আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে...
(প্রসঙ্গ ইয়া শব্দটি নিয়ে আহলে হাদীস নাসির উদ্দিন আলবানীর জালিয়াতীসাবধান ওয়াহাবীরা কিতাব পরিবর্তন করছে।
তাদের আকীদার বিরুদ্ধে চলে যায় এমন গুরুত্বপূর্ণ অক্ষর ও শব্দগুলো
মুল কিতাবের নতুন সংস্করণ করে মুছে দিচ্ছে।
গায়েব হয়ে যাচ্ছে মুল কিতাবের অস্তিত্ব।
এই কাজ কোন মুসলমান করতে পারেনা। এটা মুসলমানের বৈশিষ্ট্য হতে পারেনা।
মুসলমান সমাজের ক্যান্সার ওয়াহাবী/নজদীদের এমন কাজের কথা লিখতে গিয়ে মনে পড়ে গেল খ্রীস্টানদের কথা।
বাইবেল কিন্তু আজ আগের অবস্থায় নেই।
খ্রিস্টানরা তাদের উদ্দেশ্য সাধন করতে গিয়ে চেঞ্জ করেছে তাদের বাইবেল।
যার ফলে এখন বাইবেল হয়েছে দুটিঃ
ওল্ড টেস্টামেন্ট/পুরাতন বাইবেল
এবং নিউ টেস্টামেন্ট/নতুন বাইবেল।
ওয়াহাবী দুষ্কৃতিকারীরা যা শুরু করে দিয়েছে, তাতে ভবিষ্যতে যে কী হবে, তা ভেবে বুক কেঁপে উঠে।
আল্লাহ, তুমি হেফাজত কর।
আজকের আলোচনাঃ
ইয়া মুহাম্মাদ/ইয়া রাসুলাল্লাহ বলা।
প্রথমে ইমাম বুখারীর লেখা গ্রন্থ আল আদাবুল মুফরাদ এর একটি হাদীস পড়ে নিনঃ
হযরত আব্দুর রাহমান বিন সা’দ থেকে বর্ণিত, একবার হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমার এক পা
অসাড় ও অনুভুতিশুন্য হয়ে গেল। এক লোক তাকে বললেন, আপনার সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তির নাম স্মরণ করুন।
অতঃপর ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বললেন, ইয়া মুহাম্মাদ। (হে মুহাম্মাদ)
রেফারেন্সঃ
১/আল আদাবুল মুফরাদ
ইমাম বুখারী
হাদীস/৯৬৪
http://www.google.com.qa/url…
২/আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাতি
ইবনুস সুন্নী
হাদীসঃ১৬৭/১৬৮/১৬৯/১৭১
৩/মাসনাদু ইবনে জা’দ/২৫৩৯
আত তাবাকাতুল কুবরাঃ৪/১৫৪
৪/আল কালিমুত তায়্যিব
খন্ড-১
পেইজঃ১৭৩
৫/আল আযকার
ইমাম নববী
পেইজঃ৩০৫
৬/তারিখু মাদীনাতি দিমাশক
ইবনু আসাকির
৩১/১৭৭
হাদীসটি নিয়ে সড়যন্ত্রঃ
ওয়াহাবী/লা মাযহাবীরা বিশ্বাস করে, ইয়া রাসুলাল্লাহ/ইয়া মুহাম্মাদ বলে
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ডাকা শিরক।
এখন যখন দেখছে, স্বয়ং ইমাম বুখারীর মত গ্রহনযোগ্য ইমাম তাঁর কিতাব আদাবুল মুফরাদের মধ্যে একটি হাদীস উল্লেখ করেছেন,
যেখানে বিপদে থাকাকালীন সময়ে সাহাবী হযরত ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহ আনহুমা
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইয়া মুহাম্মাদ অর্থাৎ হে মুহাম্মাদ বলে ডেকেছিলেন।
