বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস শাহ ওলী উল্লাহ দেহলভী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর খান্দানের নিয়মিত আমলের মধ্যে একটি আমল ছিল প্রতি বছর ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এর স্মরণে মহররম মাসে শাহাদত বার্ষিকী পালন করা।
এ প্রসঙ্গে শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ। ) প্রণীত ফতোয়ায়ে আজিজীয়ার ২য় খণ্ডে বলেন-
در تمام سال دو مجلس درخانہ فقیر منعقد می شود مجلس ذکر ولادت شریف و مجلس ذکر شھادت حسنین رضی اللہ عنھما اول کہ مردم روز عاشورہ یا یک دو روز پیش ازیں قریب چھار صدکس یا پنج صدکس بلکہ ھزار فراھم می آیند درود می خوانند بعد ازان فقیرمی آید وذکر فضائل حسنین کہ از حدیث ثابت است بیان می کند- بعد ازاں ختم قرآن مجید وپنج آیت خواندہ برماحضر فاتحہ نمودہ می آید- ایں است قدرے کہ بعمل می آید- (فتاوی عزیزیہ جلد ثانی)
অর্থাৎ ফকীরের (লিখক নিজেকে ফকীর সম্বোধন করেন) এখানে প্রতি বছর দু’টি মজলিস অনুষ্ঠিত হয়। একটা জিকির-ই- বিলাদত শরীফের মজলিস (ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহফিল অপরটি জিকর-ই- শাহাদত-ই-হাসনাইন এর মজলিস (হযরত ইমাম হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এর শাহাদত দিবস উদযাপন মাহফিল)। এতে প্রথম মজলিস আশুরার দিবসে অথবা দু’এক দিন আগে থেকে, চার-পাঁচশো নয় বরং সহস্রাধিক লোকের সমাবেশ ঘটে। এতে দরূদশরীফ পড়া হয়। এর পর ফকীর (লিখক) এসে হাদিসশরীফের আলোকে হযরত হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এর শাহাদাতের ফজিলতের উপর বিশদ বর্ণনা করি। এরপর খতমে কোরআনমজীদ, এবং পঞ্চ আয়াত পাঠ করে খাবার দ্রব্যাদি যা কিছু মজুদ থাকতো, এর উপর ফাতিহা দেওয়া হতো। এভাবে এবং এ নিয়মে এখানে আমল (শরিয়তসম্মত কাজ) এর শোভা পায়।
প্রিয় পাঠক! শুধুমাত্র মৃত্যুবার্ষিকী নয় মৃত্যুর জন্য তৃতীয় দিবস সপ্তম দিবস চেহলাম বা চল্লিশা পালনের রেওয়াজ আউলিয়ায়ে কেরামের মাধ্যমে আজো প্রচলিত আছে।
শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভী রাদিয়াল্লাহু আনহু স্বীয় মলফুজাত কিতাবে লিখেন-
روز سوم کثرت ہجوم مردم ان قدر بود- کہ بیرون از حساب است- ھشتاد ویک کلام اللہ شمار آمدہ- وزیادہ ھم شدہ باشد- وکلمہ را حصر نیست-
অর্থ: শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- ‘আমার পিতার মৃত্যুর তৃতীয় দিবসে মানুষের এমন ভিড় হলো যে, তা হিসেবের বাইরে। অনুষ্ঠানে কোরআনশরীফ একাশি খতম পর্যন্ত গণনা করা হয়েছে। এর অতিরিক্ত খতমও হয়েছিল। কালেমা তাইয়্যেবা বা খতমে তাহলীল পড়া হয়েছিল বেশুমার। (মলফুজাতে আজিজী)।
