সকল দেওবন্দী ওহাবীদের প্রধান মুরুব্বীদের ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামপালনের পক্ষে ফতোয়া
দেওবন্দী, তাবলীগি দেরচাইতে বড় ভন্ডমুনাফিক দুনিয়ায় আছেকিনা সন্দেহ আছে।আমারা যে আমলগুলো করলে তারাশিরক- বিদয়াতের গরমফতোয়া দেয়, সেকাজগুলো তাদের মুরুব্বীরা করলোসম্পূর্ণ নিশ্চুপ থাকে
সকলনবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম উনারআশেকগনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, উনারা মীলাদ শরীফএবং ক্বিয়াম শরীফকরে থাকেন। অথচদেওবন্দীতাবলীগি- কওমীখারেজীরা এইটাকে সরাসরিবিদয়াত/ কুফরী/ শিরিকফতোয়া দিয়ে থাকে
অথচ, এই দেওবন্দী তাবলীগি দেরমুরুব্বীরা এই মীলাদশরীফ এবং ক্বিয়াম শরীফকেজায়েজ বলেই ফতোয়াপ্রদান করেছে এবংপালনও করেছে
আসুনতাদের কিতাব থেকেইদলীল প্রদান করি
আশরাফআলী থানবী , রশিদআহমদ গাঙ্গুহী, সহসকল উলামায়ে দেওবন্দীদের পীরশায়েখে আরব ওয়ালআযম ,হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কীরহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁরকিতাবে বর্ননা করেন–>
مولود شريف كو ذريعه بركلت سمجه كر هر سال منعقد كرتاهون اورقيام كے وقت بے حد لطف ولذت پاتاهوی
অর্থ- মীলাদ শরীফের মাহফিলকে বরকতলাভের উসিলা মনেকরে আমি প্রতিবছর মীলাদ শরীফএর মজলিস করিএবং মীলাদ মাহফিলে ক্বিয়াম শরীফকরার সময় আমিঅশেষ আনন্দ স্বাদ উপভোগ করি।
দলীল
ফয়সালায়ে হাফতে মাসায়লা পৃষ্ঠা
হাজীএমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কীরহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারঅন্য কিতাবে বলেন
আমাদের আলেমগন(দেওবন্দী) মীলাদ শরীফেরবিষয়ে খুবই বিরোধকরছে। তবু আমিক্বিয়াম শরীফ জায়েজপন্থি আলেমগনের পক্ষেইগেলাম। যখন ক্বিয়াম শরীফজায়েজ হওয়ার দলীলমওজুদ আছে , তখনকেন এতো বাড়াবড়ি করাহচ্ছে ? আমাদের জন্যতো মক্কা শরীফমদীনা শরীফের অনুকরনই যথেষ্ট।অবশ্য ক্বিয়ামের সময়জন্মের এতেকাদ নারাখা চাই। যদি( মাহফিলে) হুজুর পাকছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার আগমনেরবিষয়ে বিশ্বাস করাহয় , এতে কোনঅসুবিধা নাই। কেননাআলমে খালক এবংকালের সাথে সম্পৃক্ত , এবংআলমে আমর উভয়বিধ অবস্থাথেকে পবিত্র সূতরাং হুজুর পাকছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার মীলাদমাহফিলে আগমন করাউনার পবিত্র জাতমুবরকের জন্য অসম্ভবনয় !”
দলীল
শামায়েলে এমদাদীয়া পৃষ্ঠা
দেওবন্দী সর্বোচ্চ গুরুআশরাফ আলী থানবীতার কিতাবে লিখেছে
ولاحتفال بذكر الودة ان كان خاليا حن البدعات المروجة جاءز بل مندوب كساءر اذكاره صلي الله عليه و سلم – والقيم عند ذكر ولادته الشريفة حاشا الله ان يكون كفرا
অর্থ– ” হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম উনারবিলাদত শরীফের বর্ননাকরার জন্য মাহফিলকরা জায়েজ বরংমুস্তাহাব , যখন উহা(হিন্দুস্থনের) প্রচলিত বিদয়াত হতেপবিত্র হবে এবং( মীলাদ শরীফে) তাওয়াল্লুদ শরীফপাঠ করার সময়ক্বিয়ম করা কখনোইকুফরী নয় !”
