যারা আমাদের প্রান প্রিয় নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে “নূর” হিসাবে মানতে পারেন না। যারা বলেন নূরের কোন সহীহ হাদীছ শরীফ নাই, ইমাম কুস্তালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আগে কেউ নূরের হাদীছ বর্ননা করেন নাই। তাদের জন্য এই দলীল। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি (১৬৪-২৪১ হিজরী) রচিত ফাদ্বায়েলুছ ছাহাবা কিতাবে একটা হাদীছ শরীফ আছে। বয়সে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি  (১৯৪- ২৫৬ হিজরী) থেকে ৬০ বছরের বড়, সেই সাথে ওস্তাদও বটে। সূতরাং আশা করা যায় বিরোধী যারা করেন এখানেও বিরোধীতা করে হাসির পাত্র হবেন না। হাদীস শরীফ খানা সনদ সহ বর্ননা করা হলো,

حدثنا الحسن قثنا أحمد بن المقدام العجلي قثنا الفضيل بن عياض قثنا ثور بن يزيد عن خالد بن معدان عن زاذان عن سلمان قال سمعت حبيبي رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول : كنت انا وعلي نورا بين يدي الله عز و جل قبل ان يخلق آدم بأربعة عشر ألف عام فلما خلق الله آدم قسم ذلك النور جزءين فجزء أنا وجزء علي عليه السلام

অর্থঃ- “হযরত সালমান ফার্সী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা হতে বর্ণিত,  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি এবং হযরত আলী
আলাইহিস সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট “নূর“ হিসেবেই অবস্থান করছিলাম। উক্ত “নূর মুবারক”  হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার সৃষ্টি হওয়ার চৌদ্দ হাজার বৎসর পূর্বে মহান আল্লাহ পাক উনার তাসবীহ ও পবিত্রতা বর্ণনায় মশগুল ছিল। যখন হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হলো তখন উক্ত “নূর মুবারক” দুই ভাগে ভাগ করা হলো।” (কিতাব: ফাদ্বায়েলুছ ছাহাবা, লেখক: ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি, ৬৬৩ পৃষ্ঠা : হাদীছ নং ১১৩০, ফেরদাউস ৩য় জিঃ ২৮৩ পৃষ্ঠা, মুখতাছারু তারিখুত দিমাষ্ক ৫/৩৭৭, মানাকিবে আলী ইবনে আবী তালিব ১/১৪৫)


ঈমানদার দের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট আশা করি।
Top