সহিহ হাদিসে মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) :

আমি মনে করি মিলাদুন্নবী এর সর্বোৎকৃষ্ট প্রমান এই হাদিস।

এখানে জেনে রাখা ভাল যেঃ
১.
শরীয়তের হুকুম এই যে,
ইমানহীন ব্যক্তির কঠোর সাধনার ইবাদতও জাহান্নামে দগ্ধ হবে অর্থাৎ ইমান ছাড়া আমলের কোন মূল্য হয় না।
২.
এই স্বপ্নের সত্যতা নিয়ে সমস্ত ইমামগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন।
৩.
ইমামগণের বক্তব্যের সারাংশ এই যেঃ
মীলাদুন্নবী (সা) উপলক্ষে খুশি হওয়ায় কাফির লাহাবও যদি ১টা দিন (সোমবার) আজাব লাঘব হয়ে থাকে, যার বিরোদ্ধে কিনা স্বয়ং আল্লাহ সুরা লাহাব নাজিল করেছেন। তাহলে চিন্তার বিষয় ইমানদারদের জন্য কত বড় পুরষ্কার থাকতে পারে তা আল্লাহই ভাল জানেন । - #SubhanAllah

♥ বুখারী শরীফে উল্লেখিত ঘটনাটি না বললেই নয়,

হযরত উরওয়া ইবনে জুবায়ের (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) বলেন,
সুহাইবাহ আবু লাহাবের দাসী ছিল। আবু লাহাব ওনার কাছে থেকে (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর বেলাদাতের (অর্থাৎ মিলাদুন্নবীর ) সুসংবাদ প্রাপ্ত হয়ে (মিলাদুন্নবীর খুশিতে) কৃতদাসী সুহাইবাহ কে আযাদ করে দিয়েছিল।
যখন আবু লাহাব মৃত্যুবরণ করেছিল তখন (এক বছর পর) তার ঘনিষ্ঠদের কেউ (হযরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) তাকে স্বপ্নে শোচনীয় অবস্থায় দেখে তার উদ্দেশ্যে বলেন,
“তোমার অবস্থা কেমন?”
- আবু লাহাব উত্তরে বলল, “তোমাদের নিকট থেকে আসার পর আমি কোন প্রকার শান্তি পাইনি, কেবল যে দিন (রাসুলুল্লাহ (দ.) জন্ম হওয়ার খুশিতে অর্থাৎ মিলাদুন্নবীর খুশিতে ) দাসী সুহাইবাকে (তর্জনী ও মধ্যমা দু’টি আঙ্গুলের ইশারায়) আযাদ করে দিয়েছিলাম, ঐ কারনে (প্রতি সোমবার) আংগুল দুটির মধ্যে কিছু পানি জমে আমি ঐ পানি পান করে থাকি ও প্রতি সোমবার (জাহান্নামের কঠিন) আযাবকে হাল্কাবোধ করে থাকি।”

Reference :-

♦Masnad Ahmed : Hadith 25953 under the heading of لو كانت تحل لي لما تزوجتها قد أرضعتني وأباها ثويبة مولاة بني هاشم فلا تعرضن علي أخواتكن ولا بناتكن and again in Hadith 26865 with matan of
ابنة أخي من الرضاعة وأرضعتني وأبا سلمة  ثويبة فلا تعرضن علي بناتكن ولا أخواتكن

♦Al-Sunnan Al Kubra (li Nisai): Hadith 5394/5395

♦Al Nisai’ al-Sughra : Hadith Nob 3287/3284/3285/3286

♦Sunnan Ibne Majah: Hadith 1939 Under the heading of ( ابنة أخي من الرضاعة أرضعتني وأباها ثويبة فلا تعرضن علي أخواتكن ولا بناتكن)

♦Sahih Muslim: Hadith Nob.1451(2634), 1451(2635) under the same matan

♦Sahih ibne Hibban: Hadith Nob, 4110 (4199), 4111(4200), the matan of hadith is إن زينب تحرم علي وإنها في حجري وأرضعتني وإياها ثويبة فلا تعرضن علي بناتكن ولا أخواتكن ولا عماتكن ولا خالاتكن ولا أمهاتكن
اطراف الحدیث

♦Sahih al Bukhari Sharif : 2644/2645/2646/3105/4796/5099/5100/5101/5103/5106/5107/5124/5133/5239/5372/6156/

♦Sunan Kubra by Imam Baihaqi, The Book of Nikah.

