আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে...
(প্রসঙ্গ মাযহাব বা তাকলীদ প্রত্যেকের জন্য ওয়াজিব বা অত্যাবশক)
মাযহাব বা তাকলীদ কি...?...অন্যর আদেশ নির্দেশ কথা মতবাদ চিন্তাধারা ও আদর্শকে নির্ধিদায় মেনে চলা..ফিকহশাস্ত্রের মুলনীতীমালা কোরান হাদীস ইজমাযে উম্মতও সহী কিয়াসের ভিত্তিতে শরীয়তের মহাজ্ঞানের অধিকারী মাযহাবের ইমাম গণের প্রদও ব্যাখ্য চিন্তাধারা ও আদর্শকে নির্ধিদায় মেনে চলারনামই হলো মাযহাব বা তাকলীদ.শরীয়তী ভাষায় কোরান হাদীসের কোন স্থানে কী ব্যাখ্য করতে হবে এবং কোন অর্থকোথায় ব্যবহার করতেহবে তা মুসলিম মনীষীগণ তা নির্ধারন করে দিয়েছেন তাদেরএই গভেষণা ভিত্তিক আইনগুলি কে মেনেচলার নামই হলোতাকলীদ মা মাযহাব..
যারা বলেন তাকলীদ/মাযহাব মানিনা...?...আমাদের দেশে একটিধর্মীয় দল আছে যারা প্রকাশ্যে বলে মাযহাব মানাটা অবৈধবা নাযায়েয প্রচার করে মুলত তারাও প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভাবেমাযহাব মেনে চলে এবং তাদের অজ্ঞআলিমদের ব্যথ্যা ও নির্দেশ মেনে চলে মুলত এটাই হলোতাকলিদ...
কেন মাযহাব/তাকলিদ অনুসরণ করা ওয়াজিব...?...প্রকৃত পক্ষে শিক্ষিত মূর্খঅজ্ঞ নিরক্ষর ও অল্পশিক্ষিত মানুষের পক্ষেসরাসরি কুরআন ও হাদীস হতে হুকুমআহকাম আহরণ করা অসম্ভব এমনকি বর্তমান যুগর আলিমগণের পক্ষে কোরান হাদীস গবেষণা করে মাসআলা নির্ণয় করা খুব কঠিনব্যপার.এ জন্যইতাবেয়ীণ তাবে তাবেয়ীণদের মধ্যে বিশিষ্ট ইমামও মুজতাহিদ গণ কোরান হাদীস হতে শরীয়তের হুকুম আহকামমাসআলা তন্ন তন্নকরে নির্ণয় করে ফিকহশাস্ত্রে লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন.. যদি তখনখান যেগে ফিকহশাস্ত্রে শরীয়তের এসব মাসআলা লিপিবদ্ধ না হতো তাহলে বর্তমান সময়ে কোরান হাদীসযথাযথ আমল করা কারো পক্ষে সম্ভবহতো না..আশাকরি পাঠকগণ বুঝতে পেরেছেন কেন ৪ ইমামের মধ্যে যে কোন১ জন ইমামেম মাযহাব/তাকলিদ অনুসরণ করা ওয়াজিব..
মাযহাব বা তাকলিদ অনুসরন করা ওয়াজিব এ ব্যপারে কোরান হাদীসও ফতোয়ার দলিলপেশ করলাম আপনারাই বিচার করুন..........
রাসূল সাঃ এর মাযহাব কি?
মাযহাব কিএটা নিশ্চয় আগেরবক্তব্য দ্বারা স্পষ্টহয়েছে। সেই হিসেবেরাসূল সাঃ এরদুনিয়াতে কারো মাযহাবঅনুসরণের দরকার নাই।কারণ তিনি নিজেইতো শরীয়তপ্রণেতাদের একজন। তিনিকার ব্যাখ্যা গ্রহণকরে অনুসরণ করবেন? তিনি কেবল আল্লাহতায়ালার থেকেই সমাধানজেনে আমল করেছেন, এবং আমল করারনির্দেশ দিয়েছেন।
১.পবিত্র কোরানে আল্লাহ পাক বলতেছেন-যদি তোমরা না জান তাহলে বিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিকট জিজ্ঞাসা করে নাও..আরো এরশাদ করেছেন--হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহ,রাসূল (সা:)এবং উলিল আমরগণের অনুসরণ করো...এবার আসুন উলিল আমর বলতে কি বুঝিয়েছেন বিখ্যাত তাফসীর বিদগণ..তাফসীরে কবিরে ব্যখ্যা লিখা আছে..যে সকল উলামা শরীয়তের হুকুম আহকাম এবং জনগনকে দ্বীনী শিক্ষা দিযে থাকেন তাদেরকেই উলিল আমর বলা হয়..
এবং তাফসীরের শিরোমনি ইবনে আব্বাস (রা:)উক্তমতকেই প্রাধান্য দিয়েছেন...উল্লেখিত আয়াত সমুহের মধ্যেবিজ্ঞ আলেম ও ইমামদের অনুসরণ করারনির্দেশ দিয়েছেন মুসলমানদের প্রতি আল্লাহ পাক নিজেই..ফিকহশাস্ত্রের পরিভাষায় একে বলা হয় মাবহাব বা তাকলীদ..
২.দারমী শরিফে বর্ণিত আছে যে হযরতআতা (রহ:)বলেন, উলিল আমরের মর্মহলো ফকীহগন তার মানে ৪ ইমামের মধ্যে যে কোনএক জন.আর বিজ্ঞ আলিমগণ প্রমান করে যে ৪ ইমামের মধ্যে যে কোন ১ জন কে অনুসরণ করা আবশ্যক..
সাহাবীদের মাযহাব কি?
সাহাবায়ে কিরাম যারা সরাসরি রাসূল সাঃ এর কাছে ছিলেন তাদের জন্য রাসূল সাঃ এর ব্যাখ্যা অনুসরণ করা ছিল আবশ্যক। এছাড়া কারো ব্যাখ্যা নয়। কিন্তু যেই সকল সাহাবারা ছিলেন নবীজী সাঃ থেকে দূরে তারা সেই স্থানের বিজ্ঞ সাহাবীর মাযহাব তথা মত অনুসরণ করতেন। যেমন ইয়ামেনে হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ এর মত তথা মাযহাবের অনুসরণ হত। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ কে অনুসরণ করতেন ইরাকের মানুষ।
রাসূল সাঃ যখন মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ কে ইয়ামানে পাঠাতে মনস্ত করলেন তখন মুয়াজ রাঃ কে জিজ্ঞেস করলেন-“যখন তোমার কাছে বিচারের ভার ন্যস্ত হবে তখন তুমি কিভাবে ফায়সাল করবে?” তখন তিনি বললেন-“আমি ফায়সালা করব কিতাবুল্লাহ দ্বারা”। রাসূল সাঃ বললেন-“যদি কিতাবুল্লাহ এ না পাও?” তিনি বললেন-“তাহলে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাত দ্বারা ফায়সালা করব”। রাসূল সাঃ বললেন-“যদি রাসূলুল্লাহ এর সুন্নাতে না পাও?” তখন তিনি বললেন-“তাহলে আমি ইজতিহাদ তথা উদ্ভাবন করার চেষ্টা করব”। তখন রাসূল সাঃ তাঁর বুকে চাপড় মেরে বললেন-“যাবতীয় প্রশংসা ঐ আল্লাহর যিনি তাঁর রাসূলের প্রতিনিধিকে সেই তৌফিক দিয়েছেন যে ব্যাপারে তাঁর রাসূল সন্তুষ্ট”। {সূনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৩৫৯৪, সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-১৩২৭, সুনানে দারেমী, হাদিস নং-১৬৮, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২০৬১}
এই হাদীসে লক্ষ্য করুন-রাসূল সাঃ এর জীবদ্দশায় হযরত মুয়াজ রাঃ বলছেন যে, আমি কুরআন সুন্নাহ এ না পেলে নিজ থেকে ইজতিহাদ করব, আল্লাহর নবী বললেন-“আল হামদুলিল্লাহ”। আর ইয়ামেনের লোকদের উপর হযরত মুয়াজের মত তথা মাযহাব অনুসরণ যে আবশ্যক এটাও কিন্তু হাদীস দ্বারা স্পষ্ট।
৩.তিরমিযী শরীফেবর্ণিত আছে যে হযরত হুযায়ফা (রা:)বলেন রাসূল (সা:)বলেছেন আমি জানিনা আমি তোমাদের মধ্যে কতদিন থাকব সুতারং আমার পরে তোমরা আবু বক্কর ও ওমর কে অনুসরণ করিও (হযরত-রা:)..পাঠকগণ এখান থেকেবুঝে নিন নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তারাখলীফা নিযুক্ত ছিলেনএবং সেই সময় পর্যন্ত তাদেরকে অনুসরন করাই ছিল ব্যক্তি বিশেষের তাকলীদ যা রাসূল (সা:)নিজেইআদেশ করে গিয়েছেন আমাদের জন্য..
