ঝগড়া বিবাদ ও তর্ক- বিতর্কঃ (পর্ব ৪)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> নিন্দনীয় ঝগড়া ও বিতর্কের ক্ষতি<br /> <br /> <br /> ১. মহা কল্যাণ হতে বঞ্চিত হওয়া।<br /> <br />  আল্লামা আওযায়ী বলেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতি কামনা করেন, তখন তাদের উপর ঝগড়া-বিবাদ চাপিয়ে দেন এবং তাদের কাজের থেকে বিরত রাখেন।<br /> <br /> মুয়াবিয়া ইবনে কুরাহ বলেন, তোমরা ঝগড়া-বিবাদ থেকে বেচে থাক! কারণ, তা তোমাদের আমলসমূহকে ধ্বংস করে দেয়।<br /> <br /> ২. ইলম থেকে বঞ্চিত।<br /> <br /> <br /> উবাদাহ ইবনে সামেত রা. হতে বর্ণিত,<br /> فعن عبادة بن الصامت أن رسول الله خرج يخبر بليلة القدر، فتلاحى رجلان من المسلمين فقال: «إنِّي خَرَجْتُ لِأخْبِرَكُمْ بلِيلْةِ القَدْرِ -أي: ليعينها-، وَإِنَّهُ تَلَاحَى فُلَانٌ وَفُلَانٌ فَرُفِعَتْ، وَعَسَى أَنْ يَكُونَ خَيْراً لَكُمْ، الْتَمِسُوهَا فِي السَّبْعِ وَالتِّسْعِ وَالخَمْسِ»<br /> অর্থ, ওবাদাহ ইবনে সামেত রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কদর রজনী সম্পর্কে খবর দিতে আমাদের নিকট বের হন, তারপর দুই মুসলমিনকে দেখেন, তারা দুইজন ঝগড়া করতেছে। আমি তোমাদের নিকট বের হয়েছিলাম তোমাদের কদর রজনী সম্পর্কে সংবাদ দিতে। কিন্তু অমুক অমুক লোক ঝগড়া করতে থাকলে তার ইলম তুলে নেয়া হয়। হতে পারে এর মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে। তোমরা সাতাশ, উনত্রিশ ও পঁচিশ তারিখ রজনীতে কদর রজনীকে তালাশ কর।[18]<br /> <br /> <br /> ৩. উম্মতের ধ্বংস।<br /> <br /> فعن أبي هريرةعن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «دَعُونِي مَا تَرَكْتكُمْ، إنَمَا أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ سُؤَالهمْ وَاخْتِلَافُهُمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ»<br /> আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের পূর্বের উম্মতরা অধিক প্রশ্ন করা ও তাদের নবীদের সাথে বিরোধ করার কারণে ধ্বংস হয়েছে।<br /> <br /> ওমর রা. যিয়াদ ইবনে হাদীরকে জিজ্ঞাসা করে বলে, তুমি কি জান কোন জিনিষ ইসলামকে ধ্বংস করে? সে বলল, না। তারপর বলল, ইসলাম ধ্বংস করে আলেমদের পদস্খলন, মুনাফেকদের বিবাদ করা আল্লাহর কিতাব বিষয়ে এবং ভ্রষ্ট ইমামদের ফায়সালা দেয়।<br /> وعن ابن عباس قال : «إنما هلك من كان قبلكم بالمراء والخصومات في الدين»<br /> অর্থ, ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, তোমাদের পূর্বের লোকেরা দ্বীনের ব্যাপারে বিবাদ করার কারণে ধ্বংস হয়েছে।<br /> <br /> ৪. অন্তরকে কঠিন করে ও শত্রুতা সৃষ্টি করে।<br /> <br /> ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেন, ঝগড়া বিবাদ করা মানুষের অন্তরকে কঠিন করে দেয় এবং পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা তৈরি করে।<br /> <br /> অনেক মানুষ আছে কেবল মজলিশে বিতর্ক করার কারণে তাদের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। যার কারণে তারা একে অপরের সাথে কথা বলে না, একজন অপরজনকে দেখতে যায় না। এ কারণে মনীষীরা বিতর্ক করা থেকে সতর্ক করেন। ইবনে আব্বাস রা. বলেন, তোমার জুলুমের জন্য তুমি ঝগড়াটে হওয়াই যথেষ্ট। আর তোমার গুণার জন্য তুমি বিবাদ কারী হওয়াই যথেষ্ট।<br /> <br /> মুহাম্মদ ইবনে আলী ইবনে হুছাইন বলেন, ঝগড়া দ্বীনকে মিটিয়ে দেয়, মানুষের অন্তরে বিদ্বেষ জন্মায়।<br /> <br /> <br /> আব্দুল্লাহ ইবনে হাসান বলেন, বিবাদ প্রাচীন বন্ধুত্বকেও ধ্বংস করে, সুদৃঢ় বন্ধনকে খুলে দেয়, কমপক্ষে তার চড়াও হওয়ার মানসিকতা তৈরি করে যা হল, সম্পর্কচ্ছেদের সবচেয়ে মজবুত উপায়।<br /> <br /> ইব্রাহীমে নখয়ী আল্লাহ তায়ালার এ বাণীর তাফসীরে বলেন,<br /> ﴿وَقَالَتِ ٱلۡيَهُودُ يَدُ ٱللَّهِ مَغۡلُولَةٌۚ غُلَّتۡ أَيۡدِيهِمۡ وَلُعِنُواْ بِمَا قَالُواْۘ بَلۡ يَدَاهُ مَبۡسُوطَتَانِ يُنفِقُ كَيۡفَ يَشَآءُۚ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرٗا مِّنۡهُم مَّآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ مِن رَّبِّكَ طُغۡيَٰنٗا وَكُفۡرٗاۚ وَأَلۡقَيۡنَا بَيۡنَهُمُ ٱلۡعَدَٰوَةَ وَٱلۡبَغۡضَآءَ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِۚ كُلَّمَآ أَوۡقَدُواْ نَارٗا لِّلۡحَرۡبِ أَطۡفَأَهَا ٱللَّهُۚ وَيَسۡعَوۡنَ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَسَادٗاۚ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُفۡسِدِينَ﴾ [المائدة:64]<br /> আর ইয়াহূদীরা বলে, ‘আল্লাহর হাত বাঁধা’। তাদের হাতই বেঁধে দেয়া হয়েছে এবং তারা যা বলেছে, তার জন্য তারা লা‘নতগ্রস্ত হয়েছে। বরং তার দু’হাত প্রসারিত। যেভাবে ইচ্ছা তিনি দান করেন এবং তোমার উপর তোমার রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে তা তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফরী বাড়িয়েই দিচ্ছে। আর আমি তাদের মধ্যে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত শত্রতা ও ঘৃণা ঢেলে দিয়েছি। যখনই তারা যুদ্ধের আগুন প্রজ্বলিত করে, আল্লাহ তা নিভিয়ে দেন। আর তারা জমিনে ফ্যাসাদ করে বেড়ায় এবং আল্লাহ ফাসাদকারীদের ভালবাসেন না। [সূরা মায়দো: ৬৪]<br /> <br /> <br /> ৫. পদস্খলনের কারণ:<br /> <br /> মুসলিম ইবনে ইয়াসের বলেন, তোমরা ঝগড়া-বিবাদ পরিহার কর। কারণ, তা হল আলেমের মূর্খতার মুহূর্ত। শয়তান এ মুহূর্তেই তার পদস্খলন কামনা করে।<br /> <br /> ৬. সম্মানহানী:<br /> <br /> কোন এক আরব বলছিল, যারা মানুষের সাথে বিবাদ করে তাদের সম্মান নষ্ট হয়। যে বেশি ঝগড়া করে সে তা অবশ্যই বুঝতে পারে।<br /> <br /> ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেন,<br /> <br /> قَالُوا سَكتَّ وَقَدْ خُوصِمْتَ، قُلْتُ لَهُمْ<br /> <br /> إنَِّ الجَوَابَ لبابِ الشَّرِّ مِفْتَاحُ<br /> <br /> وَالصَّمْتُ عَنْ جَاهِلٍ أَوْ أَحمَقٍ شَرَفٌ<br /> <br /> وَفيِهِ أَيْضاً لصِوْنِ العِرْضِ إصِلَاحُ<br /> <br /> أَمَا تَرَى الُأسَد تُخَشى وَْهَي صامِتَةٌ<br /> <br /> وَالكلْبُ يخْسَى لَعَمْرِي وَهْوَ نَبَّاحُ<br /> তুমি চুপ থাকলে অথচ তোমার সাথে বিতর্ক করা হচ্ছে! আমি তাদের বললাম উত্তর দেয়া অন্যায়ের দরজার চাবি স্বরুপ। কোন জাহেল বা আহমকের কথার উত্তর দেয়ার চেয়ে চুপ থাকা মর্যদাকর। এছাড়াও তাতে রয়েছে ইজ্জত সংরক্ষনে নিশ্চয়তা। তুমি কি দেখনা বাঘ চুপ থাকে অথচ তাকে সবাই ভয় করে। আর কুকুরকে সবাই ঘৃণা করে অথচ সে সব সময় ঘেউ ঘেউ করতেই থাকে।<br /> <br /> আলেমদের সাথে ঝগড়া-বিবাদ<br /> <br /> <br /> যাবের ইবনে আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,<br /> <br /> «لَا تَعَلَّمُوا العِلْمَ لِتُبَاهُوا بِهِ العُلَمَاءَ، وَلَا لِتُمَارُوا بِهِ السُّفَهَاءَ، وَلَا تَخَيَّرُوا بِهِ المَجَالِسَ، فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَالنَّارَ النَّارَ»<br /> <br /> অর্থ, তোমরা আলেমদের সাথে বড়াই করা এবং মূর্খদের সাথে বিতর্ক করার উদ্দেশ্যে ইলম শিক্ষা করো না এবং ইলম দ্বারা মজলিশসমূহকে বিতর্কিত করো না। যে ব্যক্তি ইহা করে তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম জাহান্নাম।[19]<br /> <br /> অপর এক হাদিসে কা‘ব বিন মালেক রা. হতে বর্ণিত, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন,<br /> <br /> «مَنْ طَلَبَ العِلْمَ لِيُجَارِيَ بهِِ العُلَمَاءَ، أَوْ لِيُمَارِيَ بِهِ السُّفَهَاءَ، أَوْ يَصْرِفَ بِهِ وُجُوهَ النَّاسِ إِلَيْهِ؛ أَدْخَلَهُ الله النَّارَ»<br /> <br /> অর্থ, যে ব্যক্তি আলেমদের সাথে বিতর্ক করা এবং জাহেলদের সাথে ঝগড়া-বিবাদ করা অথবা মানুষকে তার প্রতি আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে ইলম অর্জন করে আল্লাহ তা‘আলা তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন।[20]<br /> <br /> <br /> <br /> [19] ইবনে মাযাহ : ২৫৪<br /> [20] তিরমিযি : ২৬৪৫<br /> <br /> <br /> <br /></div>

ঝগড়া বিবাদ ও তর্ক- বিতর্কঃ (পর্ব ৪)

নিন্দনীয় ঝগড়া ও বিতর্কের ক্ষতি ১. মহা কল্যাণ হতে বঞ্চিত হওয়া।  আল্লামা আওযায়ী বলেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতি কামনা...