দলীল
ইমদাদুল ফতোয়া র্থ খন্ড ৩২০পৃষ্ঠা
আশরাফআলী থানবী অপরএক কিতাবে লিখেছে—-
সকলকার্যাবলী ( অর্থা শিরনী, ক্বিয়াম ইত্যাদি) প্রকৃতপক্ষে মুবাহ কাজসমূহের অন্তর্ভুক্ত। তাতেকোন ক্ষতি নেইএবং সেজন্য প্রকৃতমীলাদ শরীফ এরব্যাপারে কোন প্রকারনিষেধ আসতে পারেনা।
দলীল
তরীকায়ে মীলাদ পৃষ্ঠা
দেওবন্দী ইমামমাওলানা খলীল আহমদসাহারানপুরী রচিতআলমুহান্নাদ লালমুফান্নাদকিতাবে পবিত্রমক্কা শরীফ এবংমদীনা শরীফ এরআলেমদের মীলাদ শরীফসম্পর্কে প্রশ্নের জবাবদেওবন্দী খলীল আহমদসাহারানপুরী লিখেন-
রসূলে করীমছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুবারক বেলাদতের আলোচনাবা মীলাদ শরীফপাঠ এমন কিতাঁর পাদুকা সংশ্লিষ্ট ধূলিঅথবা তাঁর বাহনগাধাটির প্রশ্রাব-পায়খানা মুবারকআলোচনাকে আমরা কেনকোন সাধারণ মুসলমান বেদআতেমুহররমা বা হারামবলতে পারে না।না আমরা কখনোবলিনি বলিও না।
অবস্থা যারবিন্দুমাত্র সম্পর্ক হযরতরসূলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লামের সাথেরয়েছে তার আলোচনাআমাদের মতে অধিকতরপছন্দনীয় উন্নতমানের মুস্তাহাব।
দলীল-
আল মহান্নাদ আলালমুফান্নাদ ২১ তমপ্রশ্নের জবাব
লেখক- মাওলানা খলীল আহমদসাহারানপুরী দেওবন্দী
প্রকাশনা- ইত্তেহাদ বুকডিপো, দেওবন্দ (ইউপি)
খলীলআহমদ সাহারানপুরী এইবইতে লিখেছে এটাইদেওবন্দী আকাবিরদের আক্বীদা। এরবিপরীত আক্বীদা পোষনকারীরা দেওবন্দী গ্রুপের নয়
সকলদেওবন্দী বাংলাদেশর কওমীদের অন্যতমগর্ব আশরাফ আলীথানবীর খলীফা , শামছুলহক ফরিদপুরী তারতাছাউফ তত্ত্বকিতাবেমীলাদ শরীফ ক্বিয়াম শরীফ এরব্যাপারে প্রশ্নের জবাবেলিখে
ক্বিয়াম জিনিসটা আসলেফিকাহের অন্তর্ভুক্ত নাহেইহা তাছাউফের অন্তর্ভুক্ত। অর্থামুহব্বত বাড়ানোর উদ্দেশ্যে হযরতরাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম এরতারিফের কাসীদা পড়াহয় তাহা দ্বারামুহব্বত বাড়ে এবংলোকজন মুহব্বতের জোশেখাড়া হইয়া যায় মুহব্বতের জোশেখাড়া হইলে তাহাকেবিদয়াত বলা যায়না। তাহা ছাড়াহযরত নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম কেসালাম করার সময়বসিয়া বসিয়া সালামকরা শরীফ তবিয়তের লোকেরকাছে বড়ই বেয়াদবী লাগে।
দলীল
তাছাউফ তত্ত্ব ৪১পৃষ্ঠা
শুধুতাই নয়, দেওবন্দী সিলসিলার প্রতিষ্ঠিাতা সহসকল দেওবন্দীদের পীরসাহেব হযরত হাজীইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কীরহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারনিজের ত্বরীকা সম্পর্কে সকলঅনুসারি দের মধ্যেকিছু উপদেশ লিখিতআকারে রেখে গিয়েছিলেন ! আসুনদেখা যাক উপদেশগুলা কিছিলো –>
গৌরব করবে না
নিজেকে বড় মনেকরবে না
খায়ের বরকতেরজন্য মীলাদ মাহফিলের আঞ্জামকরবে এবং ক্বিয়াম করবে
পীর আওলিয়া গনেরঈসালে সাওয়াব মাহফিলে যোগদানকরবে!
ফাতেহাখানীতে যোগদান করবে
মাশায়েখ পীরআওলিয়াগনের মাযার শরীফযিয়ারত করবে
অবসর সময় তাঁদেরমাযার শরীফের পার্শ্বে এসেরূহানীয়ত সহ মুতাওজ্জুহ হবেএবং স্বীয় মুর্শিদের সুরতেতাদের ধ্যান করবে ফয়েজ হাসিলের চেষ্টাকরবে। কারন তাঁরাআল্লাহ পাক এবংউনার রসূল পাকছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার স্থলাভিষিক্ত বলেগন্য!
এগুলোই আমার ত্বরীকা !
আরএসবই বরকতময় কর্ম।আমার লেখাফায়সালায়ে হাফতেমাসায়লাকিতাবে এসকলবিষয় বিস্তারিত আলোচনাহয়েছে !””
দলীল
যিয়াউল কুলুব- কতিপয়বিশেষ উপদেশ পরিচ্ছেদ !
লেখক- হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির
মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি!
মুসলমান ভাইগন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে-দেওবন্দী সিলসিলায় কয়জনএই উপদেশ মান্যকরে ?
দেওবন্দী দেরকাছে এই আমালগুলাতো শিরিক আরবিদয়াত !!
তবে তারা কিউনাকে মুশরিক/বিদয়াতি বলবে?
পীরেরত্বরীকা অস্বীকার করেকি তারা পীরেরসিলসিলায় থাকতে পারে?
জবাব পেলে ভালোহতো
এবারএকটু চিন্তা করুনদেওবন্দীরা কত নিকৃষ্ট। নিজেদের সিলসিলার সবাইমীলাদ -ক্বিয়ামে পক্ষেফতোয়া দিয়ে গেছেসেটা দেখে না।আমরা সুন্নী মুসলমানরা মীলাদক্বিয়াম করলে সেটাতাদের কাছে শিরক-বিদায়াত হয়েযায়। যদি আমাদেরকে শিরকি- বিদয়াতি ফতোয়া দিতেচায় তাহলে সর্বপ্রথম যেননিজেদের মুরুব্বী দেরমুশরিক আর বেদাতীফতোয়া দিয়ে নেয় নচেত আমাদেরবিরুদ্ধে কিছু বলারঅধিকার তাদের নাই


Top