মাথা খারাপ হয়ে গেল ওয়াহাবী/নজদী শয়তানদের।
সিদ্ধান্ত নিল,
নাহ,
কিতাব থেকে এটা মুছে দিতে হবে। না হলে আকীদা প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
যেই ভাবা সেই কাজ।
শুরু হয়ে গেল কিতাবের সংস্করণ।
হাদিসটি অকার্যকর করতে তারা দুটি কাজে হাত দিলঃ
এক,
ইয়া (সম্বোধন করার হরফ) তোলে ফেলা।
দুই,
হাদিসটি দুর্বল প্রমাণ করা।
হাদিসটি দুর্বল করার ষড়যন্ত্রঃ
তারা বলে, হাদীসের একজন বর্ণনাকারীর নাম আবু ইসহাক আস সাবিয়ী। তিনি মুদাল্লিস। তাই তাঁর বর্ণিত এই হাদীসটি দুর্বল।
দলীল দেয়া যাবেনা।
আমাদের পক্ষ থেকে জবাবঃ
এই বর্ণনাকারী আবু ইসহাক আস সাবিয়ীর ব্যাপারে দেখুন, হাদীস শাস্ত্রের ইমামগণ কী বলেছেনঃ
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন,
আবু ইসহাক আস সাবিয়ী একজন নির্ভরযোগ্য হাদীস বর্ণনাকারী।
ইয়াহিয়া বিন মুয়ীন বলেন,
তিনি একজন নির্ভরযোগ্য হাদীস বর্ণনাকারী।
আলী বিন মাদীনী বলেন,
সমগ্র উম্মতের মধ্যে ছয়জনের নিকট ইলিম সংরক্ষিত তথা মাহফুয।
তন্মধ্যে একজন হলেন, আবু ইসহাক আস সাবিয়ী।
ইমাম যাহাবী বলেন,
আবু ইসহাক আস সাবিয়ীর বর্ণিত হাদীস দ্বারা দ্বীনের সকল বিষয়ে দলীল প্রদান করা যাবে।
রেফারেন্সঃ
সিয়ারু আ’লামিন নুবালা
ইমাম যাহাবী
আত তাবাকাতুস সালিসাহ।
বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিসগণের মন্তব্য যার পক্ষে, সেই আবু ইসহাক আস সাবিয়ীর বর্ণিত আলোচ্য হাদিসটি নিঃসন্দেহে সহীহ তথা বিশুদ্ধ।
পরিবর্তনঃ
আমি প্রমাণ স্বরূপ মূল কিতা্বের এবং পরিবর্তিত (যেটা ওয়াহাবীরা পরিবর্তন করেছে) কিতাবের এবারত( বাক্য) সহ
আপনাদের সামনে তোলে ধরলাম।
দেখুন,
মূল কিতাবটিতে ‘ইয়া’ হরফের উল্লেখ আছে। কিন্তু আলবানীর কমেন্ট সহ যে কিতাব, এখানে ‘ইয়া’ হরফের উল্লেখ নেই।
(অর্থাৎ তারা বলতে চায়, ইবনে উমর হে মুহাম্মাদ বলে ডাকেন নি। কারণ ‘হে মুহাম্মাদ’ বলে ডাকা শিরক।)
শুধু এই কিতাবেই নয়, সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম সহ অন্যান্য কিতাবগুলোতে ও তারা তাদের কালো হাত বাড়িয়েছে। ইচ্ছে মত কাটা ছেঁড়া করছে।
নিজেদের মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
হে মুসলিম,
সাবধান, তুমি সাবধান হয়ে যাও।
তাদের মুখে কোর’আন হাদীস শুনেই পাগল হয়ে যেওনা।
এরা কোর’আন হাদীসের সাইনবোর্ড সামনে রেখে দ্বীনের শিকড় কাটছে।
আল্লাহ, তুমি আমাদের হেফাযত কর,
আমীন।