বড়পীরের শানে গাউসুল আজম ব্যবহার করলে কি শিরিক হবে?গাউসুল আজম অর্থ কি?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> ♥শানে গাউসুল আজম দস্তগীর (রা)♥<br /> <br /> তিনি আল্লাহর ওলীগনের মধ্যে সেরা ওলি তাই ওনাকে ওলীকুল শিরমনি বলা হয়।<br /> ওনার বিভিন্ন লক্বব রয়েছে সেগুলোর মধ্যে কিছু নাম যেমন:-<br /> <br /> • Shaykh<br /> ("Leader")<br /> নেতা<br /> • Abd al-Qadir<br /> ("Servant of the All-Powerful")<br /> সর্বশক্তিমান আল্লাহর বান্দা<br /> • Al-Jilani<br /> ("One Who Is from Gilan")<br /> তিনি জীলান থেকে<br /> • Muhyi’d-Din<br /> ("Reviver of the Religion")<br /> দ্বীনের পুনর্জীবনদান কারী<br /> • Al-Ghaws al-A'zam<br /> • ("The Supreme Helper")<br /> মহীয়ান/শ্রেষ্ঠতম সাহায্যকারী<br /> দস্তগীর (Dastgir) - দস্ত অর্থ হাত & গীর অর্থ ধরা<br /> (হাত ধরা মানে Hand holder means he is helper)<br /> • Sultan al-Awliya<br /> ("The King of the Saints")<br /> অলিকুল সরদার /বাদশাহ<br /> • Al-Hasani Al-Husaini<br /> ("The descendant of both Imam al-Hasan and Imam al-Husain)<br /> ইমাম হাসান (আ) ও ইমাম হোসাইন (আ) এর বংশধর<br /> <br /> সুন্নীরা মনে করে যে এতে দোষের কিছু নেই তাই অতীতের আলিমগনও বড়পীর (রহ) কে এভাবেই সম্বোধন করতেন কিন্তু ওহাবী সালাফীরা এসব নতুন ফির্কা এখন এটাকে শিরিক বলে ইদানিং প্রচার করতেসেন।<br /> আসুন বিশ্লেষণ করি:<br /> <br /> গাউছুল আজম (অর্থ হলঃ বড় সাহায্যকারী) এটা ওনার একটা সম্মানিত লক্বব/ উপাধী। অলীগণ সব সময় আমাদের সাহায্য করেন, আমাদের জন্য রূহানীভাবে দোয়া করেন।<br /> <br /> সকল সাহায্যকারীর মূল হলেন আল্লাহ পাক আর সমগ্র সৃষ্টি জগতের সকলেই সাহায্যের উসীলা মাত্র। আল্লাহ পাকের ৯৯ নামে কি গাউছ আছে? আল্লাহর নাম যখন বান্দার জন্য ব্যবহৃত হয় তখন এর আগে আব্দুল ব্যবহৃত হয়।<br /> <br /> পিতা-মাতাও সাহায্য করে থাকেন। তারাও তো সাহায্যকারী। আপনি নিজেও নিজের সাহায্যকারী, প্রত্যেক অংগ-প্রত্যংগ আপনার সাহায্যকারী।<br /> কিন্তু মূলত প্রকৃত সাহায্যকারী আল্লাহ আর যাবতীয় সব উসীলা যা আল্লাহর দান আপনাকে সাহায্য করার জন্য।<br /> <br /> বাকি রইল জিন্দা, মূর্দা -<br /> <br /> ১) নবীগণ, অলীগন, শহীদগন যে জীবিত এ মর্মে কুরআন, হাদিস, তফসীরে হাজারো প্রমাণ বিদ্যমান।<br /> ২) আল্লাহ ব্যতীত তারা যে সাহায্যকারীদের ডাকে তারা তাদের সাহায্য করতে অক্ষম।<br /> এই আয়াত কাফির ও মুশরিকদের উদ্দেশ্যে অবতীর্ণ, যা মুমিনের জন্য ব্যবহার করা খারেজীদের বৈশিষ্ট্য হবে।<br /> ৩) অলীগণের ইন্তেকালের পর তাদের রূহানী শক্তি আরো বেড়ে যায়। তারা আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায় সাহায্য করতে সক্ষম। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।<br /> <br /> আল্লাহ সর্বজ্ঞ। এ ব্যাপারে আরো বিস্তৃতভাবে আলোচনা করা হলঃ<br /> <br /> <br /> ১) ওনারা আল্লাহর হেদায়াতপ্রাপ্ত তাই ওলিগনের ওসিলা দিয়ে দোয়া চাইলে তা সাথে সাথে কবুল হয়ে যায়।আমাদের পাপীদের জন্য আল্লাহ তাদের উসিলায় সহায় হন।<br /> <br /> ২) আমরা কার থেকে সাহায্য গ্রহন না করি? মাতা-পিতা,আত্তীয় স্বজন সবার থেকে সাহায্য কামনা করি তখন তো ওহাবীরা বলে না যে এক আল্লাহ ব্যতীত তাদের কাছে সাহায্য চেয়েছ এটা শিরিক হবে?<br /> আসলে আমরা যার কাছেই চাই না কেন মোট কথা হল আল্লাহ দাতা আর সকল সৃষ্টি একে অপরকে সাহায্য করার একটা মাধ্যম (ওসিলা) মাত্র।<br /> <br /> ৩) সাহাবীগন রাসুল (সা) কে ওসিলা করে সাহায্য চেয়েছেন,কখনও কখনও একজন সাহাবী অপরজন সাহাবীকে ওসীলা করে সাহায্য চেয়েছেন। আমরা তাদেরই অনুসরন করি এখন আমরা নবী-রাসুল,সাহাবা,ইমামগন,ওলিগন ও আল্লাহর সমস্ত প্রিয় বান্দাদের ওসীলা দিয়ে আল্লাহর কাছে চাই আল্লাহসাহায্য করেন।<br /> <br /> ৪) আল্লাহর ক্ষমতা প্রাপ্ত কারো কাছে রুহানী সাহায্য চাইলে তারা যদি সাহায্য করেন তাহলেও আমরা এটাই বিশ্বাস করি যে আল্লাহর ক্ষমতা দিয়েছেন বলেই ওনারা পারেন আল্লাহর ক্ষমতা ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না।<br /> <br /> ৫) বিভিন্ন হাদিসে প্রমান পাওয়া যায় বৃষ্টি ও খরার সময় রাসুলের ও সাহাবাগন একে অপরকে ওসীলা করে দোয়া চাইত এটা পরোক্ষ ভাবে তাদের সাহায্য প্রার্থী হয় নাই কি?<br /> <br /> ৬) রাসুল (সা), সাহাবায়ে কেরাম,শহীদ,ওলী,আলেম,হাফিজ, কুরআন, রোজা কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহর কাছে পাপী বান্দার জান্নাতের জন্য শুপারিস করে জান্নাতে নিয়ে যাবেন তাহলে মানুষ মৃত্যুর পর কারো সাহায্য নিলে জায়েয হবে অথচ দুনিয়াতে তা হারাম হয়ে যায় কতই আশ্চর্যের কথা।<br /> <br /> ৩ লক্ষ হাদিসের হাফিজ ইমাম গাজ্জালী(রহ) বলেন,<br /> <br /> যার কাছে জীবিত অবস্থায় সাহায্য চাওয়া জায়েয তার ওফাতেত পরও তার কাছে সাহায্য চাওয়া জায়েয।<br /> <br /> Note:- অবশ্যই তার এই আকিদা থাকতে হবে যে মুলত আল্লাহর প্রদত্ত ক্ষমতা দিয়েই ওলীগন সাহায্য করে থাকেন আর অবশ্যই তা জায়েয কাজের জন্য হতে হবে।<br /> <br /> <br /> সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহর অলিগণের কোন ভয় নেই, এবং তারা কোন বিষয় এ চিন্তিতও নহে । তাঁদের জন্য আছে সুসংবাদ দুনিয়া ও আখেরাতে, আল্লাহর কথার কোন পরিবর্তন হয় না, উহাই মহা সাফল্য । (সুরাঃ ইউনুছ, আয়াতঃ ৬২-৬৪) ।<br /> <br /> <br /> আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ্ তা’আলা বলেন: যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমার বান্দার প্রতি যা ফরয করেছি তা দ্বারাই সে আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে। আমার বান্দা নফল কাজের মাধ্যমেও আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। অবশেষে আমি তাকে ভালবেসে ফেলি। যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাইযা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। সে আমার কাছে কিছু চাইলে, আমি তাকে তা দেই। সে যদি আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি যা করার ইচ্ছা করি, সে ব্যাপারে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগি না কেবল মুমিনের আত্মার ব্যাপার ছাড়া। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার মন্দকে অপছন্দ করি। [বুখারী: ৬৫০২]<br /> <br /> <br /> ‘গাউস’ শব্দের অর্থ হলো সাহায্যকারী। আর ‘আজম’ শব্দের অর্থ হলো বড়। যদি ‘গাউসুল আজম’ শব্দের সংযুক্ত অবস্থায় অর্থ করা হয়, তাহলে অর্থ দাঁড়ায়- (১) বড় সাহায্যকারী (২) বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী (রাহ.)এর উপাধী। (ফিরোজুল লুগাত, পৃষ্ঠা- ৯১৮)।<br /> <br /> ★ আশরাফ আলী থানভী বড় পীর (রাহ.) সর্বস্তরের ওলী হওয়ার কারনে ওনার সাথে গাউসুল আজম হিসাবে লিখেছেন।<br /> (কাসাসুল আউলিয়া- ১ম ঘটনা)<br /> <br /> ★ হযরত আশরাফ আলী থানভী লিখেন,"<br /> হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রাহ.) এর যে ধোপা ছিল সে কিনা কবরে যাওয়ার পর ফেরেস্তারা তাকে দ্বীন সম্পর্কে প্রশ্ন করার পর সে উত্তর দিয়েছিল, আমার ধর্ম বড় পীরের ধর্ম। একথা বলার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। আশরাফ আলী থানভী এর ঘটনাবলীর সাথে গাউসুল আজম ব্যবহার করেছেন বড়পীরের শানে।<br /> <br /> Reference :-<br />  আশরাফ আলী থানভীর বয়ান (মূল উর্দূ- পছন্দিদাহ ওয়াক্বিয়াহ্) যার বাংলা অনুবাদ করেন বাংলাদেশের ঢাকা মিরপুর দারুর রাশাদ মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা হাবিবুর রহমান সাহেব ও সংকলক হিসাবে দারুল উলুম দেওবন্দ (ইন্ডিয়ার) সম্মানিত শিক হযরত মাওলানা ক্বারী আবুল হাসান আযমীর নাম রয়েছে। উক্ত বই এর ৪৬ নং পৃষ্ঠায় হযরত বড়পীরের ধোপা শীর্ষক একটা ঘটনা।<br /> <br /> আর এখন সেই তার অনুসারীরা বলে গাউসুল আজম বলা শিরিক।<br /> <br /> <br /> <br /> ★ দেওবন্দি ওহাবীরাও নিজেদের মুরব্বী রশীদ আহমদ<br /> গাঙ্গুহীকে গাউছুল আযম বলে ডেকেছে!! নাউযুবিল্লাহ<br /> <br /> Reference :<br /> <br /> <br /> বলেছে কিনা প্রমাণ দেখুন...<br /> তাযকিরাতুর রশীদ ১ম খন্ড ১৩ পৃষ্ঠা ১০ নং লাইন<br /> প্রকাশক দারুল কিতাব দেওবন্দ।<br /> <br /> <br /> <br /> আসুন ইস্তিগাসা ও ওসীলার আরো কিছু দলিলাদি হাদিস থেকে জেনে নেই:-<br /> <br /> খলীফা উমর (রা:)-এর বক্তব্য ছিল নিম্নরূপ:<br /> <br /> “হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে প্রার্থনা করার সময় মহানবী (দ:)-কে ওয়াসিলা (মাধ্যমে) হিসেবে পেশ করতাম, আর আপনি বৃষ্টি দিতেন; এখন আমরা তাঁর চাচা হযরত আব্বাস (রা:)-কে ওয়াসিলা হিসেবে পেশ করছি, অতএব অনুগ্রহ করে বৃষ্টি দিন”।<br /> <br /> এই বর্ণনাটি হযরত আনাস (রা:) হতে আল্ বুখারী (রহ:) তাঁর সহীহ্ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন। ইমাম আল্ মালেকী (রহ:) বলেন, “যে ব্যক্তি এই বর্ণনা থেকে এ কথা বুঝে নেয় যে হযরত উমর (রা:) হযরত আব্বাস (রা:)-কে ওয়াসিলা করেছেন এবং বিশ্বনবী (দ:)-কে করেন নি কেননা হযরত আব্বাস (রা:) জীবিত এবং মহানবী (দ:) ‘মৃত’, তবে ওই ব্যক্তির উপলব্ধি ক্ষমতাই মৃত।”<br /> <br /> ইমাম সৈয়ুতী (রহ:) নিজ তারিখে খুলাফা (বৈরুত ১৯৯২, আহমদ ফারেস সম্পাদিত, পৃষ্ঠা ১৪০) গ্রন্থে এই ঘটনার পটভূমি বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেন: “১৭ হিজরী সালে হযরত উমর (রা:) মসজিদে নব্বী সম্প্রসারণ করেন। ওই বছর হেজায অঞ্চলে খরা দেখা দেয়। সালটিকে ‘অঙ্গারের বছর’ আখ্যা দেয়া হয় (আম আল্ রামাদা)। হযরত উমর (রা:) মানুষের উপকারে বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনার সময় হযরত আব্বাস (রা:)-এর ওয়াসিলা গ্রহণ করেন। হযরত ইবনে সা’দ (রহ:) (সাহাবী) হযরত নিয়্যার আল্ আসলামী (রা:) থেকে বর্ণনা করেন যে হযরত উমর (রা:) যখন বৃষ্টির জন্যে খোদার দরবারে প্রার্থনা করতে বেরিয়ে আসেন, ওই সময় তিনি মহানবী (দ:)-এর জুব্বা (বুরদ্) মোবারক পরেছিলেন। হযরত ইবনে আওন ((রা:) বর্ণনা করেছেন যে খলীফা উমর (রা:) হযরত আব্বাস (রা:)-এর হস্ত মোবারক ওপরে তুলে ধরেন এবং বলেন, ‘হে আল্লাহ্! আমরা মহানবী (দ:)-এর সম্মানিত চাচার মধ্যস্থতায় (ওয়াসিলায়) আপনার দরবারে প্রার্থনা করছি যাতে আপনি এই খরা আমাদের কাছ থেকে দূর করে দেন এবং বৃষ্টি মঞ্জুর করেন . . . . . . ”।<br /> <br /> <br /> “আপনার নবী (দ:)-এর চাচা” (আল্ বুখারীতে উদ্ধৃত)। আল্ লালিকার সংস্করণে তা এভাবে উদ্ধৃত “আপনার নবী (দ:)-এর সাথে সম্পর্কে হযরত আব্বাস (রা:)-এর মর্যাদা”। হযরত আব্বাস (রা:) এ উপলক্ষে বলেন, “হে আল্লাহ্! কোনো শাস্তিই পাপ ছাড়া অবতীর্ণ হয় না, আর তা তওবা (অনুতপ্ত হওয়া) ছাড়া মোচনও হয় না। মানুষেরা আপনার নবী (দ:)-এর সাথে আমার সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত আমার মর্যাদার ওয়াস্তে আপনার করুণাপ্রার্থী। আর এই হলো আমাদের হাত যা আপনার দরবারের দিকে তোলা; যদিও আমাদের অনেক পাপ, তবুও আমাদের কপালের উপরিবর্তী কেশগুচ্ছ অনুতপ্ত; অতএব, আমাদের বৃষ্টি দান করুন এবং আপনার নবী (দ:)-কে তাঁর চাচার সত্তায় অম্লান রাখুন।” অতঃপর আকাশ থেকে রশির মতো মোটা (অর্থাৎ ভারী) বর্ষণ আরম্ভ হলো এবং মানুষেরা হযরত আব্বাসের (রা:) কাছে এসে হাত বুলিয়ে দিয়ে বল্লো, “আপনাকে মোবারকবাদ (অভিনন্দন), মক্কা ও মদীনা (হারামাইন শরীফাইন)-এর সেচকারী।” হযরত উমর ফারুক (রা:) এমতাবস্থায় বলেন, “তিনি হলেন আল্লাহর কাছে মধ্যস্থতাকারী এবং নৈকট্যের মকাম (স্থান)।” এ বর্ণনাটি আল্ আনসাব পুস্তকে আল্ যুবায়ের ইবনে বক্কর (রহ:) থেকে উদ্ধৃত করেছেন ইবনে হাজর (রহ:) তাঁর ফাত্হুল বারী গ্রন্থে (২:৪৯৭)<br /> <br /> <br /> <br /> এক বেদুঈন আরব আমাদের মহানবী (দ:)-কে বলেন, “আমরা এমন সময় আপনার শরণাপন্ন হয়েছি যখন আমাদের কুমারীদের দুধ শুকিয়ে গেছে, আর মায়েরা আপন শিশুর জীবনের চেয়ে নিজের জীবন সম্পর্কে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। ওই শিশু ক্ষুধায় হাত নামিয়ে স্থবির বসে আছে; কেননা এই ক্ষিদে জ্বালাময় এবং বিরামহীন। খাওয়ার মতো কিছুই আর আমাদের জনগোষ্ঠির কাছে নেই, কেবল আছে তেতো শশা জাতীয় সবজি এবং রক্তমিশ্রিত উটের পশম। আমাদের আশ্রয় নেয়ার মতো আর কেউ নেই আপনি ছাড়া। কেননা নবী (দ:) ছাড়া মানুষেরা আর কোথায়ই বা আশ্রয় নেবে”?