ছরকার ﷺ এর খিদমতে সালাম পেশ করুন
============
এখন      আদব      ও     পূর্ণ      আগ্রহের      সাথে     বেদনাপূর্ণ আওয়াজে কিনত্মু আওয়াজ এত বড় এবং কর্কশ যেন না   হয়,   যাতে   সমস্ত  আমলই  নষ্ট    হয়ে   যায়,    আবার একেবারে ছোট আওয়াজেও নয় কারণ ইহাও সুন্নাতের পরিপন্তুী। মধ্যম আওয়াজে এই শব্দাবলী  দিয়ে সালাম পেশ করুন:

اَلسَّلَامُ عَلَیْکَ اَیُّھَا  النَّبِیُّ وَ رَحْمَۃُ اللہِ وَبَرَکَاتُہٗ ط اَلسَّـلَامُ عَلَیْکَ   یَا  رَسُـوْلَ اللہِ  ط   اَلسَّلَامُ      عَـلَیْکَ  یَا  خَیْرَ خَلْقِ اللہِ ط اَلسَّلَامُ   عَلَیْکَ  یَاشَفِیْعَ  الْمُذْنِبِیْنَ ط اَلسَّلَامُ عَلَیْکَ وَعَلٰی اٰلِکَ وَاَصْحَابِکَ وَ اُمَّتِکَ اَجْمَـعِیْنَ ط

অনুবাদ:    হে     নবী    صَلَّی   اللہُ   تَعَالٰی   عَلَیْہِ    وَاٰلِہٖ     وَسَلَّم! আপনার উপর সালাম এবং আল্লাহ তাআলার রহমত ও বরকতসমূহ বর্ষিত হোক। হে আল্লাহর রাসুল   صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আপনার প্রতি সালাম, হে আল্লাহ তাআলার  সমস্ত  সৃষ্টি    থেকে  সর্বোত্তম   সৃষ্টি!  আপনার  প্রতি       সালাম।      হে         গুনাহগারদের      সুপারিশাকারী! আপনার     প্রতি     সালাম।     আপনার      প্রতি,     আপনার  পরিবারের    উপর   ও     সাহাবীদের   উপর   এবং    সকল উম্মতের প্রতি সালাম।

যতক্ষণ     পর্যন্ত    জবান     আপনার     সঙ্গ     দেয়,      অন্তরে একাগ্রতা  থাকে  ভিন্ন  ভিন্ন  উপাধী  দ্বারা    সালাম   পেশ করতে থাকুন।  যদি উপাধি সমূহ স্মরণ না হয়, তাহলে صَلَّی  اللہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم  اَلصَّلٰوۃُ  وَالسَّلَامُ    عَلَیۡکَ یَارَسُوۡلَ   اللہ বারবার  পড়তে  থাকুন।  যে  সকল  মানুষ আপনাকে সালাম  পেশ  করার জন্য  বলেছেন,  তাদের  সালামও  পেশ  করুন।  যে  সমস্ত  ইসলামী  ভাই  অথবা  বোনেরা  এই   লেখাটি   পড়বেন,    সে  যদি  আমি  সগে মদীনার (লিখকের) পক্ষ থেকে সালাম পেশ করে দেন তাহলে আমি অধম গুনাহগাদের সরদারের উপর বিরাট দয়া হবে।

এখানে বেশী বেশী দোআ করুন এবং বার বার এভাবে শাফায়াতের ভিক্ষা প্রার্থনা করুন:

صَلَّی اللہُ تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم اَسۡئَلُکَ  الشَّفَاعَۃَ   یَارَسُوۡلَ اللہ

অর্থাৎ  ইয়া রাসুলাল্লাহ صَلَّی اللہُ تَعَالٰی   عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم!  আপনার নিকট সুপারিশের প্রার্থনা করছি।

ছিদ্দিকে   আকবর  رَضِیَ  اللہُ    تَعَالٰی   عَنۡہُ    এর  খিদমতে সালাম
============
অতঃপর    পূর্ব    দিকে     (অর্থাৎ   আপনার    ডান   হাতের  দিকে)  আধা  গজের  মত  সরে  গিয়ে  (নিকটবর্তী  ছোট  ছিদ্রের  দিকে) হযরত সায়্যিদুনা ছিদ্দিকে     আকবরرَضِیَ اللہُ  تَعَالٰی عَنۡہُ    এর  নূরানী চেহারার সামনে জড়সড় হয়ে   দাঁড়িয়ে  পূর্বের   ন্যায়  হাত   বেঁধে  তাঁকে   সালাম পেশ করুন। উত্তম হল যে, এভাবে সালাম পেশ করা:

اَلسَّلَامُ  عَلَیْکَ   یَاخَلِیْفَۃَ  رَسُوْلِ   اللہِ  ط   اَلسَّلَامُ  عَلَیْکَ  یَا وَزِیْرَ  رَسُوْلِ اللہ ط اَلسَّلَامُ عَلَیْکَ  یَا صَاحِبَ رَسُوْلِ اللہِ فِی الْغَارِ وَرَحْمَۃُ اللہِ وَ بَرَکَاتُہٗ ط

অনুবাদ:  হে  রাসুলুল্লাহর    খলীফা  رَضِیَ   اللہُ  تَعَالٰی  عَنۡہُ আপনার   উপর   সালাম।  হে  রাসুলুল্লাহ   صَلَّی  اللہُ   تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উজির!  আপনার উপর সালাম, হে সওর পর্বতে গুহায় রাসুলুল্লাহ  صَلَّی  اللہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم  এর  বন্ধু!  আপনার  উপর  সালাম  এবং  আল্লাহর  রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।

ফারুকে   আজম    رَضِیَ    اللہُ   تَعَالٰی     عَنۡہُ   এর     খিদমতে সালাম
============
অতঃপর এতটুকু দূরে  পূর্বদিকে (আপনার ডান দিকে) একটু  সরে  গিয়ে  সর্বশেষ  ছোট   ছিদ্রের  দিকে   হযরত সায়্যিদুনা    ফারুকে   আজম   رَضِیَ    اللہُ   تَعَالٰی    عَنۡہُ   এর সামনা সামনি সালাম পেশ করুন:

اَلسَّلَامُ  عَلَیْکَ   یَا    اَمِیْرَ  الْمُؤْمِنِیْنَ  ط    اَلسَّلَامُ  عَلَیْکَ    یَا مُتَمِّمَ   الْاَرْبَعِیْنَ          ط     اَلسَّلَامُ   عَلَیْکَ   یَا     عِـزَّ   الْاِسْلَامِ وَالْمُسْلِمِیْنَ وَرَحْمَۃُاللہِ وَبَرَکَاتُہٗ ط

অনুবাদ: হে আমীরুল মুমিনীন! আপনার উপর  সালাম, হে  ৪০  সংখ্যা    পূর্ণকারী!   আপনার  উপর  সালাম,   হে  ইসলাম ও মুসলমানদের সম্মান! আপনার উপর সালাম এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।

দ্বিতীয়বার একসাথে শায়খাইনের খিদমতে সালাম
============
অতঃপর   এক  বিঘত   পরিমাণ  পশ্চিমে  অর্থাৎ  নিজের বাম হাতের দিকে সরে যাবেন এবং উভয় ছোট ছিদ্রের মধ্যবর্তী  স্থানে  দাঁড়িয়ে  এক   সাথে  ছিদ্দিকে  আকবর  এবং    ফারুকে     আজম      رَضِیَ     اللہُ    تَعَالٰی    عَنۡہُمَا    এর খিদমতে এভাবে সালাম পেশ করুন।

اَلسَّلَامُ عَلَیْکُمَا یَاخَلِیْفَتَیْ رَسُوْلِ اللہِ ط اَلسَّلَامُ عَلَیْکُمَا   یَا وَزِیْرَیْ رَسُـوْلِ اللہِ  ط اَلسَّـلَامُ  عَلَیْکُمَا یَا ضَجِیْعَیْ رَسُـوْلِ اللہِ  وَ رَحْمَۃُ اللہِ وَ بَرَکَاتُہٗ  ط   اَسْئَلُکُمَا الشَّفَـاعَۃَ عِنْدَ رَسُوْلِ   اللہِ   صَلَّی اللہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ   وَعَلَیْکُـمَا   وَبَارَکَ وَسَلَّمَ ط

