ইমামতের বর্ণনা

সুস্থ সবল ব্যক্তির ইমামের জন্য ছয়টি শর্ত

(১)  বিশুদ্ধ  আকীদা সম্পন্ন মুসলমান হওয়া, (২)    প্রাপ্ত বয়স্ক   হওয়া, (৩) বিবেকবান হওয়া, (৪) পুরুষ হওয়া, (৫)  কিরাত  বিশুদ্ধ হওয়া, (৬) মা’যুর না হওয়া (শরয়ী ভাবে অক্ষম না হওয়া) । (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ২৮৪ পৃষ্ঠা)

ইমামের অনুসরণ করার ১৩টি শর্ত

(১) নিয়্যত করা (২) ইক্তিদা করা আর ইক্তিদার নিয়্যত তাহরীমার  সাথে  হওয়া      অথবা  তাকবীরে   তাহরীমার পূর্বে    হওয়া    তবে    এক্ষেত্রে     শর্ত    হলো,     নিয়্যত    ও তাহরীমার  মাঝখানে  অন্য   কোন   বাহ্যিক   কাজ    দ্বারা যেন ব্যবধান সৃষ্টি না হয়) (৩) ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ে একই   স্থানে   হওয়া,   (৪)    ইমাম   ও    মুক্তাদী   উভয়ের নামায    এক      হওয়া     বা     ইমামের    নামায     মুক্তাদীর  নামাযকে তার যিম্মায় (অর্থাৎ ইমামতির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করে) নেওয়া (৫) ইমামের নামায মুক্তাদীর মাযহাবের আলোকে   সহীহ   হওয়া     এবং   (৬)   ইমাম   ও   মুক্তাদী উভয়ে  এটাকে শুদ্ধ মনে করা,   (৭) শর্তানুযায়ী  মহিলা সামনে না থাকা, (৮) মুক্তাদী ইমামের আগে না হওয়া, (৯)  ইমামের  রুকন পরিবর্তন  সম্পর্কে মুক্তাদী অবগত  থাকা, (১০) ইমাম মুকীম বা মুসাফির হওয়ার ব্যাপারে মুক্তাদী   অবগত    হওয়া,     (১১)    রুকন    সমূহ   আদায়ে শরীক  থাকা,    (১২)  রুকন  সমূহ  আদায়কালে  মুক্তাদী  ইমামের    মত    পরিপূর্ণ   আদায়    করুক   বা   কম    (১৩) এভাবে শর্তাবলীর ক্ষেত্রে ইমামের চেয়ে মুক্তাদীর বেশি না হওয়া। (রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড, ২৮৪ থেকে ২৮৫ পৃষ্ঠা)

ইকামাতের পর ইমাম সাহেব ঘোষণা করবেন

আপনারা   নিজেদের    পায়ের    গোড়ালী,   গর্দান    এবং কাঁধকে আপনার পার্শ্ববর্তী ভাইয়ের পায়ের   গোড়ালী, গর্দান  এবং    কাঁধের  সাথে  সোজা   এক     বরাবর   করে কাতার সোজা  করে নিন। দুই জনের মাঝখানে জায়গা খালি    রাখা    গুনাহ্।    একজনের     কাঁধ     অপর     জনের  কাঁধকে   স্পর্শ  করে    রাখাটা  ওয়াজীব।  কাতার  সোজা রাখা   ওয়াজীব   এবং   যতক্ষণ   পর্যন্ত   সামনের   কাতার  কোণায় কোণায়  পূর্ণ না হয়  ততক্ষণ পর্যন্ত  জেনে  বুঝে পিছনের কাতারে নামায শুরু করে দেয়া মানে ওয়াজীব বর্জন   করা,  যা হারাম    এবং  গুনাহ্। ১৫  বছরের ছোট না-বালিগ  (অপ্রাপ্তবয়স্ক)  বাচ্চাদেরকে     কাতারে  দাঁড় করাবেন      না,    তাদেরকে    কাতারের     এক    কোণায়ও পাঠাবেন না। ছোট বাচ্চাদের কাতার সবার শেষে তৈরী করবেন।  (বিস্তারিত জানার  জন্য দেখুন:   ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ৭ম খন্ড, ২১৯ থেকে ২২৫ পৃষ্ঠা)

জামাআতের বর্ণনা

সুস্থ  মস্তিস্ক   সম্পন্ন  বিবেকবান,  প্রাপ্ত  বয়স্ক,   স্বাধীন  ও সক্ষম     ব্যক্তির     উপর     মসজিদের     প্রথম     জামাআত  ওয়াজীব।  বিনা  কারণে  একবার  বর্জনকারী  গুনাহগার ও   শাস্তির   উপযুক্ত   হবে   আর   কয়েকবার    বর্জনকারী  ফাসিক,        সাক্ষীর      অনুপযুক্ত      (অর্থাৎ      তার      সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য   নয়)  আর  তাকে  কঠিন   শাস্তি  প্রদান   করা হবে।   যদি   প্রতিবেশী (ইসলামী ভাই)  তার জামাআত  বর্জনের  ব্যাপারে    নিরব  থাকে  তবে     সেও   গুনাহগার হবে। (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড, ২৮৭ পৃষ্ঠা)  কতিপয়  সম্মানিত  ফকীহগণ  رَحِمَہُمُ      اللہُ   تَعَالٰی  বলেন:  “যে ব্যক্তি  আযান  শুনে  ঘরে  ইকামাতের  জন্য অপেক্ষা    করতে  থাকে   সে  গুনাহগার  হবে  এবং   তার সাক্ষ্য  গ্রহণযোগ্য  হবে না।”  (আল  বাহরুর  রাইক্ব, ১ম খন্ড, ৪৫১, ৬০৪ পৃষ্ঠা)

জামাআত বর্জন করার ২০টি উপযুক্ত কারণ

(১)  রোগাক্রান্ত  ব্যক্তি, (যার  মসজিদে যেতে খুব বেশি কষ্ট হয়) (২) বিকলাঙ্গ হলে,  (৩) যার পা কেটে গেছে, (৪) অর্ধাঙ্গ রোগে আক্রান্ত হলে,  (৫) বার্ধক্যের কারণে  মসজিদ পর্যন্ত যেতে অক্ষম হলে, (৬) অন্ধ হলে, যদিও তার  জন্য  হাত    ধরে   মসজিদ  পর্যন্ত  পৌঁছিয়ে   দেয়ার  লোক    থাকে      (৭)    খুব    বেশি     বৃষ্টিপাত     হলে,    (৮)  চলাচলের  রাস্তায় অতিরিক্ত কাদা হলে, (৯)   তীব্র শীত পড়লে,  (১০)  খুব  বেশি    অন্ধকার  হলে,  (১১)  প্রবল ঝড় তুফান হলে,  (১২) সম্পদ বা খাদ্য বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা    থাকলে,    (১৩)    পথে   কর্জদাতা    পাকড়াও করার    আশঙ্কা   হলে,   যদি  সে  অভাবগ্রস্থ    হয়।   (১৪) অত্যাচারীর  ভয় থাকলে, (১৫) পায়খানা, (১৬) প্রস্রাব বা  (১৭)  বায়ু   নির্গত  হওয়ার  প্রবল    বেগ  হলে,  (১৮) খাবার     উপস্থিত    আর    অন্তরের     আকর্ষণও     সেদিকে  থাকলে,   (১৯)  কাফেলা   চলে   যাওয়ার    আশঙ্কা  হলে, (২০)     রোগীর   সেবা   শুশ্রুষায়   নিয়োজিত   ব্যক্তি,   যে  জামাআতের    জন্য    গেলে    রোগীর   কষ্ট    হবে   ও   ভয়  পাবে।  এসবগুলোই  জামাআত    বর্জন    করার  উপযুক্ত কারণ।    (রদ্দুল    মুহতার   সম্বলিত  দুররে  মুখতার,  ২য়  খন্ড, ২৯২-২৯৩ পৃষ্ঠা)

ইমানহারা হয়ে মৃত্যুবরণ করার আশঙ্কা

ইফতার      মাহফিল,      দাওয়াত      (ইছালে      সাওয়াবের  মাহফিল  বা  ওরস  সমূহ)   ও   না’ত   ইত্যাদি    অনুষ্ঠানে যোগ  দেয়ার  কারণে  মসজিদের  ফরয  নামায  সমূহের প্রথম জামাআত বর্জন  করার  অনুমতি শরীয়াতে নেই। যেসব  লোক  ঘর  বা  হল  রুমে  বা  বাংলোর  কম্পাউন্ড  ইত্যাদিতে   তারাবীহ    এর   জামাআতের    ব্যবস্থা   করে  অথচ     পাশেই    মসজিদ    রয়েছে    তবে   তাদের    উপর ওয়াজীব হচ্ছে   যে,  সর্বপ্রথম  ফরয  নামায জামাআতে ঊলা  অর্থাৎ  প্রথম জামাআতের সাথে আদায় করা। যে সব  লোক    শরীয়াত  অনুমোদিত   কোন  কারণ  ব্যতীত শারীরিকভাবে     সামর্থ      থাকা     সত্ত্বেও      ফরয     নামায মসজিদের  প্রথম  জামাআতের  সাথে   আদায়  করে   না তাদের ভয় করা   উচিত। কেননা,  মদীনার   তাজেদার, রাসূলদের   সরদার,   হুযুরে    আনওয়ার   صَلَّی   اللّٰہُ   تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم  ইরশাদ করেন:   “যার এটা  পছন্দ হয়  যে, কাল  কিয়ামাতের ময়দানে আল্লাহ্ তাআলার সাথে মুসলমান অবস্থায় সাক্ষাত করবে, তবে সে যেন এ পাঁচ ওয়াক্ত  নামায  (জামাআতের  সাথে)  সেখানে  নিয়মিত  আদায়    করে,     যেখানে     আযান    দেয়া    হয়।    কেননা, আল্লাহ তাআলা তোমাদের নবী صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  এর   জন্য  সুনানে  হুদা  বৈধ  করেছেন  আর   এই (জামাআত    সহকারে)   নামায   আদায়    করাও   সুনানে  হুদা। আর যদি তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নাত ছেড়ে দাও  তবে  পথভ্রষ্ট  হয়ে  যাবে।”  (মুসলিম  শরীফ,  ১ম  খন্ড, ২৩২ পৃষ্ঠা) এ হাদীসে পাক থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়  যে, জামাআতে  ঊলা  নিয়মিত  আদায়কারীর মৃত্যু ঈমানের  সাথে  হবে  আর  যে  ব্যক্তি  শরয়ী  অপরাগতা  ব্যতীত  মসজিদের   প্রথম  জামাআত  বর্জন   করে  তার  জন্য    আল্লাহ্র    পানাহ্!    কুফরির    উপর    মৃত্যু    হওয়ার  আশঙ্কা  রয়েছে।  যারা  শুধুমাত্র  অলসতার  কারণে  পূর্ণ  জামাআতে  অংশগ্রহণ  করে  না  তারা  মনোযোগ  দিন!  আমার   আক্বা  আ’লা   হযরত,   ইমামে   আহলে   সুন্নাত, মাওলানা শাহ্ আহমদ রযা  খাঁন  رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی   عَلَیْہِ বলেন:   “বাহরুর   রা-ইক”  এর  মধ্যে  রয়েছে:  কনিয়াহ এর   মধ্যে  রয়েছে,   যদি    আযান  শুনার  পর   মসজিদে প্রবেশ করার  জন্য   ইকামাতের অপেক্ষা  করতে থাকে  তবে    গুনাহগার   হবে।”   (ফতোওয়ায়ে     রযবীয়া,    ৭ম খন্ড, ১০২ পৃষ্ঠা।  আল   বাহরুর রাইক, খন্ড ১ম,   পৃষ্ঠা ৬০৪)   ফতোওয়ায়ে   রযবীয়া   শরীফের   একই   পৃষ্ঠায়  এটাও  রয়েছে:    “যে  ব্যক্তি    আযান  শুনে  ঘরের   মধ্যে ইকামাতের জন্য  অপেক্ষা করে তার  সাক্ষী গ্রহণযোগ্য হবে   না।” (আল বাহরুর  রাইক, ১ম খন্ড,  পৃষ্ঠা  ৪৫১)