<br /> <br /> এমতাবস্থায় মহানবী (দ:) উঠে দাঁড়ালেন এবং তাঁর জুব্বা মোবারক টানতে টানতে মিম্বরে আরোহণ করলেন। অতঃপর আরয করলেন: “হে আল্লাহ্! আমাদের বৃষ্টি মঞ্জুর করুন।” অমনি ভারী বর্ষণ আরম্ভ হলো। এ দেখে তিনি বল্লেন, “আবু তালিব (নবীর চাচা) আজ জীবিত থাকলে এ দৃশ্য দেখে নয়ন জুড়াতেন। ওই বেদুঈন (আবু তালেব) যা বলেছেন কে আছো তা পুনরায় আবৃত্তি করবে আমাদের উদ্দেশ্যে”? এই কথা শুনে হযরত আলী (রা:) উঠে দাঁড়িয়ে আরয করলেন, “হে রাসূল (দ:) আমার মনে হয় আপনি তাঁর এই কথা বোঝাচ্ছেন, “শুভ্র সেই সত্তা যার চেহারা মোবারক দ্বারা মেঘমালা কামনা করা হয়, যিনি এতিম অনাথদের লালন-পালনকারী ও বিধবাদের রক্ষক। তাঁরই মধ্যস্থতায় হাশেম গোত্র দুর্যোগ থেকে আশ্রয় চায়; কেননা তারা তাঁরই মধ্যে খুঁজে পায় মহা অনুগ্রহ ও করুণা . . . . . .”।<br /> <br /> এই হাসীসটি আল্ বায়হাকী বর্ণনা করেছেন তাঁর দালাইল আল্ নুবুয়্যত গ্রন্থে (৬:১৪১), ইবনে কাসির তার আল্ বেদায়া ওয়ান্ নেহায়া পুস্তকে (৬:৯০-৯১) এবং ইবনে হাজর তাঁর ফাত্হুল বারী বইয়ে (১৯৮৯ সংস্করণ, ২:৬২৯)।<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> (খ) হযরত সাওয়াদ ইবনে কারীব আল্ সাদুসী (রা:) কবিতার আকারে আবৃত্তি করেন-<br /> <br /> “সত্যি আপনি হলেন আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্তিতে নবীদের মাঝে সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম’; মহানতম ও নির্মলতম পিতামাতার পুত্র সন্তান; অতএব, এই সাওয়াদ ইবনে কারীবের জন্যে ওই দিন সুপারিশকারী হোন, যেদিন সুপারিশকারীদের মধ্যে আপনি ছাড়া আর কারো সুপারিশই আমার জন্যে ন্যূনতম উপকারী হবে না।”<br /> <br /> এ বক্তব্য শ্রবণে রাসূলে কারীম (দ:) মৃদু হাসলেন এবং বল্লেন, “সাওয়াদ! তুমি সাফল্য অর্জন করেছ।” হাদীসটি বর্ণনা করেছেন আবু ইয়া’লা তাঁর মু’জাম বইয়ে (পৃষ্ঠা ২৬৫), তাবারানী নিজ আল্ কবীর পুস্তকে (৭:৯৪ ৬৪৭৫), আবু নু’য়াইম তাঁর দালাইল্ আল্ নুবুওয়া গ্রন্থে (পৃষ্ঠা ১১৪, অধ্যায় ৬৩), আল্ তায়মী নিজ দালাইল পুস্তকে (পৃষ্ঠা ১৩২), আল্ হাকিম তাঁর মুস্তাদ্রাক গ্রন্থে (৩:৭০৫), আল্ বায়হাকী নিজ দালাইল বইয়ে (২:২৫১), ইবনে আব্দিল বারর তাঁর ইস্তিয়াবা পুস্তকে (২:৬৭৫), ইবনে কাসির নিজ তাফসীর (৪:১৬৯) এবং বেদায়া গ্রন্থে, ইবনে হাজর তাঁর ফাত্হুল বারী (৭:১৮০) ও ইসাবা (৩:২৯৯) পুস্তকে<br /> <br /> <br /> (গ) হযরত হাস্সান বিন সাবিত (রা:) পদ্যের আকারে আবৃত্তি করেন-<br /> <br /> “আপনার প্রতি যাঁরা আস্থা রাখেন, ওহে তাঁদের ভিত্তি স্তম্ভ, ওহে তাঁদের আশ্রয়স্থল যাঁরা আপনার মাঝে আশ্রয় খোঁজেন, আর যাঁরা শষ্য ও বৃষ্টি খোঁজেন তাঁদের আশ্রয়দাতা, ওহে আশ্রয় অন্বেষণকারীদের প্রতিবেশী ও রক্ষাকারী, যাঁর মাঝে পূর্ণতা ও চারিত্রিক নির্মলতা সন্নিবেশ করে খোদা তা’লা তাঁর সৃষ্টিকুলের জন্যে মনোনীত করেছেন!”<br /> <br /> এ বর্ণনাটি ইবনে আব্দিল বারর তাঁর আল্ ইস্তিয়াব গ্রন্থে (১:২৭৬) এবং ইবনে সাইয়্যেদ আল্ নাস্ নিজ মিনাহ্ আল্ মায পুস্তকে (পৃষ্ঠা ৭৩) লিপিবদ্ধ করেছেন।<br /> <br /> <br /> (ক) ভাষ্য - ১<br /> <br /> সাহাবী হযরত মালেক আল দার (রা:) বর্ণনা করেন-<br /> <br /> “হযরত খলীফা উমর (রা:)-এর শাসনামলে মানুষেরা খরাপীড়িত হন। এমতাবস্থায় কেউ একজন মহানবী (দ:)-এর রওযা পাকে আসেন এবং আরয করেন, ‘হে নবী, আপনার উম্মতের জন্যে (আল্লাহর দরবারে) বৃষ্টি প্রার্থনা করুন, কেননা নিশ্চয় তারা নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে।’ অতঃপর বিশ্বনবী (দ:) এক রাতে ওই ব্যক্তির স্বপ্নে দেখা দেন এবং তাঁকে বলেন, ‘উমরের কাছে যাও এবং তাকে আমার সম্ভাষণ জানাও। তারপর তাকে বলবে যে বৃষ্টি হবে। তাকে বলবে বিচক্ষণ হতে (শাসনে)’। ওই ব্যক্তি খলীফার কাছ গিয়ে সব ঘটনা জানালেন। এতে খলীফা খুব কাঁদলেন এবং দোয়া করলেন, ‘হে প্রভু! আমি চেষ্টায় ক্রটি করি না, শুধু যা আমার ক্ষমতার বাইরে তা ছাড়া!” ইবনে কাসির তার রচিত আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া পুস্তকে (মা’আরিফ সংস্করণ ৭:৯১-৯২ এবং দার ইহইয়া আল্ তুরাস্ সংস্করণ ৭:১০৫) ইমাম বায়হাকী (রহ:)-এর দালাইল আল নুবুয়্যত (৭:৪৭) থেকে বর্ণনাটি উদ্ধৃত করে বলেন, “ইসনাদুহু সহীহ্” (এর সনদ বিশুদ্ধ); তিনি আরও ঘোষণা করেছেন, “ইসনাদুহু জাইয়্যেদুন কাওয়ী,” অর্থাৎ এর সনদ নির্ভরযোগ্য (জামেউল মাসানিদ, ১:২২৩)। ইবনে আবি শায়বা (৬:৩৫২ এবং ১২:৩১-৩২) সহীহ্ সনদের সাথে এটি বর্ণনা করেছেন যা ইবনে হাজর মক্কী (রহ:) নিজ ফাত্হুল বারী, ইস্তিস্কা পুস্তকের তৃতীয় অধ্যায়ে (১৯৮৯ সংস্করণ, ২:৬২৯-৩০ ও ১৯৫৯ সংস্করণ ২:৮৯৫) সমর্থন করেছেন এ কথা বলে “রাওয়া ইবনে আবি শায়বা বি ইসনাদিন সহীহ্;” তিনি নিজ রচিত আল ইসাবা পুস্তকে (৬:১৬৪ এবং ৩:৪৮৪) বলেন যে এটি ইবনে আবি খায়তামা বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে আরও আছেন আল খলিলী তাঁর ইরশাদ বইয়ে (১:৩১৩-১৪) এবং ইবনে আব্দিল বারর তাঁর আল্ ইস্তিয়াব গ্রন্থে (২:৪৬৪ এবং ৩:১১৪৯)। আল্ আলবানী তার প্রণীত তাওয়াসসুল পুস্তকে (পৃষ্ঠা ১২০) এ বর্ণনাটিকে দুর্বল প্রমাণ করতে চেয়েছে, কিন্তু তাকে শায়খ মামদুহ্ নিজ  রচিত রাফ’আল্ মিনারা গ্রন্থে (২৬২-২৭৮ পৃষ্ঠা) বিস্তারিত খন্ডন করেছেন; ওতে ইবনে বা’য (ফাত্হুল বারীর হাশিয়া), আবু বকর জাযাইরীর ‘ওয়াজাউ ইয়ারকুদুন’, হাম্মাদ আল্ আনসারীর প্রবন্ধ ‘আল্ মাফহুম আল্ সহীহ্ লিল্ তাওয়াসসুল’ যার অপর শিরোনাম ‘তোহ্ফাত আল্ কারী ফী রাদ্দি আ’লাল গুমারী’ এবং অনুরূপ লেখনীর খন্ডন বিধৃত হয়েছে।<br /> <br /> (খ) হযরত উমর ফারুক (রা:)-এর ভাষ্যানুযায়ী হযরত আব্বাস (রা:)-এর যাত মোবারকের মাধ্যমে শাফায়াত প্রার্থনা:<br /> <br /> “ওহে মানুষেরা! রাসূলে খোদা (দ:) হযরত আব্বাস (রা:)-কে তাঁর শ্রদ্ধেয় পিতার মতো বিবেচনা করতেন; তাঁকে সম্মান করতেন এবং তাঁর অধিকারকেও। অতএব, ওহে মানুষেরা, হুজুর পাক (দ:)-এর চাচার সত্তা মোবারকের আকৃতিতে নবী করীম (দ:)-এর হুকুম মান্য কর এবং হযরত আব্বাস (রা:)-কে তোমাদের এই দুর্যোগের সময় মহাপরাক্রমশালী খোদা তা’লার দরবারে প্রার্থনাকালে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গ্রহণ কর!”<br /> <br /> এই বর্ণনাটি হযরত উমর ফারুক (রা:) হতে আল্ বালাযিরী নির্ভরযোগ্য সনদে লিপিবদ্ধ করেছেন; আর দুর্বল সনদে ইবনে উমর (রা:) হতে বর্ণনা করেছেন আল্ যুবায়র ইবনে বাক্কার নিজ ’আল্ ‘আনসাব’ পুস্তকে এবং ইবনে আসাকির তাঁর তারিখে দিমাশক্ গ্রন্থে (৮:৯৩২), যা ইমাম ইবনে হাজর (রহ:) কর্তৃক প্রণীত ফাত্হ পুস্তকে উদ্ধৃত হয়েছে (১৯৫৯ সংস্করণ, ২:৪৯৭)। শায়খ মাহমুদ মামদুহ্ তাঁর রাফ’আল মিনারা (১২০ পৃষ্ঠা) গ্রন্থে আল্ আলবানীর ‘তাওয়াসসুল’ পুস্তকে উত্থাপিত দাবির খন্ডন করেছেন এই মর্মে যে, ওই পুস্তকের ৬৭-৬৮ পৃষ্ঠায় আলোচ্য রেওয়ায়াতটিকে ‘মুদতারিব’ বা তালগোল পাকানো বলাটা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।<br /> <br /> <br /> এ কথা সর্বজন জ্ঞাত যে, বিভিন্ন প্রাণী ও কীট-পতঙ্গ নিজেরাই বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা করে থাকে, যেভাবে নবী করীম (দ:)-এর পিঁপড়া সংক্রান্ত হাদীসটি বর্ণনা করেছে। এই হাদীস্ রেওয়ায়াত করেছেন হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে দারু কুতনী, তাঁর ছাত্র আল্ হাকিম ও নিম্নবর্ণিত হাদীসবেত্তাগণ: ইবনে আবি শায়বা (৬:৬২, ৭:৭১), আবু আল শায়খ তাঁর আল্ আযামা পুস্তকে (৫:১৫৭২), তফসীরে ইবনে কাসীর (৩:৩৬০), ইমাম ইবনে হাজর তাঁর তালাখিস্ ও আল্ হাবীর গ্রন্থ দু’টোতে (২:৯৭ # ৭১৮), ইবনে আল্ মুলাক্কিন স্বরচিত খোলাসাতুল বদর বইয়ে (১:২৫০), আল্ সান’আনী নিজ সুবুলুস্ সালাম গ্রন্থে (২:৮৩), আলা শওকানী স্বরচিত নায়ল্ আল্ আওতার পুস্তকে (৪:২৭), এবং থানভী নিজ “ইলা আল্ সুনান” বইয়ে (৪:১৯৩)।<br /> <br /> <br /> এস্তেস্কা তথা বৃষ্টির জন্যে নামাযের সময় আমাদের প্রতি সুন্নাহের বিধান হলো গবাদি ও উট-ঘোড়া ইত্যাদি পশুগুলোকেও খোলা ময়দানে বের করে আনতে হবে। কেননা, মহানবী (দ:) এরশাদ করেছেন- “(যাকাত প্রদান থেকে বিরত) ব্যক্তিদের প্রতি বৃষ্টি মঞ্জুর করা হতো না, যদি না গবাদি পশুরা থাকতো।” এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ইবনে মাজাহ্ (রহ:)। অন্যত্র তিনি এরশাদ ফরমান- “চরে খাওয়া গবাদি পশু না হলে তোমাদের প্রতি আক্ষরিক অর্থেই শাস্তি নেমে আসতো।” এ হাদীস্ রেওয়াযাত করেছেন আবু ইয়ালা, আল্ বাযযার এবং অন্যান্যরা।<br /> <br /> এখন আমাদের জিজ্ঞাস্য, গবাদ পশুর মধ্যস্থতা মেনে নেয়া যায়, অথচ আমাদের প্রিয়নবী (দ:)-এর শাফায়াত/<br /> <br /> এখন আমাদের জিজ্ঞাস্য, গবাদ পশুর মধ্যস্থতা মেনে নেয়া যায়, অথচ আমাদের প্রিয়নবী (দ:)-এর শাফায়াত/ তাওয়াসসুল মানা যায় না কেন? এ কেমন আচরণ?<br /> <br /> <br /> তাপসকুল শিরোমণি হযরত উয়ায়স করনীর শ্রেষ্টত্ব সম্বন্ধে আল্লাহর রাসুলের হাদীসের কয়েকটি বাংলা তরজমা সংযোজন করা হইল।<br /> <br /> হযরত ওমর (রা.) বলিয়াছেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺকে বলিতে শুনিয়াছি, নিশ্চয়ই , অনুগতদিগের (খায়রুত্তাবেয়ীন) মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি যাহার নাম উয়ায়ছ। তাহার মা আছে এবং তাহার শরীরে একটি শ্বেত চিহ্ন আছে। তোমরা (তাহার সংগে দেখা করিয়া) অনুরোধ করিবে যেন সে তোমাদের ক্ষমার জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে। (মুসলিম শরীফ ৬২৬০/ মিশকাত ৬০০৬)<br /> <br /> হযরত উমর বিন খাত্তাব হইতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূলﷺ বলিয়াছেন, “নিশ্চয়ই ইয়েমেন হইতে তোমাদের নিকট এক লোক আসিবে যে উয়ায়ছ নামে অবিহীত। সে তাহার মাতার জন্য ইয়েমেন ত্যাগ করিতে পারে না। তাহার শরীরে শ্বেত রোগ ছিল। সে আল্লাকে ডাকিল, তাহার শ্বেত রোগ এক দিরহাম পর্যন্ত ব্যতীত দূর হইয়া গেল। তোমাদের মধ্যে যে কেহ তাহার সাক্ষাত পাও তাহাকে অনুরোধ করিবে যেন সে তোমাদের মাগফিরাতের জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে । (মুসলিম শরীফ ৬২৫৯/ মিশকাত শরীফ ৬০০৬)<br /> <br /> <br /> রাসূলল্লাহ হযরত ওমরকে বলিলেন, উয়ায়ছ ইবনে আমর মুজাহিদগণের সাহায্যার্থে আগমনকারী ইয়েমেনবাসীদের সহিত তোমাদের নিকট আসিবে। সে মুজার গোত্রের কারণ শাখার অন্তর্ভুক্ত। তাহার ধবল রোগ ছিল। (আল্লাহর নিকট দোয়া করিবার কারণে) এক দিরহাম পরিমান স্থান ব্যতীত সে উহা হইতে আরোগ্য লাভ করে। তাহার মাতা আছে। সে তাহার মাতার সহিত সদ্ব্যবহার করে। সে আল্লাহর নিকট শপথ করিলে, আল্লাহ তাহা পূরণ করে। তাহার দ্বারা তোমাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা করাইতে সক্ষম হইলে তাহা করাইবে। (মিশকাত শরীফ)<br /> <br /> রাসূলﷺ ফরমাইলেন, রাবী এবং মুজার গোত্রের মেষের পশম তুল্য লোক হযরত উয়ায়ছ করণীর শাফায়াতে বেহেশতে যাইবে। (মিশকাত শরীফ)<br /> <br /> হযরত আবি মাসউদ-উল-আনসারী হতে বর্নিতঃ রাসূল ﷺ বলেছেন, “ “আমার উম্মতের ভিতর এক ব্যক্তি, যাহাকে লোকে উয়ায়েছ ইবনে আবদুল্লাহ্ করণী বলে, তাহার প্রার্থনায় অবশ্যই রাবিয়া ও মুজার এই দুই গোত্রের বকরীর পশমের সংখ্যক গুনাহ্গার উম্মতের গুনাহ্ মাফ হইবে।” (শওয়াহেদুন-নবুওয়াত/মছনবী রহীম)<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /></div>

