একটা পোস্ট পড়ে ভিষন চমকে উঠলাম।
website হল : ahlehadeethbd
এজন্যই বলি এগুলো হল বর্তমান যুগের সবচেয়ে বড় ফিত্নাবাজ।
They said that :
******আজকাল আরবীতে আললাহ (الله) লিখে তা বিভিন্ন মসজিদে, গাড়ীর মাথায়, বাড়ীতে ও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ব্যবহার করা হচ্ছে। যা নিঃসন্দেহে বিদ‘আত ও চরম বেআদবীও বটে। অনেকে একপাশে আরবীতে ‘আল্লাহ’ (الله) অন্যপাশে ‘মুহাম্মাদ’ (محمد) লিখেন। যার মাধ্যমে উভয়কে মর্যাদার দিক থেকে সমান গণ্য করা হয় (এর মানে শিরিক) এবং বরকত হাছিলের উদ্দেশ্যে এগুলি করা হয়। অথচ শরী‘আতে এর কোন দলীল নেই (মানে বিদআত)। এগুলি শয়তানী ধোঁকা ব্যতীত কিছু নয়।******
Ans 1 :
a) এখানে উক্ত ব্যক্তি সুন্নী মুসলমানদের শিরিকের ফতোয়া দিচ্ছে এজন্য যে (আল্লাহ ও মুহাম্মদ সা. নাম সমুহ পাশাপাশি রাখার কারনে) অথচ সে নিজেও জানে না যাদের অপবাদ দিল সেই লক্ষ-কোটি সুন্নী মুসলমান দের উপর আরোপিত অপবাদের গোনাহ হিসেবে সমস্ত কোটি মানুষের শিরিকের পাপ তার মাথায় পড়বে।
b) সে এখানে জেনে হোক না জেনে হোক কুফরি করল।
c) আল-কুরআন থেকে আল্লাহ-রাসুলের নাম পাশাপাশি রাখার প্রমান দিচ্ছি মধ্যে শুধু ""ও"" শব্দটি রয়েছে।
★ বলুন, `````আল্লাহ ও রসূলের````` আনুগত্য প্রকাশ কর।
★ সুরা ইমরান: ৩২
★ সূরা জ্বিন ২৩
★ সূরা-আনফাল-৪৫-৪৬
★ আল কুরআন (৮); ২০,২১
★ সূরা আন-নিসা-১৪
★ সূরা নিসা - ৫৯
★ সূরা নিসা - ৮০
★ সূরা আনফাল - ১৩
★ "যে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আনুগত হবে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (সুরা নিসা - ১৩)
★ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে রাজী রাখাই অত্যাবশ্যক - যদি তারা মোমেন হয়ে থাকে। (সুরা তওবা - ৬২)
★ তারা কি একথা অবগত নয় যে, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে শক্রুতা করেছে- তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। (সূরা তওবা - ৬৩)
★ কোন বিষয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল নির্দেশ দেয়ার পর ঐ বিষয়ে কোন ঈমানদার পুরুষ এবং কোন ঈমানদার নারীর ভিন্নমত পোষন করার অধিকার নেই। (সূরা আহযাব - ৩৬)
★ আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হবে - তারা স্পষ্ট গোমরাহীর মধ্যে পতিত হয়ে গিয়েছে। ( সুরা আহযাব - ৩৬)।
★ যারা আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও পরকালের লা'নত করবেন বা অভিশপ্ত করবেন। (সুরা আহযাব - ৫৭)।
★ যারা আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসূলের বিরুদ্ধাচরন করেছে - তারা অপদস্ত হয়েছে। (সূরা - মুজাদালাহ্ - ৫)
আনুগত্য সম্পর্কে আরো দেখুন :-
★ আলে ইমরানের ১৩২নং আয়াত
★ সূরা মায়িদাহর ৯২নং আয়াত
★ সূরা আনফালের ১নং, ২০নং
★ সুরা রা নূরের ৫৪নং ও ৫৬নং আয়াত আরো অনেক আয়াতে।
Ans 2 : এজন্যই বলি Ahlus-Sunnah ব্যাতীত সব বাতিল আর নবীজী (সা) এর শানে গোস্তাখী করে । কারন আপনে হয়ত ওহাবী-সালাফী দের এসব ঘাটেন না তাই জানেনও না।
তাই উচিত হবে সেখানে চুপ থাকেন অথবা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা জেনে নিন অথবা যে জেনে প্রমানসহ বলছে তাকে বিশ্বাস করুন।
মুনাফিক ও কাফিরদের অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ যা বলেছেন তাদের সাথে অনেকটাই মিলে যায় :
সুরা নং ২ আল-বাকারা :
2|6|নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না।
2|7|আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।
2|8|আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।
2|9|তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।
2|10|তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন।
