আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (দ:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে...
(প্রসঙ্গ ইয়া রাসূলাল্রাহ বা ইয়া মুহাম্মদ (দ:)বলারবৈধতা)
কথায় আছে আদবে ইনসানবেয়াদবে শয়তান যার কারণে এই কুলখানিয়াত সৃষ্টি যার কারণেআমরা এই দ্বীনদুনিয়ার সকল কিছুভোগ করছি তার নাম যদি ইজ্জতের সহিত আদবের সহিতনা নেই তাহলেআমি কি করে আল্লাহ কে পাব যে আল্লাহ নিজেইপাক কোরানে বলতেছে যে ব্যক্তি আমাররাসূল কে মহব্বত করল সে যেন আমি আল্রাহকে মহব্বত করলো আর যে ব্যক্তি আমার রাসূলকে মহব্বত করল না এবং আমাররাসূলের নাম শুনারপর তার উপর দুরুদ পড়ল না আমি আল্লাহ তার উপরে খুশি হতে পারলাম না-সুবাহানাল্লাহ.এত বড় ইজ্জত আদব মুহাব্বত আল্লাহ দিয়েছেন আর আমরা নামধারী মুসলিম আজ তাকেঠিকমত ইজ্জত দেওয়াতো দুরের কথা তাকে ইয়া রাসূলাল্রাহ বরে ডাকব তাও নাকি আবার এটা শিরক হয়ে যায়-নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)বর্তমান নামধারী যে কত আলেম আছে ইয়া রাসূলাল্লাহ বলে ডাকাকে শিরকে ফতোয়া দিচ্ছে আসলে তারাকি আলেম আমারমনে হয় তারাইআলেম নামের জালেমকারণ তাদের দ্বারাই সাধারণ মুসল্লিগণ আজ বিভ্রান্তিতে ভোগছে কিন্তু সত্যকে আর কত গোপন রাখা যায় এক দিন না এক দিন তা প্রকাশ হবেই এটাইবিধির বিধান তাই এক ভাইয়ের সহযোগীতায় এবং আমি অধমেরপরিশ্রমে আপনাদের জন্যএই হাদীসগুলো খুজে বের করলাম যে (ইয়া রাসূলাল্লাহ বলা বৈধ এবং তা রাসূল (দ:)প্রিয়সাহাবীই ইয়া রাসূলাল্লাহ বলে ডেকেছেন)ইয়া রাসূলাল্লাহ বা ইয়া মুহাম্মদ বলার হাদীসগুলি নিম্নরুপ---
১.
হযরত আব্দুর রাহমান বিন সা’দ থেকেবর্ণিত, একবার হযরতআব্দুল্লাহ ইবনে উমাররাদিয়াল্লাহু আনহুমার এক পা অসাড় ও অনুভুতিশুন্য হয়ে গেল.ক লোক তাকেবললেন, আপনার সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তির নাম স্মরণ করুন.অতঃপরইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বললেন,ইয়া মুহাম্মাদ.রেফারেন্সঃ
১/আল আদাবুল মুফরাদ
ইমাম বুখারী
হাদীস/৯৬৪
হাদীসটির বিশুদ্ধতা :-
এই বর্ণনাকারী আবু ইসহাকআস সাবিয়ীর ব্যাপারে দেখুন, হাদীস শাস্ত্রের ইমামগণ কী বলেছেনঃ
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন,
আবু ইসহাক আস সাবিয়ী একজন নির্ভরযোগ্য হাদীস বর্ণনাকারী।
ইয়াহিয়া বিন মুয়ীন বলেন,
তিনি একজন নির্ভরযোগ্য হাদীস বর্ণনাকারী।
আলী বিন মাদীনী বলেন,
সমগ্র উম্মতের মধ্যে ছয়জনের নিকট ইলিম সংরক্ষিত তথা মাহফুয।
তন্মধ্যে একজন হলেন, আবু ইসহাক আস সাবিয়ী।
ইমাম যাহাবী বলেন,
আবু ইসহাক আস সাবিয়ীর বর্ণিত হাদীস দ্বারা দ্বীনের সকল বিষয়েদলীল প্রদান করা যাবে।
রেফারেন্সঃ
সিয়ারু আ’লামিন নুবালা
ইমাম যাহাবী
আত তাবাকাতুস সালিসাহ।
বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিসগণের মন্তব্য যার পক্ষে, সেই আবু ইসহাক আস সাবিয়ীর বর্ণিত আলোচ্য হাদিসটি নিঃসন্দেহে সহীহ তথা বিশুদ্ধ।
২.
-নবী দ.'র নাতনী, নবী দ.'র সাহাবী যাইনআব রাদ্বিআল্লাহু আনহার যাইনআব রা. কারবালার ময়দানে বলেছেন,
কারবালা থেকে ডাক দিলেনএবং বললেন-
ইয়া মুহাম্মাদা! ইয়া রাসূলআল্লাহ! দেখে যান, আপনার পুত্রদের হত্যা করে ফেলে রাখাহয়েছে।
আল কামিল ফিত তারিখ- ২ খন্ড ২৭৮, আল বিদায়া ওয়াননিহায়া - ৮ম খন্ড ২১০, তারিখে তাবারী - ২ খন্ড ৩৩৬
৩.
হজরত আবু বক্কর ছিদ্দিক (রা ) শাসন আমলে মিথ্যা নবীর দাবীদার "মুসায়লামা কাজ্জাব " এর বিরুদ্বে আমিরুল মুমিনীন হজরত খালিদবিন ওয়ালিদ এর
নেতৃত্বে ইমামা (ইরাক ) সেনাবিহিনী পাঠালে যুদ্ব চলাকালীন যখন তারা দিক নির্দেশনা হারিয়ে ফেলেতখন তারা সাহায্যর জন্য ডাক দেন,
ইয়া মুহাম্মাদা ,ইয়া মুহাম্মাদা
সুত্র : তারিখে তাবারী ,মুসায়লামা অধ্যায় , ,তারিখে কামিল - ইবনেআছির ১ম খন্ড-৪৪৮. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া -৭ম খন্ড ৪০৭
প্রিয় পাঠকগণ আমি এখানে৩টি হাদীস পেশ করলাম আপনারা আশাকরি আর বিভ্রান্তি হবেন না
এবং ইমাম বূখারী (র:)রচিত আল আদাবুল মুফরাদ হাদীস গ্রন্থে পেশ করেছেন যার আরবী এবারত এর ছবি সহ বাংলাঅনুবাদ দিলাম আশা করি একটু হলেওউপকৃত হবেন.আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝারতৌফিক দান করুক-আমিন.
বি:দ্র:-এই হাদীসটিতে লা মাযহাবীরা ষড়যন্ত্র করেছেএটার রহস্য আগামীপোষ্টে প্রকাশ করব.ইনশাল্লাহ দোয়া করবেনএবং আমাদের সাথেইথাকবেন এবং পোষ্টটি আপনার ইমানের সহিতশেয়ার করে সকলকেজানিয়ে দিন..আল্লাহ আমিন..প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ।