আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে...
 (প্রসঙ্গ রাসূল(সা:)নিজেই নূরেরসত্তা ছিলেন সুবাহানাল্লাহ)
১৪০০ বছর পর থেকেইসলাম দিন দিন বিভিন্ন অনবিজ্ঞ আলেমদের কারণে বিভিন্ন ফেরকার মধ্যে সাধারন মুসলিম পতিত হচ্ছে কেই শুধু সাহাবীদের অণুসরণ করে কেই শুধুআহলে বায়াত কে অনুসরণ করে কেউ শুধু মাযহাব বাদ দিয়ে নিজেদের মতামতকে ধরে আছে এরকম বিভিন্ন মতামতহতে হতে ৭৩ টি দলে এসে পৌছেচে যার করুণদশা এখন বর্তমান যামানার মানুষ ভোগকরছে যার ফলে সূন্নীদের সাথে ৭২ টি দল এবং তাদের উপদলের সাথেযুদ্ধ লেগেই আছে এবং তা ইমামমাহদি (:)আসা পর্যন্ত লেগেই থাকবেকিন্তু সুন্নী বা ওলি আওলিয়াদের দল বা আহলে সূন্নাত ওয়াল জামাত সঠিকমতাদর্শের উপর টিকেথাকবে এটা রাসূল(সা:)ওনি এবং সমস্ত মুসলিম খলীফাগনের বাণী কারণ আহলেসূন্নাত ওয়াল জামাতের সাথে কেউ কোরান হাদিস এবং ইজমাকিয়াস দিয়ে বা দলিল দিয়ে টিকেথাকতে পারেনা আর এই জামাত যে সঠিক দেখেন পৃথিবীতে যথ ধরনের দল রয়েছে সব দলই এই জামাত কে নকল করে বিভিন্ন মতাদর্শ তৈরী করে এই দলের বিরুদ্ধে কারন দলিল সঠিকথাকলেই কেবল সেটাকে নকল করা যায় নকল কে কেউ নকল করে না এটা আশা করি সবার জানাআছে তাই রাসূল(সা:)ওনার ওফাতের পর থেকেই বিভিন্ন ফেতনা সৃষ্টি করে এই জামাতটির বিরুদ্ধে যা কেয়ামত পর্যন্ত বহালথাকবে.যা পূর্ববর্তীদের সাথে বহাল ছিল তারা যুদ্ধ করতেকরতে কারবালা পর্যন্ত ইমাম হাসান ইমাম হোসেন (রা:)ওনাদের জীবন দিয়েসেই জামাত কে টিকিয়ে রেখেছেন যার ফল আমরা এখনোভুগ করছি এবং সত্যর পতাকা হাতেনিয়ে বিজয়ের সাথেলড়ে যাচ্ছি ৭২ টি দলের সাথেআল্লাহ রাসূল (সা:)এবং সমস্ত আম্বিয়াকেরাম এবং ওলি আওলিয়া দের যে কি অসীমদযা জামাতের সাথে রয়েছে তা ভাষায় বলে প্রকাশ করা যাবে না.আমরা সবাই মুসলিম মুখে মুখে দাবীকরি কিন্তু আকীদাগত ভাবে ৭২ টি দলের সাথেআহলে সুন্নাত ওয়ালজামাতের তফাত থাকবেই আর আকীদা ঠিক না হলে নাম মাত্র মুসলিম হয়ে কোন লাভ নেই আহলে সূন্নাত ওযালজামাতের অনেক আকিদাআছে তার মধ্যেসর্বপ্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আকীদা হলো আমারপ্রিয় নবী হযরতমুহাম্মদ (সা:)হলেননূরের সত্তা বা নূরে মোয়াজ্জাম বা সমস্ত দেহই হলোনূরে মুহাম্মাদী আজ আমি অধম ওনি যে নূরের সত্তা ব্যপারটি কোরান হাদীস এবং ইজমাকিয়াসের ভিত্তিতে নিম্নে আলোচনা করব:(০১.আসিয়া গিয়াছে আল্লাহর পক্ষ হইতে তোমাদের নিকট এক মহাননূর এবং সুস্পষ্ট কিতাব (পারা-৬রুকু-)
আলোচ্য আয়াতে ইবনে আব্বাস (রা:)থেকে শুরুকরে যত পূর্ববর্তী তাফসীরগণ ছিলেন সবাইএক বাক্য বলেছেন যে এখানে নূর বলতে হযরত মুহাম্মদ (সা:)কে বুঝানো হয়েছে এবং সুষ্পষ্ট কিতাব বলতে কোরান মাজীদে কে বুঝিয়েছেন এই আয়াতের ব্যখ্যায় বলা আছে রাসূল(সা:)যখন মায়েরগর্ভে থেকে পৃথিবীতে আসার শুভাগমণ করেনতখন সাথে সাথেনূরের বিকাশ ঘটে এবং উক্ত নূরেরআলোতে সিরিয়ার রাজপ্রসাদ গুলি আলোতে জল জল করে বর্হিবিশ্বে এই নূরের আলোরবিকাশ সর্বপ্রথম সিরিয়ায় হয়েছিল এবং সেই নূরেরআলোর সূত্র ধরে মুসলমানরা সর্বপ্রথম সিরিয়া দেশ জয় করেছিলো.