বড়পীরের শানে গাউসুল আজম ব্যবহার করলে কি শিরিক হবে?গাউসুল আজম অর্থ কি?

♥শানে গাউসুল আজম দস্তগীর (রা)♥ তিনি আল্লাহর ওলীগনের মধ্যে সেরা ওলি তাই ওনাকে ওলীকুল শিরমনি বলা হয়। ওনার বিভিন্ন লক্বব রয়েছে সেগুলোর মধ...

Read more »

প্রশ্নোত্তরে মাযহাবের তাক্বলিদ (পর্ব ২)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> ♦♦যার যার মাযহাব সুন্দর ভাবে পালন করা উচিত ♦♦<br /><br />যে যার যার মাযহাব অনুসরণ করবে।<br /> <br /> —ইমাম মালেক<br /> <br /> খলীফা আবু জাফর মানসুর আগ্রহ প্রকাশ করলেন যে, আমি চাই গোটা মুসলিম সম্রাজ্যে এক ইলমের (অর্থাৎ মুয়াত্তা মালিকের) অনুসারী হোক। আমি সকল এলাকার কাযী ও সেনাপ্রধানদের নিকট এ ব্যাপারে ফরমান জারি করতে চাই।<br /> <br /> ইমাম মালিক (রহ.) বললেনঃ<br /> [ইবনে সা'দের বর্ণনায়]<br /> <br /> يا أمير المؤمنين ! لا تفعل هذا، فإن الناس قد سبقت إليهم أقاويل، وسمعوا أحاديث، ورووا روايات، وأخذ كل قوم بما سبق إليهم وعملوا.<br /> <br /> অর্থাৎ "হে আমীরুল মু'মিনীন! এমনটি করবেন না। কেননা, লোকেরা সাহাবীগণের বক্তব্য শুনেছে, হাদীস শুনেছে, রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছে এবং প্রত্যেক জনগোষ্ঠী তাই গ্রহণ করেছে, যা তাদের নিকট পৌঁছেছে এবং তদানুযায়ী আমল করেছে।"<br /> <br /> [আততবাকাত ৪৪০]<br /> <br /> খতীব বাগদাদীর বর্ণনায় আছে, ইমাম মালিক (রহ.) বললেন,<br /> <br /> يا أمير المؤمنين ! إن إختلاف العلماء رحمة من الله تعالى هذه الأمة، يتبع ما صح عنده، وكل على هدى، وكل يريد الله تعالى.<br /> <br /> অর্থাৎ "হে আমীরুল মু'মিনীন! নিঃসন্দেহে আলেমগণের মতপার্থক্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এ উম্মতের জন্য রহমহত। প্রত্যেকে তাই অনুসরণ করে, যা তাদের নিকট সহীহ সাব্যস্ত হয়েছে, প্রত্যেকেই হেদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং প্রত্যেকেই আল্লাহর (সন্তুষ্টি) কামী।<br /> <br /> [কাশফুল খাফা, আলআজলূনী ১/৫৭-৫৮; উকূদুল জুমান আসসালেহী ১১]<br /> <br /><br /><br />♦♦প্রশ্ন: হাদিস থাকতে মাযহাব কেন মানব?মাযহাব মানার উপকারিতা কি?<br /> <br /> <br /> উত্তর:-<br /> হাদিস সহিহ কিনা দ্বয়ীফ কোন হাদিসের কি ব্যাখ্যা তা রাসুল(সা) থেকে  সাহাবীগন শিখেছেন আর সাহাবীগন থেকে তাবেয়ী, আর তাবেয়ীগন থেকে তাবে-তাবেয়ীগন।আর তাদের থেকে সকল ইমাম,মুজতাহিদ,মুহাদ্দিসিনগন শিখেছেন।<br /> সাহাবীগন হাদিস লিখেন নি আর তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীগন সেই সব হাদিস সংকলন করেছেন যদি মাযহাব (৪ মাযহাব তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীগন থেকে) এর তাক্বলিদ নাই করে কেউ তাহলে লা-মাযহাবী মুর্খরা এই হাদিস পেল কোথায় ???<br /> <br /> তা ছাড়া হাদিসের মান নির্নয়ে মাযহাবের ভুমিকা অপরিহার্য।<br /> যেমন এক হাদীসের ক্ষেত্রে একাধিক<br /> বক্তব্য এসেছে। এক হাদীসকে একদল<br /> মুহাদ্দিস<br /> সহীহ বলেছেন, অপরদল তাকে হাসান<br /> বলেছেন,<br /> কেউবা জঈফ বলেছেন।<br /> যেহেতু হাদীস সহীহ বা জঈফ হওয়ার কোন<br /> দলীল কুরআন বা হাদীসে বর্ণিত নয়। এসবই<br /> গবেষকদের গবেষণার সৃষ্টি। যদি কুরআন<br /> বা হাদীসে কোন হাদীসকে সহীহ বা জঈফ<br /> বলা হতো, তাহলে আমরা কিছুতেই<br /> কারো গবেষণা মেনে হাদীসকে সহীহ বা জঈফ<br /> মানতাম না। বরং সরাসরি কুরআন ও<br /> হাদীসে বর্ণিত সহীহ এবং জঈফকেই<br /> মেনে নিতাম। কিন্তু যেহেতু কুরআন ও<br /> হাদীসে সহীহ বা জঈফের কথা উল্লেখ নেই,<br /> তাই আমাদের মূলনীতি হল, যিনি কুরআন ও<br /> হাদীসের শব্দের সাথ তার অন্তর্নিহিত অর্থ<br /> সম্পর্কে সম্মক অবগত, সেই<br /> সাথে যিনি আল্লাহর নবীর বলা শ্রেষ্ঠ যুগের<br /> মুহাদ্দিস ফক্বীহ তার কথার<br /> আলোকে হাদীসকে সহীহ ও জঈফ নির্ণিত<br /> করবো।<br /> <br /> তথা শ্রেষ্ঠ যুগের মুহাদ্দিস ফক্বীহ<br /> যে হাদীসকে গবেষণা করে সহীহ সাব্যস্ত<br /> করে আমলযোগ্য হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন,<br /> তার<br /> হাদীসকে সহীহ ধরে আমল করবো। আর<br /> তিনি যে হাদীসকে জঈফ বা কোন কারণ<br /> সংশ্লিষ্ট সাব্যস্ত করে বাদ দিয়েছেন,<br /> আমরা উক্ত হাদীসকে আমলহীন ধরে আমল<br /> করবো না।<br /> শ্রেষ্ঠ যুগের পরের কোন মুহাদ্দিসের<br /> গবেষণা মেনে হাদীস সহীহ বা জঈফ বলার<br /> চেয়ে শ্রেষ্ঠ যুগের মুহাদ্দিস ফক্বীহের<br /> গবেষণা মেনে হাদীসকে সহীহ বা জঈফ<br /> বলা কি অধিক নিরাপদ নয়?<br /> আরেকটি লক্ষ্যণীয় বিষয়<br /> ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর জন্ম ৮০ হিজরী।<br /> মৃত্যু-১৫০ হিজরী।<br /> ইমাম মালিক রহঃ এর জন্ম-৯৩ হিজরী।<br /> মৃত্যু-১৭৯।<br /> ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর জন্ম-১৫০ হিজরী।<br /> মৃত্যু-২০৪ হিজরী।<br /> ইমাম আহমাদ বিন বিন হাম্বল রহঃ এর<br /> জন্ম-১৬৪, মৃত্যু-২৪১ হিজরী।<br /> ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ এর জন্ম-১১৩<br /> হিজরী এবং মৃত্যু-১৮২ হিজরী।<br /> ইমাম মুহাম্মদ রহঃ এর জন্ম ১৩১<br /> হিজরী এবং মৃত্যু-১৮৯ হিজরী।<br /> বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ইমাম মুহাম্মদ<br /> রহঃ নাবালেগ থেকে বালিগ হওয়ার<br /> সাথে সাথেই ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর<br /> শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।<br /> <br /> মুহাদ্দিসীনদের জন্ম ও মৃত্যু<br /> মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল বুখারী রহঃ এর<br /> জন্ম-১৯৪ হিজরী এবং মৃত্যু ২৫৬ হিজরী।<br /> মুসলিম বিন হাজ্জাজ ইমাম মুসলিম রহঃ এর<br /> জন্ম ২০৪ হিজরী এবং মৃত্যু ২৬১ হিজরী।<br /> মুহাম্মদ বিন ঈসা বিন সাওরা ইমাম<br /> তিরমিজী জন্ম-২১০ হিজরী এবং মৃত্যু ২৭৯<br /> হিজরী।<br /> মুহাম্মদ বিন ইয়াজিদ ইমাম ইবনে মাজাহ এর<br /> জন্ম-২০৯ হিজরী এবং মৃত্যু-২৭৩ হিজরী।<br /> সুলাইমান বিন আসআস ইমাম আবু দাউদ রহঃ এর<br /> জন্ম- ২০২ হিজরী এবং মৃত্যু-২৭৫ হিজরী।<br /> আবু আব্দুর রহমান আহমদ ইমাম<br /> নাসায়ী রহঃ এর<br /> জন্ম ২১৫ হিজরী এবং মৃত্যু ৩০৩ হিজরী।<br /> এই হল সিহাহ সিত্তার জন্ম ও মৃত্যুর সন।<br /> লক্ষ্য<br /> করুন যে,<br /> ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর মৃত্যুর ৪৪ বছর পর<br /> জন্ম লাভ করেছে ইমাম বুখারী রহঃ।<br /> ইমাম মুসলিম রহঃ এর জন্ম গ্রহণ করেছেন<br /> ৫৪<br /> বছর পর।<br /> ইমাম তিরমিজী রহঃ জন্ম গ্রহণ করেছেন ৬০<br /> বছর পর।<br /> ইমাম আবু দাউদ রহঃ জন্ম লাভ করেছেন ৫২<br /> বছর পর।<br /> ইমাম ইবনে মাজাহ রহঃ জন্ম গ্রহণ করেছেন<br /> ৫৯ বছর পর।<br /> ইমাম নাসায়ী রহঃ জন্ম গ্রহণ করেছেন ৬৫<br /> বছর পর।<br /> <br /> ইলমে হাদীসের সাথে সম্পর্ক রাখেন এমন<br /> একজন সাধারণ শিক্ষার্থীও জানেন যে,<br /> হাদীস<br /> সহীহ বা জঈফ হয় মৌলিকভাবে সনদের<br /> দুর্বলতার কারণে। আরে অনেক কারণেও হয়,<br /> তবে মূল কারণ সনদের দুর্বলতা। অর্থাৎ<br /> সনদের<br /> মাঝে দুর্বল রাবী থাকার কারণে সহীহ<br /> হাদীসও জঈফ হয়ে যায়, এমনকি মুনকারও<br /> হয়ে যায়। আর সনদের মাঝে রাবীগণ<br /> শক্তিশালী থাকার কারণে হাদীস সহীহ<br /> হয়ে থাকে।আমরা যদি ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করি যে,<br /> ইমাম আবু হানীফা রহঃ যখন হাদীসের<br /> আলোকে মাযহাব সংকলিত করেন, তখন<br /> যে হাদীস সনদের শক্তিশালীত্বের<br /> কারণে সহীহ ছিল, উক্ত হাদীসটি ৪০/৫০<br /> বছর পরেও সহীহ থাকা শর্ত কি না? অবশ্যই<br /> নয়। কারণ, একটি হাদীস যখন ইমাম আবু<br /> হানীফা রহঃ দেখলেন, সে হাদীসটি তার<br /> কাছে সহীহ, কারণ তার মাঝে এবং সাহাবীর<br /> মাঝে একজন বা সর্বোচ্চ দুইজনের মাধ্যম<br /> বিদ্যমান। সেই একজন বা দুইজনও শ্রেষ্ঠ যুগের<br /> লোক। তাদের মাঝে হাদীস জঈফ হওয়ার কোন<br /> কারণ বিদ্যমান হওয়া প্রায় অসম্ভব।<br /> <br /> <br /> যেখানে ইমাম আবু হানীফা রহঃ নিজেই একজন<br /> জাঁদরেল মুহাদ্দিস এবং জারাহ তাদীলের<br /> ইমাম। সেখানে তিনি কোন সহীহ হাদীস<br /> ছাড়া গ্রহণ করতেই পারেন না।<br /> যেমনটি আমাদের গায়রে মুকাল্লিদরাও<br /> অকপটে স্বীকার করে প্রচার করে বেড়ায় যে,<br /> ইমাম আবু হানীফা রহঃ বলেছেন“যখন হাদীস<br /> সহীহ হবে, তখন সেটাই আমার মাযহাব”।<br /> তাই তিনি হাদীসের ভিত্তিতে যেসব<br /> মাসআলা বলেছেন, তার সব ক’টিই ছিল সহীহ<br /> হাদীস। যেহেতু তার এবং রাসূল সাঃ এর<br /> মাঝে মাধ্যম ছিল দুই বা একজন। তাই সনদের<br /> মাঝে দুর্বলতা আসা ছিল খুবই দূরের কথা।<br /> কিন্তু উক্ত হাদীসটি, যেটাকে ইমাম আবু<br /> হানীফা রহঃ সনদ শক্তিশালী হওয়ার<br /> কারণে সহীহ হিসেবে মত দিয়ে তার<br /> মাঝে নিহিত মাসআলাকে সহীহ সাব্যস্ত<br /> করেছেন, ঠিক সেই হাদীসটিই ৪০/৫০ বছর<br /> পর সনদের দুর্বলতার কারণে পরবর্তীদের<br /> কাছে যেতে পারে।<br /> কারণ ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর<br /> কাছে যে হাদীস সহীহ হিসেবে এল সনদ<br /> শক্তিশালী হওয়ার দ্বারা উক্ত<br /> হাদীসটি যদি পরবর্তীতে কোন দুর্বল<br /> রাবী বর্ণনা করে, তাহলে উক্ত হাদীসটি উক্ত<br /> দুর্বল ব্যক্তির বর্ণনার কারণে যার<br /> কাছে বর্ণনা করল, তার কাছে উক্ত<br /> হয়ে যাচ্ছে দুর্বল তথা জঈফ।<br /> <br />  কিন্তু সে হাদীস<br /> কিন্তু ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর জমানায়<br /> সহীহই ছিল। সেটি জঈফ<br /> হয়েছে পরবর্তীতে এসে। তাহলে সহীহ<br /> থাকা অবস্থায় উক্ত হাদীসের<br /> ভিত্তিতে যেহেতু ইমাম আবু<br /> হানীফা রহঃ স্বীয় মাযহাব দাঁড়<br /> করিয়ে ফেলেছেন, তাই ৪০/৫০ বছর পরের<br /> কোন মুহাক্কিকের কাছে জঈফ সুত্রে পৌঁছার<br /> কারণে জঈফ মনে হলেও আবু হানীফা রহঃ এর<br /> মাযহাব কিন্তু জঈফ হাদীস নির্ভর<br /> হয়ে যাচ্ছে না।<br /> আরো সহজভাবে বুঝুন! ইমাম আবু<br /> হানীফা রহঃ তাবেয়ী হিসেবে চার জন<br /> সাহাবী থেকে সরাসরি হাদীস পেয়েছেন।<br /> যথা-<br /> হযরত আব্দুল্লাহ বিন উনাইস রাঃ থেকে।<br /> হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবী আওফা রাঃ থেকে।<br /> হযরত আব্দুল্লাহ বিন হারেস রাঃ থেকে।<br /> হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে।<br /> এখন বলুন, এ চারজন থেকে পাওয়া হাদীস<br /> বা সুন্নতে নববীতে কোন জুউফ<br /> তথা দুর্বলতা পাওয়ার সুযোগ আছে?<br /> তাহলে তাদের বক্তব্যের আলোকে তিনি যেসব<br /> মাসআলা তার ফিক্বহে হানাফীতে সংকলিত<br /> করেছেন, তা জঈফ হাদীস নির্ভর হয় কি করে?<br /> তবে উক্ত হাদীসগুলোই পরবর্তীতে কোন দুর্বল<br /> হাদীস বর্ণনাকারী বলার কারণে দুর্বল হতেই<br /> পারে। বিশেষ করে যেখানে ৪০<br /> থেকে ৬০/৭০ বছরের পর।<br /> <br /> সুতরাং হানাফী মাযহাবের যেসকল<br /> মাসআলা হাদীস নির্ভর। কিন্তু সহীহ<br /> হাদীসের উপর নির্ভর করে মাসআলা সংকলিত<br /> হওয়ার পর পরবর্তী কোন হাদীস সংকলকের<br /> কাছে আসার পর পরবর্তী কোন রাবীর<br /> দুর্বলতার কারণে হাদীসটি জঈফ হয়ে গেলেও<br /> হানাফী মাযহাবকে দুর্বল হাদীস সম্বলিত<br /> বলে এড়িয়ে যাওয়াটা হবে অযৌক্তিক<br /> এবং বিবেকশূণ্য মতামত।<br /> তবে কোন মুজতাহিদ এর<br /> বিরোধিতা করে ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন<br /> তার ইজতিহাদী যোগ্যতার কারণে।<br /> যেমনটি ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালিক ও ইমাম<br /> আহমাদ বিন হাম্বল রহঃ প্রমূখগণ করেছেন।<br /> কোন ইজতিহাদের যোগ্যতা নেই এমন কোন<br /> সাধারণ মুসলমানের কোন অধিকার নেই, মনমত<br /> একটি মতকে পরবর্তী মুহাদ্দিসের বক্তব্যের<br /> আলোকে একটি প্রাধান্য দিয়ে দেয়া। আর<br /> মুহাদ্দিস ফক্বীহ ইমামের মতকে ভুল<br /> বলে আখ্যায়িত করা। এরকম আচরণ চরম<br /> ধৃষ্টতা বৈ কিছু নয়।<br /> <br /> <br /> মুজতাহিদ ভুল করলেও একটি সওয়াব<br /> ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺍﻟْﻌَﺎﺹِ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ<br /> ﺍﻟﻠَّﻪِ -ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ « – ﺇِﺫَﺍ ﺣَﻜَﻢَ<br /> ﺍﻟْﺤَﺎﻛِﻢُ ﻓَﺎﺟْﺘَﻬَﺪَ ﻓَﺄَﺻَﺎﺏَ ﻓَﻠَﻪُ ﺃَﺟْﺮَﺍﻥِ ﻭَﺇِﺫَﺍ<br /> ﺣَﻜَﻢَ ﻓَﺎﺟْﺘَﻬَﺪَ ﻓَﺄَﺧْﻄَﺄَ ﻓَﻠَﻪُ ﺃَﺟْﺮٌ<br /> হযরত আমর বিন আস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল<br /> সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যখন কোন বিশেষজ্ঞ<br /> হুকুম বলতে গিয়ে ইজতিহাদ করে, আর তার<br /> ইজতিহাদ সঠিক হয়, তাহলে তার জন্য<br /> রয়েছে দু’টি সওয়াব। আর যদি ইজতিহাদে ভুল<br /> হয়, তাহলে তার জন্য রয়েছে একটি সওয়াব।<br /> {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৯১৯, সহীহ<br /> মুসলিম, হাদীস নং-৪৫৮৪, সুনানে আবু দাউদ,<br /> হাদীস নং-৩৫৭৬}<br /> মুজতাহিদের অনুসারী মুকাল্লিদের কোন<br /> চিন্তার কারণ নেই। অতিরিক্ত পন্ডিতিরও<br /> কোন দরকার নেই। কারণ রাসূল<br /> সাঃ ঘোষণা অনুযায়ী মুজতাহিদের<br /> যদি মাসআলা বলতে ভুলও হয়, তাহলেও<br /> তিনি একটি নেকি পাচ্ছেন। আর সঠিক<br /> হলে দুইটি নেকি পাবেন।