اَلۡحَمۡدُ    لِلہِ      رَبِّ     الۡعٰلَمِیۡنَ    وَالصَّلٰوۃُ    وَالسَّلَامُ    عَلٰی     سَیِّدِ الۡمُرۡسَلِیۡنَ
اَمَّا   بَعۡدُ  فَاَعُوۡذُ  بِا  للہِ   مِنَ   الشَّیۡطٰنِ   الرَّجِیۡمِ    ؕ   بِسۡمِ   اللہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ        ؕ

আপনার “মদীনার সফর” মোবারক হোক

নবী করীম, রউফুর রহীম, রাসুলে আমীন صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم    ইরশাদ  করেছেন: “ইলমে দ্বীন অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।” (ইবনে মাযাহ, ১ম   খন্ড, ১৪৬  পৃষ্ঠা,  হাদীস নং: ২২৪)  এর  ব্যাখ্যায় এটা রয়েছে  যে,    হজ্ব আদায়কারীর  উপর ফরয   হচ্ছে হজ্বের   প্রয়োজনীয়  মাসআলা  জানা।   সাধারণত   হাজী সাহেবগণকে  তাওয়াফ    ও   সাঈ   ইত্যাদির    সময়ে  যে সমস্ত দোআ  পাঠ করা হয় ঐ সমস্ত   আরবী  দোআ  খুব মনোযোগ   সহকারে  আনন্দচিত্তে  পড়তে  দেখা  যায়।  যদিও এটা খুব  ভালো। বিশুদ্ধভাবে  পাঠ  করতে হবে। আবার যদি কেউ এই দোআগুলো নাও পড়ে তবুও সে গুনাহগার হবে  না।  কিন্তু হজ্বের   জরুরী মাসআলা সমূহ না    জানলে গুনাহ  হবে। “রফীকুল  হারামাঈন”  اِنۡ  شَآءَ اللہ    عَزَّوَجَلّ  আপনাকে  অনেক  গুনাহ  থেকে  বাঁচাবে,  হজ্বের   সময় “ফ্রি”তে দেওয়া হজ্বের  অনেক কিতাবের  মধ্যে    দেখা   যায়    শরীয়াতের   মাসআলার   ক্ষেত্রে   খুব বেশী অসতর্কতার   সাথে কাজ করানো  হয়েছে।  এতে  খুবই     দুশ্চিন্তা    হয়     যে,    এই    সমস্ত     কিতাবের     দিক নির্দেশনা গ্রহণকারী হাজীদের কি অবস্থা হবে! اَلْحَمْدُ لِلّٰہِ  عَزَّوَجَلَّ  “রফিকুল হারামাঈন”  অনেক  বছর  ধরে  লক্ষ লক্ষ  কপি  ছাপানো  হচ্ছে।  এতে  অধিকাংশ  মাসআলা  ফতোওয়ায়ে রযবীয়া শরীফ ও বাহারে শরীয়াতের মত সনদযুক্ত কিতাবে বর্ণিত মাসআলাকে খুবই সহজ করে লিখার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানে এতে আরো অধিক সংশোধন      ও      বৃদ্ধি    করা     হয়েছে,     আর    দা’ওয়াতে ইসলামীর  মজলিস  “আল  মদীনাতুল  ইলমিয়্যাহ”  এর  এবং  “দারুল  ইফতা   আহ্‌লে   সুন্নাত”  শুরু  থেকে   শেষ  পর্যন্ত এর একেকটি মাসআলা দেখে খুব বেশী উপকার করেছেন।      اَلْحَمْدُ  لِلّٰہِ     عَزَّوَجَلَّ    খুব  বেশী   ভাল   ভাল নিয়্যত  সহকারে “রফিকুল  হারামাঈন” এর  প্রকাশনার ব্যবস্থা     করা      হয়েছে।     আল্লাহর       শপথ!       “রফিকুল হারামাঈন”এর   মাধ্যমে   মদীনার   মুসাফিরদের   সুপথ  প্রদর্শন  করে শুধু আল্লাহ তাআলার  সন্তুষ্টি    অর্জন   করা মূল উদ্দেশ্য নিজের আয়ের কোন চিন্তা নেই।

শয়তান লাখো  অলসতা    প্রদর্শন  করবে  তবুও আপনি “রফিকুল  হারামাঈন” দয়া করে  শুরু  থেকে শেষ   পর্যন্ত পুরোটা  পড়ে নিন।  বর্ণিত মাসআলার উপর  খুব ভাল করে  চিন্তা-ভাবনা করুন।  কোন  কথা  বুঝে না  আসলে  ওলামায়ে   আহ্‌লে  সুন্নাতের  নিকট   গিয়ে   জেনে  নিন। اَلْحَمْدُ  لِلّٰہِ   عَزَّوَجَلَّ “রফিকুল হারামাঈন”এর ভিতর হজ্ব ও  ওমরার   মাসআলার   পাশাপাশি বহু সংখ্যক আরবী  দোআ   অর্থসহ     অন্তর্ভূক্ত   করা    হয়েছে।     যদি    মদীনা শরীফের   সফরে   “রফিকুল  হারামাঈন”আপনার   সাথে থাকে   তবে    اِنۡ  شَآءَ   اللہ      عَزَّوَجَلّ  হজ্বের  আর   কোন কিতাবের খুব কমই প্রয়োজন পড়বে।  হ্যাঁ! যে ব্যক্তি   এর  চেয়েও  আরো  বেশী  মাসআলা  শিখতে  চায়  আর  শিখাও    প্রয়োজন    তবে    বাহারে    শরীয়াত    ৬ষ্ঠ    খন্ড  অধ্যয়ন করুন।

মাদানী    অনুরোধ:    সম্ভব    হলে     ১২    কপি     “রফিকুল হারামাঈন”১২ কপি  পকেট সাইজের যে কোন রিসালা এবং      ১২      কপি      সুন্নাতে      ভরা      বয়ানের      V.C.D  মাকতাবাতুল মদীনা থেকে হাদিয়ার মাধ্যমে ক্রয় করে নিজের     সাথে    নিয়ে     যান    আর     সাওয়াব       অর্জনের উদ্দেশ্যে  সেখানে  বন্টন   করে   দিন।   এমন  কি  হজ্বের কার্যাদি সম্পন্ন করার পর নিজের “রফিকুল হারামাঈন” কপিটিও     হেরম     শরীফের     মধ্যেই     কোন     ইসলামী  ভাইকে   উপহার  স্বরূপ  দিয়ে  দিন।   রিসালাত  মাআব, হুযুর صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নূরানী দরবারে শায়খাইনে     করীমাইন    (অর্থাৎ   আবু   বকর   সিদ্দিকও উমর     ফারুকে        আযম     رَضِیَ     اللہُ     تَعَالٰی     عَنۡہُمۡ)এবং সায়্যিদুনা  হামযা,  শোহাদায়ে  উহুদ,    জান্নাতুল  বাক্বী,  জান্নাতুল   মা’আলায়  দাফন হওয়া  সম্মানিত ব্যক্তিদের দরবারে      আমার      সালামটুকু      পেশ      করে      দিবেন।  সফরকালীন         সময়ে         বিশেষ         করে         হারামাঈনে তায়্যিবাইনে আমি গুনাহগারের বিনা হিসাবে ক্ষমা লাভ এবং সকল   উম্মতের  মাগফিরাতের জন্য দোআ করার মাদানী অনুরোধ  রইল। আল্লাহ   তাআলা আপনার হজ্ব  ও  জেয়ারতকে অধিক সহজতর এবং কবুল করুন।

اٰمِين  بِجا  هِ  النَّبِيِّ  الْاَمين          صَلَّی  اللہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم

Top