আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে...
(মাযহাব অনুসরণ করা ওয়াজিব সূরানিসার ৫৯ নং আয়াতের তাফসীর সাপেক্ষে)
আজকাল মাযহাবের নাম শুনলেই বর্তমান যামানার কিছুলোকের মধ্যে হিংসাপ্রতিহিংসার আগুন জ্বলেউঠে আসলে এই হিংসা প্রতিহিংসার মানে কি কেউ বলতেপারেন আমি ধারণাকরছি এবং বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামগণের বিভিন্ন মতবাদও রাসূল (সা:)ওনার হাদীস দেখেবুঝলাম যারা মাযহাব কে অস্বীকার করে তারা ইসলামের মধ্যেবিভিন্ন ফেতনা সৃষ্টি করে মুসলিমদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করতে চায় আর বর্তমানে এটাই হচ্ছেআমার আকায়ে মদীনারাসূল (সা:)ওনি বলেছেন তোমরা পূর্ববতীগণদের অনুসরণ করো তারা যদি সাপের গর্তে হাত দেয় তোমরা ও তা করো-সুবাহানাল্লাহ কিন্তু বর্তমান যামানার কিছুদল বের হয়েছেযারা টিভিতে বসে পূর্ববর্তী ইমামগণদের নামে বিভিন্ন কুরুচী মন্তব্য করে যাচ্ছে তারাবলে কোন মাযহাব মানতে হবে না শুধু কোরান ও সহীহ হাদীস অনুসরণ করলেই হবে. যদি শুধু মাত্র কোরান হাদীস অনুসরণ করতেবলাই হতো তাহলেসূরা ফাতিহায় ৫ ও ৬ নং আয়াতে কেন বলা হলো যাদেরকে আল্লাহ হেদায়াত দিয়ে পাঠিয়েছেন তাদেরকে অনুসরণ করতেআছে কি কোনজবাব লা-মাযহাবী ভাইদের কাছে.? আপনিযদি কোরান হাদীসদিয়ে সবি বুঝেযান তাহলে মাদ্রাসার শিক্ষক বা ওস্তাদের কি প্রয়োজন ছিলো কোরান আর হাদীসতো সামনেই আছে আর আল্লাহ সুবাহানু তাআলার কি বা দরকানছিলো যুগে যুগেনবী রাসূলগণকে পাঠানোর কোরান আর হাদীসইতো সবকিছুর সমাধান...শুধু কোরান হাদীস যে সরলপথ না সেটাবুঝানোর জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সূরাফাতিহা থেকে শুরুকরে সূরা নিসাসহ আরো অন্যান্য সূরায় মুজতাহিদগণদের অনুসরণ করতেবলা হয়েছে কিন্তু বর্তমান যামানার বেকুবের দল তাদের নামেডাহা জালিয়াতী করে তাদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সাধারণ মানুষকে একা একা হাটতে শিখাচ্ছে কিন্তু মানূষ কি বোকাএকাই একাই হাটতেচায় কারো সাহায্য ছাড়া তাদের ধোকায়া পড়ে হায় আফসোস তাদের জন্য..কিছুদিন আগে একটি ছবি পোষ্ট করেছিলাম সেটার মধ্যে একটু বুঝিযে ছিলাম যে আপনি ধরেন কিশোরগন্জ ধেকে ঢাকা যাবেনতো ঢাকা যাওয়ার ৪টি রাস্তা আছে রাস্তা গুলি হচ্ছেবিমান-ট্রেন-বাস-লঞ্চ এই ৪টি রাস্তা বহন করে আপনি ঢাকা যেতেপারবেন এই ৪টি কিন্তু একই জায়গায় নিয়ে পৌছাবে আপনাকে ৪টি গন্তব্য স্থান৪ জায়গা না একই জায়গা আর তা হলো ঢাকাসুতরাং আমাদের ইসলামের মধ্যে কোরান হাদীসপর্যালোচনা করে রাসূল(সা:)বেলা থেকেশুরু করে হিজরী৪ সালে পরিপূর্ণ ইসলামী শরীয়তের আইন গঠন করে দেন এই ৪ ইমামতাদের সবার গন্তব্য স্থান একটি তা হলো আল্লাহ রাসূল(সা:)কে পাওয়ারাস্তা ৪ রকম হতে পারে এতে কিছু যাই আসেনাআবার আপনি বলবেনযে তারা তো মানুষ তাদের ভুল হতেই পারে কিন্তু মজার ব্যপার এখানেযদি কোরান হাদীসদিয়ে ইজতিহাদ করতেগিয়ে যদি ৪ ইমামের কেউ ভুল করেন তাদের আপনারভয়ের কিছু নেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সেই ভুল ইজতিহাদের ক্ষেত্রে গুনাহ না দিয়ে সওয়াব দিবেনতবে সওয়াব খানিকটা কম হবে কিন্তু আমল করলে গুনাহহবেনা (হাদীস শরীফ)আর আল্লাহ যাদেরকে নবী রাসূলগণদের পরে উম্মতের জন্য হেদায়াতে দিয়ে পাঠিয়েছেন তারা কোন ভুল করতেপারে না বলে আমার ১০০% দীড় বিশ্বাস কারণ তাদেরঅনুসরণ করলেই যে আমার রাসূল (সা:)ওনাকে অনুসরণ করা হয় আর রাসূলকে অনুরসরণ করলেই যে আল্লাহ কে অনুরসরণ করা হয়. তাই আসূল হিংসা প্রতিহিংসার ঘোড়ামী ছেড়ে কোরান হাদীস ইজমা কিয়াসকে মেনে আল্লাহ রাসূলকে ডাকি আর যদি আপনারা মাযহাবের মুজতাহিদ ইমাম গন দের অস্বীকার করেন বা পুরো মাযহাবটাকেই অস্বীকার করেন তাহলেকোরান মতে আপনারা জাহান্নামী আয়াতটির তাফসীর পড়ে দেখবেন যে যারা মাযাহাব বা কিয়াস কে অস্বীকার করে তারা জাহান্নামী-সূরা-নিসা-১১৫ আয়াত-তাই আমরাসবাই আল্লাহর কাছেপ্রার্থনা করি আল্লাহ যেন আমাদের সরলপথে চলার তৌফিক দান করেন-আমিন-ভুল হলে ক্ষমার চোখেদেখবেন সবাই-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকাশরীফ