ভাগ্য বা তকদীরে বিশ্বাস করা ইমান :-

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> Very very Important : আমরা সেই ছোট বেলাতেই "ইমানে মুফাসসাল" নামে একটা কালেমা পড়েছি যার মধ্যে আমরা ইমান এনেছি।<br /> তাই ভাগ্যে বিশ্বাস করার নাম হল ইমান। একটা ফির্কা আছে যারা নাকি ভাগ্যে বিশ্বাস করে না। তাদেরকে কদরীয়া বলে তারা বাতিল একটা ফির্কা। আমাদের আকিদা এটাই যে ভাল মন্দ যা হবে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসবে। আমাদের পাপের দ্বারা আমরা দুর্ভাগ্য অর্জন করি আর পুন্যের দ্বারা ভাল কিছু।<br /> আবার ভাগ্যে খারাপ থাকলে দোয়ার দ্বারা আল্লাহ ভাগ্য পরিবর্তনও করে দেন।<br /> <br /> মানুষ কোন বিপদ বা পাপ করলে বলে ভাগ্যে ছিল বলেই করেছি, কোন শাস্তি বা কষ্ট ভাগ্যে ছিল বলেই পেয়েছি, জাহান্নাম ভাগ্যে ছিল বলেই পাব এসব বলে তারা ভাগ্যকে দোষারোপ করে অথচ সে নিজে জেনে শুনেই নামাজ পড়ে না, দিনে শত শত মিথ্যা বলে, মেয়েদের দিকে খারাপ নজরে তাকায়, টিভি, গান, নাচানাচি, চুরি, ওয়াদার খেলাফ করা, মানুষকে ধোকা দেয়া, এমনকি পদে পদে সে গোনাহ করছে। যা করছে তা ভুল করছে এসব জেনে শুনে, বুঝেও সজ্ঞানে পাপ করে আর শয়তানের অনুসরন করে জাহান্নামে যায় কিন্তু ঠাস করে বলে দেয় ভাগ্য খারাপ ছিল। ভাগ্যকে গাল দেয় এসব মুলত গোনাহের কাজ। যদি নিজে ঠিক না হয়ে ভাগ্যকে বসে বসে দোষ দেন তাহলে কি হবে?<br /> <br /> <br /> ★ইমানে মুফাসসাল ★<br /> <br /> <br /> *** আমানতু বিল্লাহি ওয়া মালা-ইকাতিহি, ওয়া কুতুবিহি, ওয়া রুসুলিহি, ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি, ওয়াল কাদরি খায়রিহি ওয়া শাররিহি মিনাল্লাহি তা-আলা ওয়াল বা'সি বা'দাল মাউত।<br /> <br /> ¤ অর্থঃঃ-আমি ইমান আনলাম-<br /> <br /> (১) আল্লাহর প্রতি,<br /> (২) তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি,<br /> (৩) তাঁর কিতাবগুলোর প্রতি,<br /> (৪) তাঁর রাসূলগণের প্রতি,<br /> (৫) আখিরাতের প্রতি,<br /> (৬) তাকদিরের প্রতি, যার ভালো-মন্দ আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকেই হয় এবং,<br /> (৭) মৃতুর পর পুনরুথানের প্রতি।<br /> <br /> <br /> <br /> প্রশ্ন : যেহেতু তাকদীর পুর্ব হতে র্নিধারন করা থাকে , তাহলে আমার কোন কাজে যদি বিফলতা ভাগ্যে লেখা থাকে , আমি যতই পরিশ্রম করিনা কেন তাতে কি আমার উক্ত কাজ সফলকাম হবে ?<br /> <br /> জবাব :<br /> <br /> <br /> <br /> ★  আল্লামা নাসাফী (রঃ) শারহুল আকাঈদ নামক গ্রন্থে লেখেনঃ<br /> <br /> আল্লাহ তায়া’লা কিছু কাজ মানুষের উপর ছেড়ে দিয়েছেন , যদি কেহ ভাল কাজ করে তাহলে সে সওয়াব পাবে, আর যদি কেউ খারাপ কাজ করে তাহলে তার আযাব ভুগ করতে হবে। সুতরাং যদি কাহারো ভাগ্যে বিফলতা লেখা থাকে তাহলে সে পরিশ্রম তথা ভাল কাজের মাধ্যমে সফলকাম হতে পারে।<br /> <br /> <br /> <br /> ★ হাদিস শরীফে রাসুল (সঃ) ফরমান- "নিশ্চয় আল্লাহ্ তায়ালা আদম (আঃ)- কে সৃষ্টি করলেন, অতঃপর তিনি (তাঁর) ডান হাত দ্বারা আদম (আঃ)-এর পিঠে স্পর্শ করলেন অতঃপর তিনি তার থেকে একটি বংশধর বের করে আনলেন, অতঃপর আল্লাহ্ বললেন, আমি এদেরকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছি, এরা জান্নাতবাসীদের ন্যায় কাজ করবে, পুনরায় তিনি (আল্লাহ্) আদমের পিঠে স্পর্শ করলেন,অতঃপর তিনি তার থেকে আরেকটি বংশধর বের করে আনলেন, তখন আল্লাহ্ বললেন, আমি এদেরকে সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য, এরা জাহান্নামীদের ন্যায় কাজ করে ।"<br /> <br /> Reference :<br /> <br /> ★ তিরমিজি ও<br /> ★ আবু দাউদ শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা-২১<br /> <br /> ★ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে হযরত রাসুল (সঃ)-এর একখানা দীর্ঘ হাদিস বর্ণিত আছে । তার মর্মকথা এই যে, মানুষ তার জন্মের পূর্বে বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে আসে । আর তখনই তার জন্ম-মৃত্যু, ভাল-মন্দের হিসাব লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষিত হয়ে যায় । হাদিস শরীফে আরো আছে- "তকদীর পরিবর্তন হয় না, কিন্তু দোয়া দ্বারা পরিবর্তন হয় ।" (আল-হাদিস)<br /> <br /> ★ পবিত্র কুরআন ও হাদিসের উপরোল্লেখিত বর্ণনা থেকে তকদীর সম্পর্কে দুই প্রকার ধারণা লাভ করা যায় । যথা-<br /> <br /> ১। তকদীর আল্লাহ্ করতিক পূর্ব নির্ধারিত, যা অপরিবর্তনশীল এবং<br /> ২। তকদীর মানুষের কর্মের দ্বারা সৃষ্টি হয়, যা পরিবর্তনশীল ।<br /> <br /> <br /> <br />                        আল-কোরআন থেকে :<br /> <br /> <br /> ★ আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, আয়াত<br /> <br /> وَمَا أَصَابَكُم مِّن مُّصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُو عَن كَثِيرٍ<br /> <br /> "তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন।  (শুরা ৩০)<br /> <br /> <br /> <br /> ★"তোমরা যা কিছু মঙ্গল সবই আল্লাহর দেয়া, আর যা কিছু অমঙ্গল তা তোমার নিজেরই কারণে ।" (সূরা-আন নিসা-৪, আয়াত-৭৯)<br /> <br /> <br /> ★ "একজনের কর্মের জন্য অন্য জন দায়ী নয় ।" (সূরা- বনী ঈসরাইল-১৭, আয়াত- ১৫)<br /> <br /> <br /> <br /> ★ এবং আল্লাহ তায়’লা সূরায়ে রুমে এরশাদ করেন,<br /> <br /> ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ الَّذِي عَمِلُوا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ<br /> <br /> "স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে।" (রুম ৩০: ৪১)<br /> <br /> <br /> ★ পৃথিবীতে বা ব্যাক্তিগতভাবে তোমাদের উপরে যে বিপর্যয় আসে আমি উহা সংগঠিত করিবার পুর্বে উহা লিপিবদ্ধ থাকে; আল্লাহর পক্ষে ইহা খুবই সহজ (৫৭;২২)<br /> <br /> <br /> ★ অদৃশ্য কুঞ্জি (চাবি সমুহ) একমাত্র তাঁহার নিকট রহিয়াছে, তিনি ব্যাতিত অন্য কেহ তাহা জানে না। জলে ও স্থলে যাহা কিছু আছে তাহা তিনি অবগত, তাঁহার অজ্ঞাতসারে একটি পাতাও পড়ে না। মৃত্তিকার অন্ধকারে এমন কোন শস্যকনাও অঙ্কুরিত হয় না অথবা রসযুক্ত কিংবা শুস্ক এমন কোন বস্তু নাই যাহা সুস্পস্ট কিতাবে নাই (৬;৫৯)<br /> <br /> <br /> ★ আমারই নিকট আছে প্রত্যেক বস্তুর ভান্ডার এবং আমি উহা পরিজ্ঞাত পরিমানেই সরবরাহ করিয়া থাকি (১৫;২১)<br /> <br /> <br /> ★... আল্লাহ যাহাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী , প্রজ্ঞাময়। (আল-কোরআন)<br /> <br /> <br /> ★ বল, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ। তুমি যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর এবং যাহার নিকট হইতে ইচ্ছা ক্ষমতা কাড়িয়া লও; যাহাকে ইচ্ছা তুমি ইজ্জত দান কর, আর যাহাকে ইচ্ছা তুমি হীন কর। কল্যান তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। (আল-কোরআন)<br /> <br /> <br /> ★ মানুষ কর্ম ও চেস্টায় ভাগ্য পরিবর্তন হয়ঃ (আল - কোরআন)<br /> <br /> <br /> ★... এবং আল্লাহ কোন সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষন না উহারা নিজ অবস্থা নিজে পরিবর্তন করে ...।(১৩;১১)<br /> <br /> <br /> ★... কাহাকেও আমি প্রেথিত করিয়াছিলাম ভুগর্ভে এবং কাহাকেও করিয়াছিলাম নিমিজ্জিত। আল্লাহ তাহাদের প্রতি জুলুম করে নাই; তাহারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করিয়াছিল। (২৯;৪০)<br /> <br /> <br /> ★ ... অতঃপর উহা আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করল , ফলে তাহারা যাহা করিত তজ্জন্য আল্লাহ তাহাদেরকে স্বাদ গ্রহন করাইলেন ক্ষুধা ও ভীতি আচ্ছাদনের। (১৬;১২২)<br /> <br /> <br /> ★ ... যে সতকর্ম করে সে নিজের কল্যানের জন্যই উহা করে এবং কেহ মন্দ কর্ম করিলে উহার প্রতিফল সে-ই ভোগ করিবে। তোমার প্রতিপালক তাঁহার বান্দাদের প্রতি জুলুম করেন না(৪১;৪৬)<br /> <br /> <br /> ★ আমি তাহাকে পথের নির্দেশ দিয়াছি, হয় সে কৃতজ্ঞ হইবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হইবে। (৭৬;৩)<br /> <br /> <br /> ★ বল, সত্য তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে ; সুতরাং যাহার ইচ্ছা বিশ্বাস করুক ও যাহার ইচ্ছা সত্য প্রত্যাখ্যান করুক ... (১৮;২৯)</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgzeZLMBmF-MPcazfACeK8_By3qvDyLovvrGolfMuOgiSiuwNPHJqPMf_aKWwCH-b8oIgnmGmN3FvQ0KQ97RMHqxSy9YPxLDxI9HWDdMDljL2PpYjhF7MnsuDU4agzDVz2JwsmuXSJEJ1U/s1600/PicsArt_1434219785626.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgzeZLMBmF-MPcazfACeK8_By3qvDyLovvrGolfMuOgiSiuwNPHJqPMf_aKWwCH-b8oIgnmGmN3FvQ0KQ97RMHqxSy9YPxLDxI9HWDdMDljL2PpYjhF7MnsuDU4agzDVz2JwsmuXSJEJ1U/s640-rw/PicsArt_1434219785626.jpg"> </a> </div>

