেই      তাওয়াফ     করে   তাওয়াফের     নফল     আদায়    করবে।    এক্ষেত্রে    অবুঝ বাচ্চাকে     তার    অবিভাবক     তাওয়াফ    করাবে।     কিন্তু  তাওয়াফের      দু’রাকাত     নফল     বাচ্চার      পক্ষ      থেকে  অবিভাবক  আদায়  করবে  না।  (বাহারে  শরীয়াত,  ১ম  খন্ড, ১০৭৫ পৃষ্ঠা) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: বাচ্চাকে রমী কীভাবে করাবো? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:   বিবেকবান   বাচ্চা      নিজেই     রমী   করবে   এবং অবুঝ   বাচ্চার    পক্ষ  থেকে  তার  সাথে  যে  থাকবে   সে করবে।   উত্তম   এটাই   তার   হাতে   কংকর   রেখে   রমী  কারা।         (সুনসাক         মুতাওয়াসাত,          ২৪৭          পৃষ্ঠা।  ফাতোওয়ায়ে  রযবীয়া,  ১০  খন্ড,  ৬৬৭  পৃষ্ঠা।  বাহরে  শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১৪৮ পৃষ্ঠা) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:  বাচ্চার  হজ্বের   জরুরি  আহকাম   কিছু  বাকী  রইল অথবা সে এমন কাজ করল, যার কারণে কাফ্‌ফারা বা দম ওয়াজিব হয়ে যায়, তাহলে কি করবে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: যদি বাচ্চা কোন কাজ ছেড়ে দেয় অথাব নিষিদ্ধ কাজ করে, তাহলে  তার উপর না কাযা ওয়াজিব,  আর না  কাফ্‌ফারা।  অনুরূপভাবে  বাচ্চার  পক্ষ  থেকে  বাবা  ইহরাম  বাঁধল   এবং  বাচ্চা   কিছু  নিষিদ্ধ    কাজ    করল,  তাহলে  বাবার  উপরও  কোন  কিছু   ওয়াজিব  হবে  না।  (আলমগিরী,  ১ম  খন্ড,  ২৩৬   পৃষ্ঠা। বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১০৭০ পৃষ্ঠা) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:   বাচ্চা   যদি   হজ্ব   ফাসিদ   করে   দেয়,   তাখন   কি  করতে হবে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: বাচ্চা যদি হজ্ব ফাসিদ করে দেয়, তাহলে না দম ওয়াজিব   হবে  না  কাযা।   বাচ্চা    বিবেকবান    হোক  না কেন।    (আলমগিরী,    ১ম     খন্ড,    ২৩৬     পৃষ্ঠা।     রদ্দুল মুহতার, ৩য় খন্ড, ৬৭৩ পৃষ্ঠা) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: বাচ্চার জন্য হজ্বের কুরবানীর কি হুকুম আছে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:  বাচ্চা  বিবেকবান হোক অথবা অবুঝ তার উপর (তামাত্তু হজ্ব অথবা কিরান)  কুরবানী  ওয়াজিব হবে না এবং  হজ্জ্বে  ইফরাদে  বৃদ্ধদের   উপরেও হয়  না।  (আল মাসলাকুর মুতাকাসীত লিল ক্বারী, ৬২৩ পৃষ্ঠা) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: যদি অবিভাবক বাচ্চার পক্ষ থেকে হজ্বের কুরবানী করতে চায়, তাহলে করতে পারবে কি পারবে না? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: করতে পারে। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে করবে।   বাচ্চার    টাকা  দিয়ে    করলে  ক্ষতিপুরন  দিতে  হবে। অর্থাৎ ঐ   পরিমান টাকা   বাচ্চাকে    ফেরত দিতে হবে। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">অবুঝ  বাচ্চার ওমরা করার পদ্ধতি </div><div style="text-align: justify;">======== </div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:    বাচ্চাকে   কি   ওমরা   করানো   যাবে?   যদি     যায় তাহলে পদ্ধতি কি? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: হ্যাঁ! করানো যাবে।  মাসআলার মধ্যে  এখানেও ঐ   বিবেকবান    ও   অবুঝ   বাচ্চার    মাসআলা   রয়েছে।  অতএব এর মধ্যে অতিরিক্ত মাসআলা এটাই যে, অতি ছোট শিশুকে মসজিদে প্রবেশ করার আহকামের উপর লক্ষ্য   করতে   হবে।    হুকুম   এটাই    যে,   বাচ্চা      থেকে  নাপাকী   বের   হওয়ার   কাঠোর   ধারণা   আছে,   তাহলে  তাকে     মসজিদে     নিয়ে     যাওয়া     মাকরূহে     তাহরীমী  অন্যথায় মাকরূহে তানযিহী। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:  বাচ্চাদের কি  চুল কাটানো অথবা মুন্ডানো  যেতে পারে কি না? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: জ্বি, হ্যাঁ! মেয়ে বাচ্চাকে চুল কাটাতে হবে। যদি   দুধ পানকারী শিশু অথবা খুবই  ছোট বাচ্চা হয় তাহলে মুন্ডন করাতে কোন অসুবিধা নেই। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">বাচ্চা এবং নফলী তাওয়াফ </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:   নফল   তাওয়াফের     মধ্যে   বাচ্চাদের     কি    হুকুম রয়েছে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:   বিবেকবান    বাচ্চা  নিজেই  নিয়্যত  করবে   এবং তাওয়াফের   পরের   নফল   ও   আদায়   করবে।   অন্যত্র  অবুঝ     বাচ্চার   পক্ষ   থেকে      তার   অবিভাবক    নিয়্যত করবে। তাওয়াফের পরের নফলের প্রয়োজন নেই। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:     বাচ্চা    যদি    ইহরাম   ব্যতীত   মীকাতের   ভিতরে প্রবেশ করে এবং এখন বালিগ হয়ে গেল, তাহলে তার উপর কি দম ওযাজিব হবে? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:  না।  বাহারে শরীয়াতের ১ম খন্ড, ১১৯২ পৃষ্ঠার মধ্যে      রয়েছে:     নাবালিগ      ইহরাম      ব্যতীত      মীকাত অতিক্রম করল, তারপর বালিগ হয়ে গেল এবং সেখান থেকেই ইহরাম বেঁধে নিল, তাহলে   দম ওয়াজিব  হবে  না।   এমনিতে  যদি   সে  ‘হিলী’অর্থাৎ   হারামের  বাহিরে এবং  মীকাতের  সিমানার  ভিতরে  বালিগ  হল,  তাহলে হিলস্নী আহকাম তার উপর অপরিহার্য হবে। অর্থাৎ হজ্ব অথবা   ওমরার  জন্য     হারম  যেতে  হয়   তাহলে  ‘হিলী’ থেকে   ইহরাম  বেঁধে নিবে  এবং  অন্যত্রে   হারম শরীফ যেতে হয়, তাহলে  ইহরাম   ব্যতীতও যেতে পারে এবং হারমের মধ্যে বালিগ   হয়,    তাহলে  হারামের আহকাম অপরিহার্য   হয়ে   যাবে  অর্থাৎ   হজ্বের   ইহরাম  হারমের  মধ্যে    বাঁধবে    এবং    ওমরার    ইহরাম    হারম    শরীফে  বাহিরে থেকে  এবং যদি কোন   কিছু না     করে,  তাহলে ইহরাম বাঁধার প্রয়োজন নেই। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:   মাদানী    মুন্না   অথবা    মাদানী    মুন্নীকে   মসজিদে নববী শরীফে    عَلٰی  صَاحِبِہَا الصَّلٰوۃُ وَالسَّلَام এর মধ্যে নিয়ে যেতে পারি কি না? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: ছরকারে মদীনা,  নবী করীম صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم   ইরশাদ করেছেন:  “মসজিদ  সমূহকে বাচ্চা  থেকে এবং পাগল এবং ঝগড়া এবং বেচা কেনা, উচ্চ আওয়াজ    করা,     সীমা    কায়েম    করা     এবং    তরবারী টাঙ্গানো   থেকে    বাচাও।”   (ইবনে   মাজাহ,    ১ম   খন্ড, ৪১৫   পৃষ্ঠা,    হাদীস;   ৭৫০)   এমন   বাচ্চা   যার    থেকে নাজাসাত       অর্থাৎ    (প্রস্রাব,     পায়খানা    ইত্যাদি)    এর সম্ভাবনা   রয়েছে   এবং   পাগলকে   মসজিদের    ভিতরে  নিয়ে   যাওয়া   হারাম।   যদি   নাজাসাতের   সম্ভাবনা   না  থাকে তাহলে মাকরূহে  তানযিহী। যারা   জুতা সেন্ডেল মসজিদের   ভিতরে  নিয়ে  যায়  তাদেরকে   এটার  লক্ষ্য রাখা   উচিৎ  যে,  যদি   নাজাসাত  লেগে  থাকে   তাহলে   সেগুলো ভাল  করে  পবিত্র  এবং  পরিষ্কার করে,  যাতে  নাজাসাত না থাকে এবং না তার দুর্গন্ধ। অতঃপর পাক করল  না,   কিন্তু   এমন  ভাবে  পরিষ্কার   করে   যাতে  না মসজিদ   অপবিত্র  হওয়ার   সম্ভাবনা    রয়েছে,   আর   না নাজাসাতে    দুর্গন্ধ      অবশিষ্ট      থাকে।    তাহলে     আবার নাজায়েয হবে না। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">অতএব এটা মনে রাখবেন! জুতা পাক হলেও মসজিদে পরিধান   করে  যাওয়া   বেয়াদবী।    অবুঝ   বাচ্চা  অথবা পাগল (অথবা  বেহুশ   অথবা যার  উপর জ্বীন  এসেছে) দম করানোর জন্য পেম্পার (ঢ়বসঢ়বৎ) লাগানো হোক, তবুও     মসজিদে    নিয়ে    যাওয়া    উপরোক্ত    মাসআলা   অনুযায়ী   নিষেধ   রয়েছে   এবং      যদি     আপনি    তাদের মসজিদে  নিয়ে  যাওয়ার    ভুল  করে  বসেন,  যার  হুকুম নাজায়েয    সম্পন্ন,     তাহলে     দয়া    করে     তাড়াতাড়ী  তাওবা করে  পরবর্তীতে না নেয়ার প্রতিজ্ঞা  করে নিন। হ্যাঁ! ফিনায়ে মসজিদ যেমন; ইমাম সাহেবের হুজরাতে নিয়ে    যেতে    পারেন,    যদি    মসজিদের    ভিতর    দিয়ে  অতিক্রম করতে না হয়।  যদি সাধারণ মসজিদের  এই  ধরনের    আদব   হয়ে   থাকে,   তাহলে   মসজিদে    নববী শরীফ   عَلٰی   صَاحِبِہَا   الصَّلٰوۃُ   وَالسَّلَام   এবং   মসজিদে  হারম  শরীফের    কি  রকম  আদব  হবে।   এটা  প্রত্যেক আশিকে রাসুল   ভালই বুঝতে পরে।   এই দুই মসজিদ বাচ্চাদের     থেকে    বাঁচানো    খুবই    জরুরি।       আজকাল বাচ্চারা  সেখানে   চিৎকার,  হৈ-চৈ  করতে   থাকে   এবং  কিছু সময় مَعَاذَ اللہ عَزَّوَجَلَّ ময়লা আবর্জনা ত্যাগ করে দেয়।    কিন্তু    আফসোস   যে  বাচ্চাকে  নিয়ে  যায়,   তার কোন  খেয়াল   থাকে না। নিঃস্বন্দেহে এই বাচ্চা  অবুঝ, তাদের কোন দোষ নেই। কিন্তু এই গুনাহ যে বাচ্চাদের নিয়ে যায় তার উপর। যদি বিবেকবান বাচ্চাকেও নিয়ে আসে,  তাহলে  তার উপর   কঠোর লক্ষ্য  রাখতে  হবে।  যেন  লাফা-লাফী  করে  লোকদের  ইবাদতের  সমস্যার  কারণ না হয়। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">বাচ্চা এবং রওজায়ে আনওয়ারে হাজিরী </div><div style="text-align: justify;">======== </div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: তাহলে অবুঝ বাচ্চাদের সোনালী জালীর  সামানে হাজেরী দেওয়ার অবস্থা কি রকম? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:  এর  জন্য  মসজিদ  শরীফে  আনতে  হবে।  তার  আহকাম উপরেই  উলেস্নখ  করা হল। অতএব মসজিদ শরীফের বাইরে  সবুজ  সবুজ গুম্বদের  সামনে হাজেরী   করিয়ে দিন। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:   উলেস্নখিত   হজ্ব    ও   ওমরা   ইত্যাদির    সম্পর্কের  সাথে মেয়ে বাচ্চারও এটাই হুকুম? </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: জ্বি, হ্যাঁ! </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এই কিতাবটি শায়খে তরিকত, আমীরে আহ্‌লে সুন্নাত, দা’ওয়াতে      ইসলামীর      প্রতিষ্ঠাতা        হযরত      আল্লামা  মাওলানা     আবু     বিলাল     মুহাম্মদ     ইলইয়াস     আত্তার  কাদেরী   রযবী      دَامَتۡ   بَرَکاتُہُمُ   الۡعَالِیَہ     উর্দূ      ভাষায়  লিখেছেন।    দা’ওয়াতে   ইসলামীর   অনুবাদ   মজলিশ এই    কিতাবটিকে    বাংলাতে  অনুবাদ  করেছে।      যদি অনুবাদ,    কম্পোজ    বা   প্রিন্টিং    এ      কোন      প্রকারের ভুলত্রুটি    আপনার দৃষ্টিগোচর     হয়, তাহলে   অনুগ্রহ   করে  মজলিশকে  লিখিতভাবে  জানিয়ে প্রচুর সাওয়াব হাসিল করুন। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">(মৌখিকভাবে বলার   চেয়ে লিখিতভাবে  জানালে বেশি উপকার হয়।)</div></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/--o1H_yu55H4/WaUMCXA4gVI/AAAAAAAAAk8/rEkeIIOYoqw6a6w-P_BeAAi6CfBshjdNgCHMYCw/s1600/%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%259C%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%259C.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/--o1H_yu55H4/WaUMCXA4gVI/AAAAAAAAAk8/rEkeIIOYoqw6a6w-P_BeAAi6CfBshjdNgCHMYCw/s640-rw/%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%259C%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%259C.jpg"> </a> </div>

বাচ্চাদের হজ্জ

اَلۡحَمۡدُ    لِلہِ    رَبِّ      الۡعٰلَمِیۡنَ     وَالصَّلٰوۃُ    وَالسَّلَامُ     عَلٰی    سَیِّدِ الۡمُرۡسَلِیۡنَ  اَمَّا  بَعۡدُ فَاَع...

Read more »

হেরেমের ভিতরের কিছু মাসআলা

<p dir="ltr">ওমরার ভিসায় হজ্বের জন্য অপেক্ষা করা কেমন? <br>======== <br>প্রশ্ন:    কিছুলোক  নিজ  দেশ  থেকে   রমজানুল  মুবারকে ওমরার জন্য ভিসা নিয়ে হারামাইন তৈয়্যেবাইনে গমন করে।    ভিসার   সময়কাল   শেষ    হয়ে   যাওয়ার   পরেও ওখানে  থেকে যায়।  কিংবা  হজ্ব করে  নিজ  দেশে  চলে যায়, তাদের এ কাজ শরীয়াত মতে সঠিক কিনা? <br> <br>উত্তর:  দুনিয়ার   সকল  দেশের    নিয়ম  কানুন  এই   যে,  ভিসা ছাড়া অন্য দেশের কোন লোককে, দেশে প্রবেশ করতে  দেয়া  হয়  না।  আর হারামাঈনে তৈয়্যেবাইনেও এই একই নীতি। <br> <br>ভিসার         মেয়াদকাল       শেষ       হয়ে        যাওয়ার       পরও অবস্থানকারী ব্যক্তি যদি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সে ইহরাম অবস্থায় থাকলেও  তাকে বন্দি করে নেয়া  হয়। তখন তাকে  আর  হজ্বও করতে  দেয়া হয়  না। ওমরার  সুযোগও  দেয়া  হয়  না  বরং  শাসিন্ত  দিয়ে   তাকে  নিজ  দেশে  পাঠিয়ে  দেয়া  হয়।  মনে  রাখবেন!  যে আইনের  বিরোধিতা করলে  লাঞ্চনা, ঘুষ, মিথ্যা ইত্যাদি  বিপদে  পড়ার আশঙ্খা রয়েছে সেই আইনের বিরোধিতা  করা জায়েয    নেই।    