মদীনার হাজেরী
হাসান হজ্ব কর লিয়া কা’বে ছে আঁখো নে যিয়া পায়ী,
চলো দে খে ওহ বসিন্ত জিছকা রাশতা দিল কে আন্দর হেঁ।
আগ্রহ বাড়ানোর পদ্ধতি
============
মদীনা শরীফে আপনার পবিত্র সফরকে মোবারকবাদ! সারা রাশতায় বেশী বেশী পরিমাণে দরূদ এবং সালাম পড়ুন এবং না’তে রাসুল পড়তে থাকুন। অথবা যদি সম্ভব হয় তাহলে টেপ রেকর্ডারের সাহায্যে সুললিত কণ্ঠের না’ত পরিবেশন কারীর ক্যাসেট শুনতে থাকুন। اِنۡ شَآءَ اللہ عَزَّوَجَلّ আগ্রহ বৃদ্ধির মাধ্যম হয়ে যাবে। মদীনা শরীফের সম্মান এবং মহান মর্যাদার কল্পনা করতে থাকুন। উহার ফযীলত ও গুরুত্বের উপর চিন্তা করতে থাকুন। এর দ্বারাও اِنۡ شَآءَ اللہ عَزَّوَجَلّ আপনার আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পাবে।
মদীনা কত দেরীতে আসবে!
============
মক্কায়ে মুকাররমা থেকে মদীনায়ে মুনাওওয়ারার দূরত্ব প্রায় ৪২৫ কি:মি:। যা সচরাচর বাস ৫ ঘন্টায় অতিক্রম করে নেয়। কিন্তু হজ্বের সময় বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে গাড়ির গতিবেগ কম রাখা হয়, আর এ কারণে পৌঁছাতে বাসের ৮ থেকে ১০ ঘন্টা সময় নিয়ে নেয়। “হাজীদের রিসিপশান কেন্দ্রে” বাস দাঁড়ায়। এখানে পাসপোর্ট যাচাই বাছাই হয় এবং পাসপোর্ট রেখে দিয়ে একটি কার্ড ইস্যু করা হয় যা হাজীদের অতিযত্মে সংরক্ষণ করতে হয়। এই স্থানে সকল কার্যাদি সমাপ্ত করতে অনেক সময় কয়েক ঘন্টা লেগে যায়। মনে রাখবেন! ধৈর্য্যের ফল অত্যন্ত মিষ্টি। অতিসত্তর আপনি اِنۡ شَآءَ اللہ عَزَّوَجَلّ প্রিয় মদীনার গলিগুলো স্পর্শ করে তার জালওয়া লাভে মুগ্ধ হবেন।
অতি দ্রুত আপনি সবুজ গম্বুজের দীদার করে আপন চোখ দু’টিকে শীতল করবেন। যখনই দূর থেকে মসজিদে নববী শরীফের নূর বর্ষণকারী আভিজাত্যপূর্ণ মিনারে আপনার দৃষ্টি পড়বে। সবুজ সবুজ গম্বুজ আপনার নজরে আসবে اِنۡ شَآءَ اللہ عَزَّوَجَلّ আপনার হৃদয়ে আনন্দের বাতাস বইবে এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও চোখ থেকে আনন্দ অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকবে।
সায়েম কামালে জব্ত কি কৌশিশ তু কি মগর
পালকো কা হালকা তোড়া কর আসু নিকাল গেয়ে।
মদীনার বাতাসে আপনার মসিন্তষ্কের রন্দ্রে রন্দ্রে, শিরা-উপশিরা সুগন্ধিযুক্ত হতে চলেছে, আর আপনি আপনার অন্তরে সতেজতা অনুভব করছেন। যদি সম্ভব হয় তাহলে খালি পায়ে ক্রন্দনরত অবস্থায় মদীনা শরীফের ভূমিতে প্রবেশ করুন।
জুতে উতার লো চলো বাহুশ বা-আদব
দেখো মদীনে কা হাছী গুলজার আ-গেয়া।
صَلُّوْا عَلَی الۡحَبِیۡب! صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد
খালি পায়ে থাকার ব্যাপারে কোরআনের দলীল
============
আর এখানে খালি পায়ে থাকা শরীয়াত বিরোধী কোন কাজ নয়। বরং সম্মানীত ভূমির সরাসরি আদব। যেমন: হযরত সায়্যিদুনা মুসা عَلٰی نَبِیِّنَا وَعَلَیۡہِ الصَّلٰوۃُ وَالسَّلَام নিজের মালিক! এর সাথে কথা বলার মর্যাদা অর্জন করেছেন। তখন আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করলেন:
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: তুমি আপন জুতা খুলে ফেলো। নিশ্চয় তুমি পবিত্র উপত্যকা তুওয়া এর মধ্যে এসেছো। (পারা-১৬, সূরা- ত্বাহা, আয়াত-১২)فَاخْلَعْ نَعْلَیْکَ ج اِنَّکَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًی ط سُبۡحٰنَ اللہ عَزَّوَجَلَّ! যখন সিনাই পর্বতের সম্মানিত উপত্যকায় সায়্যিদুনা মুসা عَلٰی نَبِیِّنَا وَعَلَیۡہِ الصَّلٰوۃُ وَالسَّلَام কে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা জুতা খুলে ফেলার আদেশ দিয়েছেন, আর মদীনাতো মদীনাই এখানে যদি খালি পায়ে থাকা যায়, তাহলে কত বড় সৌভাগ্য হবে। কোটি কোটি মালেকিদের ইমাম এবং প্রসিদ্ধ আশিকে রাসুল হযরত সায়্যিদুনা ইমাম মালিক رَحۡمَۃُ اللہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ পবিত্র মদীনা শরীফের গলি সমূহে খালি পায়ে চলতেন। (আত্তাবকাতুল কুবরা লিশ্শারানি, ১ম খন্ড, ৭৬ পৃষ্ঠা) তিনি رَحۡمَۃُ اللہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ মদীনায়ে মুনাওওয়ারায় কখনও ঘোড়ার উপর আরোহণ করতেন না। বলতেন: আমার আল্লাহ তাআলার ব্যাপারে ও খুব বেশী লজ্জা হয় যে, ঐ পবিত্র বরকতময় জমিনকে আপন ঘোড়ার পা দ্বারা পিষ্ট করব যার মধ্যে তাঁর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم উপস্থিত আছেন। (অর্থাৎ তিনি صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নূরানী রওজা রয়েছে) (ইহ্ইয়াউল উলুম, ১ম খন্ড, ৪৮ পৃষ্ঠা)
আয় খাকে মদীনা! তুহী বাতা মায় কেইছে পাঁও রাখ্যো ইহা।
তু খাকে পা ছরকার কি হে আখোঁ ছে লাগায়ী জাতি হে।
হাজেরীর প্রস্থতি
============
প্রিয় রাসুল صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর রওজা মোবাকে হাজির হওয়ার পূর্বে আপনার থাকার স্থানের ইত্যাদির ব্যবস্থা করে নিন। ক্ষুধা, তৃষ্ণা ইত্যাদি থাকলে খেয়ে নিন ও পান করে নিন। মোটকথা প্রত্যেক ঐ সকল কাজ যা একাগ্রতা ও আন্তরিকতায় বাধা সৃষ্টিকারী হয় তা সেড়ে নিন। এখন তাজা অজু করে নিন। এতে মিসওয়াক অবশ্যই করবেন। বরং উত্তম হল যে, গোসল করে নিন। ধৌত করা কাপড় বরং সম্ভব হলে নতুন সাদা পোষাক, নতুন ইমামা শরীফ ইত্যাদি পরিধান করে নিন। সুরমা এবং সুগন্ধি লাগান, আর মুশ্ক (এক ধরনের সুগন্ধি) লাগানো উত্তম। এখন কেঁদে কেঁদে দরবারের দিকে এগিয়ে যান। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১২২৩ পৃষ্ঠা)
মনোযোগী হোন! সবুজ গম্বুজ এসে গেছে
============
এই দেখুন! ঐ সবুজ গম্বুজ যাকে আপনি ছবির মধ্যে দেখেছেন, মনের মধ্যে ভাবনার চুম্বন দিয়েছেন, আজ সত্যি সত্যি আপনার চোখের সামনে।
আশকো কে মওতি আব নিছাওয়ার যায়েরো করো,
ওহ সবজে গুম্বদ মাম্বাায়ে আনওয়ার আগায়া।
আব ছর ঝুকায়ে বা-আদব পড়তে হুয়ে দরূদ,
রোতে হুয়ে আগে বাড়ো দরবার আগেয়া। (ওয়াসায়িলে বখশিশ, ৪৭৩ পৃষ্ঠা)
হ্যাঁ! হ্যাঁ! ইহা তো ঐ সবুজ গম্বুজ যাকে দেখার জন্য আশিকদের অন্তর সর্বদা অস্থির থাকে, চোখ সমূহ অশ্রুসিক্ত হয়ে থাকে। খোদার শপথ! রাসুল صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর রওজা মোবারক হতে সুন্দর এবং পবিত্র স্থান দুনিয়ার কোন স্থানে তো নয় বরং বেহেশতের মধ্যেও নেই।
ফিরদৌস কি বুলন্দি ভি ছু সাকে না উছ কো,
খুলদে বারি ছে উচাঁ মীঠে নবী কা রওযা।(ওয়াসায়িলে বখশিশ, ২৯৮ পৃষ্ঠা)
দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত “ওয়াসায়িলে বখশিশ” এর ২৯৮ পৃষ্ঠার পাদটিকায় রয়েছে: রওজা শব্দের শাব্দিক অর্থ হল ‘বাগান্তু। শের এর মধ্যে রওজা দ্বারা উদ্দেশ্য হল জমিনের ঐ অংশ যার উপর রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সম, রাসুলে মুহতাশম, নবী করীম صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর শরীর মোবারক তাশরীফ রেখেছেন। এর ফযীলত বর্ণনা করতে গিয়ে সম্মানিত ফকিহগণ رَحِمَہُمُ اللہُ السَّلَام বলেছেন: মাহবুবে খোদা, হুযুর صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নূরানী শরীর মোবারকের সাথে জমিনের যে অংশটুকু স্পর্শ হয়েছে তা সম্মানিত কা’বা শরীফ থেকে বরং আরশ ও কুরছি থেকেও উত্তম। (দুররে মুখতার, ৪র্থ খন্ড, ৬২ পৃষ্ঠা)
সম্ভব হলে ‘বাবুল বাকী’ দিয়ে হাজীর হোন
============
এখন আপাদমস্তক আদব সহকারে এবং সজাগ দৃষ্টিতে অশ্রু প্রবাহিত করতে করতে অথবা কান্না যদি না আসে তাহলে কমপক্ষে কান্নার মত চেহারা করে বাবুল বকীতে হাজির হোন।
اَلصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلَیۡکَ یَارَسُوۡلَ اللہ
আরজ করে একটু দাড়িয়ে যান। যেন ছরকারে ওকার, হুযুর নবী করীম صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর শাহী দরবারে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করছেন। এখন بِسۡمِ اللہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ ؕ বলে আপনার ডান পা মসজিদে নববী শরীফে রাখুন এবং সারা শরীর পূর্ণ আদবের প্রতিচ্ছবি বানিয়ে মসজিদে নববী عَلٰی صَاحِبِہَا الصَّلٰوۃُ وَالسَّلَام এর মধ্যে প্রবেশ করুন। এ সময় যে ধরনের সম্মান এবং আদব ফরয উহা সকল আশিক মুমিনের অন্তরে জানা আছে। হাত, পা, চোখ, কান, জিহ্বা, অন্তর সবগুলো অন্যের ধ্যান ধারণা হতে পবিত্র করুন এবং কেঁদে কেঁদে সামনের দিকে অগ্রসর হোন। এদিক সেদিক দৃষ্টি ফিরাবেন না। মসজিদের নকশা এবং চিত্রের প্রতিও দৃষ্টি দিবেন না। শুধুমাত্র একটিই বাসনা এবং একটিই ধ্যান হবে যে, পলাতক কোন গোলাম নিজের আক্বা (মুনিব) صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আশ্রয়হীনদের এক মাত্র আশ্রয়স্থল বরকতময় দরবারে হাজির হওয়ার জন্য চলছে।
চলা হু এক মুজরিম কি তারাহ মাই জানিবে আক্বা
নজর শারমিন্দা শরমিন্দা বদন লরজিদা লরজিদা।
শোকরিয়ার নামায
============
এখন যদি মাকরূহ সময় না হয় এবং আগ্রহের প্রাধান্যতা যদি আপনাকে সুযোগ করে দেয় তাহলে দুই রাকাত “তাহিয়্যাতুল মসজিদ”এবং দুই রাকাত মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়ার নামায আদায় করুন। প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা এরপর সূরা ইখলাস শরীফ পড়ুন।
সোনালী জালিসমূহের সামনা সামনি
============
এখন আদব ও আগ্রহের সাগরে ডুবে গিয়ে গর্দান ঝুঁকিয়ে দিন, চক্ষু যুগল নিচু করুন, অশ্রু ভাসিয়ে কম্পমান অবস্থায় গুনাহ সমূহের লজ্জায় ঘর্মাক্ত হয়ে ছরকারে নামদার, হুযুর صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দয়া ও অনুগ্রহের প্রতি আশা রেখে তিনি صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সম্মানিত চরণ যুগলের দিক থেকে সোনালী জ্বালীর সামনা সামনি ‘মুয়াজাহা’ শরীফে (অর্থাৎ চেহারা মোবারকের সামনে) হাজির হোন। কারণ নবী করীম صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নিজের নূর ভরা মাযারে ক্বিবলামুখী অবস্থায় আপন নূরানী মাজার শরীফে অবস্থানরত আছেন। মোবারক চরণযুগলের দিক থেকে যদি আপনি হজির হন, তাহলে ছরকার صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পবিত্র রহমতভরা দৃষ্টি মোবারক সরাসরি আপনার মত আশ্রয়হীনের প্রতি পড়বে, আর এ কথা সীমাহীন আনন্দময় হওয়ার সাথে সাথে আপনার জন্য উভয় জগতের সৌভাগ্যের কারণও হবে। وَالْحَمْدُ لِلّٰہ ।(বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১২২৪ পৃষ্ঠা)
মুয়াজাহা শরীফে হাজেরী
============
এখন আপাদমস্তক অত্যন্ত আদবের প্রতিচ্ছবি বানিয়ে সোনালী বাতির নিচে ঐ রৌপ্যের কীলকের সামনে যা সোনালী জালি সমূহের মোবারক দরজার মাঝে উপরের দিকে পূর্ব প্রানেন্ত লাগানো আছে, ক্বিবলাকে পিছনে রেখে কমপক্ষে ৪ হাত (অর্থাৎ প্রায় ২ গজ) দূরে নামাযের ন্যায় হাত বেঁধে ছরকারে মদীনা, নবী করীম صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নূরানী চেহারা মোবারকের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে যান। যেমন ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ইত্যাদির মধ্যে এই আদবই লেখা আছে যে,
يَقِفُ کَمَا يَقِفُ فِی الصَّلوٰة অর্থাৎ “ছরকারে মদীনা, হুযুর صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে এভাবে দাঁড়াবেন যেমনিভাবে নামাযে দাঁড়ানো হয়।”দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করুন যে, ছরকার صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নিজের নূর ভরা মাজারে হুবহু জাহেরী জীবনের মত এমনই জীবিত যেভাবে বিদায় নেয়ার পূর্বে ছিলেন এবং আপনাকেও দেখতেছেন। বরং আপনার অন্তরে যে সকল ধারণা আসছে উহাও অবগত। সাবধান! জালি মোবারককে চুমু দেয়া কিংবা হাত লাগানো থেকে বেঁচে থাকুন। কারণ ইহা আদবের বিপরীত। যেহেতু আমাদের হাত ঐ জালি মোবারককে স্পর্শ করারও উপযুক্ত নয়। তাই চার হাত (অর্থাৎ প্রায় দুইগজ) দূরে থাকবেন। ইহাও কি কম মর্যাদার বিষয় যে, ছরকার صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আপনাকে নিজের সম্মানিত ‘মুয়াজাহা শরীফের’ নিকটে ডেকেছেন! ছরকার صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দয়ার দৃষ্টি যদিও প্রতিটি স্থানে আপনার প্রতি ছিল কিন্তু এখন বিশেষভাবে খুব নিকটে থেকে আপনার প্রতি আছে। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১২২৪-১২২৫ পৃষ্ঠা)
দীদার কে কাবিল তু কাহা মেরি নজর হে,
ইয়ে তেরি ইনায়াত হে জু রুখ তেরা ইধর হে।