Read more »

ঝগড়া-বিবাদ ও তর্ক-বিতর্কঃ (পর্ব ৩)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> নিন্দনীয় বিতর্কের প্রকার:<br /> <br /> নিন্দনীয় বিতর্ক ও দুই প্রকার:<br /> <br /> এক. জ্ঞানহীন ঝগড়া বিবাদ। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يُجَٰدِلُ فِي ٱللَّهِ بِغَيۡرِ عِلۡمٖ وَيَتَّبِعُ كُلَّ شَيۡطَٰنٖ مَّرِيدٖ ﴾[الحج:3]<br /> <br /> অর্থ, মানুষের মধ্যে কতক আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক-বিতর্ক করে না জেনে এবং সে অনুসরণ করে প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তানের। [আল- হজ: ৩]<br /> <br /> আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাবদের সম্বোধন করে বলেন,<br /> <br /> ﴿هَٰٓأَنتُمۡ هَٰٓؤُلَآءِ حَٰجَجۡتُمۡ فِيمَا لَكُم بِهِۦ عِلۡمٞ فَلِمَ تُحَآجُّونَ فِيمَا لَيۡسَ لَكُم بِهِۦ عِلۡمٞۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ وَأَنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ ﴾[آل عمران:66]<br /> <br />  সাবধান! তোমরা তো সেসব লোক, বিতর্ক করলে এমন বিষয়ে, যার জ্ঞান তোমাদের রয়েছে। তবে কেন তোমরা বিতর্ক করছ সে বিষয়ে যার জ্ঞান তোমাদের নেই? আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না। [সূরা আলে-ইমরান: ৬৬]<br /> <br />  আল্লাহ তা‘আয়ালার বিষয়ে বিতর্ক করা জ্ঞানহীন বিতর্কের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿وَيُسَبِّحُ ٱلرَّعۡدُ بِحَمۡدِهِۦ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ مِنۡ خِيفَتِهِۦ وَيُرۡسِلُ ٱلصَّوَٰعِقَ فَيُصِيبُ بِهَا مَن يَشَآءُ وَهُمۡ يُجَٰدِلُونَ فِي ٱللَّهِ وَهُوَ شَدِيدُ ٱلۡمِحَالِ﴾ [الرعد:13]<br /> <br />  আর বজ্র তার প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করে এবং ফেরেশতারাও তার ভয়ে। আর তিনি গর্জনকারী বজ্র পাঠান। অতঃপর যাকে ইচ্ছা তা দ্বারা আঘাত করেন এবং তারা আল্লাহর সম্বন্ধে ঝগড়া করতে থাকে। আর তিনি শক্তিতে প্রবল, শাস্তিতে কঠোর। [সূরা রায়াদ: ১৩]<br /> <br /> আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يُجَٰدِلُ فِي ٱللَّهِ بِغَيۡرِ عِلۡمٖ وَيَتَّبِعُ كُلَّ شَيۡطَٰنٖ مَّرِيدٖ ٣ كُتِبَ عَلَيۡهِ أَنَّهُۥ مَن تَوَلَّاهُ فَأَنَّهُۥ يُضِلُّهُۥ وَيَهۡدِيهِ إِلَىٰ عَذَابِ ٱلسَّعِيرِ ﴾[حج:3-4]<br /> <br /> অর্থ, মানুষের মধ্যে কতক আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক-বিতর্ক করে না জেনে এবং সে অনুসরণ করে প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তানের। তার সম্পর্কে নির্ধারণ করা হয়েছে যে, যে তার সাথে বন্ধুত্ব করবে সে অবশ্যই তাকে পথভ্রষ্ট করবে এবং তাকে প্রজ্বলিত আগুনের শাস্তির দিকে পরিচালিত করবে। [হজ ৩-৪]<br /> <br /> <br /> আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يُجَٰدِلُ فِي ٱللَّهِ بِغَيۡرِ عِلۡمٖ وَلَا هُدٗى وَلَا كِتَٰبٖ مُّنِيرٖ ٨ ثَانِيَ عِطۡفِهِۦ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِۖ لَهُۥ فِي ٱلدُّنۡيَا خِزۡيٞۖ وَنُذِيقُهُۥ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ عَذَابَ ٱلۡحَرِيقِ ﴾[الحج:8-9]<br /> <br /> অর্থ, আর মানুষের মধ্যে কতক আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে কোন জ্ঞান ছাড়া, কোন হিদায়েত ছাড়া এবং দীপ্তিমান কিতাব ছাড়া। সে বিতর্ক করে ঘাড় বাঁকিয়ে, মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে তার জন্য রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং কিয়ামতের দিন আমি তাকে দহন যন্ত্রণা আস্বাদন করাব। [আল-হজ্জ: ৮-৯] অর্থাৎ অহংকারী এবং চায় মানুষকে আল্লাহর রাস্তা হতে বিরত রাখতে।<br /> <br /> এ ছাড়াও তারা কিয়ামত বিষয়ে বিতর্ক করত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿يَسۡتَعۡجِلُ بِهَا ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِهَاۖ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مُشۡفِقُونَ مِنۡهَا وَيَعۡلَمُونَ أَنَّهَا ٱلۡحَقُّۗ أَلَآ إِنَّ ٱلَّذِينَ يُمَارُونَ فِي ٱلسَّاعَةِ لَفِي ضَلَٰلِۢ بَعِيدٍ﴾ [الشورى: 18]<br /> <br /> অর্থ, যারা এতে ঈমান আনে না, তারাই তা ত্বরান্বিত করতে চায়। আর যারা ঈমান এনেছে, তারা একে ভয় করে এবং তারা জানে যে, এটা অবশ্যই সত্য। জেনে রেখ, নিশ্চয় যারা কিয়ামত সম্পর্কে বাকÑবিতণ্ডা করে তারা সুদূর পথভ্রষ্টটায় নিপতিত। [সূরা সুরা: ১৮]<br /> <br /> <br /> জ্ঞানহীন তর্কে অন্তর্ভুক্ত হল, কদর সম্পর্কে বিতর্ক করা।<br /> <br /> فعن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده قال: «خرج رسول الله على أصحابه وهم يختصمون في القدر،فكأنما يُفقأُ في وجهه حب الرمان من الغضب. فقال: بِهَذَا أُمِرْتُمْ؟ أَوْ لَهِذَا خُلِقْتُمْ؟ تَضرِبُونَ القُرْآنَ بَعْضَهُ بِبَعْضٍ؟! بِهَذَاهَلَكَتِ الأُمَمُ قَبْلَكُمْ قال: فقال عبد الله بن عمروما غبطت نفسي بمجلس تخلفت فيه عن رسول الله ما غبطت نفسي بذلك المجلس وتخلفي عنه »<br /> <br /> অর্থ, আমর ইবনে শুয়াইব রা. বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন তার সাহাবীরা কদর সম্পর্কে বিতর্ক করছে। এ দেখে রাগে এ ক্ষোভে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারা মলিন হয়ে গেল। তখন তিনি তাদের বললেন, তোমাদের এর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে? অথবা তোমাদের এ জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে? তোমরা কুরআনের এক অংশ দ্বারা অপর অংশকে আঘাত করছ! এ কারণেই তোমাদের পূর্বের উম্মতরা ধ্বংস হয়েছে। তারপর আব্দুল্লাহ ইবনে আমর বলেন, আমি আর কোন মজলিশে অনুপস্থিত থাকতে এত পছন্দ করিনি সেদিন ঐ মজলিশে অনুপস্থিত থাকাকে যতটুকু পছন্দ করি।<br /> <br /> <br /> ইব্রাহীম আ. নমরুদের সাথে তার বাতিলকে প্রতিহত করতে বিতর্ক করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِي حَآجَّ إِبۡرَٰهِ‍ۧمَ فِي رَبِّهِۦٓ أَنۡ ءَاتَىٰهُ ٱللَّهُ ٱلۡمُلۡكَ إِذۡ قَالَ إِبۡرَٰهِ‍ۧمُ رَبِّيَ ٱلَّذِي يُحۡيِۦ وَيُمِيتُ قَالَ أَنَا۠ أُحۡيِۦ وَأُمِيتُۖ قَالَ إِبۡرَٰهِ‍ۧمُ فَإِنَّ ٱللَّهَ يَأۡتِي بِٱلشَّمۡسِ مِنَ ٱلۡمَشۡرِقِ فَأۡتِ بِهَا مِنَ ٱلۡمَغۡرِبِ فَبُهِتَ ٱلَّذِي كَفَرَۗ وَٱللَّهُ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّٰلِمِينَ ﴾ [البقرة:258]<br /> <br /> অর্থ, তুমি কি সে ব্যক্তিকে দেখনি, যে ইবরাহীমের সাথে তার রবের ব্যাপারে বিতর্ক করেছে যে, আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছেন? যখন ইবরাহীম বলল, ‘আমার রব তিনিই’ যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে বলল, আমিই জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটাই। ইবরাহীম বলল, নিশ্চয় আল্লাহ পূর্বদিক থেকে সূর্য আনেন। অতএব তুমি তা পশ্চিম দিক থেকে আন। ফলে কাফির ব্যক্তি হতভম্ব হয়ে গেল। আর আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়েত দেন না। [সূরা বাকারাহ: ২৫৮]<br /> <br /> <br /> <br /> আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,<br /> <br /> «الصِّيَامُ جُنَّةٌ، فَلَا يَرْفُثُ وَلَا يَجْهَلُ، وَإِنِ امْرُؤٌ قَاتَلَهُ أَوْ شَاتَمَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ – مَرَّتَيْنِ وفي رواية سهيل بن أبي صالح عن أبيه فَلَا يَرْفُثُ وَلَا يُجَادِلُ»<br /> <br /> অর্থ, সাওম হল, ডাল স্বরূপ রোজা অবস্থা কেউ যেন অশ্লিল কোন কাজ না করে এবং অজ্ঞতার পরিচয় না দেয়। যদি কোন লোক তোমার সাথে ঝগড়া করে বা তোমাকে গালি দেয়, তখন তাকে বলে, দিবে যে আমি রোজাদার। এ কথা দুইবার বলবে।[14] আর সুহাইল ইবনে আবি সালেহের বর্ণনায় বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সে যেন অশ্লিল কোন কাজ না করে এবং ঝগড়া না করে।[15]<br /> <br /> <br /> <br /> রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,<br /> <br /> «أَنَا زَعِيمٌ بِبَيْتٍ فِي رَبَضِ الجَنةَِّ لِمَنْ تَرَكَ المِرَاءَ وَإِنْ كَانَ مُحِقّاً»<br /> <br /> অর্থ, যে ব্যক্তি বিতর্ককে পরিহার করে যদিও সে হকের পক্ষে হয়, আমি তার জন্য জান্নাতের পার্শ্বের একটি প্রাসাদের দায়িত্বশীল।[16] আয়েশা রা. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,<br /> <br /> «إِنَّ أَبْغَضَ الرِّجَالِ إلِى الله الأَلَدُّ الخَصِمُ»<br /> <br /> অর্থ, আল্লাহ তায়ালার নিকট সর্বাধিক নিকৃষ্ট সে ব্যক্তি যে অধিক ঝগড়া বিবাদ করে।[17]<br /> <br /> <br /> [14] বুখারি: ১৮৯৪<br /> [15] ওমদাতুল কারী: ২৫৮/১০ ফতহুল বারী: ১০৪/৪<br /> [16] আবু দাউদ: ৪৮০০<br /> [17] বুখারি: ২৪৫৭ মুসলিম: ২৬৬৮<br /> <br /> <br /> দ্বীনের ব্যাপারে কিছু বিতর্কের উদাহরণঃ<br /> <br /> <br /> ★ ইমাম আবু হানিফা রহ. দাহরীয়াদের একটি সম্প্রদায়ে সাথে মুনাজারা করেন। তারা বলেন, এ জগতের সৃষ্টি প্রাকৃতিক; জগতের আলাদা কোন স্রষ্টা নাই, সে নিজেই তার স্রষ্টা। প্রতি ছত্রিশ হাজার বছর পর পৃথিবী আপন কক্ষ পথে ফিরে আসে। আদম আ. আবার জন্ম লাভ করে এবং প্রতি জীবন যেগুলো চলে যায় সে গুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটে। এভাবে তারা মারা যায় আবার ফিরে আসে।<br /> <br /> ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন, আচ্ছা বলত, এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমাদের মতামত কি? যে বলে নদীতে মাঝি ছাড়াই নৌকা চলে, কোন লোক ছাড়াই নৌকা নিজে নিজে তার মধ্যে মালামাল উঠায়, আবার নামায়।<br /> <br /> তারা বলল, যে এ কথা বলে সে পাগল ছাড়া আর কি হতে পারে?<br /> <br /> তিনি বললেন, ছোট্ট একটি নৌকা তার জন্য যদি মাঝি লাগে, পরিচালক লাগে, তাহলে এত বড় জগত তার জন্য কি পরিচালক লাগবে না? তা কীভাবে পরিচালক ছাড়া চলতে পারে?<br /> <br /> তার কথা শোনে তারা কেঁদে ফেলল এবং হককে স্বীকার করে নিলো।<br /> <br /> আমর ইবনে উবাইদ সে একজন মুতাযেলা যারা বলে কবীরাগুণাহকারী চির জাহান্নামী। সে একদিন বলে, কিয়ামতের দিন আমাকে আল্লাহর সামনে উপস্থিত করা হলে আল্লাহ বলবে তুমি কেন বললে হত্যাকারী জাহান্নামী? আমি বলব তুমি তা বলছ!<br /> <br /> ﴿وَمَن يَقۡتُلۡ مُؤۡمِنٗا مُّتَعَمِّدٗا فَجَزَآؤُهُۥ جَهَنَّمُ خَٰلِدٗا فِيهَا وَغَضِبَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِ وَلَعَنَهُۥ وَأَعَدَّ لَهُۥ عَذَابًا عَظِيمٗا ﴾[النساء:93]<br /> <br /> অর্থ, আর যে ইচ্ছাকৃত কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তার প্রতিদান হচ্ছে জাহান্নাম, সেখানে সে স্থায়ী হবে। আর আল্লাহ তার উপর ক্রুদ্ধ হবেন, তাকে লা‘নত করবেন এবং তার জন্য বিশাল আযাব প্রস্তুত করে রাখবেন। [সূরা নিসা: ৯৩]<br /> <br /> তারপর তাকে কুরাইশ ইবনে আনাস বলল, ঘরের মধ্যে তার চেয়ে ছোট আর কেউ নাই; যদি তোমাকে বলে আমি বলছি<br /> <br /> ﴿إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ وَيَغۡفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ وَمَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلَۢا بَعِيدًا﴾ [النساء:116]<br /> <br /> অর্থ, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা করেন না তাঁর সাথে শরীক করাকে এবং এ ছাড়া যাকে চান ক্ষমা করেন। আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে তো ঘোর পথভ্রষ্টটায় পথভ্রষ্ট হল। [নিসা আয়াত: ১১৬]<br /> <br /> তুমি কিভাবে জানতে পারলে আমি ক্ষমা করতে চাইবো না? এ কথার পর সে আর কোন উত্তর দিতে পারেনি।<br /> <br /> <br /> ★ ওমর ইবনে আব্দুল আজীজ রহ. আওন ইবনে আব্দুল্লাহকে খারেজিদের সাথে মুনাযারার জন্য পাঠান। তারা ইমামদের কাফর বলত। সে তাদের বলল, তোমরা ওমর ইবনে খাত্তাবের মতে শাসক চেয়েছিলে, কিন্তু যখন ওমর ইবনে আব্দুল আজীজ আসল তোমরাই সর্বপ্রথম তার থেকে পলায়ন করলে?!<br /> <br /> তারা বলল, সে তার পূর্বসূরিদের বলয় থেকে বের হতে পারেনি! আমরা শর্ত দিয়েছিলাম তার পূর্বের সব ইমাম ও খলিফাদের অভিশাপ করতে হবে। কিন্তু সে তা করেনি।<br /> <br /> সে বলল, তোমরা সর্বশেষ করে হামানকে অভিশাপ করছ?<br /> <br /> তারা বলল, না আমরা কখনোই হামানকে অভিশাপ করিনি!<br /> <br /> সে বলল, ফেরআউনের উজির যে তার নির্দেশে প্রাসাদ নির্মাণ করল তাকে তোমরা ছাড়তে পারলে অথচ তোমরা ওমর ইবনে আব্দুল আজীজকে ছাড়তে পারলে না, যে হকের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং আহলে ক্বিবলার কাউকে চাই সে কোন বিষয়ে ভুল করুক?!<br /> <br /> ওমর ইবনে আব্দুল আজীজ তার কথায় খুব খুশি হন এবং বলেন তাদের নিকট তোমাকে ছাড়া আর কাউকে পাঠাবো না।<br /> <br /> তারপর সে তাকে বলে, তুমি হামানের কথা বললে ফিরআউনের কথা বললে না?<br /> <br /> সে বলে আমি আশংকা করছিলাম ফিরআউনের কথা বললে সে বলবে আমরা তাকে অভিশাপ করি।<br /> <br /> <br /> <br /> ★ জাহ্হাক আস-সারী নামে একজন খারেজী আবু হানিফা রহ. এর নিকট এসে বলে তুমি তাওবা কর!<br /> <br /> তিনি বললেন, কীসের থেকে তাওবা করব?<br /> <br /> সে বলল, তুমি যে বলছ, দুই ব্যক্তির মাঝে বিচারক নির্ধারণ করা বৈধ তা হতে। খারেজীরা কোন হাকীম মানে না তারা বলে, হাকিম একমাত্র আল্লাহ।<br /> <br /> আবু হানিফা রহ. বলল, আচ্ছা তুমি কি আমাকে হত্যা করবে নাকি আমার সাথে মুনাযারা করবে?<br /> <br /> সে বলল, আমি তোমার সাথে মুনাযারা করব!<br /> <br /> বলল, যদি আমরা যে বিষয়ে মুনাযারা করব তাতে যদি আমরা একমত না হতে পারি তাহলে আমার আর তোমার মধ্যে কে ফায়সালা করবে?<br /> <br /> সে বলল, যাকে তুমি চাও নির্ধারণ কর।<br /> <br /> আবু হানিফা রহ. জাহ্হাক আশ-শারি এক সাথীকে বলল, তুমি বস আমরা যে বিষয়ে বিরোধ করি তাতে তুমি ফায়সালা দিবে।<br /> <br /> তারপর সে জাহ্হাককে বলল, তুমি আমার ও তোমার মধ্যে বিচারক হিসেবে তাকে মান?<br /> <br /> বলল, হ্যাঁ<br /> <br /> আবু হানিফা রহ. বলল, তুমি-তো এখন বিচারক নির্ধারণ করাবে বৈধ বললে। তারপর সে নির্বাক হল এবং চুপ হয়ে গেল। আর কোন উত্তর দিতে পারল না।<br /> <br /> ইবনে আসাকের বর্ণনা করেন, একদা রুমের একজন লোককে কাজী আবু বকর আলা-বাকিল্লানীর নিকট পাঠান ইফকের ঘটনা বিষয়ে বিতর্ক করার জন্য। উদ্দেশ্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়েশা রা. কে হেয় করা। সে বলল, আল্লাহ তায়ালা কুরআনের মধ্যে একজন মহিলাকে জেনার অপবাদ থেকে পবিত্র করেন, তার নাম কি?<br /> <br /> কাজী উত্তরে বললেন, তার হল, দুইজন মহিলা। তাদের সম্পর্কে লোকেরা অপবাদ দেয় এবং যা বলার বলে। একজন হল আমাদের নবীর স্ত্রী আর অপর জন হল, মারয়াম বিনতে ইমরান। আমাদের নবীর স্ত্রী সন্তান প্রসব করেনি আর মারয়াম আ. একজন সন্তান কাঁধে নিয়ে মানুষের মধ্যে ফিরে আসে। আল্লাহ তায়ালা তাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা যে অপবাদ দেয়, তা থেকে আয়েশা রা. ও মারয়াম আ. উভয়কে পবিত্র করেন। তুমি তাদের দুজনের কার কথা জানতে চাও? এ কথা শোনে লোকটি চুপ হয়ে গেল কোন উত্তর দিতে পারল ন। এর পর তার আর কি বলার আছে?<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /></div>

ঝগড়া-বিবাদ ও তর্ক-বিতর্কঃ (পর্ব ৩)

নিন্দনীয় বিতর্কের প্রকার: নিন্দনীয় বিতর্ক ও দুই প্রকার: এক. জ্ঞানহীন ঝগড়া বিবাদ। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن ي...

Read more »

ঝগড়া-বিবাদ ও তর্ক-বিতর্কঃ (পর্ব ২)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <br /> ★ ইমাম শাফেয়ী রহ. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, কল্যাণ কামনা করা ছাড়া কখনোই কারো সাথে বিতর্ক করিনি। আর কারো সাথে এ জন্য বিতর্ক করিনি যে সে ভুল করুক।[8]<br /> <br /> আল্লাহ বলেন,<br /> <br /> ﴿وَفَوۡقَ كُلِّ ذِي عِلۡمٍ عَلِيمٞ﴾[يوسف:76]<br /> <br /> অর্থ, এবং প্রত্যেক জ্ঞানীর উপর রয়েছে একজন জ্ঞানী। [সূরা ইউসুফ: ৭৬]<br /> <br /> আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿وَلَا تَقۡفُ مَا لَيۡسَ لَكَ بِهِۦ عِلۡمٌۚ إِنَّ ٱلسَّمۡعَ وَٱلۡبَصَرَ وَٱلۡفُؤَادَ كُلُّ أُوْلَٰٓئِكَ كَانَ عَنۡهُ مَسۡ‍ُٔولٗا ٣٦﴾ [الإسراء: ٣٦]<br /> <br /> অর্থ, আর যে বিষয় তোমার জানা নাই তার অনুসরণ করো না। নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তকরণ- এদের প্রতিটির ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হবে। [সুরা ইসরা: ৩৬]<br /> <br /> ★ আবু মুহাম্মদ ইবনে হাযাম বলেন, একবার আমি আমার এক সাথীর সাথে মুনাযারা করি। তার মুখের মধ্যে তোতলামি থাকাতে আমি তার উপর বিজয় লাভ করি। আমাকে মজলিশে বিজয়ী ঘোষণা করে মজলিশ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু আমি যখন মজলিশ শেষ করে ঘরে ফিরি, তখন আমার অন্তরে সন্দেহ হলে আমি কিতাবের শরণাপন্ন হই এবং কিতাবে একটি বিশুদ্ধ প্রমাণ দেখতে পাই যা আমার প্রতিপক্ষের কথাকে বিশুদ্ধ আর আমার কথাকে বাতিল বলে প্রমাণ করে। আমার সাথে একজন সাথী ছিল যে আমাদের তর্কের মজলিসে উপস্থিত ছিল। আমি তাকে কিতাবের বিষয়টি অবহিত করলে সে বলে তুমি এখন কি করতে চাও? আমি বললাম কিতাবটি নিয়ে তার কাছে গিয়ে পেশ করবো এবং তাকে বলব তুমি সঠিক আর আমি ভুল। আর তার কথা কবুল করে নেব। সে বলল, তুমি তোমাকে হেয় করবে? আমি বললাম হা! আমি যদি এ মুহূর্তে তা করতে পারতাম তাহলে আগামীর জন্য অপেক্ষা করতাম না। তবে আমি এখনই আমার মতকে প্রত্যাখ্যান করে তার মতের দিকে ফিরে আসলাম।<br /> <br /> ★ ইবনে আব্বাস রা. এর কোন এক ছাত্র বলছিল, আমি যদি ইবনে আব্বাসের সাথে বন্ধুত্ব করতাম, তাহলে তার থেকে আরো অনেক ইলম শিখতে পারতাম।[9]<br /> <br /> ★ ইবনে জুরাইয রহ. বলেন, আমি যত কিছু আতা থেকে শিখেছি তা তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দ্বারাই শিখছি।[10]<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> বিতর্কের প্রকারভেদ<br /> <br /> বিতর্ক দুই প্রকার:<br /> <br /> এক- প্রশংসনীয় বিতর্ক।<br /> <br /> দুই- নিন্দনীয় বা মন্দ বিতর্ক।<br /> <br /> <br /> আল্লাহ বলেন,<br /> <br /> ﴿ٱدۡعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِٱلۡحِكۡمَةِ وَٱلۡمَوۡعِظَةِ ٱلۡحَسَنَةِۖ وَجَٰدِلۡهُم بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعۡلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦ وَهُوَ أَعۡلَمُ بِٱلۡمُهۡتَدِينَ﴾ [النحل:125]<br /> <br /> অর্থ, তুমি তোমরা রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রবই জানেন কে তার পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হিদায়াত প্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন। [সূরা নাহাল: ১২৫]<br /> <br /> <br /> আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿وَلَا تُجَٰدِلُوٓاْ أَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ إِلَّا بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُ إِلَّا ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْ مِنۡهُمۡۖ وَقُولُوٓاْ ءَامَنَّا بِٱلَّذِيٓ أُنزِلَ إِلَيۡنَا وَأُنزِلَ إِلَيۡكُمۡ وَإِلَٰهُنَا وَإِلَٰهُكُمۡ وَٰحِدٞ وَنَحۡنُ لَهُۥ مُسۡلِمُونَ﴾ [العنكبوت:46]<br /> <br /> অর্থ, আর তোমরা উত্তম পন্থা ছাড়া আহলে কিতাবদের সাথে বিতর্ক করো না। তবে তাদের মধ্যে ওরা ছাড়া, যারা জুলুম করেছে। আর তোমরা বল, ‘আমরা ঈমান এনেছি আমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে এবং তোমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার প্রতি এবং আমাদের ইলাহ ও তোমাদের ইলাহ তো একই। আর আমরা তাঁরই সমীপে আত্মসমর্পণকারী’। [সূরা আনকাবুত: ৪৬]<br /> <br /> নিন্দনীয় বা মন্দ ও প্রশংসনীয় বিতর্কঃ<br /> <br /> আল্লামা যাহবী রহ. বলেন, বিতর্ক যদি সত্য উদঘাটন ও সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে, তাহলে তা হবে প্রশংসনীয়। আর যদি তা সত্যকে প্রতিহত করা অথবা না জেনে করা হয়, তা হবে নিন্দনীয়।[11]<br /> <br /> আল্লামা ইবনে তাইমিয়্যাহ বলেন, যে ব্যক্তি নাস্তিক মুরতাদ ও বেদাতিদের সাথে এমন বিতর্ক না করে, যে বিতর্ক তাদের মূলোৎপাটন ও জড় কেটে দেয়, তাহলে সে ইসলামের হক আদায় করেনি এবং সে ঈমান ও ইলমের চাহিদা পূরণ করেনি। তার কথা দ্বারা তার অন্তরের তৃপ্তি ও প্রশান্তি লাভ করেনি। আর তার কথা তার ঈমান ও ইলমের কোন উপকারে আসেনি।[12]<br /> <br /> <br /> [8] দেখুন: তারিখে দেমশক ৩৮৪/৫১<br /> [9] দেখুন তারিখে দামেশক [২৯৭/২৯]<br /> [10] দেখুণ: মিফতাহুস সাআদাত [১৬৯/১]<br /> [11] আল কাবায়ের।<br /> [12] মাজমুয়ুল ফাতওয়াহ ১৬৪/২০<br /> <br /> <br /> আল-কুরআনে এ ব্যাপারেঃ<br /> <br /> যখন নূহ আ. এর কওমের লোকেরা নূহ আ. কে বলল,<br /> <br /> ﴿قَالُواْ يَٰنُوحُ قَدۡ جَٰدَلۡتَنَا فَأَكۡثَرۡتَ جِدَٰلَنَا فَأۡتِنَا بِمَا تَعِدُنَآ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ ﴾[هود:32]<br /> <br /> অর্থ, তারা বলল, ‘হে নূহ, তুমি আমাদের সাথে বাদানুবাদ করছ এবং আমাদের সাথে অতিমাত্রায় বিবাদ করেছ। অতএব যার প্রতিশ্রুতি তুমি আমাদেরকে দিচ্ছ, তা আমাদের কাছে নিয়ে আস, যদি তুমি সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও’। [সূরা হূদ: ৩২]<br /> <br /> তিনি তাদের কথার জবাব দেন এবং বলেন,<br /> <br /> ﴿قَالَ إِنَّمَا يَأۡتِيكُم بِهِ ٱللَّهُ إِن شَآءَ وَمَآ أَنتُم بِمُعۡجِزِينَ ٣٣ وَلَا يَنفَعُكُمۡ نُصۡحِيٓ إِنۡ أَرَدتُّ أَنۡ أَنصَحَ لَكُمۡ إِن كَانَ ٱللَّهُ يُرِيدُ أَن يُغۡوِيَكُمۡۚ هُوَ رَبُّكُمۡ وَإِلَيۡهِ تُرۡجَعُونَ﴾ [هود:33-34]<br /> <br /> অর্থ, সে বলল, ‘আল্লাহই তো তোমাদের কাছে তা হাজির করবেন, যদি তিনি চান। আর তোমরা তাকে অক্ষম করতে পারবে না’। ‘আর আমি তোমাদেরকে উপদেশ দিতে চাইলেও আমার উপদেশ তোমাদের কোন উপকারে আসবে না, যদি আল্লাহ তোমাদের বিভ্রান্ত করতে চান। তিনি তোমাদের রব এবং তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে’। [সূরা হুদ আয়াত: ৩৩-৩৪]<br /> <br /> আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿قَدۡ سَمِعَ ٱللَّهُ قَوۡلَ ٱلَّتِي تُجَٰدِلُكَ فِي زَوۡجِهَا وَتَشۡتَكِيٓ إِلَى ٱللَّهِ وَٱللَّهُ يَسۡمَعُ تَحَاوُرَكُمَآۚ إِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعُۢ بَصِيرٌ ﴾ [المجادلة:01]<br /> <br /> আল্লাহ অবশ্যই সে রমনীর কথা শুনেছেন যে তার স্বামীর ব্যাপারে তোমার সাথে বাদানুবাদ করছিল আর আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছিল। আল্লাহ তেমাদের কথোপকথন শোনেন। নিশ্চয় সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। [সূরা মুজাদালাহ: ০১]<br /> <br /> মন্দ বা খারাপ বিতর্ক:<br /> <br /> এমন বিতর্ক যা পরিষ্কার বাতিল অথবা বাতিলের দিকে নিয়ে যায়। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿وَمَا نُرۡسِلُ ٱلۡمُرۡسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَۚ وَيُجَٰدِلُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بِٱلۡبَٰطِلِ لِيُدۡحِضُواْ بِهِ ٱلۡحَقَّۖ وَٱتَّخَذُوٓاْ ءَايَٰتِي وَمَآ أُنذِرُواْ هُزُوٗا ﴾[الكهف:56]<br /> <br /> অর্থ, আর আমি তো রাসূলদেরকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপেই পাঠিয়েছি এবং যারা কুফরী করেছে তারা বাতিল দ্বারা তর্ক করে, যাতে তার মাধ্যমে সত্যকে মিটিয়ে দিতে পারে। আর তারা আমার আয়াতসমূহকে এবং যা দিয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, তাকে উপহাস হিসেবে গ্রহণ করে [সূরা কাহাফ: ৫৬]<br /> <br />  অর্থাৎ, যাতে তারা হককে প্রতিহত করতে পারে এবং মিথ্যা সাব্যস্ত করতে পারে। আর নিন্দনীয় বিতর্ক হল, কাফেরদের স্বভাব। আল্লাহ তায়ালা বলেন,<br /> <br /> ﴿وَمَا نُرۡسِلُ ٱلۡمُرۡسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَۚ وَيُجَٰدِلُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بِٱلۡبَٰطِلِ لِيُدۡحِضُواْ بِهِ ٱلۡحَقَّۖ وَٱتَّخَذُوٓاْ ءَايَٰتِي وَمَآ أُنذِرُواْ هُزُوٗا ﴾[الكهف:56]<br /> <br /> অর্থ, আর আমি তো রাসূলদেরকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপেই পাঠিয়েছি এবং যারা কুফরী করেছে তারা বাতিল দ্বারা তর্ক করে, যাতে তার মাধ্যমে সত্যকে মিটিয়ে দিতে পারে। আর তারা আমার আয়াতসমূহকে এবং যা দিয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, তাকে উপহাস হিসেবে গ্রহণ করে [সূরা কাহাফ: ৫৬]<br /> <br /> এ মহান আয়াত দ্বারা এ কথা স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, কাফেররা সর্বদা হককে প্রতিহত ও দূরীভূত করতে ঈমানাদরদের সাথে বিতর্ক করে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,<br /> <br /> ﴿كَذَّبَتۡ قَبۡلَهُمۡ قَوۡمُ نُوحٖ وَٱلۡأَحۡزَابُ مِنۢ بَعۡدِهِمۡۖ وَهَمَّتۡ كُلُّ أُمَّةِۢ بِرَسُولِهِمۡ لِيَأۡخُذُوهُۖ وَجَٰدَلُواْ بِٱلۡبَٰطِلِ لِيُدۡحِضُواْ بِهِ ٱلۡحَقَّ فَأَخَذۡتُهُمۡۖ فَكَيۡفَ كَانَ عِقَابِ﴾[غافر:05]<br /> <br /> অর্থ, এদের পূর্বে নূহের কওম এবং তাদের পরে অনেক দলও অস্বীকার করেছিল। প্রত্যেক উম্মতই স্ব স্ব রাসূলকে পাকড়াও করার সংকল্প করেছিল এবং সত্যকে বিদূরিত করার উদ্দেশ্যে তারা অসার বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিল। ফলে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। সুতরাং কেমন ছিল আমার আযাব! [সূরা গাফের: ০৫]<br /> <br /> অর্থাৎ তারা ঝগড়া বিবাদ ও বিতর্ক করে যাতে হককে মিটিয়ে দেয়। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,<br /> <br /> ﴿وَٱلَّذِينَ يُحَآجُّونَ فِي ٱللَّهِ مِنۢ بَعۡدِ مَا ٱسۡتُجِيبَ لَهُۥ حُجَّتُهُمۡ دَاحِضَةٌ عِندَ رَبِّهِمۡ وَعَلَيۡهِمۡ غَضَبٞ وَلَهُمۡ عَذَابٞ شَدِيدٌ ﴾[الشورى:16]<br /> <br /> আর আল্লাহর আহবানে সাড়া দেয়ার পর আল্লাহ সম্পর্কে যারা বিতর্ক করে, তাদের দলীল-প্রমাণ তাদের রবের নিকট অসার। তাদের উপর (আল্লাহর) গযব এবং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। [সূরা সুরা: ১৬]<br /> <br /> আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿مَا يُجَٰدِلُ فِيٓ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ إِلَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ فَلَا يَغۡرُرۡكَ تَقَلُّبُهُمۡ فِي ٱلۡبِلَٰدِ﴾[غافر:04]<br /> <br /> অর্থ, কাফিররাই কেবল আল্লাহর আয়াতসমূহ নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়। সুতরাং দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে ধোঁকায় না ফেলে। [সূরা গাফের: ০৪]<br /> <br /> আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿وَمِنۡهُم مَّن يَسۡتَمِعُ إِلَيۡكَۖ وَجَعَلۡنَا عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ أَكِنَّةً أَن يَفۡقَهُوهُ وَفِيٓ ءَاذَانِهِمۡ وَقۡرٗاۚ وَإِن يَرَوۡاْ كُلَّ ءَايَةٖ لَّا يُؤۡمِنُواْ بِهَاۖ حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءُوكَ يُجَٰدِلُونَكَ يَقُولُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ إِنۡ هَٰذَآ إِلَّآ أَسَٰطِيرُ ٱلۡأَوَّلِينَ ﴾[الأنعام:25]<br /> <br /> আর তাদের কেউ তোমার প্রতি কান পেতে শোনে, কিন্তু আমি তাদের অন্তরের উপর রেখে দিয়েছি আবরণ যেন তারা অনুধাবন না করে, আর তাদের কানে রেখেছি ছিপি। আর যদি তারা প্রতিটি আয়াতও দেখে, তারা তার প্রতি ঈমান আনবে না; এমনকি যখন তারা তোমার কাছে এসে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়, যারা কুফরী করেছে তারা বলে, ‘এটা পূর্ববর্তীদের কল্পকাহিনী ছাড়া কিছুই নয়।’ [সূরা আনআম: ২৫]<br /> <br /> অর্থাৎ, তুমি পূর্বেকার লোকদের থেকে গ্রহণ করছ এবং তাদের কিতাবসমূহ ও তাদের মুখ থেকে শুনে শুনে শিখছ। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,<br /> <br /> ﴿وَقَالُوٓاْ ءَأَٰلِهَتُنَا خَيۡرٌ أَمۡ هُوَۚ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلَۢاۚ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٌ خَصِمُونَ﴾[الزخرف:57]<br /> <br /> অর্থ, আর তারা বলে, আমাদের উপাস্যরা শ্রেষ্ঠ নাকি ঈসা? তারা কেবল কুটতর্কের খাতিরেই তাকে তোমার সামনে পেশ করে। বরং এরাই এক ঝগড়াটে সম্প্রদায়। [সুরা যুখরফ: ৫৭]<br /> <br /> বাতিলের উপর তারা ঝগড়া করে এবং তারা ছিল অধিক ঝগড়াটে।<br /> <br /> «عن ابن عباس قال: جاء عبد الله بن الزبعرى إلى النبي فقال: تزعم أن الله أنزل عليك هذه الآية ﴿إِنَّكُمۡ وَمَا تَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ أَنتُمۡ لَهَا وَٰرِدُونَ ٩٨ لَوۡ كَانَ هَٰٓؤُلَآءِ ءَالِهَةٗ مَّا وَرَدُوهَاۖ وَكُلّٞ فِيهَا خَٰلِدُونَ﴾  ]الأنبياء: ٩٨ [فقال ابن الزبعرى: قد عبدت الشمس والقمر والملائكة وعزير وعيسى بن مريم، كل هؤلاء في النار مع آلهتنا؟ فنزلت –﴿وَلَمَّا ضُرِبَ ٱبۡنُ مَرۡيَمَ مَثَلًا إِذَا قَوۡمُكَ مِنۡهُ يَصِدُّونَ ٥٧ وَقَالُوٓاْ ءَأَٰلِهَتُنَا خَيۡرٌ أَمۡ هُوَۚ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلَۢاۚ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٌ خَصِمُونَ ٥٨﴾ [الزخرف: ٥٧] ثم نزلت ﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ سَبَقَتۡ لَهُم مِّنَّا ٱلۡحُسۡنَىٰٓ أُوْلَٰٓئِكَ عَنۡهَا مُبۡعَدُونَ﴾ [الأنبياء: ١٠١]»<br /> <br /> আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে যুবারি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে জিজ্ঞাসা করে তুমি কি ধারণা কর যে, আল্লাহ তা‘আলা তোমার উপর এ আয়াত-<br /> <br />  ﴿إِنَّكُمۡ وَمَا تَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ أَنتُمۡ لَهَا وَٰرِدُونَ ٩٨ لَوۡ كَانَ هَٰٓؤُلَآءِ ءَالِهَةٗ مَّا وَرَدُوهَاۖ وَكُلّٞ فِيهَا خَٰلِدُونَ ﴾[الأنبياء: ٩٨ [<br /> <br /> র্অথ, নিশ্চয় তোমরা এবং আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের পূজা কর, সেগুলো তো জাহান্নামের জ্বালানী। তোমরা সেখানে প্রবেশ করবে। [সুরা আম্বিয়া: ৯৮]<br /> <br /> নাযিল করেন, ইবনে যুবারি বলেন, আমরা সূর্য্, চন্দ্র, ফেরেস্তা উযাইর ও ঈসা ইবনে মারয়ামের ইবাদত করি। তাহলে তাদের সবাই কি আমাদের ইলাহগুলোর সাথে জাহান্নামে যাবে? তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন-<br /> <br /> ﴿وَلَمَّا ضُرِبَ ٱبۡنُ مَرۡيَمَ مَثَلًا إِذَا قَوۡمُكَ مِنۡهُ يَصِدُّونَ ٥٧ وَقَالُوٓاْ ءَأَٰلِهَتُنَا خَيۡرٌ أَمۡ هُوَۚ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلَۢاۚ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٌ خَصِمُونَ ٥٨﴾ [الزخرف: ٥٧]<br /> <br /> অর্থ, আর তারা বলে, আমাদের উপাস্যরা শ্রেষ্ঠ নাকি ঈসা? তারা কেবল কুটতর্কের খাতিরেই তাকে তোমার সামনে পেশ করে। বরং এরাই এক ঝগড়াটে সম্প্রদায়। [সূরা যুখরুফ: ৫৭]<br /> <br /> তারপর আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন,<br /> <br /> ﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ سَبَقَتۡ لَهُم مِّنَّا ٱلۡحُسۡنَىٰٓ أُوْلَٰٓئِكَ عَنۡهَا مُبۡعَدُونَ ﴾[ الأنبياء: ١٠١]<br /> <br /> র্অথ, নিশ্চয় আমার পক্ষ থেকে যাদের জন্য পূর্বেই কল্যাণ নির্ধারিত রয়েছে তাদেরকে তা থেকে দূরে রাখা হবে। [সূরা আম্বিয়া: ১০১]<br /> <br /> আল্লাহ তা‘আলা তাদের কথা প্রত্যাখ্যান করেন এবং মুসলিমদের সম্বোধন করে বলেন,<br /> <br /> ﴿وَلَا تَأۡكُلُواْ مِمَّا لَمۡ يُذۡكَرِ ٱسۡمُ ٱللَّهِ عَلَيۡهِ وَإِنَّهُۥ لَفِسۡقٞۗ وَإِنَّ ٱلشَّيَٰطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰٓ أَوۡلِيَآئِهِمۡ لِيُجَٰدِلُوكُمۡۖ وَإِنۡ أَطَعۡتُمُوهُمۡ إِنَّكُمۡ لَمُشۡرِكُونَ﴾[الأنعام:121]<br /> <br /> আর তোমরা তা থেকে আহার করো না, যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়নি এবং নিশ্চয় তা সীমালঙ্ঘন এবং শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্ররোচনা দেয়, যাতে তারা তোমাদের সাথে বিবাদ করে। আর যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তবে নিশ্চয় তোমরা মুশরিক। [সূরা আনআম, আয়াত: ১২১]<br /> <br /> তাদের এ বিতর্ক সম্পর্কে আরো দেখুন হাদিসের মাধ্যমে।<br /> <br /> عن عبد الله بن عباس قال: «أتى أناس النبي صلى الله عليه وسلم فقالوا: يا رسول الله، أنأكل ما نقتل، ولا نأكل ما يقتل الله؟<br /> <br /> আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, কিছু লোক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরাবারে এসে জিজ্ঞাসা করে বলে হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যা হত্যা করি তা আমরা খাব আল্লাহ তা‘আলা যা হত্যা করে আমরা তা খাব না? তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত<br /> ﴿ فَكُلُواْ مِمَّا ذُكِرَ ٱسۡمُ ٱللَّهِ عَلَيۡهِ إِن كُنتُم بِ‍َٔايَٰتِهِۦ مُؤۡمِنِينَ<br /> থেকে নিয়ে<br /> وَإِنۡ أَطَعۡتُمُوهُمۡ إِنَّكُمۡ لَمُشۡرِكُونَ﴾<br /> পর্যন্ত নাযিল করেন।[13]<br /> <br /> রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিরাজে গিয়ে যা দেখেন, তা নিয়ে মুশরিকরা বিতর্ক করলে আল্লাহ তা‘আলা তাদের বিতর্কের বর্ণনা দিয়ে বলেন,<br /> <br /> ﴿مَا كَذَبَ ٱلۡفُؤَادُ مَا رَأَىٰٓ ١١ أَفَتُمَٰرُونَهُۥ عَلَىٰ مَا يَرَىٰ﴾ [النجم : 11-12]<br /> <br /> অর্থ, সে যা দেখেছে, অন্তঃকরণ সে সম্পর্কে মিথ্যা বলেনি। সে যা দেখেছে, সে সম্পর্কে তোমরা কি তার সাথে বিতর্ক করবে? [সূরা নাজম ১১-১২]<br /> <br /> অর্থাৎ, হে মুশরিকগণ আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব নিদর্শন দেখিয়েছেন তা তোমরা অস্বীকার করছ! এবং সন্দেহ পোষণ করছ! আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿وَإِن جَٰدَلُوكَ فَقُلِ ٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِمَا تَعۡمَلُونَ ٦٨ ٱللَّهُ يَحۡكُمُ بَيۡنَكُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ فِيمَا كُنتُمۡ فِيهِ تَخۡتَلِفُونَ﴾ [النجم:68-69]<br /> <br /> অর্থ, আর তারা যদি তোমার সাথে বাকবিতণ্ডা করে, তাহলে বল, ‘তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।’ তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ, আল্লাহ সে বিষয়ে কিয়ামতের দিন ফয়সালা করে দেবেন। [সূরা আল-হজ: ৬৮-৬৯]<br /> <br /> মুশরিকরা কুরআন বিষয়ে অনর্থক বিতর্ক করে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿مَا يُجَٰدِلُ فِيٓ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ إِلَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ فَلَا يَغۡرُرۡكَ تَقَلُّبُهُمۡ فِي ٱلۡبِلَٰدِ ﴾[غافر:04]<br /> <br /> কাফিররাই কেবল আল্লাহর আয়াতসমূহ নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়। সুতরাং দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে ধোকায় না ফেলে। [গাফের ০৪]<br /> <br /> আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,<br /> <br /> «لَا تُجَادلِوُا فِي القُرْآنِ؛ فَإنّ جِدَالا فيِهِ كُفْرٌ»<br /> <br /> অর্থ, তোমরা কুরআন বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ করো না। কারণ, কুরআন বিষয়ে বিবাদ করা কুফরি।<br /> <br /> <br /> দুর্বল-ঈমান সম্পন্ন লোকদের বিতর্ক:<br /> <br /> অনুরূপভাবে দুর্বল ঈমানদারদের পক্ষ হতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর্কের সম্মূখীন হন।<br /> <br />  আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿كَمَآ أَخۡرَجَكَ رَبُّكَ مِنۢ بَيۡتِكَ بِٱلۡحَقِّ وَإِنَّ فَرِيقٗا مِّنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ لَكَٰرِهُونَ ٥ يُجَٰدِلُونَكَ فِي ٱلۡحَقِّ بَعۡدَ مَا تَبَيَّنَ كَأَنَّمَا يُسَاقُونَ إِلَى ٱلۡمَوۡتِ وَهُمۡ يَنظُرُونَ﴾ [الأنفال:5-6]<br /> <br /> অর্থ, (এটা এমন) যেভাবে তোমার রব তোমাকে নিজ ঘর থেকে বের করেছেন যথাযথভাবে এবং নিশ্চয় মুমিনদের একটি দল তা অপছন্দ করছিল। তারা তোমার সাথে সত্য সম্পর্কে বিতর্ক করছে তা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর। যেন তাদেরকে মৃত্যুর দিকে হাঁকিয়ে নেয়া হচ্ছে, আর তারা তা দেখছে। [সূরা আনফাল: ৫-৬]<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> ﴿قَالَ قَدۡ وَقَعَ عَلَيۡكُم مِّن رَّبِّكُمۡ رِجۡسٞ وَغَضَبٌۖ أَتُجَٰدِلُونَنِي فِيٓ أَسۡمَآءٖ سَمَّيۡتُمُوهَآ أَنتُمۡ وَءَابَآؤُكُم مَّا نَزَّلَ ٱللَّهُ بِهَا مِن سُلۡطَٰنٖۚ فَٱنتَظِرُوٓاْ إِنِّي مَعَكُم مِّنَ ٱلۡمُنتَظِرِينَ﴾[الأعراف:71]<br /> <br /> সে বলল, নিশ্চয় তোমাদের উপর তোমাদের রবের পক্ষ থেকে আযাব এ ক্রোধ পতিত হয়েছে। তোমরা কি এমন নাম সমূহ সম্পর্কে আমাদের সাথে বিবাদ করছ, যার নাম করণ করছ তোমরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষরা যার ব্যাপারে আল্লাহ কোন প্রমাণ নাযিল করেননি? সুতরাং তোমরা অপেক্ষা কর। আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষা করছি [সূরা আরাফ: ৭১]<br /> <br /> <br /> আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br /> <br /> ﴿ٱلَّذِينَ يُجَٰدِلُونَ فِيٓ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ بِغَيۡرِ سُلۡطَٰنٍ أَتَىٰهُمۡۖ كَبُرَ مَقۡتًا عِندَ ٱللَّهِ وَعِندَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْۚ كَذَٰلِكَ يَطۡبَعُ ٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ قَلۡبِ مُتَكَبِّرٖ جَبَّارٖ ﴾[غافر:35]<br /> <br /> অর্থ, যারা নিজদের কাছে আগত কোন দলীল-প্রমাণ ছাড়া আল্লাহর নিদর্শনা-বলী সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়। তাদের এ কাজ আল্লাহ ও মুমিনদের দৃষ্টিতে অতিশয় ঘৃণার্হ। এভাবেই আল্লাহ প্রত্যেক অহংকারী স্বৈরাচারীর অন্তরে সীল মেরে দেন। [সূরা গাফের: ৩৫]<br /> <br /> <br /> <br /> আল্লাহ তায়ালা বলেন,<br /> <br /> ﴿ّإِنَ ٱلَّذِينَ يُجَٰدِلُونَ فِيٓ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ بِغَيۡرِ سُلۡطَٰنٍ أَتَىٰهُمۡ إِن فِي صُدُورِهِمۡ إِلَّا كِبۡرٞ مَّا هُم بِبَٰلِغِيهِۚ فَٱسۡتَعِذۡ بِٱللَّهِۖ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ﴾ [غافر:56]<br /> <br /> অর্থ, নিশ্চয় যারা তাদের নিকট আসা কোন দলীলÑ প্রমাণ ছাড়াই আল্লাহর নিদর্শনাবলী সম্পর্কে বিতর্ক করে, তাদের অন্তরসমূহে আছে কেবল অহংকার, তারা কিছুতেই সেখানে (সাফল্যের মনজিলে) পৌঁছবে না। কাজেই তুমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। [গাফের: ৫৬]<br /> <br /> <br /> আল্লাহ তায়ালা বলেন,<br /> <br /> ﴿أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ يُجَٰدِلُونَ فِيٓ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ أَنَّىٰ يُصۡرَفُونَ ﴾[غافر:69]<br /> <br /> অর্থ, তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করনি যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলী সম্পর্কে বাকবিতণ্ডা করে? তাদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে? [সূরা গাফের: ৬৯]<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /></div>

ঝগড়া-বিবাদ ও তর্ক-বিতর্কঃ (পর্ব ২)

★ ইমাম শাফেয়ী রহ. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, কল্যাণ কামনা করা ছাড়া কখনোই কারো সাথে বিতর্ক করিনি। আর কারো সাথে এ জন্য বিতর্ক করিনি যে সে ভুল ...

Read more »

সুরা নুর ৩৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নুর সম্পর্কে ইংগিতঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i>The Parable of Allah’s Nur is Nur of Muhammad (Allah bless him and give him peace)</i></b></span><br /> <br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Quran states:</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i>.</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i>اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ مَثَلُ نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌ الْمِصْبَاحُ فِي زُجَاجَةٍ الزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُوقَدُ مِن شَجَرَةٍ مُّبَارَكَةٍ زَيْتُونَةٍ لَّا شَرْقِيَّةٍ وَلَا غَرْبِيَّةٍ يَكَادُ زَيْتُهَا يُضِيءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ نُّورٌ عَلَى نُورٍ يَهْدِي اللَّهُ لِنُورِهِ مَن يَشَاءُ وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ</i></b></span><br /> <br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Allah is the Light of the heavens and the earth. The "Parable" of His Light is as if there were a Niche and within it a Lamp: the Lamp enclosed in Glass: the glass as it were a brilliant star: Lit from a blessed Tree, an Olive, neither of the east nor of the west, whose oil is well-nigh luminous, though fire scarce touched it: Light upon Light! Allah doth guide whom He will to His Light: Allah doth set forth Parables for men: and Allah doth know all things. (Quran 24:35)</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Qadhi Iyad (Rahimuhullah) explains "Parable" of Allah's Nur in detail in his maginificent work of Seerah called Ash-Shifa </i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>و قال الله تعالى : الله نور السماوات والأرض مثل نوره كمشكاة فيها مصباح المصباح في زجاجة الزجاجة كأنها كوكب دري يوقد من شجرة مباركة زيتونة لا شرقية ولا غربية يكاد زيتها يضيء ولو لم تمسسه نار نور على نور يهدي الله لنوره من يشاء ويضرب الله الأمثال للناس والله بكل شيء عليم [ سورة النور / 24 : الأية 35 ] . </i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>قال كعب ، و ابن جبير : المراد بالنور الثاني هنا محمد عليه السلام و قوله تعالى مثل نوره أي نور محمد صلى الله عليه و سلم .</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>و قال سهل بن عبد الله : المعنى : الله هادي أهل السموات و الأرض ، ثم قال : مثل نور محمد إذ كان مستودعاً في الأصلاب كمشكاة صفتها كذا ، و أراد بالمصباح قلبه ، و بالزجاجة صدره ، أي كأنه كوكب دري لما فيه من الإيمان و الحكمة يوقد من شجرة مباركة أي من نور إبراهيم . و ضرب المثل بالشجرة المباركة و قوله : يكاد زيتها يضيء أي تكاد نبوة محمد صلى الله عليه و سلم تبين للناس قبل كلامه كهذا الزيت </i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>و قيل في هذه الآية غير هذا . و الله أعلم </i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i>و قد سماه الله تعالى في القرآن في غير هذا الموضع نوراً و سراجاً منيراً ، فقال تعالى : قد جاءكم من الله نور وكتاب مبين [ سورة المائدة / 5 : الآية 15] </i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i>و قال تعالى : إنا أرسلناك شاهدا ومبشرا ونذيرا * وداعيا إلى الله بإذنه وسراجا منيرا [ سورة الأحزاب / 33 : الأية 45 ـ 46 ]</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Translation: Allah says: Allah is the light of the heavens and the earth; a likeness of His light is as a niche in which is a lamp, the lamp is in a glass, (and) the glass is as it were a brightly shining star, lit from a blessed olive-tree, neither eastern nor western, the oil whereof almost gives light though fire touch it not-- light upon light-- Allah guides to His light whom He pleases, and Allah sets forth parables for men, and Allah is Cognizant of all things.(Surah Nur, 24. Ayah 35)</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Ka’b al-Ahbar (ra) and Ibn Jubayr (ra) said: By the second light He means Muhammad (Peace be upon him).Allah said “The Likness of his light” this refers to the Nur of Muhammad (صلى الله عليه وسلم)</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Sahl bin Abdullah (ra) said that it means that Allah is the “guide” of creation in heavens and the earth, he then said:Like the Light of Muhammad (Peace be upon him) when it is lodged in the loins (of his forefathers) like a niche. By the Lamp he means his heart. The glass is his breast. It is as if it were a glittering star because of the belief and wisdom it contains, kindled from a blessed tree, i.e. from the light of Ibrahim (a.s). He makes a comparison with the blessed tree and He says: “Its oil would nearly shine” i.e. Muhammad (salallaho alaihi wasalam)’s prophecy is evident to the people even before he speaks just like the oil.</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i></i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i>A lot more is said about this ayat, and Allah knows the best about it, elsewhere in the Quran Allah calls his Prophet (salallaho alaihi wasalam) a Light and a LIGHT GIVING LAMP. He says: “A Light and a clear book have come to you from Allah (5:15), Allah also says: “We sent you as a witness, a barrier or glad tidings and a warner, one who calls to Allah with his permission and a Light-giving Lamp (33:46)</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Reference</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>►Ash-Shifa bi Tarif al Haquq al Mustafa, Page No. 6</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Imam Ibn Kathir (Rahimuhullah) says under this ayah</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>وقال شمر بن عطية: جاء ابن عباس إلى كعب الأحبار فقال: حدثني عن قول الله تعالى: { يَكَادُ زَيْتُهَا يُضِىۤءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ } قال: يكاد محمد صلى الله عليه وسلم يبين للناس، ولو لم يتكلم أنه نبي؛ كما يكاد ذلك الزيت أن يضيء</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Translation: Ibn Abbas (ra) went to Ka’b al-Ahbar (ra) and asked him to explain the Allah's saying:  {whose oil is well-nigh luminous}, Ka'b (ra)  said: It is an (example of) Muhammad (صلى الله عليه وسلم) i.e. He is evident to people as Prophet even if he had not declared his Nubuwah, just like the olive oil glows even without being lit</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Reference</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>►Tafsir Ibn Kathir, Volume No.3, Page No. 490, under 24:35</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Imam al-Baghwi (Rahimuhullah) explains:</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>فقال بعضهم: وقع هذا التمثل لنور محمد صلى الله عليه وسلم، قال ابن عباس لكعب الأحبار: أخبرني عن قوله تعالى: { مَثَلُ نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ } فقال كعب: هذا مثل ضربه الله لنبيه صلى الله عليه وسلم، فالمشكاة صدره، والزجاجة قلبه، والمصباح فيه النبوة، توقد من شجرة مباركة هي شجرة النبوة، يكاد نور محمد وأمره يتبين للناس ولو لم يتكلم أنه نبي كما يكاد ذلك الزيت يضيء ولو لم تمسسه نار.</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Translation: Some (scholars) said: This similitude refers to Nur of Muhammad (salallaho alaihi wasalam), Ibn Abbas (ra) asked Kab al-Ahbar (ra) to explain Similitude of Nur, at which he replied: Allah has mentioned his Prophet (Peace be upon him) as a parable in this ayah, Mishkat refers to the chest of Prophet (saw), Glass refers to his heart, and Misbah refers to his Nabuwah and the wording “whose oil is well-nigh luminous” means that even if Prophet (صلى الله عليه وسلم) had not declared himself a Prophet still his Nur would have glowed proving to people that he is a Nabi</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Reference</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>►Ma’lim at Tanzil by Imam Baghawi, Under 24:35</i></b></span><br /> <br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Imam Ibn Jarir at-Tabri (rah) explains Similitude of Allah’s Nur as: </i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>جاء ابن عبـاس إلـى كعب الأحبـار، فقال له: حدثنـي عن قول الله: { مَثَلُ نُورِهِ كمِشْكاةٍ } قال: الـمشكاة وهي الكَوّة، ضربها الله مثلاً لـمـحمد صلى الله عليه وسلم، الـمِشكاة { فِـيها مِصْبـاحٌ الـمِصْبـاحُ } قلبه { فِـي زُجاجَةٍ الزُّجاجَةُ } صدره الزجاجة { كأنَّها كَوْكَبٌ دُرِّيّ } شبه صدر النبـيّ صلى الله عليه وسلم بـالكوكب الدريّ، </i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i>….</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i>، { يَكادُ زَيْتُها يُضِىءُ } يكاد مـحمد يبـين للناس وإن لـم يتكلـم أنه نبـيّ، كما يكاد ذلك الزيت يضيء</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Translation: Ibn Abbas (ra) presents the explanation of Kab al-Ahbar (ra) as: {The parable of his light is as there were a niche} Niche here refers to a lantern, this example which Allah has given is of Muhammad (صلى الله عليه وسلم) that he is a Lantern which contains light, {And within it a lamp} meaning his heart{and lamp enclosed in a glass} meaning his chest { the glass as it were a brilliant star}The chest of Prophet (صلى الله عليه وسلم) is explained through parable of glowing star…. { whose oil is well-nigh luminous} means that even if Prophet (saw)had not declared himself a Prophet (صلى الله عليه وسلم) still his (Nur) would have glowed proving to people that he is a Nabi</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Reference</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>►Tafsir at-Tabri, under 24:35</i></b></span><br /> <br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Hadrat Abdullah Ibn Abbas (RA) explaines the “Parable” of Allah’s Nur as:</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>مثل نوره نور محمد صلى الله عليه وسلم في أصلاب آبائه على هذا الوصف إلى</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Translation: The Parable of Allah’s Nur is Nur of Muhammad (Salallaho alaihi wasalam) which was present in the loins of his forefathers [Reference:Tanwir al Miqbas, Min Tafsir Ibn Abbas, Page No. 376, Published by Maktaba al Asriyyah, Beirut, Lebanon]</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Continuing the Tafsir: It is also said that the verse means: the likeness of the light of Muhammad in the loins of his forefathers is like this, up to Allah's saying (… kindled from a blessed tree). He says: the light of Muhammad in Abraham was an upright religion (olive tree), and Abraham was neither Jew nor Christian (neither of the East nor of the West), the works of Abraham would almost glow forth in the loins of his forefathers like this (would almost glow forth (of itself)), up until Allah's saying (kindled from a blessed tree) He says: as if it is the light of Muhammad (pbuh) and if Abraham was not a prophet, he would still have this light (though no fire touched it); it is also said that the latter passage means: Had Allah not honored Abraham, he would not have had this light; it is also said: if Allah had not honored His believing servant with this light, he would not have had it.</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Please note: Tanwir al Miqbas is only quoted to provide a corroborating reference</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Imam Suyuti said in al-Riyad al-aniqa: Ibn Jubayr and Ka`b al-Ahbar said:</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>"What is meant by the second light is the Prophet because he is the Messenger and the Expositor and the Conveyor from Allah of what is enlightening and manifest." Ka`b said: "Its oil well nigh would shine because the Prophet </i></b></span><br /> <br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i>well nigh would be known to the people even if he did not say that he was a Prophet, just as that oil would send forth light without a fire."</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>Among those who said that the meaning of " مَثَلُ نُورِهِ" -- the likeness of His Light -- is the Prophet Muhammad, upon him blessings and peace:</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>►Ibn Jarir al-Tabari in his Tafsir (18:95),</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>►Suyuti in al-Durr al-manthur (5:49),</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>►Zarqani in Sharh al-mawahib (3:171),</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>►al-Khafaji in Nasim al-riyad (1:110, 2:449),</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>►al-Nisaburi in Ghara'ib al-Qur'an (18:93) said: "The Prophet is a light and a light-giving lamp."</i></b></span><br /> <span style="color: #7f6000;"><b><i><br /></i></b></span> <span style="color: #7f6000;"><b><i>►al-Qari in Sharh al-shifa' said: "The most apparent meaning is to say that what is meant by the light is Muhammad."</i></b></span><br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> </div>

সুরা নুর ৩৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নুর সম্পর্কে ইংগিতঃ

The Parable of Allah’s Nur is Nur of Muhammad (Allah bless him and give him peace) Quran states: . اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأ...

Read more »

ঝগড়া-বিবাদ ও তর্ক-বিতর্কঃ (পর্ব ১)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <b></b><br /> <div> <b><span style="color: #cc0000;">ঝগড়া বিবাদ বলতে আমরা কি বুঝি?</span></b></div> <b></b><br /> <div style="color: #0b5394;"> <b><br /></b></div> <b><span style="color: #351c75;"><br /></span></b> <br /> <div style="color: #0b5394;"> <b>এ বিষয়ে আরবীতে দুটি শব্দ ব্যবহার হয়েছে। এক হল, জিদাল আর দ্বিতীয় হল, মিরা।</b></div> <b> </b> <br /> <div style="color: #0b5394;"> <b><br /></b></div> <b> </b> <div style="color: #0b5394;"> <b>জিদাল: এর অর্থ হল, ঝগড়া করা ও কথা কাটাকাটি করা। অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করা নিজের কথা সত্য প্রমাণ করা জন্য। এটি হল, প্রতিপক্ষের সাথে ঝগড়া করা।</b></div> <b> <div style="color: #0b5394;"> <br /></div> <div style="color: #0b5394;"> মুজাদালাহ: এর অর্থ হল, বিতর্ক করা তবে সত্য বা সঠিককে প্রকাশ করার জন্য নয়, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য।</div> <div style="color: #0b5394;"> <br /></div> <div style="color: #0b5394;"> আল্লামা যাজ্জাজ রহ. বলেন, জিদাল অর্থ, উচ্চ পর্যায়ের ঝগড়া ও বিতর্ক।</div> <div style="color: #0b5394;"> <br /></div> <div style="color: #0b5394;"> আল্লামা কুরতবী বলেন, কোন কথাকে শক্তিশালী দলীল দ্বারা প্রতিহত করা।</div> <div style="color: #0b5394;"> <br /></div> <div style="color: #0b5394;"> আর মিরা’ শব্দের অর্থ: কেউ কেউ বলেন, জিদাল। যেমন, আল্লামা তাবারী দুটির অর্থ এক বলেছেন। আবার কেউ কেউ বলেন, মিরা’ অর্থ হল, অপরের কথার মধ্যে অপব্যাখ্যা করা। প্রতিপক্ষকে হেয় করা ছাড়া কোন সৎ উদ্দেশ্য থাকে না।</div> <div style="color: #0b5394;"> <br /></div> <div style="color: #0b5394;"> কেউ কেউ বলেন, মিরা’ হল, বাতিলকে সাব্যস্ত করার জন্য আর জিদাল কখনো বাতিলকে সাব্যস্ত করা ও না করা উভয়ের জন্য হয়ে থাকেন।</div> <div style="color: #0b5394;"> <br /></div> <div style="color: #0b5394;"> জিদাল ও মিরা’ উভয়ের মধ্যে প্রার্থক্য:</div> <div style="color: #0b5394;"> <br /></div> <div style="color: #0b5394;"> অনেকে বলেন, উভয় শব্দের অর্থ এক। তবে মিরা’ হলো নিন্দনীয় বিতর্ক। কারণ, এটি হল, হক প্রকাশ পাওয়ার পরও তা নিয়ে অনর্থক বিতর্ক করা। তবে জিদাল এ রকম নয়।</div> <div style="color: #0b5394;"> <br /></div> <div style="color: #0b5394;"> <br /></div> <div style="color: #0b5394;"> কুরআন নিয়ে জিদাল করার অর্থ</div> <div style="color: #0b5394;"> <br /></div> <div style="color: #0b5394;"> عن أبي هريرة عن النبي قال «المِرَاءُ فِي القُرْآنِ كُفْرٌ»</div> <div style="color: #0b5394;"> <br /></div> <div style="color: #0b5394;"> অর্থ, আবু হুরাইরা রা, হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কুরআন নিয়ে ঝগড়া কুফরী।[1]</div> <div style="color: #0b5394;"> <br /></div> <div style="color: #0b5394;"> <div> <br /></div> <div> জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,</div> <div> <br /></div> <div>  «اقْرَؤُواالقُرْآنَ مَا ائْتَلَفَتْ قُلُوبُكُمْ، فَإذَِا اخْتَلَفْتُمْ فَقُومُوا عَنْهُ»</div> <div> <br /></div> <div> অর্থ, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের মনোযোগ থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা কুরআন তিলাওয়াত কর। আর যখন তোমাদের অন্তর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন তোমরা কুরআন পড়া ছেড়ে দাও।[2]</div> </div> <div style="color: #0b5394;"> <br /></div> <div style="color: #0b5394;"> ওমর রা. বলেন, এমন কতক লোকের আগমন ঘটবে যারা কুরআনের সংশয়যুক্ত আয়াত নিয়ে তোমাদের সাথে বিবাদ করবে। তোমরা সুন্নাতের মাধ্যমে তাদের প্রতিহত কর। কারণ, যারা সুন্নাত বিষয়ে অভিজ্ঞ তারা আল্লাহর কিতাব বিষয়ে অধিক জ্ঞান রাখে।[3]</div> <div style="color: #0b5394;"> <br /></div> <div> <span style="color: red;">ঝগড়া-বিবাদ মানুষের স্বভাবের সাথে আঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িতঃ</span></div> <div> <span style="color: #660000;"><br /></span></div> <div> <div style="color: #660000;"> আল্লাহ তা‘আলা বলেন,</div> <div style="color: #660000;"> <br /></div> <div style="color: #660000;"> ﴿وَلَقَدۡ صَرَّفۡنَا فِي هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٖۚ وَكَانَ ٱلۡإِنسَٰنُ أَكۡثَرَ شَيۡءٖ جَدَلٗا﴾ [الكهف:54]</div> <div style="color: #660000;"> <br /></div> <div style="color: #660000;"> অর্থ, আর আমি এই কুরআনে মানুষের জন্য সকল প্রকার উপমা বিস্তারিত বর্ণনা করেছি। আর মানুষ সবচেয়ে বেশি তর্ককারী। [সূরা কাহাফ- আয়াত: ৫৪]</div> <div style="color: #660000;"> <br /></div> <div style="color: #660000;"> অর্থাৎ, সবচেয়ে অধিক ঝগড়া-কারী ও প্রতিবাদী; সে সত্যের পতি নমনীয় হয় না এবং কোন উপদেশ-কারীর উপদেশে সে কর্ণপাত করে না।[4]</div> <div style="color: #660000;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <b><span style="color: red;"><br /></span></b></div> </div> </div> <br /> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <b><span style="color: red;">কাফিরদের ত</span></b></div> </div> </div> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <b><b><b><span style="color: red;">র্ক-বিতর্কঃ</span></b></b></b></div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> <b> </b></div> <div style="color: #660000;"> <br /></div> <div> <div style="color: #660000;"> রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কাফেরদের নিকট রিসালাতের দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করার পর কাফেরদের বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,</div> <div style="color: #660000;"> <br /></div> <div style="color: #660000;"> ﴿فَإِنَّمَا يَسَّرۡنَٰهُ بِلِسَانِكَ لِتُبَشِّرَ بِهِ ٱلۡمُتَّقِينَ وَتُنذِرَ بِهِۦ قَوۡمٗا لُّدّٗا﴾[مريم:97]</div> <div style="color: #660000;"> <br /></div> <div style="color: #660000;"> অর্থ, আর আমি তো তোমার ভাষায় কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি, যাতে তুমি এর দ্বারা মুত্তাকীদেরকে সুসংবাদ দিতে পার এবং কলহপ্রিয় কওমকে তাদ্বারা সতর্ক করতে পার। [সূরা মারয়াম: আয়াত: ৯৭]</div> <div style="color: #660000;"> <br /></div> <div style="color: #660000;"> এখানে লুদ দ্বারা উদ্দেশ্য হল, অনর্থক ও অন্যায়ভাবে ঝগড়া-কারী যে সত্যকে গ্রহণ করতে পারে না। আল্লাহ তা‘আলা আহলে বাতিল সম্পর্কে আরো বলেন,</div> <div style="color: #660000;"> <br /></div> <div style="color: #660000;">  ﴿وَقَالُوٓاْ ءَأَٰلِهَتُنَا خَيۡرٌ أَمۡ هُوَۚ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلَۢاۚ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٌ خَصِمُون﴾[الزخرف:58]</div> <div style="color: #660000;"> <br /></div> <div style="color: #660000;"> অর্থ, আর তারা বলে, ‘আমাদের উপাস্যরা শ্রেষ্ঠ নাকি ঈসা’? তারা কেবল কূটতর্কের খাতিরেই তাকে তোমার সামনে পেশ করে। বরং এরাই এক ঝগড়াটে সম্প্রদায়। [সূরা যুখরফ: ৫৮] অর্থাৎ, ঝগড়ায় তারা পারদর্শী।</div> <div style="color: #660000;"> <br /></div> <div> <span style="color: red;">রাসুল (</span><b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b><b><b><span style="color: red;">সাঃ) </span></b></b><b></b></b></div> <b> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <b><b><b><b><span style="color: red;">এর সত</span></b></b></b></b></div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> <b><div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <b><b><b><span style="color: red;">র্কবানীঃ</span></b></b></b></div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </b></b></div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> <br /> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <b><b><b> </b></b></b></div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> <br /> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> <b> </b></div> <div> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <span style="color: red;"><br /></span></div> </div> </div> <div> <div> <span style="color: #660000;">রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে সালমা রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন তার স্বীয় ঘরের দরজায় ঝগড়ার আওয়াজ শুনতে পেয়ে ঘর থেকে বের হলেন। তারপর তিনি তাদের বললেন,</span></div> <div> <span style="color: #660000;"><br /></span></div> <div> <span style="color: #660000;">«إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ، وَإِنَّهُ يَأْتِينِي الخَصْمُ، فَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَبْلَغَ مِنْ بَعْضٍ؛ فَأَحْسَبُ أَنَّهُ صَدَقَ، فَأَقْضِيَ لَهُ بِذَلِكَ، فَمَنْ قَضَيْتُ لَهُ بِحَقِّ مُسْلِمٍ فَإِنَّمَا هِيَ قِطْعَةٌ مِنَ الناَّرِ، فَلْيأَخُذْهَا أَوْ فَلْيتْرُكْهَا»</span></div> <div> <span style="color: #660000;"><br /></span></div> <div> <span style="color: #660000;">অর্থ, অবশ্যই আমি একজন মানুষ। আর আমার নিকট অনেক বিচার ফায়সালা এসে থাকে। আমি দেখতে পাই অনেক এমন আছে যারা বিতর্কে তার প্রতিপক্ষের চেয়ে অধিক পারদর্শী। তখন তার কথার পেক্ষাপটে আমার কাছে মনে হয় সে সত্যবাদী। ফলে আমি তার পক্ষে ফায়সালা করে থাকি। তবে আমি যদি কোন মুসলিম ভাইয়ের হককে কারো জন্য ফায়সালা করে দিই, মনে রাখবে, তা হল আগুনের একটি খণ্ড! চাই সে তা গ্রহণ করুক অথবা ছেড়ে যাক।[6]</span></div> </div> </div> </div> <div> <span style="color: #660000;"><br /></span></div> <div> <div> <span style="color: #cc0000;">মানুষের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ করার এ গুণটি কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে এমনকি কিয়ামত কায়েম হওয়ার পরেও মানুষের মধ্যে ঝগড়া করার গুণটি অবশিষ্ট থাকে।</span></div> <div> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <div> <span style="color: #38761d;">আল্লাহ তা‘আলা বলেন,</span></div> <div> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <div> <span style="color: #38761d;">﴿يَوۡمَ تَأۡتِي كُلُّ نَفۡسٖ تُجَٰدِلُ عَن نَّفۡسِهَا وَتُوَفَّىٰ كُلُّ نَفۡسٖ مَّا عَمِلَتۡ وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُونَ﴾[النحل:111]</span></div> <div> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <div> <span style="color: #38761d;">অর্থ, (স্মরণ কর সে দিনের কথা) যেদিন প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের পক্ষে যুক্তি-তর্ক নিয়ে উপস্থিত হবে এবং প্রত্যেককে ব্যক্তি সে যা আমল করেছে তা পরি পূর্ণরূপে দেয়া হবে এবং তাদের প্রতি জুলম করা হবে না। [সূরা নাহাল: ১১১]</span></div> </div> <div> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <div> <span style="color: #38761d;"></span><br /> <div> <span style="color: #38761d;">অর্থাৎ, দুনিয়াতে সে যা করেছে, সে বিষয়ে সে ঝগড়া-বিবাদ করবে এবং প্রমাণ পেশ করবে। আর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চেষ্টা করবে।</span></div> <span style="color: #38761d;"> </span> <br /> <div style="color: #38761d;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <span style="color: #38761d;"> </span> <br /> <div style="color: #38761d;"> <span style="color: #38761d;"> «وعن أنس بن مالك قال: كنا عند رسول الله فضحك فقال: هَلْ تَدْرُونَ مِمَّ أضَحَكُ ؟ قال: قلنا: الله ورسوله أعلم. قال: مِنْ مخُاَطَبةَِ العَبدِْ رَبَّهُ، يَقُولُ: يَا رَبِّ، ألَمَ تجُرْنِي مِنَ الظلمِ؟ قَالَ: يَقُولُ: بَلَى. قَالَ: فَيقُولُ: فَإنِّي لَا أُجِيزُ عَلَى نَفْسِي إلِّا شَاهِداً مِنيِّ. قَالَ: فَيَقُولُ: كَفَى بنفسِكَ اليَوْمَ عَلَيْكَ شَهِيداً، وَبالكرامِ الكَاتبِيِنَ شُهُوداً. قَالَ:  فَيُخْتَمُ عَلَى فيِهِ، فَيُقَالُ لِأرْكَانهِ: انْطقِي. قَالَ: فَتَنْطقُ بأَعْمَالهِ. قَالَ: ثُمَّ يُخَلَّى بَيْنَهُ وَبَيْنَ الكَلَامِ، قَالَ: فَيَقُولُ: بُعْداً لَكُنَّ وَسُحْقاً، فَعَنْكُنَّ كُنْتُ أُنَاضِل»</span></div> <span style="color: #38761d;"> </span> <br /> <div style="color: #38761d;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <span style="color: #38761d;"> </span> <div style="color: #38761d;"> <span style="color: #38761d;">অর্থ, আনাস বিন মালেক রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি হাসি দিলেন। তারপর তিনি আমাদের বললেন, তোমরা কি জান আমি কি কারণে হাসলাম? আনাস রা. বলেন, আমরা বললাম আল্লাহ ও তার রাসূ্লই ভালো জানেন। বান্দা তার রবকে সম্বোধন করে যে কথা বলবে, তার কথা স্মরণ করে আমি হাসছি! সে বলবে, হে আমার রব তুমি আমাকে জুলুম থেকে মুক্তি দেবে না। তখন আল্লাহ বলবে অবশ্যই! তখন বান্দা বলবে আমি আমার পক্ষে মাত্র একজন সাক্ষী উপস্থিত করবো আল্লাহ বলবে আজকের দিন তোমার জন্য কিরামান কাতেবীনের অসংখ্য সাক্ষীর বিপরীতে একজন সাক্ষীই যথেষ্ট। তারপর আল্লাহ তা‘আলা তার মুখের মধ্যে তালা দিয়ে দিবে এবং তার অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে বলা হবে, তোমরা কথা বল! তখন প্রতিটি অঙ্গ তার কর্ম সম্পর্কে বলবে। তারপর তাকে তার কথা মাঝে ছেড়ে দেয়া হবে। তখন সে তাদের বলবে তোমাদের জন্য ধ্বংস! আমি তোমাদের জন্যই বিতর্ক ও বিবাদ করছি![7] </span></div> <span style="color: #38761d;"> <div style="color: #38761d;"> <div style="color: #38761d;"> <br /></div> <br /> [1] আবু দাউদ [৪৬০৩]<br /> [2] বুখারি: ৫০৬০<br /> [3] দারমী [১১৯]<br /> [4] তাফসীরে কুরতবী [ ২৪১/৮ ]<br /> [5] বুখারি [৪৪১৮] মুসলিম [২৭৬৯]<br /> [6] বুখারি: ৪৪১৮ মুসলিম: ২৭৬৯<br /> [7] মুসলিম: ৬৯৬৯<br /> <br /> <div style="color: #38761d;"> <br /></div> <div style="color: #38761d;"> <br /></div> </div> <div style="color: #38761d;"> আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন কাফেরদের ঝগড়ার বিবরণ দিয়ে বলেন,</div> <div style="color: #38761d;"> <br /></div> <div style="color: #38761d;"> ﴿وَيَوۡمَ نَحۡشُرُهُمۡ جَمِيعٗا ثُمَّ نَقُولُ لِلَّذِينَ أَشۡرَكُوٓاْ أَيۡنَ شُرَكَآؤُكُمُ ٱلَّذِينَ كُنتُمۡ تَزۡعُمُونَ ٢٢ ثُمَّ لَمۡ تَكُن فِتۡنَتُهُمۡ إِلَّآ أَن قَالُواْ وَٱللَّهِ رَبِّنَا مَا كُنَّا مُشۡرِكِينَ ٢٣ ٱنظُرۡ كَيۡفَ كَذَبُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡۚ وَضَلَّ عَنۡهُم مَّا كَانُواْ يَفۡتَرُونَ ٢٤ ﴾[الأنعام:22-23]</div> <div style="color: #38761d;"> <br /></div> <div style="color: #38761d;"> অর্থ, আর যেদিন আমি তাদের সকলকে সমবেত করব তারপর যারা শিরক করেছে তাদেরকে বলব, ‘তোমাদের শরীকরা কোথায়, যাদেরকে তোমরা (শরীক) মনে করতে?’ অতঃপর তাদের পরীক্ষার জবাব শুধু এ হবে যে, তারপর তারা বলবে, ‘আমাদের রব আল্লাহর কসম! আমরা মুশরিক ছিলাম না’। দেখ, তারা কীভাবে মিথ্যা বলেছে নিজদের উপর, তারা যে মিথ্যা রটনা করত, তা তাদের থেকে হারিয়ে গেল। [সূরা আনআম ২২-২৪]</div> <div style="color: #38761d;"> <br /></div> <div style="color: #38761d;"> «وعن أبي سعيد قال: قال رسول الله يجَيِءُ نُوحٌ وَأُمَّتهُ، فَيقولُ الله تَعَالَى: هَلْ بَلَّغْتَ؟ فَيقولُ: نَعمْ، أَيْ رَبِّ . فَيقُولُ لِأمتهِ: هَلْ بَلَّغَكُمْ؟ فَيقُولوُنَ: لَا، مَا جَاءَنَا مِنْ نَبيِ. فَيقَولُ لنوح: منْ يَشْهَدُ لكَ؟ فَيقولُ: مُحَمَّدٌ وَأُمَّتُهُ. فَنَشْهَدُ أَنَّهُ قَدْ بَلَّغَ، وَهُوَ قَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ ﴿وَكَذَٰلِكَ جَعَلۡنَٰكُمۡ أُمَّةٗ وَسَطٗا لِّتَكُونُواْ شُهَدَآءَ عَلَى ٱلنَّاسِ وَيَكُونَ ٱلرَّسُولُ عَلَيۡكُمۡ شَهِيدٗاۗ﴾ »</div> <div style="color: #38761d;"> <br /></div> <div style="color: #38761d;"> আবু সাঈদ খুদরী রা. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নূহ আ. ও তার উম্মতরা আল্লাহর দরবারে আসবে তখন আল্লাহ তা‘আলা নুহকে জিজ্ঞাসা করবে তুমি তাদের দাওয়াত দিয়েছ? বলবে হা হে আমার রব! তারপর উম্মতদের জিজ্ঞাসা করা হবে তোমাদের নিকট কি দাওয়াত দিয়েছে? তার বলবে না হে আমাদের প্রভু! আমাদের নিকট কোন নবী আসেনি। তখন আল্লাহ তা‘আলা নূহ আ. কে বলবে হে নূহ, তোমার পক্ষে কে সাক্ষ্য দেবে? তখন সে বলবে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার উম্মতেরা। তারপর আমরা সাক্ষী দেব যে, সে তার উম্মতদের পৌঁছিয়েছে। আর তা হল, আল্লাহ তা‘আলার বাণী:</div> <div style="color: #38761d;"> <br /></div> <div style="color: #38761d;"> ﴿وَكَذَٰلِكَ جَعَلۡنَٰكُمۡ أُمَّةٗ وَسَطٗا لِّتَكُونُواْ شُهَدَآءَ عَلَى ٱلنَّاسِ وَيَكُونَ ٱلرَّسُولُ عَلَيۡكُمۡ شَهِيدٗاۗ﴾[البقرة:143]</div> <div style="color: #38761d;"> <br /></div> <div> <div style="color: #38761d;"> র্অথ, আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী উম্মত বানিয়েছি, যাতে তোমরা মানুষের উপর সাক্ষী হও এবং রাসূল সাক্ষী হন তোমাদের উপর। [সূরা বাকারাহ ১৪৩]</div> <div style="color: #38761d;"> <br /></div> <div style="color: #38761d;"> <div style="color: #38761d;"> <span style="color: #cc0000;">আহ</span><b></b></div> <div style="display: inline !important;"> <b><span style="color: #38761d;"></span></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <div style="color: #38761d;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <b><span style="color: #38761d;"><b><span style="color: #38761d;"><b><span style="color: #38761d;"><span style="color: #cc0000;">লে কিতাবীদের তর্ক-বিতর্ক ও সত্য অস্বীকার সম্পর্কেঃ</span></span></b></span></b></span></b></div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> <b><span style="color: #38761d;"> </span></b></div> <br /> <div style="color: #38761d;"> <b></b></div> <div style="display: inline !important;"> <b><span style="color: #38761d;"></span></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <div style="color: #38761d;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <b><span style="color: #38761d;"><b><span style="color: #38761d;"><b><span style="color: #38761d;"><span style="color: #cc0000;"><br /></span></span></b></span></b></span></b></div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> <b><span style="color: #38761d;"> </span></b></div> <br /> <b></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <b><span style="color: #38761d;"></span></b><br /> <div style="display: inline !important;"> <div style="color: #38761d;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <div style="display: inline !important;"> <b><span style="color: #38761d;"><b><span style="color: #38761d;"><b><span style="color: #38761d;"><span style="color: #cc0000;">সূরা আলে-ইমরান: ৬৫ </span></span></b></span></b></span></b></div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> <b><span style="color: #38761d;"> </span></b></div> <div style="display: inline !important;"> <span style="color: #cc0000;"></span><br /> <div style="display: inline !important;"> <div style="color: #38761d;"> <span style="color: #cc0000;">থেকে ৭২ নং আয়াত</span></div> </div> <span style="color: #cc0000;"> </span></div> <br /> <div style="display: inline !important;"> <b style="color: #38761d;"><span style="color: #38761d;"> </span></b> <div style="color: #38761d;"> </div> </div> </div> <div style="display: inline !important;"> <b style="color: #38761d;"><span style="color: #38761d;"> </span></b> <br /> <div style="color: #38761d;"> </div> </div> <div style="color: #38761d;"> <br /></div> <div style="color: #38761d;"> </div> <div style="display: inline !important;"> <span style="color: #674ea7;"> </span></div> </div> <div style="color: #38761d;"> <br /> <span style="color: purple;"> أَهْلَ الْكِتَابِ لِمَ تُحَآجُّونَ فِي إِبْرَاهِيمَ وَمَا أُنزِلَتِ التَّورَاةُ وَالإنجِيلُ إِلاَّ مِن بَعْدِهِ أَفَلاَ تَعْقِلُونَ </span><br /> <span style="color: purple;">65</span><br /> <span style="color: purple;"><br /></span> <span style="color: purple;">হে আহলে কিতাবগণ! কেন তোমরা ইব্রাহীমের বিষয়ে বাদানুবাদ কর? অথচ তওরাত ও ইঞ্জিল তাঁর পরেই নাযিল হয়েছে। তোমরা কি বুঝ না? </span><br /> <span style="color: purple;">هَاأَنتُمْ هَؤُلاء حَاجَجْتُمْ فِيمَا لَكُم بِهِ عِلمٌ فَلِمَ تُحَآجُّونَ فِيمَا لَيْسَ لَكُم بِهِ عِلْمٌ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ </span><br /> <span style="color: purple;">66</span><br /> <span style="color: purple;"><br /></span> <span style="color: purple;">শোন! ইতিপূর্বে তোমরা যে বিষয়ে কিছু জানতে, তাই নিয়ে বিবাদ করতে। এখন আবার যে বিষয়ে তোমরা কিছুই জান না, সে বিষয়ে কেন বিবাদ করছ? </span><br /> <span style="color: purple;">مَا كَانَ إِبْرَاهِيمُ يَهُودِيًّا وَلاَ نَصْرَانِيًّا وَلَكِن كَانَ حَنِيفًا مُّسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ </span><br /> <span style="color: purple;">67</span><br /> <span style="color: purple;"><br /></span> <span style="color: purple;">ইব্রাহীম ইহুদী ছিলেন না এবং নাসারাও ছিলেন না, কিক্তু তিনি ছিলেন ‘হানীফ’ অর্থাৎ, সব মিথ্যা ধর্মের প্রতি বিমুখ এবং আত্নসমর্পণকারী, এবং তিনি মুশরিক ছিলেন না। </span><br /> <span style="color: purple;">إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِإِبْرَاهِيمَ لَلَّذِينَ اتَّبَعُوهُ وَهَـذَا النَّبِيُّ وَالَّذِينَ آمَنُواْ وَاللّهُ وَلِيُّ الْمُؤْمِنِينَ </span><br /> <span style="color: purple;">68</span><br /> <span style="color: purple;"><br /></span> <span style="color: purple;">মানুষদের মধ্যে যারা ইব্রাহীমের অনুসরণ করেছিল, তারা, আর এই নবী এবং যারা এ নবীর প্রতি ঈমান এনেছে তারা ইব্রাহীমের ঘনিষ্ঠতম-আর আল্লাহ হচ্ছেন মুমিনদের বন্ধু। </span><br /> <span style="color: purple;"><br /></span> <span style="color: purple;">وَدَّت طَّآئِفَةٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يُضِلُّونَكُمْ وَمَا يُضِلُّونَ إِلاَّ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ </span><br /> <span style="color: purple;">69</span><br /> <span style="color: purple;"><br /></span> <span style="color: purple;">কোন কোন আহলে-কিতাবের আকাঙ্খা, যাতে তোমাদের গোমরাহ করতে পারে, কিন্তু তারা নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকেই গোমরাহ করে না। অথচ তারা বুঝতে পারে না। </span><br /> <span style="color: purple;">يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لِمَ تَكْفُرُونَ بِآيَاتِ اللّهِ وَأَنتُمْ تَشْهَدُونَ </span><br /> <span style="color: purple;">70</span><br /> <span style="color: purple;"><br /></span> <span style="color: purple;">হে আহলে-কিতাবগণ, কেন তোমরা আল্লাহর কালামকে অস্বীকার কর, অথচ তোমরাই তাঁর প্রবক্তা? </span><br /> <span style="color: purple;">يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لِمَ تَلْبِسُونَ الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُونَ الْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ </span><br /> <span style="color: purple;">71</span><br /> <span style="color: purple;"><br /></span> <span style="color: purple;">হে আহলে কিতাবগণ, কেন তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে সংমিশ্রণ করছ এবং সত্যকে গোপন করছ, অথচ তোমরা তা জান। </span><br /> <span style="color: purple;">وَقَالَت طَّآئِفَةٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ آمِنُواْ بِالَّذِيَ أُنزِلَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُواْ وَجْهَ النَّهَارِ وَاكْفُرُواْ آخِرَهُ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ </span><br /> <span style="color: purple;">72</span><br /> <span style="color: purple;"><br /></span> <span style="color: purple;">আর আহলে-কিতাবগণের একদল বললো, মুসলমানগণের উপর যা কিছু অবর্তীণ হয়েছে তাকে দিনের প্রথম ভাগে মেনে নাও, আর দিনের শেষ ভাগে অস্বীকার ক র, হয়তো তারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে।</span></div> <div style="color: #38761d;"> <br /></div> </span></div> </b></div>

ঝগড়া-বিবাদ ও তর্ক-বিতর্কঃ (পর্ব ১)

ঝগড়া বিবাদ বলতে আমরা কি বুঝি? এ বিষয়ে আরবীতে দুটি শব্দ ব্যবহার হয়েছে। এক হল, জিদাল আর দ্বিতীয় হল, মিরা। জিদাল: এর অর্...

Read more »