♦Jame Ul Ahadith Wal Maraseel, Masaneed us Sahabah, Hadith no. 43545

♦Kanzul 'Ummal Vol 6, Hadith no. 15725

♦Musannaf Abdul Razzaq, Vol 7, Hadith no. 13546.

♦Imam A’aini (ra) in his book “Umdatul Qari, Vol: 14,Page. No. 45;

♦Imam Ibn Kathir in “Seerat un Nabawiyyah” (vol. 1 pg 224)

♦Sharh Zurqani, Vol 1, Pg. no. 261

♦Subul ul Huda war Rashad Vol 1 Pg. no. 367.

♦Imam Ibn Asqalani in "Fath al bari"

♦ibn al-Qayyim : [Tuhfat al-Mawdud bi Ahkam al-Mawlud, p.19]

♦Ibn 'Abd al-Wahhab, M., Mukhtasar Sirat ar-Rasul, 'Milad an-Nabi'

সহিহ বুখারী শরীফের ২য় জিলদের ৭৬৪ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে-
ﻗﺎﻝ ﻋﺮﻭﺓ ﻭﺛﻮﻳﺒﺔ ﻣﻮﻻﺓ ﻻﺑﻰ ﻟﻬﺐ ﻛﺎﻥ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﺍﻋﺘﻘﻬﺎ ﻓﺎﺭﺿﻌﺖ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻠﻤﺎ ﻣﺎﺕ
ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﺍﺭﻳﻪ ﺑﻌﺾ ﺍﻫﻠﻪ ﺑﺸﺮ ﺣﻴﺒﺔ ﻗﺎﻝ ﻟﻪ ﻣﺎﺫﺍ ﻟﻘﻴﺖ ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﻟﻢ ﺍﻟﻖ ﺑﻌﺪﻛﻢ ﻏﻴﺮ ﺍﻧﻰ ﺳﻘﻴﺖ ﻓﻰ ﻫﺬﻩ
ﺑﻌﺘﺎﻗﺘﻰ ﺛﻮﻳﺒﺔ ০
অর্থাৎ হযরত উরওয়া (রাঃ) বলেন, ছোয়াইয়াবা আবু লাহাবের বাদী ছিলেন। আবু লাহাব (হুজুর সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিলাদ শরীফের খুশিতে) তার
বাদীকে আজাদ করে দিয়েছিল। তিনি আল্লাহর
হাবিবকে দুধ পান করিয়েছিলেন। আবু লাহাবের মৃত্যুর (এক বৎসর) পর, তার কোন আহল (হযরত আব্বাস (রাঃ) স্বপ্নে দেখেছিলেন, তার অবস্থা খুবই শোচনীয়।
তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, মৃত্যুর পর তোমার
অবস্থা কেমন? আবু লাহাব উত্তরে বলল, আপনাদের নিকট থেকে আসার পর আমি কোন শান্তি পাই নাই, শুধুমাত্র আমি যে (আল্লাহর হাবিবের জন্মসংবাদ বা মিলাদ শরীফের খুশিতে) ছোয়াইবাকে (তর্জ্জনী ও
মধ্যমা অঙ্গুলি দ্বারা ঈশারা করত) আজাদ করে দিয়েছিলাম, সে কারণে (প্রতি সোমবারে অঙ্গুলিদ্বয়ের অভ্যন্তরে কিছু পানি জমে থাকে) আামি পানি চুষে প্রতি সোমবারে আজাব নিরসন করে থাকি।
উল্লেখ্য যে, আল্লামা ইবনে হজর আসকালানী (রাঃ) এর
লিখিত ‘ফতহুল বারী শরহে বুখারী’ ৭ম জিলদের ১২৫
পৃষ্ঠা অনুকরণে উপরোক্ত হাদিস শরীফের সারাংশ
লেখা হয়েছে।

