আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতু
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীব শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার মূর্শীদ কেবলা দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে...
(মুখে বলি ভালবাসি অন্তরে বলি না )
আজ বিশ্ব নবী প্রেমিকদের উদ্দেশ্য করে লিখছিআমরা শুধু শরীয়তের দোহাই দিয়ে রাসুল(সা:)ওনাকে ভালবাসার কথা বলি আসলেএটা আমাদের ভালবাসা নাকি পাগলামী বিখ্যাত ইসলামি বিদ এবং খোদার ওলী খাজামঈন উদ্দিন চিশতী(র:)বলেছেন দুনিয়া চাও আবার খোদাও চাও এটা পাগলামানী ছাড়া কিছুইনা..ঠিক এই কথাটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় আমারনবী সারা দুহাজাহানের বাদশা সমস্ত ধন ভান্ডার তার হাতেরইশারার মধ্যে আল্লাহ দিয়ে রেখেছেন অতছ তার নিজ প্র্রয়োজনে এক ধুলি পরিমাণ অংশ ব্যয় করেননি আর আমরাসামান্য কিছু দুনিয়ার লোভে নিজ বাবামা কে ও হত্যা করতে দিধাবোধ করিনা তাহলে কি করে ভালবাসলাম সেই নবীকে। নবী করীম(সা:)বলেছেন হাদীসশরীফে-যে তার নিজ বাবা মা স্ত্রী সন্তান সন্তানাদির চেয়ে আমাকে বেশীভালবাসতে না পাড়বেসে কখনো খোদার সানিদ্ধ্য লাভ করতেপারবে না অতছ আমরা ধর্মের দোহাই দিয়ে রাসূল (সা:) দেখানো পথ কে অস্বীকার করে আবারওনাকেই ভালবাসার কথা বলছি এ কেমনভালবাসা জবাব দিবেনপাঠকগণ..? ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা হচ্ছে শরীয়ত -তরীকত-হাকীকত-মারেফত যে ব্যক্তির মধ্যে এই চারটির একটি বিদ্যা ও কম আছে সে ফাসিক ছাড়াকিছুই না বর্তমান অনেক মোল্লাদের কে দেখী দাড়ি টুপিসৌদীয়ান জুব্বা লাগিয়ে খুশবু লাগিয়ে ঘুড়েবেড়াচ্ছে বরং এলমেমারেফত তার মধ্যেনেই সেই মোল্লাদের থেকে দুরে থাকারআহবান জানাচ্ছি আবার যে ব্যক্তি শুধুমারেফত নিয়ে আছে শরীয়ত কে অস্বীকার করে তাদের কাছ থেকে ও দুরেসড়ে থাকার আহবানজানাচ্ছি কারণ খোদাপ্রাপ্তির পথে শরীয়তবিহীন মারেফতের কোন দাম নেই যেমনদেহের মাংস ছাড়াহাড্ডির কোন অস্তিত্ত নেই ঠিক দ্বীনইসলাম ও তেমনি। তাই খোদা ও নবী প্রেমীকদের বলতে চাই দুনিয়ার মহত্বছেড়ে শরীয়ত কে মান্য করে তরীকতের পথের অনুসন্ধান করে মারফেতর মধ্যে ডুবেথাকুন তাহলেই কেবলআল্লাহ রাসূলের দর্শনসম্ভব হবে অন্যথায় সবই বৃথা যাবে।
তেমনি ভালবেসেচেন আল্লাহর ওলীগণতাদের জীবন গুলোপর্যালোচনা করে দেখেনতারা কি দুনিয়ার মধ্যে ডুবে ছিলেননাকি আল্লাহ রাসূলের প্রেমে মগ্ন ছিলেনতেমনি আমার দয়ালশাহ সূফী হযরতমাওলানা মুহাম্মদ মোখলেসূর রহমান(রহ:)ওনার জীবনীআলোচনা করলে দেখাযায় ওনি বিবাহকরেছেন ওনি সংসারদারী করেছেন নামায রোযাদান খয়রাত করেছেন তরীকতের শিক্ষা লাভ করেছেন বনে জঙ্গলে রাত বিরাত ঘুড়েবেড়িয়েছেন পাগল বেশেশুধু খোদার প্রেমে. ওনার নিজ সংসারের মধ্যে চার ছেলেদুই মেয়ে ছিলেনবড় ছেলে পাগলঅবস্থায় নিজ ঘড়বাড়ী ছেঢ়েছেন অতচ আমারদয়াল তা নিজ হাতে বড়ন করে নিয়েছেণ কিন্তু আমরাকি তা পাড়বসামান্য আমার বাচ্চার অসুক হলে সারারাত ঘুমায় না আল্লাহর উপরে ভরসা রাখতেপারি না তাহলেকেমন ভালবাসলাম আমরা কি তাদের মত হতে পারছি.. না পেরে ও মুখেবলছি আমারা রাসূল(সা:) প্রাণের চেয়ে ও বেশি ভালবাসি আসলে এটা কোনভালবাসা না এঠা হলো আমাদের পাগলামি যা গরীবে নেওয়াজ বলে গেছেন। রাসূল(সা:) হাদীসে বলেছেন-আমি যা দেখি বা যা শুনি বা যা করতে চাই তা যদি তোমরা বুঝতে তাহলে তোমরা কমই হাসতে আর আরাম আয়েস করতেনা নারীদের সঙ্গেবিছানায় থাকতে না বরং ঘড় থেকে বের হয়ে বন জঙ্গলে ঘুড়েবেড়াতে খোদা প্রাপ্তির অন্বষণে।-মুসনাদে আহমাদ১ম খন্ড ৪৩ পৃ:-১৩ নং হাদিস..তাই পাঠকগণ আপনাদেরকে আদেশ করছিশরীয়তকে অনুসরণ করে তরীকতের কোন কামেলে মোকাম্মেল ওলীর নিকটবায়াত হয়ে মারেফতের ইলম অর্জন করুনতাহলে কেবল আল্লাহ রাসুলের সন্ধান মিলবে-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