অনুবাদ:  হে রাসুলুল্লাহ   صَلَّی  اللہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم এর  দুই খলিফা! আপনারা  উভয়ের  উপর সালাম।  হে  রাসুলুল্লাহ    صَلَّی   اللہُ    تَعَالٰی   عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم    এর    দুই উজির! আপনারা উভয়ের উপর সালাম। হে  রাসুলুল্লাহ صَلَّی   اللہُ  تَعَالٰی   عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর  পার্শ্বে  আরামকারী  (আবু বকর এবং উমর رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہُمَا! আপনারা উভয়ের  উপর  সালাম।   আল্লাহর   রহমত এবং বরকত আপনারা   উভয়   হযরতের   নিকট   প্রার্থনা    করছি    যে, রাসুলুল্লাহ  صَلَّی  اللہُ     تَعَالٰی   عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم  এর  নিকট আমাদের   জন্য সুপারিশ করবেন।  আল্লাহ তাঁর    উপর এবং   আপনারা    উভয়ের   উপর     দরূদ,   সালাম    এবং বরকত নাযিল করুক।

এই সকল দোআ প্রার্থনা করুন
============
এ সকল হাজেরী   দোআ কবুল  হওয়ার   উপযুক্ত  স্থান। এখানে ইহকালও পরকালের কল্যাণ নিজের মা, বাবা, পীর,        মুর্শিদ,       উশতাদ,        সন্তানগণ,        পরিবারবর্গ,  বন্ধু-বান্ধব   এবং   সমস্ত   উম্মতের   জন্য   মাগফিরাতের  দোআ করবেন এবং ছরকার, হুযুর নবী করীম صَلَّی اللہُ تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم  এর  শাফায়াতের   ভিক্ষা   প্রার্থনা করবেন।      বিশেষ        করে     মুয়াজাহা      শরীফে     না’তে আশআর পেশ করবেন। যদি এখানে  সগে মদীনা عُفِىَ عَنْهُ (লিখক)  মদীনার পক্ষ  থেকে নিচে দেয়া কসিদার এই শেষ পংক্তিটি ১২ বার পেশ করবেন তাহলে বিরাট দয়া হবে:

পড়োছি খুলদ মে আত্তার কো আপনা বানা লিজিয়ে,
জাহা       হে       ইতনে       এহসাঁ       আওর       এহসান       ইয়া  রাসুলাল্লাহ।

নবী করীম ﷺ এর মহান দরবারে হাজির হওয়ার
১২টি মাদানী ফুল
==========
﴾১﴿ পবিত্র মিম্বরের পাশে দোআ করুন।  ﴾২﴿ জান্নাতের কেয়ারীতে  (অর্থাৎ যে স্থান মিম্বর ও হুযুরা মোবারকের মধ্যবর্তী,  এটাকে    হাদীস  শরীফে   জান্নাতের    কেয়ারী অর্থাৎ    ‘জান্নাতের    বাগান্তু    বলেছেন)     এসে     মাকরূহ ওয়াক্ত না  হলে দুই  রাকাত নফল পড়ে দোআ করুন। ﴾৩﴿   যতদিন   পর্যন্ত   মদীনা   তৈয়্যবায়   অবস্থান   করার  সুযোগ নসীব হয়। একটি নিঃশ্বাসও যেন অহেতুক ব্যয় না  হয়।  ﴾৪﴿  বাইরে  যাওয়ার  বিশেষ  প্রয়োজন  ছাড়া  অধিকাংশ  সময়   মসজিদে নববী শরীফে  পবিত্রাবস্থায়  উপস্থিত থাকুন। নামায ও তিলাওয়াত, যিকির ও দরূদ পাঠে   সময় অতিবাহিত করুন। দুনিয়াবী  কথাবার্তা  যে  কোন মসজিদে  না বলা  চায় এখানেতো আরো  অধিক  সতর্কতা। ﴾৫﴿ মদীনায়ে তৈয়্যবায় যদি রোযা নসীব হয় বিশেষ   করে   গরম   কালে।   তাহলে   খুবই   সৌভাগ্য।   কারণ এতে শাফাআতের  ওয়াদা  রয়েছে। ﴾৬﴿ এখানে প্রতিটি নেকী একের বিনিময়ে পঞ্চাশ হাজার লিখা হয়ে থাকে।   তাই   ইবাদত  করার  ব্যাপারে  খুব  বেশী  চেষ্টা করুন। খাবার-দাবার   খুব কমই খাবেন।  যতটুকু সম্ভব হয়      সদকা      দান-খয়রাত      করবেন।      বিশেষ      করে  এখানকার স্থানীয়দের উপর। ﴾৭﴿ কমপক্ষে  এক খতম কোরআনে   পাক    এখানে    এবং   এক    খতম   হাতীমে   কা’বায়  আদায়  করুন।  ﴾৮﴿   রওজায়ে  আনওয়ার   এর  উপর দৃষ্টি   দেয়া  (অর্থাৎ দেখা)   ইবাদত।  যেমনিভাবে কা’বায়ে  মুআজ্জমা  অথবা  কোরআনে  মজীদ      দেখাও ইবাদত। তাই   আদব সহকারে  এই আমলটি  বার বার অধিকহারে      করবেন    এবং     দরূদ     ও     সালাম    পেশ করবেন।﴾৯﴿ পঞ্জেগানা অথবা কমপক্ষে সকাল-বিকাল মুআজাহা   শরীফে   সালাম   পেশ   করার    জন্য   হাজির   হবেন।    ﴾১০﴿    শহরের    মধ্যে    হোক    কিংবা    শহরের  বাইরে যেখান থেকেই সবুজ গুম্বুজ চোখে পড়বে সাথে সাথে খুব দ্রুত হাত বেঁধে সেদিকে মুখ করে সালাত ও সালাম আরজ করবেন। এরূপ করা ছাড়া কখনও পথ অতিক্রম  করবেন না। কারণ  এটা আদবের  পরিপনি'। ﴾১১﴿  যথাসাধ্য  চেষ্টা  করবেন  ‘মসজিদে    আউওয়ালে’ অর্থাৎ হুযুর আকদাস صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সময়ে মসজিদ যতটুকু ছিল, তার মধ্যে নামায পড়ার, আর  এর   পরিমাণ  হচ্ছে  ১০০  হাত  দৈর্ঘ্য  এবং  ১০০  হাত  প্রস্থ।  (অর্থাৎ  প্রায়   ৫০দ্ধ৫০   গজ)।   যদিও  পরে কিছুটা অংশ বাড়ানো হয়। ঐ (বর্ধিত) অংশেও নামায পড়া   মানে  মসজিদে  নববী   শরীফেই   নামায  পড়া। ﴾১২﴿  রওজায়ে  আনওয়ারের  তাওয়াফও  করবেন  না,  সিজদাও  করবেন না, না  (সেদিকে) এতটুকু  পরিমাণে ঝুঁকবেন যা রুকু করার বরাবর  হয়ে যায়। রাসুলে পাক  صَلَّی    اللہُ    تَعَالٰی    عَلَیْہِ     وَاٰلِہٖ     وَسَلَّم     এর    সম্মান     তাঁর অনুসরণের    মধ্যেই    নিহিত।   (বাহারে   শরীয়াত,     ১ম খন্ড, ১২২৭- ১২২৮ পৃষ্ঠা)

আলমে ওয়াজদ মে রাক্বসা মেরা পর পর হোতা,
কাশ্‌! মাই গুম্বদে খাজরা কা কবুতর হোতা।

জালি মোবারকের সামনাসামনি পড়ার অজিফা
============
হুজুরে  আকরাম,  নূরে  মুজাস্‌সাম  صَلَّی  اللہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ       وَسَلَّم     এর     সম্মানীত    রওজার     সামনা    সামনি দাঁড়িয়ে এ আয়াত শরীফ একবার পড়ুন:

اِنَّ اللہَ وَمَلٰٓئِکَتَہٗ   یُصَلُّوۡنَ عَلَیۡ  النَّبِیِّ ط یٰٓاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا صَلُّوۡا عَلَیۡہِ وَسَلِّمُوۡا تَسۡلِیۡمًا ط

