আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে...
(প্রসঙ্গ কোরান হাদীসের দৃষ্টিতে ক্বালবী যিকিরের গুরুত্ব)
আমরা সকলেই জানি সবাইআমরা মানুষ তারপরে ও কেন আমাদের কে মানুষ হতে বলা হয়েছে এর মানেকি তাহলে আমরাকি এখন ও মানুষ হতে পারিনি...কোরান হাদীস এবং ইজমাকিয়াসের আলোকে দেখাযায় আসলে আমরানামধারী মানুষ সত্যিকারে আমরা এখনো মানুষহতে পারিনি.তাই আল্লাহ সুবাহানু তাআলা আমাদেরকে সঠিক মানূষকরার জন্য যুগেযুগে নবী রাসূলথেকে শুরু করে বহু ওলী আওলিয়াদের পাঠিয়েছেন এবং আল্লাহকে ডাকার জন্য সাথেসাথে অনেক নিয়মকানুন বা পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন যাতেকরে আমরা সদা সর্বদায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে স্মরন করতেপারি.তেমনি একটিকর্ম পদ্ধতি নিয়েআমি অধম আপনাদের সামনে কোরান হাদীসও ইজমা কিয়াসের আলোকে আলোচনা করব.আর সেই পদ্ধতিটির বা কর্মের নাম হলো যিকির.....মুলতঅন্তর পরিশুদ্ধ করা এবং হুজুরী ক্বালব জারী করার একমাত্র উপায় হচ্ছে আপন ক্বালবে সদা সর্বদা শ্বাস প্রস্বাসের সহিত যিকির যারি করা.আর সেই ক্বালবের স্থান হলো আপনারবাম স্তনের ২ আঙ্গুল নিচে.যদি ক্বালবে আল্লাহর যিকিরবা হুজারী ক্বালব অর্জন করা যায় তাহলেই কেবল নামামরোযা সহ সকল ইবাদত শুদ্ধ এখলাছের সহিত আদায় করা সম্ভব হবে আর এজন্যই সকলের ক্বালবে যিকির যারী করাকেফরজ বলেছেন.পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে এরশাদকরেন-(সাবধান আল্লাহপাক এর যিকির দ্বারাই ক্বালব বা অন্তরপরিশুদ্ধ হয়)উক্তআয়াত শরীফের ব্যখ্যায় হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে-(সরদারে আলম রাসূল (সা:)বলেনপ্রত্যেক জিনিস পরিস্কার করার যন্ত্র রয়েছেআর ক্বালব পরিস্কার করার যন্ত্র হলোআল্লাহ পাক এর যিকির যারী করা আপন ক্বালবের মধ্যে শ্বাস প্রশ্বাসের সহিত-সূত্র-বায়হাকী-মেশকাত-মেরকাত-লুময়াত-প্রমুখ গ্রন্থ).সেই পরিপ্রেক্ষীতে ইমাম-মুজতাহিদগণ ও ওলি আওলিয়াগণ কোরান হাদীসের দৃষ্টিতে ইজতিহাদ করে যিকির কে দু ভাগে ভাগ করেছেন (১)যাহেরী বা মৌখিক যিকির (২)বাতেনী বা ক্বালবী যিকির যা মুখেনা করে শুধুঅন্তরে বা ক্বালবের মাধ্যমে করতে হয়.
যাহেরী বা মৌখিক যিকির-এই যিকির গুলোহচ্ছে কোরান তেলাওয়াত,দোয়া দুরুদ,ওয়াজনছীহত, ইত্যাদি.আল্লাহর যিকির এ জন্যইকরতে হয় যাতেকরে শয়তানের ওয়াসাওয়াসা থেকে নিজেকে যত দুরে রাখাযায় ততই ভাল.উক্ত যিকির গুলিযে কোন স্থানেই করা যায় যে কোন সময় তবে এই জাহেরী বা মৌখিক যিকির করে নিজের নফস কে শয়তানের ওয়াস ওয়াসাথেকে বেচে থাকাকস্মিন কালেও সম্ভবনা তাই অবশ্যই ক্বালবী যিকির করতেহবে তার কারণক্বালবী যিকির সার্বক্ষনিক করতে হয় কোনসময় নির্ধারণ নয়.
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বর্ণিত আছে-সকাল সন্ধা স্বীয়অন্তরে সবিনয়ে,সভয়ে,অনুচ্চ আওয়াজে তোমার রবের যিকির কর.আর এ ব্যপারে তুমি গাফেলদের অর্ন্তভুক্ত হয়োনা-সূরা আরাফ-২০৫ নং আয়াত.উক্ত আয়াতের মধ্যে২টি দিক বর্ননা করা আছে আমি শুধু মাত্র যিকিরের ব্যপারটি নিয়ে আলোচনা করলাম যেমন-উক্তআয়াতের যিকির দ্বারা ক্বালবী যিকির ও সার্বক্ষণিক পাছ আন ফাস বা শ্বাসপ্রশ্বাসের সহিত যিকিরকরাকে বুঝানো হয়েছেযেমন আপনি শ্বাসযখন নিবেন তখন বলবেন আল্লাহ এবং শ্বাস যখন ছাড়বেন তখন বলবেন হু (আল্লাহু.আর যিকিরসদা সর্বদায় দিনেরাতে হাটা চলা বসা অবস্থায় সব সময় করতে হয় আবার অনেকেই এই আয়াতে সকাল সন্ধাযিকির করার কথা উল্লেখ করেছেন কারণএর উদ্দেশ্য হলো দায়েমী বা সাধ্যঅনুযায়ী যিকিরে নিজেকে মশগুল রাখারনামই হলো ক্বালবী যিকির. অপর এক আয়াতে আছে-হে ঈমানদারগণ তোমরা অধিকমাত্রায় আল্লাহপাকের যিকির কর আর সকালসন্ধা তাসবীহ পাঠ কর-সূরা আহযাব-৪১-৪২ নং আয়াত.উক্ত আয়াতের তাফসীরে ইবনে আব্বাস (রা:)বলেছেন প্রত্যেক ইবাদতের কিছু সময় এবং সীমা নির্ধারিত করা আছে কিন্তু যিকিরের জন্য কোননির্ধারিত সময় বা সীমা নির্ধারন বা অপরাগতার কোন অজর ও গ্রহণযোগ্য নয়.এই আয়াতের তাফসীরে রুহুল বয়ানের বর্ণিত আছে-অধিক পরিমানে আল্লাহর যিকির কর এর দ্বারা দিবারাত্রি সর্ব সময় সর্ব রীতুতে পানিও স্থলে মাঠেপর্বতে স্বদেশে প্রবাসে সুস্থতায় অসুস্থতায় প্রকাশ্যে গোপনে দন্ডায়মান উপবেশনে শয়নেঅর্থাথ প্রতি অবস্থায় বা দায়েমীভাবে আল্লাহপাকের স্মরণে আপন ক্বালবে ক্বালবী যিকির যারী করতেহবে আর এটাইহলো কোরান হাদীস এ ইজমাকিয়াসের সর্বশেষ রায় এখান থেকে গাফেলহলে জীবনকে বিফলের মালা নিয়ে মৃত্যুকে বরণ করে অপারেযেতে হবে. তাই আমি অধম সবাইকে বলছি আসূণআমরা সবাই তরকীতের কামেলে মোকাম্মেল ওলীর নিকট বায়াত হয়ে আপন ক্বালবের মধ্যে ক্বালবী যিকির যারী-আল্লাহ হাফেজ-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকাশরীফ