অন্ধকার যুগের অভিশাপ থেকে নারীদের মুক্ত করেছে ইসলাম :-

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <br /> ★ সহীহ বুখারী শরীফে আম্মাজান হযরত আয়শা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ<br /> <br /> أن النكاح في الجاهلية كان على أربعة أنحاء فنكاح منها نكاح الناس اليوم يخطب الرجل إلى الرجل وليته أو ابنته فيصدقها ثم ينكحها ونكاح آخر كان الرجل يقول لامرأته إذا طهرت من طمثها أرسلي إلى فلان فاستبضعي منه ويعتزلها زوجها ولا يمسها أبدا حتى يتبين حملها من ذلك الرجل الذي تستبضع منه فإذا تبين حملها أصابها زوجها إذا أحب وإنما يفعل ذلك رغبة في نجابة الولد فكان هذا النكاح نكاح الاستبضاع ونكاح آخر يجتمع الرهط ما دون العشرة فيدخلون على المرأة كلهم يصيبها فإذا حملت ووضعت ومر عليها ليال بعد أن تضع حملها أرسلت إليهم فلم يستطع رجل منهم أن يمتنع حتى يجتمعوا عندها تقول لهم قد عرفتم الذي كان من أمركم وقد ولدت فهو ابنك يا فلان تسمي من أحبت باسمه فيلحق به ولدها لا يستطيع أن يمتنع به الرجل ونكاح الرابع يجتمع الناس الكثير فيدخلون على المرأة لا تمتنع ممن جاءها وهن البغايا كن ينصبن على أبوابهن رايات تكون علما فمن أرادهن دخل عليهن فإذا حملت إحداهن ووضعت حملها جمعوا لها ودعوا لهم القافة ثم ألحقوا ولدها بالذي يرون فالتاط به ودعي ابنه لا يمتنع من ذلك فلما بعث محمد صلى اللهم عليه وسلم بالحق هدم نكاح الجاهلية كله إلا نكاح الناس اليوم ( البخاري)<br /> <br /> জাহিলিয়্যাতের যুগে বিবাহ ছিল চার ধরনের৷ (১) একটি বিবাহ ছিল বর্তমান যুগের বিবাহের মত৷ বিবাহের পয়গাম দিয়ে মোহর ধার্য্য করে পুরুষ মহিলাকে বিবাহ করত (২) স্বামী তার স্ত্রীকে বলে দিত হায়েজ থেকে পবিত্র হওয়ার পর অমুক (বড়লোক) পুরুষের সাথে শয়ন করবে, এরপর গর্ভ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত স্বামী তার স্ত্রীকে স্পর্শ করতনা৷ গর্ভ নিশ্চিত হওয়ার পর ইচ্চা করলে স্বামী স্ত্রী সহবাস করত৷ ভাল সন্তান লাভের আশায় এটা করা হত৷ এই বিবাহকে “নিকাহুল ইসতিবদ্বা” বলা হত৷ (৩) অনুন্য দশজন একজন মহিলাকে ভোগ করত, গর্ভ ধারণ করলে সন্তান প্রসব করার পর ঐ নারী ওদের সবাইকে ডেকে পাঠাত, সামাজিকভাবে হাজির হতে এবং মানতে বাধ্য বিধায় ওরা সবাই হাজির হলে মহিলা তার পছন্দমত একজনের নাম ধরে বলত হে অমুক এটা তোমার সন্তান৷ (৪) চতুর্থ প্রকার বিবাহ ছিল, ব্যভিচারিনী মহিলাগণ তাদের ঘরের দরজায় বিশেষ ধরনের সাইন লাগিয়ে রাখত, যার ইচ্ছা সঙ্গ নিতে কোন বাধা ছিলনা৷ মহিলা গর্ভবতী হলে সন্তান প্রসবের পর সংশ্লিষ্ট সবাই হাজির হত এবং সাদৃশ্য দেখে সন্তানের পিতা নির্ধারণ করা হত৷ অতঃপর সত্য দ্বীন নিয়ে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রেরিত হলে পরে তিনি জাহিলিয়্যাতের সমস্ত বিবাহ প্রথা মূলোত্‎পাটন করে আজকের বিবাহ প্রথাকে স্বীকৃতি দেন৷ (বুখারী শরীফঃ কিতাবুন নিকাহ ৪৭৩২, আবূদাঊদঃ কিতাবুত্তালাক্ব ১৯৩৪)<br /> <br /> <br /> ★ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র ক্বুরআন শরীফে এরশাদ করেছেনঃ<br /> <br /> وإذا بشر أحدهم بالأنثى ظل وجهه مسودا وهو كظيم ، يتوارى من القوم من سوء ما بشر به ، أيمسكه على هون أم يدسه في التراب ، ألا ساء ما يحكمون<br /> <br /> “আর যখন তাদের কাউকে সুসংবাদ দেয়া হয় মেয়ে সন্তানের তখন তার মুখমন্ডল কালো হয়ে, আর সে হয় বড়ই ব্যথিত৷ সে লোকদের থেকে নিজেকে লুকোয় তাকে যে সংবাদ দেয়া হয়েছে তার গ্লানির জন্য, সে কি একে রাখবে হীনতা / বেইজ্জতী স্বত্তেও, না তাকে মাটিতে পুতে ফেলবে? তাদের ফায়সালা কতইনা নিকৃষ্ট৷” (সূরা নহলঃ ৫৮-৫৯)<br /> <br /> <br />                              জীবন্ত কবরঃ<br /> <br /> <br /> ★ প্রাক ইসলামিক যুগে বেইজ্জতীর ভয়ে কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া হত৷ পবিত্র ক্বুরআনে করীমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেছেনঃ<br /> <br /> وإذا الموءودة سئلت ، بأي ذنب قتلت – التكوير<br /> <br /> “আর যখন জীবন্তপ্রোথিত কন্যাসন্তানকে প্রশ্ন করা হবে, কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল” (সুরা তাকওয়ীর ৮-৯)<br /> <br /> ★ সুনান দারিমীতে বর্ণিতঃ<br /> <br /> عن مسرة بن معبد من بني الحارث بن أبي الحرام من لخم عن الوضين أن رجلا أتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله إنا كنا أهل جاهلية وعبادة أوثان فكنا نقتل الأولاد وكانت عندي ابنة لي فلما أجابت وكانت مسرورة بدعائي إذا دعوتها فدعوتها يوما فاتبعتني فمررت حتى أتيت بئرا من أهلي غير بعيد فأخذت بيدها فرديت بها في البئر وكان آخر عهدي بها أن تقول يا أبتاه يا أبتاه فبكى رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى وكف دمع عينيه فقال له رجل من جلساء رسول الله صلى الله عليه وسلم أحزنت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال له كف فإنه يسأل عما أهمه ثم قال له أعد علي حديثك فأعاده فبكى حتى وكف الدمع من عينيه على لحيته ثم قال له إن الله قد وضع عن الجاهلية ما عملوا فاستأنف عملك (الدارمي 2<br /> <br /> এক ব্যক্তি নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খেদমতে এসে আরজ করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা ছিলাম জাহিলিয়াতের যুগের মানুষ৷ আমরা মুর্তি পুজা করতাম আর হত্যা করতাম আমাদের সন্তানদেরকে৷ আমার একটি কন্যাসন্তান ছিল৷ সে যখন কথা বলতে শুরু করল, আমি ডাকলে সে খুব খুশী হত, একদিন আমি তাকে ডাকলাম, সে আমাকে অনুসরন করল৷ তাকে নিয়ে অনতি দূরে আমার পারিবারিক একটি কুপের কিনারে পৌঁছলাম৷ আমি তার হাতে ধরলাম এবং তাকে কুয়ায় ফেলে দিলাম৷ সর্বশেষ যে কথাটি সে আমার উদ্দেশ্যে বলেছিল তা ছিল “ও বাবাগো, ও বাবাগো”৷ এতদশ্রবনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুব কাঁদলেন৷ অবস্থা দেখে উপস্থিত একব্যক্তি লোকটিকে বললেন, তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দিয়েছ৷ হুজুর তখন তাকে বললেন থামো, এই লোকটি এমন একটি বিষয় জিজ্ঞাসা করতে এসেছে যা তাকে শোকাভিভুত করেছে৷ অতঃপর হুজুর পুণরায় আগন্ত্তক লোকটিকে বললেন ঘটনাটি আবার বর্ণনা কর৷ লোকটি পূণরায় ঘটনাটি বর্ণনা করলে হুজুর খুব কাঁদলেন এবং এরশাদ করলেনঃ আল্লাহ জাহিলিয়াতের সমস্ত কিছু ক্ষমা করে দিয়েছেন, নতুন করে আমল শুরু কর৷ (দারিমী ২)<br /> <br /> <br /> <br /> ★:শুধু তাই নয়, কন্যাসন্তান জীবন্ত কবর দেয়াকে পূণ্যের কাজ মনে করা হত৷ যেমন ইমাম আহমদ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেনঃ<br /> <br /> عن سلمة بن يزيد الجعفي قال انطلقت أنا وأخي إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال قلنا يا رسول الله إن أمنا مليكة كانت تصل الرحم وتقري الضيف وتفعل وتفعل هلكت في الجاهلية فهل ذلك نافعها شيئا قال لا قال قلنا فإنها كانت وأدت أختا لنا في الجاهلية فهل ذلك نافعها شيئا قال الوائدة والموءودة في النار إلا أن تدرك الوائدة الإسلام فيعفو الله عنها ( أحمد 15358)<br /> <br /> হযরত সালামাহ ইবনে ইয়াযীদ আলজু’ফী থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি এবং আমার ভাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খেদমতে হাজির হয়ে বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের মা মুলাইকা আত্মীয়তা বজায় রাখতেন, মেহমানের কদর করতেন, ইত্যাদী ইত্যাদী ভাল আমল তাঁর ছিল, তিনি জাহিলিয়াতের যুগে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁর ঐ ভাল আমলগুলী কি কাজে আসবে? হুজুর বললেন না৷ আমরা বললাম তিনি জাহিলিয়াতের যুগে আমাদের এক বোনকে জীবন্ত কবর দিয়েছিলেন, এই কাজটা কি তাঁর কোন উপকারে আসবে? হুজুর বললেন তারা উভয় জাহান্নামী তবে যদি সে ইসলাম কবুল করে আর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন৷ (মুসনাদ ইমাম আহমদ ১৫৩৫৮)<br /> <br /> ★ হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাদ্বিঃ) থেকে বর্ণিতঃ<br /> <br /> عن عمر بن الخطاب في قوله تعالى ” وإذا الموءودة سئلت ” قال جاء قيس بن عاصم إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله إني وأدت بنات ( في رواية ثمان / وفي رواية اثنتي عشرة / وفي رواية ثلاث عشرة) لي في الجاهلية قال : أعتق عن كل واحدة منهن رقبة ، قال يا رسول الله صلى الله عليه وسلم إني صاحب إبل ، قال : فانحر عن كل واحدة منهن بدنة ( ابن كثير 4/510)<br /> <br /> ক্বায়স ইবনে আছিম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খেদমতে হাজির হয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি জাহিলিয়্যাতে আমার কয়েকটি (একটি বর্ণনায় ৮, অন্য বর্ণনায় ১২, আরেকটি বর্ণনায় ১৩) কন্যাসন্তান জীবন্ত কবর দিয়েছি৷ হুজুর বললেন জনপ্রতি একজন গোলাম আজাদ করে দাও৷ ক্বায়স বললেন ইয়া রাসূলাল্লাহ আমার উট আছে৷ হুজুর বললেন জনপ্রতি একটি উট আজাদ কের দাও৷ (তাফসীরে ইবনে কাছীর ৪/৫১০)<br /> <br /> <br /> ★ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ<br /> <br /> ” يأيها الناس اتقوا ربكم الذي خلقكم من نفس واحدة ” ( النساء 1)<br /> <br /> ” হে মানবজাতি! ভয় করো তোমাদের প্রতিপালককে, যিনি তোমাদেরকে একটিমাত্র আত্মা থেকে সৃষ্ঠি করেছেন৷” (সূরা নিসাঃ ১)<br /> <br /> ” يأيها الناس إنا خلقناكم من ذكر وأنثى وجعلناكم شعوبا وقبائل لتعارفوا ” ( الحجرات 13)<br /> <br /> ★ ” হে মানবজাতি! নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্ঠি করেছি এবং বিভক্ত করেছি তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে যাতে তোমরা পরস্পর পরস্পরকে পরিচয় করতে পারো৷” (সূরা হুজুরাতঃ ১৩)<br /> <br /> <br />         নারীদেরও রয়েছে অধিকার পুরুষের উপরঃ<br /> <br /> <br /> ★ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ<br /> <br /> ولهن مثل الذي عليهن بالمعروف<br /> <br /> নারীদেরও রয়েছে অধিকার পুরুষের উপর যেমন পুরুষের রয়েছে নারীদের উপর৷ (সূরা বাক্বারাঃ ২২৮)<br /> <br />                   জান্নাত মায়ের পদতলেঃ<br /> <br /> ★ বিশ্ববাসী যখন বিশ্বাস করত নারীরা হচ্ছে অভিশাপ, জাহান্নামের গেইট, শয়তানের হাতিয়ার সমগ্র বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষনা দিলেন ”<br /> <br />  الجنة تحت أقدام الأمهات ”<br /> <br /> ” জান্নাত মায়ের পদতলে”<br /> <br /> رضا الرب في رضا الوالدين ، وسخط الرب في سخط الوالدين<br /> <br /> ” মাতাপিতার সন্ত্তষ্টিতে মালিকের সন্ত্তষ্টি, মাতাপিতার অসন্ত্তষ্টিতে মালিকের অসন্ত্তষ্টি৷”<br /> <br /> <br /> <br /> </div>

অন্ধকার যুগের অভিশাপ থেকে নারীদের মুক্ত করেছে ইসলাম :-

★ সহীহ বুখারী শরীফে আম্মাজান হযরত আয়শা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ أن النكاح في الجاهلية كان على أربعة أنحاء فنكاح من...

Read more »

নারীদের পর্দা,লজ্জা ও শালীনতার বিধান অত্যন্ত কঠোর কারন তাদের থেকেও ফিত্না হবে :-

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> ★ পর্দা করা লজ্জার লক্ষণ, যাদের মধ্যে লজ্জা নাই, তাদের নিকট পর্দার কোন গুরুত্ব নাই।] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,<br /> <br /> « إن لكل دين خُلُقًا , وخُلُقُ الإسلام الحياء. »<br /> <br /> “প্রতিটি দ্বীনের একটি চরিত্র আছে, আর ইসলামের চরিত্র হল, লজ্জা”। [হাদিসটি বিশুদ্ধ]<br /> <br /> ★ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,<br /> <br /> « الحياءُ من الإيمان , والإيمان في الجنة »<br /> <br /> “লজ্জা ঈমানের অঙ্গ আর ঈমানের গন্তব্য হল জান্নাত”। [হাদিসটি বিশুদ্ধ]<br /> <br /> ★ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,<br /> <br /> « الحياء والإيمان قُرِنا جميعاً , فإذا رُفِعَ أحدُهما, رُفِعَ الآخرُ »<br /> <br /> “লজ্জা ও ঈমান উভয়টি একটি অপরটির সম্পূরক। যদি একটি শূন্য হয়, তখন অপরটিও শূন্য হয়ে যায়”। [হাদিসটি বিশুদ্ধ]<br /> <br /> ★ উম্মুল মুমীনিন আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,<br /> <br /> «كنت أدخل البيت الذي دُفِنَ فيه رسول الله صلى الله عليه وسلم وأبي رضي الله عنه واضعةً ثوبي , وأقول: ( إنما هو زوجي وأبي ) , فلما دُفن عمر رضي الله عنه , والله ما دخلته إلا مشدودة عليَّ ثيابي , حياءً من عمر رضي الله عنه.»<br /> <br /> “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আমার পিতা আবুবকর রা. কে যে ঘরে দাফন করা হয়েছে, সে ঘরে আমি আমার কাপড় (ওড়না) খুলে প্রবেশ করতাম, আমি মনে মনে বলতাম, এরা আমার স্বামী ও পিতা। এখানে পর্দা করার কোন প্রয়োজন নাই। কিন্তু যখন ওমর রা. কে একই ঘরে দাফন করা হল, তখন ওমর রা. এর লজ্জায় আমি সে ঘরে কাপড়কে শক্ত করে পেঁচিয়ে ও কঠিন পর্দা করে প্রবেশ করতাম। [হাদিসটিকে হাকিম সহীহ আখ্যায়িত করেন এবং হাদিসটি বুখারি ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক]<br /> <br /> <br /> ★ সৌন্দর্য প্রদর্শন ও পর্দাহীনতা অভিশাপ ডেকে আনে এবং আল্লাহর রহমত থেকে মানুষকে দূরে সরায়।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,<br /> <br /> « سيكون في آخر أمتي نساءٌ كاسيات عاريات , على رؤوسهن كأسْنِمَةِ البُخْت , العنوهن , فإنهن ملعونات» [صحيح]<br /> <br /> “আমার উম্মতের শেষ যুগে এমন কতক মহিলার আবির্ভাব হবে, তারা কাপড় পরিধান করবে অথচ নগ্ন, তাদের মাথার উপরিভাগ উটের সিনার মত হবে। তোমরা তাদের অভিশাপ কর, কারণ, তারা অভিশপ্ত”। [হাদিসটি বিশুদ্ধ]<br /> <br /> সৌন্দর্য প্রদর্শন ও পর্দাহীনতা  জাহান্নামীদের চরিত্র:<br /> <br /> ★ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,<br /> <br /> «صنفان من أهل النارلم أَرَهُمَا : قوم معهم سِياطٌ كأذناب البقر يضربون بها الناس , ونساء كاسيات عاريات , مُمِيلاتٌ مائلات , رؤوسهن كأسنمة البُخْتِ المائلة , لا يدخلن الجنة , ولا يجدن ريحها , وإن ريحها ليوجد من مسيرة كذا وكذا»   .[ مسلم ]<br /> <br /> “দুই শ্রেণীর লোক জাহান্নামী হবে, যাদের আমি আমার যুগে দেখতে পাব না। এক শ্রেণীর লোক, তারা এমন এক সম্প্রদায়, তাদের সাথে থাকবে গরুর লেজের মত এক ধরনের লাঠি যদ্বারা তারা মানুষকে পিটাবে। অপর শ্রেণী হল, কাপড় পরিহিতা নারী, অথচ নগ্ন, তারা পুরুষদেরকে আকৃষ্টকারী ও নিজেরা তাদের প্রতি আকৃষ্ট। তাদের মাথা হবে উটের চোটের মত বাঁকা। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি জান্নাতের সু-ঘ্রাণও তারা পাবে না। অথচ জান্নাতের সু-ঘ্রাণ অনেক অনেক দূর থেকে পাওয়া যাবে”।  [মুসলিম]<br /> <br /> <br /> ★ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,<br /> <br /> «خير نسائكم الودود , الولود , المواتية , المواسية , إذا اتقين الله , وشر نسائكم المتبرجات المتخيِّلات , وهن المنافقات , لا يدخلن الجنةَ منهن إلا مثلُ الغراب الأعصم »  [صحيح]<br /> <br /> তোমাদের মধ্যে উত্তম নারী হল, যারা অধিক মহব্বতকারী, অধিক সন্তান প্রসবকারী, ..যখন তারা আল্লাহকে ভয় করে। আর তোমাদের মধ্যে খারাপ মহিলা হল, যারা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শনকারী অহংকারী। মনে রাখবে এ ধরনের মহিলারা মুনাফেক তারা কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না। একমাত্র লাল বর্ণের ঠোঁট বিশিষ্ট কাকের মত। [হাদিসটি বিশুদ্ধ]<br /> <br /> <br /> ★ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,<br /> <br /> «أَيُّما امرأةٍ وضعت ثيابها في غير بيت زوجها , فقد هتكت سِتْرَ ما بينها وبين الله عز وجل »<br /> <br /> কোন নারী যদি তার স্বামীর ঘরের বাহিরে স্বীয় কাপড় খুলে ফেলে, তাহলে সে তারা মাঝে আল্লাহর মাঝে যে বন্ধন ছিল তা ছিঁড়ে ফেলল। [হাদিসটি বিশুদ্ধ]<br /> <br /> সৌন্দর্য প্রদর্শন ও পর্দাহীনতা অশ্লীলতা:<br /> <br /> ★ অবশ্যই নারীরা হল, সতর। আর সতর খোলা অশ্লীলতা ও নোংরামি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,<br /> <br />  ﴿ وَإِذَا فَعَلُواْ فَٰحِشَةٗ قَالُواْ وَجَدۡنَا عَلَيۡهَآ ءَابَآءَنَا وَٱللَّهُ أَمَرَنَا بِهَاۗ قُلۡ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَأۡمُرُ بِٱلۡفَحۡشَآءِۖ أَتَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعۡلَمُونَ ٢٨﴾] سورة الأعراف[28 :<br /> <br /> “আর যখন তারা কোন অশ্লীল কাজ করে তখন বলে, ‘আমরা এতে আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি এবং আল্লাহ আমাদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছেন’। বল, ‘নিশ্চয় আল্লাহ অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেন না। তোমরা কি আল্লাহর ব্যাপারে এমন কিছু বলছ, যা তোমরা জান না”?<br /> <br /> <br /> ★ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,<br /> <br /> ﴿يَٰبَنِيٓ ءَادَمَ لَا يَفۡتِنَنَّكُمُ ٱلشَّيۡطَٰنُ كَمَآ أَخۡرَجَ أَبَوَيۡكُم مِّنَ ٱلۡجَنَّةِ يَنزِعُ عَنۡهُمَا لِبَاسَهُمَا لِيُرِيَهُمَا سَوۡءَٰتِهِمَآۚ﴾ ]سورة الأعراف [27 :<br /> <br /> হে বনী আদম, শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে, যেভাবে সে তোমাদের পিতা-মাতাকে জান্নাত থেকে বের করেছিল; সে তাদের পোশাক টেনে নিচ্ছিল, যাতে সে তাদেরকে তাদের লজ্জা-স্থান দেখাতে পারে।<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> ★ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, <br /> <br /> «العينان زناهما النظر »<br /> <br /> “চোখ দুটির ব্যভিচার হল, দৃষ্টি”। [মুসলিম]<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> ★ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,<br /> <br /> « فاتقوا الدنيا , واتقوا النساء , فإن أول فتنةِ بني إسرائيل كانت في النساء »     [مسلم]<br /> <br /> “তোমরা দুনিয়াকে ভয় কর এবং নারীকে ভয় কর, কারণ, বনী ইসরাইলের প্রথম ফিতনা ছিল নারীর ফিতনা”। [মুসলিম]<br /> <br /> <br /> ★ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনে করিমে এরশাদ করে বলেন,<br /> <br /> ﴿وَقَرۡنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ ٱلۡأُولَىٰۖ﴾ [سورة الأحزاب:33 ]<br /> <br /> “তোমরা তোমাদের ঘরে অবস্থান কর। এবং প্রাক-জাহেলী যুগের মত সৌন্দর্য প্রদর্শন করো না”।<br /> <br /> <br /> <br /> ★ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,<br /> <br /> « أَيُّما امرأةٍ استعطرت , فَمَرَّتْ على قومٍ ليجدوا ريحها , فهي زانية »  [حسن]<br /> <br /> “যদি কোন নারী খোশবু ব্যবহার করে কোন পরুষ সম্প্রদায়ের নিকট দিয়ে অতিক্রম করে যাতে তারা তার সুগন্ধ উপলব্ধি করতে পারে। তাহলে সে নারী ব্যভিচারী”।<br /> <br /> <br /> ★ সুফিয়া বিনতে সাইবাহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,<br /> <br /> «بينما نحن عند عائشة – رضي الله عنها – قالت فَذَكَرْنَ نساءَ قريشٍ وفضلَهن , فقالت عائشة – رضي الله عنها- : ( إن لنساء قريش لفضلاً , وإني والله ما رأيتُ أفضلَ من نساءِ الأنصار: أشَدَّ تصديقًا لكتاب الله , ولا إيمانًا بالتنزيل , لقد أُنزِلَتْ النور: {وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ} (31) سورة النــور  فانقلب رجالهن إليهن يتلون عليهن ما أنزل الله إليهم فيها , ويتلو الرجل على امرأته , وابنته , وأخته , وعلى كُلِّ ذِي قَرابته , فما منهن امرأةٌ إلا قامت إلى مِرْطِها المُرَحَّلِ, فاعْتَجَرَتْ, به تصديقًا وإيمانًا بما أنزل الله من كتابه , فأصبحن وراءَ رسولِ الله-صلى الله عليه وسلم – مُعْتَجِراتٍ كأن على رؤوسهن الغربان».<br /> <br /> “একদিন আমরা আয়েশা রা. এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন আমরা কুরাইশী নারীদের আলোচনা ও তাদের গুণাগুণ বর্ণনা করতে ছিলাম। তখন আয়েশা রা. আমাদের বলল, অবশ্যই কুরাইশ বংশের নারীদের মর্যাদা আছে, যা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। তবে আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, আনসারী নারীদের মত এত বেশি আল্লাহর কিতাবের উপর বিশ্বাসী ও আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়নকারী আর কোন নারীকে আমি কখনো দেখিনি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যখন সূরা নূর নাযিল করল, তখন তাদের পুরুষরা তাদের নিকট ফিরে গিয়ে তাদের প্রতি যে কোরআন নাযিল করা হল, তা তিলাওয়াত করল- পুরুষ তার স্ত্রীকে, তার মেয়েকে, বোনকে এবং প্রতিটি নিকটাত্মীয়কে শোনাল। তিলাওয়াত শোনা মাত্রই সাথে সাথে আনসারী নারীরা তাদের নকশী করা কাপড় নিয়ে তাদের দেহকে ডেকে ফেলল। তারা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনর কথার উপর বিশ্বাস করতে এবং তার প্রতি ঈমান আনতে কোন প্রকার বিলম্ব করল না। তাদের অবস্থা এমন হল, তারা সবাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে তাদের মাথা ও চেহারা ডেকে রাখল, যেন তাদের মাথার উপর কাক”।<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> </div>

নারীদের পর্দা,লজ্জা ও শালীনতার বিধান অত্যন্ত কঠোর কারন তাদের থেকেও ফিত্না হবে :-

★ পর্দা করা লজ্জার লক্ষণ, যাদের মধ্যে লজ্জা নাই, তাদের নিকট পর্দার কোন গুরুত্ব নাই।] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, « إن لك...

Read more »

ইসলামের ৭৩ ফির্কা হবে এর মধ্যে ১টি হবে জান্নাতী :-

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <br /> দ্বীনকে খন্ড-বিখন্ড না করার আদেশ :<br /> <br /> নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা`আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।<br /> (The Cattle (Al-Anàam)/159)<br /> <br /> যারা তাদের ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি করেছে এবং অনেক দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উল্লসিত।<br /> (The Romans (Ar-Rüm)/32)<br /> <br /> অতঃপর তাদের মধ্যে থেকে বিভিন্ন দল মতভেদ সৃষ্টি করল। সুতরাং যালেমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক দিবসের আযাবের দুর্ভোগ<br /> (Gold Adornments (Az-Zukhruf)/65)<br /> <br /> আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার।<br /> (Surah Al-Imran. 3/103)<br /> <br /> <br /> <br /> নোট : এর থেকে বুঝা যায় যেই দলটা জান্নাতী হবে তারা দ্বীন ইসলামের মধ্যেই আছে ,আর থাকবে। বাতিল আকিদা থেকে আলাদা করে বুঝানোর জন্যই আমরা "আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাহ" বলে থাকি মুলত এটা ইসলামের বহির্ভুত কোন দল নয়। কারন ৭২টা বাতিল দলের সবাই নিজেদের দ্বীন ইসলামের উপর আছে আর সবাই মুসলিম এটা বলে সাধারন পরিচয় দেয় কিন্তু শিয়ারা তাদের আকিদা নিয়ে আছে, ওহাবীরা তাদের আকিদায়, সালাফীরা তাদেরতাদের আকিদায়, এমন যত দল আছে সবাই যার যার মতবাদ নিয়েই আছে।<br /> তাই হক যারা তারা দ্বীনকে খন্ড করবে না কিন্তু বাতিল যারা তারাই খন্ড করে আলাদা হয়ে যাবে।<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> ★ নবী কারীম সাঃ ইরশাদ করেছেন-পূর্বের উম্মত যাই করেছে এই উম্মতও তাই করবে নাফরমানীর দিক থেকে। তথা ওরা যত পদ্ধতিতে নাফরমানী করেছে এই উম্মতও সেই পদ্ধতীতে নাফরমানী করবে। সুতরাং আল্লাহ তায়ালার নাফরমানী করার ৭১টি পদ্ধতিওয়ালা বাতিল ফিরক্বা পূর্ব উম্মত থেকে গ্রহণ করবে এই উম্মত। তথা ৭১টি বাতিল ফিরক্বার মত ও পথ পূর্ব উম্মতের মত এই উম্মতেও থাকবে।<br /> আর জান্নাতী ছিল পূর্ব উম্মতের ৭২ ফিরক্বার মাঝে একটি ফিরক্বা। সেটিও এ উম্মতে পূর্ব পদ্ধতি অনুযায়ী থাকবে। শুধু বাড়বে একটি বাতিল ফিরক্বা এই উম্মতে। যেই বাতিল ফিরক্বার কোন নজীর পূর্ব উম্মতের মাঝে ছিল না। সেই বর্ধিত বাতিল ফিরক্বাটি কারা? আল্লামা কুরতুবী রহঃ তার প্রণীত তাফসীরে কুরতুবীতে লিখেন-<br /> <br /> . وقد قال بعض العلماء العارفين : هذه الفرقة التي زادت في فرق أمة محمد صلى الله عليه وسلم هم قوم يعادون العلماء ويبغضون الفقهاء ، ولم يكن ذلك قط في الأمم السالفة.( الجامع لأحكام القرآن<br /> المؤلف : أبو عبد الله محمد بن أحمد بن أبي بكر بن فرح الأنصاري الخزرجي شمس الدين القرطبي (المتوفى : 671)<br /> <br /> যেই ফিরক্বাটি উম্মতে মুহাম্মদীদে বাড়বে তারা হল-যারা ওলামাদের সাথে শত্রুতা করবে, আর ফুক্বাহাদের প্রতি রাখবে বিদ্বেষ। এই গ্রপটি পূর্ব উম্মতের মাঝে ছিল না। {তাফসীরে কুরতুবী, সূরাতুল আনআম)<br /> <br /> ★ অপর হাদিসে আছে :<br /> <br /> <br /> عن عبد الله بن عمرو قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ليأتين على أمتي ما أتى على بني إسرائيل حذو النعل بالنعل حتى إن كان منهم من أتى أمه علانية لكان في أمتي من يصنع ذلك وإن بني إسرائيل تفرقت على ثنتين وسبعين ملة وتفترق أمتي على ثلاث وسبعين ملة كلهم في النار إلا ملة واحدة قالوا ومن هي يا رسول الله قال ما أنا عليه وأصحابي (سنن الترمذى-كتاب الايمان، باب ما جاء في افتراق الأمة، رقم الحديث-2641)<br /> <br /> অর্থ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমার উম্মত তা’ই করবে যা করেছে বনী ইসরাঈলের লোকেরা। এক জুতা অপর জুতার সমান হওয়ার মত। এমনকি যদি ওদের মাঝে কেউ মায়ের সাথে প্রকাশ্যে জিনা করে থাকে, তাহলে এই উম্মতের মাঝেও এরকম ব্যক্তি হবে যে একাজটি করবে। আর নিশ্চয় বনী ইসরাঈল ছিল ৭২ দলে বিভক্ত। আর আমার উম্মত হবে ৭৩ দলে বিভক্ত। এই সব দলই হবে জাহান্নামী একটি দল ছাড়া। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন-সেই দলটি কারা? নবীজী সাঃ বললেন-যারা আমার ও আমার সাহাবাদের মত ও পথ অনুসরণ করবে।<br /> <br /> ★ সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৬৪১,<br /> ★ আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৭৬৫৯,<br /> ★ আল মু’জামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৮৮৯,<br /> ★ কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০৬০<br /> <br /> </div>

ইসলামের ৭৩ ফির্কা হবে এর মধ্যে ১টি হবে জান্নাতী :-

দ্বীনকে খন্ড-বিখন্ড না করার আদেশ : নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই...

Read more »

স্রষ্টাকে সৃষ্টির সঙ্গে সাদৃশ্য প্রদানে ইহুদী ধর্ম :-

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাহ এর আকিদা হল আল্লাহর সাথে কারো কোন তুলনা নেই। আল্লাহর আকার-আকৃতি কেমন তা মানুষের কল্পনার বাইরে তিনি গায়েব (অদৃশ্য) মানুষের মত তার হাত, পা, দেহ এসব কল্পনা করা মারাত্মক পথভ্রষ্টতা। প্রভুর সাথে যেমন কারো শরিক নেই প্রভুর সাথে কারো তুলনা বা সাদৃশ্যও স্থাপন করা বাতিলের কাজ, মুর্খের কাজ।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> وجاوزنا ببني إسرائيل البحر فأتوا على قوم يعكفون على أصنام لهم قالوا يا موسى اجعل لنا إلها كما لهم آلهة</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থ: আর আমি বনী ইসরাইলকে সাগর পার করে দিয়েছি, তখন তারা এমন এক সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে পৌঁছলো, যারা নিজেদের বানানো কতোগুলো প্রতিমার পূজায় রত ছিলো। বনী ইসরাইল বলল, হে মুসা, আমাদের জন্য এরূপ একটি উপাস্য নির্ধারণ করে দেন, যেরূপ এদের উপাস্য রয়েছে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [সূরা আ’রাফ, আয়াত নং ১৩৮।]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> পবিত্র কুরআনে আরও স্পষ্টভাবে বনী ইসরাইলের এই মানসিকতা উল্লেখ করা হয়েছে। তারা মহান আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টির সঙ্গে সাদৃশ্য দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি, বরং রীতিমত মূর্তি বানিয়ে তার পূজা শুরু করেছে। তারা সর্বদা আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টির সদৃশ একটি সত্ত্বা বলেই বিশ্বাস করতো।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> واتخذ قوم موسى من بعده من حيلهم عجلاً جسداً له خوار</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থ: আর মুসার সম্প্রদায় তাঁর অনুপস্থিতিতে নিজেদের অলংকার সমূহ দিয়ে একটি গো-বৎসের আকৃতি বানালো, যার আওয়াজ ছিলো।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [সূরা আ’রাফ, আয়াত নং ১৩৮।]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তাদের এই বাছুর পূজা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা সূরা অন্য আয়াতে বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> فَأَخْرَجَ لَهُمْ عِجْلًا جَسَدًا لَهُ خُوَارٌ فَقَالُوا هَٰذَا إِلَٰهُكُمْ وَإِلَٰهُ مُوسَىٰ فَنَسِيَ</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থ: “এরপর সে তাদের জন্য একটি বাছুর বানালো, যা একটি দেহ ছিলো, যাতে গরুর আওয়াজ ছিলো। তখন তারা বলতে লাগল, তোমাদের এবং মুসার মাবুদ তো এটাই, মূসা তো ভুলে গেছে।”</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [সূরা ত্বহা, আয়াত নং ৮৮।]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> বাইবেলের বুক অব এক্সোডাসে রয়েছে,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> Now when the people saw that Moses delayed to come down from the mountain, the people assembled about Aaron and said to him, “Come, make us a god who will go before us”</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থ: যখন লোকেরা দেখল মুসা আ. পাহাড় থেকে অবতরণ করতে বিলম্ব করছে, তারা হারুন আ. এর নিকট একত্রিত হয়ে বলল, “আমাদের জন্য এমন একটা প্রভূ তৈরি করো, যে আমাদের সামনে চলা-ফেরা করবে”</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [বুক অব এক্সোডাস, পরিচ্ছেদ, ৩২, শ্লোক, ১।]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> একই বইয়ে রয়েছে,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> After leaving Sukkoth they camped at Etham on the edge of the desert. By day the LORD went ahead of them in a pillar of cloud to guide them on their way and by night in a pillar of fire to give them light, so that they could travel by day or night.</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থ: তারা সুকুত থেকে যাত্রা করলো এবং মরুভূমির প্রান্তে ইছাম নামক স্থানে শিবির স্থাপন করলো। দিনের বেলায় প্রভূ তাদের সামনে মেঘের স্তম্ভ হয়ে চলছিলো এবং রাতে আগুনের স্তম্ভ হয়ে তাদেরকে আলো দিচ্ছিল , যেন তারা দিনে ও রাতে ভ্রমণ করতে পারে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [বুক অফ এক্সোডাস, পরিচ্ছেদ, ১৩, শ্লোক, ২০-২১।]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> বাইবেলে রয়েছে,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> Moses and Aaron, Nadab and Abihu, and the seventy elders of Israel went up. and they saw the God of Israel. There was under his feet as it were a pavement of sapphire stone, like the very heaven for clearness. But God did not raise his hand against these leaders of the Israelites; they saw God, and they ate and drank.</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থ: মুসা, হারুন, নাদাব, আবিহু এবং বনী ইসরাইলের সত্তরজন বয়স্ক লোক পাহাড়ে আরোহণ করল। তারা ইসরাইলের প্রভূকে দেখল। প্রভূর পায়ের নিচে যেন নীলকান্ত মণি পাথর ছিলো, যা ছিলো আকাশের মতো স্বচ্ছ। প্রভূ ইসরাইলের নেতাদের দিকে তার হাত প্রসারিত করলেন না। তারা প্রভূকে দেখল, আহার করল এবং পান করলো।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [বুক অব এক্সোডাস, পরিচ্ছেদ, ২৩, শ্লোক, ৯-১১।]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> বুক অব জেনেসিসে রয়েছে,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> Whoever sheds the blood of man, by man shall his blood be shed, for God made man in his own image.</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থ: যে মানুষের রক্ত ঝরাবে, তার রক্তের বিনিময়ে হত্যাকারীর রক্ত ঝরানো হবে। কেননা প্রভূ মানুষকে নিজের আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [বুক অব জেনেসিস, পরিচ্ছেদ, ৯, শ্লোক, ৬।]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> The LORD said to Moses, “Behold, I will come to you in a thick cloud, so that the people may hear when I speak with you and may also believe in you forever.” Then Moses told the words of the people to the LORD. The LORD also said to Moses, “Go to the people and consecrate them today and tomorrow, and let them wash their garments; and let them be ready for the third day, for on the third day the LORD will come down on Mount Sinai in the sight of all the people.</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থ: প্রভূ মুসাকে বললেন, মনে রেখো, আমি তোমার নিকট পাতলা মেঘের আবরণে আগমণ করবো। আমি যখন তোমার সঙ্গে কথা বলব, মানুষ যেন শুনতে পায়। সম্ভবত: তারা তোমার উপর স্থায়ী বিশ্বাস স্থাপন করবে। অত:পর মুসা আ. প্রভূর বাণী লোকদেরকে শোনাল। প্রভূ মুসাকে আরও বলল, মানুষের কাছে যাও। আজ ও আগামীকাল তাদেরকে পবিত্র করো এবং তারা যেন তাদের কাপড় পবিত্র করে। তারা যেন তৃতীয় দিনের জন্য প্রস্তুত হয়। তৃতীয় দিন সব মানুষের চোখের সামনে প্রভূ সিনাই পর্বতে নেমে আসবে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [বুক অব এক্সোডাস, পরিচ্ছেদ,১৯, শ্লোক, ৯-১১।]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অল্ড টেস্টামেন্টের দি বুক অব সামে রয়েছে,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> you have sat on the throne, giving righteous judgment.</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থ: আপনি ন্যায়-পরায়ণ হিসেবে কুরসীতে উপবেশন করেছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [বুক অব সাম, পরিচ্ছেদ,৯, শ্লোক, ৪।]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> বাইবেলের পুরাতন নিয়মে রয়েছে,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> In my distress I called upon the LORD, and cried unto my God: he heard my voice out of his temple, and my cry came before him, even into his ears. Then the earth shook and trembled; the foundations also of the hills moved and were shaken, because he was wroth. There went up a smoke out of his nostrils, and fire out of his mouth devoured: coals were kindled by it.</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আমার বিপদের মুহূর্তে আমি প্রভূকে ডাকলাম এবং আমার প্রভূর নিকট ক্রন্দন করলাম। তিনি তার উপাসনালয়ের বাইরে থেকে আমার আওয়াজ শুনলেন। আমার ক্রন্দন তাঁর নিকট পৌছল। এমনকি তার কর্ণকুহরে প্রবেশ করল। অত:পর ভূমি প্রকম্পিত হলো এবং ঝাকুনি দিল। পাহাড়ের ভিত নড়ে উঠল। কেননা প্রভূ রাগান্বিত ছিলেন। তার নাক থেকে ধুয়া বের হলো এবং তার মুখ থেকে আগুন বের হলো, সেই আগুনে কয়লা জ্বলে উঠল।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> [বুক অব সাম, পরিচ্ছেদ, ১৮, শ্লোক, ৬,৭,৮।]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div>

স্রষ্টাকে সৃষ্টির সঙ্গে সাদৃশ্য প্রদানে ইহুদী ধর্ম :-

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাহ এর আকিদা হল আল্লাহর সাথে কারো কোন তুলনা নেই। আল্লাহর আকার-আকৃতি কেমন তা মানুষের কল্পনার বাইরে তিনি গায়েব (অদৃশ্...

Read more »