উক্ত হাদিস শরীফের আলোকে ইমাম ইবনুজ জাওযী (রাঃ)বলেন-

ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﺍﻟﺠﺰﺭﻯ ﻓﺎﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻫﺬﺍ ﺍﺑﻮﺍﻟﻬﺐ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ ﺍﻟﺬﻯ ﻧﺰﻝ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ ﺑﺬﻣﻪ ﺟﻮﺯﻯ ﻓﻰ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﺑﻔﺮﺣﻪ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﻮﻟﺪ
ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺑﻪ ﻓﻤﺎ ﺣﺎﻝ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﺍﻟﻤﺆﺣﺪ ﻣﻦ ﺍﻣﺘﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺍﻟﺬﻯ ﻳﺴﺮ ﺑﻤﻮﻟﺪﻩ ﻭﻳﺒﺬﻝ
ﻣﺎﺗﺼﻞ ﺍﻟﻴﻪ ﻗﺪﺭﺗﻪ ﻓﻰ ﻣﺤﺒﺘﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻌﻤﺮﻯ ﺍﻧﻤﺎ ﻳﻜﻮﻥ ﺟﺰﺍﺅﻩ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻜﺮﻳﻢ ﺍﻥ ﻳﺪﺧﻠﻪ
ﺑﻔﻀﻠﻪ ﺍﻟﻌﻤﻴﻢ ﺟﻨﺎﺕ ﺍﻟﻨﻌﻴﻢ ০ ( ﻣﻮﺍﻫﺐ ﺍﻟﻠﺪﻧﻴﻪ ﺝ ১ ০ ﺹ২৭ ﺯﺭﻗﺎﻧﻰ ﺝ ০১ ﺹ১৩৯ )

‘ইমাম ইবনে জাওযী (রাঃ) বলেন যে কাফের আবু লাহাবের দুর্নামে কোরআন নাজিল হয়েছে এবং যার জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত, সে আবু লাহাবও যদি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিলাদুন্নবীর উপর
খুশি হওয়াতে সুফল পেল, তাহলে তাঁর উম্মতের
মধ্যে যে একত্ববাদী মুসলমান এবং তাঁর মিলাদুন্নবীতে আনন্দিত হয় তাঁর মহব্বতে যথাসাধ্য দান করে,
তার অবস্থা কী হবে? আমি কসম করে বলছি যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ হতে তার বিনিময় এ হবে, তিনি সর্বব্যাপী অনুগ্রহ দ্বারা তাকে জান্নাতুন
নাঈমে প্রবেশ করাবেন।’ (মাওয়াহিবে লাদুনিয়া ১ম জিল্দ ২৭ পৃঃ জুরকানী ১ম জিল্দ ১৩৭ পৃঃ)

উপরোক্ত বর্ণিত হাদিস প্রসঙ্গে আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রাঃ) তদীয় ‘মাদারিজুন নবুয়ত’ নামক কিতাবে বলেন-

ﺟﻨﺎﻧﺠﻪ ﺩﺭ ﺣﺪﻳﺚ ﺍﻣﺪﻩ ﺍﺳﺖ ﻭﺩﺭﻳﻨﺠﺎ ﺳﻨﺪﺍﺳﺖ ﻣﺮﺍﻫﻞ ﻣﻮﺍﻟﻴﺪ ﺭﺍﻛﻪ ﺩﺭﺷﺐ ﻣﻴﻼﺩ ﺍﻧﺤﻀﺮﺕ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﺳﺮﻭﺭ ﻛﻨﻨﺪ ﻭﺑﺬﻝ ﺍﻣﻮﺍﻝ ﻧﻤﺎﻳﻨﺪ ﻳﻌﻨﻰ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﻛﻪ ﻛﺎﻓﺮ ﺑﻮﺩ ﻭﻗﺮﺍﻥ ﺑﻤﺬﻣﺖ ﻭﻯ ﻧﺎﺯﻝ ﺷﺪﻩ ﺟﻮﻥ
ﺑﺴﺮﻭﺭ ﺑﻤﻴﻼﺩ ﺍﻧﺤﻀﺮﺕ ﻭ ﺑﺬﻝ ﺷﻴﺮ ﺟﺎﺭﻳﻪ
ﻭﻯ ﺑﺠﻬﺔ ﺍﻧﺤﻀﺮﺕ ﺟﺰﺍ ﺩﺍﺩﻩ ﺷﺪ ﺗﺎﺣﺎﻝ ﻣﺴﻠﻤﺎﻥ ﻛﻪ ﻣﻤﻠﻮﺳﺖ ﺑﻤﺤﺒﺖ ﻭﺳﺮﻭﺭ ﻭﺑﺬﻝ ﻣﺎﻝ ﺩﺭ ﻃﺮﻳﻖ ﻭﻯ
ﺟﻪ ﺑﺎﺷﺪ ﻭﻟﻴﻜﻦ ﺑﺎﻳﺪﻛﻪ ﺍﺯ ﺑﺪﻋﺘﻬﺎ ﻛﻪ ﻋﻮﺍﻡ ﺍﺣﺪﺍﺙ ﻛﺮﺩﻩ ﺍﻧﺪﺍﺯ ﺗﻐﻨﻰ ﻭﺍﻻﺕ ﻣﺤﺮﻣﻪ ﻭ ﻣﻨﻜﺮﺍﺕ ﺧﺎﻟﻰ
ﺑﺎﺷﺪ ০ ( ﻣﺪﺍﺭﺝ ﺍﻟﻨﺒﻮﺕ ﺝ ২ ০ ﺹ২৬ )

