আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে...
 (প্রসঙ্গ সূরাকাহাফের ১১০ নং আয়াত এর সঠিকতাফসীর-মুশরিকদের জবারের খন্ডনে আয়াত)
প্রথমে একটি কথা না বললেই নয় পাঠকগণ আমার নাম ইমরানআমি যদি এখন বলি আমি আপনাদের মতন তাহলে সেখানে কি আমি আপনাদের মত হয়ে মাফ করবেন..বুঝানোর জন্য বললাম......কোরানে ১১০ নং আয়াতে কাফির মূশরিকরা রাসূল (সা:)ওনাকেনিয়ে আল্লাহর সাথেবিভিন্ন কারনে শরীককরত..তাদের এই প্ররীপেক্ষীতে আল্লাহ পাক আয়াতটি নাযিলকরেছেন পাক কোরানে ..কিন্তু নামধারী লেবাশী মুসলিম আলেম ওরফে জালেমরা এ আয়াতটাকে ভুল ভুঝিয়ে মানুষের মনে সৃষ্টি করে তুলেছে রাসূল(সা:) ওনি আমাদের মত মাটির বা সাধারন মানুষ (নাউযুবিল্লাহ)মিন যালিক..অতচ এই আয়াতে রাসূল (সা:)ওনাকে সৃষ্ঠি করারব্যাপারে কোন মন্তব্য নেই....তারপরে আমরাপ্রাণ প্রিয় হাবীব(সা:)ওনার শানেকটুক্তি করছি...কোরানের আয়াত আল্লাহ তাআলাবিভিন্ন জাতি প্রজাতি এবং বিভিন্ন ঘটনারপ্ররেপ্রেক্ষিত নাযিল করেছেন তাই সাবধান যে কোন আয়াত দেখেইবানরের মত নাচানাচি করবেন না...এই আয়াতের মধ্যে কাফিরমুশরিকরা রাসূল (সা:)ওনার কাছে ঈমানআনত ঠিকি কিন্তু পরক্ষনে তারা ওনারসাথে আবার শরীককরত যে আমরাআল্লাহ কে চিনিনা আপনি সব যা করার আপনিআমাদের করে দিন আমরা আপনাকে ছাড়াকিছুই বুঝিনা..অন্যএক আয়াতে আছে কাফের মুশরিকরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে রাসূল (সা:)কে বলত যে আপনি আমাদের এই পাহারটাকে স্বর্ণ বানিয়ে দিন আমাদের ধন দৌলতে ভরিয়ে দিন.আমাদের রাজার হালেথাকার ব্যবস্থা করে দিন..এসব তারাচাইত আল্লাহ কে বাদ দিয়ে সরাসরি রাসূল (সা:)ওনারকাছে..তাই তারাযেন রাসূল (সা:) ওনাকে নিয়ে শরীকনা করে সে জন্য আল্লাহ পাক নিজে উনার হাবিবকে বলেছেন আপনিঔইসব কাফির মূশরিকদের বলে দিন যারাআল্লাহ কে বাদ দিয়ে অন্য উপাস্য গ্রহণ করে..(আমি তোমাদেরই মতন একজনসাধারণ মানুষ)...এখন পাঠকগন আপনার নিজেরবিবেক দিয়ে প্রশ্ন করেন এই আয়াতটা  কি আল্লাহ রাসূল (সা:)ওনাকেসাধারন মানুষ বলে অভিহিত করেছেন নাকিমুশরিকদের জবাবের খন্ডনে নাযিল করেছেন..এই আয়াত টি কি আপনার জন্য প্রযোজ্য যদি মুসলিম হউন আর যদি মুসলিম না হউন তা হলে আপনার জন্যএটি প্রযোজ্য কারণ আপনারাই তো পূর্ববর্তী মূশরিকদের উত্তরসূরী...পরিশেষে আপনাদের টুকুই বলতেচাই আমার কোনকথা বা অন্যকারো কথাই মনোনিবেশ না করে কোরানের তাফসির দিলাম নিজেরাই দেখেন আর নিজেকে প্রশ্ন করেন কারনযার যার পাপেরবোঝা তারই বহন করতে হবে অন্যকেউ না.....আল্লাহ হাফেজ-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

Top