রাসূল সাঃ যখন মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ কে ইয়ামানে পাঠাতে মনস্ত করলেন তখন মুয়াজ রাঃ কে জিজ্ঞেস করলেন-“যখন তোমার কাছে বিচারের ভার ন্যস্ত হবে তখন তুমি কিভাবে ফায়সাল করবে?” তখন তিনি বললেন-“আমি ফায়সালা করব কিতাবুল্লাহ দ্বারা”। রাসূল সাঃ বললেন-“যদি কিতাবুল্লাহ এ না পাও?” তিনি বললেন-“তাহলে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাত দ্বারা ফায়সালা করব”। রাসূল সাঃ বললেন-“যদি রাসূলুল্লাহ এর সুন্নাতে না পাও?” তখন তিনি বললেন-“তাহলে আমি ইজতিহাদ তথা উদ্ভাবন করার চেষ্টা করব”। তখন রাসূল সাঃ তাঁর বুকে চাপড় মেরে বললেন-“যাবতীয় প্রশংসা ঐ আল্লাহর যিনি তাঁর রাসূলের প্রতিনিধিকে সেই তৌফিক দিয়েছেন যে ব্যাপারে তাঁর রাসূল সন্তুষ্ট”। {সূনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৩৫৯৪, সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-১৩২৭, সুনানে দারেমী, হাদিস নং-১৬৮, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২০৬১}
এই হাদীসে লক্ষ্য করুন-রাসূল সাঃ এর জীবদ্দশায় হযরত মুয়াজ রাঃ বলছেন যে, আমি কুরআন সুন্নাহ এ না পেলে নিজ থেকে ইজতিহাদ করব, আল্লাহর নবী বললেন-“আল হামদুলিল্লাহ”। আর ইয়ামেনের লোকদের উপর হযরত মুয়াজের মত তথা মাযহাব অনুসরণ যে আবশ্যক এটাও কিন্তু হাদীস দ্বারা স্পষ্ট।
৩.তিরমিযী শরীফেবর্ণিত আছে যে হযরত হুযায়ফা (রা:)বলেন রাসূল (সা:)বলেছেন আমি জানিনা আমি তোমাদের মধ্যে কতদিন থাকব সুতারং আমার পরে তোমরা আবু বক্কর ও ওমর কে অনুসরণ করিও (হযরত-রা:)..পাঠকগণ এখান থেকেবুঝে নিন নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তারাখলীফা নিযুক্ত ছিলেনএবং সেই সময় পর্যন্ত তাদেরকে অনুসরন করাই ছিল ব্যক্তি বিশেষের তাকলীদ যা রাসূল (সা:)নিজেইআদেশ করে গিয়েছেন আমাদের জন্য..
অন্য এক বর্ণনা আছে যে রাসল (সা:)এরশাদ করেছেন তোমাদের অবশ্যই অনুসরন করে চলতে হবে আমারসুন্নাত এবং হীদায়ত প্রাপ্ত সত্যপন্থী খলীফাদের সুন্নাত তোমরা তা ধরে রাখবে দাত দিয়েকামড়ে ধরে স্থিরহয়ে থাকবে..পাঠকগণ এখান ধেকে বুঝাগেল ব্যক্তি বিশেষের অনুসরণ বা মাযহাব/তাকলিদ করা বৈধ..