ভাগ্য বা তকদীরে বিশ্বাস করা ইমান :-

Very very Important : আমরা সেই ছোট বেলাতেই "ইমানে মুফাসসাল" নামে একটা কালেমা পড়েছি যার মধ্যে আমরা ইমান এনেছি। তাই ভাগ্যে বিশ্বা...

Read more »

মহিলাদের কবর জিয়ারত (Visiting graves by women) :-

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;">এ সম্পর্কে কিছু কথা :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">১) মহিলারা পর্দা ঠিক রেখে জিয়ারত করতে পারবে।</div><div style="text-align: justify;">২) পর্দা নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকলে জিয়ারত করতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আছে।</div><div style="text-align: justify;">৩) নবীগন ও অলীগনের মাযার এবং মা-বাবা,ভাই-বোন,স্বামী, চাচা-চাচী এক কথায় নিকট আত্মীয়দের কবর ফজিলতের জন্য ও মায়া-মুহাব্বতের জন্য জিয়ারত করা যাবে।</div><div style="text-align: justify;">৪) হাদিসে মহিলাদের খুব ঘন, ঘন কবর জিয়ারতে নিষেধাজ্ঞা এসেছে এবং শুধুমাত্র তাদেরই লানত করা হয়েছে।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">Main Concept :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ It is permitted for women to visit a graveyard, if there is (a) no fear of fitna and (b) no wailing or excessive lamenting. [Ibn `Abidin, Radd al-Muhtar]</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">→→→ 1.Those who object to the visitation of graves by women use three hadiths :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">as their proof, two of these being the weak-chained narrations,</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">(a) "Allah curses the women who visit the graves"1 (la`ana Allahu zâ'irât al-qubûr) [weak]</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">Authenticity :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Narrated from Abu Hurayra by Ibn Hibban in his Sahih (7:452 #3178) with a weak chain because of `Umar ibn Abi Salama ibn `Abd al-Rahman al-Zuhri who is weak as stated by al-Arna'ut and Ma`ruf in Tahrir al-Taqrib (3:74 #4910).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Also narrated from Hassan ibn Thabit from the Prophet - Allah bless and greet him - by Ibn Abi Shayba (3:31) with a weak chain because of `Abd al-Rahman ibn Bahman who is of unknown rank as a narrator (majhûl).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★  The hadith itself is acceptable as "fair due to witness and corroborating chains and versions" (hasan lighayrih) as stated by al-Arna'ut in the Musnad (5:128 n. 2).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">(b) "Allah curses the women who visit the graves and take them for places of worship and candles,"2 the third one being, (Weak)</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">Authenticity :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Abu Dawud,</div><div style="text-align: justify;">★ al-Nasa'i</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">হাদীসটির সনদ বা সূত্রগত সমস্যা :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">1.  বিশিষ্ট ওয়াহাবী হাদীসবিদ নাসিরউদ্দীন আলবানী ইবনে আব্বাসের হাদীসটি উল্লেখের পর বলেছেন,‘ এ হাদীসটি আবু দাউদ ও অন্যরা বর্ণনা করেছেন কিন্তু সনদের দিক থেকে তা দুর্বল (অর্থাৎ তাতে কয়েকজন দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছেন)। যদিও পূর্ববর্তী আলেমদের অনেকেই উক্ত হাদীসের ভিত্তিতে কথা বলেছেন কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই সত্যকে বলতে হবে ও তার অনুসরণ করতে হবে।’</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">2. এ হাদীসটিকে যারা দুর্বল বলেছেন তাদের মধ্যে মুসলিমও রয়েছেন। তিনি তার‘ আত তাফসীল’ গ্রন্থে বলেছেন : হাদীসটি নির্ভরযোগ্য নয়। যেহেতু হাদীসটির সনদে আবু সালিহ বাজাম রয়েছে,হাদীসবিদগণ তা গ্রহণে আপত্তি করেছেন। ইবনে আব্বাস হতে বর্ণনাকারী রাবীর ব্যাপারেও সন্দেহ রয়েছে যে ইবনে আব্বাস হতে এ হাদীসটি শুনেছে কিনা বা শুনার সম্ভাবনা ছিল কিনা?</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">3. নাসিরুদ্দিন আলবানী  বলেছেন : উক্ত হাদীসটি যে দুর্বল আমি আমার‘ আল আহাদিসুজ জায়িফা ওয়াল মাওজুয়া ও আসারু হাস সাইয়ি ফিল উম্মাহ’ গ্রন্থে তা প্রমাণ করেছি। হাদীস শাস্ত্রবিদদের কেউই আবু সালিহ বাজামের বর্ণিত হাদীসসমূহ হতে প্রমাণ উপস্থাপন করেন না। কারণ তাদের নিকট সে দুর্বল বর্ণনাকারী এবং কেউই তাকে বিশ্বস্ত বা নির্ভরযোগ্য বলেন নি। তবে ইবনে হাব্বান ও আজলী তাকে নির্ভরযোগ্য বললেও তারা উভয়েই অতি উদারতার দোষে দুষ্ট। অন্য কোন সূত্রে বর্ণিত কোন সমর্থক হাদীসও আমরা এক্ষেত্রে পাই না</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">→→→ Explaination of Above 2 hadiths : Actually Prophet (sm) cursed about whom?</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">(c) There are numerous hadith that have been narrated by Sayyiduna Abu Hurairah (RA) and Sayyiduna Hassan ibn Thabit that are authentic, but the subtle difference is in the word used for female visitors of graves. These are the hadith:</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"> "Allah curses the women who````` frequently````` visit the graves"  (la`ana Allahu zawwârât al-qubûr). [Sahih]</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">So we can deduce from this that the ahadith that state زَوَّارَاتِ ‘women who frequently visit graves’ is more authentic and should be practiced upon and that the hadith that state زَائِرَاتِ ‘women who visit graves’ is weak and cannot be used as a proof for the prohibition.</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Sunan al-Tirmidhî (1056) and</div><div style="text-align: justify;">★ Sunan Ibn Mâjah (1576)] This hadîth is at least good (hasan), and it is supported by other narrations to the level of being authentic (sahîh).</div><div style="text-align: justify;">★ Ahmad; from Ibn `Abbas by Ibn Majah with a weak chain because of Abu Salih; and from</div><div style="text-align: justify;">★ Hassan ibn Thabit by Ibn Majah and Ahmad with a weak chain because of `Abd al-Rahman ibn Bahman. Note: Ibn Majah's versions have zuwwârât</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">Evidence that women should not frequent visits to the graveyard :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">1. Abû Hurayrah relates that the Prophet (peace be upon him) cursed the women who are frequent visitors of the graves.” [Sunan al-Tirmidhî (1056) and Sunan Ibn Mâjah (1576)] This hadîth is at least good (hasan), and it is supported by other narrations to the level of being authentic (sahîh).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">2. Hassân b. Thâbit relates: “Allah’s Messenger (peace be upon him) cursed the women who are frequent visitors of the graves. [Sunan Ibn Mâjah (1574)] Al-Albânî declares this hadîth to be acceptable (maqbûl) and sufficient for strengthening the hadîth of Abû Hurayrah to the level where it is authetic (sahîh).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">→→→ Explaination & Clearification of these above hadiths :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★ the sense that the curse does not concern women who visit the graves in absolute terms, but only those women who both</div><div style="text-align: justify;">(1) visit excessively and</div><div style="text-align: justify;">(2) commit certain reprehensible acts during visitation as stated</div><div style="text-align: justify;">by al-Tirmidhi, al-Baghawi, al-Tahawi, al-Qurtubi, and others</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">Reference :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ al-Tirmidhi in his Sunan after narrating the hadith of zawwârât from Abu Hurayra;</div><div style="text-align: justify;">★ al-Tahawi in Sharh Mushkil al-Athar (12:179-186);</div><div style="text-align: justify;">★ al-Baghawi in Sharh al-Sunna (2:417, 5:464); and</div><div style="text-align: justify;">★ al-Qurtubi in his Tafsir (20:170),</div><div style="text-align: justify;">★ al-Shawkani in Nayl al-Awtar (chapters on burial and the rulings pertaining to graves).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ On this basis, al-Albânî said: “It therefore becomes clear regarding this hadîth that the properly preserved wording is “frequent visitors”, since this is what is agreed upon in the hadîth of Abû Hurayrah and the hadîth of Hassân, as well as the narration of the majority of narrators of the hadîth of Ibn `Abbâs.”</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">He then says: “The word zawwârât indicates that the curse is directed only at women who visit the graves excessively and no one else. Therfore, this hadîth cannot be used to contradict the previously mentioned hadîth that indicate it is encouraged for women to visit the graveyard, because this hadîth is specific and those hadîth are general. Each hadîth, therefore, must be applied to its own context.”</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">He explains the reason why women should not visit the graves excessively: “This could lead them to fall into something that is contrary to Islamic teachings, like wailing, making a public display of themselves, taking the graves as places or relaxation and holiday, or wasting time in idle conversation. This is just like the situation that we see today in some Muslim countries. This is what is meant by the hadîth.”</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">[Refer to: al-Albânî, Ahkâm al-Janâ’iz wa Bada`uhâ (229-237)]</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">This Narration comes  from different narration both Sahih-Hasan</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">Clearify this Hadith More :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Imam Al-Qurtubi said: "The curse mentioned in this hadith applies only to those women who visit graves frequently. The reason for this curse lies perhaps in the fact that it involves infringement of the rights of the husband, and leads to adornment and exhibition of their beauty to strangers, and shouting, yelling, and other similar things." It may be said that, "If no such harm is feared from women visiting graves, then there is no valid reason for preventing them from visiting graves, for indeed remembrance of death is something that both men and women equally need.</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Sayyid al-Rifa`i, the above narrations "agreed-upon the Law" for the prohibition of women from visiting graves in Islam. But Accordingly, the majority of the Ulema concur that women are permitted to visit the graves.</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">→→→ women are permitted to visit the graves :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">if there is no danger of temptation and sin.This is established by the following proofs:</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিসে কবর জিয়ারত করার আদেশ দিয়েছেন কিন্তু মহিলাদের এখানে কোন নিষেধও করেন নি।এই আদেশ পুরুষ মহিলা সবার জন্যই।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ সুনানে ইবনে মা’জাতে ইবনে মাসউদের ভাষায়:-</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">اِنَّ رَسُولَ الله (ص) قال : کُنتُ نَهَيتُکُم عَن زيارة القُبورَ فَزُوُروها فَا نَّها تُزَهِّدُ في الدّتيا و تُذَ کِّرُ فِي الآخِرَة</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">নিশ্চয়ই রাসূনুল্লাহ (সাঃ) বলেন :- আমি (ইতিপূর্বে ) তোমাদেরকে কবর যিয়ারতে নিষেধ করেছিলাম, এখন এগুলোর যিয়ারতে যাও। কারণ কবর যিয়ারত, পৃথিবীতে সংয়ম ও আখারাতের স্মরণ আনয়ন করে।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">Reference :</div><div style="text-align: justify;">♦সহী মুসলিম, হাদীস ৯৭৭,</div><div style="text-align: justify;">♦সুনানে নাসাঈ, খঃ৪ পৃঃ৮৯,</div><div style="text-align: justify;">♦সূনানে ইবনে মা’জা খঃ১ পৃঃ৫০০-৫০১,</div><div style="text-align: justify;">♦সুনানে তিরমিযি খঃ৪ পৃঃ২৭৪,</div><div style="text-align: justify;">♦সুনানে আবি দাউদ, হাদীস ৩২৩৫,</div><div style="text-align: justify;">♦মোয়াত্তা মালিক খঃ২ পৃঃ৪৮৫]</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">English Translation :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★ The Prophet - Allah bless and greet him - said: "I forbade you to visit the graves but [now] do visit them!"</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Narrated as part of a longer hadith: from Burayda by Muslim, al-Tirmidhi (hasan sahîh), ★ Abu Dawud, al-Nasa'i,</div><div style="text-align: justify;">★ Abd al-Razzaq (3:569), and others;</div><div style="text-align: justify;">★ from Abu Sa`id al-Khudri by Ahmad with a chain of sound narrators as stated by al-Haythami (3:58),</div><div style="text-align: justify;">★ Malik, al-Hakim (1990 ed. 1:530) who declared it sound by Muslim's criterion,</div><div style="text-align: justify;">★  al-Bayhaqi in al-Sunan al-Kubra (4:77 #6984),</div><div style="text-align: justify;">★  al-Bazzar with a chain of sound narrators as stated by al-Haythami (3:58); from</div><div style="text-align: justify;">★ Ibn Mas`ud by Ibn Majah,</div><div style="text-align: justify;">★ al-Daraqutni in his Sunan (4:259),</div><div style="text-align: justify;">★ Abd al-Razzaq (3:572-573),</div><div style="text-align: justify;">★ Ibn Hibban (3:261),</div><div style="text-align: justify;">★ al-Hakim (1990 ed. 1:531),</div><div style="text-align: justify;"> ★ al-Bayhaqi in al-Sunan al-Kubra (4:77 #6983) all with weak chains according to al-Arna'ut;</div><div style="text-align: justify;">★ from Anas by Ahmad and al-Bazzar with chains containing al-Harith ibn Nabhan who is weak according to al-Haythami (4:27),</div><div style="text-align: justify;">★ al-Hakim (1990 ed. 1:531-532), and</div><div style="text-align: justify;">★ al-Bayhaqi in al-Sunan al-Kubra (4:77 #6984).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★ A'isha - Allah be well-pleased with her - said: "The Prophet - Allah bless and greet him - forbade the visitation of graves then permitted it, and I think he said: `For, truly, they remind you of the hereafter.'"