2|11|আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি।
2|12|মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।
2|13|আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না।
2|14|আর তারা যখন ঈমানদারদের সাথে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি। আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস করি মাত্রা।
2|15|বরং আল্লাহই তাদের সাথে উপহাস করেন। আর তাদেরকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের অহংকার ও কুমতলবে হয়রান ও পেরেশান থাকে।
2|16|তারা সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করে। বস্তুতঃ তারা তাদের এ ব্যবসায় লাভবান হতে পারেনি এবং তারা হেদায়েতও লাভ করতে পারেনি।
2|17|তাদের অবস্থা সে ব্যক্তির মত, যে লোক কোথাও আগুন জ্বালালো এবং তার চারদিককার সবকিছুকে যখন আগুন স্পষ্ট করে তুললো, ঠিক এমনি সময় আল্লাহ তার চারদিকের আলোকে উঠিয়ে নিলেন এবং তাদেরকে অন্ধকারে ছেড়ে দিলেন। ফলে, তারা কিছুই দেখতে পায় না।
2|18|তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না।
2|19|আর তাদের উদাহরণ সেসব লোকের মত যারা দুর্যোগপূর্ণ ঝড়ো রাতে পথ চলে, যাতে থাকে আঁধার, গর্জন ও বিদ্যুৎচমক। মৃত্যুর ভয়ে গর্জনের সময় কানে আঙ্গুল দিয়ে রক্ষা পেতে চায়। অথচ সমস্ত কাফেরই আল্লাহ কর্তৃক পরিবেষ্ঠিত।
2|20|বিদ্যুতালোকে যখন সামান্য আলোকিত হয়, তখন কিছুটা পথ চলে। আবার যখন অন্ধকার হয়ে যায়, তখন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে। যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন, তাহলে তাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নিতে পারেন। আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ের উপর সর্বময় ক্ষমতাশীল।
2|21|হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর, যিনি তোমাদিগকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদিগকে সৃষ্টি করেছেন। তাতে আশা করা যায়, তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পারবে।
বাতিল কেমনে চিনবেন ১ নাম্বার উপায় :
Number 1 :
যেকোন কাজ যেকোন topics নিয়ে কথা বললেই তারা (বিদআত- শিরিক) এই ২ দুটি শব্দ বলবেই।
Number 2:
তারা সব কাজের জন্য বেহুদা দলিল কি রেফারেন্স কি এসব বলে চক্ষু বন্ধ করে চিল্লাবে। অত:পর রেফারেন্স পেলে তাদের মনমত না হলে বলে দিবে জাল হাদিস বলে চলে যাবে।
Number 3:
তারা কোন ইসলামিক Scholars চিনে না তাই তাদের ফতোয়া তাদের কাছে মুল্যহীন। বলে যে কুরআন হাদিসের বাইরে।
জবাব : আপনি কি ১-১০ লক্ষ হাদিস মুখস্ত করতে পেরেছেন?
তাইলে শরীয়ত কি জিনিস বুঝতেন। যে আল-কোরআনের ৬৬৬৬টি আয়াত মুখস্ত করেছে অর্থসহ সে বুঝবে যে কুরআনে কি আছে আর কি নেই। আপনি কি বুঝবেন?অবশ্যই না।
বাকি রইল হাদিস : আপনি যেখানে ১০০০ হাদিস মুখস্ত করতে পারলে নিজেকে বহু বড় পন্ডিত মনে করে (না জেনে) ফতোয়া জারি করতে পারেন জাল নাকি সহিহ ওনারা কি ১ -১০ লক্ষ হাদিস মুখস্ত করে কুরআন হাদিসের বিরোদ্ধে ফতোয়া দিবে আপনার তাই মনে হয়?
তাদের যুক্তি আপনি নিজেই কুরআন ও সহিহ হাদিস পড়েন :
নিজে যদি লক্ষ লক্ষ হাদিস পড়তে পারতাম তাইলে জানতাম শরীয়তে কি আছে কি নেই। হাদিসের সংখ্যা যে কত আছে তা আল্লাহই ভাল জানেন। তাইলে কি শুধু ১০ হাজার হাদিস দিয়ে কি ইসলাম পুর্ন হয়ে গেল? তাইলে এত কষ্ট করে লক্ষ লক্ষ হাদিস কেন মুহাদ্দিসগন মুখস্ত করলেন?
আমরা সবাই পারব না জন্যেই যে এসব পেরেছে তাদের ফতোয়া অনুসরন করি কারন তারা কুরআন হাদিসের বাইরে কোন ফতোয়া দেন না।
আল্লাহ ওই সমস্ত বাতিল খান্নাস (মানুষ শয়তান) থেকে আমাদেরকে হেফাযত করুন।- আমিন