আল্লাহর উপর খবরদারি!!
=============
#আলবানী কতৃক মা আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহহুর উপর ব্যভিচারের অপবাদ! ( নাউযুবিল্লাহ)
কী হয়েছিল আয়েশা (রা) এর?
--------------
ষষ্ঠ হিজ্রীতে যখন নবীজি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনী মুস্তালিক নামান্তরে মুরায়সী যুদ্ধে গমন করেন। ইতোপুর্বে নারীদের পর্দার বিধান অবতীর্ন হয়েছিলো। তাই আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর জন্য উটের পিঠে পর্দাবিশিষ্ট আসনের ব্যবস্থা করা হয়।
আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) প্রথমে পর্দাবিশিষ্ট আসনে সোয়ার হয়ে যেতেন। এরপর লোকেরা আসন টিকে উঠের পিঠে বসিয়ে দিতো। এটাই ছিলো নিত্যকার অভ্যাস। যুদ্ধ সমাপ্তির পর মদিনায় ফেরার পথে একটি ঘটনা ঘটলো। এক মঞ্জিলে কাফেলা অবস্থান করার পর শেষ রাত্রে প্রস্থানের কিছু পূর্বে ঘোষনা করা হয় যে, কাফেলা কিছুক্ষনের মধ্যে এখান থেকে রওয়ানা হয়ে যাবে। তাই প্রত্যেকেই যেন নিজ নিজ প্রয়োজন সেরে প্রস্তুত হয়। আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর তখন প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার ইচ্ছে হয়। তিনি জংগলের দিকে চলে গেলেন। সেখানে ঘটনাক্রমে তার গলার হার ছিড়ে গিয়ে হারিয়ে গেলো। তিনি সেই হার খুজতে ব্যস্ত হয়ে গেলেন।। বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে গেলো।
আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) স্বস্থানে ফিরে এসে দেখলেন যে, কাফেলা রওয়ানা হয়ে গেছে। রওয়ানা হওয়ার সময় আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর পর্দা বিশিষ্ট আসনটিকে যথারীতি উঠের পিঠে সোয়ার করিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাহকরা মনে করেছে যে, তিনি ভেতরেই আছেন। উঠানোর সময়ও সন্দেহ হয়নি তাদের। কারণ তিনি তখন অল্প বয়স্কা কৃশকায় ছিলেন। ফলে আসনটি যে শুন্য - এরুপ ধারনাও কারো মনে আসেনি। আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) ফিরে এসে যখন কাফেলাকে পেলেন না, তখন অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা ও স্থির চিত্ততার পরিচয় দিলেন এবং কাফেলার পশ্চাতে দৌড়াদৌড়ি করা কিম্বা এদিক ওদিক তালাশ করার পরিবর্তে স্বস্থানে চাদর গায়ে জড়িয়ে বসে রইলেন। তিনি মনে করলেন যে, নবীজি ও তার সঙ্গীগণ যখন জানতে পারবেন যে, আমি আসনে অনুপস্থিত, তখন আমার খোঁজে তারা এখানে আসবেন। কাজেই আমি এদিক ওদিক চলে গেলে তাদের জন্য তালাশ করে নেওয়া কঠিন হবে। তাই তিনি স্বস্থানেই চাদর গায়ে বসে রইলেন। সময় ছিলো শেষ রাত্রি তাই কিছুক্ষনের মধ্যেই তিনি নিদ্রার কোলে ঢলে পড়লেন।
অপরদিকে সাফওয়ান (রাঃ) কে নবীজি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কাজের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন যে, তিনি কাফেলার পশ্চাতে সফর করবেন এবং কাফেলা রওয়ানা হয়ে যাওয়ার পর কোন কিছু পড়ে থাকলে তা কুড়িয়ে নেবেন। তিনি সকাল বেলায় সেখানে পৌছলেন। তখন পর্যন্ত প্রভাত হয়নি। তিনি শুধু একজন মানুষকে নিদ্রামগ্ন দেখতে পেলেন। কাছে এসে আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) কে চিনে ফেললেন। কারন পর্দাপ্রথা অবতীর্ন হওয়ার পূর্বে তিনি আয়েশা (রাঃ) কে দেখেছিলেন। চেনার পর অত্যন্ত বিচলিত কন্ঠের সাথে তার মুখ থেকে “ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন” উচ্চারিত হয়ে গেলো। এই বাক্য আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর কানে পড়ার সাথে সাথে তিনি জেগে উঠলেন এবং মুখমন্ডল ঢেকে ফেলেন। সাফওয়ান নিজের উট কাছে এনে বসিয়ে দিলেন। আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) তাতে সওয়ার হয়ে গেলে তিনি নিজে উটের নাকের রশি ধরে পায়ে চলতে লাগলেন। অবশেষে তিনি কাফেলার সাথে মিলিত হয়ে গেলেন।
