দোআ কবুল হওয়ার ২৯টি স্থান
=================
সম্মানিত হাজীরা! এমনিতো হারামাঈন শরীফাঈনের প্রত্যেক স্থানে নূর সমুহ ও তাজল্লিয়াতের (কুদরতি ঝলক) বৃষ্টিপাত সর্বদা বর্ষণ হচ্ছে। তারপরও “আহছানুল বিয়া লি আদাবিদ দোআ” নামক কিতাব থেকে কিছু দোআ কবুল হওয়ার বিশেষ স্থান সমূহের উলেস্নখ করা হচ্ছে। যেন আপনারা সেসব স্থানে খুব আন্তরিকতা ও আগ্রহের সাথে দোআ করতে পারেন।
মক্কা শরীফের স্থান সমূহ এই, ﴾১﴿ মাতাফ ﴾২﴿ মুলতাজম ﴾৩ ﴿ মুছতাজার ﴾৪ ﴿ বাইতুল্লাহর ভিতরে ﴾৫﴿ মিজাবে রহমতের নিচে ﴾৬﴿ হাতীম ﴾৭ ﴿ হাজরে আসওয়াদ ﴾৮﴿ রুকনে ইয়ামানী, বিশেষত যখন তাওয়াফ কালীন সেদিক দিয়ে গমন করবে ﴾৯﴿ মকামে ইবরাহীমের পিছনে ﴾১০﴿ যমযম কুপের নিকটে ﴾১১﴿ সাফা ﴾১২﴿ মারওয়া ﴾১৩﴿ মাসআ বিশেষত সবুজ নিশানা সমুহের মধ্যবর্তী স্থানে ﴾১৪﴿ আরাফাতে, বিশেষত নবীয়ে পাক صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মওকিফের নিকটে। ﴾১৫﴿ মুজদালিফা বিশেষত মাশআরুল হারমে ﴾১৬﴿ মিনা ﴾১৭﴿ তিনটি জামরাতের নিকটে ﴾১৮﴿ যখনই কা’বা শরীফে দৃষ্টি পড়ে। আর মদীনা শরীফের স্থান সমূহ এই ﴾১৯﴿ মসজিদে নববী عَلٰی صَاحِبِہَا الصَّلٰوۃُ وَالسَّلَام ﴾২০﴿ মুয়াজাহা শরীফ। ইমাম ইবনুল জজরী رَحۡمَۃُ اللہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেছেন: দোআ এখানে কবুল না হলে, কোথায় কবুল হবে! (হিসনে হাসীন, ৩১ পৃষ্ঠা) ﴾২১﴿ মিম্বরে আত্হার এর নিকটে। ﴾২২﴿ মসজিদে নববী শরীফের পিলারের নিকটে। ﴾২৩﴿ মসজিদে কূবা শরীফে ﴾২৪﴿ ‘মসজিদুল ফাতহে’ বিশেষত বুধবারের জোহর ও আছরের মধ্যবর্তী সময়ে ﴾২৫﴿ অন্যান্য মসাজিদে তাইয়্যেবার যেগুলোর সাথে ছরকারে মদীনা صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সাথে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। (যেমন মসজিদে গামামা, মসজিদে ক্বিবলাতাঈন ইত্যাদি) ﴾২৬﴿ ঐ সকল মোবারক কুপে যেগুলোর সাথে সরওয়ারে কাউনাইন صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সম্পর্ক রয়েছে ﴾২৭﴿ জবলে উহুদ শরীফে। ﴾২৮﴿ মাশাহাদে মোবারাকাতে ﴾২৯﴿ মাজারাতে বাকীতে।
ঐতিহাসিক বর্ণনা মতে, জান্নাতুল বাক্বীতে প্রায় দশ হাজার সাহাবায়ে কেরাম عَلَیۡہِمُ الرِّضۡوَان আরাম করছেন। আফসোস! ১৯২৬ইং সনে জান্নাতুল বাকীর মাজার সমূহকে শহীদ করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে স্থানে স্থানে মোবারক কবর সমূহ ধ্বংস করে ওখানে সড়ক তৈরী করে দেয়া হয়েছে। তাই এখনো আমার ‘সগে মদীনা’ عُفِىَ عَنْهُ (লিখক) জান্নাতুল বাক্বীর ভিতরে প্রবেশ করার সাহস হয়নি। যেন কখনো আবার কোন নূরানী মাযার শরীফের উপর আমার পা পড়ে না যায়, আর মাসআলাও এটাই যে, কোন মুসলমানের কবরে পা রাখা, এর উপর বসা ইত্যাদি সকল কিছুই হারাম। দা’ওয়াতে ইসলামী’র প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘মাকতাবাতুল মদীনা’ কর্তৃক প্রকাশিত ৪৮ পৃষ্ঠা সম্বলিত “কবরবাসীদের ২৫টি ঘটনা” নামক রিসালার ৩৪ পৃষ্ঠায় রয়েছে: (কবরস্থানের কবরকে নিশ্চিহ্ন করে) যেমন; নতুন রাশতা তৈরী করা হয়েছে, তার উপর দিয়ে চলাফেরা করা হারাম। (রদ্দুল মুহতার, ১ম খন্ড, ৬১২ পৃষ্ঠা) বরং শুধুমাত্র অন্তরে যদি নতুন রাশতার ধারণাও আসে সে অবস্থায়ও তার উপর চলাচল করা না জায়েজ।(দুররে মুখতার, ৩য় খন্ড, ১৮৩ পৃষ্ঠা) সুতরাং আশেকানে রাসুলদের প্রতি আমার আকুল আবেদন; তারা যেন বাইরে দাঁড়িয়ে সালাম পেশ করে। জান্নাতুল বাকী শরীফের মূল দরজায় দাঁড়িয়ে সালাম আরজ করতে হবে তা জরুরী নয়। বিশুদ্ধ নিয়ম হচ্ছে, কবরস্থানের বাইরে এমন স্থানে দাঁড়াবেন, যেখানে আপনার পিঠের দিকে থাকবে ক্বিবলা আর এভাবে বাক্বী শরীফে কবরস্থ ব্যক্তিদের চেহারার দিকে আপনার মুখ থাকবে।
হে মাআচি হদছে বাহার ফির ভি যাহেদ গম নেহী
রহমতে আলম কি উম্মত, বান্দা হো গাফ্ফার কা। (সামানে বখশিশ)