ফকীরের সংজ্ঞা

ফকীর  ঐ  ব্যক্তিকে  বলা  হয়  (ক)  যার  কাছে  কিছু  না  কিছু   সম্পদ   রয়েছে,   কিন্তু   তা   নিসাবের   সমপরিমাণ  নয়।     (খ)    অথবা   যার    কাছে    নিসাবের    সমপরিমাণ সম্পদ  রয়েছে,   কিন্তু  তা   তার  হাজতে  আসলীয়া  তথা প্রয়োজনীয় জীবন নির্বাহে ব্যয় হয়ে যায় (সেও ফকীর) ।যেমন-কারো  কাছে  থাকার  বাসস্থান,  ঘরের  ব্যবহার্য  আসবাবপত্র,    আরোহণের    জন্তু    (স্কুটার    কিংবা    কার  গাড়ি) কারিগরি যন্ত্রপাতি, পরিধানের কাপড়, সেবার চাকর-চাকরানী,       শিক্ষা      ও        শিক্ষণের       প্রয়োজনীয় ইসলামী  বই  পুস্তক   আছে,   কিন্তু  তা  তার  প্রয়োজনের অতিরিক্ত  নয়। (গ)  অনুরূপ  ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি যার   কাছে  নিসাব পরিমাণ  টাকা আছে   ঠিক, কিন্তু   ঋণ   পরিশোধ করার   পর   তার   কাছে   আর    নিসাব    পরিমাণ   সম্পদ অবশিষ্ট  থাকে না, সেও ফকীর হিসাবে বিবেচিত হবে, যদিও তার কাছে একাধিক নিসাবের টাকা জমা থাকুক না   কেন।   (রদ্দুল     মুহতার,      ৩য়   খন্ড,   ৩৩৩     পৃষ্ঠা। বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৯২৪ পৃষ্ঠা)

মিসকীনের সংজ্ঞা

মিসকীন ঐ ব্যক্তিকে  বলা হয়, যার কাছে কিছুই নেই। এমন  কি   খাবার ও শরীর আবৃত   করার  জন্যও তাকে মানুষের নিকট হাত পাততে হয় এবং  তার জন্য ভিক্ষা করা     হালাল।     ফকীরের      জন্য    (অর্থাৎ    যার     নিকট কমপক্ষে    একদিনের     খাবার    ও    পরিধানের     ব্যবস্থা  আছে)  বিনা   প্রয়োজনেও    বিনা  বাধ্যতায়  ভিক্ষা    করা হারাম।         (ফতোওয়ায়ে         আলমগিরী,         ১ম         খন্ড, ১৮৭-১৮৮  পৃষ্ঠা।   বাহারে   শরীয়াত,  ১ম  খন্ড,   ৯২৪ পৃষ্ঠা)

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেলো, যে সমস্ত ভিক্ষুক উপার্জনে সক্ষম  হওয়া সত্ত্বেও বিনা প্রয়োজনে  ও বিনা বাধ্যতায়   পেশা  হিসাবে    ভিক্ষাবৃত্তি   অবলম্বন  করেছে  তারা  অবশ্যই গুনাহগার হবে এবং জাহান্নামে যাওয়ার হকদার হবে। আর তাদের অবস্থা সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও যারা তাদের দান খয়রাত করে তাদের তা বৈধ নয়

Top