গাধার মতো চেহারা

হযরত সায়্যিদুনা ইমাম নাওয়াবী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ হাদীস  সংগ্রহ  করার জন্য  দামেশকে একজন   বিখ্যাত ব্যক্তির  নিকট  গেলেন।  তিনি  পর্দার   আড়ালে   থেকে  পড়াতেন।    দীর্ঘদিন  যাবত  তার   নিকট   অনেক   কিছু পড়লেন  কিন্তু     তাকে  দেখার কোন সুযোগ হলো  না। এভাবে    যখন    দীর্ঘদিন    অতিবাহিত    হলো    এবং     ঐ  মুহাদ্দিস   সাহিবও    দেখলেন   যে,   এ    ব্যক্তির    (অর্থাৎ ইমাম   নাওয়াবীর)  ইলমে  হাদীসের  প্রতি   খুব   আগ্রহী তখন     তিনি      একদিন       পর্দা        সরিয়ে     দিলেন।     কি দেখলেন?  দেখলেন  যে, তার চেহারা  গাধার  মতোই!! মুহাদ্দিস  সাহিব   তখন   ইমাম   নাওয়াবীকে  লক্ষ্য  করে বলতে লাগলেন:সাহিবজাদা!   জামাআত আদায়কালীন সময়ে   ইমামের    অগ্রগামী   হওয়া     থেকে    ভয়   করো,  কেননা,  এ   হাদীস  যখন   আমার   নিকট  পৌঁছল  আমি এটাকে মুসতাবায়াদ (অর্থাৎ কিছু বর্ণনাকারী বিশুদ্ধ না হওয়ার    কারণে   কিয়াস   বহির্ভূত)   মনে   করেছি    এবং আমি  ইমামের উপর ইচ্ছাকৃতভাবে   অগ্রগামী হয়েছি।   তখন থেকে    আমার মুখ  এমন হয়ে   গেছে  যেমন তুমি এখন দেখছো। (বাহারে শরীয়াত, ৩য় অংশ, ৯৫ পৃষ্ঠা) (২৩) অন্য কাপড় থাকা সত্ত্বেও শুধু পায়জামা   অথবা লুঙ্গি  পরে  নামায  আদায়    করা,  (২৪)  কোন  পরিচিত  ব্যক্তির আগমনের   কারণে ইমামের নামাযে   দীর্ঘায়িত  করা।  (আলমগিরী,    ১ম    খন্ড,  ১০৭  পৃষ্ঠা)   যদি  তার নামাযে    অংশগ্রহণের    সুবিধার্থে  এক  দু’বার   তাসবীহ বৃদ্ধি  করে   তবে তাতে  অসুবিধা নেই।   (প্রাগুক্ত) (২৫) জবর  দখলকৃত  জমিন কিংবা (২৬) পরের ক্ষেত যাতে ফসল       রয়েছে।        (তাহতাবীর        পাদটিকা         সম্বলিত মারাকিউল ফালাহ, ২৫৮ পৃষ্ঠা। রদ্দুল মুহতার সম্বলিত দুররে  মুখতার, ২য়  খন্ড,  ৫২  পৃষ্ঠা) বা (২৭) চাষকৃত ক্ষেতে    (প্রাগুক্ত)      বা     (২৮)    কবরের    সামনে,    যখন নামাযী ও কবরের   মধ্যভাগে  কোন অন্তরায় না থাকে,  এসব  জায়গায়  নামায  আদায়  করা।  (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১০৭পৃষ্ঠা) (২৯) কাফিরদের উপসানালয়ে নামায আদায়   করা  বরং   সেগুলোতে  যাওয়া  নিষেধ।  (রদ্দুল  মুহতার,   ২য়   খন্ড,  ৫৩   পৃষ্ঠা)   (৩০)  জামা  ইত্যাদির বোতাম     খোলা   রাখা   যাতে   বুক   দেখা   যায়।    এরূপ করাটা    মাকরূহে    তাহরীমী।   হ্যাঁ!   যদি   ভিতরে   অন্য কোন কাপড় থাকে,  যা দ্বারা বুক ঢাকা  থাকে, তাহলে মাকরূহে তানযীহী।