সুতরাং   আমার    আক্বা   আ’লা    হযরত  ইমামে   আহ্‌লে  সুন্নাত    মাওলানা  শাহ   ইমাম  আহমদ রযা খান  رَحۡمَۃُ اللہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেছেন: মুবাহ (অর্থাৎ জায়েয)  বিষয়ের     মধ্যে   থেকে  কিছু  বিষয়   আইনগত ভাবে অপরাধ হয়ে থাকে। তবে জড়িত হওয়া (অর্থাৎ এভাবে আইনের বিরোধিতা করা) নিজের সত্বাকে  কষ্ট ও  লাঞ্চনার  জন্য সম্মুখিন করা, আর এটা না-জায়েয। (ফতোওয়ায়ে    রযবীয়া,     ১৮তম    খন্ড,    ৩৭০     পৃষ্ঠা) সুতরাং  ারংধ   ছাড়া   দুনিয়ার  যে  কোন  দেশে  থাকা কিংবা হজ্বের  জন্য অবস্থান   করা জায়েয  নেই। অবৈধ  পদ্ধতিতে হজ্বের জন্য অবস্থান করাকে مَعَاذَ اللہ عَزَّوَجَلَّ আল্লাহ  ও   রাসুল   عَزَّوَجَلَّ  وَ  صَلَّی    اللہُ   تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم   এর দয়া মনে করা কঠিন স্পর্ধা। <br> <br>অবৈধভাবে           হজ্বকারীদের           নামাযের             গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা <br>======== <br>প্রশ্ন:   হজ্বের   জন্য   ভিসা    ছাড়া    অবস্থানকারী   নামায সম্পূর্ণ পড়বে অথবা ক্বসর? <br> <br>উত্তর:  ওমরার  ভিসায়  গিয়ে  অবৈধভাবে  হজ্বের  জন্য  অবস্থান  করা   অথবা  পৃথিবীর  যে  কোন  দেশে  ারংধ  এর  সময়   পূর্ণ   হওয়ার  পর   অবৈধভাবে   থাকার  যার  নিয়্যত রয়েছে, যেই শহর বা গ্রামে মুকিম হবে সেখানে যতক্ষণ   থাকবে তার  জন্য মুকিমের  আহকাম  বর্তাবে, যদিও  বা   বছরের  পর   বছর  যেখানে    অবস্থান    করে,  বরঞ্চ একবারও যদি ৯২ কি:মি: অথবা এর চেয়ে বেশী দূরত্বের সফর করার ইচ্ছায় ঐ শহর অথবা গ্রাম থেকে বের হয়, তাহলে নিজের বাসস্থান থেকে  বাহির  হতেই   মুসাফির   হয়ে   গেল।   এখন   তার   ইকামতের    নিয়্যত  অনর্থক।     উদাহারণ    স্বরূপ    কোন    ব্যক্তি    বাংলাদেশ  থেকে    ওমরার    ভিসায়    মক্কা    মুকাররমা    গেল,    আর  ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার সময মক্কা শরীফেই মুকীম রয়েছে।  তবে  তার  উপর  মুকীমের  আহকাম  বর্তাবে।  এখন    যদি  উদাহরণ  স্বরূপ    সেখান   থেকে  মদীনাতুল মুরাওওয়ারা  زَادَہَا  للہُ  شَرَفًا   وَّ  تَعۡظِیۡمًا  চলে   আসল  চায় বছরের পর   বছর  অবৈধভাবে  অবস্থান  করে  মুসাফির থাকবে।  এমনকি  পুনরায়   মক্কা  মুকাররমায়   زَادَہَا  للہُ شَرَفًا    وَّ   تَعۡظِیۡمًا    পুনরায়    চলে     আসা   সত্ত্বেও    মুসাফির থাকবে।    তাকে    নাময     কাছর    পড়তে    হবে।    তবে  পুনরায়     ভিসা    যদি    পেয়ে     যায়,     তবে    ঐ     অবস্থায় ইকামতের নিয়্যত করতে পারবে। <br> <br>হেরেমের মধ্যে কবুতর এবং  ফড়িংকে উড়ানো,  কষ্ট দেওয়া <br>======== <br>প্রশ্ন: হেরেমের কবুতর এবং ফড়িংকে অযথা উড়ানো কেমন? <br> <br>উত্তর:   আ’লা  হযরত   رَحۡمَۃُ  اللہِ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  বলেছেন: হেরেমের কুবতর উড়ানো নিষেধ। (মালফুযাতে আ’লা হযরত, ২০৮ পৃষ্ঠা) <br> <br>প্রশ্ন:  হেরেমের    কবুতর   এবং  ফড়িংকে  কষ্ট     দেওয়া কেমন? <br> <br>উত্তর:  হারাম।  সদরুশ  শরীয়াহ  رَحۡمَۃُ  اللہِ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  বলেছেন:   হেরেমের   পশু   শিকার   করা   অথবা    তাকে  কোন  কষ্ট দেওয়া হারাম। মুহরিম এবং গাইরে মুহরিম উভয় একই   হুকুমের  অন্তর্ভূক্ত।  (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১৮৬ পৃষ্ঠা) <br> <br>প্রশ্ন: মুহরিম কবুতর জবাই করে কি খেতে পারবে? <br> <br>উত্তর: বাহারে শরীয়াতের  প্রথম   খন্ডের ১১৮০ পৃষ্ঠায় রয়েছে: মুহরিম জঙ্গলের জানোয়ারকে জবাই করলো,   তবে হালাল হলনা বরং  মৃত   এটাই     যে, জবাই করার  পর তাকে  খেয়ে  ফেলল যদিও  বা কাফ্‌ফারা  দেওয়ার পর খেয়েছে। তাহলে পুনরায় খাওয়ার কাফ্‌ফারা দিবে এবং  যদি  না  দিয়ে  থাকে  তাহলে   একটা   কাফ্‌ফারাই যথেষ্ট। <br> <br>প্রশ্ন: হেরেমের ফড়িং ধরে খেতে পারবে কিনা? <br> <br>উত্তর:  হারাম   (তবে   ফড়িং   হালাল  মৃত    মাছের   মত খেতে পারবে এটাকে জবাই করার প্রয়োজন নেই)। <br> <br>প্রশ্ন:   মসজিদুল   হারাম   এর   বাইরে   মানুষের   পায়ের  নিচে   পিষ্ট   হওয়া   আহত   এবং    মৃত   অসংখ্য   ফড়িং   থাকে, যদি এই ফড়িং গুলোকে খেয়ে নেয় তবে হুকুম কি? <br> <br>উত্তর:   যদি  কেউ  ফড়িং  খেয়ে   নেয়  তবে  তার  উপর কোন   কাফ্‌ফারা   আবশ্যক   হবে  না।  