ইসলামী বিশ্বকোষ

ইসলামের বৈজ্ঞানিক নিদর্শনঃ হাসি কান্নার গুরুত্ব ও উপকারীতা -

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
<br />
<b><span style="color: red;"><u>আল-</u></span></b><b><span style="color: red;"><u>কোর</u></span></b><b><span style="color: red;"><u>আন </u></span></b><span style="color: red;"><b><u>এ আল্লাহর</u></b></span><b style="color: red;"><u> নিদর্শন ও </u></b><span style="color: red;"><b><u>নাস্তিকদের জবাবঃ</u></b></span><br />
<br />
<div style="display: inline !important;">
<ul style="text-align: left;">
<li><b><b><b><i>আপনি কি দেখেন না যে, </i></b></b></b></li>
</ul>
</div>
<div style="display: inline !important;">
<b><b><b><i>→ </i></b></b></b><b><span style="color: #cc0000;"><i>নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যারা আছে, তা</i></span></b><b><span style="color: #cc0000;"><i>রা</i> </span></b><b><b><b><b><i>এবং উড়ন্ত পক্ষীকুল তাদের পাখা বিস্তার করতঃ আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে? প্রত্যেকেই তার যোগ্য ইবাদত এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণার পদ্ধতি জানে। তারা যা করে, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। </i></b></b></b></b><br />
<b>
</b></div>
<b>
<b></b><br />
</b><br />
<div style="display: inline !important;">
<b><b><b><i>→ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। আপনি কি দেখেন না যে, আল্লাহ মেঘমালাকে সঞ্চালিত করেন, অতঃপর তাকে পুঞ্জীভূত করেন, অতঃপর তাকে স্তরে স্তরে রাখেন; অতঃপর আপনি দেখেন যে, তার মধ্য থেকে বারিধারা নির্গত হয়। </i></b></b></b></div>
<b>
<br />
</b><br />
<div style="display: inline !important;">
<b><b><b><i>→ তিনি আকাশস্থিত শিলাস্তূপ থেকে শিলাবর্ষণ করেন এবং তা দ্বারা যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা অন্যদিকে ফিরিয়ে দেন। </i></b></b></b><br />
<b><b><b><i><br /></i></b></b></b></div>
<div style="display: inline !important;">
<b><b><b><i>→ তার বিদ্যুৎ ঝলক (ব</i></b></b></b><b><b><b><b><i>জ্রপাত)</i></b></b></b><b><b><b><b><b><b><i>দৃষ্টিশক্তিকে যেন বিলীন করে দিতে চায়। </i></b></b></b></b></b></b></b><br />
<b><b><b><b><b><b><b><i><br /></i></b></b></b></b></b></b></b></div>
<b>
</b>
<br />
<div style="display: inline !important;">
<b><b><b><i>→ আল্লাহ দিন-রাত্রির পরিবর্তন ঘটান। </i></b></b></b><br />
<b><b><b><i><br /></i></b></b>
<span style="color: #cc0000;"><i>এতে অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্নগণের জন্য চিন্তার উপকরণ (নিদর্শন) রয়েছে।</i></span></b><br />
<b><span style="color: #cc0000;"><i><br /></i></span>
<b><b><i>→ আল্লাহ প্রত্যেক চলন্ত জীবকে পানি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। তাদের কতক বুকে ভর দিয়ে চলে (স</i></b></b></b><b><b><b><b><b><b><b><b><i>রীশৃপ), </i></b></b></b></b></b></b></b></b><br />
<b><b><b><b><b><b><i>কতক দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে (দ্বিপদী</i></b></b></b><b><b><b><b><b><b><i>)</i></b></b></b></b></b></b></b></b></b><br />
<b><b><b><b><b><b><i>  এবং কতক চার পায়ে ভর দিয়ে চলে (</i></b></b></b><b><b><b><b><i>চতুষ্প</i></b></b></b><b><b><b><b><b><b><b><i>দী)।</i></b></b></b></b></b></b></b></b></b></b></b><br />
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<b></b><br />
<div style="display: inline !important;">
<b><b><b><b><b><b><b><b><b><b><b><i>আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু করতে সক্ষম। </i></b></b></b><b><span style="color: #cc0000;"><i>আমিও সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ অবতীর্ণ করেছি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালনা করেন।’</i></span></b></b></b></b></b></b></b></b></b></div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<b></b>

<br />
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<b><b><b><b><b><b><b><b><b><b><i>(নূর ২৪/৪১-৪৬)</i></b></b></b></b></b></b></b></b></b></b></div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
<i><br /></i>
<i><br /></i></div>
<div style="color: #38761d; font-style: italic;">
<ul style="text-align: left;">
<li><b><b><div style="color: #38761d; font-style: italic;">
<div style="display: inline !important;">
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, </div>
</div>
</b></b></li>
</ul>
</div>
<div style="color: #38761d; font-style: italic;">
أَلَمْ يَرَوْاْ إِلَى الطَّيْرِ مُسَخَّرَاتٍ فِيْ جَوِّ السَّمَاءِ مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلاَّ اللهُ إِنَّ فِيْ ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُوْنَ- </div>
<div style="color: #38761d; font-style: italic;">
<br /></div>
<div style="color: #38761d; font-style: italic;">
তারা কি উড়ন্ত পাখীকে দেখে না? এগুলো আকাশের  অন্তরীক্ষে আজ্ঞাধীন রয়েছে।</div>
<span style="color: #cc0000;"><i>আল্লাহ ছাড়া কেউ এগুলোকে আগলে রাখে না। নিশ্চয়ই এতে বিশ্বাসীদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।’</i></span><br />
<div style="color: #38761d; font-style: italic;">
<br /></div>
<div style="color: #38761d; font-style: italic;">
 (নাহল ১৬/৭৯)<br />
<br /></div>
<span style="color: red;"><b><i><u><br /></u></i></b></span>
<span style="color: red;"><b><i><u>কান্নার উপকারীতাঃ</u></i></b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>১) সারা দিনের ধুলো-বালি চোখের খুব ক্ষতি করে। চোখের জল সেগুলো চোখের বাহ্যিক তল থেকে ধুয়ে বের করে দেয়।</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>২) পাশাপাশি আইবল, চোখের পাতাকে মসৃন রাখে।</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>৩) চোখের মিউকাস মেমব্রেনের ডিহাইড্রেশন রোধ করে। দৃষ্টি শক্তি প্রখর করে।</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>৪) চোখের জলে অনেক বেশি মাত্রায় লাইসোজোম উপস্থিত। লাইসোজোম জীবানুনাশক। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই চোখের ৯০ শতাংশ ব্যাকটিরিয়া মেরে ফেলে।</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>৫) অবসাদ থেকে মুক্তি তো দেয়ই। অবসাদের সঙ্গে দেহে উৎপন্ন টক্সিনও বের হয়ে যায় কাঁদলে।</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>৬) কাঁদলে ‘ফিল গুড’ ফ্যাক্টর এন্ডরফিনস্‌ তৈরি হয়। মুড তরতাজা রাখতে যার জুরি মেলা ভার।</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>এ বার যদি কাঁদলে কেউ আপনাকে বলে ‘ডোনট ক্রাই, বি ব্রেভ’ বলে, আর কি শুনবেন তাঁর কথা? না কি উল্টে তাঁকেই বলবেন একটু কেঁদে নিতে!</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: red;"><b><i><u>হাসি -কান্নার গুতুত্বঃ</u></i></b></span><br />
<span style="color: red;"><b><i><u></u></i></b></span>
<span style="color: red;"><b><i><u><br /></u></i></b></span>
<b></b><br />
<div style="color: #660000;">
<b>হাসি এবং কান্না দুটোই মানুষের আবেগতাড়িত বিষয় এবং দুটোই স্নায়ুতন্ত্রের সাথে জড়িত। আমরা যখন অনেক বেশি আনন্দ পাই তখন হাসি অঅর যখন অনক বেশি কষ্ট পাই তখন কাঁদি। তবে হাসি ও কান্নাকে কখনই দমিয়ে রাখা উচিত না। কান্না বা হাসি চাপিয়ে রাখলে শরীর ও মনে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি হাসতে ইচ্ছা করে তবে প্রাণখুলে হাসুন এবং কাঁদতে ইচ্ছা করলে মন ভরে কাঁদুন। খেয়াল করে দেখবেন যারা কান্নাকে দমিয়ে রাখেন তারা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসি এবং কান্নার সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কিছু উপকারিতা আছে যা আমাদের শরীর ও মনকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখে।</b></div>
<div style="color: #660000;">
<b><br /></b></div>
<b><span style="color: red;">রক্তচাপ কমাতে ও শরীর ভালো রাখতে হাসি-কান্নাঃ</span></b><br />
<div style="color: #660000;">
<b><br /></b></div>
<div style="color: #660000;">
<b>আমরা সবাই জানি যে হাসি আমাদের টেনশন কমায়, শরীর ভালো রাখে বিশেষ করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে হাসি । বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, হাসির রয়েছে নানারকম শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা। হাসি শরীরে রক্তের প্রবাহ ও অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে রক্তের চাপ কমায় ফলে হৃদরোগের আশংকা অনেকটা হ্রাস পায়। আপনি কি জানেন কান্নাও একই কাজ করে! মনোবিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, মানসিক চাপ কমাতে, কর্মদক্ষতা বাড়াতে ও শারীরিক ভাবে ফিট থাকতে হাসির পাশাপাশি কান্নাকাটিরও সমান ভূমিকা রয়েছ। আরো মজার তথ্য জানিয়েছেন গবেষকরা, আমাদের মস্তিষ্কের একই জায়গা থেকে কান্না ও হাসির অনুভূতি আসে। হাসি যেভাবে রক্তচাপ কমিয়ে শরীরকে সুস্থ্ রাখে, কান্নাও তাই করে।</b></div>
<div style="color: #660000;">
<b><br /></b></div>
<b><span style="color: red;">মানসিক চাপ কমাতে হাসুন ও কাঁদুনঃ</span></b><br />
<div style="color: #660000;">
<b><br /></b></div>
<div style="color: #660000;">
<b>মানসিক চাপ ভারসাম্য নষ্ট করে আর কান্না মানসিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে। কান্না মানুষের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে রিলিজ দিয়ে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। আর আপনি যদি প্রচন্ড দুঃখের সময় বা মন খারাপ হলে কান্না চাপিয়ে রাখেন তাহলে তা আপনার মানসিক ভারসাম্যকে বিপর্যস্থ করে এমনকি শরীরের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।</b></div>
<div style="color: #660000;">
<b>আর হাসির কথা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনার আনন্দকে দ্বিগুণ করে দিয়ে সকল মানসিক স্ট্রেস বা উদ্বেগ নিমিষে কমিয়ে দিতে প্রাণখোলা হাসির জুড়ি নেই। দুশ্চিন্তামুক্ত ভালো মন যে কোনো রোগের মহাষৌধ। আর মনকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে হলে বেশি করে হাসুন। প্রাণ মন উজাড় করে হাসুন, উচ্চস্বরে হাসুন। দেখবেন আপনার মন কেমন পল্কার মতো হালকা লাগছে।</b></div>
<div style="color: #660000;">
<b><br /></b></div>
<b><span style="color: red;">ওষুধের পরিবর্তে হাসিঃ</span></b><br />
<div style="color: #660000;">
<b><br /></b></div>
<div style="color: #660000;">
<b>জার্মান লাফটার থেরাপিস্টের প্রধান মিশেল শেফনার জানান, “মস্তিষ্ক সচল রাখতে হাসির অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে কারণ যখন কেউ উচ্চস্বরে হাসে তখন তাঁর মস্তিষ্কে নানা উদ্দীপনার সৃষ্টি হয় যা মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের স্বাভাবিকতা ধরে রাখে।“ শুধু তাই নয়, ডা. রেমন্ড মুদিও অনেকটা একই কথা বলেন। তিনি তাঁর ‘লাফ আফটার লাফ : দি হিলিং পাওয়ার অভ হিউমার’ গ্রন্থে লিখেছেন, “হাসির সাথে শরীরের স্বাস্থ্যগত অবস্থার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন যে, হাসির সময় পেশীর টান অনেকটা আলগা হয়ে যায়। তাই দম ফাটানো হাসি পেশীর ব্যথা নিমেষে দূর করে দিতে পারে।“</b></div>
<div style="color: #660000;">
<b>হাসির নিরাময় ক্ষমতার বিস্মিত সত্যটি উপলব্ধি করে এখন অনেক চিকিৎসকরাই ওষুধের পরিবর্তে হাসতে উৎসাহিত করেন। এরকমই একটি পদ্ধতির কথা আমরা প্রায় সকলেই জানি তা হচ্ছে লাফটার থেরাপি। এই থেরাপিতে রোগীকে উচ্চস্বরে চিৎকার করে হাসতে হয়, এই উচ্চস্বরে হাসির মাধ্যমেই তাঁর পেশী সক্রিয় হয়, হার্ট রেট বেড়ে যায় এবং ব্যাথা নিরাময়ে সাহায্য করে।</b></div>
<div style="color: #660000;">
<b><br /></b></div>
<br />
<b><span style="color: red;">দুঃখ বেদনার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত হতে কাঁদুনঃ</span></b><br />
<b><span style="color: #660000;"><br /></span></b>
<b><span style="color: #660000;">আমাদের মনের আবেগ প্রকাশের একটি প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে কান্না। যখন আমাদের মন দুঃখিত থাকে তখন আমরা বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হই। আস্তে আস্তে এই বিষণ্ণতা হতাশায় পরিবর্তিত হয়, তারপর তা মনের চাপ বাড়িয়ে মাথা ব্যথা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। এই দুঃখ বেদনার ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে উঠার জন্য তাই প্রয়োজন কান্নার। এই বিষয়ে আরেকটু পরিষ্কার ধারণা দেয়ার জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বায়োকেমিস্ট ডা. উইলিয়াম ফ্রাইয়ের কথা তুলে ধরতে পারি। তিনি বলেন যে, “দুঃখ, বেদনা, মানসিক আঘাত দেহে টক্সিন বা বিষাক্ত অণু সৃষ্টি করে আর কান্না এই বিষাক্ত অণুগুলোকে শরীর থেকে বের করে দেয়। এ কারণেই দুঃখ ভারাক্রান্ত ব্যক্তি ভালভাবে কাঁদতে পারলে নিজেকে অনেক হালকা মনে করে।“</span></b><br />
<b><span style="color: #660000;">তাই কাঁদার সময়ও মন খুলে কাঁদুন। দরকার হলে হাউমাউ করে বা ফুঁপিয়ে কাঁদুন। অন্যের সামনে কাঁদতে অস্বস্তি হলে বাথরুমে যেয়ে পানির কলটি ছেড়ে দিয়ে বা মিউজিক ছেড়ে দিয়ে কাঁদুন, কিন্তু কাঁদুন। মনের কষ্ট কখনো মনে পুষে রাখবেন না। কান্নার মাধ্যমে আপনি আপনার মনের যতো জমানো কষ্ট, ক্ষোভ, রাগ, হতাশা, ব্যাথা-বেদনা আছে তা বের করে দিন। কান্নার ফলে আপনি আবার সহজ হয়ে নিজের মধ্যে নতুন শক্তি পাবেন আরেকবার এগিয়ে চলার।</span></b><br />
<b><span style="color: #660000;"><br /></span></b>
<b><span style="color: #660000;"><br /></span></b>
<br />
<br />
<br /></div>

ইসলামের বৈজ্ঞানিক নিদর্শনঃ হাসি কান্নার গুরুত্ব ও উপকারীতা -

আল- কোর আন এ আল্লাহর নিদর্শন ও নাস্তিকদের জবাবঃ আপনি কি দেখেন না যে, → নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যারা আছে, তা রা এবং উড়ন্ত পক্ষ...

নভেম্বর ৩০, ২০১৫

নবীগন ইন্তেকালের পরও জীবিত থাকেনঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="color: red;"><b><u>সহিহ হাদিস থেকেঃ</u></b></span><br />
<b></b><br />
<b>
<br />
<b></b><br />
</b><br />
<div style="display: inline !important;">
<b><b><span style="color: red;">1→</span></b></b><br />
<b><b><span style="color: red;"><br /></span></b>
<b><span style="color: red;"><br /></span></b></b></div>
<b>
</b>
<div style="color: #660000;">
<b><i>হযরত আনাস রা. বর্ণনা করেন,</i></b></div>
<b>
<div style="color: #660000;">
<i>রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,</i></div>
<div style="color: #660000;">
<i><br /></i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>الأَنْبِيَاءُ أَحْيَاءٌ فِي قُبُورِهِمْ يُصَلُّون.</i></div>
<div style="color: #660000;">
<i><br /></i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>‘নবীগণ কবরে জীবিত, নামায আদায় করেন’।</i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>★ মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ৩৪২৫; </i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>★ হায়াতুল আম্বিয়া লিল বাইহাকী, হাদীস ১-৪</i></div>
<div style="color: #660000;">
<i><br /></i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>যারা এ বর্ণনাকে সহীহ বলেছেন:</i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>১. ইমাম বাইহাকী রাহ. (হায়াতুল আম্বিয়া, পৃ. ৫)</i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>২. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. (ফাতহুল বারী  ৬/৬০৫)</i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>৩. হাফেজ ইবনুল মুলাক্কিন রাহ. (আল-বাদরুল মুনীর ৫/২৮৫)</i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>৪. হাফেজ নূরুদ্দীন হাইসামী রাহ. [এর বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত] (মাজমাউয যাওয়াইদ, ৮/২১১, হাদীস ১৩৮১২)</i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>৫. আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রাহ. (ইম্বাউল আযকিয়া বিহায়াতিল আম্বিয়া, আল-হাবী, পৃ. ৫৫৫)</i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>৬. আল্লামা মুনাবী রাহ. (ফায়জুল কাদীর, হাদীস ৩০৮৯)</i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>৭. শাওকানী রাহ. (তুহফাতুয যাকিরীন পৃ. ২৮; নাইলুল আউতার, ৩/২৪৭)</i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>৮. শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানীঃ সিলসিলাতুস সহীহা, হাদীস ৬২১;  </i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>৯. আলবানীঃ সহীহুল জামিইস সাগীর; </i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>১০. আলবানীঃ আলজানাইয; </i></div>
<div style="color: #660000;">
<i>১১. আলবানীঃ আত-তাওয়াসসুল।</i><br />
<i><br /></i></div>
<div style="color: #660000;">
<i><br /></i></div>
<i><span style="color: red;">2→</span></i><br />
<i><span style="color: red;"><br /></span></i>

<br />
<i><span style="color: #660000;">হযরত আউস ইবনে আউস রা. বর্ণনা করেন,</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;"><br /></span></i>
<i><span style="color: #660000;">إِنَّ مِن ْأَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فِيهِ خُلِقَ آدَمُ، وَفِيهِ قُبِضَ، وَفِيهِ النَّفْخَةُ، وَفِيهِ الصَّعْقَةُ، فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنَ الصَّلَاةِ فِيهِ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَيَّ" قَالَ: قَالُوا: يَارَسُولَ اللَّهِ، وَكَيْف َتُعْرَضُ صَلَاتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرِمْتَ؟ يَقُولُونَ: بَلِيتَ، فَقَالَ: "إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَى الْأَرْضِ أَجْسَادَ الْأَنْبِيَاءِ".</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;"><br /></span></i>
<i><span style="color: #660000;">‘তোমাদের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি হল জুমার দিন। এ দিনেই আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনেই শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া হবে, আর এ দিনেই সকল প্রাণী মৃত্যুবরণ করবে। সুতরাং এ দিনে তোমরা আমার উপর বেশি করে ছালাত ও সালাম পাঠাও। তোমাদের ছালাত আমার কাছে পেশ করা হবে। সাহাবাগণ বললেন, আমাদের ছালাত আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে, তখন যে আপনি (মাটির সাথে মিশে) ক্ষয়প্রাপ্ত (নিঃশেষিত) হয়ে যাবেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীগণের দেহ খাওয়াকে হারাম করে দিয়েছেন’। (৯)</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">অর্থাৎ কবরে নবীগণের দেহ দুনিয়ায় জীবিত মানুষের মতই অক্ষত থাকে। এর সাথে রূহের গভীর সম্পর্কও থাকে। ফলে কবরে থেকেও সালাত ও সালাম পাওয়াতে কোনো অসুবিধা হবে না। </span></i></b><br />
<div>
<b><i><span style="color: #660000;">★ সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১০৪৭; </span></i></b></div>
<div>
<b><i><span style="color: #660000;">★ সহীহ ইবনে খুযাইমা,  ৩/১১৮ হাদীস ১৭৩৩; </span></i></b></div>
<div>
<b><i><span style="color: #660000;">★ মুসতাদরাকে হাকেম, ১/২৭৮, হাদীস ১০২৯; </span></i></b></div>
<div>
<b><i><span style="color: #660000;">★ মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৬১৬২</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">হাদীসটিকে যারা সহীহ বলেছেন</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">১. ইমাম হাকেম নিশাপুরী রাহ. বলেন, হাদীসটি বুখারীর শর্তানুযায়ী সহীহ। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ১০২৯)</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">২. ইমাম যাহাবী রাহ. হাকেমের সমর্থন করেছেন। (তালখীসুল মুসতাদরাক লিল ইমাম আয-যাহাবী, আলমুসতাদরাক, হাদীস ১০২৯)</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">৩. ইমাম নববী রাহ. (আল-আযকার, হাদীস ৩৩২)</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">৪. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. (নাতাইজুল আফকার  ৪/১৮)</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">৫. হাফেজ ইবনুল কায়্যিম রাহ.। তিনি বলেন, যে এ হাদীসের সনদে গভীর দৃষ্টি দেবে, তার মধ্যে এটি সহীহ হওয়ার বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকবে না। কেননা এর বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত ও প্রসিদ্ধ, ইমামগণ তাঁদের হাদীস গ্রহণ করেছেন।(১০) -জালাউল আফহাম পৃ.৮১-৮৫;  যাদুল মা‘আদ ১/৩৫৪</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">৬. হাফেজ ইবনে কাসীর রাহ. (তাফসীরে ইবনে কাসীর, সূরা আহযাব, ৩/৫১৪)</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">৭. হাফেজ ইবনে আব্দুল হাদী (আছছারিমুল মুনকী পৃ. ২১০) (১১)</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">৮. শায়খ শুআইব আরনাউত (এর সনদ সহীহ, মুসনাদে আহমদের টীকা, ২৬/৮৪ হাদীস  ১৬১৬২)</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">৯. ড. মুছতাফা আজমী (সহীহ ইবনে খুযাইমার টীকা হাদীস  ১৭৩৩)</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">১০. শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানী রাহ. (সিলসিলাতুস সহীহা, হাদীস ১৫২৭; সহীহু আবি দাউদ, সহীহুত তারগীব, তাখরীজুল মিশকাত ইত্যাদি)</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">১১. গাইরে মুকাল্লিদ আলেম উবাইদুর রহমান মোবারকপুরী (মিরআতুল মাফাতীহ) (১২)</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">১২. শাওকানী রাহ. (তুহফাতুয যাকিরীন)</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">১৩. শায়েখ বিন বায (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব ১/৯৩)</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">১৪. শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহ. হাদীসটি দলিল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।  (৪/২৯৬, ২৬/১৪৭)</span></i><br />

<br />
<i><span style="color: #660000;"><br /></span></i>
<i><span style="color: red;">3→</span></i></b></div>
<div>
<b><span style="color: red;"><i><br /></i></span>
<i><span style="color: red;"><br /></span></i>
<i><span style="color: #660000;">এ হাদীসটি ভিন্ন সনদে হযরত আবুদ-দারদা রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাতে রয়েছে- (فنبي الله حي يرزق) : “সুতরাং আল্লাহর নবী জীবিত এবং রিযিক প্রাপ্ত”। -সুনানে ইবনে মাযাহ, হাদীস ১৬৩৭</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;"><br /></span></i>
<i><span style="color: #660000;">এ বর্ণনার সকল রাবী নির্ভরযোগ্য।</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">★ হাফেজ বূছিরী (মিছবাহুয যুজাজায়) </span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">★ ইমাম নববী (আল-আযকারে),</span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">★ হাফেজ মুন্যিরী (আত-তারগীব ওয়াত-তারহীবে), </span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">★ ইবনে হাজার (তাহযীবুত তাহযীবে যায়েদ ইবনে আইমান-এর আলোচনায়), </span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">★ মুল্লা আলী কারী রাহ. (মিরকাতে) এবং </span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">★ শাওকানী রাহ. (নাইলুল আউতারে) ও </span></i><br />
<i><span style="color: #660000;">★ শামসুল হক আযীমাবাদী (আওনুল মা‘বুদে) এর সনদকে জায়্যিদ তথা উত্তম বলেছেন। </span></i><br />
<i><span style="color: #660000;"></span></i><br />
</b><br />
<div style="display: inline !important;">
</div>
<b>
</b>
<div style="display: inline !important;">
</div>
<b>
<div style="display: inline !important;">
</div>
<div style="display: inline !important;">
<i><span style="color: #660000;">Note :</span></i></div>
<i><span style="color: #660000;">বিশেষত হাদীসের মূল অংশটি পূর্বোক্ত আউস ইবনে আউস বর্ণিত সহীহ হাদীস দ্বারা সমর্থিত। </span><br />
<span style="color: #660000;">আর শেষ অংশটি সূরা বাকারার ১৫৪ নম্বর আয়াত ও সূরা আলে ইমরানের ১৬৯ নম্বর আয়াত দ্বারা সমর্থিত। তাই হাদীসের প্রথম অংশের ন্যায় শেষ অংশটিও সহীহ।</span></i>
<br />
<span style="color: red;"><i>4→</i></span></b></div>
<div>
<b><span style="color: red;"><i><br /></i></span></b></div>
<div>
<b><span style="color: red;"><i><br /></i></span></b></div>
<div>
<b><i><span style="color: #274e13;"></span></i></b><br />
<div style="display: inline !important;">
<b><i><span style="color: #274e13;">হযরত আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন,</span></i></b></div>
<b><i><span style="color: #274e13;">
</span></i></b></div>
<div>
<b><i><span style="color: #274e13;"></span></i></b><br />
<div>
<b><i><span style="color: #274e13;">রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-</span></i></b></div>
<b><i><span style="color: #274e13;">
</span></i></b>
<div>
<b><i><span style="color: #274e13;"><br /></span></i></b></div>
<b><i><span style="color: #274e13;">
<div>
مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُهُ، وَمَنْ صَلَّى عَلَيّ َنَائِيًا مِنْهُ أُبْلِغْتُه.</div>
<div>
<br /></div>
<div>
“যে আমার কবরের পাশে আমার উপর সালাত পেশ করে আমি তা শুনি। এবং যে দূরে থেকে আমার উপর দরূদ পড়ে তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়”।</div>
<div>
<br /></div>
<div>
★ কিতাবুস সওয়াবঃ ইমাম আবু হাইয়ান ইবনু আবিশ শায়খ ইছফাহানী, </div>
<div>
★ ফাতহুল বারী ৬/৬০৫, </div>
<div>
★ আল-কাওলুল বাদী পৃ. ১৬০</div>
<div>
<br /></div>
<div>
যারা এ হাদীসকে শক্তিশালী বলেছেন-</div>
<div>
<br /></div>
<div>
১. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. (ফাতহুল বারী ৬/৬০৫)</div>
<div>
২. হাফেজ সাখাবী রাহ. (আল-কওলুল বাদী পৃ.১৬০)</div>
<div>
৩. আল্লামা সুয়ূতি রাহ. (আল-লাআলিল মাছনূআহ ১/২৮৫)</div>
<div>
৪. ইবনু র্আরাক্ব আল-কিনানী (তানযীহুশ্ শরীয়াহ, হাদীস ৫৪০)</div>
<div>
৫. শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া সম্ভবত এ শক্তিশালী সূত্রটি পাননি। তাই অন্য একটি দুর্বল সূত্র উল্লেখ করে বলেন : হাদীসের এ সূত্রে দুর্বলতা সত্তে¡ও বর্ণনাটির বিষয়বস্তু প্রমাণিত। অন্যান্য হাদীস দ্বারা এর সমর্থন পাওয়া যায়। (মাজমূউল ফাতাওয়া ২৭/১১৬-১১৭, আর-রাদ আলাল আখ্নাঈ, হিদায়াতুর রুওয়াত ফি তাখরীজিল মিশকাত-এর টীকা, আলবানী রাহ. ১/৪২১) </div>
<div>
৬. আল্লামা ইবনু আব্দিল হাদী। তিনিও ইবনে তাইমিয়া রাহ.-এর মত অন্যান্য হাদীস দ্বারা এ হাদীসের বিষয়বস্তু প্রমাণিত সাব্যস্ত করেছেন। </div>
<div>
৭. মাহমূদ সাঈদ মামদূহ (রাফউল মানারাহ লিতাখরীজি আহাদীসিত তাওয়াসসুল ওয়ায্ যিয়ারাহ)</div>
</span></i>
<span style="color: red;"><i></i></span>
<span style="color: red;"><div style="color: red;">
<b><span style="color: red;"><br /></span></b></div>
<div style="color: red;">
<b><span style="color: red;"><br /></span></b></div>
<div>
<br />
<span style="color: #7f6000;">5→</span><br />
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;">হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন,</span><br />
<span style="color: #7f6000;">রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-</span><br />
<span style="color: #7f6000;">إِنَّ لِلَّهِ مَلائِكَةً سَيَّاحِين فِي الأَرْض ِيُبَلِّغُونِي عَنْ أُمَّتِي السَّلامَ.</span><br />
<span style="color: #7f6000;">“আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত একদল ফেরেশতা রয়েছেন যারা দুনিয়াতে ঘুরে বেড়ান এবং আমার উম্মতের সালাম আমার কাছে পৌঁছে দেন”। -সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৯১৪</span><br />
<span style="color: #7f6000;">যারা এ হাদীসকে সহীহ বলেছেন:</span><br />
<span style="color: #7f6000;">১. ইমাম হাকেম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৩৫৭৬, ২/৪২১)</span><br />
<span style="color: #7f6000;">২. ইমাম যাহাবী রাহ. হাকেমের সমর্থন করেছেন। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ২/৪২১)</span><br />
<span style="color: #7f6000;">৩. হাফেজ ইবনুল কায়্যিম একে সহীহ বলেছেন। (জালাউল আফহাম পৃ.২৪)</span><br />
<span style="color: #7f6000;">৪. শায়খ শুআইব আরনাউত বলেন, হাদীসটি সহীহ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। (সহীহ ইবনে হিব্বানের টীকা ৩/১৯৫)</span><br />
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;">6→</span><br />
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;"> হযরত আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন,</span><br />
<span style="color: #7f6000;">রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-</span><br />
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;">لَاتَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قُبُورًا، وَلَاتَجْعَلُوا قَبْرِي عِيدًا، وَصَلُّوا عَلَيَّ، فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُم.</span><br />
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;">“তোমরা তোমাদের ঘরকে কবর বানিও না। আর আমার কবরে উৎসব করো না (বার্ষিক, মাসিক সাপ্তাহিক কোনো আসরের আয়োজন করো না)।আমার উপর সালাত পাঠাও। কেননা তোমরা যেখানেই থাক তোমাদের সালাত আমার কাছে পৌঁছবে। </span><br />
<span style="color: #7f6000;">★ সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২০৪২; </span><br />
<span style="color: #7f6000;">★ শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৩৮৬৫</span><br />
<span style="color: #7f6000;">★ হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. বলেন, এর সনদ সহীহ। </span><br />
<span style="color: #7f6000;">(ফাতহুল বারী ৬/৬০৬, আরো দেখুন, মজমুউল ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়া ২৬/১৪৭)</span><br />
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;">7→</span><br />
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;">হযরত আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন,</span><br />
<span style="color: #7f6000;">রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-</span><br />
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;">مَا مِن أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَيَّ، إِلَّا رَدَّ اللَّهُ عَلَيّ رُوحِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلَام.</span><br />
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;">‘(মৃত্যুর পর) যে কেউ আমাকে সালাম করবে, সেই আমাকে এ অবস্থায় (জীবিত) পাবে যে, আল্লাহ তাআলা আমার মধ্যে (এর পূর্বেই) রূহ ফিরিয়ে দিয়েছেন। (অর্থাৎ মৃত্যুর পরই আমার রূহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দিয়ে জীবিত করে দেবেন) যাতে আমি তার সালামের জবাব দেই’। )সুনানে আবু দাউদ হা.২০৪১((১৮)</span><br />
<span style="color: #7f6000;">যারা হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন</span><br />
<span style="color: #7f6000;">★ ইমাম নববী ও ইমাম সাখাবী রাহ. বলেন, হাদীসটি সহীহ। </span><br />
<span style="color: #7f6000;">★ রিয়াযুস ছালিহীন; আল-মাকাছিদুল হাসানাহ) শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানী ও বর্ণনাটি তাঁর ‘আস-সহীহায়’ উল্লেখ করেছেন। (সিলসিলাতুস সহীহা, হাদীস ২২২৬)</span><br />
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;">হাদীসের অর্থঃ</span><br />
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;">হাদীসের অর্থ হল মৃত্যুর পরই আমার মধ্যে রূহ ফিরিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা আমাকে জীবিত করবেন। আর এ জীবন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে। ফলে যে কেউ আমাকে সালাম করলেই জীবিত পাবে। আমি তার সালামের জবাব দেব। কেউ বলতে পারেন যে, হাদীসের বাহ্যিক অর্থ হল- যখনই কেউ আমাকে সালাম করবে তখনই আমার মধ্যে রূহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আর এর পূর্বে আমি মৃত ছিলাম। কিন্তু এ অর্থ সঠিক নয়। কারণ, ‘আল্লাহ তাআলা আমার রূহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দেন’ এ কথার অর্থ যদি হয়, ‘এর পূর্বে আমি মৃত ছিলাম’, তাহলে পূর্ববর্তী সকল হাদীসের সাথে এ হাদীস সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। নবী যদি শুধু সালামের উত্তর দেওয়ার জন্য জীবিত হন, তাহলে ‘নবীগণ কবরে জীবিত নামায আদায় করেন’- মর্মে বর্ণিত হাদীসের কী অর্থ বাকী থাকে। অথচ সবগুলোই নবীজীর কথা। তাই এগুলোর এমন অর্থই করতে হবে যাতে পরষ্পরে সাংঘর্ষিক না হয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।</span><br />
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;">→→ হাদীসের উল্লিখিত অর্থটি করেছেন শাস্ত্রের ইমাম আহমদ ইবনে হুসাইন আল-বাইহাকী রাহ. তাঁর ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ গ্রন্থে ও হাফেজ ইবনে হাজার আস্কালানী রাহ. ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে। আল্লামা সুয়ূতী রাহ. আরবী ব্যাকরণ শাস্ত্র ও হাদীসের বর্ণনার আলোকে এ ব্যাখ্যার যৌক্তিকতা ও যথার্থতা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন হাদীসের শেষাংশের মূল রূপ হল- (إلا وقد رد الله علي روحي)। আল্লামা ইবনে হাজার হায়তামী রাহ.ও এটিকে হাদীসের যথার্থ অর্থ বলে উল্লেখ করেছেন।  </span><br />
<span style="color: #7f6000;"><br /></span>
<span style="color: #7f6000;">★ আল-হাবী, সুয়ূতী রহ. পৃ. ৫৫৭, ৫৬১; </span><br />
<span style="color: #7f6000;">★ ফাতহুল বারী ৬/৬০৬; </span><br />
<span style="color: #7f6000;">★ আল-ফাতাওয়াল কুবরা, লিল হাইতামী ২/১৩৫ হজ্ব অধ্যায়; </span><br />
<span style="color: #7f6000;">★ মাকামে হায়াত পৃ.৪৩৫</span><br />
<span style="color: #7f6000;">এ হাদীসের আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যার জন্য দেখুন- ফাতহুল বারী, আল-কাউলুল বাদী, আল-বাদরুল মুনীর-লিল ইমাম ইবনুল মুলাক্কিন, ইম্বাউল আযকিয়া, সুয়ূতী।</span></div>
<div style="color: red;">
<span style="color: red;"><br /></span>
<span style="color: red;"><br /></span>
<span style="color: red;"><br /></span></div>
<div style="color: red;">
<span style="color: red;"><br /></span></div>
</span>
<span style="color: red;"><i><u>ইমামগণ </u></i></span></b><b></b><b><div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<span style="color: red;"><i><u>এর </u></i></span></div>
</div>
</div>
</b><b></b><b><div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<span style="color: red;"><i><u>আকিদা </u></i></span></div>
</div>
</div>
</b><b><b></b></b><b><b><div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<span style="color: red;"><i><u>থেকেঃ</u></i></span></div>
</div>
</div>
</b></b><b><div style="display: inline !important;">
<div style="display: inline !important;">
<span style="color: red;"><i><u><br /></u></i></span></div>
</div>
</b><b><b>
</b><br /><br />
<br />
<div style="color: #444444;">
❑ আরেফ বিল্লাহ্ ওয়ালী আল্লাহ্ হাযরাত সাইয়্যিদ আহমাদ কাবীর আর রিফায়ীঃ </div>
<div style="color: #444444;">
<br /></div>
<div style="color: #444444;">
তৎ যামানার হাদিস ও ফিকাহ্ এর ইমামগনের এক কাফেলা নিয়ে হারামাইনে ক্বিরামে হাজ্জ সম্পাদন করে হাজী সাহেবানদের এক কাফেলা সঙ্গে নিয়ে খালি পায়ে রসূলে কারিম সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের রওযা মুবারাক জিয়ারাতে গিয়ে সলাত ও সালাম পেশ করে রসূলে কারিম সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম সালামের দাস্ত মুবারক চুম্বনের অনুনয় প্রকাশ করেন।</div>
<div style="color: #444444;">
নবীজী রসূলে কারিম সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম সালামের জবাব প্রদানপূর্বক দাস্ত মুবারাক বের করে দিলে নবীজী রসূলে কারিম সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম উনার বংশধর সাইয়্যিদ আহমাদ কাবীর আর রিফায়ী রহ. নাবীজী রসূলে কারিম সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের দাস্ত মুবারাক চুম্বনের সৌভাগ্য লাভ করেন।</div>
<div style="color: #444444;">
<br /></div>
<div style="color: #444444;">
তখন নব্বই হাজারেরও বেশী হাজী-যিয়ারতকারী উপস্থিত ছিলেন। সকলেই সালামের জবাব সমানভাবে শ্রবন করেছিলেন এবং উনাকে তৎকালীন যুগশ্রেষ্ঠ ইমামগন নবীজী রসূলে কারিম সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের দাস্ত মুবারাক চুম্বন করতে দেখার সৌভাগ্য লাভ করেন। বিদায় হাজ্জের ভাষনে যেভাবে সকলে সমানভাবে শ্রবন করেছিলেন তখনও কারো সালামের জবাব শ্রবনে ব্যত্যয় ঘটেনি।</div>
<div style="color: #444444;">
ইহা নাবীজী রসূলে কারিম সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের বিশেষ বারযাকি জীবনের বিশেষ মু'জিযা।</div>
<div style="color: #444444;">
নিম্নোক্ত কিতাবসমূহে উত্তম সনদে উক্ত ঘটনাটি বিস্তারিত ৬টি ভিন্ন সনদে বর্নিত হয়েছে:</div>
<div style="color: #444444;">
<br /></div>
<div style="color: #444444;">
★ মুখতাসার আখবার আল খুলাফা; ইমাম ইবনুস সায়ী র. (ওফাত ৬৭৪হি.)</div>
<div style="color: #444444;">
★ আল হাওয়ী লিল ফাতাওয়ী; ইমাম জালালুদ্দিন আসসূয়ূতী র.</div>
<div style="color: #444444;">
★ তারিখে ইবনে কাসীর; হাফিয ইবনু কাসীর (রহঃ)</div>
<div style="color: #444444;">
<br /></div>
<div style="color: #444444;">
সর্বপ্রথম ৪৪৫ হিজরীতে মানছ ইবনে মুহাম্মদ আল-কান্দারী নামক এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবরে জীবিত থাকার উপর নানারূপ আপত্তি উত্থাপন করে। এবং এর উপর ভিত্তি করেই কিয়ামত পর্যন্ত নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালত বাকি থাকাকে অস্বীকার করে।</div>
<div style="color: #444444;">
তখন যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ইমাম আহমদ ইবনে হুসাইন আল-বাইহাকী রাহ. (মৃত্যু ৪৫৮ হি.) তার মত খণ্ডন করে ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ নামে একটি কিতাব রচনা করেন। এতে তিনি নবীদের কবরে জীবিত থাকা বিষয়ক আকীদার দলিল-প্রমাণ তুলে ধরেন।</div>
<div style="color: #444444;">
★ মাকামে হায়াত; পৃ., ৫৪।</div>
<div style="color: #444444;">
<br /></div>
<div style="color: #444444;">
❑ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ্'র ইমামগনের আকিদাঃ</div>
<div style="color: #444444;">
<br /></div>
<div style="color: #444444;">
আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ্'র আকীদা হল, মৃত্যুর পর সকল নবীদের কবরে পুনরায় বিশেষ জীবন দান করা হয়েছে। </div>
<div style="color: #444444;">
<br /></div>
<div style="color: #444444;">
</div>
® ইমাম বাইহাকী রাহ. তাঁর ‘আল ই‘তিকাদ’ গ্রন্থে বলেন-<br />
<br />
والأنبياء عليهم الصلاة والسلام بعدما قبضوا ردت إليهم أرواحهم، فهم أحياء عند ربهم كالشهداء.<br />
<br />
“সকল নবীর রূহ কবজ করার পর তা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা শহীদদের ন্যায় তাদের রবের কাছে জীবিত”।<br />
★ আল ইতিকাদ পৃ.৪১৫ দারুল ফযীলাহ রিয়াদ;<br />
★ আত-তালখীছুল হাবীর ২/২৫৪;<br />
★ আল বাদরুল মুনীর ৫/২৯২<br />
<br />® হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. বলেন,<br />
<br />
وقد تمسك به من أنكر الحياة في القبر، وأجيب عن أهل السنة المثبتين لذلك بأن المراد نفي الموت اللازم من الذي أثبته عمر بقوله: "وليبعثه الله في الدنيا ليقطع أيدي القائلين بموته" وليس فيه تعرض لما يقع في البرزخ، وأحسن من هذا الجواب أن يقال: إن حياته صلى الله عليه وسلم في القبر لا يعقبها موت بل يستمر حيا، والأنبياء أحياء في قبورهم، ولعل هذا هو الحكمة في تعريف الموتتين حيث قال :لا يذيقك الله الموتتين أي المعروفتين المشهورتين الواقعتين لكل أحد غير الأنبياء. (فتح الباري، باب لو كنت متخذا خليلا لتخذت أبا بكر خليلا)<br />
<br />
“যারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবরে জীবিত থাকাকে অস্বীকার করে তারা হযরত আবু বকর রা.-এর এ বক্তব্য দিয়ে দলিল পেশ করতে চায়-‘আল্লাহ আপনাকে দুইবার মৃত্যু দিবেন না’। আর আহলুস সুন্নাহ- যারা নবীর কবরে জীবিত থাকায় বিশ্বাস রাখেন, এদের পক্ষ থেকে এর জবাব দেয়া হয়েছে যে, হযরত আবু বকর রা.-এর বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল উমর রা.-এর ভুল ধারণার খণ্ডন করা। উমর রা. বলেছিলেন, ‘আল্লাহ তাআলা নবীজীকে আবার দুনিয়াতে জীবিত করবেন ...’। এ কথার মধ্যে বারযাখে কী হবে এ বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। অবশ্য হযরত আবু বকর রা.-এর এ কথার সর্বোত্তম ব্যাখ্যা হল, কবরে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে জীবন পেয়েছেন তারপর আর কোনো মৃত্যু আসবে না। বরং তিনি বরাবরই কবরে জীবিত থাকবেন, আর নবীগণ কবরে জীবিত। ...।”<br />
★ ফাতহুল বারী, আবু বকরের ফযীলত অধ্যায় ৭/৩৩<br />
<br />® শাইখুল ইসলাম ইবনে হাজার এ বক্তব্যে স্পষ্টই বলেছেন, আহলুস-সুন্নাহর বিশ্বাস হল, নবীগণ কবরে জীবিত।<br />
</b><br />
<br />
<span style="color: #660000;"><b>হাফেজ সাখাবী রাহ. বলেন, হায়াতুল আম্বিয়া বিষয়ের উপর পুরো উম্মতের ইজমা রয়েছে। হাফেজ ইবনে হাজার মাক্কী আল-হাইতামী রাহ.ও তাই বলেছেন। </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>★ আল-কাওলুল বাদী পৃ. ৩৪৯; </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>★ আল-ফাতাওয়াল কুবরা লিল হাইতামী ২/১৩৫, হজ্ব অধ্যায়; </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>★ হিদায়াতুল হায়ারান; </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>★ মাযাহেরে হক্ব; </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>★ আনওয়ারে মাহমূদ।</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b></b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>® শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াঃ</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>১. </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>ইবনে তাইমিয়া বলেন-</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>فلا تتخذوا القبور مساجد، فإني أنهاكم عن ذلك. فهذه نصوصه الصريحة توجب تحريم اتخاذ قبورهم مساجد، مع أنهم مدفونون فيها، وهم أحياء في قبورهم، ويستحب إتيان قبورهم للسلام عليهم.</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>“...এ ধরনের হাদীসের সুস্পষ্ট উক্তি দ্বারা নবীদের কবরকে মসজিদ বানানো হারাম সাব্যস্ত হয়। তবে এ কথা সত্য যে, তারা তাতে সমাহিত আছেন এবং তাঁরা তাঁদের কবরে জীবিত। তাদের কবরে সালাম দেওয়ার জন্য উপস্থিত হওয়া মুস্তাহাব ”। </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>★ মাজমুউল ফাতাওয়া, ২৭/৫০২</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>২. </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>তিনি বলেন, “নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- “নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীগণের দেহকে গ্রাস করা হারাম করে দিয়েছেন’। এ হাদীসে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিনি নিকটবর্তী ব্যক্তির কাছ থেকে সালাত ও সালাম শুনেন, আর দূরবর্তী ব্যক্তিদের কাছ থেকে তাঁর কাছে সালাত ও সালাম পৌঁছে। </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>★ মাজমুউল ফাতাওয়া ২৬/১৪৭,<b></b></b></span><br />
<div style="display: inline !important;">
<span style="color: #660000;"><b><b> ৪/২৯৬; </b></b></span></div>
<br />
<span style="color: #660000;"><b><b></b></b></span><br />
<div style="display: inline !important;">
<span style="color: #660000;"><b><b>★ আর-রাদ আলাল আখনাঈ পৃ. ১৩১; </b></b></span></div>
<br />
<span style="color: #660000;"><b><b></b></b></span><br />
<div style="display: inline !important;">
<span style="color: #660000;"><b><b>★ জামিউ মাসাইলি ইবনে তাইমিয়া, ইশরাফ, বকর আবু যায়েদ ৩/১০৬ ৪/১৯১</b></b></span></div>
<br />
<span style="color: #660000;"><b><b></b></b></span><br />
<div style="display: inline !important;">
<span style="color: #660000;"><b><b><br /></b></b></span></div>
<br />
<span style="color: #660000;"><b>৩. </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>শায়খ আব্দুল্লাহ বিন ছালেহ বিন আব্দিল আযীয হায়াতুল আম্বিয়া বিষয়ে ইবনে তাইমিয়া-এর আক্বীদার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, “নবীগণ কবরে জীবিত। তাদের জীবন শহীদদের জীবনের চেয়ে আরো পরিপূর্ণ। -সূরা বাকারা ১৫৪, সূরা আলে ইমরান ১৬৯</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>ইবনে তাইমিয়া -এর উপর অপবাদ আরোপকারীদের এ কথা যে, তিনি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’য় বিশ্বাস করেন না- একেবারেই মিথ্যা। বরং তিনি নবীদের কবরে জীবিত থাকার বিষয় সুস্পষ্টভাবে বলেছেন। ...হায়াতুল আম্বিয়ার দলিল হল নবীজীর হাদীস- ‘নবীরা কবরে জীবিত’।... </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>★ দা‘আবিল মুনাবীন লিশাইখিল ইসলাম পৃ.২৯৪ </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<br />
<span style="color: #660000;"><b>® ইবনুল কাইয়্যুমঃ</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>তিনি উদ্ধৃত করেন, “মৃত্যুর পর শহীদগণ তাঁদের রবের কাছে জীবিত এবং রিযিকপ্রাপ্ত ও আনন্দিত। এটি দুনিয়ায় জীবিত মানুষেরর বৈশিষ্ট্য। শহীদদের অবস্থাই যেহেতু এমন তো নবীগণ তো এর আরো বেশি হকদার। পাশাপাশি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ সূত্রে প্রমাণিত যে, মাটি নবীদের দেহ খায় না। ... অনুরূপ বর্ণনাগুলোর সারকথা হল, এটা নিশ্চিত যে, নবীগণের মৃত্যুর অর্থ তাঁদেরকে আমাদের থেকে এমনভাবে আড়াল করে নেওয়া হয়েছে যে, আমরা অনুধাবন করতে পারি না, যদিও তারা বিদ্যমান (জীবিত)। যেমন ফেরেশতাগণ জীবিত কিন্তু তুমি তাদেরকে দেখতে পাবে না।”। </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>★ কিতাবুর রূহ পৃ. ৩৬, ৪৪</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>★ জালাউল আফহাম</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>® ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী রাহ.</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>ওয়াকী ইবনুল র্জারাহ-এর জীবনীতে প্রাসঙ্গিক আলোচনায় ইমাম যাহাবী রাহ. বলেন, “সাধারণ মৃতদের দেহ নষ্ট হয়ে যাওয়া, দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়া এবং মাটিতে মিশে যাওয়ার মত নবীদের দেহেও তাই ঘটে এমন বিশ্বাস রাখা নিষেধ। বরং এক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্ত উম্মত থেকে ভিন্ন। তাঁর দেহ পঁচবেও না, মাটিতেও খাবে না এবং শরীরের ঘ্রাণও পরিবর্তন হবে না। বরং তিনি এখনো এবং সব সময়ই মিশক থেকে বেশি সুগন্ধিপূর্ণ। তিনি তাঁর কবরে জীবিত; বারযাখে তাঁর প্রাপ্য জীবনই তিনি পেয়েছেন যা সমস্ত নবীগণের চেয়েও পূর্ণাঙ্গতম। আর নবীদের হায়াত নিঃসন্দেহে শহীদদের হায়াতের চেয়ে পূর্ণাঙ্গতর ও উন্নততর যা কুরআনে স্পষ্ট উক্তিতেই বলা হয়েছে- “শহীদগণ রবের কাছে জীবিত ও রিযিকপ্রাপ্ত”। (আলে ইমরান : ১৬৯) বর্তমানে আলমে বরযাখে তাঁদের (নবীদের) জীবন সত্য। কিন্তু তা সবদিক থেকে দুনিয়ার জীবনের মত নয়, আবার জান্নাতের জীবনের মতও নয়। বরং আসহাবে কাহফের জীবনের সাথে তাঁদের জীবনের কিছুটা মিল পাওয়া যায় ”। </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>★ (সিয়ারু আলামিন নুবালা ৮/৯৯)</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<br />
<span style="color: #660000;"><b>® আল্লামা ইবনে কাসীর রাহ.</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>ইমাম ইবনে কাসীর রাহ. বলেন,  “মৃতদের শ্রবণ বিষয়ে ইবনে উমর রা.-এর বর্ণনাই উলামাদের নিকট সহীহ। এর অনেক সমর্থক বর্ণনাও রয়েছে। আবার এর সহীহ হওয়ার অনেক দিকও রয়েছে।... পূর্ববর্তী সালাফের সকলেই মৃতদের শুনতে পাওয়ার বিষয়ে একমত। আর এ বিষয়ে সালাফ থেকে মুতাওয়াতির (অসংখ্য সূত্র বিশিষ্ট) বর্ণনা রয়েছে যে, মৃতব্যক্তি কবর যিয়ারতকারীকে চিনতে পারে এবং তাতে আনন্দিত হয়।... ” </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>★ সূরা রূম আয়াত : ৫২-এর অধীনে তফসীরে ইবনে কাসীর</b></span><br />
<br />
<span style="color: #660000;"><b>® ইবনুল কাইয়্যুমঃ</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>ইবনুল কায়্যিম বলেন, “আর আপনি কবরবাসীদেরকে শুনাতে পারবেন না” এ আয়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করাও ঠিক নয়। কারণ, উপস্থাপন ভঙ্গি থেকে আয়াতের এ অর্থ বুঝা যায় যে, কাফিরদের অন্তঃকরণ মৃত, আপনি তাদেরকে এমনভাবে শোনাতে পারবেন না যে, তারা এই শ্রবণের দ্বারা উপকৃত হবে। যেমন আপনি কবরবাসীকে এমনভাবে শোনাতে সক্ষম না, যেভাবে শোনালে তারা উপকৃত হয়। এর দ্বারা আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্য এটা নয় যে, কবরবাসী কিছুই শুনতে পায় না। এটা কী করে হয়, অথচ</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b> (১) নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, মৃতব্যক্তি তাকে কবরস্থকারীদের (প্রস্থানকালে) জুতার আওয়াজ শুনতে পায়।</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b> (২) এবং এও বলেছেন যে, বদরের নিহত কাফেররা তাঁর কথা ও সম্বোধন শুনেছে। </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b> (৩) তাছাড়া তিনি মৃতব্যক্তিদের সালামের ক্ষেত্রে সম্বোধন পদ ব্যবহার করেছেন, যা এমন উপস্থিত ব্যক্তিকেই করা যেতে পারে, যে শুনতে পায়। এবং তিনি কবরে সালাম দেওয়াকে সুন্নত সাব্যস্ত করেছেন।</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b> (৪) এ কথাও বলেছেন যে, যে মুমিন তাদেরকে সালাম করে, তারা তার সালামের জবাব দেয়।</b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #660000;"><b>...প্রকৃতপক্ষে আয়াতের অর্থ হল: “আল্লাহ তাআলা যাদের শোনাতে চান না আপনি তাদের শোনাতে পারবেন না। (আপনার কথা শুনেও ওরা না শুনার মতই কোন উপকার পাবে না) আপনি তো শুধু সতর্ককারী। আপনাকে ভীতি প্রদর্শনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এবং আপনি সে সম্পর্কেই জিজ্ঞাসিত হবেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলা যাদেরকে শোনাতে চান না, তাদের ব্যাপারে আপনাকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি।  </b></span><br />
<span style="color: #660000;"><b>★ কিতাবুর রূহ, বাংলা অনুবাদ, এমদাদিয়া লাইব্রেরী ২য় প্রকাশ ২০০১ইং পৃ. ৭২-৭৩; মূল আরবী পৃ. ৪৬</b></span><br />
<br />
<br />
<br />
<br /></div>
</div>

নবীগন ইন্তেকালের পরও জীবিত থাকেনঃ

সহিহ হাদিস থেকেঃ 1→ হযরত আনাস রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, الأَنْبِيَاءُ أَحْيَ...

নভেম্বর ২৯, ২০১৫

স্বপ্নে দাত দেখলে কি হয়? ইমাম ইবনে সীরীন (রহঃ) এর ব্যাখ্যাঃ

স্বপ্নে দাত দেখলে কি হয়? ইমাম ইবনে সীরীন (রহঃ) এর ব্যাখ্যাঃ

নভেম্বর ২৮, ২০১৫

নামাযে পুরুষদের বুকে হাত বাঁধার দলিলের অবস্থাঃ (পর্ব ২)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="color: #cc0000;"><b><i><u>নামাযে যিরার উপর যিরা রাখাঃ</u></i></b></span><br />
<span style="color: #cc0000;"><b><i><u><br /></u></i></b></span>
<span style="color: #444444;"><b><i>আরবীতে  হাতের আঙুলের মাথা থেকেই কনুই পর্যন্ত অংশকে ‘যিরা’ বলে। সম্প্রতি কিছু  মানুষ যিরার উপর যিরা রাখাকে সুন্নাহ মনে করেন এবং ডান হাতের পাতা বাম  হাতের পাতা, কব্জি ও যিরার উপর না রেখে ডান হাতের যিরা বাম হাতের যিরার উপর  রাখেন। হাত বাঁধার ক্ষেত্রে এটাও একটা বিভ্রান্তি ও বিচ্ছিন্নতা।</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i><br /></i></b></span>
<span style="color: #444444;"><b><i></i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>নীচে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হল। </i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>প্রথম হাদীস : সাহল ইবনে সাদ রা. থেকে বর্ণিত, ‘লোকদেরকে আদেশ করা হত, পুরুষ যেন তার ডান হাত বাম যিরার উপর রাখে।’</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>হাদীসটির আরবী পাঠ এই-</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>كان الناس يؤمرون أن يضع الرجل اليد اليمنى على ذراعه اليسرى في الصلاة. قال أبو حازم : لا أعلمه إلا ينمى ذلك إلى النبي صلى الله عليه وسلم.</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>-মুয়াত্তা মালিক পৃ. ৫৫ ; সহীহ বুখারী ১/১০৪</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>এই হাদীসে যিরার উপর যিরা রাখার কথা নেই। বাম যিরার উপর ডান হাত রাখার কথা আছে। </i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>দ্বিতীয় হাদীস : ওয়াইল ইবনে হুজর রা. থেকে বর্ণিত হাদীসের একটি পাঠ। তাতে আছে, ‘(আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর ডান হাত বাম হাতের পাতা, কব্জি ও যিরার উপর রাখলেন।’ </i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>রেওয়ায়েতটির আরবী পাঠ এই-</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>ثم وضع يده اليمنى على ظهر كفه اليسرى والرسغ والساعد</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>-মুসনাদে আহমদ ৩১/১৬০, হাদীস : ১৮৮৭০; সুনানে আবু দাউদ ১/৪৮৩, হাদীস : ৭২৭</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>এই বর্ণনাতেও বলা হয়নি ডান যিরা রেখেছেন। বলা হয়েছে, ডান হাত রেখেছেন। ।</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i><br /></i></b></span>
<br />
<span style="color: #444444;"><b><i>উল্লেখিত পাঠটি কি ওয়াইল ইবনে হুজর রা.-এর হাদীসের মূল পাঠ </i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>ওয়াইল  ইবনে হুজর রা. আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে  নামায পড়েছেন এবং যেভাবে তাঁকে নামায পড়তে দেখেছেন তা বর্ণনা করেছেন।  তাঁর এই বিবরণ বেশ কয়েকজন রাবীর সূত্রে পাওয়া যায়। যেমন : ১. আলকামা  ইবনে ওয়াইল ২. আবদুল জাববার ইবনে ওয়াইল। (এরা দু’জন ওয়াইল ইবনে হুজর  রা.-এর পুত্র। আবদুল জাববার ইবনে ওয়াইল তার বড় ভাই আলকামা ইবনে ওয়াইল  রাহ. থেকেই পিতার বিবরণ গ্রহণ করেছেন। দেখুন : সহীহ মুসলিম ফাতহুল মুলহিম  ২/৩৯) ৩. হুজর ইবনুল আম্বাস, ৪. কুলাইব ইবনে শিহাব, প্রমুখ। শেষোক্ত কুলাইব  ইবনে শিহাব রাহ.-এর বর্ণনাই আমাদের আলোচ্য বিষয়। </i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>কুলাইব ইবনে  শিহাব থেকে বর্ণনা করেছেন তার পুত্র আসিম ইবনে কুলাইব রাহ.। আসিম ইবনে  কুলাইব রাহ. থেকে অনেক রাবী এই হাদীস বর্ণনা করেছেন। যেমন ঃ</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>6"</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>শো’বা ইবনুল হাজ্জাজ </i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>বিশর ইনুল মুফাদ্দাল</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>কায়স ইবনুর রাবী</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>আবদুল ওয়াহিদ ইবনে যিয়াদ </i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>খালিদ ইবনু আবদিল্লাহ </i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>আবু ইসহাক</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>আবুল আহওয়াস</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>আবদুল্লাহ ইবনে ইদরীস</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>মুসা ইবনে আবী আয়েশা</i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>আবু আওয়ানা ও </i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>যাইদা ইবনে কুদামা প্রমুখ। </i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>শেষোক্ত  রাবী যাইদা ইবনে কুদামা-এর বর্ণনার পাঠ সকলের চেয়ে আলাদা। এ কারণে তার  পাঠকে আসিম ইবনে কুলাইবের বর্ণনার মূল পাঠ সাব্যস্ত করা যুক্তিসঙ্গত নয়। </i></b></span><br />
<span style="color: #444444;"><b><i>এই সকল বর্ণনা সামনে রাখলে প্রতীয়মান হয়য, ওয়াইল ইবনে হুজর রা.-এর হাদীস থেকে যিরার উপর যিরার নিয়ম গ্রহণ করার অবকাশ নেই। </i></b></span><br />
<br />
</div>

নামাযে পুরুষদের বুকে হাত বাঁধার দলিলের অবস্থাঃ (পর্ব ২)

নামাযে যিরার উপর যিরা রাখাঃ আরবীতে হাতের আঙুলের মাথা থেকেই কনুই পর্যন্ত অংশকে ‘যিরা’ বলে। সম্প্রতি কিছু মানুষ যিরার উপর যিরা রাখাকে সুন...

নভেম্বর ২৮, ২০১৫

বিভিন্ন শতাব্দীর মুহাদ্দিস, মুফাসসির, মুজাদ্দিদ ও অতীত আলেমগণের যুগে যুগে ঈদে মিলাদুন্নী (ﷺ) উদযাপন।

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div dir="ltr" id="docs-internal-guid-145a5b30-7fff-67c1-72ac-9204dc144e3a" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিভিন্ন শতাব্দীর মুহাদ্দিস, মুফাসসির, মুজাদ্দিদ ও অতীত আলেমগণের যুগে যুগে ঈদে মিলাদুন্নী (ﷺ) উদযাপন।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">🖋সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম হযরত হাসান বসরী (رحمة الله) [২১-১১০ হিঃ]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম হযরত হাসান বসরী (رحمة الله) [২১-১১০ হিঃ]</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[বিশিষ্ট তাবিয়ী, যিনি শতাধিক সাহাবায়ে কিরাম (রা) গণের সাক্ষাত লাভ করেছিলেন] তিনি বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال الحسن البصرى رحمة الله عليه وَدِدْتُّ لَوْ كَانَ لِىْ مِثْلُ جَبَلِ اُحُدٍ ذَهْبًا فَاَنْفَقْتُهٗ عَلٰى قِرَاءَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: ‘আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকতো তাহলে তা পবিত্র মীলাদুন্নবী (ﷺ) উপলক্ষে ব্যয় করতাম।’সুবহানাল্লাহ!</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ৮ পৃষ্ঠা]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) [১৫০-২০৪ হিঃ]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশ্ব বিখ্যাত ফকীহ ইমাম তাহাবী (رحمة الله) ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) এর কওল নকল করে লিখেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">إن أفضل الليالي ليلة مولده صلى الله عليه وسلم ثم ليلة القدر-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-‘‘নিশ্চয়ই ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম রাত হলো ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত্রি বা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর শুভাগমনের রাত্র (১২ই রবিউল আউয়াল) তারপর হলো শবে-ই-কদরের রাত্রি।’’</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● আল্লামা শায়খ ইউসূফ নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৪২৬ পৃ : মারকাযে আহলে সুন্নাহ বি বারকাতে রেযা, গুজরাট হতে প্রকাশিত।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) [১৫০-২০৪ হিঃ]</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> আরও বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قَالَ اَلاِمَامُ الشَّافِعِىُّ رَحِمَهُ اللهُ مَنْ جَمَعَ لِمَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ اِخْوَانًا وَهَيَّاَ طَعَامًا وَاَخْلٰى مَكَانًا وَعَمَلَ اِحْسَانًا وَصَارَ سَبَبًا لِقِرَائَتِهٖ بَعَثَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ الصِّدِّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِيْنَ وَيَكُوْنُ فِىْ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ.</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: ‘যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন উপলক্ষে :</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- লোকজন একত্রিত করলো, </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- খানাপিনার ব্যবস্থা করলো,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- এ জন্য উত্তমভাবে তথা সুন্নাহ ভিত্তিক আমল করলো </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক হাশরের দিন ছিদ্দীক্ব, শহীদ ছলিহীনগণের সাথে উঠাবেন এবং উনার ঠিকানা হবে জান্নাতে নায়ীমে।’ সুবহানাল্লাহ!</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ১০ পৃষ্ঠা]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হযরত জুনাইদ বাগদাদী (رحمة الله) [২২০-২৯৭ হিঃ]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত জুনাইদ বাগদাদী (رحمة الله) [২২০-২৯৭ হিঃ] বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال جنيد البغدادى رحمة الله عليه مَنْ حَضَرَ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَظَّمَ قَدَرَهٗ فَقَدْ فَازَ بِالاِيْمَانِ.</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদুন্নবী (ﷺ) এর আয়োজনে উপস্থিত হবে এবং উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করবে সে বেহেশ্তী হবে।” সুবহানাল্লাহ!</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ৮ পৃষ্ঠা]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম আবু জাফর আহমদ ইবনে মুহাম্মদ তাহাবী (رحمة الله) [২২৯- ৩২১ হিজরী]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম তাহাবী (رحمة الله) (২২৯- ৩২১ হিজরী) তিনি বলেছেন, </span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ونقل الطحاوي عليه الرحمة في حواشي المختار عن بعض الشافعية أن أفضل الليالي ليلة مولده عليه الصلاة والسلام ثم ليلة القدر ثم ليلة الإسراء والمعراج ثم ليلة عرفة ثم ليلة الجمعة ثم ليلة النصف من شعبان ثم ليلة العيد</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: রাত সমূহের মধ্যে উত্তম রাত হচ্ছেঃ </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- পবিত্র মীলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- অতঃপর লাইলাতুল কদরের রাত,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- অতঃপর মিরাজ শরীফের রাত, </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- অতঃপর আরাফার রাত, </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- অতঃপর জুমুয়ার রাত, </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- অতঃপর ১৫ শাবানের রাত, </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- অতঃপর ঈদের রাত।”</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৯/ ১৯৪, সূরা ক্বদরের তাফসীরে।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম হযরত ইমাম মারূফ কারখী (رحمة الله) [৭৫০-৮১৫ ইং]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম মারূফ কারখী (رحمة الله) [৭৫০-৮১৫ ইং] বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال المعروف الكرخى رحمة الله عليه مَنْ هَيَّأَ طَعَامًا لاَجْلِ قِرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَمَعَ اِخْوَانًا وَاَوْقَدَ سِرَاجًا وَلبِسَ جَدِيْدًا وَتَبَخَّرَ وَتَعَطَّرَ تَعْظِيْمًا لِمَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَشَرَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ الْفِرْقَةِ الاُوْلٰى مِنَ النَّبِيّنَ وَكَانَ فِىْ اَعْلٰى عِلِّيِّيْن.</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: “যে ব্যক্তি পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (ﷺ) উপলক্ষে খাদ্যের আয়োজন করে, অতঃপর লোকজনকে জমা করে, মজলিসে আলোর ব্যবস্থা করে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নতুন পোশাক পরিধান করে, সুঘ্রাণ ও সুগন্ধি ব্যবহার করে, আল্লাহ পাক তাকে নবী আলাইহিমুস সালামগণের প্রথম কাতারে হাশর করাবেন এবং সে জান্নাতের সুউচ্চ মাক্বামে অধিষ্ঠিত হবেন।” সুবহানাল্লাহ্!</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ৮ পৃষ্ঠা]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হযরত ইমাম সাররী সাকতী (رحمة الله) [ওফাতঃ ৮৬৭ ইং]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত ইমাম সাররী সাকতী (رحمة الله) [ওফাতঃ ৮৬৭ ইং] বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال السر سقتى رحمة الله عليه مَنْ قَصَدَ مَوْضعًا يُقْرَأُ فِيْهِ مَوْلِِدُ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ قَصَدَ رَوْضَةً مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ لاَنَّهٗ مَا قَصَدَ ذٰلِكَ الْمَوْضعَ اِلا لِمُحَبَّةِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন করার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করলো সে যেন নিজের জন্য জান্নাতে একটি বাগান নির্দিষ্ট করলো। কেননা সে তা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক (ﷺ) উনার মুহব্বতের জন্যই করেছে। আর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি আমাকে ভালবাসবে সে আমার সাথেই জান্নাতে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ্!</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ১০ পৃষ্ঠা]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি (رحمة الله) [১১৫০-১২১০ ইং]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি (رحمة الله) [১১৫০-১২১০ ইং] বলেন-</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">مَا مِنْ شَخْصٍ قَرَاَ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مِلْحٍ اَوْ بُرٍّ اَوْشَىء اٰخَرَ مِنَ الْمَأكُوْلاتِ اِلا ظَهَرَتْ فِيْهِ الْبَركَةُ فِىْ كُلِّ شَىء. وَصَلَ اِِلَيْهِ مِنْ ذٰلِكَ الْمَأكُوْلِ فَاِنَّهٗ يَضْطَرِبُ وَلا يَسْتَقِرُّ حَتى يَغْفِرَ اللهُ لاٰكِلِهٖ.</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদুন নবী (ﷺ) উদযাপন করে লবণ, গম বা অন্য কোন খাদ্য দ্রব্যের উপর ফুঁক দেয়, তাহলে এই খাদ্য দ্রব্যে অবশ্যই বরকত প্রকাশ পাবে। এভাবে যে কোন কিছুর উপরই পাঠ করুক না কেন, তাতে বরকত হবেই। উক্ত খাদ্য-দ্রব্য মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপনকারীর জন্য আল্লাহ পাকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি তাকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সে ক্ষান্ত হয় না।” সুবহানাল্লাহ!</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ৯ পৃষ্ঠা]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম নাসিরুদ্দীন মোবারক ইবনে বাতাহ (رحمة الله):</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪র্থ যুগের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমামুল আল্লামাহ নাসিরুদ্দীন মোবারক ইবনে বাতাহ (رحمة الله) পবিত্র মিলাদ সম্পর্কে নিজ ফতোয়ায় লিখেন,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মহানবী (ﷺ) ওনা জন্ম রাতে কোন ব্যক্তি কিছু অর্থকরি ব্যয় করলে এবং জনগনকে সমবেত করে তাদেরকে পানাহার করালে বা রাসূল (ﷺ) ওনার জন্ম সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস সমূহ এবং অলোকিক ঘটনা শুনালে তা যদি সব রাসূল (ﷺ) ওনার জন্মের প্রতি আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করার জন্য হয়ে থাকে তাহলে শরীয়ত মতে তা জায়েজ আর এসব কাজের জন্য সংশ্লীষ্ঠ কর্তাকে ছওয়াব প্রদান করা হয়,যদি তার উদ্দেশ্য ভাল হয়।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● আদ-দুররুল মুনাজ্জম ফী আমলে ওয়া হুকমে মাওলিদুন নাবীয়্যিল আযম-পৃষ্ঠা-নং-১৯৭-১৯৮।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ মুহাদ্দিস ইমাম ইবনুল জাওযী (رحمة الله) [ওফাত. ৫৯৭ হি.]</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لا زال أهل الحرمين الشريفين والمصر واليمن والشام وسائر بلاد العرب من المشرق والمغرب يحتفلون بمجلس مولد النبى صلى الله عليه وسلم ويفرحون بقدومه هلال شهر ربيع الأول و يهتمون اهتماما بليغا على السماع والقراءة لمولد النبى صلى الله عليه وسلم وينالون بذلك أجرا جزيلا وفوزا عظيما-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“মক্কা, মদীনা, ইয়ামন, শাম ও তামাম ইসলামী বিশ্বের পূর্ব ও পশ্চিমবাসীরা সবসময় হুজুর (ﷺ) এর বেলাদাত শরীফের ঘটনায় মীলাদ মাহফিল আয়োজন করত। তারা রবিউল আউয়াল মাসের নতুন চাঁদ উদিত হলে খুশি হয়ে যেত এবং হুজুরের মিলাদ শুনা ব্যাপারে ও পড়ার সীমাহীন গুরুত্বারোপ করত। আর মুসলমানগণ এসব মাহফিল কায়েম করে পরিপূর্ণ প্রতিদান ও আধ্যত্মিক কামিয়াবী হাছিল করত।”</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ইমাম যওজীঃ তার লিখিত বয়ানুল মিলাদুন্নবী- ৫৮ পৃ.]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম ইবনুজ জাওযী (رحمة الله) বলেন-</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"যে কাফের আবু লাহাবের বিরোদ্ধে আল-কুরআন নাজিল হয়েছে এবং যার জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত, সে আবু লাহাবও যদি হুজুর (ﷺ) এর মিলাদুন্নবী উপলক্ষে খুশি হওয়াতে সুফল পায়, তাহলে তাঁর উম্মতের মধ্যে যে একত্ববাদী মুসলমান এবং তাঁর মিলাদুন্নবীতে (ﷺ) আনন্দিত হয় তাঁর মহব্বতে যথাসাধ্য দান করে,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তার অবস্থা কী হবে? আমি কসম করে বলছি যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ হতে তার বিনিময় এ হবে যে, তিনি সর্বব্যাপী অনুগ্রহ দ্বারা তাকে জান্নাতুন নাঈমে প্রবেশ করাবেন।’</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইবনে জাওজীঃ বয়ানুল মিলাদুন্নবী</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম কুস্তালানীঃ মাওয়াহিবে লাদুনিয়া ১ম জিল্দ ২৭ পৃঃ,  </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম জুরকানীঃ জুরকানী ১ম জিল্দ ১৩৭ পৃঃ</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইবনে তাইমিয়া (৬৬১-৭২৮ হিঃ)</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ওহাবী-সালাফীদের মান্যবর ইমাম ইবনে তাইমিয়া (৬৬১-৭২৮ হিঃ) বলেন-</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فتعظيم المولد، واتخاذه موسمًا، قد يفعله بعض الناس، ويكون له فيه أجر عظيم لحسن قصده، وتعظيمه لرسول الله صلى الله عليه وسلم، كما قدمته لك أنه يحسن من بعض الناس، ما يستقبح من المؤمن المسدد.</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“আমি ইতোপূর্বে আলোচনা করছি যে মিলাদকে মানুষেরা মৌসুমীভাবে পালন করে তা’জিম করে থাকে, এতে তাদের অনেক সাওয়াব হবে। আর এটাও সুস্পষ্ট যে, কিছু লোক এটাকে হাসান মনে করে, কারণ সঠিক মু’মিন ব্যক্তি মন্দ কাজ করে না।”</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ইবনে তাইমিয়া, একতেদ্বাউল সিরাতাল মুস্তাকিম ২/১২৬ পৃ. দারুল আ‘লামুল কিতাব, বয়রুত, লেবানন]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম ইবন কাসির (رحمة الله) [৭০১-৭৭৪ হিঃ]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম ইবন কাসির (رحمة الله) [৭০১-৭৭৪ হিঃ] তার বিখ্যাত সীরাত গ্রন্থে লিখেন :</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইবলিশ শয়তান জীবনে ঠিক এই সময়টাতেই খুব বেশি কেঁদেছে বা আফসোস করেছে।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أن إبليس رن أربع رنات حين لعن وحين أهبط وحين ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم وحين أنزلت الفاتحة</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. আল্লাহ যখন তাকে অভিশপ্ত হিসেবে ঘোষণা দিলেন,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. যখন তাকে বেহেস্ত থেকে বিতাড়িত করা হল,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩. নূর নবীজীর (ﷺ) দুনিয়াতে আগমনের সময় এবং</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪. সূরা ফাতিহা নাযিল হবার সময়</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ ইবন কাসির, আল আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা - ১৬৬]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম ইবন কাসির (رحمة الله) [৭০১-৭৭৪ হিঃ] </span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিসে সুয়াইবাহ</span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"এমন জঘন্য কাফের যার দোষ বর্ণনায় (আল-কুরআনে) এসেছে যে, তার হাত ধ্বংস হয়েছে, তার স্থায়ী নিবাস চির জাহান্নাম। আহমদ (ﷺ) এর আবির্ভাবে খুশী হয়ে সর্বদা সোমবার আসলে তার (মত কাফির) থেকে (যদি) আজাব হালকা করা হয়, তবে কিরূপ ধারণা হতে পারে সে ব্যক্তির ব্যাপারে, যার জীবন আহমদ (ﷺ) বিষয়ে আনন্দিত ছিল এবং তাওহীদবাদী হয়ে ইন্তেকাল করেছেন?</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইবনে কাইয়্যুম (ওফাতঃ ৭৫১ হিঃ)</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ওহাবী-সালাফীদের মান্যবর ইমাম ইবনে কাইয়্যুম তার কিতাবে বলেন যে,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নবী করীম (ﷺ) ওনার মিলাদ মাহফিলে সুললিত কন্ঠস্বর শ্রবণ করা কিংবা ধর্মীয় বিষয় শ্রবণ করার মাধ্যমে অন্তরে প্রশান্তি লাভ হয়। কারণ নবী করীম (ﷺ) ওনার থেকে শ্রুতাকে নূর দেওয়া হয়ে থাকে।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● মাদারেকুছ ছালিকিন-৪৯৮ পৃ:</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম ইবনে হজর আসকালানী (رحمة الله)</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(৭৭৩-৮৫২ হিঃ)</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ফতহুল বারী শরহে বুখারী শরীফের মধ্যে এ মাসআলা নিয়ে বিশদ আলোচনা করে তিনি বলেনঃ</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ﻓﻴﺤﺘﻤﻞ ﺍﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻣﺎﻳﺘﻌﻠﻖ ﺑﺎﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﺨﺼﻮﺻﺎ ﻣﻦ ﺫﺍﻟﻚ ﺑﺪﻟﻴﻞ ﻗﺼﺔ ﺍﺑﻰ ﻃﺎﻟﺐ ﻛﻤﺎﺗﻘﺪﻡ ﺍﻧﻪ ﺧﻔﻒ ﻋﻨﻪ ০</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"যদিও কোন স্বপ্ন শরিয়তের দলিলরূপে গণ্য হয় না, কিন্তু এখানে হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) এর স্বপ্ন আবু লাহাবের আজাব লাঘব হওয়ার ব্যাপারে কেবলমাত্র নবী করিম (ﷺ) সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার দরুণ দলিলরূপে গণ্য হতে পারে। অন্য কারো স্বপ্ন শরিয়তের দলিলরূপে গণ্য হবে না। তারপর আবু তালেবের আজাব কম হওয়ার প্রসঙ্গ দলিলরূপে উল্লেখ করেছেন।"</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ইমাম আসকালানী: ফাতহুল বারী শরহে বুখারী, ৯ম খন্ড, ১৫৪ পৃ:]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম সুহাইলী (رحمة الله) লিখেন :</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত ইমাম সুহাইলী (رحمة الله) উল্লেখ করেন যে, হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, আবু লাহাবের মৃত্যুর এক বছর পর তাকে আমি স্বপ্নে দেখি যে, সে অত্যন্ত দুরবস্থায় রয়েছে ! সে বললো, [হে ভাই হযরত আব্বাস (رضي الله عنه)] আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পর আমি কোন শান্তির মুখ দেখি নাই। </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তবে হ্যাঁ, প্রতি সোমবার যখন আগমন করে তখন আমার থেকে সমস্ত আযাব লাঘব করা হয়, আমি শান্তিতে থাকি। হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) তিনি বলেন,আবু লাহাবের এ আযাব লাঘব হয়ে শান্তিতে থাকার কারন হচ্ছে, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক (ﷺ) এর বিলাদত শরীফ এর দিন ছিলো সোমবার ! সেই সোমবারে হাবীবুল্লাহ (ﷺ) এর বিলাদতের সুসংবাদ নিয়ে আবু লাহাবের বাঁদী সুয়াইবা (رضي الله عنه) তিনি আবু লাহাবকে খবরটি জানালেন তখন আবু লাহাব মিলাদুন্নবীর সংবাদ শুনে খুশি হয়ে হযরত সুয়াইবা (رضي الله عنه)-কে তৎক্ষণাৎ আযাদ করে দেয় !"</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী : ফতহুল বারী শরহে বুখারী ৯ম খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম বদরুদ্দিন আঈনীঃ ওমদাতুল কারী শরহে বুখারীঃ ২য় খন্ডের ২৯৯ পৃষ্ঠা।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম কাস্তালানী : মাওয়াহেবুল লাদুননিয়াহ ১ম খন্ড !</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম জুরকারীঃ জুরকানী শরহে মাওয়াহেব : ১ম খন্ড ২৬০ পৃষ্ঠা</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমামুল হাফেজ সাখাভী (رحمة الله) [৮৩১-৯০২ হিঃ]</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لا زال أهل الإسلام في سائر الأقطار والمدن الكبار يحتفلون في شهر مولده صلى الله عليه وسلم بعمل الولائم البديعة المشتملة</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“বিশ্বের চতুর্দিকে ও শহরগুলোতে হুজুর (ﷺ) এর জন্ম গ্রহণের মাসে মুসলমানরা বড় বড় আনন্দনুষ্ঠান করে থাকে।”