<br /> তাই মুজতাহিদের ইজতিহাদকৃত মাসআলায় চলার<br /> দ্বারা সওয়াব পাওয়া নিশ্চিত।<br /> <br /> মাযহাব বার বার পরিবর্তন করে কেউ যেন মাসআলা নিয়ে বিভ্রান্ত না হয় সেজন্যই ইবনে তাইমিয়া বলেনঃ “লাগামহীনভাবে যে মাযহাবযখন মনে চায়, সেটাকে মানা সুষ্পষ্ট হারাম<br /> ও অবৈধ। {ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়া-২/২৪১}<br /> <br /> উম্মতের ইজমা হয়ে গেছে যে, এ ৪র্থ<br /> শতাব্দির পর থেকে লাগামহীনভাবে যখন<br /> যে মাযহাব ইচ্ছে সে মাযহাব<br /> মানা যাবে না। সুনির্দিষ্টভাবে<br /> একটি মাযহাবকে মানতে হবে।<br /> {আলইনসাফ-৫২, ৫৭-৫৯, মাদারে হক-৩৪১,<br /> ইন্তিসারুল হক বজওয়াবে মিয়ারে হক-১৫৩,<br /> আলমুআফাকাত-৪/১৪৬, আলমাজমূহ শরহুল<br /> মুহাজ্জাব-১/৯১}<br /> <br /> <br /> <br /> ♦♦কথিত আহলে হাদীস ও নামধারী জামাতে ইসলাম ও লা-মাযহাবী  ফিতনাবাজদের ২০টি ওয়াসওয়াসার জবাব:-<br /> <br /> প্রশ্ন-১<br /> আবু হানিফার উস্তাদ হাম্মাদ কোন মাযহাব<br /> মানতেন?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> ইমাম বুখারী বুখারী সংকলনের আগে মানুষ<br /> সহীহ হাদীস কোথা থেকে দেখে আমল করত?<br /> ইমাম বুখারীর উস্তাদ মক্কী বিন ইবরাহীম<br /> কোন সহীহ কিতাবের হাদীস মানতেন?<br /> প্রশ্ন নং-২<br /> হাম্মাদের উস্তাদ ইবরাহিম নাখয়ি কোন<br /> মাযহাব মানতেন?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> ইমাম বুখারী বুখারী সংকলনের আগে মানুষ<br /> সহীহ হাদীস কোথা থেকে দেখে আমল করত?<br /> মক্কী বিন ইবরাহীমের উস্তাদ ইবনে জুরাইজ<br /> কোন সহীহ কিতাবের হাদীস মানতেন?<br /> প্রশ্ন নং-৩<br /> আবু হানিফারর ছাত্ররা কেন তার ফতোয়ার ৩<br /> ভাগের ২ ভাগের বিরোধতা করলেন?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> ইমাম বুখারীর ছাত্র ইমাম তিরমিজী কেন<br /> ইমাম বুখারীর সহীহকে অনেক ক্ষেত্রেই তরক<br /> করে দিয়ে অন্য হাদীস গ্রহণ করেছেন?<br /> প্রথম কথা হল, তাহলে বুঝা যায়<br /> হানাফী মাযহাবের<br /> আলেমরা বা মানুষরা ইমাম আবু<br /> হানিফাকে অন্ধ অনুসরন করে না।<br /> তো আপনি কি বলতে চাচ্ছেন কেন অন্ধ অনুসরন<br /> করে নি ?<br /> <br /> <br /> প্রশ্ন নং-৪<br /> আবু ইউসুফ ও মুহামমাদের মাঝে দুশমনি শুরু হয়<br /> কেন?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> হযরত মুয়াবিয়া রা. ও হযরত আয়েশা রা. এর<br /> সাথে হযরত আলী রা. এর দুশমনি শুরু হল কেন ?<br /> এখন কে ভ্রান্ত এবং জাহান্নামী ?<br /> প্রশ্ন নং-৫<br /> ইসা আ. কোন মাযহাব মানবেন?<br /> তিনি নাকি ইজতেহাদ করবেন। নবি রাসুলরাও<br /> আবার ইজতেহাদ করেন? তবে ওহি আসার<br /> দরকার কি ছিল?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> ঈসা আ. কোন হাদীসের কিতাব মানবেন?<br /> সিহাহ সিত্তা নাকি অন্য কিতাব? সহীহ<br /> হাদীস মানবেন নাকি হাসান হাদীস?<br /> নাকি তিনি নিজেই হাদীসের<br /> পরিভাষা প্রণয়ন করবেন? নবী রাসূলরাও<br /> কি সহীহ হাসান, জঈফ<br /> ইত্যাদি শব্দে হাদীসের<br /> বিভক্তি করে থাকেন?<br /> হাদীসের যে বলা হলেছে ইজতেহাদের ভুল<br /> হলে এক সওয়াব – তা বলা হয়েছে কেন ?<br /> নবী স. কি উম্মতের<br /> সাথে মসকরা করে গেছেন?<br /> প্রশ্ন নং-৬<br /> মুসলিম খলীফা কোন মাযহাব হতে নির্বাচিত<br /> হবেন?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> মুসলিম খলীফারা কার পরিভাষা মেনে হাদীস<br /> সহীহ জঈফ হিসেবে আমল করবেন? ইমাম<br /> বুখারীর না ইমাম মুসলিম নাকি অন্য কারো?<br /> পূর্ববর্তী মুসলিম খলিফারা কার<br /> বানানো সহীহ জঈফ পরিভাষার অনুসরন<br /> করতেন?<br /> <br /> <br /> প্রশ্ন নং-৭<br /> ইতিহাসে ২১ জন আবু হানিফা পাওয়া যায়।<br /> কোন আবু হানিফা হানাফি মাযহাব বানালেন?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> ইতিহাসে অসংখ্য মুহাম্মদ বিন ইসমাইল<br /> পাওয়া যায়, কার নামে বুখারী শরীফ<br /> বানানো হল?<br /> প্রশ্ন নং-৮<br /> হানাফি মাযহাব ঠিক হলে পরে আরো কোন<br /> মাযহাব আসলো?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> প্রতি কিরাতই সঠিক হলে, সাত কিরাতে কুরআন<br /> নাজিল হল কেন? ইমাম বুখারীর সহীহ এর<br /> সংজ্ঞা সঠিক হলে পরবর্তীতে তার<br /> ছাত্ররা নতুন করে সহীহের সংজ্ঞা বানালেন<br /> কেন?<br /> প্রশ্ন নং-৯<br /> হানাফি ফেকার কিতাব যেমন : হেদায়া,<br /> শরহে বেকায়া ইতা্যাদি কিতাবগুলিতে মাযহাব<br /> মানা ফরজ/ নফল/ সুন্নাত / ওয়াজিব /<br /> মুস্তিহাব — এর পক্ষ্যে কোন দলীল নেই কেন?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> বুখারী শরীফকে সহীহ হাদীসের গ্রন্থ<br /> মানতে হবে একথা কুরআন ও সহীহ হাদীসের<br /> কোথাও নেই কেন?<br /> প্রশ্ন নং-১০.<br /> সাধারণ জনতা তাকলীদ করবে কারন সে হক ও<br /> বাতিল বুঝে না।<br /> তবে সে কিভাবে বুঝবে হানাফি মাযহাবই<br /> ঠিক? সে কিভাবে দেওবন্দি, ব্রেলভি ও<br /> হাজার হাজার পীরের মধ্য<br /> হতে হককে বেছে নিবে? ।<br /> ইলজামী জবাব==<br /> লক্ষ লক্ষ জাল হাদীস পৃথিবীতে বিদ্যমান।<br /> তাহলে এই সকল জাল হাদীস থেকে সহীহ<br /> হাদীসগুলো কিভাবে বেছে নিবে সাধারণ<br /> মানুষ?<br /> <br /> <br /> <br /> প্রশ্ন নং-১১<br /> দলীল সহ জানার জন্য কেন আদেশ করা হল<br /> তাকলিদ যদি করাই সঠিক হতো?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> দলীলসহই যদি সবার দ্বীন মানার আদেশ<br /> হয়ে থাকে, তাহলে সূরা ফাতিহাতে কেন<br /> নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দাদের অনুসরনের<br /> কথা বলা হয়েছে দলীলের কথা উল্লেখ<br /> না করেই?<br /> কুরআন ও হাদীসের আলোকে জানাবেন আশা করি<br /> প্রশ্ন নং-১২<br /> দুজন আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ<br /> হওয়া এবং তাদের নামে মাজহাব<br /> বানানো কি এক বিষয় কিনা?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> আলেমের মতভেদ আর মুজতাহিদের মতভেদ এক<br /> বস্তু নয়। এমন সাধারণ কথাও<br /> যিনি বুঝতে পারেন না তিনি এমন<br /> জ্ঞানী সাজার অপচেষ্টা কেন করছেন আমাদের<br /> বুঝে আসে না।<br /> আলেমের মতভেদ আর মুজতাহিদের মতভেদকে এক<br /> পাল্লায় মাপা আর দুই ডাক্তারের মতভেদ আর<br /> দুই শিশুর মতভেদকে এক পাল্লায় মাপার মতই<br /> আহমকী বৈ কিছু নয়। আগে সাধারণ<br /> ডিগ্রিধারী আলেম আর মুজতাহিদের<br /> সংজ্ঞাটি শিখে নিন। তারপর এ উদ্ভট কিয়াস<br /> করতে আসুন।<br /> প্রশ্ন নং-১৩<br /> যদি এক বিষয় হয়, তবে সাহাবীগণও<br /> তো ইখতিলাফ (মতবিরোধ) করেছেন। তাদের<br /> নামে কেন মাজহাব হলো না?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> সহীহ নামের<br /> কিতাবতো ইবনে খুজাইমা রহঃ এবং ইবনে হিব্বান<br /> রহঃ এবং মুস্তাদরাক সংকলকও করেছেন, কিন্তু<br /> তাদের কিতাব কেন সিহাহ সিত্তায় শামিল<br /> হলো না?<br /> হাদীসের সকংলকনতো সাহাবাগণও করেছেন,<br /> তাহলে তাদের সংকলিত গ্রন্থকে কেন সিহাহ<br /> সিত্তায় শামিল করা হয়নি?<br /> <br /> <br /> <br /> প্রশ্ন নং-১৪<br /> আর যদি এক বিষয় না হয় তবে আলেমদের<br /> মতভেদকে কেন্দ্র করে ৪ মাজহাব<br /> বানানোটা কি ভুল নয়? ৪। যদি ভুল হয়<br /> তবে সেটা স্বীকারনা করা কি শয়তানের<br /> লক্ষণ নয়?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> আলেমদের মতভেদকে কেন্দ্র করে হাদীসের<br /> খন্ড খন্ড করে, সহীহ লিগাইরিহী, সহীহ<br /> লিজাতিহী, হাসান লিজাতিহী, হাসান<br /> লিগাইরিহী,<br /> ইত্যাদি নামে হাদীসকে দ্বিখন্ডিত<br /> করা কিভাবে জায়েজ হয়েছে?<br /> হাদীসের কিতাবকে বিভক্ত করে সিহাহ<br /> সিত্তা বলে অসংখ্য সহীহ<br /> হাদীসওয়ালা অন্যান্য কিতাবের সাথে কেন<br /> এমন বিমাতাসূলভ আচরণ করা হলো? হাদীসের<br /> মাঝে এমন বিভক্তি করতে কোন সহীহ<br /> হাদীসে নির্দেশ এসেছে?<br /> ১২৪৬হিজরীর সৃষ্ট বিদআতি মাযহাব কথিত<br /> আহলে হাদীসী মাযহাবে ভন্ডামীপূর্ণ<br /> মতাদর্শী অনুসারীদের ভন্ডামী প্রকাশিত<br /> হওয়ার পরও নিজেদের ভুল স্বীকার<br /> না করা কি শয়তানী কর্ম নয়?<br /> <br /> <br /> প্রশ্ন নং-১৫<br /> মাজহাবীরা বলে থাকে জানা না থাকলে আলেমদের<br /> জিজ্ঞেস করতে হবে। কোন আলেমকে কোন<br /> ফাতওয়া জিজ্ঞেস করা মানেই কি এই<br /> যে সে আলেমের নামে মাজহাব<br /> বানিয়ে তাতে প্রবেশ করা কি এক বিষয়?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> আপনি আগে ডিগ্রিধারী আলেম্ ও মুজতাহিদ<br /> শব্দের তাহকীকটি শিখে আসুন।<br /> তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার<br /> প্রশ্নটি একটি আহমকী ও অজ্ঞতাসূচক প্রশ্ন।<br /> মুজতাহিদের অনুসরণকে সাধারণ আলেমের<br /> অনুসরণের কিয়াস করা কুরআনের কোন আয়াত<br /> বা হাদীস দ্বারা প্রমানিত?<br /> জাহিলীপূর্ণ প্রশ্ন এটি। মুজতাহিদ ও<br /> গায়রে মুজতাহিদের পার্থক্যও<br /> যিনি বুঝতে সক্ষম নয় তিনি এসেছেন জ্ঞান<br /> ঝাড়তে। মুজতাহিদ<br /> গবেষণা করে ফাতওয়া দিবেন। আর সেই<br /> ফাতাওয়া জেনে সাধারণ আলেম অজ্ঞ সাধারণ<br /> মুসলিমদের জানাবে।<br /> দুটি ভিন্ন বস্তকে গুলিয়ে ফেলা আহমকের কাজ।<br /> প্রশ্ন নং-১৬<br /> যদি কিছু আলেম কোন ভুল সিদ্ধান্ত নেয়,<br /> তারপরেও কি আপনি সেই আলেমদের ভুল<br /> সিদ্ধান্তের অনুসরণ করে যাবেন?<br /> উত্তর<br /> আলেম আর মুজতাহিদ এক বস্তু নয়। মুজতাহিদের<br /> ভুলেও একটি সওয়াব নিহিত। ভুল করেছেন<br /> কি না? সেটি বুঝতে পারবে আরেকজন<br /> মুজতাহিদ। যেমন ডাক্তারের প্রেশক্রিপশনের<br /> ভুল বুঝেতে পারবে আরেকজন ডাক্তার। মুচি নয়।<br /> মুজতাহিদ ভুল করেছেন কিনা? সেটি আপনার<br /> মত জাহিল অন্য ভাষায় মুচি ডাক্তারের ভুল<br /> ধরবে কিভাবে?<br /> <br /> <br /> প্রশ্ন নং-১৭<br /> আল্লাহ তো আমাদের ভালো মন্দের জ্ঞান<br /> দিয়েছেন। আপনি যদি সেটা ব্যবহার<br /> না করেন, তবে নিজের এই ভুলের জন্য কি জবাব<br /> দিবেন?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> আমাদের প্রশ্নতো সেটাই। কুরআন ও সহীহ<br /> হাদীসের অনুসরণের দাওয়াত দিচ্ছেন,<br /> মুজতাহিদের অনুসরণকে শিরক বলছেন। অথচ<br /> কুরআন ও সহীহ হাদীস দিয়ে দুই রাকাত নামায<br /> দেখাতে পারেন না কারো কারো না অন্ধ<br /> তাকলীদ করে। চোখে আঙ্গুল দিয়ে বারবার<br /> ভুলগুলো ধরিয়ে দেবার পরও<br /> গোড়ামী যে অহর্নিশি করে যাচ্ছেন এর<br /> কি জবাব দিবেন হাশরের ময়দানে?<br /> প্রশ্ন নং-১৮<br /> আবু তালেব অন্ধভাবে তার পূর্ব পুরুষদের<br /> আকড়ে ধরেছিলেন। আপনিও কি সেই একই ভুল<br /> করবেন?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> একই প্রশ্ন আপনাদের জন্য। অন্ধভাবে পূর্ব পুরুষ<br /> আব্দুল হক বানারসী, মুহাম্মদ হুসাইন<br /> বাটালবী, মিয়া নজীর আহমাদ, নওয়াব<br /> সিদ্দিক হাসান খান, নাসীরুদ্দীন<br /> আলবানী প্রমুখ পূর্ব পুরুষদের বিদআতি মতবাদ<br /> আঁকড়ে ধরে থাকবেন, নাকি বিবেকটাও একটু<br /> খাটাবেন?<br /> <br /> <br /> প্রশ্ন নং-১৯<br /> সূরা রুমের<br /> ৩১-৩২নং আয়াতে যারা দ্বীনকে বিভক্তকরে (আলেমরা)<br /> এবং যারা দলে দলে বিভক্ত হয়(আলেমদের<br /> ফাতওয়ার অনুসারীরা)তাদের সবাইকে মহান<br /> আল্লাহ”””মুশরিক””” বলে ফাতওয়া দিয়েছেন।<br /> আপনারা ৪ মাজহাবের ১টায় প্রবেশ<br /> করে বিভক্ত হয়ে সেই মুশরিকের খাতায়<br /> যে নাম লেখাননি তার কোন প্রমাণ কি আপনার<br /> নিকট আছে?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> এই উপমহাদেশে কোন ধর্মী’য় বিভক্তি ছিল<br /> না। ১২৪৬ হিজরী থেকে নতুন<br /> বিদআতি মাযহাব আব্দুল হক বানারসীর<br /> মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করে মুসলিমের<br /> মাঝে যে অনৈক্য আর বিভক্তির নোংরা খেলায়<br /> মেতেছেন আপনারা এর জন্য কুরআনের<br /> আয়াতটিকে আপনাদের একবারও মনে পড়ছে না।<br /> নিজের দলীলেইতো নিজে মুশরিক<br /> হয়ে যাচ্ছেন।<br /> এই শিরক থেকে খাটি ঈমান কি আপনাদের<br /> কখনোই নসীব হবে না? নাকি আল্লাহ<br /> অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন? এভাবে দ্বন্দ<br /> আর বিভক্তির ভয়ানক খেলায়<br /> মেতে আপনারা যে মুশরিকের খাতায় নাম<br /> লেখাননি এর কোন প্রমাণ কি আপনাদের<br /> কাছে আছে?<br /> প্রশ্ন নং-২০<br /> সূরা আনআম এর<br /> ১৫৯নং আয়াতে বলা হয়েছে যারাদ্বীনকে বিভক্ত<br /> করে ও দলে দলে ভাগ হয়, তাদের<br /> সাথে নাবী সাঃ এর কোন”””সম্পর্ক”””নেই।<br /> বিভক্তির ফাতওয়া মেনে দলে দলে ভাগ<br /> হওয়ার পরেও কি আপনি এই দাবী করতে পারেন<br /> যে আপনার সাথে নাবী সাঃ এর কোন সম্পর্ক<br /> আছে?<br /> ইলজামী জবাব==<br /> শুব্বানে আহলে হাদীস।<br /> আহলে হাদীস আন্দোলন বাংলাদেশ।<br /> জমিয়তে আহলে হাদীস বাংলাদেশ।<br /> গুরাবায়ে আহলে হাদীস।<br /> আহলে হাদীস যুব আন্দোলন<br /> ইত্যাদি নামে মুসলমানদের দলে দলে ভাগ<br /> করার পরও আপনি কি দাবি করতে পারেন যে,<br /> আপনাদের সাথে রাসূল সাঃ এর কোন সম্পর্ক<br /> আছে?<br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /></div>