কেননা  হেরেমে  শিকারকৃত   ঐ    জানোয়ার   খাওয়া    হারাম,    যা    শরয়ী নিয়মে জবাই করলে  হালাল হয়ে যাবে।    যেমন: হরিণ ইত্যাদি, আর  এমন শিকার হারাম হওয়ার   কারণ   হল হেরেমে শিকার করলে সেই জানোয়ার মৃত সাব্যস্ত হয়, আর মৃত  প্রাণী খাওয়া   হারাম। ফড়িং কে খাওয়া  এই জন্য   হালাল। যেহেতু ফড়িংকে জবেহ  করা   শরীয়তে শর্ত  নেই। এটাকে  যেভাবেই জবাই করা হোকনা কেন হালাল    হবে।  যেভাবে  পায়ের  নিচে  পিষ্ট  করে  অথবা গলায় চাপ  প্রয়োগ  করার কারণে মারা হোক। তারপর ও হালাল হবে। তবে স্মরণ রাখুন যে, ইচ্ছাকৃত ফড়িং শিকার করার অনুমতি হেরেম শরীফে নেই। <br> <br>প্রশ্ন:     হেরেমের  স্থলের  জঙ্গলের   পশুকে  জবাই  করার কাফ্‌ফারা বলে দিন। <br> <br>উত্তর:  ইহার  কাফ্‌ফারা  হল   ইহার    সমপরিমাণ    মূল্য  সদকা করা। <br> <br>প্রশ্ন:     হেরেমের     মুরগী     জবাই       করা     এবং      খাওয়া কেমন? <br> <br>উত্তর: হালাল।  ঘরোয়া পশু  যেমন মুরগী,  ছাগল,  গরু, মহিষ,    উট    ইত্যাদি    জবাই    করা    এবং     তার    মাংস  খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। তবে জঙ্গলী পশু শিকার করার নিষেধাজ্ঞা আছে। <br> <br>প্রশ্ন: মসজিদুল হেরেমের বাইরে অনেক ফড়িং থাকে, যদি কোন ফড়িং পা কিংবা গাড়িতে পিষ্ট হয়ে  আহত বা নিহত হল তবে? <br> <br>উত্তর:  কাফ্‌ফারা  দিতে   হবে।   বাহারে  শরীয়তের  ১ম খন্ড,        ১১৮৪       পৃষ্ঠায়         রয়েছে:       ফড়িংও       স্থলের জানোওয়ার।   তাকেও  মারলে    কাফ্‌ফারা  দিবে,  আর  একটি খেজুরই কাফ্‌ফারা দেওয়া যথেষ্ট। ১১৮১ পৃষ্ঠায় রয়েছে:   কাফ্‌ফারা  আবশ্যক   হওয়ার    জন্য   ইচ্ছাকৃত হত্যা  করা  শর্ত  নয়।  অনিচ্ছাকৃত  ভাবে  মারা  গেলেও  কাফ্‌ফারা দিতে হবে। <br> <br>প্রশ্ন: মসজিদুল হারামে অসংখ্যা ফড়িং থাকে। খাদেম পরিষ্কার করার সময় ওয়েপার ইত্যাদি দ্বারা দয়াবিহীন হেচড়াতে থাকে, যার কারণে আহত হয় ও নিহত হয়। যদি   তা না করে   তবে কিভাবে পরিষ্কার   করবে। ঠিক সেভাবেই   শুনেছি     কবুতরের    সংখ্যা   কমানোর   জন্য  তাদেরকে  ধরে  কোন   দূরে  নিয়ে   ছেড়ে  দিয়ে  আসে  অথবা খেয়ে ফেলে। <br> <br>উত্তর:   ফড়িং   যদি    এতো   অধিক  যে  তাদের  কারণে সমস্যা    হয়ে  থাকে    তবে   সেগুলোকে  মারলে   সমস্যা নেই,     তা    না    হলে     ক্ষতিপূরণ    আবশ্যক    হবে।    তা ইচ্ছাকৃত  হত্যা  করুক অথবা অনিচ্ছাকৃত  হত্যা করুক। হেরেমের   কবুতর   ধরে   জবাই   করে   দিলে  ক্ষতিপূরণ আবশ্যক    হবে।   ঠিক    সেভাবেই    হেরেমের    বাইরেও ছেড়ে  আসলেও  ক্ষতিপূরণ  আবশ্যক।  যতক্ষণ  পর্যন্ত  তাদের    শানিন্তর  সাথে   হেরেমে  চলে  আসার   বিষয়টা জানা    না    যায়।   উভয়   অবস্থায়   ক্ষতিপূরণ    কবুতরের সমপরিমাণ মূল্য  এবং  সেটা  দ্বারা ঐ মূল্য  যে সেখানে এই সমস্ত বিষয়াদি পরিচিতি এবং দৃশ্যঅবলোকনকারী দু’জন   ব্যক্তি     বর্ণনা   করবে   এবং    যদি   দু’জন   ব্যক্তি পাওয়া  না   যায়,   তবে   এক   জনের  কথা  বিশ্বাস  করে নেওয়া হবে। <br> <br>প্রশ্ন: হেরেমের মাছ খাওয়া কেমন? <br> <br>উত্তর: মাছ স্থলের পশু নয়।  তাকে খেতে পারেন  এবং  প্রয়োজনে শিকারও করতে পারেন। <br> <br>প্রশ্ন:  হেরেমের  ইঁদুরকে  মেরে  ফেললে   কি  কাফ্‌ফারা  রয়েছে? <br> <br>উত্তর:   কোন   কাফ্‌ফারা    নেই।    তাকে   মারা   জায়েয। বাহারে শরীয়তের   ১ম   খন্ডের   ১১৮৩ পৃষ্ঠায় উলেস্নখ রয়েছে:    কাক,   চিল,  বাঘ,  বিচ্ছু,  সাপ,    ইঁদুর,   এমন  কুকুর  যেটা  কামড়   দিয়ে   থাকে,  বিচ্ছুর  মত  পোকা, মশা,  কচ্ছপ, কাঁকড়া,  প্রজাপতি, কামড়  দেয়  এমন পিপড়া, মাঁছি, টিকটিকি এবং হাশরাতুল আরদ অর্থাৎ পোকা-মাকড়,  বৃজী, শিয়াল,  খেক  শিয়াল  যখন এই   ধরনের হিংস্র প্রাণী আক্রমন করে  অথবা যে পশু এমন হয়  যা  প্রথমেই  আক্রমণ    করে,   যেমন:   সিংহ,   চিতা, তেন্দওয়া, এমন পশু যা চিতা বাঘের মত  হয়ে থাকে।  এগুলোকে  মারতে   কোন   ক্ষতি    নেই।  অনুরূপ    ভাবে পানির  সমস্ত   প্রাণীদের   জবাই  করাতে   কাফ্‌ফারা  হয় না। <br> <br>صَلُّوْا عَلَی الۡحَبِیۡب!                               صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد <br> <br>হারমের গাছ-পালা কাটা <br>======== <br>প্রশ্ন:   হারম    শরীফে    গাছ-পালা   কাটার     ক্ষেত্রে     কিছু নির্দেশনা দান করুন। <br> <br>উত্তর:      দা’ওয়াতে        ইসলামীর       প্রকাশনা      প্রতিষ্ঠান  মাকতাবাতুল   মদীনা    কর্তৃত   প্রকাশিত     ১২৫০    পৃষ্ঠা  সম্বলিত  কিতাব  “বাহারে  শরীয়াত”এর  ১১৮৯-১১৯০  পৃষ্ঠার   কিছু    মাসআলা    অবলোক্ষণ   করুন।      হারামের গাছপালা  ৪ প্রকারের রয়েছে।  (১)  কেউ সেটা  রোপন করেছে     এবং    সেটা   এমন     গাছ    অন্যান্য   মানুষরাও রোপন   করে।   (২)   রোপন   করেছে  কিন্তু  এ  রকম  না যেটা  মানুষ  রোপন  করে।  (৩)  কেউ  সেটাকে  রোপন  করেনি,  কিন্তু  এরকম যেটাকে লোকেরা রোপন   করে। (৪)   রোপন  করেনি,  না     ঐ   রকম  গাছ   কেউ  রোপন  করে। প্রথমত তিন প্রকারকে কাটা ইত্যাদিতে কিছু নয় অর্থাৎ জরিমানা নেই। থাকল এই  কথা সে যদি কারও দেশে  আছেন,   তাহলে    মালিক  ক্ষতিপূরন  নিবে।  ৪র্থ প্রকারে   জরিমানা   দিতে  হবে  এবং  যদি  কারও  দেশে হয়, তাহলে ক্ষতিপূরন নিবে  এবং  জরিমানা  ঐ সময়ই আছে  যখন  ভেঙ্গে  যায়   অথবা  উত্তোলনকৃত   না   হয়।  জরিমানা   এটাই   যে,   ওটার  দামের  শষ্য    মিসকীনের উপর সম্পূর্ণ করে। প্রত্যেক মিসকীনকে একটি সদ্‌কা, আর  যদি  শষ্যের  দাম   সম্পূর্ণ  সদ্‌কা  থেকে   কম  হয়, তাহলে এক মিসকীনকেই দিয়ে  দিবে। আর তার জন্য হারমের   মিসকীন   হওয়া  জরুরি নয়, আর এটাও  হতে পারে   যে    সম্পূর্ণ    মূল্যই   সদ্‌কা    করে   দেয়।     অথবা  এমনও  করা  যেতে      পারে  ঐ   মূল্যের  পশু  ক্রয  করে  হারমে   জবাই     করে    দিবে    রোযা   রাখা     যথেষ্ট   নয়। মাসআলা   ৩:  যে    গাছ   শুকিয়ে  গেছে   সেটা  উত্তোলন  করতে পারবে এবং তা দ্বারা উপকার গ্রহণ করা যাবে। মাসআলা  ৫: গাছের পাতা   ভাঙ্গলে  যদি গাছের  কোন  ক্ষতি       না       হয়,        তাহলে       কোন       অসুবিধা       নেই।  অনুরূপভাবে  যে  গাছ   বৃদ্ধি   পাচ্ছে   সেটাকেও   কাঁটলে জরিমানা   হবে  না।  যদি  মালিক  থেকে   অনুমতি  নিয়ে নেয়, তাহলে তাকে তার মূল্য দিয়ে দেয়। মাসআলা ৬: কিছু     লোক   একত্রিত   হয়ে    যদি   গাছ   কাটে,   তাহলে একজনই ক্ষতিপূরন দিবে। যা সবার   উপর  ভাগ   হয়ে  যাবে।  সবাই   মুহরিম  হোক  অথবা  মুহরিম  না   হোক,  অথবা কিছু মুহরিম হোক অথবা কিছু মুহরিম না হোক। মাসআলা ৭: হেরেমের পিলু অথবা অন্য  কোন  গাছের মিসওয়াক   বানানো   বৈধ    নয়।   মাসআলা      ৯:    নিজে অথবা জীব-জন্তু চলতে  অথবা  তাবু স্থাপন করতে কিছু গাছ  কেটে থাকে (অর্থাৎ নষ্ট হতে থাকে) তবে সমস্যা নেই। মাসআলা  ১০: ফতোয়া  এটাই  যে,  প্রয়োজনের   ক্ষেত্রে ঐখানকার ঘাস জানোয়ার কে  খাওয়ানো   বৈধ। এছাড়া    কাটা,   উপরে    ফেলা   এগুলোর   হুকুম   উহাই হবে,  যা   গাছের   এবং  শুকনা  ঘাস  ব্যতীত   তা  থেকে  প্রত্যেক  প্রকারের   উপকারীতা  অর্জন   করা  বৈধ।  খুটি ভাঙ্গাতে এবং তুলে ফেলাতে কোন সমস্যা নেই। <br> <br>মীকাত থেকে ইহরাম ব্যতীত <br>অতিক্রম করা সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর <br>======== <br>প্রশ্ন:   যদি   কোন   আফাকি   মীকাত   থেকে   ইহরাম   না  বেঁধে ওমরা করে নেয়, তবে তার হুকুম কি? <br> <br>উত্তর: যদি মক্কা মুকাররমার ইচ্ছায় কোন আফাকি চলে এবং মীকাতে ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করে ফেলে, তবে তার উপর দম ওয়াজিব হবে। এখন  মসজিদে আয়িশা থেকে    ইহরাম   বাঁধা    যথেষ্ট    নয়।   হয়তো    দম   দেবে অথবা  আবার মীকাত থেকে   বাইরে যাবে এবং ওখান  থেকে ওমরা ইত্যাদির ইহরাম বেঁধে  আসবে তখন দম রহিত হয়ে যাবে। </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-s8FNEcOOdEU/WaUL65nIEqI/AAAAAAAAAk4/USG0xIBtgFgkQSs3bUHzVxv8NedG28xawCHMYCw/s1600/hajj-2014-84.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-s8FNEcOOdEU/WaUL65nIEqI/AAAAAAAAAk4/USG0xIBtgFgkQSs3bUHzVxv8NedG28xawCHMYCw/s640-rw/hajj-2014-84.jpg"> </a> </div>

হেরেমের ভিতরের কিছু মাসআলা

ওমরার ভিসায় হজ্বের জন্য অপেক্ষা করা কেমন? ======== প্রশ্ন:    কিছুলোক  নিজ  দেশ  থেকে   রমজানুল  মুবারকে ওমরার জন্য ভিসা নিয়ে হারামাইন তৈ...