</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[মোল্লা আলী ক্বারী, মাওয়ারিদুর রাবী, ইবনে সালেহ শামী, সবলুল হুদা ১/ ৩৬২ পৃ. ]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ূতী (رحمة الله) [৮৪৯-৯১১ হিঃ]</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عِنْدِي أَنَّ أَصْلَ عَمَلِ الْمَوْلِدِ الَّذِي هُوَ اجْتِمَاعُ النَّاسِ وَقِرَاءَةُ مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ وَرِوَايَةُ الْأَخْبَارِ الْوَارِدَةِ فِي مَبْدَأِ أَمْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا وَقَعَ فِي مَوْلِدِهِ مِنَ الْآيَاتِ، ثُمَّ يُمَدُّ لَهُمْ سِمَاطٌ يَأْكُلُونَهُ وَيَنْصَرِفُونَ مِنْ غَيْرِ زِيَادَةٍ عَلَى ذَلِكَ - هُوَ مِنَ الْبِدَعِ الْحَسَنَةِ الَّتِي يُثَابُ عَلَيْهَا صَاحِبُهَا لِمَا فِيهِ مِنْ تَعْظِيمِ قَدْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِظْهَارِ الْفَرَحِ وَالِاسْتِبْشَارِ بِمَوْلِدِهِ</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“আমার মতে মিলাদের জন্য সমাবেশ করা, তেলাওয়াতে কোরআন, হুজুর (ﷺ) এর পবিত্র জীবনের বিভিন্ন ঘটনাবলী এবং জন্ম গ্রহণকালীন গঠিত নানান আলামত সমূহের আলোচনা করা এমন বেদআতে হাছানার অন্তর্ভুক্ত; যে সব কাজের ছওয়াব দেয়া হয়। কেননা এতে হুজুর (ﷺ) এর তা’জিম, মোহাব্বত এবং তাঁর আগমনের খুশী জাহির করা হয়।”</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ইমাম সুয়ূতি, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ১/২২১পৃ.]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ূতী (رحمة الله) [৮৪৯-৯১১ হিঃ]</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قَالَ سُلْطَانُ الْعَارِفِيْنَ الْاِمَامُ جَلالُ الدِّيْنِ السُّيُوْطِىُّ قَدَّسَ اللهُ سِرَّهٗ وَنَوَّرَ ضَرِيْحَهُ فِىْ كِتَابِهِ الُمُسَمّٰى الْوَسَائِلِ فِىْ شَرْحِ الشَّمَائِلِ" مَا مِنْ بَيْتٍ اَوْ مَسْجِدٍ اَوْ مَحَلَّةٍ قُرِئَ فِيْهِ مَوْلِدُ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلا حَفَّتِ الْمَلٰئِكَةُ ذٰلِكَ الْبَيْتَ اَوِ الْمَسْجِدَ اَوِ الْمَحَلًّةَ صَلَّتِ الْمَلٰئِكَةُ عَلٰى اَهْلِ ذٰلِكَ الْمَكَانِ وَعَمَّهُمُ اللهُ تَعَالٰى بِالرَّحْمَةِ وَالرِّضْوَانِ واَمَّا الْمُطَوَقُّوْنَ بِالنُّوْرِ يَعْنِىْ جِبْرَائيلَ وَمِيْكَائِيْلَ وَاِسْرَافِيْلَ وَعَزْرَائِيْلَ عَلَيْهِمُ السَّلامُ فَاِنَّهُمْ يُصَلُّوْنَ عَلٰى مَنْ كَانَ سَبَبًا لِقَرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاِذَا مَاتَ هَوَّنَ اللهُ عَلَيْهِ جَوَابَ مُنْكِرٍ وَنَكِيْرٍ وَيَكُوْنُ فِىْ مَقْعَدِ صِدْقٍ عِنْدَ مَلِيْكٍ مُّقْتَدِرٍ.</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: “যে কোন ঘরে অথবা মসজিদে অথবা মহল্লায় পবিত্র মীলাদুন নবী (ﷺ) উদযাপন করা হয় সেখানে অবশ্যই আল্লাহ পাকের ফেরেশতাগণ বেষ্টন করে নেন। আর তারা সে স্থানের অধিবাসীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন। আর আল্লাহ পাক তাদেরকে [উক্ত লোকসকলকে] স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টির আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান ৪ ফেরেশতা অর্থাৎ হযরত জিবরায়ীল, মীকায়ীল, ইসরাফীল ও আযরায়ীল আলাইহিমুস সালামগণ মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপনকারীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন। যখন তারা [উদযাপনকারীগণ] ইনতিকাল করেন তখন আল্লাহ পাক তাদের জন্য মুনকার-নাকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর তাদের অবস্থান হয় আল্লাহ পাকের সন্নিধ্যে সিদ্দিকীনদের মাক্বামে।” সুবহানাল্লাহ্!</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ওয়াসিল ফি শরহে শামায়িল, আন নিয়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম ১০ পৃষ্ঠা]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম শিহাবুদ্দিন আল কাস্তালানী (رحمة الله) [৮৫১-৯২৩ হিঃ]</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন: ”যাদের অন্তর রোগ-ব্যাধি দ্বারা পূর্ণ, তাদের কষ্ট লাঘবের জন্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মীলাদের মাস (রবিউল আউয়ালের) প্রতিটি রাতকে যাঁরা উদযাপন করেন তাঁদের প্রতি আল্লাহতা’লা দয়াপরবশ হোন!” [আল-মাওয়া আল-লাদুন্নিয়া, ১ম খন্ড]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম শিহাবুদ্দিন আল কাস্তালানী (رحمة الله) [৮৫১-৯২৩ হিঃ]</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বর্ননা করেন,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আবু লাহাবের আযাদকৃত দাসী সুয়াইবাহ তাকে (হুযুর ﷺ)-কে দুধ পান করিয়েছেন। যাকে আবু লাহাব তখনই আযাদ করেছিলো তখন তিনি তাকে হুযুর (ﷺ) এর বেলাদত শরীফের শুভ সংবাদ শুনিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, একদা আবু লাহাবকে তার মৃত্যুর পর স্বপ্নে দেখা গিয়েছিলো। [হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) এক বছর পর স্বপ্ন দেখেছিলেন] তখন তাকে বলা হলো “তোমার কি অবস্থা?” সে বলল, দোজখেই আছি। তবে প্রতি সোমবার রাতে আমার শাস্তি কিছুটা শিথিল করা হয়; আর আমি আমার এ আঙ্গুল দুটির মধ্যে চুষে পানি পানের সুযোগ পাই। আর তখন সে তার আঙ্গুলের মাথা দিয়ে ইশারা করলো। আর বলল, আমার শাস্তির শিথিলতা এ জন্য যে, সুয়াইবা (رضي الله عنه) যখন আমাকে নবী (ﷺ) এর বেলাদতের সুসংবাদ দিয়েছিলো, তখন তাকে আমি আযাদ করে দিয়েছিলাম এবং তিনি হুযুর (ﷺ) কে দুগ্ধপান করিয়েছেন।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম শিহাবুদ্দিন আল কাস্তালানী (رحمة الله) [৮৫১-৯২৩ হিঃ]</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> আরো বলেন-</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এতদভিত্তিতে, আল্লামা মুহাদ্দিস ইমাম ইবনে জাযরী (رحمة الله) বলেন, যখন ঐ আবু লাহাব কাফির, যার তিরস্কারে কোরআনের সূরা নাযিল হয়েছে। মিলাদুন্নবী (ﷺ) এ আনন্দ প্রকাশের কারণে জাহান্নামে পুরস্কৃত হয়েছে। এখন উম্মতে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ঐ একত্ববাদী মুসলমানের কি অবস্থা? যে নবী করীম (ﷺ) এর বেলাদতে খুশি হয় এবং হুযুর (ﷺ) এর ভালবাসায় তার সাধ্যনুযায়ী খরচ করে। তিনি জবাবে বলেন- আমার জীবনের শপথ! নিশ্চয়ই পরম করুণাময় আল্লাহ তাকে আপন ব্যাপক করুণায় নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম কুস্তালানীঃ মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়াঃ হুযুর (ﷺ) এর "দুগ্ধপান শীর্ষক অধ্যায়"।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● জুরকানী শরীফ ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং- ২৫৮-২৬২</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম শিহাবুদ্দিন কাস্তালানী (رحمة الله) [৮৫১-৯২৩ হিঃ]</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> লিখেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ولا زال أهل الاسلام يحتفلون بشهر مولوده صلى الله عليه وسلم ويعملون الولائم ويتصد قون فى لياليه بانواع الصدقات ويظهرون السرور ويزيدون فى المبرات ويعتنون بقرأة مولده الكريم ويظهر عليهم من بركاته كل فضل عميم –</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-‘‘প্রতিটি যুগে মুসলমানগণ নবী করীম (ﷺ) এর বেলাদাত শরীফের মাসে মীলাদ মাহফিলের আয়োজন করে আসছে, উন্নত মানের খাবারের আয়োজন করেন, এর রাতগুলোতে বিভিন্ন ধরণের সাদক্বাহ খায়রাত করেন, আনন্দ প্রকাশ করতে থাকেন, পুন্যময় কাজ বেশি পরিমাণে করার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আসেন। ফলে আল্লাহর অসংখ্য বরকত ও ব্যাপক অনুগ্রহ প্রকাশ পায়।’’</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আল্লামা ইমাম যুরকানী : শরহুল মাওয়াহেব : ১ম খন্ড : ২৬২ পৃষ্ঠা]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম শিহাবুদ্দিন আল কাস্তালানী (رحمة الله) [৮৫১-৯২৩ হিঃ]</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন :</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">احدها ان ليلة  المولود ليلة ظهو ره صلى الله عليه وسلم وليلة القدر معطاة له وما شرف بظهور ذات المشرف من اجله اشرف مما شرف بسبب ما اعطيه ولا نزاع فى ذلك فكانت ليلة المولودبهذا الاعتبار افضل০</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الثانى ان ليلة القدر شرفت بنزول الملائكة فيها وليلة المولود شرفت بظهوره صلى الله عليه وسلم فيها  ومن شرفت به ليلة المولود افضل ممن شرفت بهم ليلة القدر  على الاصح المرتضى فتكون ليلة المولود افضل০</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الثالث ان ليلة القدر وقع التفضل فيها على امة محمد صلى الله عليه وسلم وليلة المولود الشريف وقع التفضل فيها على سائر الموجودات فهو الذى بعثه الله عز وجل رحمة للعالمين فعمت به النعمة على جميع الخلائق০</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">”রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর বেলাদত তথা এ ধরণীতে শুভাগমন রাতে হয়েছে বলা হলে প্রশ্ন দাঁড়ায় যে দুটো রাতের মধ্যে কোনটি বেশি মর্যাদাসম্পন্ন - কদরের রাত (যা’তে কুরআন অবতীর্ণ হয়), নাকি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ধরাধামে শুভাগমনের রাত?</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর বেলাদতের রাত এ ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠতর ৩টি কারণে তা হলঃ</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১) নবী করীম (ﷺ) এ পৃথিবীতে আবির্ভূত হন মওলিদের রাতে, অথচ কদরের রাত (পরবর্তীকালে) তাঁকে মন্ঞ্জুর করা হয়। অতএব, মহানবী (ﷺ)-এর আবির্ভাব, তাঁকে যা মন্ঞ্জুর করা হয়েছে তার চেয়েও শ্রেয়তর। তাই মওলিদের রাত অধিকতর মর্যাদাসম্পন্ন।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) কদরের রাত যদি ফেরেশতাদের অবতীর্ণ হবার কারণে মর্যাদাসম্পন্ন হয়, তাহলে মওলিদের রাত মহানবী (ﷺ) এ ধরণীতে প্রেরিত হবার বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফেরেশতাদের চেয়েও উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, আর তাই মওলিদের রাতও শ্রেষ্ঠতর।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩) কদরের রাতের বদৌলতে উম্মতে মোহাম্মদীকে বিশিষ্টতা দেয়া হয়েছে; অথচ মওলিদের রাতের মাধ্যমে সকল সৃষ্টিকে ফযিলাহ দেয়া হয়েছে। কেননা, মহানবী (ﷺ)-কে সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্যে রহমত করে পাঠানো হয়েছে (আল-কুরআন ২১:১০৭)। অতএব, এই রহমত সমগ্র সৃষ্টিকুলের জন্যে সার্বিক।”</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম কুস্তালানী : ‘আল-মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া’, ১ম খণ্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম যুরকানী মালেকী : শরহে মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া’, ১ম খণ্ড, ২৫৫-২৫৬ পৃষ্ঠা।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম শিহাবুদ্দিন আল কাস্তালানী (رحمة الله) [৮৫১-৯২৩ হিঃ] </span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আরও বর্ণনা করেন,</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুদূর অতীতকালে কিভাবে মুসলমানগণ ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করতেন- বিস্তারিত বর্ণনা ইমাম শাহাবুদ্দীন কাস্তুলানী (رحمة الله عليه) মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া কিতাবে বিধৃত করেছেন। অনুবাদসহ নিম্নে পেশ করা হলোঃ</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ولا زال أهل الإسلام يحتفلون بشهر مولده عليه السّلام، ويعملون الولائم، ويتصدقون في لياليه بأنواع الصدقات، ويظهرون السرور، ويزيدون في المبرات، ويعتنون بقراءة مولده الكريم، ويظهر عليهم من بركاته كل فضل عميم ومما جرب من جواصه أنه امان فى ذلك العام وبشرى عاجلة بنيل البغية والمرام فرحم الله امرأ اتخذ ليالى شهر مولده المباركة اعيادا (المواهب اللدنية والأنوار المحمدية صفحة ١٩). </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থঃ “সমগ্র মুসলিম উম্মাহ সুদূর অতীতকাল থেকে নবী করিম (ﷺ)-এঁর পবিত্র বেলাদত উপলক্ষে মাসব্যাপী সর্বদা মিলাদ-মাহফিল উদযাপন করতেন। যিয়াফত প্রস্তুত করে তারা লোকদের খাওয়াতেন। মাসব্যাপী দিনগুলোতে বিভিন্ন রকমের সদকা-খয়রাত করতেন এবং শরীয়তসম্মত আনন্দ উৎসব করতেন। উত্তম কাজ প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি করতেন। তাঁরা পূর্ণমাস শান শওকতের সাথে বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত করতেন- যার বরকতে বরাবরই তাদের উপর আল্লাহর অপার অনুগ্রহ প্রকাশ পেতো। মিলাদ মাহফিলের বৈশিষ্ট সমূহের মধ্যে এটা পরীক্ষিত বিষয় যে, মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানের বরকতে ঐ বৎসর আল্লাহর পক্ষ হতে নিরাপত্তা কায়েম থাকে এবং তড়িৎগতিতে তা মনোবাঞ্ছা পূরনের শুভ সংবাদ বহন করে নিয়ে আসে। অতএব- যিনি বা যারা মিলাদুন্নবী মাসের প্রতিটি রাত্রকে ঈদের রাত্রে পরিণত করে রাখবে- তাঁদের উপর আল্লাহর খাস রহমত বর্ষিত হবে।” </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১.ইমাম শাহাবুদ্দীন কাস্তুলানীঃ মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২.ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভীঃ মা ছাবাতা বিছছুন্নাহ।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ বিন উমর বাহরুক (رحمة الله) ও খাজরামী শাফী (رحمة الله)-(ওফাতঃ ৮৬৯-৯৩০ হিঃ)</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ওনারা পবিত্র মিলাদুন্নবী (ﷺ) সম্পর্কে লিখেন-</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এদিনের প্রকৃত অবস্থান হলো,যেহেতু এদিনে রাসূল (ﷺ) এর জন্ম হয়েছে সেহেতু এদিনে ঈদ উদযাপন করাই হচ্ছে প্রকৃত দাবী।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● হাদাইকুল আনোয়ার ওয়া মাতালিউল আসরার ফি সিরাতিন নাবিইয়িল মুখতার গ্রন্থের ৫৩-৫৮ পৃ:</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম হাফেজ ইবনে হাজর মক্কী শাফেয়ী (رحمة الله) [৯০৯-৯৭৪ হিঃ]</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الموالد والأذكار الَّتِي تفعل عندنَا أَكْثَرهَا مُشْتَمل على خير، كصدقة، وَذكر، وَصَلَاة وَسَلام على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“আমাদের এখানে মিলাদ মাহফিল জিকর-আজকার যা কিছু অনুষ্ঠিত হয়, তার অধিকাংশই ভাল কাজের অন্তর্ভুক্ত। যেমন, সাদকা করা, জিকির করা, দরুদ পড়া, ও রাসূলে পাক (ﷺ) এর উপর ছালাম পেশ করা।”</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ইবনে হাজার মক্কী, ফাতওয়া হাদিসিয়্যাহ, ১/১০৯ পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (رحمة الله) [ওফাত ১০১৪ হিঃ]</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لازال اهل الاسلام يختلفون فى كل سنة جديدة ويعتنون بقراءة مولده الكريم ويظهر عليهم من بركاته كل فضل عظيم.</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-‘‘মুসলমানগণ প্রতি নববর্ষে মাহফিল করে আসছেন এবং তাঁরা মীলাদ পাঠের আয়োজন করেন। এর ফলে তাদের প্রতি অসীম রহমতের প্রকাশ ঘটে।’’</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[মোল্লা আলী ক্বারী, মাওয়ারিদুর রাভী, ৫ পৃ. ]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) (৯৫৮-১০৫২ হিঃ)</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لا يزال اهل الاسلام يحتفلون بشهر مولده صلى الله عليه وسلم ويعملون الولائم ويتصدقون فى لياليه بانواع الصدقات ويظهرون السرور ويزيدون فى المبرات ويعتنون بقراء مولده الكريم-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“হুজুর (ﷺ) এর পবিত্র বেলাদতের মাসে মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন সমগ্র মুসলিম বিশ্বে সর্বদাই পালিত হয়ে আসছে। ঐ মাসের রাত্রিতে দান ছদকা করে, আনন্দ প্রকাশ করে এবং ঐ স্থানে বিশেষভাবে নবীর আগমনের উপর প্রকাশিত বিভিন্ন ঘটনাবলীর বর্ণনা করা মুসলমানদের বিশেষ আমল সমূহের অন্তর্ভুক্ত।”</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী, মা সাবাতা বিসুন্নাহ, ৬০পৃ.]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ উস্তাদুল মুহাদ্দিসিন ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) (৯৫৮-১০৫২ হিঃ)</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন,</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اذا قلنا انه ولد ليلا فتلك الليلة افضل من ليلة القدر بلاشبهة لان ليلة المولودة ليلة ظهوره صلى الله عليه وسلم وليلة القدر معطاةله০</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত্রি শবে কদর হতে যে উত্তম তাতে সন্দেহের অবকাশ মাত্র নেই। কেননা মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত হল আল্লাহর হাবিব (ﷺ) এর দুনিয়াতে আবির্ভূত হওয়ার রাত্রি আর শবে ক্বদর হুজুর (ﷺ) কে আল্লাহ তা’য়ালা দান করেছেন।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভীঃ মাসাবাতা বিস সুন্নাহঃ ৭৭/৭৮ পৃষ্ঠা।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম ইসমাঈল হাক্কী (رحمة الله) [১৬৫৩-১৭২৫ ইং]</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ومن تعظيمه عمل المولد إذا لم يكن فيه منكر قال الامام السيوطي قدس سره يستحب لنا اظهار الشكر لمولده عليه السلام</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-‘‘মীলাদ শরীফ করাটা হুযুর (ﷺ)-এর প্রতি সম্মান, যদি এটা মন্দ কথা বার্তা থেকে মুক্ত হয়। ইমাম সুয়ূতি (رحمة الله) বলেন, হুযুর (ﷺ)-এর বেলাদাতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করা আমাদের জন্য মুস্তাহাব।’’</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ইসমাঈল হাক্কী, রুহুল বায়ান, ৯/৫৬পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম শাহ্ আব্দুর রহীম দেহলভী (رحمة الله) [১৬৪৪-১৭১৯ ইং]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ্ মোহাদ্দেসে দেহলভী (رحمة الله) তাঁর স্বীয় পিতা হযরত শাহ্ আব্দুর রহীম দেহলভী (رحمة الله) এর সূত্রে উল্লেখ করে বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">كنت اصنع في أيام المولد طعاما صلة بالنبي صلى الله عليه وسلم فلم يفتح لي سنة من السنين شئ اصنع به طعاما فلم اجد الا حمصا مقليا فقسمته بين الناس فرأيته صلى الله عليه وسلم بين يديه هذا الحمص مبتهجا وبشاشا-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“আমি প্রতি বছর হুজুর (ﷺ) এর মিলাদে মাহফিলে খানার ব্যবস্থা করতাম। কিন্তু এক বছর আমি খাবার যোগাড় করতে পারিনি। তবে কিছু ভুনা করা চনাবুট পেয়েছিলাম। অতঃপর আমি তা মিলাদে আগত মানুষের মধ্যে বন্টন করে দিলাম। পরে আমি স্বপ্নে হুজুর (ﷺ)কে বড়ই খোশ হাসেল তাশরিফ আনতে দেখলাম এবং তার সামনে মওজুদ রয়েছে উক্ত চনাবুট (যা আমি বন্টন করেছিলাম)।”</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী, আদ-দুরুরুস সামীন, ৪০পৃ. ]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ্ মোহাদ্দেসে দেহলভী (رحمة الله) (১৭০৩-১৭৬২ ইং)</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وكنت قبل ذالك بمكة المعظمة فى مولد النبى صلى الله عليه وسلم فى يوم ولادته والناس يصلون على النبى صلى الله عليه وسلم -</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“মক্কা মোয়াজ্জামায় হুজুর (ﷺ) এর বেলাদত শরীফের দিন আমি এমন একটি মিলাদ মাহফিলে শরীক হয়েছিলাম, যাতে লোকেরা হুজুরের দরগাহে দুরূদ-ছালাতের হাদিয়া পেশ করছিল।”</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[শাহ ওয়ালী উল্লাহ দেহলভী, ফয়জুল হারামাঈন, ৮০-৮১পৃ.]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (رحمة الله) </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(১১৯৮–১২৫২ হিঃ/ ১৭৮৩-১৮৩৬ ইং)</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লামা ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (رحمة الله) মাওলিদ উন নবী উদযাপনকে তিনি আল্লাহর নৈকট্য লাভের মহান কর্ম বলে অভিহিত করে আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী (رحمة الله) এর মাওলিদ গ্রন্থের ব্যখ্যায় বলেন,</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জেনে রেখো,রাসূল (ﷺ) যে মাসে শুভ আগমণ করেছেন, সে মাসে মীলাদুন্নবী (ﷺ) উপলক্ষে অনুষ্টান করা একটি উত্তম বিদাত (বিদআতে হাসানা)। তিনি আরো বলেন- রাসূল (ﷺ) ওনার জন্ম কাহিনী ও জীবনী শোনার এবং দুরুদ- সালামের মাহফিল অনুষ্ঠান করা আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● আল কাওলুল মুতামাদ ফিল মাযহাবিল হানাফী, আল আদিল্লাতু ফি জাওয়াজিল ইহিফায়ি ওয়াল ইহতেফালু বি মাওলিদি সাইয্যিদাল বাসির (ﷺ).</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (رحمة الله) [১১৯৮-১২৫২ হিঃ]</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বর্ননা করেন,</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أَنَّ أَفْضَلَ اللَّيَالِي لَيْلَةُ مَوْلِدِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ لَيْلَةُ الْقَدْرِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْإِسْرَاءِ وَالْمِعْرَاجِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ عَرَفَةَ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْعِيدِ</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: রাত সমূহের মধ্যে উত্তম রাত হচ্ছেঃ </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- পবিত্র মীলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- অতঃপর লাইলাতুল কদরের রাত, </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- অতঃপর মিরাজ শরীফের রাত,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- অতঃপর আরাফার রাত, </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- অতঃপর জুমুয়ার রাত, </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- অতঃপর ১৫ শাবানের রাত, </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- অতঃপর ঈদের রাত।”</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (رحمة الله) : রদ্দুল মুহতার আলা আল দুররুল মুখতার (হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব) : ৮/২৮৫ (শামেলা) , পুরাতন ছাপা ৫০৫ পৃষ্ঠা।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম জামাল উদ্দিন আল কাতানী (رحمة الله) :</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ ইমাম জামাল উদ্দিন আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল মালিক আল কাতানী (رحمة الله) পবিত্র মিলাদ সম্পর্কে লিখেন,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূল (ﷺ) এর জন্ম দিনে বা অন্য কোন সময়ে ওনার জন্ম কাহিনী ও ঘটনাবলী আলোচনা করা</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সম্মান, বুযুর্গী ও মাহত্ব লাভের জন্য নাযাত লাভের কারণ এবং তার জন্ম দিনে যারা আনন্দ ও খুশী প্রকাশ করে তাদের পরকালে শাস্তি হালকা ও কম হওয়ার কারণে পরিণত হয়।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● সুবুলুল হুদা ওয়ার রাসাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ-১ম খন্ড-পৃস্ঠা নং-৩৬৪.</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম জহীর উদ্দিন ইবনে জাফর (رحمة الله):</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমামুল আল্লামা জহীর উদ্দিন ইবনে জাফর (رحمة الله) পবিত্র মিলাদ শরীফ সম্পর্কে লিখেন,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শরীয়াতে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠান করা হচ্ছে বিদাতে হাসানা। অনুষ্ঠানকারী লোকদের সমবেত করে অনুষ্টান করতে চাইলে সকলে হুযুর পাক (ﷺ) ওনার প্রতি দুরুদ পাঠ করতে এবং গরীব মিছকিনদের পানাহার করাতে ইচ্ছা করলে, এ নিয়মে ও এ শর্তে মিলদুন্নবী অনুষ্টান করলে এ জন্য তখন তাকে (আল্লাহ) ছ্ওয়াবও প্রদান করেন।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● সুবুলুল হুদা ওয়ার রাসাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ-১ম খন্ড-পৃস্ঠা নং-৩৬৪.</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম ইউসূফ নাবহানী (رحمة الله) (১৮৪৯-১৯৩২ হিঃ) </span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম ইউসূফ নাবহানী (رحمة الله) (১৮৪৯-১৯৩২ হিঃ) উল্লেখ করেন, বিশ্ব বিখ্যাত ফকীহ আল্লামা তাহাবী (رحمة الله) ইমাম শাফেঈ (رحمة الله)</span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এর কওল নকল করে বলেন, </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“নিশ্চয়ই ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম রাত হলােঃ</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১) রাসূল (ﷺ) এর জন্মদিনের রাত্র অর্থাৎ মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত্র (১২ই রবিউল আউয়াল) </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) তারপর হলাে শবে-ই-কদরের রাত্র। </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩) তারপর হলাে মিরাজের রাত্র (২৭ শে রযব) </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪) তারপর উত্তম রাত্র হলাে লাইলাতুল আরাফা (৯ই জিলহজ্জ) </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫) তারপর হলাে জুমার রাত্র </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬) তারপর হলাে ১৫ই শাবানের রাত্র (শবে বরাত) এবং </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭) তারপর দুই ঈদের রাত্র।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● শায়খ ইউসুফ নাবহানীঃ জাওয়াহিরুল বিহারঃ ৩/৪২৬ পৃ</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম শায়খ ইউসুফ বিন ইসমাঈল নাবহানী (رحمة الله)</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> লিখেন-</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وليلة مولده صلى الله عليه وسلم أفضل من ليلة القدر</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-‘‘শবে ক্বদর হতে মিলাদুন্নবী (ﷺ)-এর রাত উত্তম।’’</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● আল্লামা শায়খ ইউসূফ নাবহানী : আনওয়ারে মুহাম্মাদিয়াহ, ২৮পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় নেতা আশরাফ আলী থানভী [১৮৬৩-১৯৪৩ ইং]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কিতাবঃ শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ)</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">লেখকঃ আশরাফ আলী থানভী [১৮৬৩-১৯৪৩ ইং]</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[বিষয়ের প্রতি সঙ্গতি ও সম্মতিপূর্ণ মিল রেখে পৃষ্ঠা নং ৩৬,৩৭,৩৮, ৪০, ৮০ এর ভাষ্য হুবুহু বই থেকে তুলে ধরা হল, আধিক্যতা পরিহার করতে অন্যান্য পৃষ্ঠা বাদ দেয়া হল➡মাসুম বিল্লাহ সানি] </span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ পৃষ্ঠা নং ৩৬ :</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইলাহী— যার মাধ্যমে পরকালীন মুক্তি পাওয়া যাবে, জান্নাত লাভ হবে, দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা অর্জিত হবে এবং যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মাধ্যমে আমরা অর্জন করতে পেরেছি, তা আজ আলােচনার বিষয়বস্তুই থাকে না। মানুষ তা সম্পূর্ণই ছেড়ে দেয়। অথচ এ বিষয়গুলাে</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আলােচনা করা বেশি প্রয়ােজন। কারণ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আবির্ভাবের বরকত ও কল্যাণ তাে সুস্পষ্ট। তাঁর "নূরের" ওসীলাতেই সমগ্র বিশ্বজগত অস্তিত্ব লাভ করেছে। পক্ষান্তরে ঈমান ও আমলে সালেহ্-এর কল্যাণ কিয়ামত দিবসে এবং জান্নাতে প্রকাশিত হবে। আর দুনিয়ায় এতদুভয়ের প্রতি মানুষ চরম উদাসীন। তাই এ বিষয়গুলাে আলােচনা করাই অধিক যুক্তিযুক্ত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আবির্ভাবের নিদর্শন তাে এই যে, তাঁর ওসীয়লায় আমরা দুনিয়ায় অস্তিত্ব লাভ করেছি।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ শিরোনামঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)এর আগমন অনেক বিরাট নিয়ামতঃ</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ তা'আলার প্রতিটি নি'আমত শােকর ও কৃতজ্ঞতার দাবি রাখে। </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশেষতঃ যদি তা বড় কোন নি'আমত হয়। উপরন্তু যদি তা দ্বীনী নি'আমত হয়, আবার দ্বীনী নি'আমতসমূহের মধ্যেও সর্বশ্রেষ্ঠ নি'আমত। তন্মধ্যেও যদি এমন বিশেষ নি'আমত হয়, যা সমস্ত দ্বীনী ও দুনিয়াবী নি'আমতের উৎস। এ নিআমত হলাে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর শুভ আগমন। কারণ, জাগতিক সকল নিআমতের উৎসও তিনিই। শুধু মুসলমানদেরই জন্য নয়; বরং সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য। যেমন আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন,</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“হে মুহাম্মাদ (ﷺ)! আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।” (সূরা আম্বিয়া ১০৭)</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এর থেকে সুস্পষ্ট হয়ে গেলাে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আগমন প্রতিটি বস্তুর জন্য রহমতস্বরূপ; চাই তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগের পূর্বের হােক বা পরের হােক। কারণ, আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর একটি অস্তিত্ব সবকিছুর পূর্বে সৃষ্টি করেছেন। তা হলাে তার নূরের অস্তিত্ব।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ পৃষ্ঠা নং ৩৭ঃ</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তিনি তাঁর নূরের অস্তিত্বের দিক থেকে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হয়েছেন।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ উম্মতের জন্য সৌভাগ্য যে, উক্ত নূর দৈহিক তিতে রূপান্তরিত হয়ে গােটা বিশ্বজাহানকে আলােকিত করে দিয়েছে।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং, রাসলুল্লাহ (ﷺ) সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত এবং তার আগমন সর্বশ্রেষ্ঠ নি'আমত হওয়া প্রমাণ ও যুক্তির নিরিখে সুপ্রমাণিত। যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অস্তিত্ব সকল নি'য়ামতের উৎস। আর যে কোন নি'আমতের ওপর কৃতজ্ঞতা আদায় ও আনন্দ প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেমন,</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেছেনঃ</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ, (হে রাসূল ﷺ !) আপনি বলে দিন, তারা যেন শুধু আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ার ওপর আনন্দিত হয়। কারণ, তা দুনিয়া ও দুনিয়ার সবকিছুর চেয়ে উত্তম।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ আয়াতে আদেশসূচক ক্রিয়াপদ বিদ্যমান। তাতে আনন্দ প্রকাশের নির্দেশ রয়েছে। সুতরাং এ আনন্দ প্রকাশের ওপর কে নিষেধাজ্ঞা আরােপ করতে পারে? এমন কোন মুসলমান আছে, যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আগমণের ওপর আনন্দিত হবে না কিংবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?”</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আয়াতের পূর্বাপর অবস্থার আলােকে যদিও প্রতীয়মান হয় যে, তাতে বিদ্যমান "রহমত" ও "ফজল" শব্দদ্বয়ের অর্থ হলাে কুরআনুল কারীম'। কিন্তু যদি এমন ব্যাপক অর্থ উদ্দেশ্য করা হয় যে ব্যাপক অর্থের একটি অংশ কুরআনুল কারীম, তাহলে তা অধিক সমীচীন হবে। উক্ত ব্যাপক অর্থ হলাে, "ফজল" ও "রহমত" দ্বারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আগমন উদ্দেশ্য। </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ ব্যাখ্যা অনুযায়ী দ্বীনী ও দুনিয়াবী সমস্ত নি'আমত এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (কারণ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর স্বত্ত্বা সর্বপ্রকার নি'আমত, অনুগ্রহ ও রহমতের মূল উৎস । আয়াতের এ ব্যাখ্যাটি অন্য সব ব্যাখ্যাকে অন্তর্ভুক্ত করবে। এ ব্যাখ্যার ভিত্তিতে আয়াতের সারকথা এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সত্তার ওপর, চাই তা তার নূরের সত্তা হােক কিংবা বাহ্যিক অবয়বগত হােক, আনন্দিত হওয়া আবশ্যক। কারণ, 'রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের জন্য সমস্ত নি‘আমতের মাধ্যম। আমরা যে দু'বেলা আহার লাভ করছি, সুস্থ-সবল থাকছি এবং আমাদের যাবতীয় ইলম ও জ্ঞান সবই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উসীলায়। সকল অনুগ্রহ ও রহমতের আঁধার হলেন হুযূর পাক (ﷺ) এর সত্তা। সুতরাং এমন বরকতপূর্ণ সত্তার আগমনে যতই আনন্দ প্রকাশ করা হোক না কেন, তা যথেষ্ট নয়। মোটকথা, উল্লেখিত আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়ে গেল যে, এ মহান নি'য়ামতের উপর আনন্দিত হওয়া অতি আবশ্যক।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[পৃষ্ঠা নং ৩৬,৩৭,৩৮ এর ভাষ্য সমাপ্ত]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ পৃষ্ঠা নং ৪০ :</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"আমাদের বুযুর্গানে দ্বীন সম্পর্কে এমন ধারণা করা যে, তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জন্মবৃত্তান্ত আলােচনা কিংবা তার আগমনে আনন্দ প্রকাশ করতে বাধা দেন, এটা সম্পূর্ণ অপবাদ ও মিথ্যা আরােপ ব্যতীত কিছুই নয়। আল্লাহ মাফ করুন। আমরা কিছুতেই বাধা প্রদান করি না। বরং বলি যে, প্রতিটি কাজের একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যদি তা উক্ত নিয়ম অনুযায়ী করা হয়, তবেই গ্রহণযােগ্য হবে। অন্যথা তা অগ্রহণযােগ্য ও নিষিদ্ধ গণ্য হবে।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পবিত্র জন্মবৃত্তান্ত আলােচনা অবশ্যই ইবাদত। কিন্তু দেখতে হবে যে, ইসলামী আইনজ্ঞগণ- অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরাম, যাদের অনুসরণ করা আমাদের ওপর আবশ্যক, তারা এ ইবাদত কিভাবে করেছেন। যদি তারা প্রচলিত পদ্ধতিতে করে থাকেন, তাহলে তা থেকে নিষেধ করার সাধ্য কার আছে? আর যদি এ পদ্ধতিতে না করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তা নিষিদ্ধ হওয়ার যােগ্য। </span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এবার বলুন, আমরা কিভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবন ও জন্মবৃত্তান্ত আলােচনায় বাধা দানকারী হলাম?</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ শিরোনামঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর শুভাগমনে আমরা অধিক আনন্দ প্রকাশ করিঃ</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নবুওয়াতের ওপর আনন্দ প্রকাশের নির্দেশ আমরা অধিক পালন করি। কারণ, প্রচলিত ঈদে মীলাদুন্নবী পালনকারীগণ গােটা বছরে একবারই শুধু আনন্দ প্রকাশ করে। অন্য সময় তাদের আনন্দ শেষ হয়ে যায়। আর আমরা সদা আনন্দিত থাকি।"</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আশরাফ আলী থানভী রচিত "শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মীলাদুন্নবী (ﷺ) " পৃষ্টা নং ৪০ সমাপ্ত হল]</span></div>
<br /><br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ পৃষ্ঠা নং ৮০ : শিরোনামঃ বারই রবিউল আউয়াল সােমবার রােযা রাখাঃ</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পক্ষ থেকে যে সব কাজের অনুমতি রয়েছে, তা অবশ্যই করা উচিত। যেমন, তিনি তাঁর জন্মগ্রহণের দিন রােযা রেখেছেন এবং বলেছেন—</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"এটি এমন দিন, যে দিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি।"</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং আমাদের জন্যও উক্ত দিন (সােমবার) রােযা রাখা সুন্নাত। তা ছাড়া সােমবার দিবসে আল্লাহ তা'আলার সামনে বান্দার আমলনামা পেশ করা হয়। ফলে এ উভয়ের সমষ্টি রােযা রাখার কারণ হতে পারে। আর যদি শুধু এককভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্মগ্রহণকেই কারণ বলা হয়, তাহলেও দোষের কিছু নেই। তবে শুধু ততটুকু করারই অনুমতি থাকবে, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে প্রমাণিত রয়েছে।</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আবু লাহাব-এর ঘটনা দ্বারা যুক্তি পেশ ও তার জবাব:</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিদ্আতপন্থীরা আরেকটি যুক্তি পেশ করতে পারে যে, আবু লাহাব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্মগ্রহণের সংবাদ শুনে আনন্দের অতিশয্যে একটি কৃতদাসী মুক্ত করে দিয়েছিলাে । এ কারণে তার ওপর শাস্তি লাঘব করে দেয়া হয়েছিল। এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্মগ্রহণের ওপর আনন্দ প্রকাশ জায়েয ও বরকত লাভের উপায়। তার কথাগুলাে পড়ে এ যুক্তির জবাবও সুস্পষ্ট। আমরা নিছক আনন্দিত হতে নিষেধ করি না। আনন্দ তাে আমরা প্রতি মুহূর্তেই বােধ করি। আমাদের বক্তব্য তাে সেই বিশেষ পদ্ধতি সম্পর্কে, যা নিজেরা আবিষ্কার করে রেখেছে।</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="background-color: white; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[পৃষ্ঠা নং ৮০ এর ভাষ্য সমাপ্ত]</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ মাওলানা মুহাম্মদ শফী (তাবলিগের শীর্ষস্থানীয় নেতা)</span></div>
<br />
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুরা বাকারাহ-এর তাফসীর প্রসঙ্গে পৃষ্ঠা ৬৪</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> এর বাম কলামে </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"রসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্মের বৈশিষ্ট্য"</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> শিরোনামের আলোচনায় রয়েছেঃ</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="background-color: black; color: yellow; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মিলাদ/জন্ম বৈশিষ্ট্যঃ</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> মুসনাদে আহমদ গ্রন্থে উদ্ধৃত এক হাদীসে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (ﷺ) বলেনঃ 'আমি আল্লাহর কাছে তখনও পয়গম্বর ছিলাম, যখন আদম (عليه السلام)-ও পয়দা হয়নি; বরং তাঁর সৃষ্টির জন্য উপাদান তৈরি হচ্ছিল মাত্র। আমি আমার সূচনা বলে দিচ্ছিঃ আমি পিতা হযরত ইবরাহীম (عليه السلام)-এর দোয়া, ঈসা (عليه السلام)-এর সুসংবাদ এবং স্বীয় জননীর স্বপ্নের প্রতীক। ঈসা (عليه السلام)-এর সুসংবাদের অর্থ তাঁর এ উক্তি وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِن بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ (আমি এমন এক পয়গম্বরের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আসবেন। তাঁর নাম আহমদ। ৬১/৬।) তাঁর জননী গর্ভাবস্থায় স্বপ্নে দেখেন যে, </span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাঁর পেট থেকে একটি </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নুর</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বের হয়ে সিরিয়ার প্রাসাদসমূহ আলোকোজ্জল করে তুলেছে।</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> কোরআনে হুযুর (ﷺ)-এর আবির্ভাবের আলোচনা প্রসঙ্গে দু'জায়গায় সুরা আলে-ইমরানের ১৬৪ তম আয়াতে এবং সুরা জুমু'আয় ইবরাহীমের দোয়ায় উল্লেখিত ভাষারই পূনরাবৃত্তি করা হয়েছে। এভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, হযরত ইবরাহীম (عليه السلام) যে পয়গম্বরের জন্যে দোয়া করেছিলেন, তিনি হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (ﷺ)।"</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">
<span style="color: #980000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, সুরা বাকারাহ-এর তাফসীর প্রসঙ্গে পৃষ্ঠা ৬৪-এর বাম কলামে "রসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্মের বৈশিষ্ট্য" শিরোনামের আলোচনা।]</span></div>
<br /><br /></div>

