ঈদের নামাযের পদ্ধতি

দরূদ শরীফের ফযীলত

রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সাম, রাসূলে আকরাম  صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی   عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “যে ব্যক্তি জুমার রাত  ও জুমার   দিন আমার উপর    একশত বার  দরূদ  শরীফ   পড়বে,   আল্লাহ্    তাআলা    তার  ১০০টি অভাব  পূরণ করবেন।  (তার   মধ্যে) ৭০টি  আখিরাতে  আর   ৩০টি   দুনিয়াতে।”  (তারিখে  দিমিশ্ক    লি   ইবনে আসাকির,    ৫৪তম    খন্ড,    ৩০১    পৃষ্ঠা,    দারুল    ফিক্র  বৈরুত)

صَلُّوْا  عَلَی الْحَبِیْب!                              صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد

অন্তর জীবিত থাকবে

মদীনার   তাজেদার,  রাসূলদের   সরদার,   হুযুর   পুরনূর صَلَّی  اللّٰہُ    تَعَالٰی   عَلَیْہِ     وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم   ইরশাদ  করেন:   “যে ব্যক্তি   দুই ঈদের রাতে   (অর্থাৎ-ঈদুল ফিতর  ও  ঈদুল আযহার রাত দু’টিতে) সাওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে জেগে থেকে  ইবাদত  করেছে,  তার  অন্তর  ঐ  দিন     মরবেনা, যেদিন মানুষের অন্তর মরে যাবে।” (ইবনে মাজাহ, ২য় খন্ড,     ৩৬৫  পৃষ্ঠা  হাদীস   নং-১৭৮২,  দারুল    মারেফা বৈরুত)

জান্নাত ওয়াজীব হয়ে যায়

অন্য    এক    জায়গায়    হযরত    সায়্যিদুনা    মু‘আয    বিন  জাবাল  رَضِیَ  اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَنْہُ  বলেন:  “যে  ব্যক্তি  পাঁচটি  রাতে জেগে    থাকে    (অর্থাৎ-জেগে সারা রাত ইবাদতে কাটায়)  তার   জন্য    জান্নাত   ওয়াজীব  হয়ে  যায়।   (সে রাতগুলো   হলো,    )    যিলহজ্জ   শরীফের    ৮,  ৯  ও  ১০ তারিখের রাত, (তিন  রাততো এভাবে হলো) আর ৪র্থ  রাতটি   হলো   ঈদুল   ফিতরের   রাত   এবং   ৫ম   রাতটি  হলো শাবানের ১৫  তারিখ রাত (অর্থাৎ-শবে বরাত) । (আত্তারগীব   ওয়াত্তারহীব, ২য় খন্ড,  ৯৮   পৃষ্ঠা, হাদীস নং-২)

ঈদের নামাযের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পূর্বেকার সুন্নাত

হযরত  সায়্যিদুনা  বুরাইদা  رَضِیَ  اللّٰہُ  تَعَالٰی   عَنْہُ   থেকে বর্ণিত;    নবীয়ে    রহমত,    শফীয়ে    উম্মত,    তাজেদারে  রিসালাত,  হুযুর   صَلَّی  اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم  ঈদুল ফিতরের   দিন  কিছু  খেয়ে নামাযের উদ্দেশ্যে তাশরীফ নিয়ে যেতেন। আর  ঈদুল আযহার দিন নামায শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু খেতেন না। (তিরমিযী, ২য় খন্ড, ৭০ পৃষ্ঠা,    হাদীস-     ৫৪২,    দারুল    ফিক্র     বৈরুত)     বুখারী  শরীফের    বর্ণনায়   হযরত  সায়্যিদুনা    আনাস   رَضِیَ  اللّٰہُ تَعَالٰی  عَنْہُ থেকে বর্ণিত;   হুযুর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  ঈদুল   ফিতরের   দিন  কয়েকটি  খেজুর   না  খেয়ে (নামাযের   উদ্দেশ্যে)    তাশরীফ নিয়ে যেতেন না। আর খেজুরের  সংখ্যা বিজোড়  হতো।  (বুখারী শরীফ,  ১ম   খন্ড, ৩২৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯৫৩)

ঈদের নামাযের উদ্দেশ্যে যাওয়া আসার সুন্নাত সমূহ

হযরত    সায়্যিদুনা  আবু   হুরাইরা    رَضِیَ    اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَنْہُ থেকে   বর্ণিত,  মদীনার তাজেদার,  রাসূলদের সরদার,  হুযুরে আনওয়ার صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم  ঈদের দিন    (ঈদের     নামাযের    উদ্দেশ্যে)     এক    রাস্তা    দিয়ে (তাশরীফ  নিয়ে)    যেতেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে  ফিরে  আসতেন।    (তিরমিযী,    ২য়    খন্ড,    ৬৯    পৃষ্ঠা    হাদীস  নং-৫৪১)

Top