যতক্ষণ মক্কা শরীফে থাকবেন কি করবেন?
=======================
﴾১﴿ বেশী বেশী নফল তাওয়াফ করবেন। ইহা মনে রাখবেন যে, নফল তাওয়াফের মধ্যে তাওয়াফের পরে সর্বপ্রথম মুলতাজিমকে জড়িয়ে ধরতে হয়, অতঃপর মকামে ইব্রাহীমে দুই রাকাত নফল নামায পড়তে হয়। ﴾২﴿ কখনো হুজুর আকরাম صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নামে তাওয়াফ করুন, কখনো গাউছুল আজম رَحۡمَۃُ اللہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ এর নামে, কখনো নিজের পীর ও মুর্শিদের নামে, কখনো নিজের মা-বাবার নামে তাওয়াফ করুন। ﴾৩﴿ বেশী বেশী নফল রোজা রেখে প্রতি রোজায় লক্ষ লক্ষ রোজার সাওয়াব লাভ করুন। তবে এই সতর্কতা অবলম্বন করুন যে, যদি আপনি মসজিদে হারমে (অথবা যে কোন মসজিদে) রোজার ইফতারের উদ্দেশ্যে খেজুর ইত্যাদি জমজমের পানি পান করেন, তখন ইতিকাফের নিয়্যত করা আবশ্যক। ﴾৪﴿ যতবার কা’বা শরীফের উপর দৃষ্টি পড়বে, সাথে সাথে তিনবার لَآاِلٰہَ اِلَّااللہُ وَاللہُ اَکْبَرُ বলবেন এবং দুরূদ শরীফ পড়ে দোআ করবেন।اِنۡ شَآءَ اللہ عَزَّوَجَلّ দোআ কবুল হবে। ﴾৫﴿ যার পায়ে হেঁটে হজ্ব করার নিয়্যত রয়েছে, তিনি যেন ২/৪ দিন পূর্বে মিনা শরীফ, মুজদালিফা শরীফ এবং আরাফাত শরীফে উপস্থিত হয়ে নিজের তাবু দেখে আসে এবং তাতে (চেনার উপায় হিসেবে) কোন নিশানা লাগিয়ে আসে। এমনকি যাতায়াতের জন্য রাশতাকে নির্বাচন করুন, যা আপনাকে খুব সহজে এ তাবুতে পৌঁছিয়ে দিবে। নতুবা ভিড়ে কঠিন সমস্যা হতে পারে।
(ইসলামী বোনদের জন্য বাসে করে যাওযার মধ্যে নিরাপত্তা)। পায়ে হাটাতে ইসলামী ভাইদের সাথে সংযুক্ত এবং বিড়্গিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এমনকি মুজদালিফায় প্রবেশের সময় লাখো মানুষের ভিড়ে ইসলামী বোনদেরকে সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। (আল আমান ওয়াল হাফিজ) ﴾৬﴿ কেনাকাটার মধ্যে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করার পরিবর্তে ইবাদতের মধ্যে সময় অতিবাহিত করার চেষ্টা করুন। এই সোনালী সুযোগ বারবার হাতে আসেনা।
صَلُّوْا عَلَی الۡحَبِیۡب! صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد
জুতার ব্যাপারে জরুরী মাসআলা
============
কিছু লোক মসজিদে হারম ও মসজিদে নববী عَلٰی صَاحِبِہَا الصَّلٰوۃُ وَالسَّلَام এর দরজা মোবারকের বাহিরে জুতা রেখে দেয়। অতঃপর ফিরে যাওয়ার সময় যে জুতাই পছন্দ হয়, তা পরিধান করে চলে যায়। এধরণের জুতা অথবা চপ্পল আপনি শরয়ী অনুমতি ছাড়া যতবার ব্যবহার করেছেন, ততবার আপনার গুনাহ হতেই থাকবে। যেমন: আপনি শরীয়াতের অনুমতি ছাড়া এক বার তুলে আনা জুতা ১০০ বার পরিধান করলেন, তাহলে আপনার ১০০ বার পরিধান করার গুনাহ হবে। এই জুতাগুলোর হুকুম হবে লুকতা (অর্থাৎ কারো পড়ে যাওয়া জিনিস) এর হুকুমের মত। যদি এর মালিক পাওয়া না যায়, তবে যে ব্যক্তি এ লুকতা পেয়েছে যদি সে নিজে অভাবী হয় তবে নিজে রাখতে পারবে। নতুবা কোন অভাবী মানুষকে দিয়ে দিবে।
যে ব্যক্তি অন্য কারো জুতা অবৈধ পন্থায় ব্যবহার করে ফেলেছে তিনি এখন কী করবেন?
============
উপরোলেস্নাখিত পন্থায় পৃথিবীতে যে ব্যক্তি যে কোন স্থানে থেকে এই ধরনের কাজ করে ফেলেছেন সে গুনাহগার হবে। নিজের জন্য এই ধরনের “লুকতা” (অর্থাৎ পড়ে যাওয়া বস্থ) কুড়িয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের উপর ফরয (আবশ্যক) হচ্ছে, তাওবাও করবে এবং এধরনের যতগুলো জুতা, চপ্পল নিয়েছে যদি ঐ গুলোর প্রকৃত মালিক বেঁচে থাকে তাহলে তাদের নিকট নতুবা তাদের ওয়ারিশদের নিকট তা ফিরিয়ে দেয়া। যদি তাদের নিকট পৌছানো সম্ভব না হয় তাহলে ঐ সকল বস্থগুলো অথবা যদি ঐ সকল বস্থই অবশিষ্ট না থাকে (অর্থাৎ বিনষ্ট হয়ে যায় বা আপনার মালিকানাই না থাকে) তবে তার সমপরিমাণ মূল্য কোন শরয়ী মিসকিন কে (সাওয়াবের নিয়্যত ছাড়া) দিয়ে দিবে। অথবা তার মূল্য মসজিদ ও মাদরাসা ইত্যাদিতে দিয়ে দিবে। (লুকতার বিশতারিত মাসআলা জানার জন্য বাহারে শরীয়াত ২য় খন্ডের পৃষ্ঠা নং ৪৭১-৪৮৪ পর্যন্ত অধ্যয়ন করুন।)
আহ! জো বু চুকা হো ওয়াক্তে দিরাও
হোগা হাসরত কা সামনা ইয়া রব! (যওকে না’ত)
صَلُّوْا عَلَی الۡحَبِیۡب! صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد
ইসলামী বোনদের জন্য মাদানী ফুল
============
মহিলারা নামায তাদের বিশ্রামস্থলেই (আবাসস্থলেই) পড়বে। নামায পড়ার জন্য যে সকল ইসলামী বোনেরা মসজিদাইনে করীমাইনে (অর্থাৎ মসজিদে হারম ও মসজিদে নববীতে) উপস্থিত হয়, এটা তাদের মুর্খতা, অজ্ঞতা(র কারণেই করে থাকে)। কেননা মূলত উদ্দেশ্য হচ্ছে সাওয়াব অর্জন করা, আর আমাদের প্রিয় ছরকার, মাদানী তাজেদার صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ইরশাদ হচ্ছে: “মহিলাদের আমার মসজিদে (অর্থাৎ মসজিদে নববী عَلٰی صَاحِبِہَا الصَّلٰوۃُ وَالسَّلَام এ নামায পড়ার চেয়ে বেশী সাওয়াব হচ্ছে ঘরে নামায আদায় করা।”(বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১১২ পৃষ্ঠা। মুসনাদে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, ১০ম খন্ড, ৩১০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ২৭১৫৮)