নামায ও ছবি

(৩১) প্রাণীর ছবি বিশিষ্ট  পোষাক পরিধান করে নামায আদায়  করা   মাকরূহে   তাহরীমী।   নামাযের    বাইরেও এমন কাপড় পরিধান করা নাজায়েয।  (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত  দুররে  মুখতার,  ২য়  খন্ড,  ৫০২  পৃষ্ঠা)  (৩২)  নামাযীর মাথার উপরে অর্থাৎ ছাদের উপর বা সিজদার জায়গায় বা সামনে,  ডানে, বামে প্রাণীর  ছবি   টাঙ্গানো থাকা মাকরূহে তাহরীমী।পিছনে থাকাও মাকরূহ।তবে গুরুত্বের    দিক  দিয়ে   উপরোল্লেখিত  অবস্থাদী  অপেক্ষা  কম।   ছবি   যদি   মেঝেতে    থাকে   এবং    সেটার   উপর  সিজদা   করা  না  হয়,  তাহলে   মাকরূহ  নয়।  আর  ছবি যদি জড় পদার্থের হয়, যেমন সাগর, পাহাড় ইত্যাদি তাহলে তাতে  কোন  ক্ষতি  নেই।  যদি ছবি  এতই ছোট হয়    যে,     যা     মাটিতে     রেখে    দাঁড়িয়ে    দেখলে    অঙ্গ স্পষ্টভাবে  দেখা  যায়  না,   (যেমন    সাধারণত    কা’বার  তাওয়াফের   দৃশ্যের  ছবি  খুবই  ক্ষুদ্র  হয়,   এসব   ছবি) তবে    তা   নামায    মাকরূহ   হওয়ার      কারণ    হবে   না।  (গুনিয়াতুল    মুসতামলা,   ৩৪৭   পৃষ্ঠা।   রদ্দুল      মুহতার  সম্বলিত দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ৫০৩ পৃষ্ঠা) হ্যাঁ! যদি তাওয়াফের  ভীড়ে   একটি  চেহারাও  স্পষ্ট    দেখা  যায় তবে   তার   জন্যও    নিষিদ্ধতা    বহাল   থাকবে।   চেহারা ব্যতীত    যেমন  হাত,  পা,  পিঠ,   মুখমন্ডলের  পিছনের  অংশ    অথবা   এমন   মুখমন্ডল   যার  চোখ,    নাক,  ওষ্ঠ ইত্যাদি সকল অঙ্গ মুছা বা ঢাকা রয়েছে, এমন ছবিতে কোন অসুবিধা নেই।