বুঝা গেল- তৃতীয়দিনের কুলখানির অনুষ্ঠান পূর্ব হতে প্রচলিত ছিল এবং তা শাহ ওলী উল্লাহর খান্দানের গৃহীত রেওয়াজ।
শেখ আব্দুল হক দেহলভী রাদিয়াল্লাহু আনহু যিনি ফার্সীতে মিশকাতশরীফের ব্যাখ্যা লিখে নাম রেখেছেন- ‘আশ আতুল লোমআত’। উক্ত গ্রন্থে মিশকাতশরীফের ‘জিয়ারাতুল কুবুর’ অধ্যায়ের একটি হাদিসের ব্যাখ্যায় কুলখানী ও সাতদিন পর্যন্ত দান খয়রাত করা সম্পর্কে লিখেছেন-
وتصدق کردہ شود از میت بعد رفتن او از عالم تاھفت روز
অর্থ: মৃত্যুর পর সাতদিন পর্যন্ত মৃতব্যক্তির জন্য দান খয়রাত করবে। ’
উক্ত কিতাবের উক্ত অধ্যায়েই উল্লেখ আছে- রূহ আপন গৃহে আগমন করে-
وبعض روایات آمدہ است کہ- روح میت می آید خانہ خود را شب جمعہ پس نظر می کند کہ تصدق کنند ازوے یانہ-
অর্থ: কোন কোন রেওয়ায়েতে এসেছে যে, জুমার রাত্রে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে) মৃত ব্যক্তির রূহ তার ঘরের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে এবং তার জন্য কেউ দান খয়রাত করছে কি না তা দেখেন।
বুঝা গেল- মৃতব্যক্তিরা জীবিত স্বজনদের দান খয়রাতের প্রত্যাশী হয়ে নিজ গৃহে আগমন করে। যদি কেউ দান করে, তাহলে খুশি হয়ে দোয়া করে প্রত্যাবর্তন করে। নতুবা বিমুখ হয়ে ফিরে যায়। (হায়াত মউত কবর হাশর)
প্রিয় পাঠক! এবার হামিদী সাহেবের বক্তব্য পাঠ করুন, হামিদী সাহেব মৃত্যুবার্ষিকী পালন ও তারিখ নির্ধারণ করে ঈসালে সওয়াব মাহফিল করাকে সাফ হারাম, গোনাহের কাজ ও সম্পূর্ণ বেদআত বলেছেন। যেমন তিনি লিখেছেন-
‘মৃত্যুবার্ষিকী পালন ও মাদার ডে পালন করা বৈশাখী মেলায় অংশ নেওয়া সাফ হারাম এবং গুনাহের কাজ। শরিয়তে ঈসালে সওয়াবের নির্দেশ রয়েছে, তবে তারিখ নির্দষ্ট করে নয়। বছরের যে কোন দিনে যতবার ইচ্ছা একই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একাধিক মুর্দার জন্য একই সাথে ঈসালে ছওয়াব করতে পারেন। ঈসালে ছওয়াবের জন্য প্রতি বছর মৃত্যুর তারিখে পার্টি করা সম্পূর্ণ বেদআত। ’
সম্মানিত পাঠকগণ, হামিদী সাহেব মৃত্যুবার্ষিকী পালন করাকে মাদার ডে পালন করা ও বৈশাখী মেলায় অংশগ্রহণকারীদের সাথে তুলনা করে ইহাকে সাফ হারাম ও গোনাহের কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি পাঠকদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মৃত্যুবার্ষিকীর সাথে মাদার ডে ও বৈশাখী মেলার উল্লেখ করেছেন।
আমি বলব এ রকম বেরহমের মতো ফতোয়াবাজী করার পূর্বে নিজের ঘরের খবরটা নেয়া খুবই প্রয়োজন ছিল।
দেখুন দেওবন্দী ছিলছিলার মুরব্বি ও মুর্শিদ হাজী ইমদাদ উল্লাহ মুহাজিরে মক্বী (রহ। ) স্বীয় فیصلہ ھفت مسئلہ কিতাবে ঈসালে সওয়াবের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা সম্বন্ধে লিখেছেন-
اب رھا- تاریخ مقرر کرنا تو یہ بات تجربہ سے معلوم ھوتی ہے کہ جو کام کسی خاص وقت میں کیا جاتاہے- وہ اس وقت یاد بہی آجاتاہے اور ضرور انجام پاجاتاہے نہں تو سال سال گزر جاتے ہیں کبہی اس کا خیال بہی نہں اتاہے-
অর্থ: এখন বাকী রইল তারিখ নির্ধারণ করা। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এটা জানা যায় যে, যে কাজ কোন নির্দিষ্ট সময়ে করা হয় তা সেই নির্দিষ্ট সময় আসার সাথে সাথে মনে পড়ে এবং কাজটাও যথা সময়ে আদায় হয়ে যায়। অন্যথায় বছরের পর বছর চলে গেলেও খবর থাকে না। (ফয়সালায়ে হাফত মাসআলাহ)
অতঃপর তিনি উক্ত কিতাবে ‘উরস ও সেমা’ অধ্যায়ে বাৎসরিক তারিখ নির্ধারণ সম্পর্কে বলেন-
اس طرح سے سلسلہ کے سب لوگ ایک تاریخ میں جمع ہو جاتے ہیں- ایک دوسرے سے ملاقات ہو جاتی ہے- اور صاحب مزار کی روح کو قران کی تلاوت اور کھانا تقسیم کرنے کا ثواب بہی پھنچا جاتاہے- اس مصلحت سے ایک خاص تاریخ مقررکی جاتی ہے- اب یہ تاریخ وفات کا دن کیون ہے اس میں کچھ راز- پوشیدہ ہیں جن کے اظھار کی ضرورت نہں-
অর্থ: এভাবে সিলসিলার সব লোক একই তারিখে একত্রিত হয়। একে অপরের সাথে দেখা সাাতের সুযোগ হয় এবং সাহেবে মাযারের রূহের প্রতি কোরআন তিলাওয়াত, খাবার বণ্টন ইত্যাদির সওয়াব পৌঁছানো হয়। এ মহত উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এখন প্রশ্ন হলো মৃত্যুর দিনকে কেন নির্ধারণ করা হয়। এর পিছনে কিছু রহস্য লুকায়িত আছে যা প্রকাশের প্রয়োজন নেই। (ফয়সালায়ে হাফত মাসআলাহ)
এ প্রসঙ্গে শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ। ) প্রণীত ফতোয়ায়ে আজিজীয়ার ২য় খণ্ডে বলেন-
در تمام سال دو مجلس درخانہ فقیر منعقد می شود مجلس ذکر ولادت شریف و مجلس ذکر شھادت حسنین رضی اللہ عنھما اول کہ مردم روز عاشورہ یا یک دو روز پیش ازیں قریب چھار صدکس یا پنج صدکس بلکہ ھزار فراھم می آیند درود می خوانند بعد ازان فقیرمی آید وذکر فضائل حسنین کہ از حدیث ثابت است بیان می کند- بعد ازاں ختم قرآن مجید وپنج آیت خواندہ برماحضر فاتحہ نمودہ می آید- ایں است قدرے کہ بعمل می آید- (فتاوی عزیزیہ جلد ثانی)
অর্থাৎ ফকীরের (লিখক নিজেকে ফকীর সম্বোধন করেন) এখানে প্রতি বছর দু’টি মজলিস অনুষ্ঠিত হয়। একটা জিকির-ই- বিলাদত শরীফের মজলিস (ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহফিল অপরটি জিকর-ই- শাহাদত-ই-হাসনাইন এর মজলিস (হযরত ইমাম হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এর শাহাদত দিবস উদযাপন মাহফিল)। এতে প্রথম মজলিস আশুরার দিবসে অথবা দু’এক দিন আগে থেকে, চার-পাঁচশো নয় বরং সহস্রাধিক লোকের সমাবেশ ঘটে। এতে দরূদশরীফ পড়া হয়। এর পর ফকীর (লিখক) এসে হাদিসশরীফের আলোকে হযরত হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এর শাহাদাতের ফজিলতের উপর বিশদ বর্ণনা করি। এরপর খতমে কোরআনমজীদ, এবং পঞ্চ আয়াত পাঠ করে খাবার দ্রব্যাদি যা কিছু মজুদ থাকতো, এর উপর ফাতিহা দেওয়া হতো। এভাবে এবং এ নিয়মে এখানে আমল (শরিয়তসম্মত কাজ) এর শোভা পায়।