রাসূল(সা:)নূরের সত্তা-বাংলাদেশের সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় প্রকাশিত বুখারী শরীফের ৫ম খন্ডে৩৬ পৃ: বেলাদত বা জন্ম এই অধ্যায়ে রাসুল (সা:)কে নূরের সত্তাবলা হয়েছে নূরেরসত্তা বলতে ওনি রাসূল (সা:) যে পা থেকে মাথাপর্য়ন্ত নুর দ্বারা সৃষ্টি সেটাই বুঝিয়েছেন তবে এখানে সত্তাকথাটি সাধারণদের বুঝার বাইরে তাই আমি অধম সত্তা কথাটিএখানে পরিষ্কার করতে চাই আমার মত করে আগে সেই বিখ্যাত হাদীসটি একটুদেখি হযরত জাবেরইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, “তিনি বলেন- আমি আরজ করলাম, হে রাসুল আল্লাহ্ (সঃ), আপনার উপর আমারপিতা মাতা সর্গিত, আল্লাহতালা সর্বপ্রথম কোন বস্তুটি সৃষ্টি করেছেন? উত্তরে নবী করিম(সঃ) বলেন-- হে জাবের, আল্লাহতালা সর্ব প্রথম সমস্ত বস্তুর পূর্বে তাঁর আপন নূর হতে তোমারনবীর নূর পয়দাকরলেন তারপর আল্লাহ্র ইচ্ছানুযায়ী সেই নূর পরিভ্রমণ করতে লাগল ওই সময় না ছিল লউহে-মাহফুজ, না ছিল কলম, না ছিল বেহেস্ত, না ছিল দোজখ, না ছিল ফেরেশতা, না ছিল আকাশ, না ছিল পৃথিবী, না ছিল সূর্য, না ছিল চন্দ্র, না ছিল জিন জাতি, না ছিল মানবজাতী অতঃপর যখন আল্লাহ্ তালা অন্যান্য বস্তু সৃষ্টি করারমনস্ত করলেন, তখন ওই নূর কে চার ভাগ করে প্রথম ভাগ দিয়েকলম, ২য় ভাগ দিয়ে লউহে-মাহফুজ, ৩য় ভাগ দিয়েআরশ সৃষ্টি করলেন অবশিষ্ট এক ভাগকেআবার চার ভাগেভাগ করে ১ম ভাগ দিয়ে আরশ বহনকারী ফেরেশতা, ২য় ভাগ দিয়ে কুরশি, ৩য় ভাগ দিয়েঅন্যান্য ফেরেশতা সৃষ্টি করলেন ২য় চার ভাগের অবশিষ্ট এক ভাগ কে আবারপুনরায় চার ভাগ করে ১ম ভাগ দিয়ে আকাশ, ২য় ভাগ দিয়ে জমিন, ৩য় ভাগ দিয়েবেহেস্ত-দুজখ সৃষ্টি করলেন অবশিষ্ট এক ভাগ কে আবারচার ভাগে ভাগ করে ১ম ভাগ দিয়ে মোমেনদের নয়নের দৃষ্টি, ২য় ভাগ দিয়ে কালবের নূর তথা আল্লাহ্র মারেফত, ৩য় ভাগ দিয়েতাদের মহবতের নূর তথা তাওহিদি কালেমালা ইলাহা ইল্লালাহু মহাম্মুদুর রাসুলাল্লাহ (সঃ)” সৃষ্টি করলেন এবং বাকিএক ভাগ দিয়েসমস্ত কিছু সৃষ্টি করলেন পাঠকগণ খেয়ালকরেন সমস্ত কিছুসৃষ্টি