৪.বুখারী ও আবু দাউদ শরীফে উল্লেখ আছে যে,হযরতআসওয়াদ ইবনে ইয়যীদহতে বর্ণিত তিনিবলেছেন মুয়ায (রা:)দ্বীনী আহকামের শিক্ষক এবং গর্ভনর নিযুক্ত হয়ে ইয়ামেন প্রদেশে আগমন করেন.আমরাতার নিকট জিজ্ঞাসা করি যে,একটিকন্যা ও বোনরেখে এক ব্যক্তি মৃত্যু বরন করলোতার সম্পদ কিভাবে আমরা ভাগ বাটোয়ারা করব..?তখন হযরত মুয়ায (রা:)আদেশদিলেন যে কন্যাএ বোন উভয়কেঅর্ধাংশ হারে মৃত ব্যক্তির সম্পদের মালিকহবে.তখন রাসূল(সা:)জীবীত ছিলেন..পাঠকগণ খেয়াল করেনরাসল (সা:)জীবদ্দশায় থাকা অবস্থায় তাকলীদ বা মাযহাব প্রচলিত ছিল.
৫.সাহাবগণের তাকলীদ করার জন্য জনসাধারণ গণের প্রতি আহবান জানিয়ে খলীফা উমর ইবনে আব্দুল আযিয (রহ:)বলেছেন.তোমরা ঐ অভিমত গ্রহণ করো যা তোমাদের পূর্ববর্তী ব্যক্তিদের অনুকল কেননা তারা তোমাদের চেয়ে বেশী বিজ্ঞ ও জ্ঞ্যনী ছিলেন..এ কথা দ্বারা প্রমানিত হয় যে তাকলীদ মা মাযহাবের প্রয়োজন্য অত্যবশ্যক অতএব সাম্প্রতিক কালের ৪ ইমামের যে কোন ১ জনের তাকলীদ বা মাযহাব পালন করা প্রত্যেকের জন্য ওয়াজিব.
৬.ইয়ামুব নামক গ্রন্থে মাওলানা আব্দুল হক লিখেছেন,ইজতিহাদ বা গবেষণা করার যোগ্যতা যার নাই তার জন্য অন্য কোন মুজতাহিদের তাকলীদ বা মাযহাব পালন করা অত্যবশ্যক.ইজতিহাদ করার মত সম্যক্ষ জ্ঞ্যনের অভাব থাকলে যে কোন অবস্থায় তাকে অন্যর অনুসরণ করে চলতে হবে..
৭.আল্লামা কামালুদ্দীন ইবনুল হুমাম 'ফতহুল কাদীর'কিতাবে লিখেছেন চার ইমামের বিপরীত কোন মাযহাবে অনুসরণ করা যাবে না বলে বিজ্ঞ আলিমদের এজমা (সমবেত মত) হয়েছে.
৮.মোল্লাজীওন তার তাফসীরে আহমদি,কাযী সানাউল্লাহ পানিপথী তাফসীরে মাযহারী এবং শাহ ওলীউল্লাহ ইকদুল জীদ কিতাবে লিখেছেন, সমবেত মতে শুধু চার ইমামের যে কোন এক জনের তাকলীদ বা মাযহাব অনুসরণ করতে হবে.
৯.হাদায়েকে হানাফিয়া গ্রন্থে হাশিয়ায়ে তাহতাবী হতে বর্ণিত আছে যে,কোন কোন তাফসীকার বলেছেন ৪ মাযহাবের লোক হলো মুক্তির অধীকারী -আহলে সুন্নাত দলভুক্ত আর যারা ৪ মাযহাবের বর্হিভুত তারা বিদআতী ও জাহান্নামী..
১০.হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলবী আল আশবা ওয়ান নাযাইর গ্রন্থে লিখেছেন ৪ মাযহাবের বিরোধী ৫ম কোন দল বা মাযহাবের আমল করা অবৈধ এ সম্পর্কে এজমা রয়েছে, কারণ ৪টি মাযহাব সুসংহত,বিধিবদ্ধ এবং পরিশুদ্ধ.এবয়য় তারাই পরিপূর্ণ মাসাআলা প্রদান করেছেন.
১১.তাফসীরে বায়যাবীর ১/২০৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে,মুজতাহিতগণদের অনুসরণ করা ওয়াজিব.আরো ২০৯/২১০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে,পয়গম্বর ও ইমামগণের অনুসরণ করা মানে কোরান শরীফের অনুসরন করা.তাফসীরে কবীরের ৩/১৮০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে,কোরান শরীফের সূরা নিসার ৫৯ নং আয়াতে প্রমানিত হয় যে সাধারণ লোকের পক্ষে মুজতাহিদ গণের তাকলীদ পালন করা ওয়াজিব.