অতঃপর ৭০ বার ইহা পাঠ করুন: صَلَّی اللہُ  عَلَیۡکَ وَسَلَّمَ یَارَسُوۡلَ اللہِ ط ফিরিশতা তার উত্তরে এ কথা বলেন যে, হে অমুক! তোমার উপর আল্লাহর সালাম বর্ষিত হোক। অতঃপর ফিরিশতা তার জন্য দোয়া করেন: হে আল্লাহ! তার   যেন   এমন  কোন   প্রয়োজন  না   থাকে  যাতে  সে  সফল হবে না   (অর্থাৎ তার    সকল  প্রয়োজন পূর্ণ করে  দাও)।  (আল  মাওয়াহিবুল  লাদুন্নিয়া,  ৩য়  খন্ড,  ৪১২  পৃষ্ঠা)

দোআর জন্য জালি মোবারককে পিছনে রাখবেন না
============
যখনই   সোনালী  জালি  সমূহের    নিকট    হাজির  হবেন, এদিক সেদিক   কখনো দেখবেন  না, আর বিশেষ করে জালি  শরীফের  ভিতরে  উকি  মেরে  দেখা  তো  অনেক  বড়     অপরাধ।     ক্বিবলার      দিকে      পিঠ     করে     জালি মোবারক হতে কমপক্ষে ৪ হাত (কমপক্ষে ২ গজ) দূরে দাঁড়িয়ে  মুয়াজাহা   শরীফের    দিকে   মুখ  করে  সালাম পেশ   করুন,   দোআ  ও    প্রার্থনা  ও   মুয়াজাহা  শরীফের দিকে    মুখ   করে   করুন।    কোন   কোন   মানুষ   সেখানে দোআ প্রার্থনার  জন্য  কা’বার দিকে মুখ করতে বলেন, তাদের কথা   শুনে কখনো   সোনালী জালির  দিকে পিঠ করে  আক্বা  صَلَّی  اللہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم  কে  অর্থাৎ  কা’বার কা’বাকে পিঠ দিবেন না।

কা’বে কি আজমতো কা মুনকির নেহী হো লে-কিন
কা’বে          কা         ভি         হে          কা’বা        মীঠে        নবী        কা  রওজা।(ওয়াসায়িলে বখশিশ, ২৯৮ পৃষ্ঠা)

পঞ্চাশ হাজার ইতিকাফের সাওয়াব
============
যখনই    আপনি   মসজিদে   নববী   শরীফ   عَلٰی   صَاحِبِہَا  الصَّلٰوۃُ   وَالسَّلَام   এ প্রবেশ  করবেন তখন  ইতিকাফের নিয়্যত করতে ভুলবেন না। এভাবে প্রতিবারে আপনার পঞ্চাশ হাজার নফল ইতিকাফের সাওয়াব মিলবে, আর সাথে সাথে সেখানে   খাওয়া, পান  করা,   ইফতার করা ইত্যাদিও জায়েয হয়ে যাবে।

ইতিকাফের নিয়্যত এরকম করুন: 

نَوَیۡتُ سُنَّتَ الۡاِعۡتِکَافِ ط
অনুবাদ: আমি সুন্নাত ইতিকাফের নিয়্যত করেছি।

প্রতিদিন ৫টি হজ্বের সাওয়াব
============
বিশেষ   করে ৪০  নামায বরং সমস্ত ফরয নামায  সমূহ মসজিদে  নববীতেই  আদায়  করুন।  কারণ  তাজেদারে  মদীনা,  নবী    করীম, রউফুর রহীম  صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم   ইরশাদ     করেছেন:   “যে   ব্যক্তি    ওজু   করে আমার   মসজিদে   নামায পড়ার  ইচ্ছায় বের  হয়, ইহা তার  জন্য একটি  হজ্বের সমান। (শুআবুল ঈমান,    ৩য়  খন্ড, ৪৯৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৪১৯১)

