নারী ও পুরুষের নামাজের মধ্যে পার্থক্য :-

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <br />০) * নারীর জন্য আযান-ইকামত নেই পুরুষের জন্য তা ওয়াজিব :-<br /><br />★ পুরুষ :-<br /><br /> সালাতের কার্যাদি শুরু করার প্রাথমিক ধাপ আযান দেওয়া । এ প্রসঙ্গে অসংখ্য হাদীস শরীফ বর্নিত হয়েছে । তন্মধ্যে দু-একটি উল্লেখ করছি । ইমাম বুখারী (রহঃ) বর্ননা করেন, নবী করিম (সঃ) বলেন<br /> <br /> যখন সালাতের সময় উপস্থিত হবে তখন তোমাদের একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মাঝের বড়জন ইমামতি করবে ।<br /> — সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬২৮<br /> ইমাম আহমাদ (রহঃ) বর্ননা করেন- নবীজি (সঃ) বলেন<br /> <br /> কোন গ্রামে তিনজন থাকাকালে আযান ও জামা’আত অনুষ্ঠিত না হলে শয়তান তাঁদের উপর বিজয়ী হয় ।<br /> — আহমদ ,হাদিস নং ২১৭১০, সকল ইমামের মতে হাদিসখানা গ্রহনযোগ্য । লা-মাযহাবীদের মান্যবর মুহাদ্দিস শুয়াইব আল আরনাউত এ হাদীসকে হাসান(উত্তম) বলেছেন<br /> <br />★ নারী :-<br /><br />ইমাম বায়হাকী (রহঃ) সহীহ্‌ সনদে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ননা করেন নবীজী (সঃ) বলেছেন<br /> <br /> মহিলাদের উপর আযান ও ইকামত কোনটিই নেই ।<br /> — সুনানে কুবরা, হাদীস নং ১৯২০, <br />কাজী শাওকানী হাদীসখানাকে সহিহ বলেছেন  নাইলুল আওতার ২/৩৯<br /> আরো সহিহ হাদীসে রয়েছে<br /> <br /> মহিলাগন অষ্পষ্টভাষী ও আচ্ছাদিত থাকার বস্ত । সুতরাং তোমরা তাঁদের অস্পষ্টতাকে চুপ থাকার দ্বারা এবং ঘরে থাকার দ্বারা তাদের গোপনীয়তাকে রক্ষা কর ।<br /> — তারতীবুল আমালী , হাদিস নং ২০১<br /> <br /><br /><br />১) তাকবীরে তাহ্‌রীমার সময় পুরুষ চাদর ইত্যাদি হইতে হাত বাহির করিয়া কান পর্যন্ত উঠাইবে, যদি শীত ইত্যাদির কারণে হাত ভিতরে রাখার প্রয়োজন না হয় । স্ত্রীলোক হাত বাহির করিবে না, কাপড়ের ভিতরে রাখিয়াই কাঁধ পর্যন্ত উঠাইবে । - তাহ্‌তাবী<br /><br />★ সালাতে পুরুষগণ কান বরাবর হাত উত্তোলন করবে । এ বিষয়ে অনেক হাদীস শরীফ বর্নিত হয়েছে । ইমাম দারা কুতনী (রহঃ) বর্ননা করেন হযরত আনাস (রাঃ) বলেন,<br /> <br /> রাসূলুল্লাহ (সঃ) যখন সালাত শুরু করতেন তাকবীর বলে দু’হাত এমনভাবে উঠাতেন যে দু’বৃদ্ধাঙ্গুলী কান বরাবর হত ।<br /> — দারা কুতনী, হাদীস নং ১১৪৮, তিন বলেন এ সনদের সকল বর্ননাকারী নির্ভরযোগ্য<br /><br /> কেউ কেউ এ কথা বলতে চেষ্টা করেন যে, হাদীসে তো পুরুষ অথবা নারী কারো কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা নেই বিধায় এটা সকলের জন্য প্রযোজ্য । কিন্তু হুজুরে আকরম (সঃ) মহিলাদেরকে আলাদাভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তারা বুক বরাবর হাত উত্তোলন করবে ।<br /> <br />★ ইমাম তাবরানী (রহঃ) মু’জামুল কাবীরে হাসান সনদে হাদীস শরীফ বর্ননা করেছেন যে,<br /> <br />হযরত ওয়াইল বিন হুজর (রাঃ) নবীজি (সঃ) এর দরবারে আসলে তিনি তাকে বললেন হে ওয়াইল বিন হুজর তুমি যখন সালাত আদায় করবে তখন দু’হাত কান বরাবর উত্তোলন করবে আর মহিলা তার বুক বরাবর হাত উত্তোলন করবে ।<br /> <br /> — তাবরানী (রহঃ) মু'জামুল কাবীর, মাজমাউয যাউয়াইদ হাদিস নং ২৫৯৪ , ইমাম হাইসামী (রহঃ) বলেন এই হাদিসে উম্মু ইয়াহইয়া ব্যতীত সকল রাবী সিকা<br /> <br />★ সাহাবীর আমলঃ<br /> মহিলা সাহাবী হযরত উম্মু দারদা (রাঃ) তাকবীরে তাহরীমাতে কাঁধ বরাবর হাত উঠাতেন । ইমাম বুখারী (রহঃ) বর্ননা করেন<br /> <br /> তিনি সালাতে কাঁধ বরবর হাত উঠাতেন ।<br /> — জুযঊ রফউল ইয়াদাইন , হাদিস নং ৫০<br /><br /> ★ বিখ্যাত তাবেঈ ইমাম ইবনু শিহাব যুহরী (রহঃ) বলেন<br /> <br /> মহিলা তার দু হাত কাঁধ বরাবর উঠাবে<br /> — মুসান্নাফে ইবনু আবি শাইবা, হাদিস নং ২৪৭২, হাদিসখানা গ্রহনযোগ্য<br /> <br />★ প্রসিদ্ধ তাবেঈ ইমাম আত্বা ইবনু আবি রাবাহ (রঃ) এর ফাতাওয়াঃ<br /> <br /> তাকে জিজ্ঞেস করা হলো যে, মহিলা সালাতে হাত কিভাবে উঠাবে ? তিনি বলেন, তার বুক বরাবর ।<br /> — মুসান্নাফে ইবনু আবি শাইবা , হাদিস নং ২৪৭১<br /> <br />★ প্রখ্যাত তাবেঈ ইমাম ইবনু সীরিন (রহঃ) এর কন্যা হাফসা (রহঃ) থেকেও উক্ত আমল প্রমানিত । ইমাম ইবনু শাইবা (রহঃ) বর্ননা করেন<br /> <br /> হাফসা বিনতে সীরিন (রহঃ) বুক বরাবর হস্তদ্বয় উঠিয়ে তাকবীর বললেন ।<br /> — মুসান্নাফে ইবনু আবি শাইবা , হাদিস নং ২৪৭৫<br /> <br /> <br /><br /><br /><br /> ২) তাকবীরে তাহ্‌রীমা বলিয়া পুরুষ নাভির নিচে হাত বাধিবে । স্ত্রীলোক বুকের উপর (স্তনের উপর ) হাত বাঁধিবে । - তাহ্‌তাবী -<br /><br /><br /> ★ মহিলাগণ তাকবীরে তাহরীমা বলে তাদের হাতকে বুকের উপর জড়সড় অবস্থায় রাখবে । ইমাম ইবন আবি শাইবা (রহঃ) সহীহ সনদে বর্ণনা করেন<br /> <br /> হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) কে মহিলাদের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন- খুব জড়সড় ও অঙ্গের সাথে মিলিয়ে সালাত আদায় করবে ।মুসান্নাফে ইবনু আবি শাইবা<br /> — হাদিস নং ২৭৭৮, হাদীসখানা সহীহ<br /> এ হাদীসখানা দ্বারা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, মহিলারা তাকবীরে তাহরীমা বলা হপর হাত দুখানা বুকে রাখবে ।<br /> <br /> ★ তাবেঈর বক্তব্য<br /> ইবনু জুরাইজ হযরত আত্বা (রঃ) হতে বর্ননা করেন, তিনি বলেছেন-<br /> <br /> মহিলাগণ দাঁড়ানো অবস্থায় সাধ্যমত তার দু’হাত একত্রিত করে রাখবে ।<br /> — মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং ৫০৬৭<br /> একটু চিন্তা করলেই বুঝা সম্ভব যে, দু’হাত সাধ্যমত মিলিয়ে রাখা তখনই সম্ভব যখন তা একত্রিতবস্থায় বুকের উপরে থাকবে ।<br /><br /><br /><br /> <br /> ৩) পুরুষ হাত বাঁধিবার সময় ডান হাতের বৃদ্ধা ও কনিষ্ঠা অঙ্গুলী দ্বারা হালকা বানাইয়া বাম হাতের কব্জি ধরিবে এবং ডান হাতের অনামিকা, মধ্যমা ও শাহাদত অঙ্গুলী বাম হাতের কলাইর উপর বিছাইয়া রাখিবে । আর স্ত্রীলোক শুধু ডান হাতের পাতা বাম হাতের পাতার পিঠের উপর রাখিয়া দিবে, কব্জি বা কলাই ধরিবে না । -দুররুল মুখতার<br /><br /> ৪) রুকু করিবার সময় পুরুষ এমনভাবে ঝুঁকিবে যেনো মাথা, পিঠ ও চুতড় এক বরাবর হয় । স্ত্রীলোক এই পরিমাণ ঝুঁকিবে যাহাতে হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌঁছে ।<br /><br /> ৫) রুকুর সময় পুরুষ হাতের আঙ্গুলগুলি ফাঁক ফাঁক করিয়া হাঁটু ধরিবে । আর স্ত্রীলোক আঙ্গুল বিস্তার করিবে না বরং মিলাইয়া হাত হাঁটুর উপর রাখিবে ।<br /><br /> ৬) রুকুর অবস্থায় পুরুষ কনুই পাঁজর হইতে ফাঁক রাখিবে । আর স্ত্রীলোক কনুই পাঁজরের সঙ্গে মিলাইয়া রাখিবে । -মারাকী<br /><br /><br /> ৭) সিজদায় পুরুষ পেট উরু হইতে এবং বাজু বগল হইতে পৃথক রাখিবে । পক্ষান্তরে স্ত্রীলোক পেট রানের সঙ্গে এবং বাজু বগলের সঙ্গে মিলাইয়া রাখিবে ।<br /> ৮) সিজদায় পুরুষ কনুই মাটি হইতে উপরে রাখিবে । পক্ষান্তরে স্ত্রীলোক মাটির সঙ্গে মিলাইয়া রাখিবে ।-মারাকী-<br /><br />★ ৭ ও ৮ একসাথে :-<br /><br /> পুরুষগণ সিজদা করার সময় হাতকে পেট, উরু ও জমিন হতে উঠিয়ে রাখবে । আর মহিলাগণ একটিকে অন্যটির সাথে মিলিয়ে জমিনে লাগিয়ে দেবে ।<br /> <br /> নবী পাক (সঃ) এর নির্দেশঃ<br /> ইমাম আবু দাউদ, বায়হাকী বর্ণনা করেন<br /> <br /> ইয়াযিদ বিন আবি হাবিব (রাঃ) হতে বর্ণিত নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ (সঃ) সালাতরত দু’জন মহিলাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করার সময় বললেন- তোমরা যখন সিজদা করবে তখন শরীর জমিনের সাথে মিলিয়ে দিবে । কেননা মহিলারা এ ক্ষেত্রে পুরুষের মত নয় ।<br /> — আবু দাউদ মারাসিল হাদিস নং ৮০, বায়হাকী হাদিস নং ৩৩২৫<br /><br /> এ হাদীসের ক্ষেত্রে সালাফী দাবীদারগণের অবস্থান<br /> পাক ভারত উপমহাদেশের প্রসিদ্ধ লা-মাজহাবী আলেম মাওলানা নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান সাহেব বলেন- উল্লেখিত হাদীসখানা সকল ইমামের উসূল অনুযায়ী দলিল প্রদানের যোগ্য । আওনুল বারী শরহে বুখারী ১/৫২০ এমনকি আলবানী সিলসিলাতুল আহাদিস দ্বয়িফাতে এ হাদীসের ব্যাপারে শুধুমাত্র ইরসাল ছাড়া অন্য কোন দোষ বর্ণনা করতে পারেন নি ।<br /> <br /> ইমাম বায়হাকী (রঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন নবীজী (সঃ) বলেছেন<br /> <br /> যখন মহিলা সিজদা করবে তখন যেন পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখে যা তার সতরের জন্য অধিক উপযোগী । সুনানে কুবরা, হাদিস নং ৩১৯৯<br /> — হাদিসটি হাসান<br /> সাহাবীর বক্তব্য<br /> ইমাম আব্দুর রাজ্জাক হযরত আলী (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন<br /> <br /> মহিলা যখন সিজদা করবে তখন যেন খুব জড়সড় হয়ে উরুদ্বয়কে পেটের সাথে মিলিয়ে রাখে । মুসান্নাফ<br /> — হাদিস নং ৫০৭২<br /> তাবেঈর বক্তব্য<br /> হযরত হাসান বসরী (রঃ) বলেন<br /> <br /> মহিলা সিজদার সময় এক অংগ অন্য অঙ্গের সঙ্গে মিলিয়ে জড়সড় হয়ে সিজদা করবে ।<br /> — মুসান্নাফ ইবন আবি শাইবা , হাদিস নং ২৭৯৭<br /> <br /><br /> ৯) সিজদার মধ্যে পুরুষ পায়ের আঙ্গুলগুলি কেবলার দিকে মোড়াইয়া রাখিয়া তাহার উপর ভর দিয়া পায়ের পাতা দুইখানা খাড়া রাখিবে; পক্ষান্তরে স্ত্রীলোক উভয় পায়ের পাতা ডান দিকে বাহির করিয়া মাটিতে বিছাইয়া<br /> রাখিবে ।-মারাকী<br /><br /> ১০) বসার সময় পুরুষ ডান পায়ের আঙ্গুলগুলি কেবলার দিকে মোড়াইয়া রাখিয়া তাহার উপর ভর দিয়া পায়ের পাতাটি খাড়া রাখিবে এবং বাম পায়ের পাতা বিছাইয়া তাহার উপর বসিবে । আর স্ত্রীলোক পায়ের উপর বসিবে না বরং চুতড় নিতম্ব) মাটিতে লাগাইয়া বসিবে এবং উভয় পায়ের পাতা ডান দিকে বাহির করিয়া দিবে; এবং ডান রান বাম রানের উপর এবং ডান নলা বাম নলার উপর রাখিবে ।-মারাকী<br /><br /> ১১) স্ত্রীলোকের জন্য উচ্চ শব্দে কেরাআত পড়িবার বা তকবীর বলিবারও এজাযত নাই । তাহারা সব সময় সব নামাজের কেরাআত (তকবীর, তাস্‌মী ও তাহ্‌মীদ) চুপে চুপে পড়িবে -শামী<br /> <br /> </div>

নারী ও পুরুষের নামাজের মধ্যে পার্থক্য :-

০) * নারীর জন্য আযান-ইকামত নেই পুরুষের জন্য তা ওয়াজিব :- ★ পুরুষ :- সালাতের কার্যাদি শুরু করার প্রাথমিক ধাপ আযান দেওয়া । এ প্রসঙ্গে অসং...

Read more »

অভিশপ্ত ইয়াজিদ (লানতুল্লাহ) সম্পর্কে ভবিষ্যৎবানী :-

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><p dir="ltr" style="text-align: justify;">Related Topics :-</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">কারবালার ক্রিমিনাল কুখ্যাত ইয়াজিদ ড. জাকির নায়েকের চোখে হিরো ! (Mega post)</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;"><a href="http://goo.gl/2aqwdm">http://goo.gl/2aqwdm</a> </p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">কাফির ইয়াজিদ কি ন্যায়সঙ্গত উত্তরাধিকারী? </p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;"><a href="http://goo.gl/hyGvBy">http://goo.gl/hyGvBy</a> </p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">ইয়াযীদ সম্পর্কে মহানবী(সাঃ) এর ভবিষ্যত বাণী :-</p> <p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;"># তৃতীয় শতাব্দীর এক বিখ্যাত মুহাদ্দীস ইমাম আবু ইয়া’আল(রঃ) তাঁর মুসনাদ(ভলি. ২, পেজ ৭১) সহীহ চেইনে উল্লেখ করেনঃ</div><div style="text-align: justify;">হযরত আবু উবায়দাহ বিন জারাহ(রাঃ) থেকে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন – “মুসলিম উম্মাহ এর যাবতীয় কাজ কারবারে ততক্ষণ পর্যন্ত ন্যায়পরায়ণতা পরিলক্ষিত হবে যখন বনি উম্যায়াহ গোত্রের এক জন এসে দ্বীনের মধ্যে ফাটল ধরাবে। তার নাম হবে ইয়াজিদ”</div><div style="text-align: justify;">হাদীসটির বর্ণনাকারীর সকলেই সৎ এবং নির্ভরযোগ্য।</div><p></p> <p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;"># আরেক বিখ্যাত মুহাদ্দীস ইমাম সাহাবুদ্দীন আহমেদ বিন হাজর হায়তামী(রঃ) তাঁর আস-সাবাক আল-মুহরিকা গ্রন্থের ১৩২ পৃঃ একই হাদীস উল্লেখ করেছেন।</div><div style="text-align: justify;">হযরত আবু দারদা(রাঃ) বলেছেন, “আমি শুনেছিলাম রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন – আমার সুন্নাহকে পরিবর্তনকারী প্রথম ব্যক্তি হবে বনি উম্যায়াহ গোত্রের ইয়াজিদ”।</div><p></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;"># হাফিজ ইবন কাথীর(রঃ) একই হাদীস উল্লেখ করেছেন তাঁর সুবিখ্যাত আল-বিদ্যায়াহ আন-নিহ্যায়াহ গ্রন্থের ভলি. ৬, পেজ ২৫৬ তে হযরত আবুযার ঘিফারী(রাঃ) থেকে। এই বর্ণনায় ‘যার নাম ইয়াজিদ হবে’ এই কথাটি অনুপস্থিত।</p> <p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;"># হাদীসটি এই গ্রন্থেও বর্ণীত আছে</div><div style="text-align: justify;">মুসান্নাফ ইবন আবি শায়বা- ভলি. ৮, পেজ ৩৪১, হাদীস নং ১৪৫; দালাইল উন নবুয়্যাত লিল বায়হাকী আবওয়াব ঘাজওয়া তাবুক- হাদীস নং ২৮০২; মাতালিব আল-আলিয়্যাহ- হাদীস নং ৪৫৮৪।</div><p></p> <p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;"># আমর বিন ইয়াহিয়া সায়ে’দ বিন আমর বিন সায়ে’দ তাঁর দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, আমি হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) এর সাথে মসজিদে নববীতে বসেছিলাম এবং মারওয়ান আমাদের সাথে ছিলেন। হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেছিলেনঃ “আমি শুনেছিলাম রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন, কুরাইশ বংশের কিছু যুবকদের দ্বারা আমার উম্মত ধ্বংস প্রাপ্ত হবে”। মারওয়ান বলেন, আল্লাহ এই ধরণের যুবকদের অভিশাপ দেন। হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন, আমি বলতে পারি অমুক, অমুকের পুত্র অমুক, তমুকের পুত্র তমুক যদি আমি চাই। হযরত আমর বিন ইয়াহিয়া বলেন, আমি আমার দাদার সাথে বনী মারওয়ানে গিয়েছিলাম যখন তারা সিরিয়া নিয়ন্ত্রণ করছিল এবং এক জন যুবককে দেখতে পেলাম। আমার দাদা বললেন তারাও তাদের একজন হবে। আমরা বললাম তা আপনি ভাল বলতে পারবেন।</div><div style="text-align: justify;">[সহীহ বুখারী ভলি. ২, কিতাবুল ফিতনা]</div><p></p> <p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;"># হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) সূত্রে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন- আল্লাহ তা’আলার সাহায্য প্রার্থনা কর ৭০ দশক হতে এবং এক যুবকের রাজত্বকাল হতে।</div><div style="text-align: justify;">[মুসনাদ ইমাম আহমদ, হাদীস নং ৩৮০০]</div><p></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;"># সহীহ বুখারী শারীফের ব্যাখ্যাকারী এবং ফাতহুল বারীর লেখক হাফিজ আহমদ বিন হাজর আসকলানী(রঃ) মুসান্নাফ ইবন আবি শায়বা সূত্রে বর্ণনা করে লিখেন, মুসান্নাফ ইবন আবি শায়বার হাদীসে বলা আছে, হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বাজারে যাওয়ার সময় প্রার্থনা করত ‘ও আল্লাহ, আমাকে ৬০ A.H. এবং যুবকের রাজত্বকাল পর্যন্ত বাঁচিয়ে রেখ না’<br /></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">হাফিজ ইবন হাজর আসকলানী(রঃ) এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, এই হাদীসে ৬০A.H. এ এক জন শাসকের কথা বলা হয়েছে। হাদীস অনুসারে তাই ঘটে। ইয়াজিদ বিন মুয়্যাবিয়্যা এই বছরেই শাসনে বসেন ৬৪A.H. পর্যন্ত এবং এই সময়ে মারা যান।</p> <p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;"># সহীহ বুখারীর বর্ণোনাকারী ইমাম বদরুদ্দীন আইনি(রঃ) সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেন, ‘প্রথম বালক যে শাসন করবে’ এই কথা দ্বারা ইয়াজিদকে বুঝানো হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">[উমদাত উল কাদরী ভলি. ১৬, পেজ ৩৩৩]</div><p></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">মূলত এই কারণে আগেরকার যুগের বড় বড় আলেমগণ ইয়াজিদ বিন মুয়্যাবিয়্যার নামের শেষে ‘আল্লাহ এর লানত বর্ষিত হোক’ কথাটি লিখতেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েক জন হলেন –</p> <p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;"># Imam Ibn Hajr (rah) made the whole title in his book al-Imta bil al-Arb’ain as “SENDING LANAH ON YAZID (لعن يزيد)”</div><div style="text-align: justify;">وأما المحبة فيه والرفع من شأنه فلا تقع إلا من مبتدع فاسد الاعتقاد فإنه كان فيه من الصفات ما يقتضي سلب الإيمان عمن يحبه لأن الحب في الله والبغض في الله من الإيمان والله المستعان</div><div style="text-align: justify;">Translation: Loving and glorifying him (Yazid) is not done “EXCEPT BY A HERETIC” who has void belief because he (Yazid) had such characteristics that his lover deserves to be faithless, because to love and hate just for the sake of God is a sign of faith. [Publisher’s name: Dar ul Kutb al iLmiyyah, Beirut, Lebanon, Book name: al-Imta bil al-Arba’in al-Matbainatus Samah (الإمتاع بالأربعين المتباينة السماع), Author: Imam Ibn Hajr al Asqalani (rah), Publication date: 1997, Page No. 96]</div><p></p> <p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;">قال يحيـى بن عبد الملك بن أبـي غنية أحد الثقات، ثنا نوفل بن أبـي عقرب ثقة قال: كنت عند عمر بن عبد العزيز فذكر رجل يزيد بن معاوية، فقال: قال أمير المؤمنين يزيد، فقال عمر: تقول أمير المؤمنين يزيد، وأمر به فضرب عشرين سوطاً</div><div style="text-align: justify;">Translation: Yahya bin Abdul Mulk bin Abi Ghania “WHO WAS AMONGST THIQA NARRATORS” he heard from Nawfl bin Abi Aqrab “WHO IS THIQA” he narrates: Once in the gathering of Umar Bin Abdul Aziz [R.A] people talked about Yazid bin Muawiya, someone among the people mentioned Yazid with the title of Ameer ul Momineen, hearing this Hadrat Umar bin Abdul Aziz [ra] replied (in anger): You have called Yazeed Amir Ul Mominein? Then he gave order of 20 lashes to be given to the person [Imam Ibn Hajr al Asqalani in Tahdhib ut Tahdhib, Volume No. 6, Page No. 313].</div><p></p> <p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;"># নবম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি(রঃ) তাঁর সুবিখ্যাত ইতিহাসগ্রন্থ “তারিখ উল খুলাফা” গ্রন্থে ইয়াজীদ সম্পর্কে লিখেনঃ</div><div style="text-align: justify;">“You (Imam Hussain – Radhi Allaho Anho) were martyred and your head was brought to Ibn Ziyad on a plate. “May Allah’s Lanah (Curse) be upon the person who killed you, also Ibn Ziyad “AND UPON YAZID” [As-Suyuti in Tarikh ul Khulafa, Page No. 165]”</div><div style="text-align: justify;">আরবী বই এর স্ক্যান কপিঃ</div><p></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;"><a href="http://www.ahlus-sunna.com/index.php?option=com_content&view=article&id=46&Itemid=29&limitstart=31">http://www.ahlus-sunna.com/index.php?option=com_content&view=article&id=46&Itemid=29&limitstart=31</a></p> <p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;"># হাম্বলী মাযহাবের প্রবর্তক এবং ফিকাহ শাস্ত্রের সুবিখ্যাত ইমাম আহমদ বিন আহমদ(রঃ) যখন ইয়াজিদ বিন মুয়্যাবিয়্যার নামের শেষে ‘আল্লাহ এর লানত বর্ষিত হোক’ বললেন তখন থেকেই তার নামের শেষে তা বলা চালু হয় এবং সেটাই পরবর্তিতে ৪ মাযহাবের ইযমা হিসেবে সাব্যস্থ হয়।</div><div style="text-align: justify;">The Proof of sending Lanah upon Yazid is derived from this (ayah), as was mentioned by Al-Barzanji (rah) in his Al-Ashaat and Imam Haythami (rah) in As-Sawaiq from Imam Ahmed (rah) that his son Abdullah asked him about sending Lanah on Yazid, and how sending Lanah upon him is mentioned in the book of Allah (i.e. Quran). Imam Ahmed (rah) in proof of (sending Lanah upon Yazid) mentioned these verses:Would ye then, if ye were given the command, work corruption in the land and sever your ties of kinship? Such are the men whom Allah has cursed…(47:22-23), So could there be a greater fitnah than the actions committed by Yazid? [Ruh ul Ma’ani by Imam Al-Alusi, Volume 9 Under Surah Muhammad 22-23]</div><p></p> <p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;"># Allama Alusi said: And I say what is prevalent over my mind that (Yazid) Khabith did not testify to the messengership of the Holy Prophet (Peace Be Upon Him). According to me it is correct to curse a person like Yazid, although one cannot imagine a Fasiq like him and apparently he never repented, the possibility of his repentance is weaker than the possibility of his faith (Iman). Along with Yazid, Ibn Ziyad, Ibn Sa’ad and his group shall also be included. Verily, may Allah’s curse be upon all of them, their friends, their supporters, their group and upon everyone who inclines towards them until Qayamah and until an eye sheds a tear for Abu Abdullah Hussain (ra). [Tafsir Ruh al-Ma’ani, Volume 26, Page No. 73]</div><div style="text-align: justify;">আরবী বই এর স্ক্যান কপিঃ</div><p></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;"><a href="http://www.ahlus-sunna.com/index.php?option=com_content&view=article&id=46&Itemid=29&limitstart=43">http://www.ahlus-sunna.com/index.php?option=com_content&view=article&id=46&Itemid=29&limitstart=43</a></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">অথচ এই শেষ যুগে এসে ওহাবী/সালাফী/আহলে হাদীস নামের দলটির নেতারা এই ব্যক্তির নামের শেষে ‘আল্লাহ এর রহমত বর্ষিত হোক’ কথাটি ব্যবহার করে চলেছে। সত্যিই প্রসংশা করার মতো তাদের প্রতিভা ও ধর্মজ্ঞান! যেই ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ(সাঃ) এর প্রাণপ্রিয় নাতির হত্যাকারী তার নামের শেষে ……., এটা ভাবতেও যে কি কষ্ট তা কাউকে বলে বুঝানো যাবে না। তার থেকেও বড় কথা এই সব থেকে বড় ফিতনা ফাসাদের যুগে এসে ইতিহাস বিকৃত করে নতুন নতুন ইতিহাস রচণা করে মুসলিম উম্মার ইজমাকে বাতিল প্রমানের চেষ্টা করা এবং এর মাধ্যমে দেশের যুব সমাজকে মিথ্যা ইতিহাস জানানোর চেষ্টা করা কতটা দুঃসাহসের ব্যাপার তা ভাবলেই অবাক হই!</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">আল্লাহ তা’আলা আমাদের রক্ষা করুন এদের হাত থেকে। সুম্মা আমীন</p> <p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;">NB: আমাদের কাছে আপাতত বাংলায় রচিত ইতিহাস বই এর ডাউনলোড লিঙ্ক নেই। কেউ ইংরেজীতে ইতিহাস জানতে চেলে দেখুনঃ</div><div style="text-align: justify;">১. <a href="http://salafiaqeedah.blogspot.com/2010/12/yazid-laanati.html">http://salafiaqeedah.blogspot.com/2010/12/yazid-laanati.html</a></div><div style="text-align: justify;">২. <a href="http://salafiaqeedah.blogspot.com/2010/12/yazid-la-and-city-of-caesar.html">http://salafiaqeedah.blogspot.com/2010/12/yazid-la-and-city-of-caesar.html</a></div><div style="text-align: justify;">৩. <a href="http://salafiaqeedah.blogspot.com/2010/12/yazid-may-allah-give-him-what-he.html">http://salafiaqeedah.blogspot.com/2010/12/yazid-may-allah-give-him-what-he.html</a></div><p></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">নবম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি(রঃ) তাঁর সুবিখ্যাত ইতিহাসগ্রন্থ “তারিখ উল খুলাফা” গ্রন্থ এখান থেকে ডাউনলোড করে পড়ে দেখুন।</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;"><a href="http://www.mediafire.com/?3tichlnnj84p0nb">http://www.mediafire.com/?3tichlnnj84p0nb</a></p><div><div><div><div> </div> </div> </div> </div> </div>

অভিশপ্ত ইয়াজিদ (লানতুল্লাহ) সম্পর্কে ভবিষ্যৎবানী :-

Related Topics :- কারবালার ক্রিমিনাল কুখ্যাত ইয়াজিদ ড. জাকির নায়েকের চোখে হিরো ! (Mega post) http://goo.gl/2aqwdm কাফির ইয়াজিদ কি ন্য...

Read more »

আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ভালবাসার ফজিলত :-

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <br /><br />★ রাসূলুল্লাহ (ﷺসা ) বলেন,<br /> <br /> إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَيْنَ الْمُتَحَابُّونَ بِجَلَالِي الْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِي ظِلِّي يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلِّي<br /> <br /> ‘‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, আমার মহত্ত্বের নিমিত্তে পরস্পর ভালবাসার সম্পর্ক স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ আমি তাদেরকে আমার বিশেষ ছায়ায় ছায়া দান করব। আজ এমন দিন, যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া নেই।’’<br /> <br /> (মুসলিম, কিতাবুল বিররি ওয়াস-সিলাহ, হাদিস নং৪৬৫৫)<br /> <br /> <br /><br />★ রাসূলুল্লাহ (সাﷺ) বলেন,<br /> <br /> إِنَّ أَحَبَّ الْأَعْمَالِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ الْحُبُّ فِي اللَّهِ وَالْبُغْضُ فِي اللَّهِ<br /> <br /> ‘‘নিশ্চয় আল্লাহর নিকট শ্রেষ্ঠ আমল হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালবাসা এবং শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কারো সাথে শত্রুতা রাখা।’’<br /> <br /> (আহমদ, মুসনাদুল আনসার, হাদিস নং২০৩৪১)<br /><br /><br /><br />★ রাসূলুল্লাহ (সাﷺ) ইরশাদ করেছেন যে, "<br /> <br /> إِنَّ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ لَأُنَاسًا مَا هُمْ بِأَنْبِيَاءَ وَلَا شُهَدَاءَ يَغْبِطُهُمُ الْأَنْبِيَاءُ وَالشُّهَدَاءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِمَكَانِهِمْ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ تُخْبِرُنَا مَنْ هُمْ قَالَ هُمْ قَوْمٌ تَحَابُّوا بِرُوحِ اللَّهِ عَلَى غَيْرِ أَرْحَامٍ بَيْنَهُمْ وَلَا أَمْوَالٍ يَتَعَاطَوْنَهَا فَوَ اللَّهِ إِنَّ وُجُوهَهُمْ لَنُورٌ وَإِنَّهُمْ عَلَى نُورٍ لَا يَخَافُونَ إِذَا خَافَ النَّاسُ وَلَا يَحْزَنُونَ إِذَا حَزِنَ النَّاسُ..<br /> <br /> ‘‘নিশ্চয় আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ আছে যারা নবীও নয় শহীদও নয়; কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে তাঁদের সম্মানজনক অবস্থান দেখে নবী এবং শহীদগণও ঈর্ষান্বিত হবে। সাহাবিগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আমাদেরকে বলুন, তারা কারা ? তিনি বলেন, তারা ঐ সকল লোক, যারা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই একে অপরকে ভালবাসে। অথচ তাদের মধ্যে কোন রক্ত সম্পর্কও নেই, এবং কোন অর্থনৈতিক লেন-দেনও নেই। আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় তাঁদের চেহারা হবে নূরানি এবং তারা নূরের মধ্যে থাকবে। যে দিন মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত থাকবে,সে দিন তাঁদের কোন ভয় থাকবে না। এবং যে দিন মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকবে, সে দিন তাঁদের কোন চিন্তা থাকবে না..।’’<br /> <br /> (সুনানু আবী দাঊদ, কিতাবুল বুয়ূ‘, হাদিস নং ৩০৬০)<br /> <br /><br /><br /> ★ তিনি বলেন,<br /> <br /> لَا تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا وَلَا تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا أَوَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى شَيْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ أَفْشُوا السَّلَامَ بَيْنَكُمْ..*<br /> <br /> ‘‘তোমরা বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার না হবে, তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা ও সৌহার্দ্য স্থাপন করবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন বিষয়ের কথা বলব না, যা করলে তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠিত হবে ? সাহাবীগণ বললেন, নিশ্চয় ইয়া রাসূলাল্লাহ ! (তিনি বললেন) তোমাদের মধ্যে বহুল পরিমাণে সালামের প্রচলন কর।’’<br /> <br /> (মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং ৮১)<br /> </div>

আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ভালবাসার ফজিলত :-

★ রাসূলুল্লাহ (ﷺসা ) বলেন, إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَيْنَ الْمُتَحَابُّونَ بِجَلَالِي الْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِي ظِلِّي...

Read more »