</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Narrated by al-Bazzar with a chain of trustworthy narrators as stated by al-Haythami (3:58).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★ According to the relation of Abu Hurayra, the Messenger of Allah (pbuh) stated as follows:</div><div style="text-align: justify;">“Visit the graves because it reminds you of the hereafter.”</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Ibn Majah, Janaiz: 47.</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★ the Prophet (peace be upon him) said:</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">"I [once] had forbid you from visiting graves, [and I now enjoin] you to do so, so that the visit may serve as a beneficial reminder." (related by Muslim and others)</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">and in the version of al-Haakim:</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★  "… for [such visits] soften the heart, bring tears to the eyes, and serve as a reminder of the Hereafter, [but be careful] not to speak forbidden expressions [i.e. while visiting]." (Sahih al-Jaami' 4584)</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★ According to the relation of Ibn Mas’ud, the Messenger of Allah (pbuh) stated as follows:</div><div style="text-align: justify;">“I had forbidden you to visit the graves. Visit the graves from now on. It is because visiting the graves makes you consider the world unimportant and reminds you of the hereafter.”</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Ibn Majah, Janaiz: 47.</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">                             CLEAR EVIDANCE :-</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">→→→  মাতা আমেনা (রা) নিজে শিশু মুহাম্মদ(সা) কে নিয়ে হযরত আব্দুল্লাহ (রা) এর মাযার জিয়ারত করেন।সে সময়</div><div style="text-align: justify;">মাতা আমেনা(রা) এর হৃদয় বিদারক বানীটি ছিল :-</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">হে আব্দুল্লাহ! দেখ তোমার ঔরসে কি মহারত্ন জন্মগ্রহণ করেছে।এই সে তোমার একমাত্র পুত্র তোমার সাক্ষাতে এসেছে।”</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">→→→ রাসূল (সাঃ)-এর কবরের সর্বপ্রথম বিয়ারতকারী ছিলেন হযরত মা ফাতেমা (আ) :-</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">ইবনে জাওযী নিজ সনদে আলী (আঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে বলেনঃ যখন রাসূল (সাঃ)-কে সমাহিত করা হলো তখন হযরত ফাতেমা (ছাঃ) কবরের নিকট আসলেন ; কিছু সময় দাঁড়ালেন, অতঃপর এক মুষ্ঠি মাটি কবর থেকে তুলে নিলেন ও চোখে মাখলেন এবং নিম্নলিখিত পংক্তিগুলো পাঠ করলেন।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">ما ذا عَلي مَن شَمَّ تُر بَةً اَحمَدٍ أن لا يَثُمَّ مَدَي الزَّمانِ غَواالياً صُبَّت عَلَيَّ مَصَائِبٌ لو اَنَّها صُبَّت عَلَي اَلأ يّام عُزنَ لَيا لِيًا</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">“ আহমাদের মাটির সুগন্ধ যে করেছে আঘ্রান কি-এমন দুঃখ তার যদি দু’জাহানের সুগন্ধ না হয় আস্বাদন আমার উপর এসেছে যে মুসিবাত যদি দিবসের উপর আসতো তবে তা হয়ে যেত রাত!”</div><div style="text-align: justify;">Reference :</div><div style="text-align: justify;">♦ ইবনে জাওযী উক্ত হাদিসটি বর্ননা করেন।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">→→→ মা ফাতেমা (আ) রাসুল (সা) এর চাচা হযরত আমির হামজা (রা) এর মাযার প্রতি শুক্রবারে জুমার দিন জিয়ারত করতেন। (সেজন্য ওনি মদীনা থেকে ৩ মাইল দুরে অবস্থিত ওহুদের প্রন্তরে যেতেন)</div><div style="text-align: justify;">Reference :-</div><div style="text-align: justify;">♦ ইমাম বায়হাকী (রহ) : আস-সুনুনুল কুবরা : ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা ৭৮,</div><div style="text-align: justify;">হাদিস ৪৯৯৯।</div><div style="text-align: justify;">♦ উমদাতুল ক্বারী ফি শরহে বুখারী ৮ম খন্ড ২৫০ পৃষ্ঠা।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">→→→ উম্মুল মুমেনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা) মক্কায় অবস্থিত তাঁর ভাই হযরত আব্দুর রাহমান বিন আবু বকর (রা) এর কবরের উপর গম্বুজ নির্মাণ করেন এবং ওনার কবর জিয়ারত করতে মদীনা থেকে ৫০০ কিলোমিটার দুরে মক্কায় যেতেন। ৫৮ হিজরি উম্মুল মুমেনিন হযরত আয়েশা (রা) এর ওফাতের আগ পর্যন্ত এই আমল ছিল।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">Reference :-</div><div style="text-align: justify;">♦ মুস্তাদরেকে হাকিম ১ ম খন্ড, পৃষ্টা ৫৩২,হা: ১৩৯৪</div><div style="text-align: justify;">♦ উমদাতুল ক্বারী ফি শরহে বুখারী ৮ম খন্ড ২৫০ পৃষ্ঠা।</div><div style="text-align: justify;">♦ মুন্তাকা শরহে মুয়াত্তায়ে ইমাম মালেক।</div><div style="text-align: justify;">♦ বাদায়ে সানায়ে।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★ A'isha asked: "What should I say, O Messenger of Allah [at al-Baqi`]?" He replied: "Say: `Greeting to you, O people of the abodes among the men and women believers! May Allah grant mercy to those of you and us who went ahead and those who tarried back! Truly we shall - if Allah wills - join up with you.</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">[part of a longer hadith by Muslim and al-Nasa'i.]</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">→→→ বিখ্যাত হাদীস বিশারদ, হাফিজে হাদীস আল্লামা হযরত বদরুদ্দীন আইনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেছেন-</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">لان السيدة فاطمة رضي الله عنها كنت تزور قبر حمز كل جمعة و كانت عايشة رضي الله عنها تزور قبر اخيها عبد الرحمن بمكة كذا</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">অর্থ: হযরত সাইয়্যিদা ফাতিমাতুয যুহরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা প্রতি শুক্রবার হযরত হামজা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার কবর যিয়ারত করতে যেতেন, অনুরূপ ভাবে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা স্বীয় ভাই আব্দুর রহমান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার কবর যিয়ারত করার জন্য মক্কা শরীফ যেতেন।”</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">Reference :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">♦ উমদাতুল ক্বারী ফি শরহে বুখারী ৮ম খন্ড ২৫০ পৃষ্ঠা।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★ Imam Ja`far al-Sadiq narrated with his chain from al-Hasan ibn `Ali that Fatima the daughter of the Prophet (durud)- (may Allah be well-pleased with all of them)! -</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">used to visit the grave of her uncle Hamza ibn `Abd al-Muttalib every Jumua.1</div><div style="text-align: justify;">and she used to pray and weep there.2</div><div style="text-align: justify;">Another version adds that she had marked the grave with a rock in order to recognize it.3</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">Reference :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">1 Narrated to here from Ja`far ibn Muhammad, from his father, without mention of al-Hasan by `Abd al-Razzaq (3:572) with an interrupted (munqati`) chain.</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">2. Narrated by al-Hakim (1990 ed. 1:533, 3:30) who declared its chain sound, al-Bayhaqi, al-Sunan al-Kubra (4:78), and Ibn `Abd al-Barr in al-Tamhid (3:234) although al-Dhahabi condemns it strenuously while al-Bayhaqi alludes to its weakness.