আরাফাত শরীফের (আরবী) দোআ সমূহ
============
﴾১﴿ দ্বি-প্রহরের সময় মওকিফে অবস্থান কালীন সময়ে নিন্ম লিখিত কালেমায়ে তাওহীদ, সুরা ইখলাস শরীফ এবং এরপরে প্রদত্ত দরূদ শরীফ ১০০ বার করে পাঠকারীকে হাদীসের ভাষ্য মতে ক্ষমা করে দেয়া হয়। এমনকি যদি সে আরাফাত শরীফে অবস্থানকারী সকলের জন্য সুপারিশ করে (বসে) তাহলে তাও কবুল করে নেয়া হবে।
(ক) এই কালেমা তাওহীদ ১০০ বার পড়বেন:
لَااِلٰہَ اِلَّا اللہُ وَحْدَہٗ لَاشَرِیْکَ لَہٗ ط لَہُ الْمُلْکُ وَلَہُ الْحَمْدُ یُحْیِیْ وَیُمِیْتُ وَھُوَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ۔
অনুবাদ: আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। তিনি একক তার কোন শরীক নেই। যাবতীয় রাজ্য তাঁরই জন্য এবং তাঁরই জন্য সমস্ত প্রশংসা। তিনি জীবন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
(খ) সূরা ইখলাস শরীফ ১০০ বার পড়বেন।
(গ) এই দুরূদ শরীফ ১০০ বার পড়বেন:
اَللّٰھُمَّ صَلِّ عَلٰی (سَیِّدِنَا) مُحَمَّدٍکَمَا صَلَّیْتَ عَلٰی (سَیِّدِنَا) اِبْرَاہِیْمَ وَعَلٰی اٰلِ (سَیِّدِنَا) اِبْرَاہِیْمَ اِنَّکَ حَمِیْدٌ مَّجِیْدٌ وَّعَلَیْنَا مَعَھُمْ ۔
অনুবাদ: হে আল্লাহ! আমাদের সরদার হযরত মুহাম্মদ صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উপর দরূদ প্রেরণ কর, যেভাবে তুমি দুরূদ প্রেরণ করেছ, আমাদের সরদার ইব্রাহীম عَلَیۡہِ السَّلَام এর উপরে এবং আমাদের সরদার ইব্রাহীম عَلَیۡہِ السَّلَام এর পরিবারকে উপর, নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত মর্যাদাবান এবং তাদের সাথে আমাদের উপরেও।
﴾২﴿ اَللہُ اَکۡبرُ وَ لِلہِ الۡحَمۡدُ তিনবার। অতঃপর কালেমায়ে তাওহীদ একবার। এরপর এ দোআ তিনবার পড়বেন:
اَللّٰھُمَّ اھْدِنِیْ بِالْھُدٰی وَنَقِّنِیْ وَاعْصِمْنِیْ بِالتَّقْوٰی وَاغْفِـرْلِیْ فِی الْاٰخِـرَۃِ وَالْاُوْلٰـی ط
অনুবাদ: হে আল্লাহ! আমাকে হেদায়াতের সাথে পথ প্রদর্শন কর এবং আমাকে পবিত্র কর, আর আমাকে খোদাভীতির সাথে গুনাহ থেকে হেফাজত কর এবং আমাকে দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা কর। এর পর একবার এই দোআটি পড়ুন:
اَللّٰھُمَّ اجْعَلْہُ حَجًّا مَّبْرُوْرًا وَّذَنْۢبًا مَّغْفُوْرًا ط اَللّٰھُمَّ لَکَ الْحَمْدُ کَالَّذِیْ نَقُوْلُ وَخَیْرًا مِّمَّا نَقُوْلُ ط اَللّٰھُمَّ لَکَ صَلَاتِیْ وَنُسُکِیْ وَمَحْیَایَ وَمَمَاتِیۡ وَاِلَیْکَ مَاٰبِیْ وَ لَکَ رَبِّ تُرَاثِیْ ط اَللّٰھُمَّ اَعُوْذُبِکَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَ وَسْوَسَۃِ الصَّدْرِ وَشَتَاتِ الْاَمْرِ ط اَللّٰھُمَّ اِنِّیْۤ اَسْئَلُکَ مِنْ خَیْرِ مَا تَجِۤیۡءُ بِہِ الرِّ یْحُ وَنَعُوْذُبِکَ مِنْ شَرِّ مَا تَجِۤیۡءُ بِہِ الرِّیْحُ ط اَللّٰھُمَّ اھْدِنَا بِالْھُدٰی وَزَیِّنَّا بِالتَّقْوٰی وَاغْفِرْلَنَا فِی الْاٰخِرَۃِ وَالْاُوْلٰی ط اَللّٰھُمَّ اِنِّیْۤ اَسْئَلُکَ رِزْقًا طَیِّبًا مُّبَارَکًاط اَللّٰھُمَّ اِنَّکَ اَمَـرْتَ بِالدُّعَآءِ وَ قَضَیْتَ عَلٰی نَفْسِکَ بِالْاِجَابَۃِ وَ اِنَّکَ لَاتُخْلِفُ الْمِیْعَادَ وَلَا تَنْکُثُ عَھْدَکَ ط اَللّٰھُمَّ مَااَحْبَبْتَ مِنْ خَیْرٍ فَحَبِّبْہُ اِلَیْنَا وَیَسِّرْہُ لَنَا وَمَا کَرِھْتَ مِنْ شَـرٍّ فَکَرِّھْہُ اِلَیْنَا وَجَنِّبْنَاہُ وَلَا تَنْزِعْ مِنَّا الْاِسْلَامَ بَعْدَ اِذْ ھَدَیْتَنَاطاَللّٰھُمَّ اِنَّکَ تَرٰی مَکَانِیْ وَ تَسْمَعُ کَلَامِیْ وَ تَعْلَمُ سِـرِّیْ وَ عَلَا نِیَتِیْ وَلَا یَخْفٰی عَلَیْکَ شَیْئٌ مِّنْ اَمْـرِیٓ اَنَا الْبَآئِسُ الْفَقِیْرُ الْمُسْتَغِیْثُ الْمُسْتَجِیْرُ الْوِجْلُ الْمُشْفِقُ الْمُقِرُّ الْمُعْتَرِفُ بِذَنْۢبِہٖٓ اَسْئَلُکَ مَسۡأَ لَۃَ الْمِسْکِیْنِ وَ اَبْتَھِلُ اِلَیْکَ اِبْتِھَالَ الْمُذْنِبِ الذَّلِیْلِ وَ اَدْعُوْکَ دُعَآءَ الْخَآئِفِ الْمُضْطَرِّ دُعَآءَ مَنْ خَضَعَتْ لَکَ رَقَبَتُہٗ وَ فَاضَتْ لَکَ عَیْنَاہُ وَ نَحِلَ لَکَ جَسَدُہٗ وَ رَغِمَ اَنْفُہٗ ط اَللّٰھُمَّ لَاتَجْعَلْنِیْ بِدُعَائِکَ رَبِّیْ شَقِیًّا وَّکُنْۢ بِیْ رَؤُوْفًا رَّحِیْمًا یَاخَیْرَ الْمَسْئُوۡلِیْنَ وَخَیْرَ الْمُعْطِیْنَط
অনুবাদ: হে আল্লাহ! এই হজ্বকে মাবরুর হজ্ব করে দাও এবং গুনাহ ক্ষমা করে দাও। হে মালিক! তোমার জন্য প্রশংসা, যেভাবে আমরা বলি এবং তা থেকে উত্তম যা আমরা বলি। হে আল্লাহ! আমার নামায, ইবাদত এবং আমার জীবন ও মৃত্যু তোমারই জন্য এবং তোমারই দিকে আমার প্রত্যাবর্তনস্থল। পরওয়ারদিগার! তুমি আমার ওয়ারিশ, হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট কবরের আযাব, অন্তরের কুমন্ত্রণা এবং কর্মের কঠোরতা থেকে আশ্রয় চাই। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি ঐ জিনিসের কল্যাণ যা বাতাসে নিয়ে আসে এবং তোমার নিকট আশ্রয় চাই ঐ জিনিসের অনিষ্ট থেকে যা বাতাসে নিয়ে আসে। হে আল্লাহ! হেদায়াতের প্রতি আমাদেরকে পথ প্রদর্শন কর এবং খোদাভীতি দ্বারা আমাদেরকে সৌন্দর্য্যমন্ডিত কর এবং ইহকাল ও পরকালে আমাদেরকে ক্ষমা কর। হে মালিক! আমি তোমার নিকট বরকতময় পবিত্র রিযিকের প্রার্থনা করি। ইলাহি! তুমি দোআ করার আদেশ করেছ এবং কবুল করার দায়িত্ব তুমি নিজেই নিয়েছ। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা খেলাপ করনা এবং তুমি অঙ্গিকার ভঙ্গ করনা। হে মালিক! যে সকল কল্যাণ তুমি পছন্দ কর তা আমাদের নিকটও পছন্দনীয় করে দাও। তা আমাদের জন্য সহজ করে দাও এবং যে সকল খারাপ বিষয় তুমি অপছন্দ কর উহা আমাদের নিকটও অপছন্দনীয় করে দাও এবং আমাদেরকে উহা থেকে রক্ষা কর। ইসলামের প্রতি তুমি আমাদেরকে হেদায়াত করার পরে আমাদের থেকে