প্রশ্নোত্তরে মাযহাবের তাক্বলিদ (পর্ব ২)

♦♦যার যার মাযহাব সুন্দর ভাবে পালন করা উচিত ♦♦ যে যার যার মাযহাব অনুসরণ করবে। —ইমাম মালেক খলীফা আবু জাফর মানসুর আগ্রহ প্রকাশ করলেন যে, ...

Read more »

প্রশ্নোত্তরে মাযহাবের তাক্বলিদ (পর্ব ১)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> ♦♦প্রশ্ন :- এক মাযহাব থেকে অন্য মাযহাবে স্থানান্তর: একটি বিশ্লেষণাত্মক পর্যালোচনা<br /> <br /> উত্তর:-<br /> <br /> শায়খ আওয়ামাহ<br /> আসারুল হাদীসিশ শরীফ… নামক কিতাবে লিখেছেন-<br /> ﺇﻥ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺘﻨﻘﻞ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺬﻫﺐ ﺍﻟﺤﻨﻔﻲ ﺇﻟﻲ<br /> ﺍﻟﻤﺬﻫﺐ ﺍﻟﺸﺎﻓﻌﻲ ﻓﻲ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻤﺴﺄﻟﺔ ،<br /> ﻳﺠﺮ ﺇﻟﻲ ﺍﻟﺘﻨﻘﻞ ﻓﻲ ﻏﻴﺮﻫﺎ ﺇﻟﻲ ﺍﻟﻤﺬﻫﺐ<br /> ﺍﻟﻤﺎﻟﻜﻲ ﻣﺜﻼ، ﻭ ﺇﻟﻲ ﺍﻟﺘﻨﻘﻞ ﺇﻟﻲ ﺍﻟﻤﺬﻫﺐ<br /> ﺍﻟﺤﻨﺒﻠﻲ ﻓﻲ ﻣﺴﺄﻟﺔ ﺃﺧﺮﻱ. ﻭ ﻫﻜﺬﺍ ﺗﻌﻮﺩ<br /> ﺍﻟﺴﻠﺴﻠﺔ ﺇﻟﻲ ﺃﻭﻟﻬﺎ ﻓﻲ ﻣﺴﺄﻟﺔ ﺭﺍﺑﻌﺔ، ﺃﻭ<br /> ﺇﻟﻲ ﻣﺬﺍﻫﺐ ﺃﺧﺮﻱ ﻣﻨﺪﺭﺳﺔ ﻏﻴﺮ<br /> ﺍﻟﻤﺬﺍﻫﺐ ﺍﻷﺭﺑﻌﺔ<br /> <br /> কোন একটি মাসআলায় ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) এর<br /> মাযহাব থেকে ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর<br /> মাযহাবে স্থানান্তর, এ ব্যক্তিকে অন্য<br /> একটি মাসআলায় উদাহরণ স্বরূপ ইমাম মালেক<br /> (রহঃ) এর মাযহাবে স্থানান্তরের প্রতি উদ্বুদ্ধ<br /> করবে, কখনও অন্য মাসআলায় ইমাম আহমাদ বিন<br /> হাম্বল (রহঃ) এর মাযহাবে স্থানান্তর করবে।<br /> একইভাবে চতুর্থ কোন মাসআলায়<br /> সে চক্রাকারে প্রথম মাযহাব অথবা অন্য কোন<br /> ইমামের মাযহাব অনুসরণ করবে।<br /> এভাবে তার ক্রমাগমন শুধু চার মাযহাবে সীমাবদ্ধ<br /> থাকবে না। শায়খ আওয়ামাহ বলেন-<br /> <br /> ﻳﺆﻭﻝ ﺑﻪ ﺍﻷﻣﺮ ﺇﻟﻲ ﺃﻥ ﻳﺠﺘﻬﺪ ﻟﻨﻔﺴﻪ<br /> ﺍﻟﺨﺮﻭﺝ ﻋﻦ ﺍﻟﻤﺬﺍﻫﺐ ﺍﻷﺭﺑﻌﺔ…… ﻭ ﻋﻦ<br /> ﺍﻷﺭﺑﻌﻴﻦ…<br /> <br /> পরিশেষে এ ব্যক্তি শুধু চার মাযহাব থেকেই বের<br /> হওয়াকে পছন্দ করবে না বরং সে এধরণের চল্লিশ<br /> মাযহাব থেকে বের হয়ে যাবে।<br /> হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রহঃ) বলেন-<br /> <br /> ﻣﻦ ﺟﻌﻞ ﺩﻳﻨﻪ ﻏﺮﺿﺎ ﻟﻠﺨﺼﻮﻣﺔ ﻛﺜﺮ ﺗﻨﻘﻠﻪ<br /> <br /> যে ব্যক্তি নিজের দ্বীনকে তর্ক-বিতর্কের<br /> লক্ষ্যবস্তু বানায় তার স্থানান্তর ও অভিবাসন<br /> বৃদ্ধি পায়।<br /> <br /> যে ব্যক্তি মনে করে যে, ইমামদের অনুসরণ ব্যতীত<br /> শুধু দলিলের অনুরসণ করবে, তবে সে এমন মতামতের<br /> অবতারনা করবে যা ইতোপূর্বে কেউ করেনি; অথচ<br /> সে নিজেকে নাসিরুস সুন্নাহ (সুন্নতের সাহায্যকারী)<br /> মনে করে বসে আছে। দলিলের অনুসরণের<br /> নামে মূলতঃ সে তার প্রবৃত্তিকে দলিল হিসেবে গ্রহণ<br /> করেছে। প্রবৃত্তিপূজা মানুষের মাঝে তখন<br /> এমনভাবে জেঁকে বসে যে, সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এর<br /> প্রতি বিষোদগার করতেও কুণ্ঠা বোধ করে না।<br /> <br /> ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন-<br /> <br /> ﺳﻠﻤﻮﺍ ﻟﻸﻳﻤﺔ ﻭ ﻻ ﺗﺠﺎﺩﻟﻮﻫﻢ، ﻓﻠﻮ ﻛﻨﺎ ﻛﻠﻤﺎ<br /> ﺟﺎﺀﻧﺎ ﺭﺟﻞ ﺃﺟﺪﻝ ﻣﻦ ﺭﺟﻞ ﺇﺗﺒﻌﻨﺎﻩ: ﻟﺨﻔﻨﺎ<br /> ﺃﻥ ﻧﻘﻊ ﻓﻲ ﺭﺩ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﺑﻪ ﺟﺒﺮﻳﻞ ﻋﻠﻴﻪ<br /> ﺍﻟﺴﻼﻡ<br /> <br /> তোমরা ইমামদের আনুগত্য করো এবং তাদের<br /> সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়ো না। আমাদের<br /> কর্মপন্থা যদি এই হত যে, যখনই আমাদের নিকট<br /> শক্তিশালী কোন যুক্তিবিদ আগমন করতো আর<br /> আমরা তার অনুসরণ করতাম, তবে আশঙ্কা করি যে,<br /> আমরা হযরত জিবরীল (আঃ) এর আনীত বিষয়েরও<br /> বিরোধীতায় লিপ্ত হয়ে পড়ব।<br /> আল্লামা ইবনে আব্দুল বার (রহঃ) আল-<br /> ইন্তেকা নামক কিতাবে হযরত ইমাম মালেক (রহঃ)<br /> এর ঘটনা উল্লেখ করেছেন। ইমাম মালেক (রহঃ) এর<br /> ছাত্র মায়ান বিন ঈসা (রহঃ) বলেন- একদা আবুল<br /> জুয়াইরিয়া নামক এক ব্যক্তি ইমাম মালেক (রহঃ)<br /> এর নিকট মসজিদে নববীতে আগমন করল। এ<br /> লোকটি মুরজিয়া হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল।<br /> <br /> সে এসে ইমাম মালেক (রহঃ) কে বলল-<br /> <br /> ﻳﺎ ﺃﺑﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ! ﺇﺳﻤﻊ ﻣﻨﻲ ﺷﻴﺌﺎ ، ﺃﻛﻠﻤﻚ<br /> ﺑﻪ ﻭ ﺃﺣﺎﺟﻚ ﻭ ﺃﺧﺒﺮﻙ ﺑﺮﺃﻱ. ﻗﺎﻝ ﻣﺎﻟﻚ:<br /> ﻓﺈﻥ ﻏﻠﺒﺘﻨﻲ؟ ﻗﺎﻝ: ﺍﺗﺒﻌﺘﻨﻲ. ﻗﺎﻝ ﻣﺎﻟﻚ:<br /> ﻓﺈﻥ ﻏﻠﺒﺘﻚ ؟ ﻗﺎﻝ: ﺇﺗﺒﻌﺘﻚ، ﻗﺎﻝ: ﻓﺈﻥ<br /> ﺟﺎﺀﻧﺎ ﺭﺟﻞ ﻓﻜﻠﻤﻨﺎﻩ ﻓﻐﻠﺒﻨﺎ؟ ﻗﺎﻝ : ﺗﺒﻌﻨﺎﻩ .<br /> ﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﺎﻟﻚ :<br /> ﺑﻌﺚ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ<br /> ﺑﺪﻳﻦ ﻭﺍﺣﺪ، ﻭ ﺃﺭﺍﻙ ﺗﻨﻘﻞ، ﻗﺎﻝ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ<br /> ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻌﺰﻳﺰ: ﻣﻦ ﺟﻌﻞ ﺩﻳﻨﻪ ﻋﺮﺿﺔ<br /> ﻟﻠﺨﺼﻮﻣﺎﺕ ﺃﻛﺜﺮ ﺍﻟﺘﻨﻘﻞ<br /> <br /> “হে আবু আব্দুল্লাহ! আমার কথা শ্রবণ করুন,<br /> আমি আপনার সাথে আলোচনা করব, বিতর্ক করব<br /> এবং আমার মতামত উল্লেখ করব। ইমাম মালেক<br /> (রহঃ) তাকে বললেন-যদি তুমি আমার উপর<br /> বিজয়ী হয়ে যাও? সে বলল- আপনি আমার অনুসরণ<br /> করবেন। ইমাম মালেক (রহঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস<br /> করলেন-যদি আমি তোমার উপর বিজয়ী হই?<br /> সে বলল- আমি আপনার অনুসরণ করব। ইমাম মালেক<br /> বললেন- আমাদের নিকট যদি তৃতীয় কোন<br /> ব্যক্তি আসে এবং আমরা তার সাথে বিতর্ক<br /> করি এবং সে আমাদের উপর বিজয়ী হয়? সে বলল-<br /> আমরা তার অনুসরণ করব। ইমাম মালেক<br /> তাকে বললেন- আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মাদ<br /> (সঃ) কে একই ধর্ম দিয়ে প্রেরণ করেছেন।<br /> আমি তোমাকে দেখছি-এদিক সেদিক ছুঁটাছুঁটি করছ!<br /> হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয (রহঃ) বলেন-<br /> যে ব্যক্তি তার দ্বীনকে বিতর্কের লক্ষ্যবস্তু<br /> বানায়, তার ছুঁটাছুঁটি বৃদ্ধি পায়”<br /> বর্তমানে এধরণের ছুঁটাছুঁটিকে যারা নিজেদের আদর্শ<br /> হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং সুন্নাহ অনুসরণের<br /> নামে মুসলিম উম্মাাহকে ধোঁকা দিচ্ছে, তাদের<br /> বাস্তবতা অনুসন্ধান করলে এর ব্যতিক্রম<br /> পরিলক্ষিত হবে না। এদের মূল শ্লোগান দলিলের<br /> অনুসরণ হলেও, তাদের কাছে উলামায়ে কেরামের<br /> বিচ্যুতি, একক মতামত ও বিরল বক্তব্য গুলোই<br /> গ্রহণযোগ্য ও পছন্দনীয়। তাদের কাছে প্রকৃত<br /> দলিল সেটিই যা বর্জনীয় হওয়ার ব্যাপারে সকলেই<br /> একমত।<br /> <br /> ইমাম আওযায়ী (রহঃ) বলেন-<br /> <br /> ﻣﻦ ﺃﺧﺬ ﺑﻨﻮﺍﺩﺭ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﺧﺮﺝ ﻣﻦ ﺍﻹﺳﻼﻡ<br /> <br /> যে ব্যক্তি উলামায়ে কেরামের বিরল<br /> বক্তব্যগুলো গ্রহণ করবে, সে ইসলাম থেকে বের<br /> হয়ে যাবে।<br /> <br /> সুলাইমান আত-তাইমী (রহঃ) বলেন-<br /> <br /> ﻟﻮ ﺃﺧﺬﺕ ﺑﺮﺧﺼﺔ ﻛﻞ ﻋﺎﻟﻢ ﺍﺟﺘﻤﻊ ﻓﻴﻚ<br /> ﺍﻟﺸﺮ ﻛﻠﻪ<br /> <br /> “যদি তুমি প্রত্যেক আলেমের রুখসতকে গ্রহণ করো,<br /> তবে তোমার মাঝে সব ধরণের অকল্যাণ ও<br /> নিকৃষ্টতা একত্র হবে”<br /> <br /> ইমাম মালেক (রহঃ) এর উস্তাদ ইবরাহীম বিন<br /> আবি আবালাহ (রহঃ) বলেন-<br /> <br /> ﻣﻦ ﺣﻤﻞ ﺷﺎﺫ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﺣﻤﻞ ﺷﺮﺍ ﻛﺜﻴﺮﺍ، ﻭ<br /> ﻗﺎﻝ ﻣﻌﺎﻭﻳﺔ ﺑﻦ ﻗﺮﺓ: ﺇﻳﺎﻙ ﻭ ﺍﻟﺸﺎﺫ ﻣﻦ<br /> ﺍﻟﻌﻠﻢ<br /> <br /> যে ব্যক্তি উলামায়ে কেরামের বিরল ও একক<br /> মতামতের অনুসরণ করে সে অনেক অকল্যাণের বাহক<br /> হয়। হযরত মুয়াবিয়া বিন কুররা (রহঃ) বলেন-<br /> সাবধান! বিরল বক্তব্য থেকে বিরত থাক।<br /> <br /> আল্লামা যাহেদ আল-কাউসারী (রহঃ) ইবরাহীম বিন<br /> আবি আবালাহ্ (রহঃ) এর বক্তব্য এভাবে উল্লেখ<br /> করেছেন-<br /> <br /> ﻣﻦ ﺃﺧﺬ ﺷﻮﺍﺫ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﺿﻞ<br /> <br /> যে ব্যক্তি উলামায়ে কেরামের বিরল ও শায<br /> বক্তব্যের অনুসরণ করল সে পথভ্রষ্ট হয়ে গেল।<br /> ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) হযরত<br /> ইহইয়া আল-কাত্তান (রহঃ) এর<br /> উক্তি বর্ণনা করেন-<br /> <br /> ﻟﻮ ﺃﻥ ﺇﻧﺴﺎﻧﺎ ﺇﺗﺒﻊ ﻛﻞ ﻣﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻣﻦ<br /> ﺭﺧﺼﺔ ﻟﻜﺎﻥ ﺑﻪ ﻓﺎﺳﻘﺎ<br /> <br /> কেউ যদি হাদীসের প্রত্যেক রুখসতের অনুসরণ করে,<br /> তবে ঐ ব্যক্তি ফাসেক হয়ে যাবে।<br /> <br /> ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ) হযরত মা’মার<br /> থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন-<br /> <br /> ﻟﻮ ﺃﻥ ﺭﺟﻼ ﺃﺧﺬ ﺑﻘﻮﻝ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻤﺪﻳﻨﺔ ﻓﻲ<br /> ﺇﺳﺘﻤﺎﻉ ﺍﻟﻐﻨﺎﺀ ﻭ ﺇﺗﻴﺎﻥ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ ﻓﻲ<br /> ﺃﺩﺑﺎﺭﻫﻦ ، ﻭ ﺑﻘﻮﻝ ﺃﻫﻞ ﻣﻜﺔ ﻓﻲ<br /> ﺍﻟﻤﺘﻌﺔ ، ﻭ ﺍﻟﺼﺮﻑ ﻭ ﺑﻘﻮﻝ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻜﻮﻓﺔ<br /> ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﻜﺮ ﻛﺎﻥ ﺷﺮ ﻋﺒﺎﺩ ﺍﻟﻠﻪ<br /> <br /> কেউ যদি গান শোনা ও মহিলাদের<br /> গুহ্যদ্বারে সঙ্গমের ব্যাপারে মদীনাবাসীর মতামত<br /> গ্রহণ করে এবং মুত’আ ও সরফ পদ্ধতিতে ক্রয়-<br /> বিক্রয়ে মক্কা বাসীর মতামত এবং মাদকদ্রব্যের<br /> ব্যাপারে কুফাবাসীর মতামত গ্রহণ<br /> করে তবে সে আল্লাহর সর্বনিকৃষ্ট<br /> বান্দা হিসেবে পরিগণিত হবে।<br /> উপরোক্ত বক্তব্য থেকে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়<br /> যে, ইজতেহাদের অযোগ্য ব্যক্তির জন্য তালফীক<br /> বৈধ নয়। আল্লামা ইবনে আব্দুল বার (রহঃ) এ<br /> ব্যাপারে ইজমার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন-<br /> <br /> ﻫﺬﺍ ﺇﺟﻤﺎﻉ ﻻ ﺃﻋﻠﻢ ﻓﻴﻪ ﺧﻼﻑ<br /> <br /> এ বিষয়টির উপর ইজমা হয়েছে। এর সাথে মতানৈক্য<br /> করেছে এমন কারও বিষয়ে আমার জানা নেই।<br /> <br /> আল্লামা কারমী বলেন-<br /> <br /> ﺇﻋﻠﻢ ﺃﻧﻪ ﻗﺪ ﺫﻫﺐ ﻛﺜﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﺇﻟﻲ<br /> ﻣﻨﻊ ﺟﻮﺍﺯ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ﺣﻴﺚ ﺃﺩﻱ ﺇﻟﻲ ﺍﻟﺘﻠﻔﻴﻖ<br /> ﻣﻦ ﻛﻞ ﻣﺬﻫﺐ<br /> <br /> “জেনে রেখ! অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম তালফীক<br /> অবৈধ হওয়ার মতামত ব্যক্ত করেছেন”<br /> <br /> <br /> শামসুল আইম্মা ইমাম হালওয়ানী (রহঃ) বলেন-<br /> <br /> ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﺬﻱ ﺗﻘﺮﺭ ﻣﻦ ﺇﺷﺘﺮﺍﻁ ﻋﺪﻡ<br /> ﺍﻟﺘﻠﻔﻴﻖ ﻫﻮ ﺍﻟﻤﻌﺘﻤﺪ ﻋﻨﺪﻧﺎ ﻭ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﺤﻨﻔﻴﺔ<br /> ﻭ ﺍﻟﺤﻨﺎﺑﻠﺔ ﻓﻼ ﻳﺠﻮﺯ ﻓﻲ ﻋﺒﺎﺩﺓ ﻭﻻ ﻏﻴﺮﻫﺎ<br /> ﻭﺍﻟﻘﻮﻝ ﺑﺠﻮﺍﺯﻩ ﺿﻌﻴﻒ ﺟﺪﺍ<br /> <br /> তালফীক অবৈধ হওয়ার<br /> ব্যাপারে যে সিদ্ধান্তটি স্থির হয়েছে এটি আমাদের<br /> নিকট গ্রহণযোগ্য। এবং এটি হানাফী ও হাম্বলীদের<br /> নিকটও গ্রহণযোগ্য। সুতরাং ইবাদত বা অন্য কোন<br /> ক্ষেত্রে তালফীক বৈধ নয়। তালফীক বৈধ হওয়ার<br /> ব্যাপারে যে বক্তব্য রয়েছে সেটি নিতান্তই দূর্বল।<br /> আল্লামা হালওয়ানী আরও বলেন,<br /> <br /> ﻓﻠﺬﻟﻚ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺘﻠﻔﻴﻖ ﺑﺎﻃﻼ ﻣﺤﺮﻣﺎ ﻭ ﻫﻮ<br /> ﺍﻟﺬﻱ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻤﺤﻘﻘﻮﻥ ﻣﻦ ﺃﺋﻤﺘﻨﺎ ﻭ<br /> ﻏﻴﺮﻫﻢ<br /> <br /> এজন্য তালফীক বাতিল ও হারাম। অধিকাংশ গবেষক<br /> ইমামমদের মত এটি।<br /> <br /> যাইনুদ্দিন কাসেম (রহঃ) তাউকীফুল হুক্কাম<br /> ফি গাওয়ামিদিল আহকাম নামক কিতাব<br /> থেকে বর্ণনা করেছেন-<br /> <br /> ﺍﻥ ﺍﻟﺤﻜﻢ ﺍﻟﻤﻠﻔﻖ ﺑﺎﻃﻞ ﺑﺈﺟﻤﺎﻉ<br /> ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ<br /> <br /> তালফীকের পদ্ধতিতে নির্ণীত হুকুম মুসলমানদের<br /> সর্বসম্মতিক্রমে বাতিল।<br /> <br /> ফতওয়ায়ে শামী তে রয়েছে-<br /> <br /> “.. ﻭﺃﻥ ﺍﻟﺤﻜﻢ ﺍﻟﻤﻠﻔﻖ ﺑﺎﻃﻞ ﺑﺎﻹﺟﻤﺎﻉ”<br /> ﻗﺎﻝ ﺷﺎﺭﺣﻪ- ﻣﺜﺎﻟﻪ ﻣﺘﻮﺿﺄ ﺳﺎﻝ ﻣﻦ ﺑﺪﻧﻪ<br /> ﺩﻡ، ﻭ ﻟﻤﺲ ﺇﻣﺮﺃﺓ، ﺛﻢ ﺻﻠﻲ ﻓﺈﻥ ﺻﺤﺔ<br /> ﺻﻼﺗﻪ ﻣﻠﻔﻘﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺬﻫﺐ ﺍﻟﺸﺎﻓﻌﻲ ﻭ<br /> ﺍﻟﺤﻨﻔﻲ، ﻭ ﺍﻟﺘﻠﻔﻴﻖ ﺑﺎﻃﻞ، ﻓﺼﺤﺘﻪ ﻣﻨﺘﻔﻴﺔ<br /> <br /> অর্থাৎ তালফীকের পদ্ধতিতে নির্ণীত হুকুম<br /> সর্বসম্মতিক্রমে বাতেল। (ব্যাখ্যাকার বলেন)<br /> তালফীকের উদাহরণ হল, কোন ওযুকারী ব্যক্তির<br /> শরীর থেকে রক্ত বের হল (এর<br /> দ্বারা হানাফী মাযহাব অনুযায়ী ওযু ভেঙ্গে যাবে),<br /> আবার সে কোন মহিলাকে স্পর্শ করল (এর<br /> দ্বারা শাফেয়ী মাযহাব অনুযায়ী ওযু ভেঙ্গে যাবে), এ<br /> অবস্থায় যদি সে নামায আদায় করে তবে তার নামায<br /> বাতিল। কেননা তালফীক বাতিল।<br /> আল্লামা আব্দুল গণী নাবুলুসী (রহঃ) বলেন,<br /> <br /> ﺇﺫﺍ ﻋﻠﻤﺖ ﺫﻟﻚ ﻇﻬﺮ ﻟﻚ ﻋﺪﻡ ﺻﺤﺔ<br /> ﺍﻟﺘﻠﻔﻴﻖ ﻓﻲ ﻭﺟﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻮﺟﻮﻩ ﺇﺟﻤﺎﻋﺎ<br /> <br /> যখন তুমি উক্ত বিষয় সম্পর্কে অবগত হলে, তখন<br /> তোমার সামনে স্পষ্ট হয়ে গেল যে,<br /> সর্বসম্মতিক্রমে কোন অবস্থাতেই তালফীক বৈধ<br /> নয়।<br /> ইমাম নববী রহ. বলেন,<br /> <br /> ﻭﻭﺟﻬﻪ ﺍﻧﻪ ﻟﻮ ﺟﺎﺯ ﺍﺗﺒﺎﻉ ﺃﻱ ﻣﺬﻫﺐ ﺷﺎﺀ ﻻ<br /> ﻓﻀﻰ ﺇﻟﻰ ﺍﻥ ﻳﻠﺘﻘﻂ ﺭﺧﺺ ﺍﻟﻤﺬﺍﻫﺐ<br /> ﻣﺘﺒﻌﺎ ﻫﻮﺍﻩ ﻭﻳﺘﺨﻴﺮ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺘﺤﻠﻴﻞ ﻭﺍﻟﺘﺤﺮﻳﻢ<br /> ﻭﺍﻟﻮﺟﻮﺏ ﻭﺍﻟﺠﻮﺍﺯ ﻭﺫﻟﻚ ﻳﺆﺩﻯ ﺇﻟﻰ<br /> ﺍﻧﺤﻼﻝ ﺭﺑﻘﺔ ﺍﻟﺘﻜﻠﻴﻒ ﺑﺨﻼﻑ ﺍﻟﻌﺼﺮ<br /> ﺍﻻﻭﻝ ﻓﺎﻧﻪ ﻟﻢ ﺗﻜﻦ ﺍﻟﻤﺬﺍﻫﺐ ﺍﻟﻮﺍﻓﻴﺔ<br /> ﺑﺄﺣﻜﺎﻡ ﺍﻟﺤﻮﺍﺩﺙ ﻣﻬﺬﺑﺔ ﻭﻋﺮﻓﺖ: ﻓﻌﻠﻰ<br /> ﻫﺬﺍ ﻳﻠﺰﻣﻪ ﺍﻥ ﻳﺠﺘﻬﺪ ﻓﻲ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﻣﺬﻫﺐ<br /> ﻳﻘﻠﺪﻩ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺘﻌﻴﻴﻦ<br /> <br /> “ব্যক্তি তাকলীদের অপরিহার্যতার কারণ এই যে,<br /> মুক্ত তাকলীদের অনুমতি দেয়া হলে প্রবৃত্তি তাড়িত<br /> মানুষ সকল মাজহাবের অনুকূল বিষয়গুলোই শুধু<br /> বেছে নিবে। ফলে হালাল-হারাম ও বৈধ-অবৈধ<br /> নির্ধারণের এখতিয়ার এসে যাবে তার হাতে। প্রথম<br /> যুগে অবশ্য ব্যক্তি তাকলীদ সম্ভব ছিলো না।<br /> কেননা ফিকাহ বিষয়ক মাজহাবগুলো যেমন সুবিন্নস্ত<br /> ও পূর্ণাংগ ছিলো না তেমনি সর্বত্র সহজলভ্যও<br /> ছিলো না। কিন্তু এখন তা সুবিন্যস্ত ও পূর্ণাংগ<br /> আকারে সর্বত্র সহজলভ্য। সুতরাং যে কোন<br /> একটি মাজহাব বেছে নিয়ে একনিষ্টভাবে তা অনুসরণ<br /> করাই এখন অপরিহার্য”। (আল মাজমু শরহুল<br /> মুহায্যাব, ১/১৯)<br /> <br /><br /> এ কারণেই শায়েখ<br /> ইবনে তাইমিয়া বলেনঃ “লাগামহীনভাবে যে মাযহাব<br /> যখন মনে চায়, সেটাকে মানা সুষ্পষ্ট হারাম<br /> ও অবৈধ।(অর্থাৎ যেটা মানবে একটাকেই মানবে এতে বিভ্রান্ত হবে না){ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়া-২/২৪১}<br /><br /> <br /> উম্মতের ইজমা হয়ে গেছে যে, এ ৪র্থ<br /> শতাব্দির পর থেকে লাগামহীনভাবে যখন<br /> যে মাযহাব ইচ্ছে সে মাযহাব<br /> মানা যাবে না। সুনির্দিষ্টভাবে<br /> একটি মাযহাবকে মানতে হবে।<br /><br /> {আলইনসাফ-৫২, ৫৭-৫৯, মাদারে হক-৩৪১,<br /> ইন্তিসারুল হক বজওয়াবে মিয়ারে হক-১৫৩,<br /> আলমুআফাকাত-৪/১৪৬, আলমাজমূহ শরহুল<br /> মুহাজ্জাব-১/৯১}<br /> <br /><br /><br /> <br /> সুতরাং বর্তমানে সাধারণ মানুষের না বুঝে,<br /> শরীয়তের জ্ঞান অর্জন না করে প্রবৃত্তির<br /> চাহিদা অনুযায়ী স্বেচ্ছাচারী হওয়ার কোন সুযোগ<br /> নেই।<br /> <br /> <br /> <br /> ♦♦প্রশ্ন:- সাহাবীগন কি তাক্বলিদ করতেন?<br /> <br /> <br /> উত্তর:-  হয়তো গায়রে মুকাল্লিদ<br /> ভাইদের মন খারাপ হতে পারে। এ ব্যাপারে এমন দুজন ব্যাক্তির<br /> কথাকে পেশ করবো যারা গায়রে মুকাল্লিদ ভাইদের<br /> কাছেও গ্রহনযোগ্য আলেম এবং তারাও এ দুজন<br /> ব্যাক্তিকে সালাফ মনে করেন।<br /> এ দুই জন বিখ্যাত আলেম হলেন -<br /> <br /> (১) আলী ইবনুল মাদিনী রহঃ , (ইমাম<br /> বুখারী রাহঃ এর বিশিষ্ট উস্তাদ) ।<br /> (২) ইবনুল কাইয়েম জাওজী রহঃ ,<br /> (ইবনে তাইমিয়া রাহঃ এর বিশিষ্ট ছাত্র) ।<br /> <br /> <br /> এবার তাদের কথাগুলো বলি-<br /> আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) লিখেছেন,<br /> ﻭﺍﻟﺬﻳﻦ ﺣﻔﻈﺖ ﻋﻨﻬﻢ ﺍﻟﻔﺘﻮﻯ ﻣﻦ ﺃﺻﺤﺎﺏ<br /> ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﺎﺋﺔ<br /> ﻭﻧﻴﻒ ﻭﺛﻼﺛﻮﻥ ﻧﻔﺴﺎ ﻣﺎ ﺑﻴﻦ ﺭﺟﻞ ﻭﺍﻣﺮﺃﺓ<br /> ﻭﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﻜﺜﺮﻭﻥ ﻣﻨﻬﻢ ﺳﺒﻌﺔ: ﻋﻤﺮ ﺑﻦ<br /> ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﻭﻋﻠﻲ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻃﺎﻟﺐ ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ<br /> ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﻭﻋﺎﺋﺸﺔ ﺃﻡ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ ﻭ ﺯﻳﺪ<br /> ﺑﻦ ﺛﺎﺑﺖ ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ<br /> ﺑﻦ ﻋﻤﺮ .<br /> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওসাল্লাম এর<br /> সাহাবীদের মধ্যে যাদের ফতোয়া সংরক্ষণ<br /> করা হয়েছে তাদের সংখ্যা নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রায়<br /> একশ’ ত্রিশজন। এদের<br /> মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফতোয়া প্রদান করতেন<br /> সাতজন।<br /> <br /> ১. উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ)<br /> ২. আলী ইবনে আবী তালেব (রাঃ)<br /> ৩. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)<br /> ৪. উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ)<br /> ৫. যায়দ ইবনে সাবেত (রাঃ)<br /> ৬. আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)<br /> ৭. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ)<br /> <br /> একশ’ ত্রিশজন সাহাবীর মধ্যে যাদের<br /> ফতোয়ার সংখ্যা খুব বেশি নয় আবার খুব কমও নয়,<br /> অর্থাৎ যাদের ফতোয়ার সংখ্যা মাধ্যমিক স্তরের,<br /> তাদের সংখ্যা হল, তেরজন।<br /> এ বিশজন ব্যতীত একশ’ ত্রিশজন সাহাবীর<br /> অবশিষ্ট সকলেই যে ফতোয়া প্রদান করেছেন, তার<br /> সংখ্যা খুবই কম। (ই’লামুল মুয়াক্বিয়ীন আন<br /> রাবিক্ষল আলামিন, আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম<br /> (রহঃ), খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১২) ।<br /> <br /> <br /> এখানে বিবেচনার বিষয় হল, কোথায় সোয়া লক্ষ<br /> আর কোথায় একশ-দু’শ সাহাবী! অবশিষ্ট<br /> সাহাবীরা তাহলে কী করেছেন? স্পষ্টতঃ অন্যান্য<br /> সাহাবীরা ফতোয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত<br /> সাহাবী অভিজ্ঞ ছিলেন, তাদের অনুসরণ করেছেন<br /> র্অথাৎ মুজতাহীদ সাহাবীর তাকলদি করছেনে।<br /> স্পষ্ট হয়ে গেলো প্রায় সকল সাহাবী মুকাল্লিদ<br /> ছিলেন।<br /> এ সম্পর্কে ইমাম আলী ইবনুল মাদীনী রাহ.(১৬১<br /> হি.-২৩৪ হি.)-এর বিবরণ :<br /> তিনি সাহাবায়ে কেরামের সময়ের তিনজন<br /> সাহাবীর মাযহাব বর্ননা করেছেন যাদের মাযহাব ও<br /> তরীকার উপর আমল ও ফতওয়া জারি ছিল। এই তিন<br /> সাহাবীর শাগরিদগণ তাঁদের মত ও সিদ্ধান্ত<br /> গুলো সংরক্ষণ করেছেন,তা প্রচার প্রসার করেছেন।<br /> যে তিন সাহাবীর মাযহাব ছিলো প্রচলিত ছিলো আর<br /> অন্য সাহাবীরা সেই মাযহাবের অনুশরণ করতেন<br /> তারা হলেন<br /> আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.(মৃত্যু: ৩২ হিজরী),<br /> যায়েদ ইবনে ছাবিত রা.(জন্ম: হিজরত পূর্ব ১১ ও<br /> মৃত্যু: ৪৫ হিজরী)ও<br /> আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা.(জন্ম: হিজরত পূর্ব<br /> ৩ ও মৃত্যু: ৬৮ হিজরী)।<br /> <br /> <br /> <br /> আলী ইবনুল মাদীনী রাহ.এর<br /> আরবী বাক্যটি নিম্নরূপ-<br /> ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻓﻲ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﺭﺳﻮﻻﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ<br /> ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﻦ ﻟﻪ ﺻُﺤَﻴْﺒَﺔٌ، ﻳﺬﻫﺒﻮﻥ<br /> ﻣﺬﻫﺒﻪ، ﻭﻳﻔﺘﻮﻥ ﺑﻔﺘﻮﺍﻫﻮﻳﺴﻠﻜﻮﻥ<br /> ﻃﺮﻳﻘﺘﻪ، ﺇﻻ ﺛﻼﺛﺔ : ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ<br /> ﻭﺯﻳﺪ ﺑﻦ ﺛﺎﺑﺖ ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ<br /> ﺍﻟﻠﻬﻌﻨﻬﻢ، ﻓﺈﻥ ﻟﻜﻞ ﻣﻨﻬﻢ ﺃﺻﺤﺎﺑﺎ ﻳﻘﻮﻣﻮﻥ<br /> ﺑﻘﻮﻟﻪ ﻭﻳﻔﺘﻮﻥ ﺍﻟﻨﺎﺱ .<br /> এরপর আলী ইবনুল মাদীনী রাহ. তাঁদের<br /> প্রত্যেকের মাযহাবের অনুসারী ও তাঁদের মাযহাব<br /> মোতাবেক ফতওয়া দানকারী ফকীহ তাবেয়ীগণের নাম<br /> উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন,<br /> আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর যে শাগরিদগণ তাঁর<br /> কিরাত অনুযায়ী মানুষকে কুরআন শেখাতেন,তাঁর<br /> সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মানুষকে ফতওয়া দিতেনএবং তাঁর<br /> মাযহাব অনুসরণ করতেন তারা হলেন এই ছয়জন<br /> মনীষী:<br /> আল কামাহ(মৃত্যু: ৬২ হিজরী),<br /> আসওয়াদ(মৃত্যু: ৭৫ হিজরী),<br /> মাসরূক(মৃত্যু: ৬২ হিজরী),<br /> আবীদাহ(মৃত্যু: ৭২ হিজরী),<br /> আমর ইবনে শুরাহবীল(মৃত্যু: ৬৩ হিজরী)ও<br /> হারিস ইবনে কাইস(মৃত্যু: ৬৩ হিজরী)।<br /> ইবনুল মাদীনী রাহ. বলেছেন,ইবরাহীম নাখায়ী রাহ.<br /> (৪৬-৯৬ হিজরী) এই ছয়জনের নাম উল্লেখ<br /> করেছেন।<br /> <br /> <br /> ইমাম আলী ইবনুল মাদীনী রাহ.-এর উপরোক্ত<br /> বিবরণের সংশ্লিষ্ট আরবীপাঠ নিমণরূপ-<br /> ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﻘﺮﺅﻥ ﺍﻟﻨﺎﺳﺒﻘﺮﺍﺀﺗﻪ ﻭﻳﻔﺘﻮﻧﻬﻢ<br /> ﺑﻘﻮﻟﻪ ﻭﺑﺬﻫﺒﻮﻥ ﻣﺬﻫﺒﻪ …<br /> এরপর আলী ইবনুল মাদীনী রাহ. লিখেছেন,আবদুল্লাহ<br /> ইবনে মাসউদ রা.-এর (ফকীহ) শাগরিদদের<br /> সম্পর্কে এবং তাঁদের মাযহাবের<br /> বিষয়ে সবচেয়ে বিজ্ঞ ছিলেন ইবরাহীম(নাখায়ী)<br /> (৪৬-৯৬ হিজরী) এবং আমের ইবনে শারাহীল<br /> শাবী(১৯-১০৩ হিজরী)। তবে শাবী মাসরূক রাহ.-<br /> এর মাযহাব অনুসরণ করতেন।<br /> আরবী পাঠ নিমণরূপ-<br /> ﻭﻛﺎﻥ ﺃﻋﻠﻢ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻜﻮﻓﺔﺑﺄﺻﺤﺎﺏ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ<br /> ﻭﻣﺬﻫﺒﻬﻢ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻭﺍﻟﺸﻌﺒﻲ ﺇﻻ ﺃﻥ<br /> ﺍﻟﺸﻌﺒﻲ ﻛﺎﻥ ﻳﺬﻫﺐ ﻣﺬﻫﺐ ﻣﺴﺮﻭﻕ .<br /> এরপর লিখেছেন-<br /> ﻭﻛﺎﻥ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﺯﻳﺪ ﺑﻦ ﺛﺎﺑﺘﺎﻟﺬﻳﻦ ﻳﺬﻫﺒﻮﻥ<br /> ﻣﺬﻫﺒﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﻘﻪ ﻭﻳﻘﻮﻣﻮﻥ ﺑﻘﻮﻟﻪ ﻫﺆﻻﺀ<br /> ﺍﻻﺛﻨﻰ ﻋﺸﺮ …<br /> অর্থাৎ যায়েদ ইবনে ছাবিত রা.-এর যে শাগরিদগণ<br /> তাঁর মাযহাবের অনুসারী ছিলেন এবং তাঁরমত ও<br /> সিদ্ধান্ত সমূহ সংরক্ষণ ও প্রচার প্রসার করতেন<br /> তাঁরা বারোজন।<br /> তাঁদের নাম উল্লেখ করার পর ইবনুল মাদীনী রাহ.<br /> লেখেন,এই বারো মনীষীও তাদের মাযহাবের<br /> বিষয়ে সবচেয়ে বিজ্ঞ ছিলেন ইবনে শিহাব<br /> যুহরী(৫৮-১২৪ হিজরী),<br /> ইয়াহইয়া ইবনে সায়ীদ আনসারী(মৃত্যু: ১৪৩<br /> হিজরী),<br /> <br /> আবুযযিনাদ(৬৫-১৩১ হিজরী)এবং<br /> আবু বকর ইবনে হাযম(মৃত্যু১২০ হিজরী)।<br /> এদের পরে ইমাম মালেক ইবনে আনাসরাহ.<br /> (৯৩-১৭৯ হিজরী)।<br /> এরপর ইবনুল মাদীনী রাহ. বলেছেন-<br /> ‘তদ্রূপ আবদুল্লাহ ইবনে আববাসরা.-এর<br /> যে শাগরিদগণ তাঁরমত ও সিদ্ধান্ত সমূহ সংরক্ষণও<br /> প্রচার করতেন,সে অনুযায়ী ফতওয়া দিতেন এবং তার<br /> অনুসরণকরতেন,তাঁরা ছয়জন।<br /> ﻭﻛﻤﺎ ﺃﻥ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺳﺴﺘﺔ ﺍﻟﺬﻳﻦ<br /> ﻳﻘﻮﻣﻮﻥ ﺑﻘﻮﻟﻪ ﻭﻳﻔﺘﻮﻥ ﺑﻪ ﻭﻳﺬﻫﺒﻮﻥ<br /> ﻣﺬﻫﺒﻪ .<br /> এরপর তিনি তাদের নাম উল্লেখ করেন।<br /> ইমাম ইবনুল মাদীনী রাহ.-এর পূর্ণ<br /> আলোচনা তাঁর‘ কিতাবুল ইলালে’(পৃষ্ঠা:<br /> ১০৭-১৩৫, প্রকাশ: দারুব<br /> নিলজাওযীরিয়ায,১৪৩০হিজরী।) বিদ্যমান<br /> আছে এবং ইমাম বায়হাকী রাহ.-এর ‘আলমাদ<br /> খালইলাস সুনানিল কুবরা’তে ও (পৃষ্ঠা:<br /> ১৬৪-১৬৫) সনদ সহ উল্লেখিত হয়েছে।