নামাযের ৩৩টি মাকরূহে তানযীহী

(১) অন্য কাপড়  থাকা  সত্ত্বেও কাজ  কর্মের   পোষাকে নামায   আদায়    করা।   (গুনিয়াতুল      মুসতামলা,   ৩৩৭ পৃষ্ঠা) মুখে এমন কোন জিনিস রাখা যার দ্বারা কিরাতই পড়া  সম্ভব  হয়    না  কিংবা  এমন  শব্দাবলী  বের   হয়ে যায় যা কুরআনে পাকের নয় তাহলে নামাযই ভঙ্গ হয়ে যাবে।        (দুররে        মুখতার,        রদ্দুল        মুহতার)        (২)  অলসতাবশতঃ      খালি    মাথায়    নামায    আদায়     করা। (আলমগিরী,   ১ম খন্ড,  ১০৬ পৃষ্ঠা) নামাযরত অবস্থায় টুপি কিংবা ইমামা শরীফ পড়ে গেলে তা উঠিয়ে নেয়া উত্তম,  যদি   “আমলে   কসীর”   এর   প্রয়োজন  না  হয়।   “আমলে কসীর”   করতে   হলে নামায ভঙ্গ    হয়ে যাবে। আর  বার   বার  উঠাতে  হলে  তবে  তা   পতিত  অবস্থায়  রেখে   দিন।   না   উঠানোতে   যদি    একাগ্রতা    ও   বিনয় প্রকাশ উদ্দেশ্য হয় তাহলে না উঠানোই উত্তম।   (রদ্দুল মুহতার  সম্বলিত  দুররে মুখতার, ২য় খন্ড,  ৪৯১ পৃষ্ঠা) যদি  কাউকে খালি  মাথায়   নামায আদায়  করতে দেখা যায় বা তার টুপি পড়ে যায় তাহলে তাকে অপর ব্যক্তি টুপি পরিয়ে দেবেন না। (৩) রুকূ কিংবা সিজদাতে বিনা প্রয়োজনে   তিনবার অপেক্ষা  কম তাসবীহ বলা।   (যদি সময়   সংকির্ণ  হয়   কিংবা  ট্রেন  ইত্যাদি  ছেড়ে   দেয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে সংক্ষেপ করাতে ক্ষতি নেই। যদি মুক্তাদী  তিনবার  তাসবীহ  বলতে  পারেনি,  ইত্যবসরে  ইমাম সাহেব  মাথা  উঠিয়ে নিয়েছেন, তাহলে ইমামের  সঙ্গে মাথা উঠিয়ে নেবেন।) (৪) নামাযের মধ্যে কপাল থেকে  মাটি   বা  ঘাস   ঝেড়ে  ফেলা।  হ্যাঁ!  যদি  সেটির কারণে    নামাযের   মধ্যে   ধ্যান    অন্যদিকে   হয়ে   থাকে তাহলে ঝেড়ে ফেলাতে কোন ক্ষতি নেই। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১০৬পৃষ্ঠা) (৫) সিজদা   ইত্যাদিতে আঙ্গুলকে কিবলা    থেকে    ফিরিয়ে   নেয়া।    (আলমগিরী     সম্বলিত ফতোওয়ায়ে   কাজী   খান,  ১ম  খন্ড,    ১১৯  পৃষ্ঠা)   (৬) পুরুষেরা সিজদাতে উরুকে (রান) পেটের সাথে লাগিয়ে দেয়া।      (আলমগিরী,     ১ম     খন্ড,     ১০৯     পৃষ্ঠা)      (৭) নামাযরত      অবস্থায়      হাত      অথবা      মাথার      ইশারায়  সালামের  উত্তর  প্রদান  করা।  (রদ্দুল  মুহতার  সম্বলিত  দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ৪৯৭ পৃষ্ঠা) মুখে উত্তর  দিলে নামায   ভঙ্গ  হয়ে যাবে। (তাহতাবীর পাদটিকা সম্বলিত মারাকিউল  ফালাহ,  ৩২২  পৃষ্ঠা)   (৮)   নামাযের  মধ্যে  বিনা     কারণে        চার     জানু      হয়ে      বসা।      (গুনিয়াতুল মুসতামলা,  ৩৩৯ পৃষ্ঠা) (৯)  অঙ্গ   প্রত্যঙ্গ  মোচড়ানো  (অলসতার   কারণে) (১০) ইচ্ছাকৃতভাবে   কাঁশি  দেয়া, গলা পরিস্কার করা। (গুনিয়াতুল মুসতামলা, ৩৪০পৃষ্ঠা) যদি  স্বাভাবিক ভাবে  হয়ে  থাকে তবে   অসুবিধা   নেই। (১১) সিজদাতে যাওয়ার সময় বিনা কারণে হাঁটুর পূর্বে হাত জমিনের উপর রাখা। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১০৭ পৃষ্ঠা) (১২) উঠার সময় বিনা কারণে হাতের পূর্বে উভয় হাঁটু     জমিন    থেকে    উঠানো।   (গুনিয়াতুল   মুসতামলা, ৩৩৫    পৃষ্ঠা)      (১৩)    রুকূতে      মাথাকে    পিঠ    অপেক্ষা উঁচু-নীচু    করা।      (গুনিয়াতুল    মুসতামলা,     ৩৩৮পৃষ্ঠা) (১৪)      নামাযে    ‘সানা’,    ‘তা’আউয’    (আউযুবিল্লাহ)    , ‘তাসমিয়্যাহ (বিসমিল্লাহ) এবং ‘আমীন’ উচ্চস্বরে বলা। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১০৭  পৃষ্ঠা)  (১৫) বিনা কারণে  দেয়াল ইত্যাদিতে হেলান দেয়া। (প্রাগুক্ত) (১৬) রুকূতে উভয়  হাঁটুর উপর এবং  (১৭)  সিজদাতে  মাটির  উপর  হাত  না   রাখা।   (১৮)  ডানে   বামে  হেলা-দোলা   করা। আর    কখনো   ডান  পায়ের  উপর  আবার  কখনো    বাম পায়ের  উপর জোর (ভর)  দেয়া, এটা সুন্নাত। (বাহারে শরীয়াত,    ৩য়    অংশ,    ২০২    পৃষ্ঠা)    এবং    সিজদাতে  যাওয়ার  সময় ডান দিকে জোর দেয়া আর উঠার সময় বাম দিকে জোর   দেয়া মুস্তাহাব। (প্রাগুক্ত,  ১০১  পৃষ্ঠা) (১৯) নামাযে উভয় চোখ বন্ধ করে রাখা। (অবশ্য যদি এতে একাগ্রতা ও বিনয় আসে তবে বন্ধ রাখাই উত্তম। (দুররে মুখতার,  রদ্দুল মুহতার, ২য়   খন্ড,   ৪৯৯ পৃষ্ঠা) (২০)   জলন্ত    আগুনের   সামনে    নামায   আদায়    করা। অবশ্য    মোমবাতি    কিংবা    প্রদীপের    সামনে    থাকলে  অসুবিধা   নেই।   (আলমগিরী,   ১ম   খন্ড,   ১০৮   পৃষ্ঠা)  (২১)  এমন  কিছুর   সামনে    নামায  আদায়  করা  যাতে মনযোগ   চলে  যায়।   (যেমন-   সাজসজ্জা   ও  খেলাধুলা ইত্যাদি) । (রদ্দুল মুহতার, ১ম খন্ড, ৪৩৯ পৃষ্ঠা) (২২) নামাযের জন্য দৌঁড়ানো (২৩) সাধারণ জন পথ (২৪) আবর্জনা    ফেলার    স্থানে   (২৫)   জবেহ    করার   স্থানে।  অর্থাৎ যেখানে  পশু জবেহ করা হয়। (২৬)  ‘আস্তাবলে’ অর্থাৎ  যেখানে   ঘোড়া   বাঁধা  হয়  (২৭)  গোসলখানায় (২৮)   পশুখানা,   বিশেষ    করে  যেখানে  উট  বাঁধা     হয় (২৯)     পায়খানার    (টয়লেটের)     ছাদের    উপর    (৩০) আড়াল  ব্যতীত  খোলা   মাঠে,   যেখানে    সামনে   দিয়ে লোকজনের    অতিক্রম    করার    সম্ভাবনা    থাকে।এসব  স্থানে     নামায     আদায়   করা।   (গুনিয়াতুল    মুসতামলা, ৩৩৯  পৃষ্ঠা)  (৩১) বিনা  কারণে হাত   দিয়ে  মশা, মাছি তাড়ানো    (আলমগিরী    সম্বলিত    ফতোওয়ায়ে     ক্বাযী  খান, ১ম খন্ড, ১১৮ পৃষ্ঠা) (নামাযে উকুন বা মশা কষ্ট দিতে থাকলে ধরে  মেরে  ফেলাতে  অসুবিধা নেই, যদি আমলে কসীর না হয়ে থাকে। (বাহারে শরীয়াত) (৩২) ঐ   সমস্ত  আমলে  কালীল   যা  নামাযীর  জন্য  উপকারী  সেগুলো সম্পন্ন করা জায়েয,  যা উপকারী নয়  তা করা মাকরূহ।  (আলমগিরী,    ১ম   খন্ড,  ১০৯   পৃষ্ঠা)    (৩৩) উল্টা   কাপড়   পরিধান   করা।   (ফতোওয়ায়েরযবীয়া,  ৭ম    খন্ড,   ৩৫৮-৩৬০     পৃষ্ঠা।   ফতোওয়ায়ে    আহলে  সুন্নাত, অপ্রকাশিত)