উহা চিনিয়া নিও না। ইলাহী! তুমি আমার স্থানকে দেখেছ এবং আমার কথা শুনেছ, আর আমার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য বিষয় জান। আমার কর্ম হতে কোন জিনিসই তোমার নিকট গোপন নয়, আমি অভাবী মুখাপেক্ষী, প্রার্থনাকারী, আশ্রয় প্রার্থী, ভীত সন্ত্রস্ত, নিজের গুনাহের স্বীকৃতি ও পরিচয়দানকারী। মিসকিনের মত তোমার নিকট প্রার্থনা করি। লাঞ্চিত গুনাহগারের মিনতির মত তোমার নিকট মিনতি করি। ভীত অসহায় ব্যক্তির দোআর মত তোমার নিকট দোআ করি ঐ ব্যক্তির দোআর মত যার গর্দান তোমার জন্য অবনত হয়েছে এবং তোমার জন্য তার চক্ষু যুগল প্রবাহিত হয়েছে এবং তোমার জন্য তার শরীর দূর্বল হয়েছে ও তার নাক ধূলা মলিন হয়েছে। হে মালিক! তুমি তোমার হেদায়েত থেকে আমাকে বঞ্চিত করো না এবং আমার উপর অসীম দয়ালু ও করুনাময় হয়ে যাও। হে সর্বোত্তম প্রার্থনা কবুলকারী ও সর্বোত্তম দাতা।
﴾৩﴿ আমিরুল মুমিনীন হযরত সায়্যিদুনা আলী মুরতাজা শেরে খোদা کَرَّمَ اللہُ تَعَالٰی وَجۡہَہُ الۡکَرِیۡم থেকে বর্ণিত আছে যে, সুলতানে দোজাহান, নবী করীম صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: আমার এবং অন্যান্য নবীদের আরাফাত দিবসের দোআ এটাই:
لَااِلٰہَ اِلَّا اللہُ وَحْدَہٗ لَاشَرِیْکَ لَہٗ ط لَہُ الْمُلْکُ وَلَہُ الْحَمْدُ یُحْیٖ وَیُمِیْتُ وَھُوَ عَلٰی کُلِّ شَيْءٍ قَدِیْرٌط اَللّٰھُمَّ اجْعَلْ فِیْ سَمْعِیْ نُوْرًا وَّفِیْ بَصَرِیْ نُوْرًا وَّفِیْ قَلْبِیْ نُوْرًاط اَللّٰھُمَّ اشْرَحْ لِیْ صَدْرِیْ وَیَسِّرْلِیْ اَمْرِیْ وَاَعُوْذُبِکَ مِنْ وَسَاوِسِ الصَّدْرِ وَتَشْتِیْتِ الْاَمْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِط اَللّٰھُمَّ اِنِّیْ اَعُوْذُبِکَ مِنْ شَرِّ مَا یَلِـجُ فِی اللَّیْلِ وَشَرِّ مَا یَلِـجُ فِی النَّھَارِ وَ شَرِّ مَا تَھُبُّ بِہِ الرِّیْحُ وَشَرِّ بَوَآئِقِ الدَّھْرِط
অনুবাদ: আল্লাহ ব্যতীত ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই। তিনি একক এবং তাঁর অংশীদার নেই তাঁর জন্য যাবতীয় সাম্রাজ্য এবং সমস্ত প্রশংসা তারই জন্য। তিনি জীবিত ও কখনো মৃত্যু আসবেনা এবং তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান। হে আল্লাহ! আমার শ্রবণ শক্তিকে আলোকিত কর। আমার দৃষ্টিশক্তিকেও আলোকিত কর এবং আমার অন্তরে আলো পরিপূর্ণ করে দাও। হে আল্লাহ! আমার বক্ষকে প্রসারিত কর এবং আমার কাজকে সহজ করে দাও এবং তোমার নিকট আশ্রয় চাই, বক্ষের কুমন্ত্রণা থেকে কাজের কঠোরতা থেকে এবং কবরের আযাব থেকে। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই ঐ অনিষ্ট থেকে, যা রাত্রি বেলায় প্রবিষ্ট হয় এবং ঐ অনিষ্ট থেকে যা দিনের বেলায় প্রবিষ্ট হয়, আর ঐ অনিষ্ট থেকে যাকে বাতাস প্রবাহিত করে এবং যুগের বিপদ আপদে অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।