<br /> সুতরাং মনে রাখতে হবে, ইমামগণের<br /> ফিকহী মাযহাবের যে মতপার্থক্য তাকে বিভেদ<br /> মনে করা অন্যায়ও<br /> বাস্তবতার বিকৃতি এবং সাহাবায়ে কেরামের নীতিও<br /> ইজমার বিরোধিতা।<br /> <br /> <br /> <br /> ♦♦প্রশ্ন : চার খলীফার তাকলীদ রেখে চার ইমামের তাকলীদ কেন? আমাদের উচিত শুধু কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী চলা তাক্বলিদ করা কুরআন হাদিসে নেই তাই এগুলো মানা বিদআত।<br /> <br /> জবাব :- আপনার প্রশ্নটি সম্পুর্ন  অযৌক্তিক । না বুঝার কারণে আপনার মনে এমন প্রশ্ন উদয় হয়েছে। ভাই আপনে নিজেও তো তাক্বলিদ করেন আর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করবেন অথচ সেটাকে না বুঝে নিজেই বিদআত বলতেসেন।এই হল আপনাদের মত নামধারী আহলে হাদিসের সমস্যা।<br /> <br /> আমাকে simple একটা জবাব দিন রাসুলুল্লাহ (সা) যে এত হাদিস বলে গেছেন এগুলোর প্রমান কি?<br /> প্রশ্নকর্তা: বুখারী,মুসলিম ও অন্যান্য সহিহ কিতাব।<br /> <br /> তাহলে আপনে আমাকে বলুন ইমাম বুখারীকে মানেন কিনা?<br /> প্রশ্নকর্তা : জ্বি অবশ্যই মানি মানব না কেন?<br /> <br /> এখন বলুন তাক্বলিদ অর্থ কি?<br /> প্রশ্নকর্তা: কাউকে অনুসরন করা বা মানা<br /> <br /> যাই হোক তাহলে আপনি ইমাম বুখারীর তাক্বলিদ করেন স্বীকার করলেন।<br /> প্রশ্নকর্তা: আমরা ওনার লিপিবদ্ধ হাদিস মানি।<br /> <br /> তাহলে অন্যরাও তো হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন তাদের মানেন না?<br /> প্রশ্নকর্তা: সহিহ বলে বা বিশ্বস্ত বলে ইমাম বুখারীকে মানি।<br /> <br /> জ্বি অবশ্যই সহিহ বলেই মানবেন বিশ্বস্ত বলেই মানবেন কিন্তু বুখারী ও মুসলিমে যে ১০ - ১২ হাজার হাদিস আছে এগুলো কি রাসুলের ২৩ বছরের সম্পুর্ন কথা?আর এত অল্প হাদিসে কি মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব?না সম্ভব না। <br /> <br /> আর ইমামে আজম (রহ) কে মানতে নিষেধ করেন বুখারী শরীফের হাদিস মানতে বলেন ইমামে আজম বড় ছিলেন নাকি ইমাম বুখারী বড় ছিলেন?ইমামে আজম  ছিলেন ইমাম বুখারীর পিতার উস্তাদের উস্তাদ। আজকে ইমাম বুখারীর যে হাদিস পেয়েছেন ওনার লিপিবদ্ধ করা হাদিস মানতেসেন এটাও ইমাম বুখারীর তাক্বলিদ করা হচ্ছে কারন যদিও আপনে অন্য কিতাবের তাক্বলিদ করছেন না ঠিকই বুখারী শরীফের তাক্বলিদ করছেন।<br /> <br /> তখন যদি ইমামে আজম সহ আরো কিছু স্বনামধন্য ইমাম হাদিস সংগ্রহ না করতেন তাহলে ইমাম বুখারী(রহ)'র জন্যও ওই সব সনদ সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে যেত কারন যারা মৃত্যুবরন করে গেছে তাদের কাছ থেকে আর কোনদিন হাদিস পাওয়া সম্ভব নয়। কোন সাহাবায়ে কেরাম হাদিস লিখে সংগ্রহ করেন নি।তখন যদি ইমামে আজমের মত মহান ইমামগন এর আবির্ভাব না হত তাহলে কি হত এই মুসলিম উম্মাহর। ওনারা কুরআন হাদিস পড়ে জেনে ফতোয়া বের করেছেন যেমন ইমামে আজম (লক্ষাধিক হাদিসের হাফেজ ছিলেন) ওনাকে তাক্বলিদ বা অনুসরন করা মানে হল ওনার হাদিসের ফয়সালা মোতাবেক চলা। তিনি বহু সাহাবীর সাথে সাক্ষাতও করেছিলেন এবং হাদিস শ্রবন করেছেন।<br /> <br /> তাবেয়ী ইমাম আবু<br /> হানীফা এবং তাবে তাবেয়ী ইমাম<br /> শাফেয়ী, মালিক ও আহমাদ<br /> বিন হাম্বল রহঃ এর তাকলীদের মাধ্যমে কুরআন, হাদীস এবং খুলাফায়ে রাশেদীনের ফাতওয়াও পাওয়া যায়। আর আমাদের কাছে কুরআন হাদীসের সাথে সাহাবাগণও অনুসরণীয়।<br /> <br /> ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺑﺴﻨﺘﻲ ﻭﺳﻨﺔ<br /> ﺍﻟﺨﻠﻔﺎﺀ ﺍﻟﺮﺍﺷﺪﻳﻦ ﻣﻦ<br /> ﺑﻌﺪﻱ ﻋﻀﻮﺍ ﻋﻠﻴﻬﺎ<br /> ﺑﺎﻟﻨﻮﺍﺟﺬ<br /> <br /> হযরত ইরবাজ বিন সারিয়া রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ<br /> করেছেনঃ তোমরা আমার সুন্নতকে আঁকড়ে ধর। এবং খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নতকে আঁকড়ে ধর আমার পরে। এগুলোকে মাড়ির দাঁত দিয়ে কামড়ে ধর। {আলমুজামুল কাবীর লিততাবরানী, হাদীস নং-৬১৮,<br /> সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২, সুনানে বায়হাকী কুবরা,<br /> হাদীস নং-২০১২৫, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৫০, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১৭৯, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৯২২, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-৩২৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭১৪২,<br /> মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৪২০১, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-৪৩৭, মাশকিলুল আসার, হাদীস নং-৯৯৮}<br /> <br /> <br /> ♦♦প্রশ্ন: হানাফী ,শাফেয়ী ,মালেকী ,হাম্বলী হতে আল্লাহ ও রাসূল সাঃ নির্দেশ দেননি ।।<br /> <br /> উত্তর:- এটা কোন দল না এটা ইসলামের সঠিকভাবে অনুসরন করার জন্য ওনারা সঠিক মাসআলা মাসায়েল বলে গেছেন।<br /> <br /> আপনারা দলের কথা বলতেসেন কিন্তু কথিত আহলে হাদিস দল আপনারা নিজেরা করেন নি?<br /> <br /> আপনাদের আহলে হাদীসদের<br /> কয়েকটি দল<br /> ১) জমিয়তে আহলে হাদীস<br /> বাংলাদেশ।<br /> ২) আহলে হাদীস আন্দোলন<br /> বাংলাদেশ।<br /> ৩) আহলে হাদীস যুব<br /> আন্দোলন।<br /> ৪)<br /> ফিরক্বায়ে গুরাবায়ে আহলে হাদীস।<br /> ৫) কানফারেন্স<br /> আহলে হাদীস।<br /> ৬) আমীরে শরীয়ত সূবাহ<br /> বাহার।<br /> ৭)<br /> ফিরক্বায়ে সানাবিয়্যাহ।<br /> ৮)<br /> ফিরক্বায়ে আতায়িয়্যাহ।<br /> ৯) ফিরক্বায়ে শরীফিয়্যাহ।<br /> ১০)<br /> ফিরক্বায়ে গজনবিয়্যাহ।<br /> ১১)<br /> ইন্তিখাবে মৌলবী মুহীউদ্দীন।<br /> ১২) জামাআতুল মুসলিমীন।<br /> <br /> <br /> এভাবে আহলে হাদীস নাম<br /> দিয়ে দলে দলে বিভক্ত<br /> হওয়ার নির্দেশ না আল্লাহ<br /> দিয়েছেন, না রাসূল<br /> সাঃ দিয়েছেন। তাই এসব<br /> আহলে হাদীস<br /> নামধারীরা কেন পরিত্যজ্য<br /> নয়?<br /> <br /> শুধু দলে দলে বিভক্তই<br /> হয়নি ওরা। বরং একদল<br /> আরেক দলকে গোমরাহ,<br /> মুশরিক<br /> ইত্যাদি বলে গালাগালিও<br /> করে থাকে। যা তাদের<br /> লেকচার ও বিভিন্ন<br /> লেখা বই পড়লে যেকোন<br /> পাঠকই বুঝতে পারবেন।<br /> এভাবে বিভক্তির<br /> দিকে আহবানকারীর<br /> মুখে একতার কথা মানায়<br /> কি না? এটি আম<br /> তৌহিদী জনতার হাতেই<br /> ছেড়ে দিলাম এর বিচারের<br /> ভার।<br /> আল্লাহ তাআলা একতার<br /> নামে বিভক্তির<br /> দিকে আহবানকারী ভ্রান্ত<br /> আহলে হাদীস<br /> ফিরক্বা থেকে মুসলিম<br /> জাতিকে হিফাযত করুন।<br /> <br /> <br /> ♦♦প্রশ্ন: রাসূল সাঃ এর অনুসরণ না করে ইমাম আবূ হানীফার অনুসরণ কেন ?<br /> <br /> উত্তর:- আপনারা লা-মাযহাবীরা তাক্বলিদ বিদাত বলেন কিন্তু ঠিক ঘেটে ঘেটে নাসিরুদ্দিন আলবানীর ফতোয়া,  ইবনে তাইমিয়া, বায সাহেবের ফতোয়া পড়েন ও মানেন তা কুরআন হাদিসে আছে কিনা তখন সেটাও দেখার প্রয়োজন করেন না।<br /> তাদের তাক্বলিদ করলে শিরিক হয় না আর ৪ মাযহাবের তাক্বলিদ করলে যারা তাবেয়ী ও তাবে তাবেয়ী ছিলেন তাদের তাক্বলিদ করলে শিরিক বিদাত তাই না?ভালই বিচার আপনাদের।<br /> <br /> আফসোস হয় এসব কথিত আহলে হাদীসদের কর্মকান্ড দেখে যেখানে পবিত্র কুরআনে, <br /> <br /> "জ্ঞানীদের অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে [সূরা নহল-৪৩} <br /> <br /> সেখানে তারা জাহিল ও মুর্খদের শায়েখ বানিয়ে তাদের অনুসরণ করছে। যাদের<br /> ব্যাপারে রাসূল সাঃ স্পষ্ট বলেছেন, <br /> <br /> "তারা ইলমহীনতার কারণে নিজেরাও গোমরা হবে, আবার<br /> অন্যদেরও গোমরাহ করবে।"<br /> <br /> {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৬৫১১, বুখারী, হাদীস নং-১০০, মুসলিম, হাদীস নং-২৬৭৩} আল্লাহ তাআলা আমাদের এ ভ্রান্ত ফিরক্বা থেকে হিফাযত করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।<br /> <br /> এখন কথা হল আহলে হাদিসের মুর্খ আলিমদের শাইখগনের তাক্বলিদ শিরিক হয় না আর তাবেয়ী তাবে তাবেয়ীগনের তাক্বলিদ করলে শিরিক বলে ফতোয়া দেয়।হায়রে মুর্খের দল।<br /> <br /> <br /> ♦♦প্রশ্ন:- চার মাযহাবের দ্বারা বিভক্তি এসেছেঃ মাযহাব ছেড়ে তাই একতার প্রয়োজন।এ মাযহাব কি সালফে সালেহীন গনের যুগে পালন করা হত?<br /> <br /> উত্তর:-<br /> <br /> সালাফে সালেহীনের মাযহাব<br /> ১। ইমাম<br /> বুখারী রহঃ শাফেয়ী মাজহাবের<br /> অনুসারী।<br /> সুত্রঃ নবাব ছিদ্দিক হাসান<br /> খান লিখিত আবজাদুল উলুম<br /> পৃষ্ঠা নং ৮১০,<br /> আলহিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৮৩।<br /> শাহ ওয়ালিউল্লাহ<br /> রহঃ লিখিত আল-ইনসাফ<br /> পৃষ্ঠা নং ৬৭।<br /> <br /> আল্লামা তাজ উদ্দীন<br /> সুবকী রহঃ লিখিত<br /> ত্ববকাতুশ<br /> শাফেয়ী পৃষ্ঠা নং ২/২।<br /> <br /> ২। ইমাম মুসলিম<br /> রহঃ শাফেয়ী মাজহাবের<br /> অনুসারী।<br /> সুত্রঃ ছিদ্দিক হাঃ খান<br /> লিখিত আল-<br /> হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।<br /> <br /> ৩। ইমাম<br /> তিরমিজী নিজে মুজ্তাহিদ<br /> ছিলেন। তবে হানাফী ও<br /> হাম্বলী মাজহাবের<br /> প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।<br /> সুত্রঃ শা ওয়ালিউল্লাহ<br /> রহঃ লিখিত আল-ইনসাফ<br /> পৃষ্ঠা নং ৭৯।<br /> ৪। ইমাম নাসাঈ<br /> শাফেয়ী মাজহাবের<br /> অনুসারী ছিলেন।<br /> সুত্রঃ নওয়াব সিদ্দীক<br /> হাসান খান লিখিত আল-<br /> হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৯৩।<br /> ৫। ইমাম আবুদাউদ<br /> রহঃ শাফেয়ী।<br /> সুত্রঃ আল-<br /> হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।<br /> আল্লামা আনোয়ার শাহ<br /> কাশ্মিরী রহঃ ইবনেতাইমিয়ার<br /> উদ্ধৃতি দিয়ে ফয়জুল<br /> বারী ১/৫৮ তে ইমাম<br /> আবুদাউদ<br /> রহঃ কে হাম্বলী বলে উল্লেখ<br /> করেছেন।<br /> ৬। ইমাম ইবনে মাজাহ<br /> শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।<br /> সুত্রঃ ফয়জুল<br /> বারী ১/৫৮।<br /> এ গেল ছিহাহ ছিত্তার<br /> ইমামগণের মাজহাব।<br /> অন্যান্য ইমামগণের<br /> মাজহাব নবাব ছিদ্দীক<br /> হাসান খান সাহেবের আল-<br /> হিত্তা থেকে।<br /> ৭। মিশকাত শরিফ<br /> প্রণেতা শাফেয়ী, পৃঃ ১৩৫<br /> ৮। ইমাম<br /> খাত্তাবী রহঃ শাফেয়ী,<br /> পৃঃ ১৩৫<br /> ৯। ইমাম<br /> নববী রহঃ শাফেয়ী,<br /> পৃঃ ১৩৫<br /> ১০। ইমাম<br /> বাগভী রহঃ শাফেয়ী,<br /> পৃঃ ১৩৮<br /> ১১। ইমাম<br /> ত্বহাবী হাম্বলী, পৃঃ১৩৫<br /> ১২। বড় পীর আঃ কাদের<br /> জিলানী রহঃ হাম্বলী,<br /> পৃঃ ৩০০<br /> ১৩। ইমাম<br /> ইবনে তাইমিয়া হাম্বলী,<br /> পৃঃ ১৬৮<br /> ১৪। ইবনে কায়্যিম<br /> রহঃ হাম্বলী, পৃঃ ১৬৮<br /> ১৫। ইমাম ইবনে আব্দিল<br /> বার রহঃ মালেকী, পৃঃ ১৩৫<br /> ১৬। ইমাম আব্দুল হক<br /> মুহাদ্দেসে দেহলবীরহঃহানাফী,<br /> পৃঃ ১৬০<br /> ১৭। শাহ ওয়ালিউল্লাহ<br /> দেহলবী রহঃ হানাফী,<br /> পৃঃ ১৬০-১৬৩<br /> ১৮। ইমাম ইবনে বাত্তাল<br /> রহঃ মালেকী, পৃঃ ২১৩<br /> ১৯। ইমাম<br /> হালাবী রহঃ হানাফী পৃঃ ২১৩<br /> ২০। ইমাম শামসুদ্দীন আবু<br /> আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ<br /> ইবনে আব্দুদদায়েম<br /> রহঃ শাফেয়ী, পৃঃ ২১৫<br /> ২১। ইমাম বদরুদ্দীন<br /> আঈনী রহঃ হানাফী,<br /> পৃঃ ২১৬<br /> ২২। ইমাম<br /> যারকানী রহঃ শাফেয়ী,<br /> পৃঃ ২১৭<br /> ২৩। ইমাম<br /> ক্বাজী মুহিব্বুদ্দীন<br /> হাম্বলী, পৃঃ ২১৮<br /> ২৪। ইমাম ইবনে রজব<br /> হাম্বলী, পৃঃ ২১৯<br /> ২৫। ইমাম<br /> বুলকিনী শাফেয়ী, পৃঃ ২১৯<br /> ২৬। ইমাম<br /> মার্যুকী মালেকী পৃঃ ২২০<br /> ২৭। ইমাম জালালুদ্দীন<br /> বকরী শাফেয়ী, পৃঃ২২০<br /> ২৮। ইমাম<br /> কাস্তাল্লানী শাফেয়ী,<br /> পৃঃ ২২২<br /> ২৯। ইমাম<br /> ইবনে আরাবী মালেকী,<br /> পৃঃ ২২৪<br /> এমন কি ওহাবীরা তাদের মডেল<br /> ৩০। আব্দুল ওয়াহ্হাব নজদীকে ও<br /> হাম্বলী বলে উল্লেখ<br /> করেছেন নওয়াব সিদ্দিক<br /> হাসান খান তার আল-<br /> হিত্তাতু ফিস সিহাহিস<br /> সিত্তাহ’র ১৬৭ পৃষ্ঠায়।<br /> ৩১। ইমাম তাহাবী রহঃ ছিলেন<br /> হানাফী রহঃ এর অনুসারী।</div>

প্রশ্নোত্তরে মাযহাবের তাক্বলিদ (পর্ব ১)

♦♦প্রশ্ন :- এক মাযহাব থেকে অন্য মাযহাবে স্থানান্তর: একটি বিশ্লেষণাত্মক পর্যালোচনা উত্তর:- শায়খ আওয়ামাহ আসারুল হাদীসিশ শরীফ… নামক কি...

Read more »

প্রশ্নোত্তরে হানাফী মাযহাব

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> প্রশ্ন ১:-<br />আমরা শুনেছি,হানাফী মাজহাবের অনেক সিদ্ধান্ত ইমাম<br /> আবু হানীফা (রাহ.) এর মত থেকে কিছু কিছু ভিন্ন রয়েছে । এর কিছু উদাহরণ জানাতে পারবেন কি?<br /> জাযাকাল্লাহু খাইরান,<br /> মোঃ গুলশানুর রহমান<br /> <br />জবাব :-<br /><br />আপনার জানা কথাটি সঠিক।এখানে একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন ""ইমামে আজম তাবেয়ী ছিলেন তখন কোন পরিস্থিতিতে কোন মাসআলা দিয়েছিলেন আর ওনার মাযহাবের ইমামগন কেউ কোন যুগে কোন পরিস্থিতিতে পরে ফতোয়া দিয়েছিলেন তা অবশ্যই বিবেচনার বিষয় তাই কাউকে হুট করে ভুল বলে দিতে পারবেন না এটা কোকামী ছাড়া আর কিছু হবে না।""<br /><br /> ফিক্বহে হানাফীর অনেক মাসআলায় ইমাম আবু হানীফার সাগরীদ ইমাম আবু ইউসুফ রহ., ইমাম মুহাম্মদ রহ. এবং ইমাম যুফার বা অন্যান্যদের মতের<br /> উপরও ফাতওয়ার অনেক নজীর রয়েছে। নিম্নে কয়েকটি উপমা উপস্থাপন করা হল ।ইমাম আবু ইউসুফ রহ. এর মতের উপর ফতোয়ার উপমা:-<br /><br /> ১. ইমাম আবু হানীফা রহ. এবং মুহাম্মদ রহ. এর মতে এক বিচারক যখন ফায়সার জন্য অন্য<br /> বিচারকের কাছে পত্র লিখে। তখন উক্ত পত্রে কি লিখা আছে তা পত্র বাহককে পড়ে শুনিয়ে তারপর তার সামনে সিলমহর মেরে হস্তান্তর করতে হবে। নতুবা এই<br /> পত্রটি বিচার কার্য সমাধার জন্য<br /> কার্যকরী হবেনা। <br /><br />পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানিফার ছাত্র ইমাম আবু ইউসুফ রহ. এর মতে কেবল<br /> পত্র লিখে তা বাহককে না জানিয়েও তা অন্য বিচারকের<br /> কাছে প্রেরণ করলে এ দ্বারা বিচার কার্য পরিচালনা করা যাবে। এই<br /> মতের উপরই ফতোয়া। সুতরাং এখানে ইমাম আবু হানীফা রহ. ও মুহাম্মদ রহ. এর মত আমলযোগ্য নয়। (হেদায়া-৩/১২৩-১২৪)<br />এখানে স্থান কাল পাত্র বিশেষে ২জনের ফতোয়াই কাজে লাগতে পারে।<br /><br /> ২. যখন কোন বোকা টাইপের স্বাক্ষ্য কাযীর মজলিসে স্বাক্ষ্য দিতে হাজির হয় তখন স্বাক্ষিকে বিচারক<br /> স্বাক্ষ্যের পদ্ধতি শিখিয়ে দিতে পারবেনা। এটা জায়েজ নয় ইমাম আবু হানীফা রহ. ও মুহাম্মদ রহ.<br /> এর মতে। <br /><br />কিন্তু ইমাম আবু<br /> ইউসুফ রহ. এর মতে অবুঝ<br /> ব্যক্তিকে শিখিয়ে দেয়া কেবল<br /> জায়েজই নয় উত্তমও। এই মতের উপরই ফতোয়া । (ফাতওয়ায়ে শামী-৮/৫৩) <br /><br />ইমাম মুহাম্মদ রহ. এর মতের উপর ফাতওয়ার<br /> উপমা<br /> ১. মিরাস তথা ত্যাজ্য সম্পত্তি বন্টনের প্রায় সকল মাসআলায় ইমাম মুহাম্মদ রহ এর বক্তব্যের<br /> উপর ফতোয়া।<br /><br /> ২. ইমাম আবু হানীফা রহ. এর মতে ওযুর পানি নাপাক। তাই এটি গায়ে লাগলে কাপড় নাপাক হয়ে যাবে। আর ইমাম মুহাম্মদ রহ. বলেন- অযুর পানি পাক। তবে এর দ্বারা পবিত্রতা অর্জন<br /> করা যাবেনা । ফাতওয়া এই<br /> মতের উপর। ইমাম যুফার রহ. এর মতের উপর ফাতওয়ার উপমা<br /> <br /> ১. যে অসুস্থ্য ব্যক্তি দাড়িয়ে নামায পড়তে পারেনা সে ব্যক্তি যেভাবে ইচ্ছে বসে নামায পড়তে পারবে ইমাম আবু হানীফা রহ. এবং আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ রহ. এর মতে। কিন্তু ইমাম যুফার রহ. এর মতে তাশাহুদের সুরতে বসে নামায পড়তে হবে। ফাতওয়া এই<br /> মতের উপর। (ফাতওয়ায়ে শামী-২/৫৬৫)<br /><br /> ২. তিন ইমামের মতে বাড়ির আঙ্গিনা দেখার দ্বারা ক্রয় করার সময়ের দেখার হক সাকিত হয়ে যায়। কিন্তু ইমাম যুফার রহ. এর<br /> মতে বাড়ির আঙ্গিনা দেখার দ্বারা ভিতরাংশ দেখার হক সাকিত হয়না। এই মতে উপরই ফিক্বহে হানাফীর ফাতওয়া। (ফাতওয়ায়ে শামী-৭/১৫৮) <br /><br />এরকম অসংখ উদাহরণ রয়েছে যেখানে ইমাম আবু হানীফা রহ. এর বক্তব্যের<br /> উপর ফাতওয়া নয়। বিস্তারিত জানতে দেখুন- মুফতী সালমান<br /> মানসুরপুরী দাঃ বাঃ এর লিখা “ফাতওয়া নাওয়িসী কি রাহনুমা উসূল”।<br /> <br /> <br /> <br /> </div>

প্রশ্নোত্তরে হানাফী মাযহাব

প্রশ্ন ১:- আমরা শুনেছি,হানাফী মাজহাবের অনেক সিদ্ধান্ত ইমাম আবু হানীফা (রাহ.) এর মত থেকে কিছু কিছু ভিন্ন রয়েছে । এর কিছু উদাহরণ জানাতে পা...

Read more »