ব্যাখ্যা না জেনে সকল সহীহ হাদিসেরও সরাসরি অনুসরন করা যাবে না :-

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> এখানে কতিপয় সাংঘর্ষিক হাদিস ও এর সমাধান উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দেয়া হল :<br /> <br /> <br /> ১.<br /> <br /> <br /> হাদিস শরীফ: হযরত হুযায়ফা (রা:) থেকে বর্নিত , তিনি বলেন “রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম একবার এক সম্প্রদায়ের আবর্জনা ফেলার স্হানে গমন করলেন । সেখানে এসে তিনি এর ওপর দাড়িয়ে প্রস্রাব করলেন । …. ( তিরমিযী শরীফ ১৩ নং হাদিস )<br /> <br /> এখন মনে করুন আপনি এই হাদিস শরীফ পড়লেন এবং সবাইকে বললেন রসুল (সা:) যেহেতু দাড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন এবং এটা সহীহ হাদিস তাই এই হাদিসের ওপর আমল করাতে কোনো অসুবিধা নেই।<br /> এখন কিছুদিন পর আপনি তিরমিজী শরীফ আবার খুলে পড়া শুরু করলেন এবং এই হাদিসটি পেলেন :<br /> <br /> হাদিস শরীফ: হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্নিত তিনি বলেন “যে তোমাদের কাছে বর্ননা করবে যে রসুল (সা:) দাড়িয়ে প্রস্রাব করতেন , তোমরা তার কথা বিশ্বাস করবে না । তিনি কেবল বসেই প্রস্রাব করতেন । ( তিরমিযী শরীফ ১২ নং হাদিস )<br /> <br /> দ্বিতীয় নং হাদিস শরীফ পড়ে আপনি তো মহা সমস্যায় পড়লেন । কেননা আপনি প্রথম হাদিস শরীফ পড়ে আমল করেছেন এবং আপনার হয়ত আরো বন্ধুদের বলেছেন । কিন্তু দেখা গেলো দুটো হাদিস শরীফ সহীহ হওয়া সত্বেও সাংঘর্ষিক ।<br /> চলুন আমরা দেখি আসলে ব্যাপারটা কি ।<br /> <br /> <br />                   ব্যাখ্যা :<br /> <br /> <br /> প্রথম হাদিস শরীফের ব্যাখ্যা হলো রসুলের (সা:) একবার হাটুতে ব্যাথ্যা থাকার কারনে বসতে কষ্ট হচ্ছিল যে কারনে দাড়িয়ে প্রস্রাব করেছিলেন । ( হাকীম এবং বায়হাকীর রেওয়ায়েতে এটা প্রমান হয় )<br /> <br /> কিন্তু রসুলের (সা:) সবসময়ের আমল এটা ছিল না । দুটো হাদিসের মধ্যে আসলে কোনো বিরোধ নেই । কিন্তু সমস্যা তখনই হবে যখন একটি হাদিস পড়ে এবং এ বিষয়ের অন্য হাদিস না পড়ে , ব্যাখ্যা শানে নজুল না জেনে , আলেমদের সাথে পরামর্শ না করেই আমল করা শুরু করব । সমস্যা এখানেই ।<br /> আমি আরো কিছু পরিস্হিতির উল্লেখ করব যে সব ক্ষেত্রে সরাসরি হাদিস অনুসরন করলে বিপদ হতে পারে : যেমন:<br /> <br /> <br /> ২.<br /> <br /> <br /> আপনি কোনো সহীহ হাদিস পেলেন , যেটাতে নামাজে কথা বলা যায় এমন ঘটনা বর্ননা করা আছে । কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে এই হুকুম এখনও বলবৎ আছে । কেননা অন্যন্য হাদিস শরীফ দ্বারা আমরা জানতে পারি এই হুকুম পরবর্তিতে মনসুখ ( বা রহিত ) হয়ে গেছে ।<br /> <br /> <br /> <br /> উদাহরন দেয়া হলো:<br /> <br /> হাদিস শরীফ: জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা:) থেকে বর্নিত , তিনি বলেন , রসুলুল্লাহ (সা:) আমাকে একটি কাজে পাঠিয়েছিলেন । আমি ফিরে এসে দেখি , তিনি (সওয়ারীতে আরোহন করে নফল) সালাত আদায় করছেন আমি ( ঐ অবস্হায়) তাকে সালাম দিলাম । তিনি ইংগিতে আমাকে চুপ করতে বললেন । তারপর সালাত শেষ করে আমাকে ডাকলেন এবং বললেন , তুমি এক্ষুনে আমাকে সালাম দিয়েছিলে অথচ আমি সালাতরত ছিলাম । বর্ননাকারী বলেন , তিনি এই সময় পূর্বমুখী ছিলেন । ( মুসলিম শরীফ : ১০৮৬ )<br /> <br /> দেখুন এখানে কিন্তু রসুলুল্লাহ (সা:) নামাজের মধ্যেই ইশারাতে তাকে চুপ করতে বললেন ।<br /> <br /> <br />                সমাধান :<br /> <br /> <br /> এবার এই হাদিসটি দেখুন :<br /> <br /> হাদিস শরীফ: যায়দ ইবনে আরকাম (রা:) থেকে বর্নিত যে , তিনি বলেন , আমরা সালাতে কথাবার্তা বলতাম , প্রত্যেকেই তার পাশের ব্যক্তির সাথে আলাপ করত । অত:পর যখন “ওয়া কুমু লিল্লাহি কনিতিন” ( আল্লাহর জন্য দাড়াবে বিনীতভাবে ) ( ২:২৩৮) আয়াতটি নাযিল হোলো , তখন আমাদেরকে চুপ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পরস্পরে আলাপ করতে নিষেধ করা হয় ।<br /> <br /> এছাড়া আরো অনেক হুকুম আছে যেটা আগে নামাজে ছিল পরবর্তিতে নিষেধ করা হয় । যেমন থুথু ফেলা । প্রথমদিকে নামাজ পড়া অবস্হায় বাম দিকে থুতু ফেলা যেত ।<br /> <br /> <br /> ৩.<br /> <br /> <br /> <br /> এমনও হতে পারে কোনো সহীহ হাদিস দুরকম ব্যাখ্যা হয় এবং দুটোই সঠিক<br /> দেখুন:<br /> রসুলুল্লাহ (সা:) একবার একদল মুসলমানকে নিম্নোক্ত নির্দেশসহ প্রেরন করলেন “বনু কুরায়জায় পৌছে সালাত আদায় করবে” । তার এই আদেশকে শাব্দিক অর্থে গ্রহন করে দলের কিছু সাহাবী নির্ধারিত সময় আসর সালাতের জন্য না থেমে প্রায় সুর্যাস্হ পর্যন্ত সফর অব্যাহত রাখেন এবং বনু কুরায়জায় গিয়ে আসরের সালাত আদায় করেন । আবার কিছু সংখ্যক লোক যারা রসুলের (সা:) আদেশের শাব্দিক অর্থ গ্রহন না করে এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুসরন করতে গিয়ে বনু কোরায়জায় পৌছার পূর্বে স্বল্প সময়ের জন্য বিরতি করে আসেরর সালাত আদায় করেন । রসুল (সা:) এর নিকট উভয় দলের ঘটনা বর্ননা করা হলে তিনি বলেছিলেন , উভয়ই সঠিক ।<br /> এই হাদিস দ্বারা আমরা বুঝতে পারলাম কিছু ক্ষেত্রে কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের দুটি সমাধান হতে পারে যার দুটোই সঠিক । এবং এটাকে আপনি কিয়াসও বলতে পারেন । দুই দল সাহাবী রসুলের (সা:) বক্তব্যের ওপর কেয়াস করেছিলেন এবং দুটোই সঠিক ছিল । ( তবে এমন কিয়াস করতে পারেন শুধু মুজতাহিদগন , আমাদের মত আমজনতা নন )<br /> <br /> <br /> ৪.<br /> <br /> <br /> এমনো হতে পারে কোনো হাদিসে কোনো একটি কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে , আপনি হয়ত ভাবলেন সেটা সবার জন্য , চিরকালের জন্য নিষেধ । কিন্তু গবেষনা করে দেখা গেল সেটা আসলে সেই ব্যক্তির জন্য এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ , পরবর্তিকালে সবার জন্য সেটা নিষেধ নয় । ( নির্দিষ্ট কিছু সাহাবীকে হাদিস সংকলন করতে নিষেধ করা এই বিষয়ের মধ্যে পড়বে ) ।<br /> <br /> প্রথম হাদিস শরীফ (হাদিস বিষয়ে লিখতে নিষেধ করা ): রসুলুল্লাহ (সা:) বলেন “আমার নিকট হতে কোরআন ব্যতীত তোমরা অন্য কিছু লিখবে না । যে ব্যক্তি আমার নিকট হইতে কোরআন ব্যতীত অন্য কিছু লিখিয়াছে সে যেন তাহা মুছিয়া ফেলে । ( মুসলিম, মোকদ্দামা )<br /> <br /> দ্বিতীয় হাদিস শরীফ ( হাদিস বিষয়ে লিখতে বলা ) : কোনো কোনো সাহাবার নিকট ক্ষুদ্র পুস্তিকা ছিল হাদিসের সংকলন । আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আসের হাদিস এর পুস্তকখানি এক দৃষ্টান্ত । তিনি তার বই এর নাম রেখেছিলেন “আস সাদিকাহ” । কোনো কোনো সাহাবার দৃষ্টি আবদুল্লাহ ইবনে আমরের বই এর প্রতি পড়ল । তারা বলল , রসুল (সা:) যা কিছু বলেছেন তা আপনি লিখে রাখছেন ? রসুলল্লাহ (সা:) রাগান্বিত হলে এমন কিছু বলেন যা সাধারনত শরীয়ত বলে গ্রহন করা চলে না । অত:পর ইবনে আমর বিষয়টি রসুলের (সা:) কে বললেন । রসুলুল্লাহ (সা:) বলেন “আমার থেকে যা শ্রবন কর তা লিখে রাখ । ঐ পবিত্র সত্বার শপথ যার হাতে আমার জীবন আমার মুখ থেকে হক ব্যতীত কিছুই বের হয় না ।<br /> <br /> <br /> প্রথম হাদিস শরীফে লিখতে নিষেধ করা হয়েছে , আর দ্বিতীয় হাদিস শরীফে লিখতে বলা হয়েছে । এর ব্যাখ্যায় আলেমগন বলেন :-<br /> <br /> <br />                       সমাধান :<br /> <br /> <br /> ** অধিকাংশ আলেমগন বলেন অনুমতি দ্বারা নিষেধাজ্ঞা রহিত হয়ে গেছে ।<br /> <br /> ** কিছু কিছু আলেম বলেন নিষেধাজ্ঞা ছিল তাদের জন্য যাদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা ছিল তারা “কোরআন” এবং “হাদিস” মিশিয়ে ফেলতে পারেন , কিন্তু যাদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা ছিল না তাদেরকে নিষেধ করা হয়নি।<br /> <br /> সূত্র :<br /> ১। ইসলামি শরীয়াহ ও সুন্নাহ : মুস্তফা হোসন আস সুবায়ী<br /> ২। হাদিসের তত্ব ও ইতিহাস : নুর মোহাম্মদ আজমী<br /> <br /> <br /> ৫.<br /> <br /> <br /> কোনো একটি আমল এর ক্ষেত্রে আপনি একটি হাদিস পেলেন যেটা জঈফ , এর ভিত্তিতে আপনি ধারনা করলেন এই আমল করা ঠিক হবে না । কিন্তু এমনও দেখা গেছে ( এবং অনেক ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য ) একই “আমলের” বিষয়ে একটি জঈফ হাদিস আছে এবং আরো অনেক সহীহ হাদিস আছে । সুতরাং এই “জঈফ” হাদিসের কারনে এই আমল বাতিল হবে না , যেহেতু এর সাথে সংশ্লিষ্ট আরো সহীহ হাদিস আছে।<br /> <br /> <br /> ৬.<br /> <br /> <br /> আবার এমনও দেখা গেছে কোন একটি বিষয়ে শুধুমাত্র “জঈফ” হাদিস আছে ।<br /> <br /> যেমন : ওযুর সময় মাথা মাসেহ করা জয়ীফ হাদিস দ্বারা প্রমানিত।<br /> <br /> কিন্তু দেখা গেছে “সাহাবীদের (রা:) ” মধ্যে এই আমল প্রচলিত আছে । এতে মুজতাহিদ ঈমামগন বা যারা ফকীহ তারা সিদ্ধান্তে এসেছেন এই আমল নিশ্চয়ই রসুলুল্লাহ(সা:) থেকে এসেছে যেহেতু সাহাবীদের মধ্যে এটা এখনও প্রচলিত আছে। তাই রাবীর কারনে হাদিসটি জঈফ হতে পারে কিন্তু হাদিসটির মুলত গ্রাউন্ড আছে। এবং এই পরিস্হিতিতে এই জঈফ হাদিসের উপর বেস করে আমলটি সম্পূর্ন গ্রহনযোগ্য । সুতরাং এতে আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি , জঈফ হাদিস দেখে কেউ যদি বলে এর ওপর আমল করা যাবে না তাহলে সবসময় সেটা সত্য নাও হতে পারে । যেহেতু সাপোর্টিং হিসেবে সাহাবীদের মধ্যে এই আমল প্রচলিত আছে ( যেটাকে কেউ হাদিস বা কেউ “আছারে সাহাবা” বলে থাকেন )।<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> তাহলে বোঝা যাচ্ছে “সহীহ হাদিস হলেও সেটা পড়ে সাথে সাথে বিচার বিশ্লেষন না করে অনুসরন করলে বিপদের সম্ভাবনা আছে” ।<br /> <br /> <br /> </div>

ব্যাখ্যা না জেনে সকল সহীহ হাদিসেরও সরাসরি অনুসরন করা যাবে না :-

এখানে কতিপয় সাংঘর্ষিক হাদিস ও এর সমাধান উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দেয়া হল : ১. হাদিস শরীফ: হযরত হুযায়ফা (রা:) থেকে বর্নিত , তিনি বলেন “রস...