প্রিয় পাঠক! শুধুমাত্র মৃত্যুবার্ষিকী নয় মৃত্যুর জন্য তৃতীয় দিবস সপ্তম দিবস চেহলাম বা চল্লিশা পালনের রেওয়াজ আউলিয়ায়ে কেরামের মাধ্যমে আজো প্রচলিত আছে।
শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভী রাদিয়াল্লাহু আনহু স্বীয় মলফুজাত কিতাবে লিখেন-
روز سوم کثرت ہجوم مردم ان قدر بود- کہ بیرون از حساب است- ھشتاد ویک کلام اللہ شمار آمدہ- وزیادہ ھم شدہ باشد- وکلمہ را حصر نیست-
অর্থ: শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- ‘আমার পিতার মৃত্যুর তৃতীয় দিবসে মানুষের এমন ভিড় হলো যে, তা হিসেবের বাইরে। অনুষ্ঠানে কোরআনশরীফ একাশি খতম পর্যন্ত গণনা করা হয়েছে। এর অতিরিক্ত খতমও হয়েছিল। কালেমা তাইয়্যেবা বা খতমে তাহলীল পড়া হয়েছিল বেশুমার। (মলফুজাতে আজিজী)।
বুঝা গেল- তৃতীয়দিনের কুলখানির অনুষ্ঠান পূর্ব হতে প্রচলিত ছিল এবং তা শাহ ওলী উল্লাহর খান্দানের গৃহীত রেওয়াজ।
শেখ আব্দুল হক দেহলভী রাদিয়াল্লাহু আনহু যিনি ফার্সীতে মিশকাতশরীফের ব্যাখ্যা লিখে নাম রেখেছেন- ‘আশ আতুল লোমআত’। উক্ত গ্রন্থে মিশকাতশরীফের ‘জিয়ারাতুল কুবুর’ অধ্যায়ের একটি হাদিসের ব্যাখ্যায় কুলখানী ও সাতদিন পর্যন্ত দান খয়রাত করা সম্পর্কে লিখেছেন-
وتصدق کردہ شود از میت بعد رفتن او از عالم تاھفت روز
অর্থ: মৃত্যুর পর সাতদিন পর্যন্ত মৃতব্যক্তির জন্য দান খয়রাত করবে। ’
উক্ত কিতাবের উক্ত অধ্যায়েই উল্লেখ আছে- রূহ আপন গৃহে আগমন করে-
وبعض روایات آمدہ است کہ- روح میت می آید خانہ خود را شب جمعہ پس نظر می کند کہ تصدق کنند ازوے یانہ-
অর্থ: কোন কোন রেওয়ায়েতে এসেছে যে, জুমার রাত্রে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে) মৃত ব্যক্তির রূহ তার ঘরের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে এবং তার জন্য কেউ দান খয়রাত করছে কি না তা দেখেন।
বুঝা গেল- মৃতব্যক্তিরা জীবিত স্বজনদের দান খয়রাতের প্রত্যাশী হয়ে নিজ গৃহে আগমন করে। যদি কেউ দান করে, তাহলে খুশি হয়ে দোয়া করে প্রত্যাবর্তন করে। নতুবা বিমুখ হয়ে ফিরে যায়। (হায়াত মউত কবর হাশর)
প্রিয় পাঠক! এবার হামিদী সাহেবের বক্তব্য পাঠ করুন, হামিদী সাহেব মৃত্যুবার্ষিকী পালন ও তারিখ নির্ধারণ করে ঈসালে সওয়াব মাহফিল করাকে সাফ হারাম, গোনাহের কাজ ও সম্পূর্ণ বেদআত বলেছেন। যেমন তিনি লিখেছেন-
‘মৃত্যুবার্ষিকী পালন ও মাদার ডে পালন করা বৈশাখী মেলায় অংশ নেওয়া সাফ হারাম এবং গুনাহের কাজ। শরিয়তে ঈসালে সওয়াবের নির্দেশ রয়েছে, তবে তারিখ নির্দষ্ট করে নয়। বছরের যে কোন দিনে যতবার ইচ্ছা একই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একাধিক মুর্দার জন্য একই সাথে ঈসালে ছওয়াব করতে পারেন। ঈসালে ছওয়াবের জন্য প্রতি বছর মৃত্যুর তারিখে পার্টি করা সম্পূর্ণ বেদআত। ’
সম্মানিত পাঠকগণ, হামিদী সাহেব মৃত্যুবার্ষিকী পালন করাকে মাদার ডে পালন করা ও বৈশাখী মেলায় অংশগ্রহণকারীদের সাথে তুলনা করে ইহাকে সাফ হারাম ও গোনাহের কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি পাঠকদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মৃত্যুবার্ষিকীর সাথে মাদার ডে ও বৈশাখী মেলার উল্লেখ করেছেন।
আমি বলব এ রকম বেরহমের মতো ফতোয়াবাজী করার পূর্বে নিজের ঘরের খবরটা নেয়া খুবই প্রয়োজন ছিল।
দেখুন দেওবন্দী ছিলছিলার মুরব্বি ও মুর্শিদ হাজী ইমদাদ উল্লাহ মুহাজিরে মক্বী (রহ। ) স্বীয় فیصلہ ھفت مسئلہ কিতাবে ঈসালে সওয়াবের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা সম্বন্ধে লিখেছেন-
اب رھا- تاریخ مقرر کرنا تو یہ بات تجربہ سے معلوم ھوتی ہے کہ جو کام کسی خاص وقت میں کیا جاتاہے- وہ اس وقت یاد بہی آجاتاہے اور ضرور انجام پاجاتاہے نہں تو سال سال گزر جاتے ہیں کبہی اس کا خیال بہی نہں اتاہے-
অর্থ: এখন বাকী রইল তারিখ নির্ধারণ করা। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এটা জানা যায় যে, যে কাজ কোন নির্দিষ্ট সময়ে করা হয় তা সেই নির্দিষ্ট সময় আসার সাথে সাথে মনে পড়ে এবং কাজটাও যথা সময়ে আদায় হয়ে যায়। অন্যথায় বছরের পর বছর চলে গেলেও খবর থাকে না। (ফয়সালায়ে হাফত মাসআলাহ)
অতঃপর তিনি উক্ত কিতাবে ‘উরস ও সেমা’ অধ্যায়ে বাৎসরিক তারিখ নির্ধারণ সম্পর্কে বলেন-
اس طرح سے سلسلہ کے سب لوگ ایک تاریخ میں جمع ہو جاتے ہیں- ایک دوسرے سے ملاقات ہو جاتی ہے- اور صاحب مزار کی روح کو قران کی تلاوت اور کھانا تقسیم کرنے کا ثواب بہی پھنچا جاتاہے- اس مصلحت سے ایک خاص تاریخ مقررکی جاتی ہے- اب یہ تاریخ وفات کا دن کیون ہے اس میں کچھ راز- پوشیدہ ہیں جن کے اظھار کی ضرورت نہں-
অর্থ: এভাবে সিলসিলার সব লোক একই তারিখে একত্রিত হয়। একে অপরের সাথে দেখা সাাতের সুযোগ হয় এবং সাহেবে মাযারের রূহের প্রতি কোরআন তিলাওয়াত, খাবার বণ্টন ইত্যাদির সওয়াব পৌঁছানো হয়। এ মহত উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এখন প্রশ্ন হলো মৃত্যুর দিনকে কেন নির্ধারণ করা হয়। এর পিছনে কিছু রহস্য লুকায়িত আছে যা প্রকাশের প্রয়োজন নেই। (ফয়সালায়ে হাফত মাসআলাহ)
এই বিষয়ে আরো পড়ুন এখান থেকে- কারবালা