জালালুদ্দীন সূয়ূতী (রহঃ) সম্পর্কে শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানী লিখেছেন,
♣ ﻓﻴﺎ ﻋﺠﺒﺎً ﻟﻠﺴﻴﻮﻃﻲ ﻛﻴﻒ ﻟﻢ ﻳﺨﺠﻞ ﻣﻦ ﺗﺴﻮﻳﺪ ﻛﺘﺎﺑﻪِ ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ ﺍﻟﺼﻐﻴﺮ ﺑﻬﺬﺍ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ-
“কী আণ্ডর্য! জালালুদ্দিন সূয়ূতী তাঁর জামে সগীরে কিভাবে এ হাদীস উল্লেখ করতে একটু লজ্জাবোধ করলেন না!
তিনি জালালুদ্দিন সূয়ূতী (রহঃ) সম্পর্কে আরও লিখেছেন-
♣ ﻭﺟﻌﺠﻊ ﺣﻮﻟﻪُ ﺍﻟﺴﻴﻮﻃﻲ-
অর্থাৎ- জালালু্িদ্দন সূয়ূতী (রহঃ) হাঁক-ডাক ছেড়ে থাকেন।
•√• [সিল-সিলাতুজ জয়িফা, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা-১৮৯]
★ইমাম হাকেম, ইমাম যাহাবী এবং আল্লামা মুনযিরি (রহঃ) সম্পর্কে শায়েখের উক্তিঃ
শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানীর দৃষ্টিতে একটা হাদিস সহীহ নয়, অথচ অন্যান্য মুহাদ্দিস তাকে সহীহ বলায় তিনি হাদীসের বিখ্যাত তিন মুহাদ্দিস ইমাম হাকেম, ইমাম যাহাবী, ইমাম মুনযিরি (রহঃ) সম্পর্কে বলেছেন,
♣ ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ : ” ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻻﺳﻨﺎﺩ ” ! ﻭﻭﺍﻓﻘﻪ ﺍﻟﺬﻫﺒﻲ ! ﻭﺃﻗﺮﻩ ﺍﻟﻤﻨﺬﺭﻱ ﻓﻲ ” ﺍﻟﺘﺮﻏﻴﺐ ” ( ৩ / ১৬৬ ) ! ﻭﻛﻞ ﺫﻟﻚ ﻣﻦ ﺇﻫﻤﺎﻝ ﺍﻟﺘﺤﻘﻴﻖ ، ﻭﺍﻻﺳﺘﺴﻼﻡ ﻟﻠﺘﻘﻠﻴﺪ ، ﻭﺇﻻ ﻓﻜﻴﻒ ﻳﻤﻜﻦ ﻟﻠﻤﺤﻘﻖ ﺃﻥ ﻳﺼﺤﺢ ﻣﺜﻞ ﻫﺬﺍ ﺍ ﻻﺳﻨﺎﺩ-
→ “হাকেম বলেছেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।
→ ইমাম যাহাবী তাঁর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।
→ ইমাম মুনযিরি (রহঃ) “তারগীব ও তারহীব” নামক কিতাবে তার স্বীকৃতি দিয়েছেন। আর এটি হয়েছে, তত্ত্ব-বিশ্লেষণের প্রতি উদাসীনতা, তাকলীদের প্রতি আত্মসমর্পণ (অন্ধানুকরণ), নতুবা একজন বিশ্লেষণধর্মী আলেম কিভাবে একে সহীহ বলতে পারেন।”
হাফেয তাজুদ্দিন সুবকী (রহঃ) সম্পর্কে শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানী মন্তব্য করেছেন-
♣ﻭﻟﻜﻨﻪ ﺩﺍﻓﻊ ﻋﻨﻪ ﺑﻮﺍﺯﻉ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻌﺼﺐ ﺍﻟﻤﺬﻫﺒﻲ ، ﻻ ﻓﺎﺋﺪﺓ ﻛﺒﺮﻯ ﻣﻦ ﻧﻘﻞ ﻛﻼﻣﻪ ﻭﺑﻴﺎﻥ ﻣﺎ ﻓﻴﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻌﺼﺐ
♠মাযহাব অনুসরণের গোঁড়ামি তাঁকে প্ররোচিত করেছে। তাঁর কথা উল্লেখ করে এবং তাঁর গোঁড়ামির কথা আলোচনা করে তেমন উল্লেখযোগ্য কোন উপকারিতা নেই।
♠ [সিল-সিলাতুজ যয়িফা, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-২৮৫]
★শায়েখ হাবীবুর রহমান আজমী (রহঃ) তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন,
♣ ﺍﻟﺸﻴﺦ ﻧﺎﺻﺮ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﺍﻻﻟﺒﺎﻧﻲ ﺷﺪﻳﺪ ﺍﻟﻮﻟﻮﻉ ﺑﺘﺨﻄﺌﺔ ﺍﻟﺤﺬﺍﻕ ﻣﻦ ﻛﺒﺎﺭ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﺍﻻﺳﻼﻡ ﻭﻻ ﻳﺤﺎﺑﻰ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﺃﺣﺪﺍ ﻛﺎﺋﻨﺎ ﻣﻦ ﻛﺎﻥ ، ﻓﺘﺮﺍﻩ ﻳﻮﻫﻢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭﻣﺴﻠﻤﺎ ، ﻭﻣﻦ ﺩﻭﻧﻬﻤﺎ ، ﻭﻳﻐﻠﻂ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺒﺮ ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺰﻡ ﻭﺍﻟﺬﻫﺒﻲ ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺠﺮ ﻭﺍﻟﺼﻨﻌﺎﻧﻰ ، ﻭﻳﻜﺜﺮ ﻣﻦ ﺫﻟﻚ ﺣﺘﻰ ﻳﻈﻦ ﺍﻟﺠﻬﻠﺔ ﻭﺍﻟﺴﺬﺝ ﻣﻦ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﺍﻥ ﺍﻻﻟﺒﺎﻧﻲ ﻧﺒﻎ ﻓﻲ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻌﺼﺮﻧﺒﻮﻏﺎ ﻳﻨﺪﺭ ﻣﺜﻠﻪ-