১২. হাদায়াকে হানাফিয়া কিতাবে উল্লেখ আছে যে,চতুষ্ঠ ইমামের মুকাল্লিদ অনুসারী লোকগণ স্ব স্ব ইমামের নাম অনুসারে হানাফী,মালেকী,হাম্বলী,শাফেয়ী,বলে কথিত হবার কারণ এই যে তা মাযহাব চতুষ্ঠয়ের নামকরণ পৃথক পৃথক হয়েছে মুলত সকলেই মুহাম্মদী অর্থাত রাসূলে করীম হযরত মুহাম্মদ (সা:)ওনার আনুগামী এবং নিজ নিজ ইমামের তাকলীদ করত তাদের অনুসরণ করাই প্রকৃত পক্ষে হযরত মুহাম্মদ (সা:)ওনার অনুসরণ করা.ইমামের সাথে এই সমন্ধকে যারা দোষারোপ করে এবং তা শরীয়তের বর্হিভুত বলে ধারণা করে তারা নিজেরাও ভ্রান্ত এবং অপরকে পথভ্রষ্ঠ করে..
১৩.উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে,৪ মাযহাবের ইমামগণের মধ্যে যে কোন এক জনের তাকলীদ মা মাযহাব অনুসরণ করা ওয়াজীব,শরীয়তে এর গুরুত্ব এত যে মানিত এক মাযহাব পরিত্যগ করে অন্য কোন মাযহাবে যাওয়া কারো পক্ষে যায়েয নেই..এবং দুররুল মুখতারের তাজিরের অধ্যায়ে লিখিত আছে যে,যে ব্যক্তি নিজ মাযহাব পরিত্যগ করে (শাফীয়ে) মাযহাব বা অন্য কোন মাযহাব গ্রহণ করে সে শাস্তির যোগ্য.
১৪.শিরাজিয়া কিতাবে তাজীরের অধ্যায়ে লিখিত আছে-আবু হাফস কবীর বুখারির পুত্র, আব্দুল্লাহ ততপুত্র আবু হাফস শাফীয়গণের আধিক্যবশত উক্ত মাযহাব অবলম্বন করেছেন এতে তার প্রতি শাস্তি এ দেশ ত্যাগের আদেশ হয়েছিল,
১৫.কানযুল উম্মাল হতে মাওলানা আব্দুল হক মুহাজেরী মক্কী একটু হাদীস উদ্বৃত করেছেন যে,আমার উম্মতগণের মধ্যে শীঘ্রই কয়েকটি সম্প্রাদয় আর্বিভাব হবে যারা ফকীহগণের কোন কোন মাসআলা ভুল মনে করবে তারা আমার মধ্যে জঘন্য..
উপরে উল্লেখিত কোরান হাদীস এবং ইসলামী বিধানগণের উক্তিসমূহের ভিত্তিতে স্পষ্টই প্রতিভাত হয় যে, তথাকথিত আহলে হাদিস সম্প্রদায় মাযহাব মান্য করা বা তাকলীদ করা যে বিদাত বা অবৈধ মনে করে তা বাতিলযোগ্য প্রমাণ হলো বরয় সাম্প্রতিকালে সকল মুমিন ও মুসলমানকে চার মাযহাবের যে কোন ১ মাযহাবের অনুসারী হতে হবে..চার মাযজাবের মধ্যে কিছু বিষয় মত পার্থক্য থাকলে ও এদের মধ্যে মৌলিক বিষয়ে কোন পার্থক্য নেই তারা একে অন্যের মাযহাবকে অনুমোদন দান করেছেন.
সর্বশেষে আমি অধম সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই মাযহাব ও তাকলীদ বিরোধীরা সাম্প্রতিক কালে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে মাযহাব ও তাকলীদের বিরুদ্ধাচারণ করে চলছে তাই ধর্মপ্রাণ মুসলিমদেরকে মাযহাব বা তাকলীদের গুরুত্ব বুঝা অপরিহার্য.আল্লাহপাক আমাদেরকে ৪ মাযহাবের গুরুত্ব অনুভব এবং ৪ মাযহাবের রীথীনীথী যথাযথ ভাবে পালন করে ওলীদের সাথে থেকে সিরাতুল মুস্তাকিমে চলার তৌফিক যেন আল্লাহ সুবাহানু তাআলা দান করেন আমিন আমিন সুম্মা আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