👉ইমামে আজম আবু হানিফা (রহঃ) হযরত আবু ইউসূফ (রহঃ) কে অছিয়ত করতে গিয়ে বলেছেনঃ "কারো মধ্যে ধর্মীয় ত্রুটি দেখলে তা প্রকাশ কর এবং তার মর্যাদার পরওয়া করবে না।" [0]
👉"পথভ্রষ্ট আলিমগণ দাজ্জাল অপেক্ষা অধিক ভয়ংকর।" [1]
👉"তারা ইলম ছাড়া ফাতওয়া দিয়ে নিজেও পথভ্রষ্ট হবে, অন্যদেরও পথভ্রষ্ট করবে।" [2]
👉“আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন: আলিমগণ নবীদের ওয়ারিছ (উত্তরাধিকারী)।” [3]
👉সাহাবায়ে কিরামগণ (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রাসূল্লাল্লাহ (ﷺ) আমরা কাদের সঙ্গ গ্রহণ করবো? জবাবে হুজুর পাক (ﷺ) বললেনঃ
(১) যাকে দেখলে আল্লাহ পাকের কথা স্বরন হয়।(২) যার কথা শুনলে দ্বীনি ইলিম বৃদ্ধি পায়।
(৩) যার আমল দেখলে পরকালের কথা স্বরন হয়। [4]
তথ্যসূত্রঃ
[0.]
[আশবাহ ওয়ান নাযায়ের পৃষ্ঠা নং ২২৯-২৩০, আ'লা হযরতঃ আহলুস-সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বিদা, ইমাম শারানী (রহঃ) ও এটা বর্ণনা করেছেন]
1.আবূ যার (রাঃ) সূত্রে, রাসূল (ﷺ) থেকে।
[মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২০৩৩৫]
2.
১.সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৪৫৭১,
২.বুখারী শরীফ, হাদিস নং-১০০,
৩.সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদিস নং-৬৯৭১,
৪.মুসনাদুস শিহাব, হাদিস নং-৫৮১
3.
১.সুনানে আবী দাউদ, হা: নং ৩৬৪১।
২.তিরমিজি শরিফ, ২৬৮২ নং হা।
৩.সুনানে ইবনে মাজাহ, হা: নং ২২৩।
৪.মুসনাদে আহমদ, ৫ম খন্ড, ১৯৬ পৃ:।
৫.ইমাম তাহাবী: শরহে মুশকিলুল আছার, হাদিস নং ৯৮২।
৬.মুজামে ইবনে আরাবী, হাদিস নং ১৬০৯।
৭.ছহীহ্ ইবনে হিব্বান, ১ম খন্ড, ২৮৯ পৃ:।
৮.ইমাম তাবারানী: মুসনাদে শামেঈন, হাদিস নং ১২৩১।
৯.মুসনাদে শিহাব, হাদিস নং ৯৭৫।
১০.ইমাম বায়হাক্বী: আল আদাব, হাদিস নং ৮৬২।
১১.ইমাম বায়হাকী: মাদখাল, হাদিস নং ৩৪৭।
১২.তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ১৬ তম খন্ড, ৬২৭ পৃ:।
১৩.তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৫ম খন্ড, ৫৮৫ পৃ।
১৪.ইমাম গাজ্জালী: মুকাশাফাতুর কুলুব, ১ম খন্ড।
[4.]