প্রিয়  ইসলামী  ভাইয়েরা!  যে   ব্যক্তি    ইকামাতের   আগ  পর্যন্ত মসজিদে আসে না অনেক ফুকাহায়ে কিরামগণের (ফিকহবিদ)  رَحِمَہُمُ   اللہُ  تَعَالٰی মতে সে গুনাহগার এবং সাক্ষ্যদানের অনুপযুক্ত। তাহলে যারা বিনা কারণে ঘরে জামাআতের    ব্যবস্থা    করে    অথবা    জামাআত    ছাড়া  নামায   আদায়   করে  কিংবা  আল্লাহর   পানাহ!  নামাযই পড়ে না তাদের কি অবস্থা হবে!

ইয়া    রব্বে    মুস্তফাعَزَّوَجَلَّ!    আমাদেরকে   পাঁচ   ওয়াক্ত নামায         জামাআত         সহকারে         মসজিদের         প্রথম  জামাআতের    সাথে   প্রথম    সারিতে    তাকবীরে    উলার সাথে সবসময় আদায় করার সৌভাগ্য দান করো।

اٰمِين بِجا هِ النَّبِيِّ الْاَمين  صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

মাই পাঁচো নামাযে পড়– বা-জামাআত,
হো তওফিক এইছি আতা ইয়া ইলাহী!

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                              صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلٰی  مُحَمَّد

বিতির নামাযের ৯টি মাদানী ফুল

(১)  বিতরের  নামায   ওয়াজীব।  (আল   বাহরুর  রাইক, ২য়  খন্ড, ৬৬ পৃষ্ঠা) (২) যদি  এটা ছুটে যায়  তবে এর  কাযা   আদায়  করা   আবশ্যক।   (দুররে  মুখতার,  রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড, ৫৩২ পৃষ্ঠা)  (৩) বিতরের  নামাযের  সময়সীমা   ইশার   নামাযের  পর  থেকে   সুবহে   সাদিক পর্যন্ত।     (তাহতাবীর     পাদটিক     সম্বলিত      মারাকিউল   ফালাহ,  ১৭৮  পৃষ্ঠা)  (৪)  যে  ব্যক্তি  ঘুম  থেকে  উঠতে  সক্ষম   তার জন্য   উত্তম হচ্ছে, রাতের শেষ ভাগে  উঠে প্রথমে         তাহাজ্জুদের     নামায     আদায়      করা     এরপর বিতরের  নামায আদায়  করা।   (গুনিয়াতুল  মুসতামলা, ৪০৩  পৃষ্ঠা)                  (৫)  বিতর  নামায   তিন  রাকাত। (তাহতাবীর     পাদটিক     সম্বলিত     মারাকিউল    ফালাহ, ৩৭৫   পৃষ্ঠা)        (৬)    এতে     কা’দায়ে   ঊলা     ওয়াজীব। কাদায়ে ঊলা করার পর শুধু তাশাহহুদ পড়ে দাঁড়িয়ে যাবেন।   (৭)  তৃতীয়  রাকাতে   কিরাতের   পর  কুনূতের তাকবীর বলা ওয়াজীব। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ৫৩৩ পৃষ্ঠা) (৮)  যেভাবে তাকবীরে তাহরীমা  বলা  হয়,  সেভাবেই  প্রথমে  হাত  কান  পর্যন্ত  উঠাবেন,    অতঃপর   اَللهُ   اَكْبَرُ   বলবেন     (তাহতাবীর পাদটিকা, ৩৭৬ পৃষ্ঠা) (৯) তারপর হাত বেঁধে দোয়ায়ে কুনূত পাঠ করবেন:

اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَسْتَعِيْنُكَ وَ نَسْتَغْفِرُكَ وَ نُؤْ مِنُ بِكَ وَنَتَوَ كَّلُ عَلَيْكَ وَ  نُثْنِىْ عَلَيْكَ  الْخَيْرَ وَ  نَشْكُرُكَ وَلَا   نَكْفُرُكَ وَ نَخْلَعُ  وَ نَتْرُكُ  مَنْ يَّفْجُرُكَ ط  اَللّٰهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَ لَكَ نُصَلِّىْ وَ نَسْجُدُ وَ اِلَيْكَ نَسْعٰى وَ نَحْفِدُ وَ نَرْجُوْا  رَحْمَتَكَ  وَنَخْشٰى عَذَا بَكَ اِنَّ عَذَا بَكَ  بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ ط

অনুবাদ: হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট সাহায্য চাই এবং   তোমার   নিকট   ক্ষমা   চাই   এবং   তোমার   উপর  ঈমান   রাখি।   আর   তোমার   উপর   ভরসা   রাখি   এবং  তোমার     খুবই     উত্তম     প্রশংসা     করি     এবং     তোমার  কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি   এবং  তোমার   প্রতি  অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিনা এবং আলাদা রাখি ও প্রত্যাখ্যান করি ঐ ব্যক্তিকে, যে তোমার নির্দেশ অমান্য করে। হে আল্লাহ! আমরা  তোমারই   ইবাদত   করি   এবং  তোমারই    জন্য নামায    পড়ি,    সিজদা    করি   এবং   একমাত্র    তোমার  প্রতিই  দৌড়ে আসি এবং খিদমতের  জন্য হাজির  হই এবং     তোমার     রহমতের     আশাবাদী     এবং     তোমার  শাস্তিকে      ভয়     করি।      নিশ্চয়ই      তোমার       শাস্তি     শুধু কাফিরদের জন্য রয়েছে।

(১০) দোয়ায়ে কুনুতের পর দরূদ শরীফ পড়া  উত্তম। (গুনিয়াতুল মুসতামলা, ৪০২ পৃষ্ঠা) (১১) যারা দোয়ায়ে কুনূত পড়তে পারে না, তারা এটা পড়বে:

اَللّٰهُمَّ رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِـى    الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّ فِـى الْاٰ خِرَةِ  حَسَنَةً  وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ

অনুবাদ:      হে      আল্লাহ্!      হে      আমাদের      প্রতিপালক!  আমাদেরকে      দুনিয়ার       কল্যাণ       দান        করো      এবং আখিরাতের    কল্যাণ    দান   করো।     আর   আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা করো।

অথবা   এটা    পড়ুন    اَللّٰهُمَّ    اغْفِرْلِى    অর্থাৎ-হে   আল্লাহ! আমাকে     ক্ষমা    করে    দাও।     (তাহতাবীর      পাদটিকা  সম্বলিত    মারাকিউল  ফালাহ,   ৩৮৫    পৃষ্ঠা)  (১২)  যদি দোয়ায়ে  কুনূত পড়তে   ভুলে যান ও রুকূতে চলে  যান তবে  পুনরায়  ফিরে  আসবেন    না  বরং  সিজদায়ে  সাহু করে   নিবেন।   (আলমগিরী,  ১ম খন্ড,  ১১০ পৃষ্ঠা) (৯) বিতর  নামায   জামাআতের  সাথে  আদায়  করার  সময়  (যেমন-রমজানুল মোবারকে পড়া হয়)   যদি  মুক্তাদীর কুনূত পড়া শেষ হয়নি এমতাবস্থায় ইমাম রুকূতে চলে গেলে  মুক্তাদীও  রুকূতে  চলে  যাবে।  (আলমগিরী,  ১ম  খন্ড, ১১০  পৃষ্ঠা। তাবঈনুল হাকাইক, ১ম    খন্ড, ১৭১ পৃষ্ঠা)

Top