মাদানী ফুল: সদরুশ শরীয়া, বদরুত তরীকা, হযরত আল্লামা মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ আমজাদ আলী আজমী رَحۡمَۃُ اللہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ আরাফাতের ময়দানে পড়ার বেশ কিছু দোআ উদ্ধৃত করার পর বললেন: এই স্থানে পড়া যায় এমন অনেক দোআ কিতাবে উলেস্নখ রয়েছে। কিন্তু এতটুকুই যথেষ্ট, আর দরূদ শরীফ ও কোরআন মজীদের তিলাওয়াত সকল দোআ থেকে বেশী উপকারী। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১২৭ পৃষ্ঠা)
আরাফাত ময়দানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দোআ করা সু্ন্নাত
============
প্রিয় হাজী সাহেবানরা! একাগ্রতার সাথে সত্য অন্তরে নিজের সম্মানিত মালিকের প্রতি মনোনিবেশ করুন এবং কিয়ামতের দিনে আমলের হিসাবের জন্য তাঁর দরবারে হাজেরীর কল্পনা করুন। একান্ত বিনয় ও নম্রতার সাথে কম্পমান অবস্থায় ভয় এবং আশা মিশ্রিত জযবার (আবেগের) সাথে চক্ষু বন্ধ করে মাথা অবনত করে দোআর জন্য হাত আসমানের দিকে মাথার চেয়ে উপরে উঠিয়ে দিন। তাওবা এবং ইসিন্তগফারে ডুবে যান। দোআর সময় কিছুক্ষণ পরপর ‘লাব্বাইক’ বারবার পড়তে থাকুন। খুব বেশি কেঁদে কেঁদে নিজের এবং নিজের মা-বাবা, আর সমস্ত উম্মতের ক্ষমার জন্য দোআ প্রার্থনা করুন। চেষ্টা করুন যাতে এক আধ ফোঁটা অশ্রু চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে কারণ ইহা দোআ কবুল হওয়ার প্রমাণ। যদি কান্না না আসে তাহলে কান্নাার ভাব করুন। কারণ ভাল কাজের নকল করাও ভাল। তাজেদারে মদীনা صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সমস্ত নবীগণ عَلَیۡهِمُ السَّلَام এবং সমস্ত সাহাবায়ে কিরাম عَلَیۡہِمُ الرِّضۡوَان ও পবিত্র আহলে বাইতের ওসিলা আপন মাওলার দরবারে পেশ করুন। ছারকারে বাগদাদ হুযুরে গাউছে পাক, খাজা গরীবে নেওয়াজ এবং আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রযা رَحِمَہُمُ اللہُ تَعَالٰی এর ওসিলা পেশ করুন সমস্ত ওলী ও সকল আশেকে রাসুল এর সদকায় প্রার্থনা করুন। আজ রহমতের দরজা সমূহ খুলে গেছে, اِنۡ شَآءَ اللہ عَزَّوَجَلّ প্রার্থনাকারীরা বিফলে যাবে না। আল্লাহ তাআলার রহমতের বর্ষন বাধা ছিন্ন করে আসতেছে, রহমতের মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষিত হচ্ছে, সমগ্র আরাফাত শরীফ নূর, তাজালস্নী এবং রহমত ও বরকতে ডুবে গেছে! কখনও নিজের গুনাহ থেকে এবং আল্লাহ তাআলার গযব দানের ক্ষমতার প্রতি লক্ষ্য রেখে এবং তাঁর আযাব হতে পরিত্রাণ চেয়ে সর্বদা দুলে এমন গাছের শাখার ন্যায় কেঁপে উঠুন। আবার কখনও এমন জযবা যেন হয় যে, তাঁর অফুরন্ত রহমতের আশায় আপনার মরু শুস্ক হৃদয়ে নব প্রষ্ফুটিত ফুলের ন্যায় হেসে উঠে।
আদল করে তা থর থর কমবন উচ্ছিয়া শানা ওয়ালে
ফজলে করে তা বখশে জওয়ান মে জাহে মু কালে।