১. মুসনাদে আহমদ,
২. সুনানুল কুবরা
আসুন সবকিছুর আগে তার Biography একটু জেনে নেইঃ
👉ডাঃ জাকির নায়েকের জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৫ই অক্টোবর ভারতের মুম্বাই নগরীতে। খৃস্টান মিশনারীদের স্কুল সেন্ট পিটার্স হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করে। অতপর হিন্দুদের কৃষ্ণচন্দ্র রাম কলেজ বোম্বাই থেকে এফ.এস.সি পাশ করে। তারপরে বোম্বের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস ডিগ্রি অর্জন করে।
👉জীবনের শুরু থেকেই খৃস্টান আর হিন্দুদের সংসর্গে থাকার কারনে ডাক্তার জাকিরের চিন্তাধারা ও মন মানসিকতায় তার ছাপ সুস্পষ্ট। আর তার লেবাস-পোষাক, সুরত-আকৃতি একথার স্পষ্ট প্রমাণ বহন করে।
👉সে কোন মাদ্রাসায়ও পড়ে নি তাই সে কুরআনের প্রকৃত সহিহ শিক্ষা থেকে বহুত দূরে। ফলে (মনগড়া তাফসীর) করা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। না জেনে তাফসীরের (বিকৃতী) করছে।
👉তার ইসলাম ধর্ম প্রচারের ব্যপারে জানা যায় যে ডঃ আহমদ দীদাতের সাথে ১৯৯৪ সালে বোম্বাই শহরে তার সাক্ষাত হলে তার আদর্শে সে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং ডাক্তারী পেশা ছেড়ে দিয়ে সে ডিজিটাল ইসলামি দাওয়াতী কার্যক্রম শুরু করে। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে, সে আরবী জানে না, শুধুমাত্র ইংলিশ লিটারেচারই তার উপজীব্য।
👉সে পবিত্র গ্রন্থ কুরআন উল কারিমের হাফেজও নয়। নিয়মতান্ত্রিক ভাবে হাদীস শরিফের তালীম (শিক্ষা) গ্রহন করেনি। ইন্টারনেট ভিত্তিক রিসার্চ ও নিজস্ব জ্ঞান আহরণ।
তাছাড়া লা মাযহাবী নাসিরুদ্দিন আলবানীর অন্ধ ভক্ত।
👉উস্তাদ ব্যতীত পদস্খলন ঘটার সম্ভাবনা অস্বাভাবিক নয়।
👉জাকির নায়েক কিভাবে তোতাপাখির মত মুখস্ত লেকচার ছাড়ে? বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আমি (এডমিন) মেডিকেল এ কোচিং করার সময় দেখেছি, এক একজন লেকচারার পুরো লেকচার সিট মুখস্ত ৷এরা পৃষ্টা সহ, প্যারা, স্টেপ বাই স্টেপ বলে দিত। আমি রীতিমত অবাক হলাম। জাকির নায়েকও ঠিক একি কৌশলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট লেকচার সিট মুখস্ত করে ভাসন দেয়। যদি এটা নাও মানেন তাহলে নিজেই দেখুন সে কুরআন কিংবা হাফেজ নয়, তাহলে কিভাবে সম্ভব?
তার আকিদা : আহলে হাদিস / দাওয়াহ / লা-মাযহাবী / সালাফী।
লা মাযহাবীদের বদ আকিদার কয়েকটি নমুনা। যদি কেউ এগুলো জেনেও তাদের বদ আকিদার সমর্থন দেয় তবে সেও উক্ত (বদাকিদার) পাপের অধিকারী।
1. নাসীরুদ্দিন আলবানী ইমাম বোখারী (রহঃ) কে অমুসলিম আখ্যায়িত করেছে।ইমাম বোখারী (রহঃ) বোখারী শরীফের “কিতাবুত তাফসীর” এ সূরা কাসাস এর ৮৮ নং আয়াতের যে ব্যাখ্যা করেছেন, সে সম্পর্কে নাসীরুদ্দিন আলবানী লিখেছে,
ﻻ ﻳﻘﻮﻟﻪ ﻣﺴﻠﻢ ﻣﺆﻣﻦ ﻭﻗﺎﻝ ﺇﻥ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﺘﺄﻭﻳﻞ ﻫﻮ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﺘﻌﻄﻴﻞ .
“এ ধরণের ব্যাখ্যা কোন মুমিন- মুসলমান দিতে পারে না। তিনি বলেন, এ ধরণের ব্যাখ্যা মূলতঃ কুফরী মতবাদ “তা’তীলের” অন্তর্ভূক্ত”।[ফাতাওয়াশ শায়েখ আলবানী, পৃষ্ঠা-৫২৩, মাকতাবাতুত তুরাছিল ইসলামী, প্রথম প্রকাশ ১৯৯৪ইং]
2. সালাফী নেতা নওয়ায নুরুল হাসান খান সাহাবীদের ব্যাপারে লিখেন :-
ﺩﺭﺍﺻﻮﻝ ﻣﺘﻘﺮﺭﺷﺪﻩ ﻛﻪ ﻗﻮﻝ ﺻﺤﺎﺑﻲ ﺣﺠﺖ ﻧﻴﺴﺖ -
অর্থঃ শরীয়তের মূলনীতিতে একথা নির্দিষ্ট হয়ে গেছে যে, সাহাবীদের বক্তব্য দলিল নয়। [সিদ্দীক হাসান খান নওয়ায,বুদূরুল আহিল্লাহ,পৃ.১৩৯]
3. সালাফী নেতা আব্দুল হক বেনারসি বলেছেন,
শাহ ইসহাক এর খলীফা মরহজম কারী আব্দুর রহমান পানিপথী লিখেন -
মৌলভী আব্দুল হক বেনারসী হাজারো মানুষকে "হাদিস অনুযায়ী আমল "এই শ্লোগানের অন্ত্রালে মাযহাব মানার অক্টোপাস থেকে মুক্ত করেছেন .... এবং মৌলভী সাহেব আমাদের সামনে বলেছেন, আয়শা (রা.) হযরত আলীর (রা.)-র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মুরতাদ হয়ে গেছেন। যদি তিনি তওবা ছাড়া মৃত্যুবরণ করে থাকে, তাহলে তিনি কাফের অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ) আর বলেন সাহাবীদের মাত্র পাচ পাচটি করে হাদিস মুখস্থ ছিল আর আমাদের সবার আরো বেশি হাদিস মুখস্থ রয়েছে। সুতরাং সাহাবীদের থেকে আমাদের ইলম বেশী।[আব্দুর রহমান পানিপথি কারী,কাশফুল হিজাব,পৃ:২১।]
- ঘড়ির মেকানিক নাসীরুদ্দিন আলবানীর তাহক্বিক এর অবস্থাঃ
যাদেরকে পূর্বের মুহাদ্দিসগণ অনির্ভরযোগ্য বলেছেন অথচ আলবানী সাহেব তাদেরকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন।
১। আহমদ ইবনে ফরজ আবু উতবা হামসীকে আলবানী সাহেব স্বিকা বা নির্ভরযোগ্য রূপে রূপান্তরিত করে তার বর্ণনাকৃত হাদীসকে সহীহ বলেছেন। আলবানীর কিতাব (সিলসিলায়ে আহাদীসে সহীহা খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২৩৬।)
২। ইসমাঈল ইবনে মুসলিম মক্কী। (প্রগুক্ত ১/৬১৩, ৬/৫০৫)
৩। বকর ইবনে খুনাইস। (প্রাগুক্ত ২/৬০৯)
৪। হাকাম ইবনে সেনান। (প্রগুক্ত ৪৭)
৫। হানযালা ইবনে আব্দুল্লাহ সুদুসী (প্রাগুক্ত ১/২৪৯)
৬। সালেহ ইবনে বশীর। (প্রগুক্ত ২/২৩৯)
৭। মুসলিম ইবনে ওয়ারদান। (প্রাগুক্ত ২/৫০৩)
৮। আব্দুল্লাহ ইবনে কায়সান মরূযী (প্রাগুক্ত ১/১৩)
৯। আব্দুল মুনঈম ইবনে বশীর। (প্রগুক্ত ১/৫৮২)
১০। ইয়াহয়া ইবনে কাছীর আবু নছর। (প্রাগুক্ত ১/২৬৪)
১১। আলফজল ইবনে মুখতার। (প্রাগুক্ত ২/৫৮২)
১২। খালেদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ কমরী দামেশকী। (প্রাগুক্ত ১/১১৩)
এরা হলেন ঐসকল রাবী যাদেরকেও আলবানী সাহেব নির্ভরযোগ্য রাবী বলে হাদীসকে সহীহ বলেছেন। অথচ এসকল বর্ণনাকারী মুহাদ্দিসদের মতে এত জয়ীফ যে হাদীসে এরা থাকবে সে হাদীস জয়ীফ বলে বিবেচিত হবে।
