দেওবন্দি মুসলমান না । তাদের দেওবন্দি আলেমের ফতোয়া দেখুন ।
আব্দুল্লাহ আহমেদাবাদী নামের এই দেওবন্দি বিগত দিনে নাকানি চুবানি খেয়ে অন্য রাস্তা না পেয়ে শুরু করেছিল আশরাফ আলী থানবীর কিতাব আলা হযরত আহমেদ রেজা খান (রহ) এর নামে চালিয়েছিল দেয়া ।
কিতাবের পাতা সে এমন সুন্দর করে এডিট করেছিল তা আসলেই দেখার মত ছিল ।
জানি না। আজকে সে কি করবে ।
তাদের বিখ্যাত আলেম মাওলানা খলিল আহমেদ সাহারানপুরী এর লিখছ ফতোয়া মিল্ক কিতাব (গেওবন্দি আহলে সুন্নাতের আকিদা)
আল হাবীব প্রকাশনি থেকে প্রকাশিত কিতাবের ৬৪ নং পাতায় প্রশ্ন আকারে বলা হয়েছে যে ;-
একবিংশ জিগ্গাসা ;- রাসুলে করীম (সা) শুভ জন্ম আলোচনা বা মীলাদ শরীফ পাঠ কে আপনারা বেদাতে সাইয়্যাহ মুহাররামা (মন্দ বেদাত যা হারাম) বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন কি না ?
উত্তর ;- রসুলে করীম (সা) এর মুবারক বেলাদাতের আলোচনা বা বা মীলাদ শরীফ পাঠ বা এমন কি তার পাদুকা সংশ্লিষ্ট ধুলি অথবা তার বাহন গাধাটীর পেস্রাব বা পায়খানা মুবারকের আলোচনা আমরা কেন ? সাধারন কোন মুসলমান একে বেদাতে সাইয়্যাহ মুহাররামা বা হারাম বলতে পারে না ।
ঐ সব অবস্থা যা রসুলে করীম (সা) এর সাথে বিন্দু মাত্র সম্পর্ক যুক্ত আছে তার আলোচনা আমাদের কাছে উন্নতমানের মুস্তাহাব ও অধীকতর পছন্দনিয় । হোক না তার পেসাব , পায়খানা, দাড়ানো বা বৈঠক , স্বপন অথবা জাগরন যা কিছুই হোক তার সব কিছুই আমাদের কাছে অত্যন্ত উন্নতমানের মুসতাহাব কাজ বলে পরিগনিত ।
এসবের বিস্তারিত বর্ননা আমাদের রচিত (বারাহীনে কাতেয়া ) গ্রন্থে সর্বত্রেই আলোচিত হয়েছে । যেমন আমাদের পুর্বসুরী ও তাদের ফতোয়া যেমন মাওলানা সাহারানপুরী পুরী , যিনি শাহ মোহাম্ম্দ ইশহাক দেহলভীর শিষ্য এবং হাজী মক্কি (রহ) এর শিষ্য আহমেদ আলী সাহারানপুরী পুরীর ফতোয়া আমরা অনুবাদ করে প্রকাশ করেছি ।যা আমাদের সকল লেখনীর মডেল হিসেবে মনে করি ।
মাওলানা সাহেব কে কেউ না কি জিগ্গেস করেছিল যে , মীলাদ শরিফের মেহফিল কোন রুপ রেখায় যায়েয ? তদুত্তরে তিনি লিখেন যে ;- রসুলে করিম (সা) এর মিলাদ মেহফিল যদি ফরজ ও ওয়াজীব ইবাদতের সময় ব্যাতিরেকে বিশুদ্ধ রেবায়েত সমুহের মাধ্যমে সাহাবায়ে কিরামসহ কুরুনে সালাসা বা উত্তম তিন যুগের বিপরীতমুখি বা পরিপন্থি না হয় (যে যুগ উত্তম যুগ হিসেবে অভিহিত )
যে যুগগুলো কুরুনে সালাসা বলে অভিহিত ও শিরকের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন ভ্রান্ত আকিদা নাই , সাহাবায় কেরামদের আদব বা শিষ্টাচারের পরিপন্থি না হয় , তবে মুস্তাহাব হওয়া বাত্যিত অন্যতা হওয়ার কোন অবকাশ নাই । কারন তরাই তো মাপকাটী বা মেছদাক ।