বিভিন্ন শতাব্দীর মুহাদ্দিস, মুফাসসির, মুজাদ্দিদ ও অতীত আলেমগণের যুগে যুগে ঈদে মিলাদুন্নী (ﷺ) উদযাপন।

বিভিন্ন শতাব্দীর মুহাদ্দিস, মুফাসসির, মুজাদ্দিদ ও অতীত আলেমগণের যুগে যুগে ঈদে মিলাদুন্নী (ﷺ) উদযাপন। 🖋সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি ❏ ইম...

নভেম্বর ২৭, ২০১৫

ইসলামী বিশ্বকোষ

ইসলামের বৈজ্ঞানিক নিদর্শনঃ হাসি কান্নার গুরুত্ব ও উপকারীতা -

নবীগন ইন্তেকালের পরও জীবিত থাকেনঃ

স্বপ্নে দাত দেখলে কি হয়? ইমাম ইবনে সীরীন (রহঃ) এর ব্যাখ্যাঃ

নামাযে পুরুষদের বুকে হাত বাঁধার দলিলের অবস্থাঃ (পর্ব ২)

বিভিন্ন শতাব্দীর মুহাদ্দিস, মুফাসসির, মুজাদ্দিদ ও অতীত আলেমগণের যুগে যুগে ঈদে মিলাদুন্নী (ﷺ) উদযাপন।

পোস্টসমূহ

ক্যাটেগরি

পপুলার