اَلۡحَمۡدُ      لِلہِ    رَبِّ     الۡعٰلَمِیۡنَ     وَالصَّلٰوۃُ    وَالسَّلَامُ    عَلٰی    سَیِّدِ الۡمُرۡسَلِیۡنَ
اَمَّا بَعۡدُ فَاَعُوۡذُ بِا للہِ  مِنَ الشَّیۡطٰنِ الرَّجِیۡمِ         ؕ بِسۡمِ اللہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ        ؕ

মদীনার মুসাফিরকে নবী করীম ﷺ এর সাহায্য

এক যুবক কাবা শরীফ তাওয়াফ করার সময় শুধু দরূদ শরীফই   পড়ছিল।   কেউ   তাকে     বলল:   তোমার    কি তাওয়াফের   আর    কোন  দোআ  জানা   নেই  নাকি   এর ভিন্ন   কোন   উদ্দেশ্য   রয়েছে?   সে   বলল:   দোআ   তো  আমার জানা আছে কিন্তু আসল ব্যাপার হচ্ছে যে, আমি আর      আমার     পিতা      উভয়ে     হজ্বের     উদ্দেশ্যে     বের হয়েছিলাম।  পিতা  মহোদয় পথিমধ্যে   রোগাক্রান্ত হয়ে  মৃত্যু বরণ   করেন। তাঁর চেহারা একেবারে  কালো হয়ে গেল।  চোখ   উল্টে   গেল  এবং  পেট   ফুলে  যায়!  আমি  খুবই কান্নাকাটি করলাম এবং বললাম: اِنَّا لِلّٰہِ وَاِنَّآ اِلَیْہِ رٰجِعُوْن যখন  গভীর  রাত  হল তখন আমার  চোখে   ঘুম এসে গেল। আমি  শুয়ে  গেলাম তখন  আমি স্বপ্নে সাদা পোষাক       পরিহিত      সুগন্ধিময়      ও      হাসোজ্জ্বল      এক  অসাধারণ  ব্যক্তিত্বের   জেয়ারত    লাভ   করলাম।   তিনি আমার   মরহুম   পিতার  লাশের   পাশে  তাশরীফ     নিয়ে গেলেন, আর আপন নূরানী হাত আমার পিতার চেহারা ও    পেটের   উপর   বুলিয়ে   দিলেন।   দেখতে   দেখতেই  আমার মরহুম পিতার চেহারা দুধের চেয়েও বেশী সাদা এবং   উজ্জ্বল   হয়ে   যায়,   আর   পেটও   পূর্বের   অবস্থায়  ফিরে  আসে। যখন  ঐ   বুজুর্গ ব্যক্তিটি  ফিরে যাচ্ছিলেন তখন   আমি   তাঁর   পবিত্র   দামান   আকঁড়ে   ধরি    আর   আরজ করি: ইয়া সায়্যিদি! (অর্থাৎ হে আমার  সরদার) আপনাকে ঐ স্বত্তার কসম, যিনি আপনাকে এই জঙ্গলে আমার         মরহুম         পিতার        জন্য        রহমত        হিসাবে পাঠিয়েছেন।   আপনি    কে?   ইরশাদ    করলেন:   “তুমি   আমাকে চিন না? আমি তো   মুহাম্মদুর  রাসুলুল্লাহ   صَلَّی اللہُ      تَعَالٰی    عَلَیْہِ    وَاٰلِہٖ    وَسَلَّم!     তোমার      পিতা      খুবই গুনাহগার ছিল কিন্তু আমার প্রতি খুব বেশী দরূদ শরীফ পাঠ করত। যখন তার উপর এই মুসিবত অবতীর্ণ হল, তখন সে   আমার  নিকট সাহায্য  চাইল।  সুতরাং  আমি  তার  ফরিয়াদ  কবুল  করলাম,  আর   আমি   প্রত্যেক   ঐ সকল     ব্যক্তির     ফরিয়াদে     সাড়া     দিয়ে     থাকি,     যে  দুনিয়াতে   আমার   উপর   বেশী  পরিমাণে  দরূদ  শরীফ পাঠ করে।” (রওযুর রায়াহীন, ১২৫ পৃষ্ঠা)

ফরইয়াদে উম্মতি যো করে হালে যার মে
মুমকিন   নেহী   কে   খায়রে   বশর   কো    খবর    না   হো। (হাদায়িকে বখশিশ)

صَلُّوْا عَلَی الۡحَبِیۡب!                              صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلٰی  مُحَمَّد

Top