Read more »

ইমাম ইবনে সীরীন (রহ) ছিলেন একজন বিখ্যাত স্বপ্নের ব্যাখ্যাকারক, এ সম্পর্কিত কিছু ঘটনা :

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> ইমাম ইবনে সীরীন (রহ) [৩৩-১১০ হি:] ছিলেন একজন বিখ্যাত স্বপ্নের ব্যাখ্যাকারক : এ সম্পর্কে তার লিখা স্বপ্নের তাবীর কিতাবটি পড়তে পারেন।<br /> <br /> স্বপ্নের ব্যাক্ষা যদি আমরা করতে যাই তা হলে আমাদের কে আগে হাদীস কোরান ফেকাহ ও হকিকত এর ইলম থাকতে হবে । কারন কোরানের আয়াত দিয়ে ও স্বপ্নের ব্যাক্ষা করে হয় হাদিস দিয়ে ও করা হয় তাফসির দিয়ে ও করা । আর ইলম এ হকিকত না থাকলে যদি কেউ শুধু শুধু হাতে গনা কোরানের আয়াত ও হাদিস থেকে স্বপ্নের ব্যাক্ষা করতে চায় তবে তা হবে এক যুগান্তকারী ভুল ।<br /> <br /> <br /> ১.<br /> <br /> <br /> আমাদের শ্রদ্ধেয় ইমাম আবু হানিফা (রহ) তার জীবনে স্বপ্ন দেখেন যে ;- তিনি নবী (সা) এর কবর খুড়ে খুড়ে হাড্ডি গুলো বের করছিলেন আর তিনি একটা হাড্ডির চেয়ে অন্য হাড্ডি টা ওনেক সুন্দর পাচ্ছিলেন ।<br /> তিনি এই স্বপ্ন দেখে ঘাবড়ে যান ও দ্রুত স্বপ্ন বিষারদ এর ইমাম হযরত ইবনে সীরিন (রহ) কাছে চলে যান ও সব কিছু খুলে বলেন ।<br /> ইমাম ইবনে সীরীন (রহ) বলেন এ তো ইমাম আবু হানিফার জন্য নির্দিষ্ট কৃত স্বপ্ন । তুমি কে ? তখন ইমাম আবু হানিফা বলেন আমিই আবু হানিফা ।<br /> উল্লেখ্য যে ইমাম ইবনে সীরীন (রহ) আবু হানিফা (রহ) কে চিনতেন না । তখন স্বপ্নের ব্যাখা করেন যে আল্লাহ তায়ালা তোমাকে দিয়ে উম্ম্তে মোহাম্ম্দির সুন্নাত জিন্দা করবেন ও দ্বীনের খেদমত নিবেন । ( ইমাম এ আজমের গল্প)<br /> <br /> <br /> ২.<br /> <br /> <br /> ইমাম ইবনে সীরীন এর সময়ের খলিফার স্ত্রী স্ব্পনে দেখল যে তাকে উল্টা করে পাছার মধ্য পেরেক মারা হচ্ছে । একটা একটা করে মোট সাতটা পেরেক মারা হল ।<br /> খলিফার স্ত্রী বাদি কে ডেকে বললেন যে তুমি ইমাম সাহেবের কাছে গিয়ে এই স্বপ্নের কথা বলবে যে তুমিই দেখেছে। খলিফার স্ত্রী নিজের নাম প্রকাশ করতে মানা করেন।<br /> <br /> বাড়ি গিয়ে ইমাম সাহেব কে স্বপ্ন খুলে বললে ইমাম সাহেব বলেন তুমি কে ?<br /> বাদি বলেন যে ওমুকের দাসী ।<br /> ইমাম সাহেব বলেন তুমি যে স্বপ্ন দেখার দাবি করছ এই স্বপ্ন তুমি কোন দিন এ দেখতে পারবে না । সতি্য করে বল কে দেখেছে এই স্বপ্ন ?<br /> তখন বাদি সত্যি স্বীকার করে বলেন যে খলিফার স্ত্রী ।<br /> তখন ইমাম সাহেব বলেন যে গিয়ে মোবারক বাদ দিবেন । আর বলবেন যে আপনার ওরস থেকে এমন এক সন্তান জন্ম নিবে যে তার ঘরে, যে সপ্তম সিড়ি পর্যন্ত তারা বাদশাহি করবে । আর ইমাম সাহেবের স্বপ্ন ব্যাখা সত্যি হয়েছিল ।<br /> <br /> <br /> ৩.<br /> <br /> <br /> <br /> এক লোক বিদেশ থেকে বাড়ি আসার পথে রাস্তায় স্বপ্নের দেখল যে তার স্ত্রীর গুপ্তাঙ্গের মধ্য ২ টা ভেড়া তার শিং দিয়ে আঘাত করে করে রক্তাক্ত তরে দিয়েছে ।<br /> স্বামী বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে এসে ওই স্বপ্নের কারনে স্ত্রীর কাছে থেকে দুরে থাকতে সুরু করে ।<br /> এক সপ্তাহ পরে ইমাম সাহেবের কাছে গিয়ে বলেন হুজুর , লজ্জার কথা কি করে বলি ?<br /> ইমাম সাহেব লিখে দিতে বলেন ।<br /> লেখা দেখার পর ইমাম সাহেব বলেন যে শোন ,তোমার স্ত্রীকে দূরে রেখ না । সে নেহায়েত একজন পুন্যবতী স্ত্রী তোমার । আসলে তুমি বাড়ি ফিরে আসছ এই খবর পাওয়ার পর সে নিচের গুপ্তাঙ্গের লোম পরিষ্কার করতে মনোযোগি হয় । হাতের কাছে লোম উপড়ানোর কোন কিছু না থাকায় সে কাচি দিয়ে তা ছেঁটে ফেলে । আর তাতে কয়েক যায়গায় তোমার স্ত্রীর গুপ্তাঙ্গ কেটে যায় । তুমি ফিরে যাও ও স্ত্রীকে কাছে ডেকে নাও । তাকে আর দূরে রেখ না ।<br /> <br /> স্বামী বাড়ি ফেরার পর স্ত্রীকে কাছে ডাকলে স্ত্রী তার জিগ্গেস করে আজ এক সপ্তাহ বাড়িতে এসেছেন ও আমাকে দূরে রেখেছেন ।<br /> তার কারন বলুন আমাকে ও এখন কেন কাছে ডাকছেন তার ও কারন বলুন ।<br /> <br /> তখন সেই স্ত্রীর স্বামী সব খুলে বলেন।<br /> তখন তার স্ত্রী কাপড় উত্তোলন করে তার স্বামীকে দেখায় বলেন যে ইমাম সাহেব সতি্য বলেছেন । দেখুন আমার খত স্থানে এখন ও তুলা লাগানো আছে । (স্বপ্নের ব্যাখ্যা ) পৃ ৬৭ প<br /> </div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiOoARQkarAquO8vtHBuT_VJz9FOVOimdWnJYc4lfVozJRUzq9LkiwxaPKeYVpawFtEygbfwdnMPaQZWpoJbH6nQwirmsfp61c3AuMYA5Pg_FVyOOkBDdPiOSJEiqY8A9x90CTAOwSJ_Mg/s1600/11036950_797132637061438_3210195918655908992_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiOoARQkarAquO8vtHBuT_VJz9FOVOimdWnJYc4lfVozJRUzq9LkiwxaPKeYVpawFtEygbfwdnMPaQZWpoJbH6nQwirmsfp61c3AuMYA5Pg_FVyOOkBDdPiOSJEiqY8A9x90CTAOwSJ_Mg/s640-rw/11036950_797132637061438_3210195918655908992_n.jpg"> </a> </div>

ইমাম ইবনে সীরীন (রহ) ছিলেন একজন বিখ্যাত স্বপ্নের ব্যাখ্যাকারক, এ সম্পর্কিত কিছু ঘটনা :

ইমাম ইবনে সীরীন (রহ) [৩৩-১১০ হি:] ছিলেন একজন বিখ্যাত স্বপ্নের ব্যাখ্যাকারক : এ সম্পর্কে তার লিখা স্বপ্নের তাবীর কিতাবটি পড়তে পারেন। স্ব...

Read more »

মিসওয়াক করে সালাত আদায় করলে ৭০গুণ বেশী সওয়াব হয়

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-63df7697-7fff-e50f-7b52-2be27647e4ce" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-5156b57f-7fff-dcd0-6600-9a464b8e2935" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-3f76e68d-7fff-e117-2c9c-01c8867f27c3" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-897768a9-7fff-c911-c084-04a075a98637" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যে সালাত মিসওয়াক করে আদায় করা হয়, সেই সালাতে মিসওয়াক করা বিহীন সালাত থেকে ৭০গুণ বেশী নেকী হয়।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সহীহ হাদীসকে জাল হাদীস বানানোর ভয়ংকর ষড়যন্ত্র-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">____________________________</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নামধারী আহলে হাদীস সর্দার মুজাফফর লিখেছেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যে সালাত মিসওয়াক করে আদায় করা হয়, সেই সালাতে মিসওয়াক করা বিহীন সালাত থেকে ৭০গুণ বেশী নেকী হয়। একথাটি জাল। এর কোন ভিত্তি নেই। দেখুন, [জাল হাদীসের কবলে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর সালাত, ৩১]</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">___________________________</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জবাবঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রথমেই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি একটি সতর্কবাণী-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুল (ﷺ) বলেছেন, তোমরা আমার উপর মিথ্যাচার করোনা। কেননা যে ব্যক্তি আমার উপর মিথ্যাচার করে সে যেন জাহান্নামে প্রবেশ করে। [সহীহ আল বুখারী-১০৬]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিসটি ভিন্ন ভিন্ন সনদে বিভিন্ন সাহাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে,</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● হযরত আয়েশা (رضي الله عنه)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● হজরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● হযরত জাবির (رضي الله عنه)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● তাবেঈ হযরত নাফে (رحمة الله) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● হজরত উম্মে দারদা (رضي الله عنه)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● হাছান ইবনে আত্বিয়া (رضي الله عنه)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● উরওয়াহ বিন যুবাইর (رضي الله عنه)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● হজরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ১ : বর্ণনা ১-৫</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) সূত্রে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ বর্ণনা ১ :</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত এ হাদীসটি বিভিন্ন সনদে এসেছে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: ” فَضْلُ الصَّلَاةِ بِالسِّوَاكِ، عَلَى الصَّلَاةِ بِغَيْرِ سِوَاكٍ، سَبْعِينَ ضِعْفًا “</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আয়শা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ মিসওয়াক করে নামায পড়ার ফযীলত মিসওয়াক বিহীন নামাযের তুলনায় ৭০ গুণ বেশি। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১.ছহীহ্ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং ১৩৭ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২.মুস্তাদরাকে হাকেম, ১ম খন্ড, ২১৬ পৃ: হাদিস নং ৫১৫ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩.ইমাম বায়হাক্বী: শুয়াইবুল ঈমান, হাদিস নং ২৫১৯ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪.ইমাম বায়হাক্বী: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ১৫৯ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫.ইমাম বায়হাকী: সুনানে ছাগীর, হাদিস নং ৮০ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬.মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদিস নং ৪৭৩৮ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭.ইমাম ইবনে শাহিন: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব লিকাওয়াইমিস সুন্নাহ, হাদিস নং ১৫৬৭ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৮.আল্লামা ইবনে মুলাক্কিন: বদরুল মুনীর, ২য় খন্ড, ১৪ পৃ: </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৯.ইমাম আইনী: উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ১৮২ পৃ: </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১০.ইমাম কাস্তালানী: এরশাদুস সারী শরহে বুখারী, ২য় খন্ড, ১৬৪ পৃ: </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১১.ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ১৬৭৯৬ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১২.ইমাম মােল্লা আলী কারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, হাদিস নং ৩৮৯ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৩.আল্লামা মানাভী: ফায়জুল কাদীর, হাদিস, নং ৫৮৫৭ সুবুলুস সালাম, ১ম খন্ড, ৫৭ পৃ: </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৪.মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৬৩৪০, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৫.মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-১০৮, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৬.মেশকাত শরীফ-১/৪৫</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম হাকেম (رحمة الله) ও ইমাম শামছুদ্দীন যাহাবী (رحمة الله) বলেছেন: </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">هذا حديث صحيح على شرط مسلم</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“ইমাম মুসলীম (رحمة الله) এর মতে এই হাদিস ছহীহ্।”</span><span style="color: #9900ff; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(হাকেম, ১ম খন্ড, ২১৬ পৃঃ)। </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ বর্ণনা ২:</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এর আরেকটি সনদ রয়েছে, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“আবু হিশাম রিফাই ইসহাক থেকে হাদিস বর্ণনা করেন, তিনি মুয়াবিয়া থেকে, তিনি যুহুরী থেকে, তিনি উরওয়া থেকে, তিনি হজরত আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে..।” </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদিস নং ৪৭৩৮; মাকছুদুল আলী ফি জাওয়াইদে আবী ইয়ালা মুছেলী, হাদিস নং ১৬৩০)। </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই সনদটি </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জয়ীফ</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> কারণ এর সনদে আপত্তিকর রাবী মুয়াবিয়া রয়েছে। এই রাবী সম্পর্কে ইমামগণের অভিমত হল, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“ইমাম নাসাঈ (رحمة الله) বলেন, সে বিশ্বস্ত নয়। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইবনে মাঈন (رحمة الله) বলেন, সে কিছুই নয় । </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আবু দাউদ (رحمة الله) বলেন: সে দুর্বল রাবী, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম দারে কুতনী (رحمة الله) বলেন: সে দুর্বল।” </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৪০২)। </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ বর্ণনা ৩:</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আবু বকর আহমদ ইবনে আলী বাগদাদী (رحمة الله) ওফাত ৪৬৩ হিজরী তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেছেন, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম (ﷺ) বলেছেন: মেসওয়াকের সহিত নামাজ পড়া মেসওয়াকহীন নামাজের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী সওয়াব।” </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(মুত্তাফাক ওয়াল মুফরাক, ২য় খন্ড, ৯৪৯ পৃ: ৫৭৬ নং হাদিস) </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ বর্ণনা ৪:</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এর আরেকটি সনদ রয়েছে, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“হজরত আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম (ﷺ) বলেছেন: মেসওয়াক সহ নামাজ পড়া মেসওয়াকহীন নামাজের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী সওয়ার , (ইমাম ইবনে হিব্বান: মাজরুহিন, ৩য় খন্ড, ৩৩ পৃ:)। </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ বর্ণনা ৫:</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়াত রয়েছে, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“হজরত আয়েশা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, মেসওয়াকসহ নামাজ মেসওয়াকহীন ৭০ রাকাত নামাজের চেয়ে আরাে উত্তম।” (ইমাম ছিয়তী: জামেউস ছাগীর, হাদিস নং ৭৯৫৮) </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিসের সনদমানঃ</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛এ হাদিস সম্পর্কে আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) বলেন, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“এই হাদিসের সাক্ষ্য রয়েছে হজরত ইবনে আব্বাস ও জাবের (رضي الله عنه) এর বর্ণিত হাদিসের সাথে। ইমাম আবু নুয়াইম (رحمة الله) এই দুইটি হাদিস অতি উত্তম হাছান সনদে বর্ণনা করেছেন।” </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ইমাম মােল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত, শরহে মেসকাত, ১৮৯ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়) </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛হাদিসটি ইমাম জুহুরী (رحمة الله) থেকে আরেকটি সূত্রে বর্ণিত আছে, “এই হাদিস আবু নুয়াইম (رحمة الله) যুহুরী (رحمة الله) থেকে ইবনে উয়াইনা, মানছুর ও যুহুরী সূত্রে বর্ণনা করেছেন। (ইমাম আসকালানী: তালখিছুল হাবির, ১ম খন্ড, ২৪১ পৃঃ) </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ইমাম ছাখাবী (رحمة الله) আবু নুয়াইম (رحمة الله) এর সনদ সম্পর্কে বলেন, “আবু নুয়াইম হুমাইদী, সুফিয়ান, মানছুর ও যুহুরী সূত্রে ইহা বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।” (ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, ১ম খন্ড, ৬২৬ পৃ: ৬২৫ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়) </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛এ বিষয়ে ইমাম ছাখাবী (رحمة الله) ও ইমাম আজলুনী (رحمة الله) আরাে বক্তব্য লক্ষ্য করুন, -“এর সনদ অতি-উত্তম, হজরত আনাস (رضي الله عنه), জাবের (رضي الله عنه), ইবনে উমর (رضي الله عنه) থেকেও ইহা বর্ণিত আছে। অনুরূপ উম্মে দারদা (رضي الله عنه) ও যুবাইর ইবনে নাফির (رضي الله عنه) থেকে মুরছাল সূত্রে বর্ণনা করেছেন।” (ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, ১ম খন্ড, ৬২৬ পৃ: ৬২৫ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, ২য় খন্ড, ২৯ পৃঃ) </span></div> <br /><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ২ :</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই হাদিসের অন্য সূত্রে রয়েছেনঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১) ইমাম খতীব বাগদাদী</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) ইবনু লাহি’আহ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩) আবুল আসওয়াদ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪) </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উরওয়াহ বিন যুবাইর (رضي الله عنه)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইবনুল মুলকিন বলেছেন, হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, হাফিয আবু বাকর আল খাতীব তিনি ইবনু লাহী’আহ এর সুত্রে।</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> [আল বাদরুল মুনীর-২) ১৭]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আবার এ হাদিসটি আলী বিন মুহাম্মাদ বিন আব্দিল্লাহ এর সুত্রেও এসেছে-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">) ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﻋﻠﻲ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻋﺒﺪﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻤﻌﺪﻝ ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﺃﺑﻮ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﻋﻠﻲ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺃﺣﻤﺪ ﺍﻟﻤﻘﺮﺉ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺭﻭﺡ ﺑﻦ ﺍﻟﻔﺮﺝ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﻋﻔﻴﺮ ﺑﻪ .</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এখানে বর্ণনাকারী রয়েছেন আবুল হাসান আলী বিন মুহাম্মাদ এবং রাওহ বিন ফারাজ এবং সায়ীদ বিন উফাইর। </span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আল মুত্তাফাকু ওয়াল মুতাফাররাক-৫৭৬]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণ সকলেই নির্ভরযোগ্য।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১)  ইবনু লাহি’আহঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম খতীব বাগদাদী বলেন, তিনি সত্যবাদী, নির্ভরযোগ্য, উত্তম চরিত্রবান। </span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[তারীখু বাগদাদ-৬৫২৭]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২)  আবুল হাসান আলী বিন মুহাম্মাদ বিন আহমাদঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম খতীব বাগদাদী বলেন, তিনি বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য। </span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[তারীখু বাগদাদ-৬৪৮৩]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩)  রাওহ বিন ফারাজ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম খতীব বাগদাদী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম কিনদী বলেন, তিনি অধিক নির্ভরযোগ্য ছিলেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[তাকরীবুত তাহযীব- ১৯৬৭, তাহযীবুল কামাল- ২৩৪১, ১৯৩৭]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪)  সায়ীদ বিন উফাইর</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইবনু আদী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● আবু হাতিম বলেন, তিনি সত্যবাদী।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সিয়ারু আ’লামিন নুবালা-আত তাবাকাতুস সানিয়াহ আশারা]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫)  আবুল আসওয়াদ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি একজন তাবেয়ী এবং নির্ভরযোগ্য। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সিয়ারু আ’লামিন নুবালা-আত তাবাকাতুর রাবি’আহ]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬)  আলী বিন মুহাম্মাদ বিন আব্দিল্লাহ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম খতীব বাগদাদী বলেন, তিনি সত্যবাদী।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সিয়ারু আ’লামিন নুবালা-আত তাবাকাতুস সানিয়াহ ওয়াল ইশরূন]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিঃদ্রঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইবনু লাহি’আহ এর জীবনে একটি ঘটনা ঘটেছিল। তার কিতাবাদি পুড়ে গিয়েছিল এজন্য মুহাদ্দিসগণ বলেন, ঘটনাটি ঘটার আগে যারা তার নিকট থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন, সেগুলো সহীহ। এবং ঘটনাটির পর যারা তার নিকট থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাদের ঐ বর্ণনাগুলো দুর্বল।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমাদের আলোচ্য হাদিসটি সায়ীদ বিন উফাইর (رحمة الله) ইবনু লাহি’আহ থেকে কিতাবাদি পুড়ে যাবার আগেই বর্ণনা করেছিলেন। এমনটাই বলেছেন, ইমাম ইবনু সায়্যিদিন নাস (رحمة الله)। </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতারাং হাদীসটি সহীহ।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আন নাফখুশ শাযি ফী শারহি জামিইত তিরমিযি- ৮০৪-২/ ৭৯৯]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ৩ :</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ইমাম মুনজেরী (رحمة الله) এভাবে রেওয়াতটি উল্লেখ করেছেন, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“</span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন: মেসওয়াকসহ দুই রাকাত নামাজ মেসওয়াকহীন ৭০ বা নামাজের চেয়ে আরাে উত্তম। ইমাম আবু নুয়াইম (رحمة الله) তার কিতা ছাওয়াক’ গ্রন্থে অতিউত্তম সনদে ইহা বর্ণনা করেছেন।” (ইমাম মুনজেরীঃ আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, হাদিস নং ৩৩৫)। </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">একই অর্থের হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ﻓﻘﺪ ﺃﺧﺮﺟﻪُ ﺃَﺑُﻮ ﻧﻌﻴﻢ ﻋَﻦ ﻣُﺤَﻤَّﺪ ﺑﻦ ﺣﺒَﺎﻥ ، ﻋَﻦ ﺃﺑﻲ ﺑﻜﺮ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻋَﺎﺻِﻢ ، ﻋَﻦ ﻣُﺤَﻤَّﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺑﻜﺮ ﺍﻟْﻤﻘﺪﻣِﻲ ، ﻋَﻦ ﻳﺰِﻳﺪ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ، ﺛَﻨَﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺍﻟْﺤَﻮْﺭَﺍﺀ ﺃﻧَّﻪ ﺳﻤﻊ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺟُﺒَﻴﺮ ﻋَﻦ ﺍﺑْﻦ ﻋَﺒَّﺎﺱ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬﻤﺎ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻗَﺎﻝَ : ‏« ﻟِﺄَﻥ ﺃُﺻَﻠِّﻲ ‏( ﺭَﻛْﻌَﺘَﻴﻦ ‏) ﺑِﺴِﻮَﺍﻙٍ ﺃَﺣَﺐُّ ﺇَﻟَﻲَّ ﻣِﻦْ ﺃﻥْ ﺃُﺻَﻠِّﻲ ‏( ﺳَﺒْﻌِﻴﻦ ‏) ﺭَﻛْﻌَﺔ ﺑِﻐَﻴﺮِ ﺳِﻮَﺍﻙٍ »</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত ইবনু আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসুল (ﷺ) বলেছেন, মেসওয়াক বিহীন ৭০ রাকাত সালাত আদায় করা থেকে মেসওয়াক করে দু রাকাত সালাত আদায় করা আমার নিকট অধিক প্রিয়।</span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (আবু নাঈম)</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম সাখাবী (رحمة الله) বলেন, ইবনু আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত এ হাদীসটির</span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> সনদ ভাল।</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> অর্থাৎ হাদীসটি সহীহ। </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম মুনযিরী (رحمة الله)ও একই কথা বলেছেন। (</span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সনদ ভাল)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আত তারগীব ওয়াত তারহীব] </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী (رحمة الله)ও এটাকে সমর্থন করেছেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আল মাকাসিদুল হাসানাহ-খন্ড ২/ ৪২৪ পৃ]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সনদ পর্যালোচনাঃ</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১) মুহাম্মাদ বিন হিব্বানঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● তিনি মশহুর ইমাম। নির্ভরযোগ্য।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) আবু বাকর বিন আবী আসিমঃ</span><span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম আবু হাতিম রাযী (رحمة الله) বলেন, তিনি সত্যবাদী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আল জারহু ওয়াত তা’দীল-১২০]</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩) মুহাম্মাদ বিন আবী বাকর আল মুকাদ্দামীঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সিয়ারু আ’লামিন নুবালা আত তাবাকাতুস সানিয়্যাতা আশারাহ]</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪) ইয়াযিদ বিন আব্দিল্লাহঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য। [কিতাবুস সিকাত-১৬৪০৫]</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫) আব্দুল্লাহ বিন আবিল হাওরাঃ</span><span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● উনি মূলত আব্দুল্লাহ বিন আবিল জাওযা। ইমাম ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য। [কিতাবুস সিকাত-৯৩৯২]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ৪:</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়াত রয়েছে, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“মেসওয়াক সহ নামাজ পড়া মেসওয়াকহীন নামাজের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী সওয়াব। ইবনে নাজ্জার তার তারিখে বাগদাদে </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) </span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">থেকে বর্ণনা করেছেন।” </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ইমাম ছিয়তী: জামেউস ছাগীর, হাদিস নং ৬৮৭২; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ১২৭৭২) </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়াত রয়েছে, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“হজরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) নবী করিম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন: মেসওয়াকের সহিত নামাজ পড়া মেসওয়াকহীন নামাজের চেয়ে ৭৫ গুণ বেশী সওয়াব।” (ইমাম ইবনে আদী: আল কামিল ফিদ দোয়াফাই রিজাল, ৮ম খন্ড, ১৭ পৃ:)। </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ৫ :</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত জাবির (رضي الله عنه)</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, 'মিসওয়াক আদায় করার পর ২ রাকাআত আদায় করা মিসওয়াক বিহীন ৭০ রাকা'আত নামাজ আদায় করা চেয়েও বেশি মর্যাদাপূর্ণ।' </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আল-তারগীব ওয়া আত- তারহিব, খন্ড  ১, পৃষ্ঠা ১০২, হাদিস ১৮, কাশফুল খাফা-১/৪৯৭]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আজুলুনী (রহঃ) উক্ত হাদীসের ব্যাপারে মন্তব্য করেনঃ</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ورواه الحميدي وأبو نعيم عن جابر وإسناده حسن،</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ মর্মের হাদীস ইমাম হুমাইদী এবং আবু নূআইম হযরত জাবির (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন। যার সনদ হাসান। [কাশফুল খাফা-১/৪৯৭, বর্ণনা নং-১৩৯৯]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ৬:</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আসলাম ইবনে সাহল ইবনে আসলাম ওয়াছেতী (رحمة الله) ওফাত ২৯২ হিজরী তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেন, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“ইবনে উমর (رضي الله عنه) এর গােলাম </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাবেঈ হযরত নাফে (رحمة الله) </span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: মেসওয়াক সহ নামাজ পড়া মেসওয়াকহীন নামাজের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী সওয়াব।” (তারিখে আওছাত, ১ম খন্ড, ২৩৪ পৃ:) </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ৭:</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়াত রয়েছে, “</span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত উম্মে দারদা (رضي الله عنه)</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> হতে বর্ণিত, মেসওয়াক সহ নামাজ পড়া মেসওয়াকহীন নামাজের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী সওয়াব। দারে কুতনী তার ইফরাদ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।” </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ইমাম ছিয়তী: জামেউস ছাগীর, হাদিস নং ৬৮৭৩; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ১৭২৭৩)। </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিসের সনদমানঃ</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা মানাভী (رحمة الله) বলেন, -“এর সনদ হাছান।” </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(আল্লামা মানাবী: আত তাইছির বি’শরহে জামেইস ছাগীর, ২য় খন্ড, ৩৫ পৃ:)। </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛এ সম্পর্কে ইমাম মানাভী (رحمة الله) আরাে বলেন, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛“ইমাম হায়ছামী (رحمة الله) বলেন, এর সকল বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত। ইমাম হুমাইদী ও আবু নুয়াইম (رحمة الله) জাবের (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ইমাম মুনজেরী (رحمة الله) বলেছেন: এর সনদ হাছান। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ইমাম ছামহুদী (رحمة الله) বলেছেন: এর সকল রাবীগণ বিশ্বস্ত।” (আল্লামা মানাভী: ফায়জুল কাদীর, হাদিস নং ৪৪৬৬) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛এই রেওয়াত সম্পর্কে আল্লামা মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে ছিলাহ ছানআনী (رحمة الله) ওফাত ১১৮২ হিজরী তদীয় কিতাবে বলেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“ইমাম হায়ছামী বলেন: এর বর্ণনাকারী সকলেই বিশ্বস্ত।” (আত তানভীর শরহে জামেউছ ছাগীর, হাদিস নং ৪৪৫০ এর ব্যাখ্যায়) </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ৮:</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ বিষয়ে আরেকটি সনদসহ রেওয়াত উল্লেখ করা যায়, -“</span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাছান ইবনে আত্বিয়া (رضي الله عنه)</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন, রাসূলে করিম (ﷺ) বলেছেন: মেসওয়াকসহ দুই রাকাত নামাজ মেসওয়াকহীন ৭০ রাকাত নামাজের চেয়ে আরাে উত্তম।” (ইমাম ইবনে শাহিন: আত্তারগীব ফি ফাদ্বাইলিল আমাল ওয়াছ ছাওয়াব, হাদিস নং ৫১০) </span></div> <br /></div> </div> </div> </div>

মিসওয়াক করে সালাত আদায় করলে ৭০গুণ বেশী সওয়াব হয়

যে সালাত মিসওয়াক করে আদায় করা হয়, সেই সালাতে মিসওয়াক করা বিহীন সালাত থেকে ৭০গুণ বেশী নেকী হয়। সহীহ হাদীসকে জাল হাদীস বানানোর ভয...

Read more »

ইয়াজিদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী (রহ) এর নামে মিথ্যাচারকারী ড জাকির নায়েকের জবাব :

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> জাকির নায়েক তার কাজকে সঠিক প্রমান করার জন্য যুক্তি প্রদান করে যে,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> “ সহীহ বুখারীতে একটি হাদীস আছে যেখানে বলা হয়েছে যে যারা কনস্টান্টিনোপল (কুসতুনতুনিয়া) জয় করবেন তাঁরা জান্নাত পাবেন এবং ইয়াজিদ ছিল ঐ বাহিনীর কমান্ডার” </div> <div style="text-align: justify;"> <a href="http://www.youtube.com/watch?v=R1qgyHCb0Jw">www.youtube.com/watch?v=R1qgyHCb0Jw</a></div> <div style="text-align: justify;"> ________________________________</div> <div style="text-align: justify;"> এই ব্যক্তি সহীহ বুখারীর নামে সম্পূর্ন মিথ্যা কথা বলেছে।</div> <div style="text-align: justify;"> ________________________________</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সহীহ বুখারীতে এমন কোন হাদীস নেই যেখানে বলা হয়েছে যে,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ``যারা কনস্টান্টিনোপল (কুসতুনতুনিয়া) জয় করবেন তাঁরা জান্নাত পাবেন এবং ইয়াজিদ ছিল ঐ বাহিনীর কমান্ডার”।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ইহা সহীহ বুখারীর নামে সরলপ্রান মুসলিমগনকে বিভ্রান্ত করার একটি ঘৃন্য প্রচেষ্টা । হাদীসের নামে যারা মিথ্যা কথা বলে তাদের ইসলাম নিয়ে কথা বলার কোন অধিকার থাকতে পারে না।</div> <div style="text-align: justify;"> হাদীসের নামে জেনেশুনে মিথ্যা কথা বলা রসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম'র সঙ্গে ও ইসলামের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ★ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> “ যে ব্যক্তি আমার সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে তার ঠিকানা জাহান্নাম”</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [তথ্যসূত্র ; সহীহ বুখারী, খন্ড ০১, পৃ. ৪১, হাদীস ১০৬]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> উক্ত ইয়াজিদ'র প্রেমে আসক্ত ব্যাক্তি তার কাজকে সঠিক প্রমান করার জন্য সহীহ বুখারীর সুবিখ্যাত তফসীরকার ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রাঃ) এর নামেও সম্পূর্ন মিথ্যা কথা বলেছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি বলেছেন, “ ইবনে হাজার যেখানে বুখারীর তফসীরে তাকে (ইয়াজিদকে) জান্নাতী বলেছেন, সেখানে আমি কিভাবে তাকে (ইয়াজিদকে) অভিশাপ দিতে পারি”?</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [www.youtube.com/watch?v=R1qgyHCb0Jw]।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ________________________________</div> <div style="text-align: justify;"> এটিও সম্পূর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট কথা ।</div> <div style="text-align: justify;"> ________________________________</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> উক্ত ইয়াজিদ আসক্ত ব্যাক্তি ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রাঃ) এর নামে সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বানিয়ে  ফেললেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আসুন, দেখে নিই, ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রাঃ)ইয়াযিদ সম্পর্কে ঠিক কি বলেছেন :</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১.</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ইমাম ইবনে হাজার ইয়াজিদের ক্ষমাপ্রাপ্ত হওয়ার ধারণাটিকে ধূলিসাৎ করেছেন :</div> <div style="text-align: justify;"> ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রাঃ) তাঁর তফসীরে, ইয়াজিদের ‘মাগফুর’ বা ক্ষমাপ্রাপ্ত হওয়ার ধারণাটিকে ধূলিসাৎ করেছেন এভাবে , “</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ইবনে মুহলাব বলেছেন যে, এই হাদীসে আমীর মুয়াবিয়ার কথা ইঙ্গিত করা হয়েছে কারন তিনি প্রথম নৌ অভিযান করেছিলেন এবং এই হাদীসে ইয়াযিদের কথাও ইঙ্গিত করা হয়েছে কারন সে প্রথম কাইসারের নগরী আক্রমন করেছিল (এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা কারন ইয়াযিদ প্রথম যুদ্ধে অংশগ্রহন করে নি সে অনেক পরের একটি অভিযানে তার পিতা কর্তৃক শাস্তিস্বরুপ প্রেরিত হয়েছিল- লেখক)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> কিন্তু, ইবনে আল তীন এবং ইবনে আল্ মূনীর এর উত্তর দিয়েছেন এবং বলেছেন যে, ইহা অপরিহার্য নয় যে, ব্যতিক্রম ব্যতিরেকে সকলেই এই ক্ষমাপ্রাপ্তির অন্তর্ভুক্ত কারন উলামায়ে ক্বিরাম তথা জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ সকলেই একমত যে, তারাই এই ক্ষমাপ্রাপ্তির অন্তর্ভুক্ত হবে যারা প্রকৃতই তার উপযুক্ত হবে কারন আক্রমনকারীদের মধ্যে যদি কেউ পরে মুরতাদ হয়ে যায় তাহলে সে আর ক্ষমাপ্রাপ্তগনের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে না এবং এটা প্রমান যে উক্ত হাদীসে উল্লেখিত ক্ষমাপ্রাপ্তির বিষয়টি শর্তাধীন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [ তথ্যসূত্র : ফাতহুল বারী শারাহ সাহীহ বুখারী - ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী – খন্ড নং ৬ – পৃ নং ২০০-২০১ ]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ________________________________</div> <div style="text-align: justify;"> দেখা যাচ্ছে যে, ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রাঃ) যে ধারণাটিকে খন্ডন করলেন উক্ত ইয়াজিদ আসক্ত ব্যাক্তি ঐ ধারণাটিকেই তাঁর নামে চালিয়ে দিলেন।</div> <div style="text-align: justify;"> ________________________________</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ২.</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রাঃ) তাঁর ‘আল ইমতা বিল আরবাঈন’ গ্রন্থের শিরোনামই দিয়েছেন</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;">               ```’ইয়াযীদের প্রতি লা’নত````</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রাঃ) লিখেছেন,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> “ইয়াযীদকে ভক্তি ও তার প্রশংসা ’পথভ্রষ্ট, গোমরাহ ব্যক্তি ছাড়া আর কেউই করে না; আর তার ইমান তথা বিশ্বাস একেবারেই শূন্য। কেননা, ইয়াযীদের এমন সব বৈশিষ্ট্য ছিল যার ভক্ত, অনুরক্ত হলে কুফর তথা কুফরির তথা অবিশ্বাসের যোগ্য হতে হয; কারন, কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে ভালোবাসা এবং কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঘৃণা করাই হল ঈমানের লক্ষণ।”</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [ তথ্যসূত্র : ‘আল-’এমতা বিল্ আরবাঈন আল-মাতবাইনাত আস্ সামা’আ’- ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী; পৃষ্ঠা নং ৯৬, দার আল-কুতুব আল-’এলমিয়্যা, বৈরুত, লেবানন হতে ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৩.</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রাঃ)এর মতে, ইয়াযীদের প্রশংসা কারীকে কুড়িবার দোর্রা মারতে হবে : ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রাঃ) লিখেছেন, “এয়াহইয়া ইবনে আব্দিল মুলক্ বিন আবি গানিয়্যা যিনি ’নির্ভরযোগ্য’ বর্ণনাকারীদের একজন’, তিনি ’নির্ভরযোগ্য’ বর্ণনাকারী নওফল বিন আবি আকরাব থেকে শুনেছেন: একবার খলীফা উমর ইবনে আবদিল আযীয (২য় উমর) এর দরবারে মানুষেরা ইয়াযীদ ইবনে মু’আবিয়া সম্পর্কে আলাপ করছিলেন। ওই সময় একজন লোক ইয়াযীদকে ‘আমীরুল মুমিনিন (ঈমানদারদের শাসক) খেতাবে সম্বোধন করে। এটি শুনে খলীফা ২য় উমর (রাগান্বিত হয়ে) তাকে বলেন, “তুমি ইয়াযীদকে আমীরুল মো’মেনীন ডেকেছ?” অতঃপর তিনি ওই লোকটিকে ২০টি দোর্রা মারার হুকুম দেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [ ‘তাহযিবুত্ তাহযিব’- ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী; খন্ড নং ৬, পৃষ্ঠা নং ৩১৩ ]</div> </div>

ইয়াজিদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী (রহ) এর নামে মিথ্যাচারকারী ড জাকির নায়েকের জবাব :

জাকির নায়েক তার কাজকে সঠিক প্রমান করার জন্য যুক্তি প্রদান করে যে, “ সহীহ বুখারীতে একটি হাদীস আছে যেখানে বলা হয়েছে যে যারা কনস্টান্টি...

Read more »