(সাইজুদা/প্রথম সৃষ্টি)
নূরে মোস্তফা
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম
= ======== =
ইমাম আজল সৈয়দুনা হযরত ইমাম মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু' ছাএ, ইমাম আজল সৈয়দুনা ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রাদিয়াল্লাহু আনহু' ওস্তাদ, আর ইমাম বুখারী মুসলিমের ওস্তাদের ওস্তাদ, হাফেজুল হাদিস, আহাদুল 'লাম আব্দুর রাযযাক আবু বকর বিন হুম্মাম তার 'মুসান্নাফে' উল্লেখ করেন-
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবেদন করলাম,
ইয়া রাসূলাল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম)! আমার মা-বাবা আপনার কদমে সর্গিত, আপনি দয়া করে বলুন, সকল বস্তুর পূর্বে সর্বপ্রথম আল্লাহ তা'আলা কোন বস্তুটি সৃষ্টি করেছিলেন?
নবীজী এরশাদ ফরমালেন,
''
নিশ্চয় আল্লাহ পাক সমস্ত কিছুর পূর্বে তোমার নবীর(আমার) নূরকেই তাঁরই নূর হতে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর ওই নূর আল্লাহ তা'আলার মর্জি মুতাবেক তাঁরই কুদরতি শক্তিতে পরিভ্রমণ করতে লাগল। ওই সময় না ছিল লৌহ-কলম, না ছিল বেহেশত-দোযখ, আর ছিল না আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য, মানব দানব
এক পর্যায়ে মহান আল্লাহ যখন সৃষ্টজগত পয়দা করার মনস্থ করলেন,
প্রথমেই ওই নূর মোবারক চারভাগে বিভক্ত করে প্রথম অংশ দিয়ে কলম, দ্বিতীয় অংশ দিয়ে লওহ, তৃতীয় অংশ দিয়ে আরশ সৃষ্টি করে চতুর্থাংশকে পুনরায় চারভাগে বিভক্ত করে -
প্রথমাংশ দিয়ে আরশ বহনকারী ফেরেশতাদের, দ্বিতীয় অংশ দ্বারা কুরসী, তৃতীয় অংশ দ্বারা অন্যান্য ফেরেশতাদের সৃষ্টি করে চতুর্থাংশকে আবারও চারভাগে বিভক্ত করে-
প্রথমভাগ দিয়ে সপ্ত আসমান, দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে সপ্ত যমীন, তৃতীয় ভাগ দিয়ে বেহেশত-দোযখ এবং পরবর্তী ভাগ দিয়ে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সকল বস্তু সৃষ্টি করেছেন।''
[সূএঃ ইমাম কুস্তলানীঃ আল মাওয়াহেবুল লাদুনিয়া, খন্ড-, পৃষ্ঠা-৭১;
ইমাম যুরকানীঃ শরহুল মাওয়াহিব, খন্ড-, পৃষ্ঠা: ৮৯-৯১;
হালভীঃ আস্ সিরাতুল হালভিয়া, খন্ড-, পৃষ্ঠা-৫০;
আল্লামা আজলুনীঃ কাশফুল খেফা, খন্ড-, পৃষ্ঠা-৩১১;
শায়খ আব্দুর রাযযাকঃ 'আল মুসান্নাফ';
নাবহানীঃ আল আনওয়ারুল মুহাম্মদিয়া, পৃষ্ঠা-১৩;
হুসায়ন বিন মুহাম্মদ দিয়ার বিকরীঃ 'তারিখে খামীস', খন্ড-, পৃষ্ঠা-২২;
ইমাম বায়হাকীঃ 'দালায়েলুন নবুয়ত';
শাহ আব্দুল হক মোহাদ্দেস দেহলভীঃ 'মাদারেজুন নবুওয়াত', খন্ড-, পৃষ্ঠা-;
ইমাম ইবনে হাজর মক্কীঃ 'আফযালুল কুরা';
আল্লামা ফাসীঃ 'মোতালেয়ুল মুসাররাত', পৃষ্ঠা-২২১]
হাদিস ইমাম বায়হাকী 'দালায়েলুন নবুয়তে' বর্ণনা করেছেন। যুগের দ্বীনের ইমামগণ যেমন ইমাম কুস্তলানী 'মাওয়াহে লাদুনিয়া', ইমাম ইবনে হাজর মক্কী 'আফযালুল কুরা', আল্লামা ফাসী 'মুতালেয়ুল মুসাররাত', আল্লামা যুরকানী 'শরহে মাওয়াহিব', আল্লামা দিয়ার বিকরী 'খামীছ'' এবং শেখ মোহাদ্দেস দেহলভী 'মাদারেজ' ইত্যাদি গ্রন্হে হাদিস থেকে সনদ গ্রহণ করেছেন এবং এর উপর ভরসা নির্ভর করেছেন।
মোট কথা, এটা(হাদিস) 'তালাক্কী উম্মত বিল কবুল'- এর মহা সম্মানিত মর্যাদা পেয়েছে।
সুতরাং হাদিসে হাসান, সালেহ গ্রহণযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য। তালাক্কী ওলামা বিল কবুল তথা উম্মতের আলেমগণের নিকট গ্রহণযোগ্যতা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যার পর সনদ দেখার কোনো প্রয়োজন নেই বরং সনদ যয়ীফ হলেও কোনো অসুবিধা নেই। ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযার 'মুনিরুল আয়ন ফী হুকমে তাকবীলুল ইবহামায়ন' গ্রন্থখানী পর্যালোচনা করে দেখতে পারেন


Top