এবার বিস্তারিতঃ
১। আহমদ ইবনে ফরজ আবু উতবা হিমস।
👉 ইমাম আবু মুহাম্মদ হাকেম (রহ) বলেন, আবু উতবা যখন ইরাক পৌছে তখন ইরাকীগণ তার কাছ থেকে হাদীস নিয়েছেন এবং এর সম্পর্কে ভাল মত দিতেন। কিন্তু মুহাম্মদ ইবনে আউফ তার ব্যাপারে সমালোচনা করতেন। এবং আমি ইবনে হাওসাকে এই রাবী সম্পর্কে অনির্ভরযোগ্য বলতে শুনেছি। মুহাম্মদ ইবনে আউফতো তাকে কাযযাব বা মিথ্যাবাদী এবং খারাপ চরিত্রের বলে দাবী করেন।
👉 ইমাম আবু হাশেম আব্দুল গাফফার ইবনে সালাম (রহ) বলেন, আমি আমার বন্ধুদেরকে তার ব্যাপারে মিথ্যাবাদী হিসেবে মন্তব্য করতে দেখার পর আমি তার কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করিনি। ( ইমাম যাহাবী : তাহযীবুত তাহযীব ১/৬৮)
👉 ইমাম খতীব আল বাগদাদী (রহ) তো বলেন আবু উতবা সম্পর্কে মদ পানকারী মদ্যপ ছিল। (তারিখে বোগদাদী ৪/৩৪১)
২। ইসলামাঈল ইবনে মুসলিম মক্কী
👉ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) তাকে মুনকারুল হাদীস বলেছেন,
👉ইমাম আলী ইবনে মাদানী (রহ) বলেছেন তিনি সবসময় ভুল করে থাকে, তিনি আরো বলেন উক্ত ব্যক্তি আমার কাছ থেকে একটি তিন প্রকারে বর্ণনা করেছেন।আরো বলেছেন তার কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করা যাবে না। তিনি عن حسن، عن سمرہ বলে মুনকার হাদীস বর্ণনা করে থাকেন।
👉ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে মুঈন (রহ) বলেছেন তিনি কোন বস্তুই না।
👉ইমাম ইবনে জাওযজানী (রহ) বলেছেন ইসমাঈল ইবনে মুসলিম কল্পনা প্রসূত হাদীস বলে,
*** ইমাম নাসায়ী বলেছেন তিনি অস্বীকৃত,
*** ইয়াহইয়া ইবনে মাহদী এবং ইবনে মোবারক একে ছেড়ে দিয়েছেন। (তাহযীবুল কামাল ৩/১০২)
৫। হানযালা ইবনে আব্দুল্লাহ সুদুসী
👉ইবনে মাদানী (রহ) বলেন ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ (রহ) বলেছেন আমি এই বর্ণনাকারীকে দেখেছি। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ত্যাগ করেছি।
👉মায়মুন বলেন ইমাম আহমদ (রহ.) তাকে জয়ীফ বলেছেন।
👉 আছরাম বলেছেন ইমাম আহমদ (রহ.) তাকে মুনকারুল হাদীস বলেছেন। অভাবিত ও আশ্চর্য জনক হাদীস বর্ণনা করেন।
👉সালেহ ইবনে আহমদ (রহ) বালেছেন আমার পিতা বলেছেন তিনি জয়ীফ।
👉ইবনে মুঈন (রহ) ও নাসায়ী (রহ) ও তাকে জয়ীফ বলেছেন।
👉 ইমাম আবু হাতেম (রহ) বলেছেন লাইসা বিক্ববিয়্যিন।
👉 ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ) বলেছেন হানযালা ইবনে আব্দুল্লাহ তার কুনিয়ত ছিল আবু আব্দুর রহমান। শেষ বয়সে তার গড়বড় হয়ে গেছে। এমনকি জানতেন না যে রেওয়ায়াত তিনি করতেন সেখানে পুরাতন কথাগুলো গড়বড় করে একের সাথে আরেকটি মিলিয়ে বলে দিতেন।