কেননা রসুলে করিম (সা) বলেছেন যে তাই সঠিক যার উপর আমি ও আমার সাহাবাকেরামগন রয়েছে ।
আবারো পরিষ্কার ভাষার আমরা বলব যে , বিশুদ্ধ নিয়্যাত , আকিদা ও শরিয়াত নিষিদ্ধ কার্যাবলী ব্যাতীত যে মাহফিলে মীলাদ পাঠ সহ রসুলে কারীম (সা) এক যে কোন অবস্থ ও কার্যাবলির যে কোন আলোচনা যদি শর্ত মুক্ত সময়ে আলোচিত হয় তা হলে এমন কাজের বিরুধিতা আমরা করি না । বরং যদি শরিয়াত বিরোধি এমন কাজ কোন মেহফিলে করা হয় তা হলে আমরা শুধু শরিয়াত বিরুধি কার্যাবলিরই বিরুধিতা করে থাকি ।যেমন আমরা দেখেছি হিন্দুস্থানের মীলাদ মাহফিল সমুহে উদ্ভট ও মওজু বর্ননা করা হয় । নারী পুরুষের সমবিহার থাকে । আলোকসজ্জা করা হয় ও ওনেক অপচয় ও করা হয় । এমন মাহফিল ওয়াজীব মনে করা হয় ।তারই সাথে এমন মাহফিলে যারা উপস্তিত হয় না তাদের কে গালাগালি ও কাফের আখ্যা দেয়া হয় । এ ছারা আরো ওনেক উদ্ভট বিষয়বস্তুর অবতারনা করা হয় ।
মীলাদ শরিফে যদি এমন এমন কার্য়াবলি ছারা পালিত হয় তা হলে কেন আমরা না যায়েজ বলব ? এমন মন্দ কথা তো কোন মুসলমানের পক্ষে বলা সম্ভব নয় । এটা আমাদের প্রতি বিদ্বেষিদের মিথ্যা অপবাদ । আল্লাহ তাদেরকে জ্বলে স্থলে বরবাদ করুন ( আমিন )
সুত্র (দেওবন্দি আহলে সুন্নাতের আকিদা ) ৬৪-৬৫-৬৬ নং পাতা ।
উপরে যে কথা গুলো আপনারা পড়েছেন এই কথা গুলো দেওবন্দিদের প্রখ্যাত আলেম খলিল আহমেদ সাহারানপুরী(আল্লাহ রহম করুন ওনার প্রতি ) কতই সুন্দর করে মিলাদ শরীফ পালন করা ও তার উন্নত মুসতাহাব হওয়া ও মীলাদ শফির পাঠ করার একটা সরিয়ত সম্মত রুপ রেখা ও বলে দিয়েছেন যা প্রথম তিন যুগের আদব ও শিষ্টাচারের আওতাভুক্ত ।
আজ পর্য়ন্ত আমি এমন কোন মীলাদ শরিফের মাহফিলে শরিয়াত বিরুধি কাজ যেমন নাচ, গান, জুয়ার আসর , মেয়েদের আনাগোনা , মেলা মেশা দেখিনাই।
তবে হা। আমি এটা মানতে বাধ্য যে চিটাগাং এ যা করা হয় তা আমার মতে শরিয়াত সিদ্ধ নেয়। যেমন মিছিল বের করা , নারী পুরুষ স্লোগান দেওয়া , নাম ধারী পীরেরা গাড়িতে চড়ে গলি গলি ঘুড়ে বেড়ানো আমি নিজে ও ঠিক মনে করি না ।
এবং এটা ও বলে দিয়েছেন যে (- মীলাদ শরিফ পাঠে যদি শরিয়াত নিষিদ্ধ কার্য়াবলি না থাকে তা হলে আমরা কেন বেদাত বা হারাম বলব ? বরং এমন কথা তো মুসলমানের পক্ষে বলা সম্ভব নয় । ৬৮ নং পৃষ্টা ।
এখন কথা হচ্ছে যে এই আব্দুল্লাহ আহমেদাবাদী মীলাদ পাঠ কে হারাম বললো প্রকাশ্য । বেদাত বললো । বরং সে এমন বলেন নাই যে মীলাদ পাঠে যে শরিয়াত নিষিদ্ধ কাজ আছে তা হারাম ।