Read more »

হজ্জে আকবর

<p dir="ltr">হজ্বে আকবর (আকবর হজ্ব) <br>======== <br>প্রশ্ন: জুমার দিন যে হজ্ব  হয়, তাকে হজ্বে  আকবর বলা কেমন? <br> <br>উত্তর:  কোন    সমস্যা  নেই।   যেমনিভাবে  ১০ম  পারায় সূরা তাওবা এর ৩নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন: <br> <br>কানযুল    ঈমান     থেকে    অনুবাদ:     এবং     ঘোষণাকারী ঘোষণা দিচ্ছে আল্লাহ ও তাঁর রসুলের পক্ষ থেকে সমস্ত লোকের   মধ্যে  মহান    হজ্বের  দিনে।وَ    اَذَانٌ  مِّنَ  اللّٰہِ   وَ رَسُوۡلِہٖۤ    اِلَی  النَّاسِ یَوۡمَ الۡحَجِّ الۡاَکۡبَرِ  (পারা: ১০, সূরা:  তাওবা, আয়াত: ৩) <br> <br>সদরুল আফাযিল, হযরত আল্লামা মাওলানা সায়্যিদুনা  মুহাম্মদ নঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী رَحۡمَۃُ اللہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ এই আয়াতে   কারীমার   ব্যাপারে   উলেস্নখ   করেন:   হজ্বকে  হজ্বে    আকবর    বলেছেন    এই   কারণে   যে,   ঐ   সময়ে ওমরাকে হজ্বে আসগর  (ছোট হজ্ব) বলা হত এবং এক বর্ণনা  এই  যে,   ঐ  হজ্বকে  হজ্বে  আকবর    এই  জন্যেই বলা    হয়েছে    যে    ঐ    রছরে    রাসুলে    করীম,    রউফুর  রহীমصَلَّی  اللہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم    হজ্ব  করেছিলেন  এবং    এই     হজ্ব     জুমার    দিন        হয়েছিল।     এই    জন্য মুসলমানরা  সেই হজ্বকে, যেটা জুমার দিন হয়। বিদায় হজ্বের   মুযাক্কির   (অর্থাৎ   স্মরণ   করিয়ে   দেয়ার)   জন্য  হজ্বে   আকবর  বলে।     নবী করীম صَلَّی  اللہُ تَعَالٰی   عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ  করেছেন:  “দিনসমূহের মধ্যে  উত্তম হচ্ছে  ঐ   আরাফার দিন যা  জুমার   দিনের   সাথে মিলে যায়     এবং  সেই  দিনের  হজ্ব  সেই  সত্তর   হজ্বের  চেয়ে  উত্তম যা জুমার দিন হয়না।” (ফাতহুল বারী, ৯ম খন্ড, ২৩১ পৃষ্ঠা, হাদীসের ব্যাখ্যা: ৪৬০৬) <br> <br>আরব শরীফে কর্মরতদের জন্য <br>======== <br>প্রশ্ন:      মক্কায়ে       মুকাররমায়       কর্মরত      ব্যক্তি      কিংবা সেখানের স্থায়ী বাসিন্দা যদি তায়িফ শরীফ গমন করে। তখন  প্রত্যাবর্তনকালে   তাকে  হজ্ব  ও   ওমরার  ইহরাম বাঁধা জরুরী কিনা? <br> <br>উত্তর:  এই   নিয়মটি    স্মরণ   রাখুন  যে,    মক্কাবাসী  যদি কোন   কাজের   উদ্দেশ্যে   “হেরমের   সীমানার”   বাইরে  যায়।  তবে  মীকাতের  ভিতরেই  (যেমন  জিদ্দা  শরীফ)  থাকে,   তখন  সে    ফিরে  আসাতে  ইহরামের  প্রয়োজন  নেই,   আর  যদি  “মীকাতের”  বাইরে  (যেমন   মদীনায়ে পাক,      তায়িফ,    রিয়াদ    ইত্যাদি)   যায়   তখন   ইহরাম ছাড়া প্রত্যাবর্তন হওয়া জায়িয নেই। <br> <br>ইহরাম না বাঁধে তো হিলা <br>======== <br>প্রশ্ন: যদি কোন   ব্যক্তি জিদ্দা  শরীফে  কাজ করে  তখন নিজের ঘর যেমন বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য জিদ্দা শরীফ  আসল।  তখন  তার  কি  ইহরাম  করা  আবশ্যক  হবে? <br> <br>উত্তর: যদি জিদ্দা শরীফে যাওয়ার  নিয়্যত ছিল।  তখন  তার  ইহরাম  করার  প্রয়োজন  নেই।  বরং  এখন  জিদ্দা  শরীফ  থেকে  মক্কায়ে  মুকাররমায়  যেতে  হলে  ইহরাম  ব্যতীত যেতে   পারবেন। তাই যে ব্যক্তি  হারাম শরীফে ইহরাম ব্যতীত যেতে চায়, সে হিলা করতে পারে তবে শর্ত   হল  বাস্তবিকই  তার   ইচ্ছা   ছিল  প্রথমেই  সেখানে যাওয়া। যেমন জিদ্দা শরীফ   যাওয়া ছিল। আর মক্কায়ে মুকাররমা হজ্ব ও  ওমরার ইচ্ছায় সে যাচ্ছে না।   