👉ইয়াহইয়া ইবনে কাত্তান (রহ) তাকে পরিত্যাগ করেছেন। (আত্তারীফ বি আওহামী ৬/৩৪)
পর্যালোচনা : তিনি পরিত্যাক্ত এবং জয়ীফ। নিজেই জানতেননা তিনি কি বর্ণনা করছেন। প্রথমে তিনি তা কিরূপে বর্ণনা করেছিলেন। এরূফ জয়ীফ রাবীর হাদীছও আলবানী সাহেব তার সহীহ হাদীছে বর্ণনা করেছেন।
৬। সালেহ ইবনে বশীর
👉 মুফাজ্জল গালাবী প্রমূখ বলেন ইবনে মুঈন তাকে জয়ীফ বলেছেন।
👉মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক সাফফানী প্রমূখ বলেছেন ইবনে মুঈন বলেছেন তিনি কিছুই না।
👉জা’ফর তায়ালাসী বলেছেন ইয়াহইয়া ইবনে মুঈন বলেছেন তিনি কিসসা কাহীনী বলতেন এবং তাঁর সকল বর্ণনা যেগুলো সাবেত থেকে বর্ণনা করেছেন সবই বাতিল। (ইমাম যাহাবী : তাহযীব ৪/৩৮৩)
👉হাসান ইবনে আলী আফফনকে বলেন হাম্মাদ ইবনে আন সালেহ থেকে কিছু হাদীস বর্ণিত আছে। তিনি বলেন তা মিথ্যা। (তারীখে বাগদাদ ৯/৩০৮)
👉আব্দুল্লাহ ইবনে আলী মদীনী বলেন আমার পিতা তাকে বড় জয়ীফ বলেছেন।
👉মুহাম্মদ ইবনে উসমান ইবনে আবী শায়বা বলেন আলী বলেছেন তিনি কিছুই না। জয়ীফ।
👉উমর ইবনে আলী বলেন তিনি জয়ীফুল হাদীস।
👉ইমাম বুখারী (রহ.) বলেছেন তিনি মুনকারুল হাদীস।
👉আজেরী বলেন আমি ইমাম আবু দাউদ থেকে জিজ্ঞেস করলাম তার হাদীস লেখা যাবে কি না? তিনি বলেন না।
👉ইমাম নাসায়ী বলেন তিনি জয়ীফ। তার হাদীস পরিত্যায্য। (তাহযীবুত্তহাযীব ৪/৩৮৩)
এরূপ জয়ীফ রাবীর বর্ণনাও আলবানী সাহেব সহীহ হাদীসের মধ্যে গণ্য করেছেন।
The Faults of Dr Jakir Naik (জাকির নায়েকের ভ্রান্ত আকিদাসমূহ)
🔥 সে একমত হয়েছে যে, ‘পবিত্র কুরআনে ব্যাকরনগত ভুল আছে’ (নাউযুবিল্লাহ) (লেকচার সমগ্র
ভলিউম নং ১ পৃষ্টা নং ৫১২)
ভিডিও দেখুন>
সাবধান! এই কথাটা স্পষ্ট কুফর। পরে যদিও ওনি সঠিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিন্তু (ভুল হয়েছে সেটা একমত - এটা স্পষ্ট কুফর এই কথার উপর তাকে তওবাহ করতে হবে)
- নুহ (আঃ) এর কওম তাদের রাসুলগনকে অস্বীকার করেছিল। অথচ উক্ত সম্প্রদায়ের জন্য একমাত্র ১জন নবী এসেছিলেন। সুতরাং রাসুলদের বলাটা কুরআনের ব্যাকারনগত ভুল। (নাউযুবিল্লাহ) খ্রিষ্টান এক ব্যাক্তির জবাবে জাকির নায়েক বলেছিল। আপনার সাথে একমত , হতে পারে এটা ব্যবকরনগত ভুল (নাউযুবিল্লাহ)
প্রমান> click Here to zoom ↓
🔥তাবিজ ব্যবহার করা শিরিক। কুরআন হাদিসে এর কোন অস্তিত্ব নেই।
ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী কাউকে (কোন ইমানদারকে) শিরিকের অপবাদ দিলে উল্টা সেই ব্যক্তি মুশরিক হয়ে যাবে।প্রমান ও জবাব :
তাবিজ - ঝাড়ফুক জায়েজ ও নাজায়েজ সম্পর্কে শরীয়তের বিধানঃ
🔥 Muslims can have sex with female slaves without marry.
এপ্রথা এখন আর নেই।
🔥 হায়াতুন্নবী (আঃ) অস্বীকারকারী।
স্পষ্টভাবে এই ফতোয়া বিরোদ্ধে গেল আল-কুরআনের নিচের আয়াত সমুহের যা স্পষ্ট কুফরঃ -
~ সুরা বাকারা ২: ১৫৪
~ আল-ইমরান ৩: ১৬৯
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) হায়াতুন্নবী সম্পর্কিত সকল পোস্ট ও কিতাব সমূহঃ
🔥ওসীলা নেয়া হারাম এমনকি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকেও। এটা স্পষ্ট কুফর।এই আকিদায় বিশ্বাস রেখে মারা গেলে কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে।
ভিডিও দেখুন>
জবাবঃ সুরা মায়েদা ৩৫ নং আয়াতে (উসীলাতা) শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
উসীলা ও ইস্তিগাসা সম্পর্কিত সকল কিতাব ও পোস্টসমূহ একত্রে।
🔥সে বলেছে ‘মিলাদুন্নবী মন্দ বিদআত এবং এসব নাকি খৃষ্টানদের রীতি।
জবাবঃ আমাদের প্রানপ্রিয় মহানবী (সাঃ) এর পবিত্র বেলাদত (জন্মকে) এরুপ ভাবে নিকৃষ্টভাবে বর্ননাকারী স্পষ্ট গোমরাহী। রাসুলের আনুগত্য যেমন আল্লাহর আনুগত্য, রাসুলের প্রতি ভালবাসা যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা তেমনি রাসুলের শানে জেনে শুনে বিয়াদ্দবি মানে আল্লাহ ও রাসুলকে কষ্ট দেয়া।
"যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ওপরকালে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি”।
(সূরা আহযাব : ৫৭)
বিদআত সম্পর্কিত সকল পোস্ট ও কিতাব সমূহঃ
মিলাদুন্নবী (ﷺ) সম্পর্কে সকল কিতাব ও পোস্ট সমূহঃ
- সে বলেছে ‘ওযু ছাড়া পবিত্র কুরআন স্পর্শ করা ও পড়া যাবে সে মুসলিম হোক বা অমুসলিম। কুরআন স্পর্শ করার জন্য ওযু ফরজ নয় । কারন সুরা ওয়াকিয়া তে যে আয়াতে পবিত্রতা ছাড়া কুরআন স্পর্শ করার কথা বলআ হয়েছে তা এই কুরআন না লাওহে মাহফুয এর কুরআন।(লেকচার সমগ্র ভলিউম নং ২ পৃষ্টা নং ৬২৬)
তাহলে আমার প্রশ্ন হল এই কুরআন কি লাওহে মাহফুজ এর কুরআন নয়?
বা এই কুরআনের মর্যাদা কি নাজিল হওয়ার পর কমে গেছে?
®
- ঋতুবর্তী মহিলারা কোরআন পড়তে পারবে। এছাড়াও সবাই ওযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করতে পারবে। (নাউযুবিল্লাহ) জাকির নায়েক ও বিল্লাল ফিলিপ্স এই মত দিয়েছে মুলত তা নাসিরুদ্দিন আলবানীর ফতোয়া মোতাবেক।
®
- সে ‘ইয়াজিদের নামের সাথে ‘রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ‘ [Peace Be Upon Him] এই পবিত্র বাক্য ব্যবহার করে হযরত ঈমাম হোসাইনকে (রাঃ) অপমান করেছেন ‘
- কারবালার যুদ্ধকে হক ও বাতিলের পার্থক্য না বলে Political War বলে অভিহিত করা।
ভিডিও দেখুন :-
জবাবঃ
ইয়াজিদ বিন মু'য়াবিয়া (লানতুল্লাহ) সম্পর্কে সকল পোস্ট একত্রেঃ