আসসলামু আলাইকুম
শরু করছি পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে হাবীবআহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে...
" প্রসঙ্গ হাদীসের সকল ইমামগণের মাযহাব সমূহ"
প্রথমে ১টি বলতে চাই সৃষ্টির শুরু থেকেশয়তান লেগেই রয়েছেযা কেয়ামত পর্যন্ত লেগেই থাকবে এটা আল্লাহ তাআলার আদেশকারন শয়তান না থাকলে ভালোর কোনদাম নেই...আর যে এই শয়তানদের কাছ থেকে আল্লাহ দরবারে নবী রাসূলআহলে বাইত সাহাবী তাবেয়ী তাবে তাবেয়ীন ওলি আওলিয়াদের ভালবেসে মশগুলরয়েছে তারাই প্রকৃত পক্ষে সঠিক জমাতের মধ্যে রয়েছে...আর বাকী সব পধভ্রষ্টের জমাতে রয়েছে।..রাসূল(সা:)ওনার সময় থেকেই মাযহাব/ইজতিহাদ প্রচলন শরু হয়েছেযা এ হাদীসদেখে বুঝা যায়...রাসূল সাঃ যখন মুয়াজ বিন জাবালরাঃ কে ইয়ামানে পাঠাতে মনস্ত করলেনতখন মুয়াজ রাঃ কে জিজ্ঞেস করলেন-“যখন তোমার কাছেবিচারের ভার ন্যস্ত হবে তখন তুমিকিভাবে ফায়সাল করবে?” তখন তিনি বললেন-“আমি ফায়সালা করব কিতাবুল্লাহ দ্বারা”। রাসূলসাঃ বললেন-“যদি কিতাবুল্লাহ এ না পাও?” তিনি বললেন-“তাহলে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাত দ্বারা ফায়সালা করব”। রাসূলসাঃ বললেন-“যদি রাসূলুল্লাহ এর সুন্নাতে না পাও?” তখন তিনি বললেন-“তাহলেআমি ইজতিহাদ তথা উদ্ভাবন করার চেষ্টা করব”। তখন রাসূল সাঃ তাঁরবুকে চাপড় মেরেবললেন-“যাবতীয় প্রশংসা ঐ আল্লাহর যিনিতাঁর রাসূলের প্রতিনিধিকে সেই তৌফিক দিয়েছেন যে ব্যাপারে তাঁর রাসূল সন্তুষ্ট”। {সূনানে আবু দাউদ, হাদিসনং-৩৫৯৪, সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-১৩২৭, সুনানে দারেমী, হাদিস নং-১৬৮, মুসনাদে আহমাদ, হাদীসনং-২০৬১}
এই হাদীসে লক্ষ্য করুন-রাসূল সাঃ এর জীবদ্দশায় হযরত মুয়াজ রাঃ বলছেন যে, আমি কুরআন সুন্নাহ এ না পেলেনিজ থেকে ইজতিহাদ করব, আল্লাহর নবী বললেন-“আল হামদুলিল্লাহ”। আর ইয়ামেনের লোকদের উপর হযরত মুয়াজের মত তথা মাযহাব অনুসরণ যে আবশ্যক এটাওকিন্তু হাদীস দ্বারা স্পষ্ট..এছাড়া সাহাবী থেকে শুরু হাদীসের ইমামগন ও মাযহাব অনুসরণ করেছেন তো নতুন করে কিছুপন্ডিত বের হয়েছেতাদেরকে পন্ডিত বললেভুল হবে এরা হল ইসলামের শত্রু যাদেরমাধ্যমে সাধারণ মুসলমান দিন দিন ফিতনায় লিপ্ত হচ্ছে আবারওনারায় টেলিভিশনে বসে লেকচার দিচ্ছে আর উচ্চ শিক্ষিত মানুষগুলো কোরান হাদীসনা পরেই ঐ মূর্খরা যা বলে বেড়াচ্ছে তা জী জী বলে মেনেনিচ্ছে...তারা নাকি আবার সমাজের সহিহআলেম ওরফে ইসলামের জালেম..আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আল্লাহ বিবেক বুদ্ধি দিয়েছেন যা অন্যকোন প্রণীর নেই অতচ আমারা সেই বিবেকবুদ্ধিকে আরেক জনেরউপর ভার দিয়েদিন দিন পশুতেপরিণত হয়ে যাচ্ছি আবার বলিষ্ট কন্ঠেবলে আমি মুসলমান..এটা কোন মুসলমান যে নাকী পূর্ববর্তী ইমামগণদের সম্মান করতেজানেনা ওলি আওলিয়াদের শানে মাইক দিয়েটেলিভিশনে গিয়ে গলা ফাটিয়ে চেচামেছি করে...আসূন এদের থেকে আমরাদুরে সরে থাকিএবয়ং অপরকে সহায়তা করি...লামাযহবীরা কথায়কথায় বলে উঠে মাযহাব মানাহারাম...আমি অনেকদিন ধরেইহাদীস নিয়ে একটুএকটু ঘাটাঘাটি করি..খুজতে খুজতে পেয়েগেলাম হাদীসের ইমামগন নিজেরাই মাযহাব পালনকরেছেন এবং আমারএক শ্রদ্ধেয় বড় হক ভাই ওনি ও এ ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করলেন...সেখানে দেখলাম সবাইকোন না কোনমাযহাব অনুসরণ করে ইসলামকে এ পর্যন্ত পৌছে দিয়েছেন..আমি হক ভাইয়ের নিকটখুব কৃতজ্ঞ...আল্লাহ আমার হায়াত নিয়েওনার মত লোককে বাচিয়ে রাখুকআমিন....পরিশেষে এ টুকুইবলতে চাই যারামাযহাব কে অস্বীকার করেন তাদেরকে মুনাফেক বললে মনে হয় আমার ভূল হবেনা...কারন তারা ইসলামের সকল হাদীসের ইমামগণদের শানে ও কটুক্তি করে ফেলেছেন তাই লা মাযহাবীদের বলব লজ্জা থাকলে আজ থেকে মাযহাব মানাকোন হাদীস পড়বেননা..যদি পড়েনতাহলে তওবা করে আগে মাযহাব মানেন...তারপর ওনাদের হাদীসপড়েন...যতক্ষন না পর্যন্ত তওবা না করবেনততক্ষণ পযর্ন্ত কাফেরহিসেবে থেকেই যাবেন........আল্লাহ যেন সবাইকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন আমিন- .....সকল হাদীসবিদগনের মাযহাব সমূহ...
ইমাম বুখারী রহঃ সহ অন্যান্য হাদিসের ইমামগণ মাজহাব অনুসরণ করতেন।
তাঁরা সবাই তো কোন না কোন ইমামের তাক্বলীদ করতেন। মাজহাব যদি শির্ক বিদ'আত হয় তাহলেছিহাহ ছিত্তা সহ অন্যান্য হাদিসের ইমামগণ কি মুশরিক, বিদ'আতী ছিলেন? নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক। ওয়ামিন ওয়াস-ওয়াসি গাইরিল মুকাল্লিদ।
এ পর্যায়ে রেফারেন্স সহ হাদিসের ইমামগণের মাজহাব তুলে ধরা হচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় হল লামাজহাবীদের প্রথম কাতারের নেতা নবাব ছিদ্দীক হাসান খান সবিস্তারে হাদিসের ইমামগণের মাজহাব তার লিখিত বইয়েবর্ণনা করেছেন।
✿১। ইমাম বুখারী রহঃ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।
সুত্রঃ নবাব ছিদ্দিক হাসানখান লিখিত আবজাদুল উলুম পৃষ্ঠা নং ৮১০, আলহিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৮৩।
শাহ ওয়ালিউল্লাহ রহঃ লিখিতআল-ইনসাফ পৃষ্ঠা নং ৬৭।
আল্লামা তাজ উদ্দীন সুবকীরহঃ লিখিত ত্ববকাতুশ শাফেয়ী পৃষ্ঠা নং ২/২।
✿২। ইমাম মুসলিম রহঃ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।
সুত্রঃ ছিদ্দিক হাঃ খান লিখিত আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।
✿৩। ইমাম তিরমিজী নিজে মুজ্তাহিদ ছিলেন। তবে হানাফী ও হাম্বলী মাজহাবের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।
সুত্রঃ শা ওয়ালিউল্লাহ রহঃ লিখিত আল-ইনসাফপৃষ্ঠা নং ৭৯।
✿৪। ইমাম নাসাঈ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী ছিলেন।
সুত্রঃ নঃ ছিঃ হাঃ লিখিত আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৯৩।
✿৫। ইমাম আবুদাউদ রহঃ শাফেয়ী।
সুত্রঃ আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।
আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহঃ ইবনে তাইমিয়ার উদ্দৃতি দিয়ে ফয়জুল বারী ১/৫৮ তে ইমাম আবুদাউদ রহঃকে হাম্বলী বলে উল্যেখ করেছেন।
✿৬। ইমাম ইবনে মাজাহ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।
সুত্রঃ ফয়জুলবারী ১/৫৮।
এ গেল ছিহাহ ছিত্তার ইমামগণের মাজহাব।
অন্যান্য ইমামগণের মাজহাব নবাবছিদ্দীক হাসান খান সাহেবের আল-হিত্তা থেকে।
╚►৭। মিশকাত শরিফ প্রণেতা সাফেয়ী, পৃঃ১৩৫
╚►৮। ইমাম খাত্তাবী রহঃ শাফেয়ী, পৃঃ ১৩৫
╚►৯। ইমাম নববী রহঃ শাফেয়ী, পৃঃ ১৩৫
╚►১০। ইমাম বাগভী রহঃ শাফেয়ী, পৃঃ ১৩৮
╚►১১। ইমাম ত্বহাবী হাম্বলী, পৃঃ১৩৫
╚►১২। বড় পীর আঃ কাদের জিলানী রহঃ হাম্বলী, পৃঃ ৩০০
╚►১৩। ইমাম ইবনে তাইমিয়া হাম্বলী, পৃঃ ১৬৮
╚►১৪। ইবনে কায়্যিম রহঃ হাম্বলী, পৃঃ১৬৮
╚►১৫। ইমাম আঃ বার রহঃ মালেকী, পৃঃ১৩৫
╚►১৬। ইমাম আঃ হক রহঃ হানাফী, পৃঃ১৬০
╚►১৭। শাহ ওয়ালিউল্লাহ রহঃ হানাফী, পৃঃ ১৬০-১৬৩
╚►১৮। ইমাম ইবনে বাত্তাল মালেকী, পৃঃ২১৩
╚►১৯। ইমাম হালাবী রহঃ হানাফী পৃঃ২১৩
╚►২০। ইমাম শামসুদ্দীন আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুদদায়েম রহঃ শাফেয়ী, পৃঃ২১৫
╚►২১। ইমাম বদরুদ্দীন আঈনী রহঃ হানাফী, পৃঃ২১৬
╚►২২। ইমাম যারকানী রহঃ শাফেয়ী, পৃঃ ২১৭
╚►২৩। ইমাম ক্বাজী মুহিব্বুদ্দীন হাম্বলী, পৃঃ ২১৮
╚►২৪। ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী, পৃঃ২১৯
╚►২৫। ইমাম বুলকিনী শাফেয়ী, পৃঃ ২১৯
╚►২৬। ইমাম মার্যুকী মালেকী পৃঃ ২২০
╚►২৭। ইমাম জালালুদ্দীন বকরী শাফেয়ী, পৃঃ২২০
╚►২৮। ইমাম কুস্তলানী শাফেয়ী, পৃঃ২২২
╚►২৯। ইমাম ইবনে আরাবীমালেকী, পৃঃ ২২৪
এমন কি তাদের মডেলআব্দুল ওয়াহ্হাব নজদীকে ও হাম্বলী বলে উল্লেখ করেছেন তার আল্-হিত্তাতু ফিস সিহাহিস সিত্তাহ'র ১৬৭ পৃষ্ঠায়-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