মাসয়ালা (১) - সাত ব্যক্তি মিলিত ভাবে কুরবানির জন্য গরু ক্রয় করার পর একজনের ইন্তেকাল করলে তার ওয়ারিসগণের অনুমতিতে কুরবানি করলে সবার পক্ষহতে কুরবানি জায়েজ হয়ে যাবে। ওয়ারিসগণের বিনা অনুমতিতে করলে কারো কুরবানি জায়েজ হবে না (হিদায়া)।
মাসয়ালা (২) - অংশীদার দের মধ্যে কেহ কাফের থাকলে অথবা কারো উদ্দেশ্য কুরবানি না হয়ে কেবল মাংস খাওয়ার হলে কারো কুরবানি হবে না (দুর্রে-মুখতার ও রদ্দুল-মুহতার)।
মাসয়ালা (৩) - অংশীদার দের মধ্যে একজনের নিয়ত বর্তমান সালের কুরবানি করা এবং অন্যদের উদ্দেশ্য গতসালের কুরবানি করা, এমতাবস্থায় যার উদ্দেশ্য বর্তমান সালের কুরবানি করা তার কুরবানি সহী হবে, এবং অন্যদের নিয়ত বাতিল হবার কারণে তাদের কুরবানি নফল হয়ে যাবে। যেহেতু গত বৎসরের কুরবানি বর্তমান সালে জায়েজ নয়, সেহেতু তাদের মাংস সাদকা করে দেয়া জরুরী। এমনকি যার কুরবানি সঠিক হয়েছে তার ও মাংস সাদকা করতে হবে (রদ্দুল-মুহতার)।
মাসয়ালা (৪) - তিনব্যক্তি কুরবানির পশু ক্রয় করেছেন। প্রথমব্যক্তি তিনশত টাকায়, দ্বিতীয়ব্যক্তি দুইশত টাকায়, তৃতীয়ব্যক্তি একশত টাকায়, কোনো প্রকারে তিনটি পশু মিলে গিয়েছে। কোনটি কার তা জানা সম্ভব হচ্ছেনা। এমতাবস্থায় তিনজন তিনটি পশু কুরবানি করে দিলে, যিনি তিনশত টাকা দিয়ে ক্রয় করে ছিলো, তার দুইশত টাকা সাদকা করে দিবে। যিনি দুইশত টাকায় ক্রয় করেছিলেন তিনি একশত টাকা সাদকা করে দিবেন। যিনি একশত টাকায় ক্রয় করে ছিলেন তার কিছু সাদকা করতে হবেনা। যদি তিনব্যক্তি একে অপরকে কুরবানি করার অনুমতি দিয়ে থাকে, তাহলে সবার কুরবানি হয়ে যাবে এবং কিছু সাদকা করতে হবেনা (দুর্রে-মুখতার)।