আল্লাহতা’য়ালা       পবিত্র      কুরআনুল     কারীমের     মধ্যে  কালিমার বাক্য  পুরোটাই উল্লেখ করেছেন। ‘লা  ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বাক্যটি বর্ণিত হয়েছে ২ বার এবং মুহাম্মাদুর  রাসূলুল্লাহ  বাক্যটি  বর্ণিত   হয়েছে  ১  বার।  যেমন   সূরা সাফফাতে বর্ণিত হয়েছে-

انهم كانوا اذا قيل لهم لا اله الا الله يستكبرون
অর্থ:   যখন   তাদের   বলা   হত,   আল্লাহ   ব্যতীত   কোন  উপাস্য    নেই’     তখন     তারা     ঔদ্বত্য     প্রদর্শন    করত। (সাফফাত ৩৫)

এমনিভাবে সূরা মুহাম্মদে বর্ণিত হয়েছে-
فاعلم    انه   لا   اله   الا   الله   واستغفر    لذنبك   وللمؤمنين والمؤمنات

অর্থ: জেনে রাখুন ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই’। ক্ষমা  প্রার্থনা   করুন  আপনার খাস ও আম মু’মিন পুরুষ ও নারীদের জন্য। (সূরা মুহাম্মদ ১৯)

অতঃপর সূরা ফাতাহ এ বর্ণিত হয়েছে-
محمد رسول    الله   والذين معه  اشداء على  الكفار  رحماء بينهم
অর্থ    মুহাম্মদ    আল্লাহর       রাসূল    এবং     তাঁর    সাথীগণ কাফিরদের    প্রতি    অত্যন্ত     কঠোর,    নিজেদের      মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। (সূরা ফাতাহ ২৯)

উল্লেখ্য  যে,  আব্দুর  রহিম  সালাফিগং  বলেন-  কুরআন  মজিদে    একসাথে    পুরো    কালিমা     বর্ণিত    হয়    নাই।  তাদের জবাবে বলব- একসাথে একই আয়াতে থাকাটা শর্ত      নয়।    পূর্বে     আলোচিত    হয়েছে      আল্লাহতায়ালা বারাংবার    নির্দেশ   প্রদান    করেছেন-    আল্লাহ   ও   তাঁর রাসূলের   প্রতি   ঈমান   আনয়ন   কর।   অতএব   আল্লাহ  হচ্ছেন     ‘লা      ইলাহা    ইল্লাল্লাহ’    আর      রাসূল    হচ্ছেন- ‘মুহাম্মাদুর       রাসূলুল্লাহ’।       উভয়টা       মিলেই       হয়েছে  কালিমায়ে তাইয়্যিবাহ।

যেমন     কুরআননুল     কারীমের     মধ্যে     আল্লাহতা‘য়ালা বলেছেন-  اقيموا  الصلوة  অর্থাৎ  নামাজ  কায়েম    কর। কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের কথা একত্রে কোথায় আল্লাহ তায়ালা      বলেননি।      রাসূলুল্লাহ      সাল্লাল্লাহু      আলাইহি ওয়াসাল্লাম    বিভিন্ন     আয়াতকে      একত্রিত    করে     পাঁচ ওয়াক্ত    নামাযকে   ধারাবাহিকভাবে    বর্ণনা   করেছেন।  যেমন আল্লাহতা’য়ালা সূরা হুদে বলেন-

واقم الصلوة طرفى النهار وزلفا من الليل
অর্থ: আর দিনের দুই প্রান্তে ও রাতের প্রান্তভাগে নামায কায়েম কর। (সূরা হুদ ১১৪)

উক্ত   আয়াতে  দিনের   দুপ্রান্তের   নামায   দ্বারা  ফজর  ও মাগরিবের    নামাযকে   বুঝানো   হয়েছে।   আর    রাতের  নামায   দ্বারা   ইশার   নামাযকে   বুঝানো   হয়েছে।   অন্য আয়াতে বর্ণিত হয়েছে-

حافظوا    على    الصلوات      والصلوة    الوسطى-     وقوموا     لله قنتين-
অর্থ:    নামাযের   প্রতি   যতœবান    হও।   বিশেষ     করে  মধ্যবর্তী   নামাযের  ব্যাপারে।  আল্লাহর  সামনে   একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। (সূরা বাকারা ২৩৮)

উক্ত      আয়াতে      মধ্যবর্তী      নামায      বলতে      আসরের  নামাযকে বুঝানো হয়েছে। আবার অন্য আয়াতে বর্ণিত হয়েছে-

اقم الصلوة لدلوك الشمس الى غسق الليل وقران الفجر
অর্থ:    সূর্য    ঢলে  পড়ার  সময়    থেকে  রাত্রির  অন্ধকার পর্যন্ত   নামায    কায়েম    কর।   এবং    ফজরের     কুরআন পাঠও। (বনী ইসরাইল ৭৮)

উক্ত   আয়াতে    অধিকাংশ    উলামায়ে    কেরামের    মতে  যুহর, ইশা এবং ফজর নামাযের কথা বলা হয়েছে।

Top