মুখেই সালাম পেশ করুন
============
সেখানে যে সালাম পেশ করা হবে উহা যেন মুখস্থ করে তারপর পেশ করেন। কিতাব হতে দেখে দেখে সালাম এবং   দোআর   শব্দাবলী   সেখানে   পড়া   খুবই   আশ্চর্য  ধরনের    লাগে।    কারণ    ছরওয়ারে     কায়েনাত,     শাহে মাওজুদাত, তাজেদারে   রিসালাত, নবী করীম صَلَّی اللہُ تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  স্বশরীরে  জীবিত অবস্থায়   হুজরা মোবারকে ক্বিবলার দিকে মুখ করে অবস্থানরত আছেন এবং    আমাদের     অন্তরের    অবস্থা    সম্পর্কেও     অবগত আছেন।  এই   চিত্রটি  ফুটে  উঠার  পরে     কিতাব  থেকে  দেখে    সালাম    ইত্যাদি   পেশ    করা   বাহ্যিক   দৃষ্টিতেও অনুচিত বলে মনে হয়। যেমন মনে করুন আপনার পীর সাহেব  আপনার  সামনে  উপস্থিত,   তাহলে  কি   আপনি উনাকে    কিতাব    থেকে      পড়ে     পড়ে    সালাম    পেশ করবেন।

নাকি মুখেই এরূপ বলবেন: “হে হযরত! আপনার উপর শানিন্ত বর্ষিত হোক।”  আশা করি আপনি  আমার বলার উদ্দেশ্য বুঝে গেছেন। স্মরণ রাখুন! বারগাহে রিসালাত صَلَّی    اللہُ    تَعَالٰی    عَلَیْہِ     وَاٰلِہٖ    وَسَلَّم    বানানো     সাজানো শব্দাবলী নয় বরং অন্তর দেখা হয়।

বৃদ্ধার দীদার নসীব হয়ে গেল
============
হিজরী   ১৪০৫   সালে  মদীনা  শরীফে   উপস্থিত  কালীন সময়ে  সগে   মদীনা   عُفِىَ     عَنْهُ  (লিখককে)  এক  পীর ভাই মরহুম হাজী ইসমাঈল সাহেব এই ঘটনাটি শুনিয়ে ছিলেন;   দুই   অথবা   তিন   বৎসর   পূর্বের   ঘটনা।   ৮৫  বৎসর বয়স্কা   এক বৃদ্ধা হজ্ব  করতে  আসলেন। মদীনা শরীফে সোনালী জালির সামনে অতি সাধারণ শব্দাবলী দ্বারা  সালাত  ও  সালাম  পেশ  করা  শুরু   করে   দিলেন। হঠাৎ এক  মহিলার   উপর তার দৃষ্টি পড়ল যে, একটি  কিতাব থেকে দেখে দেখে বড়ই উত্তম উপাধি সমূহের সাথে  সে  সালাত  ও  সালাম  পেশ  করছে।  ইহা  দেখে  বেচারী অশিড়্গিত বৃদ্ধার মন ছোট হয়ে গেল। আরজ  করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আমি তো  এতো  পড়া লেখা জানিনা যে আপনার صَلَّی  اللہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم  মূল্যবান   মর্যাদাপূর্ণ  উপাধি সমূহের সাথে সালাম পেশ করবো! আমি মূর্খের সালাম আপনার  صَلَّی اللہُ   تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কিভাবে পছন্দ হবে!  তার  অন্তর  খুব  ভারী  হয়ে  গেল।  অশ্রু  প্রবাহিত  করে শেষে চুপ হয়ে   গেল।  রাত্রে যখন ঘুমালেন  তখন ভাগ্য জেগে উঠল। দেখলেন   মাথার পাশে  প্রিয়  আক্বা صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাশরীফ নিয়ে এসেছেন। ঠোঁট  মোবারক   স্পন্দিত  হল,   রহমতের  ফুল  ঝড়তে লাগল;    শব্দ   সমূহের    কিছুটা    এরকম    ধারাবাহিকতা  ছিল।   “নিরাশ  কেন  হচ্ছো? আমিতো  তোমার সালাম  সবার আগেই কবুল করেছি।”

তুম উচ কে মদদগার হো তুম উছ কে তরফদার,
জু তুম কো নিকাম্মে ছে নিকাম্মা নজর আয়ে।
লাগাতে হে উছ্‌ কো ভি সীনে ছে আক্বা,
জু হোতা নেহী মু’ লাগানে কে কাবিল।

صَلُّوْا عَلَی الۡحَبِیۡب!                             صَلَّی اللہُ  تَعَالٰی  عَلٰی مُحَمَّد

Top