হাফ   হাতা   জামা   পরিধান   করে   নামায   আদায়   করা  কেমন?

হাফ   হাতা   জামা   বা   শার্ট   পরে     নামায   আদায়   করা মাকরূহে তানজিহী, যদি তার নিকট অন্য জামা থাকে। হযরত  সদরুশ   শরীয়া মুফতী  মুহাম্মদ আমজাদ  আলী আযমী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِবলেন: “যার নিকট কাপড় রয়েছে তার জন্য শুধু হাফ হাতা শার্ট কিংবা গেঞ্জী পরে নামায আদায় করা মাকরূহে তানযিহী আর কাপড় না থাকলে          মাকরূহও          হবে          না।”          (ফতোওয়ায়ে  আমজাদিয়া,  ১ম  অংশ,   ১৯৩   পৃষ্ঠা)  মুফতীয়ে  আযম পাকিস্তান হযরত   কিবলা মুফতী ওয়াকারুদ্দীন  কাদেরী  রযবী رَحْمَۃُ اللّٰہِ   تَعَالٰی  عَلَیْہِ বলেন:  “হাফ হাতা  জামা, শার্ট  ইত্যাদি কাজ  কর্মের  পোষাকের  মধ্যে   অন্তর্ভূক্ত। (সাধারণত  কাজ   কর্মের  পোষাক   পরে  মানুষ   সম্মানী ব্যক্তিবর্গের সামনে যেতে  ইতস্ততঃ বোধ  করে) এজন্য যাদের  হাফ  হাতা  জামা   পরে  অপর   লোকের   সামনে যেতে   মন    সায়    দেয়   না,   তাদের     নামায    মাকরূহে  তানযীহী হবে আর যে   সব   লোক এমন  পোষাক পরে  সবার   সামনে   যেতে   খারাপ   মনে    করে   না,    তাদের  নামায  মাকরূহ   হবে না।) (ওয়াকারুল  ফতোওয়া,  ২য় খন্ড, ২৪৬ পৃষ্ঠা)


যোহরের      শেষের    দু’রাকাত     নফলের     ব্যাপারে     কী বলবো!

যোহরের   (ফরয   নামাযের)   পর    চার    রাকাত   নামায আদায় করা মুস্তাহাব। কেননা, হাদীস শরীফে এসেছে: “যে ব্যক্তি যোহরের (ফরযের) পূর্বের চার রাকাত এবং যোহরের  পরের  চার রাকাত (নামাযের)   প্রতি  যত্নবান হবে, আল্লাহ্  তাআলা তার    উপর (জাহান্নামের) আগুন হারাম   করে   দেবেন।”  (সুনানে  নাসাঈ,  ২২০৭  পৃষ্ঠা, হাদীস-  ১৮১৭)  আল্লামা  সৈয়্যদ  তাহতাবী  رَحْمَۃُ  اللّٰہِ  تَعَالٰی   عَلَیْہِ   বলেন:    “শুরু    থেকে    জাহান্নামে    প্রবেশই  করবেন  না  এবং  তার  গুনাহ  সমূহ  মোচন  করে  দেয়া  হবে ও তার উপর (বান্দার হক   নষ্ট করার)   যা পাওনা রয়েছে  আল্লাহ  তাআলা  তার  প্রতিপক্ষকে  সন্তুষ্ট   করে   দিবেন। অথবা  এর   মর্মার্থ  হলো;তাকে  এমন কাজের  সামর্থ্য   দান  করবেন  যার  কারণে  তাকে  শাস্তি  প্রদান   করা   হবে   না।   আল্লামা   শামী   رَحْمَۃُ   اللّٰہِ   تَعَالٰی   عَلَیْہِ  বলেন: “তার  জন্য সুসংবাদ  হলো,  তার শেষ  পরিণাম সৌভাগ্যের   সাথে  (অর্থাৎ   ঈমানের  উপর)  মৃত্যু   হবে এবং  সে      জাহান্নামে   প্রবেশ  করবে  না।”  (শামী,   ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪৫২)

প্রিয়    ইসলামী    ভাইয়েরা!   اَلْحَمْدُ    لِلّٰہِ   عَزَّوَجَلَّ   যেখানে আপনারা      যোহরের      নামায     দশ     রাকাত     পড়েন,  সেখানে  শেষে   দুই  রাকাত নফল আদায়   করে  বারভী শরীফের সাথে সম্পর্ক রেখে ১২ রাকাত আদায় করুন। এতে   আর    কত    সময়   লাগবে?স্থায়িত্বের    সাথে   দুই  রাকাত নফল পড়ার নিয়্যত করে নিন।

Top