♦“শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানী পৃথিবী বিখ্যাত গভীর পাণ্ডিত্যের অধিকারী আলেমদের ভুল ধরার ব্যাপারে চরম বেপরোয়া। এ পথে তিনি কাউকেই মুক্তি দেননি। আপনি দেখবেন! সে ইমাম বোখারী (রহঃ), ইমাম মুসলিমসহ অপরাপর ইমামদের ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করে। তিনি যুগশ্রেষ্ঠ আলেম ইবনে আব্দুল বার (রহঃ), ইবনে হাযাম (রহঃ), ইমাম যাহাবী (রহঃ) ইবনে হাজার আসকালানী (রহঃ), ইমাম সানআনী (রহঃ) সহ আরও অনেককে ভুল সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছেন। অথচ অনেক অজ্ঞ এবং সাধারণ আলেম তাঁকে বর্তমান যুগের বিরল ব্যক্তিত্ব মনে করে থাকেন।”
♦ বিশ্বের যে সমস্ত আলেম শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানীর এসমস্ত ভ্রান্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন এবং এ সম্পর্কে কিতাব লিখেছেন তাদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হল-
★১. শায়খ হাবীবুর রহমান আজমী। তাঁর রচিত কিতাবের নাম-
♣ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺷﺬﻭﺫﻩ ﻭﺃﺧﻄﺎﺅﻩ-
★২. উত্তর আফ্রিকার বিখ্যাত মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ আল-গুমারী। তাঁর কিতাবের নাম হল-
♣” ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﻟﻤﻘﻨﻊ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﺩ ﻋﻠﻰ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺍﻟﻤﺒﺘﺪﻉ “_
.
★৩. শায়েখ আব্দুল আযীয গুমারী-
♣ ” ﺑﻴﺎﻥ ﻧﻜﺚ ﺍﻟﻨﺎﻛﺚ ﺍﻟﻤﻘﻌﺪﻱ ﺑﺘﻀﻌﻴﻒ ﺍﻟﺤﺎﺭﺙ “-
★৪. শায়েখ মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আল-খাজরাযী
♣ ” ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺗﻄﺮﻓﺎﺗﻪ “-
★৫. উস্তাদ বদরুদ্দিন হাসান দিয়াব দামেশকী-
♣ ” ﺃﻧﻮﺍﺭ ﺍﻟﻤﺼﺎﺑﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﻇﻠﻤﺎﺕ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﺘﺮﺍﻭﻳﺢ “-
★৬. শামের বিখ্যাত মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ আল-হারারী,
♣ﺍﻟﺘﻌﻘﺐ ﺍﻟﺤﺜﻴﺚ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻃﻌﻦ ﻓﻴﻤﺎ ﺻﺢ ﻣﻦ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ-
★৭. শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন বায
♣” ﺃﻳﻦَ ﻳﻀﻊ ﺍﻟﻤﺼﻠﻲ ﻳﺪﻩ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﺮﻓﻊ ﻣﻦ ﺍﻟﺮﻛﻮﻉ ”
★৮. শায়েখ ইসমাইল বিন মুহাম্মাদ আনসারী
♣” ﺗﺼﺤﻴﺢُ ﺣﺪﻳﺚ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﺘﺮﺍﻭﻳﺢ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ ﻭﺍﻟﺮﺩّ ﻋﻠﻰ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺗﻀﻌﻴﻔﻪ “_
★৯. শায়েখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ
♣ ” ﻛﻠﻤﺎﺕٌ ﻓﻲ ﻛﺸﻒ ﺃﺑﺎﻃﻴﻞ ﻭﺍﻓﺘﺮﺍﺀﺍﺕ “-
★১০. শায়েখ হাসান বিন আলী আস-সাক্কাফ
♣ ﻗﺎﻣﻮﺱ ﺷﺘﺎﺋﻢ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻭﺃﻟﻔﺎﻇﻪ ﺍﻟﻤﻨﻜﺮﺓ ﻓﻲ ﺣﻖ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﺍﻷﻣﺔ ﻭﻓﻀﻼﺋﻬﺎ ﻭﻏﻴﺮﻫﻢ-
★৫. আলবানী সাহেব পূর্বের অবস্থান থেকে ফেরার পাশাপাশি প্রচুর স্ববিরোধীতায় লিপ্ত হযেছেন। একই রাবীকে কোথাও যয়ীফ, কোথাও সহীহ বলা, একই হাদীসকে কোথাও সহীহ এবং কোথাও সহীহ বলাকে তানাকুয বা স্ববিরোধীতা বলে। আলবানী সাহেব এতো বেশি পরিমাণ স্ববিরোধীতা করেছেন যে, এ বিষয়ে তিনি অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। একজন সুস্থ ধারার মুহাদ্দিস দু’একটি হাদীসের ক্ষেত্রে এমন করতে পারেন, কিন্তু তিনি শত শত হাদীসের ক্ষেত্রে এধরণের স্ববিরোধতিা করেছেন। শায়খ হাসান বিন আলী আস-সাক্কাফ আলবানী সাহেবের এ ধরণের স্ববিরোধীতার উপর কিতাব লিখেছেন। কিতাবের নাম, তানাকুযাতুল আলবানিল ওয়াজিহাত। এটি তিন খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে। তিন খন্ডে আলবানী সাহেবের মোট ১৩০০ স্ববিারোধী বক্তব্য উল্লেখ করা হযেছে। লেখক দাবী করেছেন, আমি আলবানী সাহেবের মোট সাত হাজার স্ববিরোধী বক্তব্য পেযেছি। এই তিন খন্ডে আমি ১৩০০ বক্তব্য প্রকাশ করেছি। বাকীগুলো তিনি আস্তে আস্তে প্রকাশ করবেন।
.
.
.
.
★৫. শায়খ সাইদ আল মামদুহ আলবানী সাহেব এর সহীহ ও যয়ীফ এর উপর তুলনামূলক আলোচনা করে ইলমুল হাদীসের আঙ্গিকে আট শ হাদীসের ব্যাপারে আলবানী সাহেবের ভুল ধরেছেন। অথাৎ একটা হাদীস আলবানী সাহেব এর নিকট যয়ীফ, কিন্তু সেটি বাস্তবে সহীহ আবার একটি হাদীসকে তিনি সহীহ বলেছেন, বাস্তবে সেটি যয়ীফ, এজাতীয় আট শ হাদীসের উপর আলোচনা করেছেন। তিনি এর উপর, আত-তা’রীফ বিআওহামি মান কাস সামাস সুনান ইলা সহীহ ও যয়ীফ নামে ছয় খন্ডের কিতাব লিখেছেন। প্রত্যেক খণ্ডই প্রায় ৫০০ পৃ. এর উপরে।
.
.
.
.
★৬. শায়খ হাম্মাদ বিন হাসান আল-মিসরী ৩০০ শ এর বেশি রাবীর জীবনী আলোচনা করেছেন, যাদের ব্যাপারে আলবানী সাহেব বলেছেন, তাদের কোন জীবনী কোন কিতাবে পাইনি অথবা তারা অপরিচিত, অথচ তাদের জীবনী তিনি যে কিতাব দেখেছেন তাতে বিদ্যমান রয়েছে এবং তারা পরিচিত রাবী। তিনি নাম্বার সহ প্রত্যেক রাবীর নাম ও তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছেন।
• নিচের সাইটে তার আলোচনা গুলো পাওয়া যাবে।
↓
#http://www.ahlalhdeeth.com/vb/showthread.php?t=316200
.
.
.
★★★
আলবানি সাহেব ভুল-ভ্রান্তি বিশ্লেষণ করে বাজারে নিয়মিত নতুন নতুন বই আসছে। এর অধিকাংশ বইয়ের লেখক আলবানী সাহব এর ছাত্র ও সালাফী ঘরানার আলেম। সুতরা এসমস্ত ভুলের ব্যাপারে অবগত না হয়ে যেসমস্ত সালাফী বন্ধুরা অন্ধভাবে, যাচাই-বাছাই ছাড়া আলবানী সাহেবের অনুসরণ করছেন, তাদেরকে অন্ধ অনুসারী ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে?
↓
↓
♦অতএব, সর্বশেষ কথা হল, তাবেয়ী ইবনে সিরিন (রহঃ) বলেছেন,
↓
# ﺇﻥَّ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﺩﻳﻦ ؛ ﻓﺎﻧﻈﺮﻭﺍ ﻋﻤَّﻦ ﺗﺄﺧﺬﻭﻥ ﺩﻳﻨﻜﻢ-
↓
•• “নিশ্চয় এই ইলম দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং লক্ষ্য রেখো! কার নিকট থেকে তুমি তোমার দ্বীন গ্রহণ করছো”