বরং নবী পাকের বিলাদত শরিফ কে বেদাত (নাউযুবিল্লাহ) ও হারাম বলে তারা তাদের আলেমদের কথায় মুসলমানদের লিষ্ট থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে ।
আমরা তাদের কে কাফের জিন্দিক বলার দরকার নাই। তারা নিজেরাই খারিজ হয়ে গেছে তাদের আলেমদের কথায় ।
তাছারা তাদের মুজাদ্দেদ আশরাফ আলি থানভী কি বলে দেখুন (- দেওবন্দী দের মোজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবীর কিতাব (ইচ্লাহুর রূসুম ) কিতাবের তৃতীয় অধ্যায় এর প্রথম পরিচ্ছেদ ১০১ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মিলাদ ৩ প্রকারে ভাগ করে প্রথম প্রকার মিলাদ এর বিষয় বলেছেন যে ;- এই প্রকার মিলাদ মেহফিলে কোনো প্রকার সর্তাবলী অনুসরণ করা হয় না। মুলুত কিছু লোক একত্রিত হয়ে নবী কুল শিরোমনি আহমাদ মুস্তফা মোহাম্মদ মুস্তফা সল্লেল্লাহু আলাহিস সালাম এর প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ ও অনার জন্ম,জীবন,চাল,চলন,সান,শওকাত ,মুজেজা সমন্ধে বিশুদ্ধ বর্ণনা করা ও কোনো কিতাব পাঠ করা। আলোচনার সাপেক্ষে সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের না করার উপদেশ্দানে কুন্ঠিত বোধ না করা অথবা শরীয়াতের বিধিবিধান হুকুম আহকাম শিক্ষাদানের নিমিত্তে আয়োজিত মেহফিলে নবী পাক অলায়হিস সালাম এর জীবনী বর্ণনা করা। এই প্রকার মিলাদ মেহফিল নির্ভেজাল,জায়েজ ও মুস্তাহাব ও সুন্নাত।এই ভাবেই রাসুল সল্লেল্লাহু আলাইহিস সালাম শিয় জীবন ও মর্যাদার আলোচনা করে গেছেন। সাহাবীদের থেকে ও এই ভাবে মিলাদ এর বর্ণনা পাওয়া যায়। মুহাদ্দিসীন কেরামগণ আজ পর্যন্ত যথারীতি চালু রেখেছেন আর আর কিয়ামত পর্যন্ত এই বিশুদ্ধ নীতি চালু থাকবে। (ইচ্লাহুর রূসুম ) তৃতীয় অধ্যায় প্রথম পরিচ্ছেদ পৃষ্টা ১০১.
কিতাবের পেজ যার প্রয়োজন কমেন্টস এ বলুন। ইনশাল্লাহ দিয়ে দিব।
নিচে আরো অনেক কথা আছে তা তুলে ধরা আবশ্যক মনে না করে তুলে ধরলাম না। কেউ দেখতে চাইলে কিতাবের পাজেই দিয়ে দিব। দেখে নিয়েন।
এখন আমার কথা হচ্ছে যে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী দেওবিন্দী দের আজিম মোজাদ্দেদ ,হাকীমুল উম্মত এর কিতাবে মিলাদ সরিফ পালন করা কে নির্ভেজাল ,জায়েজ, মুস্তাহাব ও সুন্নাত বলে নিজের রায় দিলেন।
আর আমার মতে আশরাফ আলী থান্বির তুলে ধরা সর্ত গুলো ও যথাযথ পালন করা হয় প্রতিটা মিলাদের অনুষ্ঠানে।
সোহেল রানা--প্রচারে-মোখলেছিয়া সূ্ন্নী খানকা শরীফ

Top