মৃত   ব্যক্তিকে    গোসল    দান    ও     অন্যান্য   কার্যাবলীর  ফযীলত

হযরত  মাওলায়ে  কায়েনাত সায়্যিদুনা আলী মুরতাজা, শেরে   খোদা     کَرَّمَ    اللہُ    تَعَالٰی    وَجۡہَہُ   الۡکَرِیۡم   থেকে  বর্ণিত;সুলতানে   দো-জাহান,    শাহানশাহে      কাওনো     মাকান,  রহমতে আলামিয়ান, হুযুর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  ইরশাদ  করেছেন: “যে    কোন মৃত ব্যক্তিকে  গোসল   দেয়,   কাফন   পরায়,  সুগন্ধি  লাগায়,    জানাযা  কাধে  উঠায়,  নামায  আদায়  করে এবং  (মৃত  ব্যক্তির)  যে সব মন্দ বিষয় দৃষ্টিগোচর হয় তা গোপন  রাখে, সে গুনাহ থেকে এমনভাবে পবিত্র হয়ে যায় যেভাবে ঐদিন সে    তার      মাতৃগর্ভ    থেকে   ভূমিষ্ট    হয়েছিল।”   (ইবনে মাজাহ, ২য় খন্ড, ২০১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-১৪৬২)

জানাযার লাশবাহী খাট দেখে পাঠ করার ওযীফা

হযরত   সায়্যিদুনা   মালিক   বিন   আনাসرَضِیَ   اللہُ   تَعَالٰی  عَنۡہُ   এর   ইন্তেকালের   পর    কেউ   তাকে    স্বপ্নে    দেখে জিজ্ঞাসা     করলো:      مَافَعَلَ      اللهُ     بِكَ؟      অর্থাৎ-আল্লাহ তাআলা   আপনার     সাথে   কিরূপ   আচরণ   করেছেন?” বললেন: “একটি বাক্যের কারণে ক্ষমা করে দিয়েছেন, যা  হযরত সায়্যিদুনা ওসমান  গনী  رَضِیَ  اللہُ تَعَالٰی  عَنۡہُ জানাযাকে দেখে  বলতেন: (বাক্যটি হলো:) سُبْحٰنَ    الْحَىِّ الَّذِىْ لَايَمُوْتُ (অর্থাৎ- ঐ পুতঃপবিত্র সত্ত্বা যিনি জীবিত, যার  কখনো মৃত্যু আসবে না।) সুতরাং আমিও জানাযা দেখে  এরূপ   বলতাম,  আর   এ  বাক্য  বলার   কারণে আল্লাহ     তাআলা     আমাকে     ক্ষমা     করে     দিয়েছেন।”  (ইহইয়াউল   উলূম  থেকে     সংগৃহীত,  ৫ম  খন্ড,    ২৬৬ পৃষ্ঠা)

রাসুলুল্লাহ ﷺ   সর্বপ্রথম  কার  জানাযার নামায  আদায় করেছেন?

জানাযার      নামাযের      শুরু     হযরত     সায়্যিদুনা     আদম ছফিউল্লাহ    عَلٰی  نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ   الصَّلوٰۃُ  وَالسَّلام   এর  যুগ   থেকে        হয়েছে।        ফেরেশতারা        সায়্যিদুনা        আদম  ছফিউল্লাহ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام এর জানাযা মোবারকে   চারবার   তাকবীর    বলেছিলো।    ইসলামের জানাযা নামায ওয়াজীব হওয়ার হুকুম  মদীনা    শরীফে অবতীর্ণ   হয়।  হযরত  সায়্যিদুনা  আসআদ  বিন   যুরারা رَضِیَ    اللہُ   تَعَالٰی   عَنۡہُ    এর   ইন্তিকাল    হিজরতের   নবম মাসের    শেষের    দিকে   হয়েছিলো।  তিনিই  প্রথম   মৃত সাহাবী ছিলেন।  রাসুলে  আকরাম صَلَّی  اللّٰہُ تَعَالٰی     عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ     وَسَلَّم      তাঁর     জানাযার    নামায    আদায়     করেন। (ফতোওয়ায়ে     রযবীয়া      (সংশোধিত)     ,     ৫ম     খন্ড,  ৩৭২-৩৭৫ পৃষ্ঠা)

জানাযার নামায ফরযে কিফায়া

জানাযার  নামায     ফরযে   কিফায়া।  অর্থাৎ   কোন   এক ব্যক্তি   আদায়   করলে   সকলেই   দায়মুক্ত    হয়ে     যাবে, নতুবা     যাদের   নিকট   মৃত্যুর   সংবাদ    পৌঁছেছে   কিন্তু   জানাযায়   উপস্থিত হয়নি    তারা সবাই গুনাহগার  হবে। জানাযার   নামাযের     জন্য   জামাআত   শর্ত    নয়।   মাত্র  একজন  ব্যক্তিও   যদি    আদায়   করে  নেয়   তবে   ফরয  আদায় হয়ে যাবে।  এ নামায ফরয হওয়াকে অস্বীকার  করা কুফরী। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৬২ পৃষ্ঠা। দুররে মুখতার,  ৩য়  খন্ড, ১২০ পৃষ্ঠা।  বাহারে  শরীয়াত,  ১ম  খন্ড, ৮২৫ পৃষ্ঠা)

জানাযার নামাযে দুইটি রুকন ও তিনটি সুন্নাত

রুকন  দুইটি  হচ্ছে:    (১)  চারবার   اَللهُ   اَكْبَرُ    (আল্লাহু  আকবর) বলা, (২)  ক্বিয়াম বা দাঁড়িয়ে  নামায  আদায় করা।   (দুররে  মুখতার,  ৩য়  খন্ড,   ১২৪  পৃষ্ঠা)  তিনটি সুন্নাতে  মুয়াক্কাদা   হচ্ছে:   (১)  সানা  পড়া,  (২)   দরূদ শরীফ পাঠ  করা,   (৩) মৃত   ব্যক্তির   জন্য দোয়া  করা। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৮২৯ পৃষ্ঠা)

Top