কবরে প্রথম উপহার

মদীনার    সরদার,    দো-আলমের   মালিক   ও    মুখতার, শাহানশাহে    আবরার, হুযুর  পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم    এর  দরবারে  কেউ   আরয   করলো:  মু’মিন বান্দা    যখন   কবরে   প্রবেশ    করে,   তখন    তার    প্রথম উপহার হিসাবে কি  দেয়া   হয়?তখন ইরশাদ  করলেন: “তার  জানাযার  নামায  আদায়কারীদেরকে  ক্ষমা  করে  দেয়া হয়।” (শুয়াবুল ঈমান, ৭ম খন্ড, ৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯২৫৭)

জান্নাতী ব্যক্তির জানাযা

প্রিয়  আকা,   মাদানী  মুস্তফা  صَلَّی   اللّٰہُ     تَعَالٰی   عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم   ইরশাদ   করেছেন:   “যখন  কোন  জান্নাতী  ব্যক্তি মৃত্যুবরণ     করে       তখন     আল্লাহ্      তাআলা     ঐ     সমস্ত লোকদেরকে   শাস্তি দিতে  লজ্জাবোধ  করেন যারা  তার জানাযা  নিয়ে  চলে,  যারা  জানাযার  পিছনে  চলে  এবং  যারা   তার    জানাযার  নামায   আদায়  করেছে।”   (আল  ফিরদাউস বিমা সুরিল খিতাব,  ১ম   খন্ড,   ২৮২  পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ১১০৮)

জানাযার সঙ্গে চলার সাওয়াব

হযরত সায়্যিদুনা দাঊদعَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام আল্লাহ  তাআলার    মহান   দরবারে আরয করলেন: “হে আল্লাহ্!   যে    ব্যক্তি  শুধু   তোমার   সন্তুষ্টি  অর্জনের  জন্য জানাযার    সঙ্গে    চলে     তার    প্রতিদান     কি?”    আল্লাহ   তাআলা ইরশাদ করেন: “যে দিন সে মৃত্যু বরণ করবে সে  দিন  ফিরিস্তাগণ   তার     জানাযার  সঙ্গে  চলবে  এবং আমি তাকে ক্ষমা করে দিব।” (শরহুস সুদূর, ৯৭ পৃষ্ঠা)

ওহুদ পাহাড় সমপরিমাণ সাওয়াব

হযরত   সায়্যিদুনা  আবু   হুরাইরা     رَضِیَ   اللہُ  تَعَالٰی  عَنۡہُ  থেকে বর্ণিত;  তাজেদারে মদীনা,  হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی   عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم   ইরশাদ    করেছেন:    “যে  ব্যক্তি (ঈমানের     দাবীর     ভিত্তিতে     ও         সাওয়াব      অর্জনের নিয়্যতে)  আপন  ঘর  থেকে  বের  হয়ে  জানাযার  সাথে  চলে,  জানাযার    নামায আদায়  করে এবং দাফন পর্যন্ত জানাযার  সঙ্গে  থাকে  তার  জন্য  দুই  ক্বীরাত  সাওয়াব  রয়েছে।যার         প্রত্যেক          ক্বীরাত           ওহুদ          পাহাড় সমপরিমাণ।  আর  যে ব্যক্তি শুধু মাত্র জানাযার নামায  আদায়    করে   ফিরে    আসে    তাহলে   সে   এক    ক্বীরাত সাওয়াব  পাবে।”  (মুসলিম, ৪৭২  পৃষ্ঠা,  হাদীস-৯৪৫)

জানাযার নামায শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যম

হযরত সায়্যিদুনা আবু  যর গিফারী رَضِیَ  اللہُ تَعَالٰی  عَنۡہُ বলেন;     আমাকে      সুলতানে     দো-আলম,    শাহে    বনী আদম, রাসূলে মুহতাশাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ      করেছেন:      “কবর      যিয়ারত       করো       যাতে আখিরাতের কথা স্মরণ হয়ে  যায়, মৃত  ব্যক্তির  গোসল দাও,   কেননা   ধ্বংসশীল   দেহ   (অর্থাৎ-মৃতের   শরীর)  স্পর্শ   করাটা  অনেক   বড়    নসীহত,   জানাযার  নামায আদায়    করো  যাতে  এটা  তোমাকে চিন্তিত  করে দেয়, কেননা  চিন্তাগ্রস্থ  ব্যক্তি আল্লাহ্   তাআলার আশ্রয়ে  হয়ে  থাকে এবং নেক কাজ করতে প্রেরণা  যোগায়।”   (আল মুসতাদরাক লিল হাকিম, ১ম খন্ড,  ৭১১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ১৪৩৫)

Top