তাকবীরে তাশরিকের ৮টি মাদানী ফুল

(১) যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখের ফযর থেকে শুরু করে ১৩    তারিখের    আছর       পর্যন্ত    পাঁচ     ওয়াক্তের     ফরয  নামাযের পর  মসজিদে  জামাআত সহকারে আদায়রত নামাযীদেরকে   একবার  উচ্চ আওয়াজে  তাকবীর  বলা ওয়াজীব    এবং    তিনবার     বলা    উত্তম।    আর    একেই  তাকবীরে তাশরীক বলা হয় এবং সেটি হচ্ছে:

اَللهُ اَكْبَرُ ط اللهُ اَكْبَرُ ط لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ ط اَللهُ اَكْبَرُ وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ ط

(তানবীরুল   আবছার    সম্বলিত,    ৩য়   খন্ড,   ৭১   পৃষ্ঠা। বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭৭৯-৭৮৫পৃষ্ঠা)

(২)   তাকবীরে   তাশরীক  সালাম   ফেরানোর   পরপরই  বলা ওয়াজীব। অর্থাৎ-যতক্ষণ পর্যন্ত এমন কোন আমল না   হয়  যার  কারণে   (নামাযরত  অবস্থায়  হলে)  নামায পুনরায়  আদায় করতে হয়। যেমন-মসজিদ থেকে বের হয়ে  গেলো  কিংবা   ইচ্ছাকৃতভাবে  ওযু  ভেঙ্গে   ফেলল, চাই  ভুল  করে কথা  বলুক,  তবে     তাকবীর রহিত হয়ে গেলো।  আর  যদি     বিনা  ইচ্ছায়   ওযু  ভেঙ্গে  যায়  তবে (তাকবীর) বলে নিবে। (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ৩য়  খন্ড,   ৭৩  পৃষ্ঠা)  (৩)  শহরের   মধ্যে     অবস্থানরত মুকীম   ব্যক্তির     জন্য   তাকবীরে     তাশরীক    ওয়াজীব, অথবা যে তার পেছনে ইকতিদা করল (তার জন্যও) । ঐ   ইকতিদাকারী  চাই     মুসাফির  হোক  কিংবা  গ্রামের  অধিবাসী  হোক   এবং  যদি  সে ইকতিদা না  করে  তবে তার   (অর্থাৎ   মুসাফির   ও   গ্রামের   অধিবাসীর)   উপর  ওয়াজীব নয়। (দুররে মুখতার, ৩য় খন্ড, ৭৪ পৃষ্ঠা)

(৪)    মুকিম   যদি   মুসাফিরের    পিছনে   ইকতিদা   করে  তবুও তার উপর   (মুকিমের উপর) তাকবীরে তাশরীক আদায় করা ওয়াজীব, যদিও ঐ মুসাফির ইমামের জন্য ওয়াজীব নয়। (দুররে মুখতার রদ্দুল মুহতার, ৩য় খন্ড, ৭৪  পৃষ্ঠা)  (৫)  নফল,  সুন্নাত  এবং  বিতরের  তাকবীর  ওয়াজীব নয়। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭৮৫ পৃষ্ঠা। দুররে মুখতার,   ৩য় খন্ড, ৭৩ পৃষ্ঠা) (৬) জুমার  পরও  ওয়াজীব  এবং ঈদের নামাযের (কুরবানীর ঈদ)   পরও বলে    নিন।     (প্রাগুক্ত)    (৭)    মাসবুক     (যার    এক     বা ততোধিক   রাকাত  ছুটে   গেছে)   এর   উপরও  তাকবীর ওয়াজীব। কিন্তু  সালাম ফিরানোর পর  বলবে।    (রদ্দুল  মুহতার,      ৩য়      খন্ড,       ৭৬       পৃষ্ঠা)      (৮)      মুনফারিদ (অর্থাৎ-একাকী      নামায        আদায়কারী)      এর       উপর  ওয়াজীব   নয়।   (আল   জাওহারাতুন   নাইয়িরাহ্,   ১২২  পৃষ্ঠা)   কিন্তু   এরপরও   বলে   নিন,   কেননা      সাহিবাইন (অর্থাৎ  ইমাম  আবু  ইউসুফ  ও  ইমাম  মুহাম্মদ  رَحِمَہُمُ  اللہُ تَعَالٰی) এর  মতে;   তার উপরও ওয়াজীব।   (বাহারে শরীয়াত,   ১ম    অংশ,   ৭৭৬     পৃষ্ঠা)    (ঈদের   ফযীলত  সম্বলিত    বিস্তারিত    বিষয়াবলী   জানার   জন্য   ফয়যানে সুন্নাতের  অধ্যায়  “ফয়যানে  রমযান”  থেকে  “ফয়যানে  ঈদুল ফিতর” পড়ে নিন।)

হে   আমাদের   প্রিয়   আল্লাহ্!    আমাদেরকে     বরকতময় ঈদের  খুশী সুন্নাতানুসারে পালন করার  তাওফীক দান করো! আমাদেরকে  মক্কা শরীফ  ও মদীনা শরীফ এবং তাজেদারে  মদীনা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم     এর  দীদার      লাভের    প্রকৃত   ঈদ   বা    খুশী    বার   বার   দান করো।

তেরি যবকে দীদ্ হোগী যভী মেরি ঈদ হোগী,
মেরে খোয়াব মে তু আ-না মাদানী মদীনে ওয়ালে।

Top