এই ছিল মূল ঘটনা। মুনাফিকরা এ সুযোগে রটনা ছড়িয়ে দিল, আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) সাথে ছাফওয়ান রাঃ এর অবৈধ সম্পর্ক হয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহী নাযিলের অপেক্ষা করতে লাগলেন। অবশেষে নাযিল হল।
আল্লাহর স্পষ্ট ঘোষণাঃ
---------------------
আল্লাহ বলেন, সুবহানাকা হাযা বুহতানুন আযীম। (সূরা নূর-১১-১৬) অর্থাৎ, আয়াতটির পুরো অর্থ হল, ‘এবং যখন তোমরা ইহা (আয়েশার ঘটনা) শ্রবণ করলে, তখন কেন বললে না, ‘এ বিষয়ে বলাবলি করা আমাদের উচিৎ নয়; আল্লাহ পবিত্র, মহান। এটা তো এক গুরুতর অপবাদ’।
এ আয়াতে যা বলা হয়েছেঃ
১/ এ নিয়ে আলোচনা করা উচিৎ নয়।
২/ এটা হযরত আয়েশা (রা) এর উপর এক জঘন্য অপবাদ।
ব্যস, আল্লাহ ফায়সালা দিয়ে দিলেন। আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ একটি অপবাদ ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি এটা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।
আলবানীর সন্দেহ
------------------
কিন্তু আলবানী চিন্তা করল, এ কী করে হয়! এত লোক অভিযোগ করল? আর আল্লাহ কি না তাঁকে মুক্তি দিয়ে দিলেন? তিনি এ কী করলেন? - না, তা হয় না। আয়েশা তো মানুষ। তার ভুল হতেই পারে। সুতরাং অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টা একদম উড়িয়ে দেয়া যায় না।!!!
দেখুন, সে কী বলেছে?
“যেহেতু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহী নাযিল না হওয়া পর্যন্ত আয়েশা (রা) কে যিনার অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন নাই, সুতরাং এর মধ্যে একটি শক্ত ধারণা থেকেই যায় যে, ঘটনাটি ঘটার সম্ভাবনা ছিল”।
নাউযুবিল্লাহ।
রেফারেন্সঃ সিলসিলাতুল আহাদীসিস সাহীহাহ, ৬স্ট খন্ড/২৫০৭
আল্লাহর সাথে পন্ডিতিঃ
---------------------
পাঠক, চিন্তা করেন কত বড় পন্ডিত সে? আল্লাহর সাথে পন্ডিতি!!! এ ব্যাটা ভাল করেই জানে যে, আল্লাহ স্বয়ং আয়েশা (রা) কে এ অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এটা জানার পরও কীভাবে সে এমন অপবাদ দিতে পারল? তার বুক কাঁপল না। যেখানে আল্লাহ সকল সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিলেন সেখানে সে কিভাবে এমন সম্ভাবনার সন্দেহ করল!!!!!! শিয়ারা তো এমনিতেই উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) কে নিয়ে কটূক্তি এবং তাঁর চরিত্র হননে লিপ্ত। এবার আলবানীর এই উক্তি তাদের সে পুরনো অভিযোগে নতুন করে যুক্তি প্রমাণ যোগাবে। আল্লাহ আমাদেরকে এই ফেতনাবাজদের থেকে মুক্তি দিন!
-----------------------
এতে তার তিনটি উদ্দেশ্য পরিস্কার হয়ঃ
১/ এমন কিছু বলা, যা নতুন। তাকে নিয়ে দুনিয়ায় তোলপাড় হবে। নাউযুবিল্লাহ!
২/ রাসুল (দঃ) এর আহলে বায়ত সম্পর্কে মুসলমানদের অন্তরে বিতৃষ্ণা জাগিয়ে তোলা। নাউযুবিল্লাহ !!!
মোটকথাঃ মুসলমানদের ভিতরে ফিতনা ঢুকিয়ে দেয়াই তার কাজ!!!
(ঈমানের তাগিদে পোস্টটি কপি করে শেয়ার করার অনুরুধ থাকল)
হে আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বিশ্বাসের উপর আমরণ টিকে থাকার তাওফিক দিও। কারণ তুমি স্বয়ং তাদের পবিত্রতা চাও।
=============
#আলবানী কতৃক মা আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহহুর উপর ব্যভিচারের অপবাদ! ( নাউযুবিল্লাহ)
কী হয়েছিল আয়েশা (রা) এর?