অর্থাৎ উস্তাযুল মুহাদ্দিসিন আল্লামা শেখ আব্দুল হক
মেহাদ্দিসে দেহলভী (রাঃ) বলেন- উক্ত ঘটনা মিলাদ শরীফ পাঠকারীদের জন্য একটি বৃহত্তম দলিল, যারা মিলাদুন্নবীর রাতে আনন্দ উৎসব ও দান খয়ারাত করে থাকেন। অর্থাৎ আবু লাহাব কাফের এবং তার দুর্নামে কোরআন নাজিল হওয়া সত্বেও নবী পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের (মিলাদ শরীফের
সংবাদে আনন্দিত হয়ে নূরবীকে দুধপান করানোর
নিমিত্তে বাদী আজাদ করে দেয়, সে কারণে তাকে পুরস্কার দেয়া হল প্রতি সোমবারে আজাব নিরসন করা হল এখন যার ঈমানদার নবীপ্রেমিক (মিলাদুন্নবীর রাতে) আনন্দ উৎসব ও দান খয়রাত করেন তাঁদের পুরস্কার কীরূপ হবে? অবশ্য সে মিলাদকে শরীফে গান ও হারাম বাদ্যযন্ত্র হতে পবিত্র রাখতে হবে। (মাদারিজুন নবুয়ত ২য় খণ্ড ২৬ পৃঃ)
উল্লেখ্য যে, স্বপ্ন শরিয়তের দৃষ্টিতে দলিলরূপে গণ্য
হতে পারে না, এমনকি কাফেরদের কোন আমলই আল্লাহর দরবারে গৃহীত হয় না, ইহা অতীব সত্য। কিন্তু এখানে একমাত্র রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার দরুণ দলিলরূপে গণ্য হল। তা শুধুমাত্র নবীরজন্য খাস

যেমন ফতহুল বারী শরহে বুখারী ৯ম জিল্দের ১৫৪ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে-

ﻓﻴﺤﺘﻤﻞ ﺍﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻣﺎﻳﺘﻌﻠﻖ ﺑﺎﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﺨﺼﻮﺻﺎ ﻣﻦ ﺫﺍﻟﻚ ﺑﺪﻟﻴﻞ ﻗﺼﺔ ﺍﺑﻰ ﻃﺎﻟﺐ ﻛﻤﺎ
ﺗﻘﺪﻡ ﺍﻧﻪ ﺧﻔﻒ ﻋﻨﻪ ০

ভাবার্থ- আল্লামা ইবনে হজর আসকালানী (রাঃ) ফতহুল
বারী শরহে বুখারী শরীফের মধ্যে এ মাসআলা নিয়ে বিশদ আলোচনা করে বলেন যদিও কোন স্বপ্ন শরিয়তেরদলিলরূপে গণ্য হয় না, কিন্তু এখানে হযরত আব্বাস (রাঃ) এর স্বপ্ন আবু লাহাবের আজাব লাঘব হওয়ার ব্যাপারে কেবলমাত্র নবী করিম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার দরুণ
দলিলরূপে গণ্য হতে পারে। অন্য কারো স্বপ্ন শরিয়তের
দলিলরূপে গণ্য হবে না। তারপর আবু তালেবের আজাব কম হওয়ার প্রসঙ্গ দলিলরূপে উল্লেখ করেছেন।
মুসলিম শরীফের ১ম জিল্দের ১১৫ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে- আবু তালিব কাফের, আজীবন নূরনবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের লালন-পালন ও সাহায্য করার দরুণ স্বয়ং আল্লাহর হাবিব তার আজাব খুব কম
হচ্ছে এবং হবে বলে সুসংবাদ প্রদান করেছেন।

Top