</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">3. Al-Athram and Ibn `Abd al-Barr narrated it as mentioned by al-Qurtubi in his Tafsir (10:381); also `Abd al-Razzaq (3:574) with a very weak chain because of al-Asbagh ibn Nubata, who is discarded (matrûk) as a narrator.</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★ Al-Bayhaqi, Ibn Hajar and al-Nawawi said that the above narrations show that it is permitted for women to visit the graves in confirmation of````` `A'isha's visitation of her brother.``````</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Al-Bayhaqi, al-Sunan al-Kubra (4:78),</div><div style="text-align: justify;">★ Ibn Hajar, Fath al-Bari (1959 ed. 3:184);</div><div style="text-align: justify;">★ al-Nawawi, Sharh Sahih Muslim (7:41-42).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★ Hadrat Abdallah ibn Abi Mulaikah (r.a.) is also reported to have said,</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">"Once Aishah (the wife of the Prophet) returned after visiting the graveyard. I asked, 'O Mother of the Believers, where have you been?'</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">She said: 'I went out to visit the grave of my brother Abd ar-Rahman.'</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">I asked her: 'Didn't the Messenger of Allah, peace be upon him, prohibit visiting graves?'</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">She said, 'Yes, he did forbid visiting graves during the early days, but later on he ordered us to visit them'."</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Sunan Ibn Majah, 4: 439</div><div style="text-align: justify;">★ Abd al-Razzaq (3:518) and</div><div style="text-align: justify;">★ Ibn `Abd al-Barr in al-Tamhid (6:261).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Abu Ya`la (8:284) with a sound chain,</div><div style="text-align: justify;">★ Mustadrak al-Hakim (1990 ed. 1:532),</div><div style="text-align: justify;">★ al-Bayhaqi in al-Sunan al-Kubra (4:78 #6993)</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Ibn Hajar, Fath al-Bari (1959 ed. 3:184);</div><div style="text-align: justify;">★ al-Nawawi, Sharh Sahih Muslim (7:41-42).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★ Ibn `Abd al-Barr mentions that Imam Ahmad adduces this report as proof that women are permitted to visit the graves.</div><div style="text-align: justify;">** Ibn `Abd al-Barr, al-Tamhid (3:234).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★ A'isha visited came to Mecca after her brother's death saying, "Where is the grave of my brother?" Then she came to the grave and prayed over him, a month after his death.</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">** (Ibn Abi Mulayka by al-Bayhaqi in al-Sunan al-Kubra 4:49).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★ Another version states that Ibn Abi Mulayka said: "`A'isha's brother died six miles away from Makka, so we carried him until we reached Makka and buried him there. `A'isha came to us after that and reproached us for doing so. Then she said: `Where is the grave of my brother?' We showed it to her and she alighted in her howdah and prayed at his grave."</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ Abd al-Razzaq (3:518) and</div><div style="text-align: justify;">★`Abd al-Barr in al-Tamhid (6:261).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">→→→ উম্মল মুমেনিন হযরত সাইয়্যেদাহ আয়েশা (রা:) নিজে রাসুলুল্লাহ (সা) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করতেন :-</div><div style="text-align: justify;">তিনি বর্ণনা করেন:-</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">যে ঘরে মহানবী (দ:) ও আমার পিতা (আবূ বকর – রা:)-কে দাফন করা হয়, সেখানে যখন-ই আমি প্রবেশ করেছি, তখন আমার মাথা থেকে পর্দা সরিয়ে ফেলেছি এই ভেবে যে আমি যাঁদের যেয়ারতে এসেছি তাঁদের একজন আমার পিতা ও অপরজন আমার স্বামী। কিন্তু আল্লাহর নামে শপথ! যখন হযরত উমর ফারূক (রা:) ওই ঘরে দাফন হলেন, তখন থেকে আমি আর কখনোই ওখানে পর্দা না করে প্রবেশ করি নি; আমি হযরত উমর (রা:)-এর প্রতি লজ্জার কারণেই এ রকম করতাম।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">Reference :-</div><div style="text-align: justify;">♦ মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, ৬ষ্ঠ খণ্ড, ২০২ পৃষ্ঠা, হাদীসঃ ২৫৭০১</div><div style="text-align: justify;">♦ আল-বাছায়ের ৭৯</div><div style="text-align: justify;">♦ মোস্তাদরাক আল-হাকিম, হাদীসঃ ৩/৬৩, হাদিস ৪৪০৬</div><div style="text-align: justify;">♦ মোস্তাদরাক আল-হাকিম, হাদীসঃ ৪/৮, হাদিস ৬৭২১</div><div style="text-align: justify;">♦ যুরকাশী : আল-ইজাবাহ : হাদিস - ৬৮</div><div style="text-align: justify;">♦ হাইছমী : মাজমাউল যাওয়ায়েদ : ৮/২৬ এবং ৯/৩৭ পৃ</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">সনদ পর্যালোচনা :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">♦ ইমাম নূরুদ্দীন হায়তামী (রহ:) এই হাদীসটি সম্পর্কে বলেন:</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এটি ইমাম আহমদ (রহ:) কর্তৃক বর্ণিত এবং এর বর্ণনাকারীরা সবাই সহীহ।</div><div style="text-align: justify;">— মজমাউয্ যাওয়াইদ, ৯:৪০, হাদীসঃ১২৭০৪</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">♦ ইমাম আল-হাকিম (রহ:) এটি বর্ণনা করার পর বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এই হাদীসটি বোখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ।</div><div style="text-align: justify;">— মোস্তাদরাক আল-হাকিম, হাদীসঃ ৩/৬৩, হাদিস ৪৪০৬</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">♦ ইমাম হাইছমী বলেন, উক্ত হাদিসের বর্ননাকারীগন সহিহ হাদিসের রাবী।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">♦ ইমাম জরকশী বলেন, এ হাদিস বুখারী ও মুসলিম এর শর্তানুযায়ী সহিহ।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">♦ নাসিরুদ্দীন আলবানী আল-মোবতাদি আল-মাশহুর (কুখ্যাত বেদআতী) এই হাদীসকে মেশকাতুল মাসাবিহ গ্রন্থের ওপর নিজ ব্যাখ্যামূলক ‘তাখরিজ’পুস্তকে সমর্থন করেছে (# ১৭১২)।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★★★ When the Prophet (SAW) found a woman crying in the graveyard, he did not chase her out of the graveyard, but told her not to cry. Anas ibn Maalik related that once the Prophet (SAW) passed by a woman crying beside a grave and said to her, "Fear Allah and be patient."</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">[Sahih Al-Bukhari, vol.2, p.208, #372;</div><div style="text-align: justify;">Sahih Muslim, vol.2, p.439, #2013]</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">After mentioning this hadith under the heading Visiting Graves,</div><div style="text-align: justify;">★ Ibn Hajar said: There are Some scholars disagreed regarding women visiting graves. The majority held that they are included in the general permission for visiting graves [if there is no danger of corruption]. The ruling permitting women to visit graves is supported by hadith. The source of evidence in the hadith is the fact that he(SAW) did not censure the woman for sitting beside the grave, and whatever he approves is proof [of it's permissibility]. [Fat-hul-Baaree, vol.4, p.244]</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">→→→ Proves by Fatowa from the scholars (ইমামগনে ফতোয়া) :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">Banglali :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ কোনো কোনো আলিম বলেন- যিয়ারতের ব্যাপারে নারী-পুরুষের কোনো ব্যবধান নেই। (শরহুয যুরকানী-আ’লাল মাওয়াহিব-১২/১৮৩)</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ বিখ্যাত মুহাদ্দিস , হাফিযে হাদিস , আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">اعلم ان استحباب زيارة القبور قد ثبت بهذه الا حاديث ال جال والنساء جميعا وقد اختلفوا في النساء</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">অর্থ : জেনে রাখুন পুরুষ ও মহিলাদের জন্য কবর যিয়ারত এ সকল হাদীসের রায় অনুযায়ী মোস্তাহাব প্রমানিত, তবে মহিলাদের ব্যাপারে মতানৈক্য আছে | “</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">দলীল-</div><div style="text-align: justify;">√ ফতহুল বারী ফি শরহে বোখারী ৩য় খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা |</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ ইবনে হাজার আসকালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন–</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">ولا تترك لما يحصل عندها من منكراتو مفا سد كختلاط الرجال بالنساء وغير ذلك لان القربات لا تترك لمثلذلك بل علي الا نسان فعلها و انكار البدع بل و ازالتها ان امكن</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">” সেখানে যদি শরীয়ত বিরোধী কাজ পরিলক্ষিত হয়, যেমন মহিলা পুরুষ একত্র মিশ্রন, তথাপি কবর যিয়ারত ত্যাগ করা যাবে না। বরং মানুষের নব উদ্ভাবিত( বিদয়াত) কাজকে দূর করতে হবে।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">দলীল–</div><div style="text-align: justify;">√ দুররুল মোখতার ২য় খন্ড ২৪২ পৃষ্ঠা !</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ আর মহিলাদের যিয়ারতের ব্যাপারে বিভিন্ন মত আছে। যেহেতু মহিলাদের ব্যাপারে বেপর্দা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে , এছাড়া তাদের দ্বারা বিভিন্ন বিলাপ , ক্রন্দন ইত্যাদি হয়ে থাকে তাই এদের ব্যাপারে ইমাম মুস্তাহিদ গন মাকরুহ ফতোয়া দিয়েছেন !</div><div style="text-align: justify;">তবে যদি পর্দার খেলাপ না হয় এবং অন্যান্য শরীয়তের খিলাপ কিছু না হয় তবে মহিলারাও যিয়ারত করতে পারবে !</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">দলীল–</div><div style="text-align: justify;">√ শামী</div><div style="text-align: justify;">√ মারাকিউ ফালাহ</div><div style="text-align: justify;">√ শরহে সুন্নাহ</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">English :</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ As mentioned by these scholars, the allowance for these women to visit the cemetery is based on the narration which states that Aisha (RA) used to visit the graves of the Prophet(SA), Abu Bakr and Umar (RA). (Hashiya Jamiul Masaaneed wa As Sunan). (Kitabul Fatawa vol.3 pg.228; Marghoobul Fatawa vol.3pg.317,317).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ If a female visits the grave to remember death and soften without crying there is nothing wrong if they are old. It is Makrooh (disliked) if they are young (Shaami vol. 1 p. 665 – Maajidiyya)</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ It is stated in one of the foremost references for Fatawa in the Hanafi School Al-Fatawa al-Hindiyya:</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ The Scholars differed about women visiting graves. Imam al-Sarakhsi (Allah have mercy on him) said: The most correct opinion is that it is not wrong. (al-Fatawa al-Hindiyya, V.5, p. 350).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">★ The great Hanafi jurist, Allama Ibn Abidin (Allah have mercy on him) states in his Radd al-Muhtar:</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">The soundest opinion in the School is that it is permissible for women to visit the graves. Al-Ramali said: If they visit graves to renew their sorrows, or to cry and wail, as is the customary practice of many, then it is not permissible. This is how the Prophetic Hadith Allah has cursed women who visit graves is understood. However, if they visit for contemplation, compassion and seeking Baraka, then it is not wrong if they are elderly. It is disliked if they are young (V.2, P.242).</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div> <div style="text-align: justify;"><br /></div></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjwc2cs5S9xtWj4fXueZxYbeY_veNTdhIGGqKg29Xg-voq0I5WcznQNbSBUYPDpuJBGmWWHHYGoQ4tF8l4Q7jCsY7XkoDByrLY1apSSHwRr3BhIbQlBYCIW8sPNUGkD2ntgcWb0k_TF1aM/s1600/Helpful-Tips-to-Keep-on-Prayer.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjwc2cs5S9xtWj4fXueZxYbeY_veNTdhIGGqKg29Xg-voq0I5WcznQNbSBUYPDpuJBGmWWHHYGoQ4tF8l4Q7jCsY7XkoDByrLY1apSSHwRr3BhIbQlBYCIW8sPNUGkD2ntgcWb0k_TF1aM/s640-rw/Helpful-Tips-to-Keep-on-Prayer.jpg" /> </a> </div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiBwHP9v4eABj2wKmV857KO8RFUhXFUZ9XPonoH6MehzZ2X3b7VQYCJi04D0o6zpXQJv8BSKJcUKeN_uN3-wIXo2JgLIhduJ3hWM-0tAcHEUT9GhqGjKxdA1tXQfQ5rjJAaxnCh-QiL_zQ/s1600/PicsArt_1431685883540.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiBwHP9v4eABj2wKmV857KO8RFUhXFUZ9XPonoH6MehzZ2X3b7VQYCJi04D0o6zpXQJv8BSKJcUKeN_uN3-wIXo2JgLIhduJ3hWM-0tAcHEUT9GhqGjKxdA1tXQfQ5rjJAaxnCh-QiL_zQ/s640-rw/PicsArt_1431685883540.jpg" /> </a> </div> </div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh3yqvhH_-DmDjKVBI1vKpB0JH_YUruKgjmR-mdgI_b0NPKH72PMuvq2-PYroMUXAg1YWaAK6V79NSuxxWcG1PI3O0ZnQc5dvPJ7xj0xYwffmB6Yd4oVbLUKFPwx3ead3qO7pxbEO_rRbs/s1600/women_burqa_mazar.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh3yqvhH_-DmDjKVBI1vKpB0JH_YUruKgjmR-mdgI_b0NPKH72PMuvq2-PYroMUXAg1YWaAK6V79NSuxxWcG1PI3O0ZnQc5dvPJ7xj0xYwffmB6Yd4oVbLUKFPwx3ead3qO7pxbEO_rRbs/s640-rw/women_burqa_mazar.jpg" /> </a> </div>

মহিলাদের কবর জিয়ারত (Visiting graves by women) :-

এ সম্পর্কে কিছু কথা : ১) মহিলারা পর্দা ঠিক রেখে জিয়ারত করতে পারবে। ২) পর্দা নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকলে জিয়ারত করতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আছে...

Read more »

তারাবিহ সালাত ২০ রাকাত (পর্ব ২) :-

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> প্রথম পর্বের পর থেকে :<br /> <br /> <br /> ২০ রাকাত তারাবীহ সালাতের পক্ষে সহীহ হাদীস ও কিছু অভিযোগের জবাব :-<br /> <br /> <br />                    ★ দলিল ২৩:<br /> <br /> সালাফীদের অভিযোগ যে এটা জাল হাদিস কারন একজন রাবী দুর্বল :<br /> <br /> ★ হযরত ইয়াযিদ বিন খুসাইফাহ (রাহ) থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেছেন হযরত সাইব বিন ইয়াযিদ (রা) থেকে, তিনি বলেন, উমার বিন খাত্তাব (রা) এর যামানায় তাঁরা (সাহাবাগণ সহ অন্যান্যগণ) রামাদান মাসে ২০ রাকাত তারাবীহ সালাত আদায় করতেন।<br /> (হাদীসটি সংক্ষেপিত)<br /> রেফারেন্সঃ<br /> আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকী-২/৪৯৬<br /> <br /> হাদীসটির পর্যালোচনাঃ<br /> ১/ ইমাম নববী (রাহ) তাঁর “আল খুলাসাহ” এবং ‘আল মাজমু’ কিতাবে এটাকে সহীহ বলেছেন।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> আল মাজমু-৪/৩২<br /> <br /> ২/ ইমাম যায়লায়ী (রাহ) তাঁর ‘নাসবুর রায়াহ’ কিতাবে এটাকে সহীহ বলেছেন।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> নাসবুর রায়াহ-২/১৫৪<br /> <br /> ৩/ইমাম সুবকী (রাহ) তাঁর ‘শারহুল মিনহাজ’ নামক কিতাবে হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।<br /> <br /> ৪/ ইমাম ইবনুল ইরাকী (রাহ) তাঁর ‘তারহুত তাছরীব’ কিতাবে এটাকে সহীহ বলেছেন।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> তারহুত তাছরীব-৩/৭১৬<br /> <br /> ৫/ইমাম আইনী (রাহ) তাঁর ‘উমদাতুল কারী’ কিতাবে এটাকে সহীহ বলেছেন।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> উমদাতুল কারী-৭/১৭৮<br /> <br /> ৬/ইমাম সুয়ুতী (রাহ) তাঁর ‘আল মাসাবীহু ফী সালাতিত তারাওয়ীহ’ নামক কিতাবে এটাকে সহীহ বলেছেন।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> আল মাসাবীহু ফী সালাতিত তারাওয়ীহ-২৮<br /> <br /> ৭/ইমাম মুল্লা আলী কারী (রাহ) তাঁর ‘শারহুল মুয়াত্তা’ নামক কিতাবে এটাকে সহীহ বলেছেন।<br /> <br /> ৮/ ইমাম নীমাওয়ী (রাহ) তাঁর ‘আসারুস সুনান’ নামক কিতাবে হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।<br /> <br /> ২০ রাকাতের পক্ষের হাদীসটি নিয়ে আলবানী সাহেবের অভিযোগঃ<br /> ________________________________________________<br /> আলবানী বলেন,<br /> হাদীসটির বর্ণনাকারী ইয়াযিদ বিন খুসাইফাহ (রাহ)কে নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।<br /> ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (র) বলেছেন, তিনি মুনকারুল হাদীস।<br /> ইমাম যাহাবী বলেছেন, তার রেওয়ায়াতে ইদতেরাব রয়েছে। একবার তিনি বলেছেন, ২১ রাকাতের কথা, আবার অন্যস্থানে তিনি বলেছেন ২৩ রাকাতের কথা। তাই উনার কথা গ্রহনযোগ্য নয়।<br /> <br /> আমাদের প্রথম জবাবঃ<br /> __________________________________________________<br /> এ অভিযোগ মোটেও গ্রহনযোগ্য নয়, তবুও তর্কের খাতিরে যদি মেনে ও নেই, তবে এক্ষেত্রে আমাদের জবাব হচ্ছে,<br /> কোন একটি হাদীসের অর্থ যখন সকলের নিকট গ্রহণীয় হয়ে যায়, তখন সে হাদিসের সনদের বিশুদ্ধতার প্রয়োজন হয় না। যেমনভাবে ইয়াযিদ বিন খুসাইফা (রাহ) এর হাদীস। এ হাদীসের অর্থ এতই গ্রহণযোগ্য যে এর সনদের অনুসরণের প্রয়োজন হয় না।<br /> <br /> কয়েকটি দালিলিক উদাহরণ দিচ্ছিঃ<br /> <br /> ইমাম খাতীব বাগদাদী “কাযা” সংক্রান্ত মুয়ায (রা) এর হাদীস সম্পর্কে বলেন,<br /> ‘আহলে ইলম এ হাদিসের অর্থ কবুল করেছেন এবং এর দ্বারা দলীল প্রদান করেছেন’। যদিও এর সনদ বিশুদ্ধ নয়।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> ১/আল ফাকীহু ওয়াল মুতাফাক্কিহু<br /> ২/আত তালখীসুল হাবীর- ৪/৮৩<br /> ৩/আল মুগনী-৯/৫৩<br /> <br /> ইমাম সুয়ূতী বলেন, কোন হাদিসের সনদ বিশুদ্ধ না হলে যদি মানুষ এর অর্থকে কবুল দ্বারা তালাক্কী করে, তবে সে হাদীসকে সহীহ বলে হুকুম দেয়া হয়।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> তাদরীবুর রাওয়ী ফী শারহি তাকরীবিন নাওয়ায়ী- ৬০<br /> <br /> ইমাম ইবনু আব্দিল বার ‘আল ইসতিযকার’ নামক কিতাবে বলেন, ইমাম বুখারী (রাহ) ‘বাহর’ এর হাদিসকে (সমুদ্রের পানি পবিত্র) সহীহ বলেছেন, অথচ হাদীস বিশারদগণ এর সনদকে বিশুদ্ধ বলেন নি।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> আল ইসতিযকার<br /> ইমাম ইবনু আব্দিল বার।<br /> ৫/১৫৭<br /> <br /> <br /> **ইমাম তিরমিযি (রাহ) বলেন, হযরত উমার এবং আলী (রা) এবং অন্যান্য সাহাবীদের থেকে বর্ণিত ২০ রাকাত তারাবীহ সালাতের উপর অধিকাংশ উলামায়ে কেরামগণ একমত হয়েছেন।<br /> এমন কথাই বলেছেন<br /> ইমাম সুফিয়ান সাওরী (রাহ)<br /> ইমাম ইবনুল মুবারাক (রাহ)<br /> ইমাম শাফেয়ী (রাহ), তিনি বলেন, এভাবেই আমি মাক্কা মুকাররামাতে লোকজনকে ২০ রাকাত তারাবীহ সালাত পড়তে দেখেছি।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> জামিউত তিরমিযি।<br /> ১/শারহুস সুন্নাহ-৪/১২৩<br /> ২/আল মাজমু-৪/৩১<br /> ৩/মুখতাসারু কিয়ামিল লাইলি ওয়া কিয়ামি রামাদান- ৯৫<br /> ৪/ফাতহুল বারী- ৪/২৫৩<br /> <br /> ***ইমাম ইবনু রাশীদ বলেন,<br /> ইমাম মালিকের দুটি কাওলের একটি, ইমাম আবু হানিফা, শাফেয়ী, আহমাদ, এবং আবু দাঊদ (রাহ) সবাই বিতির ব্যতীত ২০ রাকাত তারাবীহ সালাতের পক্ষে রায় প্রদান করেছেন।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> বিদায়াতুল মুজতাহিদ ।<br /> <br /> ***ইমাম ইবনু আব্দিল বার (রাহ) বলেন, এটা হচ্ছে জমহুর (অধিকাংশ) উলামাদের মত। এবং আমাদের নিকট ও এটাই চুড়ান্ত রায়।<br /> <br /> ***হাফিয ইবনু ইরাকী (রাহ) ও একই কথা বলেছেন, তিনি বলেছেন,<br /> ২০ রাকাতের এ মতটি ই গ্রহন করেছেন ইমাম আবু হানীফা, শাফেয়ী, আহমাদ এবং জমহুর উলামায়ে কেরাম।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> ১/তারহুত তাছরীব<br /> ২/আল মাজমু-৪/৩১<br /> ৩/শারহু মুনতাহাল ইরাদাত-১/২৩১<br /> <br /> ***ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ ও একই কথা বলেছেন, তিনি বলেছেন,<br /> এটা সহীহ সুত্রে প্রমাণিত যে রামাদান মাসে হযরত উবাই বিন কা’ব (রা) মানুষদের নিয়ে ২০ রাকাত তারাবীহ সালাত আদায় করতেন, এবং তিন রাকাত বিতির সালাত আদায় করতেন।এবং অনেক উলামায়ে কেরাম এটাকে সুন্নাহ বলে ফতোয়া দিয়েছেন, যেহেতু উবাই বিন কা’ব (রা) মুহাজির এবং আনসার সাহাবীদেরকে নিয়ে এরকম ২০ রাকাত তারাবীহ সালাত আদায় করেছেন। তখন কেউ এ নিয়ে কোন প্রতিবাদ করেন নি।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> মাজমু উ ফাতাওয়া-৩২/১১৩<br /> <br /> <br /> ***ওয়াহাবি মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ বিন আব্দিল ওয়াহহাব নজদীর ও একই কথাঃ<br /> “উমার (রা) এর যামানায় উবাই বিন কা’ব (রা) এর ইমামতিতে ২০ রাকাত তারাবীহ সালাত আদায় করা হত”।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> ১/মাজমু উল ফাতাওয়া আল নাজদিয়্যাহ<br /> ২/মুখতাসারুল ইনসাফ ওয়াশ শারহিল কাবীর- ১/১৫৭<br /> <br /> <br /> <br /> ★★★<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> আমাদের দ্বিতীয় জবাবঃ<br /> __________________<br /> জি, ইমাম আবু দাউদ থেকে একটি বর্ণনা রয়েছে যে, ইমাম আহমাদ (রাহ) তাঁকে মুনকারুল হাদীস বলেছেন। কিন্তু ইমাম যাহাবী বলেছেন, আসরাম (রাহ) এর বর্ণনা থেকে ইমাম আহমাদ (রাহ) তাঁকে সিকাহ তথা নির্ভরযোগ্য বলে মত প্রকাশ করেছেন।<br /> <br /> এছাড়াও যেসকল ইমামগন তাঁকে সিকাহ বলেছেন, তাদের কথা উল্লেখ করছি-<br /> ১/ ইমাম আবু হাতিম (রাহ) তাঁকে সিকাহ তথা নির্ভরযোগ্য বলেছেন।<br /> ২/ ইমাম ইবনু হিব্বান নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের নিয়ে লেখা কিতাব ‘কিতাবুস সিকাত’ এ তাঁর নাম উল্লেখ করেছেন।<br /> ৩/ ইবনু মায়ীন (রাহ) বলেছেন, তিনি সিকাহ। তাঁর কথা নির্দ্বিধায় দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য।<br /> ৪/ ইমাম নাসাঈ (রাহ) তাঁকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন।<br /> ৫/ ইমাম যাহাবী (রাহ) ‘আল কাশিফ’ নামক কিতাবে তাঁর নিজের মন্তব্য প্রকাশ করেছেন, বলেছেন, তিনি সিকাহ।<br /> ৬/ ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী (রাহ) তাঁকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন।<br /> ৭/ ইমাম ইবনু শাহিন (রাহ) তাঁকে কখনো বলেছেন, তিনি নির্ভরযোগ্য। আবার কখনো বলেছেন, আমি তাঁকে ভাল ছাড়া অন্য কিছু জানিনা।<br /> <br /> বিস্তারিত জানতে রেফারেন্সগুলো দেখুন-<br /> ১/ তারীখু আসমা ইস সিফাত-২৫৬-২৫৮<br /> ২/ মীযানুল ই’তিদাল-৪/৪৩০<br /> ৩/ তাকরীবুত তাহযীব- ২/৩৬৪-৩৬৭<br /> <br /> আর ইমাম আহমাদের একটি মন্তব্য যে, ইয়াযিদ বিন খুসাইফা (রাহ) মুনকারুল হাদীস যা আলবানী সাহেব উল্লেখ করে এবং কারণ দেখিয়ে ঐ হাদিসটিকে বাতিল বলে ঘোষনা দিলেন, তাঁর জবাব আমরা ইবনু হাজার আসকালানী (রাহ) এর একটি কাওল দিয়ে প্রদান করবো।<br /> ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী (রাহ) এ বর্ণনাটি উল্লেখ করে বলেন, মূলতঃ ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রাহ) ইয়াযিদ বিন খুসাইফাহ (রাহ) এর ব্যাপারে ‘মুনকারুল হাদীস’ এজন্যই বলেছেন, কারণ ইয়াযিদ বিন খুসাইফাহ (রাহ) ছিলেন হাদীসের ব্যাপারে তাঁর সমকালীনদের চেয়ে ব্যতিক্রম। আর এ অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে ইমাম আহমাদ (রাহ) তাঁকে মুনকারুল হাদীস হিসেবে মন্তব্য করেছেন। এখানে তিনি হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে তাঁর কোন সমালোচনা করেননি।