--------------
ষষ্ঠ হিজ্রীতে যখন নবীজি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনী মুস্তালিক নামান্তরে মুরায়সী যুদ্ধে গমন করেন। ইতোপুর্বে নারীদের পর্দার বিধান অবতীর্ন হয়েছিলো। তাই আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর জন্য উটের পিঠে পর্দাবিশিষ্ট আসনের ব্যবস্থা করা হয়।
আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) প্রথমে পর্দাবিশিষ্ট আসনে সোয়ার হয়ে যেতেন। এরপর লোকেরা আসন টিকে উঠের পিঠে বসিয়ে দিতো। এটাই ছিলো নিত্যকার অভ্যাস। যুদ্ধ সমাপ্তির পর মদিনায় ফেরার পথে একটি ঘটনা ঘটলো। এক মঞ্জিলে কাফেলা অবস্থান করার পর শেষ রাত্রে প্রস্থানের কিছু পূর্বে ঘোষনা করা হয় যে, কাফেলা কিছুক্ষনের মধ্যে এখান থেকে রওয়ানা হয়ে যাবে। তাই প্রত্যেকেই যেন নিজ নিজ প্রয়োজন সেরে প্রস্তুত হয়। আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর তখন প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার ইচ্ছে হয়। তিনি জংগলের দিকে চলে গেলেন। সেখানে ঘটনাক্রমে তার গলার হার ছিড়ে গিয়ে হারিয়ে গেলো। তিনি সেই হার খুজতে ব্যস্ত হয়ে গেলেন।। বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে গেলো।
আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) স্বস্থানে ফিরে এসে দেখলেন যে, কাফেলা রওয়ানা হয়ে গেছে। রওয়ানা হওয়ার সময় আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর পর্দা বিশিষ্ট আসনটিকে যথারীতি উঠের পিঠে সোয়ার করিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাহকরা মনে করেছে যে, তিনি ভেতরেই আছেন। উঠানোর সময়ও সন্দেহ হয়নি তাদের। কারণ তিনি তখন অল্প বয়স্কা কৃশকায় ছিলেন। ফলে আসনটি যে শুন্য - এরুপ ধারনাও কারো মনে আসেনি। আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) ফিরে এসে যখন কাফেলাকে পেলেন না, তখন অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা ও স্থির চিত্ততার পরিচয় দিলেন এবং কাফেলার পশ্চাতে দৌড়াদৌড়ি করা কিম্বা এদিক ওদিক তালাশ করার পরিবর্তে স্বস্থানে চাদর গায়ে জড়িয়ে বসে রইলেন। তিনি মনে করলেন যে, নবীজি ও তার সঙ্গীগণ যখন জানতে পারবেন যে, আমি আসনে অনুপস্থিত, তখন আমার খোঁজে তারা এখানে আসবেন। কাজেই আমি এদিক ওদিক চলে গেলে তাদের জন্য তালাশ করে নেওয়া কঠিন হবে। তাই তিনি স্বস্থানেই চাদর গায়ে বসে রইলেন। সময় ছিলো শেষ রাত্রি তাই কিছুক্ষনের মধ্যেই তিনি নিদ্রার কোলে ঢলে পড়লেন।
অপরদিকে সাফওয়ান (রাঃ) কে নবীজি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কাজের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন যে, তিনি কাফেলার পশ্চাতে সফর করবেন এবং কাফেলা রওয়ানা হয়ে যাওয়ার পর কোন কিছু পড়ে থাকলে তা কুড়িয়ে নেবেন। তিনি সকাল বেলায় সেখানে পৌছলেন। তখন পর্যন্ত প্রভাত হয়নি। তিনি শুধু একজন মানুষকে নিদ্রামগ্ন দেখতে পেলেন। কাছে এসে আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) কে চিনে ফেললেন। কারন পর্দাপ্রথা অবতীর্ন হওয়ার পূর্বে তিনি আয়েশা (রাঃ) কে দেখেছিলেন। চেনার পর অত্যন্ত বিচলিত কন্ঠের সাথে তার মুখ থেকে “ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন” উচ্চারিত হয়ে গেলো। এই বাক্য আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর কানে পড়ার সাথে সাথে তিনি জেগে উঠলেন এবং মুখমন্ডল ঢেকে ফেলেন। সাফওয়ান নিজের উট কাছে এনে বসিয়ে দিলেন। আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) তাতে সওয়ার হয়ে গেলে তিনি নিজে উটের নাকের রশি ধরে পায়ে চলতে লাগলেন। অবশেষে তিনি কাফেলার সাথে মিলিত হয়ে গেলেন।
এই ছিল মূল ঘটনা। মুনাফিকরা এ সুযোগে রটনা ছড়িয়ে দিল, আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) সাথে ছাফওয়ান রাঃ এর অবৈধ সম্পর্ক হয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহী নাযিলের অপেক্ষা করতে লাগলেন। অবশেষে নাযিল হল।
আল্লাহর স্পষ্ট ঘোষণাঃ
---------------------
আল্লাহ বলেন, সুবহানাকা হাযা বুহতানুন আযীম। (সূরা নূর-১১-১৬) অর্থাৎ, আয়াতটির পুরো অর্থ হল, ‘এবং যখন তোমরা ইহা (আয়েশার ঘটনা) শ্রবণ করলে, তখন কেন বললে না, ‘এ বিষয়ে বলাবলি করা আমাদের উচিৎ নয়; আল্লাহ পবিত্র, মহান। এটা তো এক গুরুতর অপবাদ’।
এ আয়াতে যা বলা হয়েছেঃ
১/ এ নিয়ে আলোচনা করা উচিৎ নয়।
২/ এটা হযরত আয়েশা (রা) এর উপর এক জঘন্য অপবাদ।
ব্যস, আল্লাহ ফায়সালা দিয়ে দিলেন। আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ একটি অপবাদ ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি এটা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।
আলবানীর সন্দেহ
------------------
কিন্তু আলবানী চিন্তা করল, এ কী করে হয়! এত লোক অভিযোগ করল? আর আল্লাহ কি না তাঁকে মুক্তি দিয়ে দিলেন? তিনি এ কী করলেন? - না, তা হয় না। আয়েশা তো মানুষ। তার ভুল হতেই পারে। সুতরাং অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টা একদম উড়িয়ে দেয়া যায় না।!!!
দেখুন, সে কী বলেছে?
“যেহেতু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহী নাযিল না হওয়া পর্যন্ত আয়েশা (রা) কে যিনার অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন নাই, সুতরাং এর মধ্যে একটি শক্ত ধারণা থেকেই যায় যে, ঘটনাটি ঘটার সম্ভাবনা ছিল”।
নাউযুবিল্লাহ।
রেফারেন্সঃ সিলসিলাতুল আহাদীসিস সাহীহাহ, ৬স্ট খন্ড/২৫০৭
আল্লাহর সাথে পন্ডিতিঃ
---------------------
পাঠক, চিন্তা করেন কত বড় পন্ডিত সে? আল্লাহর সাথে পন্ডিতি!!! এ ব্যাটা ভাল করেই জানে যে, আল্লাহ স্বয়ং আয়েশা (রা) কে এ অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এটা জানার পরও কীভাবে সে এমন অপবাদ দিতে পারল? তার বুক কাঁপল না। যেখানে আল্লাহ সকল সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিলেন সেখানে সে কিভাবে এমন সম্ভাবনার সন্দেহ করল!!!!!! শিয়ারা তো এমনিতেই উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) কে নিয়ে কটূক্তি এবং তাঁর চরিত্র হননে লিপ্ত। এবার আলবানীর এই উক্তি তাদের সে পুরনো অভিযোগে নতুন করে যুক্তি প্রমাণ যোগাবে। আল্লাহ আমাদেরকে এই ফেতনাবাজদের থেকে মুক্তি দিন!
-----------------------
এতে তার তিনটি উদ্দেশ্য পরিস্কার হয়ঃ
১/ এমন কিছু বলা, যা নতুন। তাকে নিয়ে দুনিয়ায় তোলপাড় হবে। নাউযুবিল্লাহ!
২/ রাসুল (দঃ) এর আহলে বায়ত সম্পর্কে মুসলমানদের অন্তরে বিতৃষ্ণা জাগিয়ে তোলা। নাউযুবিল্লাহ !!!
মোটকথাঃ মুসলমানদের ভিতরে ফিতনা ঢুকিয়ে দেয়াই তার কাজ!!!
(ঈমানের তাগিদে পোস্টটি কপি করে শেয়ার করার অনুরুধ থাকল)
হে আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বিশ্বাসের উপর আমরণ টিকে থাকার তাওফিক দিও। কারণ তুমি স্বয়ং তাদের পবিত্রতা চাও।