যেমন ব্যবসার জন্যে জিদ্দা শরীফ যায়, আর নিজ কাজ থেকে অবসর  হয়ে  মক্কায়ে  মুকাররমা   যাওয়ার  ইচ্ছা  করল,  আর   যদি  প্রথম   থেকেই   মক্কায়ে   মুকাররমা   যাওয়ার  ইচ্ছা করে,   তখন কিনত্মু  ইহরাম ছাড়া যেতে   পারবে না।  আর     সে  ব্যক্তি  অন্যের  পক্ষে  বদলী  হজ্ব  করতে যায় তার জন্যে এই হিলা করা জায়িয নেই। <br> <br>হজ্ব   কিংবা   ওমরার   জন্য  আর্থিক  সহযোগীতা  চাওয়া কি? <br>======== <br>প্রশ্ন:  কতিপয়  মিসকিন  আশিক  তার  ইশকের  যন্ত্রণায়  অস্থির   হয়ে   হজ্ব   কিংবা   ওমরা   করার   জন্য   মানুষের  নিকট আর্থিক সাহায্য চায়। ইহা কি জায়িয? <br> <br>উত্তর:        ইহা     হারাম।     সদরুল      আফাযিল     মাওলানা নঈমুদ্দীন    মুরাদাবাদী    رَحۡمَۃُ    اللہِ     تَعَالٰی   عَلَیْہِ    বর্ণনা করেন যে,  ইয়ামেনের    কতিপয় লোক সম্পদহীন  হয়ে হজ্বের        সফরে        যায়,        আর       তারা         নিজেদেরকে মুতাওয়াক্কিল    (নির্ভরশীল)    বলে    দাবী    করে।     তারা  মক্কায়ে   মুকাররমা    গিয়ে   সুওয়াল    (ভিক্ষাবৃত্তি)     করা  আরম্ভ   করে  দেয়,    আবার   কখনো   তারা  পর    সম্পদ আন্তসাৎ ও খেয়ানতে লিপ্ত হয়ে যেত। তাদের ব্যাপারে নিন্মের আয়াতে মুকাদ্দাসা পূর্বেই বর্ণিত হয়েছিল, আর নির্দেশ হল তোমরা হজ্বে সম্পদসহ যাও। <br> <br>আর   অন্যের  উপর বোঝা  চেপে  দিওনা। ভিক্ষা থেকে বিরত    থাক।    নিশ্চয়    উত্তম    সম্পদ    হল    খোদাভীতি  অবলম্বন করা, আর আয়াতে মুকাদ্দাসা এই <br> <br>কানযুল  ঈমান    থেকে  অনুবাদ:    তোমরা   সম্পদ  সঙ্গে নাও। আর সকলের চেয়ে উত্তম সম্পদ হল খোদাভীতি অবলম্বন করা। وَ تَـزَوَّدُوۡا   فَاِنَّ خَيۡرَالـزَّادِ التَّقۡوٰي   (পারা: ২, সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৯৭) <br> <br>সুলতানে মদীনা صَلَّی اللہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন:  “যে সকল ব্যক্তি মানুষের নিকট  ভিক্ষা করে অথচ তার কোন অভাব নেই। অধিক সন্তানও নেই যে, সে  মূলত  সক্ষম ব্যক্তি। কিয়ামতের দিন  এভাবেই সে  হাজির   হবে, যে তার মুখে মাংস থাকবে না।”(শুআবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ২৭৪ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৩৫২৬) <br> <br>মদীনার         প্রেমিকরা!        ধৈর্য্যধারণ        করুন!        ভিক্ষার  নিষেধাজ্ঞায়    কঠোর    গুরুত্ব    রয়েছে,    আর    ফুকাহায়ে  কিরাম    رَحِمَهُمُ     اللهُ    السَّلام    অতটুকু    লিখেছেন    যে:  গোসলের পরে ইহরাম বাঁধার পূর্বে নিজ শরীরে সুগন্ধি লাগিয়ে   নিন।  তবে  শর্ত   হল  নিজের   কাছে   বিদ্যমান থাকতে হবে,  আর যদি নিজের    কাছে   না  থাকে তখন অন্যের   নিকট     তালাশ  করিওনা।  কেননা  ইহাও  এক প্রকার ভিক্ষা। (রাদ্দুল মুহতার, ৩য় খন্ড, ৫৫৯ পৃষ্ঠা) <br> <br>জব   বুলাইয়া   আক্বা   নে,            খুদ    হি   ইনতিজাম    হো  গেয়ি। <br> <br>صَلُّوْا   عَلَی الۡحَبِیۡب!                            صَلَّی  اللہُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-N9LikD_TErs/WaULzIAtJvI/AAAAAAAAAk0/aDJeQulLIC0D9i9IBUDQuSB86wHMAsN8ACHMYCw/s1600/hajj-2014-84.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-N9LikD_TErs/WaULzIAtJvI/AAAAAAAAAk0/aDJeQulLIC0D9i9IBUDQuSB86wHMAsN8ACHMYCw/s640-rw/hajj-2014-84.jpg"> </a> </div>

হজ্জে আকবর

হজ্বে আকবর (আকবর হজ্ব) ======== প্রশ্ন: জুমার দিন যে হজ্ব  হয়, তাকে হজ্বে  আকবর বলা কেমন? উত্তর:  কোন    সমস্যা  নেই।   যেমনিভাবে  ১০ম...

Read more »