করার আগে আমার পেয়ারে নবীরনূর মোবারক সৃষ্টি করেন এবং তখন অন্য কিছুই সৃষ্টি হয়নি এটা পরিষ্কার ভাবে এখান থেকেবুঝা যায় তখন শুধু আল্লাহ এবং ওনার পেয়ারে হাবিবছিলেন এই দুই জন ব্যতীত আরে কোন কিছুই সৃষ্টির মধ্যে ছিলনা আল্লাহ নিজ নূর থেকেইওনার সর্বশ্রেষ্ঠ নূরময় হাবীব কে সৃষ্টি করে থুদরতি ভাবেরেখে দেন তারইপ্রেমে.আবার বলছি দেখেন এই হাদীসে পরিষ্কার হলো আল্লাহ সর্বপ্রথম রাসূল (সা:)কে সৃষ্টি করেন আল্লাহর নিজ নূর থেকে আর সেটা ছিল জাতীনূর আর জাতিনূর বলেই পৃথিবীতে সূর্য্যের আলোতে ওনারকোন ছাযা পড়তোনা কারণ ওনারনূর কে সূর্য্য ভেদ করতে পারতো না কারণ ওনি যে জাতি গত আলো তাকে সেফাতী আলো কি করে ভেদ করবে যেমনজীবরাঈল (:)ওনি নূরের সৃষ্টি রাসূল (সা:) নূরের সৃষ্টি মেরাজরজনীতে যখন লা মোকাম বা আল্লাহর কাছাকাছি দুজনেই হলেনতখন জীবরাঈল (:)বলেন হে আল্লাহর হাবীব আমি জীবরাঈল যদি আর এক পা সামনে এগিয়েযায় তাহলে আমি পুড়ে ছাই হয়ে যাবো সুবাহানাল্লাহ কিন্তু আমারপ্রিয় নবী হযরতমুহাম্মদ (সা:)ওনি সরাসরি লা মোকামে প্রবেশ করলেন এবং আল্লাহর সাথে  দেখা করলেন তা কি করে সম্ভবপ্রশ্ন রইলো আপনাদের প্রতি..?..ওনার পা থেকে মাথা পর্যন্ত সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গের মধ্যে নূর আর নূর বিধ্যমান ওনি যখন কথা বলতেনতখন উনার দাত মোবারকের ফাক হতে নূর বের হতোএবং ওনার শরীরের প্রতিটি পশম পর্যন্ত আল্লাহ নূর দ্বারা সৃষ্টি করেছেন যার ফলে ওনার মুখেরলালা মোবারকের ছোয়ায় আবু বক্কর (রা:)সর্প ধবংসন হতে বেচে যায় এরকমঅসংখ্য মোয়েযা বিদ্যমান আছে সুবাহানাল্লাহ..তাই আমি অধম নূরের সত্তাবলতে আরো একটুসহজ ভাবে বলি যেমন..রাসূল (সা:)ওনার হাত পা চোখ কান নাক মাথা পেট নাভীচুল নখ সবকিছুই জাতী নূরে সৃষ্টি তাই ওই হাদীসশরীফে ওনাকে নূরেরসত্তা বরে উল্লেখ করেছেন পাঠকগন আশা করি আপনারা নূরেরসত্তা বলতে কি বুঝিয়েচেন ওই হাদীসে  সেটা বুঝতে পেরেছেন আমি অধমেরযদি ভুল হয় ক্ষমার চোখে দেখবেন-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

Top