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> ১/ হাদয়্যুস সারী -৪৩৭-৪৫৩<br /> ২/ আর রাফউ ওয়াত তাকমীল-১৪৫<br /> ৩/ লিসানুল মুহাদ্দিসীন-৫/১৯৪<br /> <br /> আলবানীর অভিযোগঃ হাদীসে ইদতেরাব বিদ্যমান<br /> ____________________________________<br /> আলবানী সাহেব ২০ রাকাত তারাবীহ সংক্রান্ত হাদীসকে দুর্বল প্রমাণ করতে গিয়ে বলেছেন, ইয়াযিদ বিন খুসাইফাহ তো একেক সময় একেক কথা বলেছেন, কখনো বলেছেন, তারাবীহ সালাতের রাকাত ২১, আবার কখনো বলেছেন-২৩। সুতরাং তাঁর এমন অবস্থার কারণে তাঁর বর্ণনার হাদীস গ্রহনযোগ্য নয়। বরং ১১ রাকাত তারাবীহ সালাতের হাদীসটিই সহীহ।<br /> <br /> <br /> আমাদের জবাবঃ<br /> ____________<br /> এক্ষেত্রে আমরা হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী (রাহ) এর কথা দিয়ে জবাব দিতে পারি, আর তা হচ্ছে, ২১ আর ২৩- এ সংখ্যার পার্থক্য মূলতঃ তারাবীহ সালাতের সংখ্যার ব্যাপারে নয়, বরং এটা হচ্ছে বিতির সংক্রান্ত। অর্থাৎ তিনি তাঁরা কখনো বিতির পড়েছেন ১ রাকাত, আবার কখনো তিন রাকাত। আর এ কারনেই ২১ এবং ২৩ রাকাতের কথা ইয়াযিদ বিন খুসাইফাহ (রাহ) উল্লেখ করেছেন।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> ফাতহুল বারী-৪/২৫৩<br /> <br /> আর এমন ইদতিরাব কোন হাদীসকে দুর্বল বানাতে পারেনা।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> তাদরীবুর রাবী-১/২৬৫<br /> <br /> তাছাড়া এটাকে যদি বড় ইস্যু ধরা হয়, তাহলে আলবানী সাহেব নিজের ফাঁদে নিজেই ধরা খাবেন। এটা অবশ্য একটা মজার কথা।<br /> কীভাবে?<br /> আলবানী সাহেব ১১ রাকাত তারাবীহ সালাতের পক্ষে যে হাদীসের প্রশংসা করতে করতে পেরেশান, সে হাদীসের বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ (রাহ) ও কিন্তু একই কাজ করেছেন! এক রেওয়ায়াতে তিনি বলেছেন ১১ রাকাত, আবার অন্য রেওয়ায়াতে বলেছেন, ১৩ রাকাত!!<br /> বিস্তারিত দেখুন-<br /> মুসান্নাফু আব্দির রাযযাক-৪/২৬০<br /> <br /> <br /> সাহাবায়ে কেরামের আমল নিয়ে আরেকটি কথা বলে শেষ করছি-<br /> ইমাম আতা বিন আবী রাবাহ (রাহ) বলেন- আমি সাহাবায়ে কেরামকে রামাদান মাসে ২০ রাকাত তারাবী সালাত এবং তিন রাকাত বিতির আদায় করতে পেয়েছি।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> ১/মুখতাসারু কিয়ামিল লাইলি ওয়া কিয়ামি রামাদান- ৯৫<br /> ২/ ফাতহুল বারী-৪/২৫৩<br /> <br /> ইমাম আতা (রাহ) হচ্ছেন একজন প্রসিদ্ধ তাবেয়ী। তিনি ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ ফকীহ এবং নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> তাকরীবুত তাহযীব-২/২২<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> ___________________________________<br /> <br /> মিস্টার আলবানী সাহেবের গুরুতর অভিযোগঃ<br /> ___________________________________<br /> <br /> রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১১ রাকাত তারাবীহ সালাত আদায় করেছেন। এটাই সীমাবদ্ধ। এ সংখ্যাই নির্দিষ্ট। তাই এর থেকে বেশী তারাবীহ সালাত আদায় করা হারাম।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> সালাতুত তারাবীহঃ পেইজ নাম্বার-২৫<br /> <br /> আমাদের জবাবঃ<br /> <br /> <br /> অথচ তাদের সবার গুরু ইবনে তাইমিয়া বলেন,<br /> আর যে ব্যক্তি ধারণা করলো যে, তারাবীহ সালাতের নির্ধারিত সংখ্যা রয়েছে, এ সংখ্যা থেকে বাড়ানো বা কমানো যাবেনা, সে ব্যক্তি ভুল করলো।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> মাজমু উ ফাতাওয়া-২/৪০১<br /> <br /> <br /> ____________<br /> মিস্টার আলবানীর এ কথাটিই প্রমাণ করছে, তিনি একজন জাহিল ছিলেন। হাদীসের পর্যাপ্ত জ্ঞান তার ছিলনা। অথবা উনি মানসিক অসুস্থ।কোন সুস্থ মাথার আলেম এমন কথা বলতে পারেনা, অসম্ভব।<br /> আমার এ কথার সত্যতা নিম্নপ্রদত্ত দলীলসমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয়ে যাবে, ইনশা আল্লাহ।<br /> <br /> ১/ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ ১১ রাকাত সালাত আদায় করার আগে অন্যান্য নফল সালাত আদায় করতেন।<br /> দলীল উপস্থাপনা -<br /> ***হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এশার সালাত আদায় করে আমার ঘরে প্রবেশ করতেন এবং চার রাকাত অথবা ছয় রাকাত সালাত আদায় করতেন।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> আবু দাউদ-১৩০৩<br /> ***হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে যখন নফল সালাত আদায় করার জন্য ঘুম থেকে উঠতেন, তখন তিনি দু রাকাত হালকা সালাত (খাফীফাহ) আদায় করতেন।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> সহীহ মুসলিম/৭৬৫-৭৬৭<br /> <br /> ***হযরত আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে উঠে সে যেন দু রাকাত হালকা সালাত (নফল) আদায় করে নেয়।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> সহীহ মুসলিম/৭৬৮<br /> <br /> মনে রাখতে হবে, এ সালাত সমূহ ঐ ১১ রাকাত থেকে বেশী।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> সালাতুত তারাওয়ীহি আকছারা মিন আলফি আম/২০<br /> যাদুল মা’আদ-১/৩২৫-৩২৭<br /> <br /> ***হযরত আবু সালামাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আয়েশা (রা)কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি জবাব দিলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৩ রাকাত সালাত আদায় করতেন।<br /> রেফারেন্সঃ<br /> সহীহ মুসলিম/৭৩৮-১২২০<br /> <br /> তাহলে নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয়ে গেল, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাতের নির্ধারিত সংখ্যা নেই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংখ্যায় তিনি সালাত আদায় করেছেন।<br /> <br /> <br /> <br /> ★★★ ১১ রাকাতের হাদীস নিয়ে কিছু কথাঃ<br /> _________________________<br /> <br /> হাদীসঃ<br /> আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত,তিনি আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন ,রামাদান মাসে রাসুল (সাঃ) এর নামাজ কেমন ছিল? উত্তরে তিনি বললেন, রাসুল (সাঃ) রমজানে ও অন্যান্য মাসে বিতির সহ এগার রাকআতের বেশী পড়তেন না।<br /> -সহীহ আল বুখারী।<br /> <br /> পর্যালোচনা-<br /> মূলতঃ এগারো রাকাতের সালাত তারাবীহ সালাত ছিলনা। এটা ছিল তাহাজ্জুদের সালাত। কারন-<br /> <br /> ১/ ইমাম বুখারী হাদীসটিকে তাহাজ্জুদের সালাতের অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন।<br /> কিতাবুত তাহাজ্জুদ<br /> বাবু কিয়ামিন নাবিয়্যি সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা বিল লাইলি ফী রামাদানা ওয়া গাইরিহী।<br /> ২/ইমাম মুসলিম সালাতুল লাইল (তাহাজ্জুদ) এর অধ্যায়ে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।<br /> অধ্যায়ের নামঃ বাবু সালাতিল লাইল<br /> ৩/ ইমাম তিরমিযি জামিউত তিরমিযিতে ও একইভাবে উল্লেখ করেছেন।<br /> অধ্যায়ের নামঃবাবু মা জাআ ফী ওয়াসফি সালাতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।<br /> ৪/ইমাম আবু দাঊদ সুনানু আবী দাউদে হাদীসটিকে তাহাজ্জুদের অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন।<br /> অধ্যায়ের নামঃ আবওয়াবু কিয়ামিল লাইল।<br /> ৫/ইমাম নাসাঈ সুনানু নাসাঈতে হাদীসটিকে তাহাজ্জুদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন।<br /> দেখুন, কিতাবু কিয়ামিল লাইলি ওয়া তাতাওউইন নাহার।<br /> <br /> <br /> এই পর্বটি গৃহীত হয়েছে : কলম সৈনিক থেকে।<br /> <br /> <br /> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiLtsbfzvjSWG1gSY5E-O6MWKbpjPGD69iS-JNi2cD9c-0zFi9y_9K2BL9rExPUos0NaabSPqFN64gk9iB3U605Bmv4bPOrrameHj-kIuRMm8gPBnhz62rsV9kQIe5W0NF994CdCp034yU/s1600/prayerMalaysiasmall.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiLtsbfzvjSWG1gSY5E-O6MWKbpjPGD69iS-JNi2cD9c-0zFi9y_9K2BL9rExPUos0NaabSPqFN64gk9iB3U605Bmv4bPOrrameHj-kIuRMm8gPBnhz62rsV9kQIe5W0NF994CdCp034yU/s640-rw/prayerMalaysiasmall.jpg"> </a> </div>

তারাবিহ সালাত ২০ রাকাত (পর্ব ২) :-

প্রথম পর্বের পর থেকে : ২০ রাকাত তারাবীহ সালাতের পক্ষে সহীহ হাদীস ও কিছু অভিযোগের জবাব :-                    ★ দলিল ২৩: সালাফীদের অ...

Read more »