হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান রাঃ রাসুলুল্লাহ (সাআল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ননা করেন, "আমার পরে এমন কিছু শাসক আসবে যারা আমার হেদায়েত অনুসরণ করবেনা এবং আমার সুন্নাহও মানবেনা। তাদের মধ্যে কারো কারো শরীর হবে মানুষের, কিন্তু মন হবে শয়তানের।" হুযায়ফা প্রশ্ন করলেন, "সেই সময় আমি থাকলে আমার কি করা উচিত?" তিনি (দঃ) জবাব দিলেন, "তোমার উচিত হবে তার কথা শোনা এবং মান্য করা, যদিও সে তোমাকে কষ্ট দেয় এবং তোমার ধনসম্পদ কেড়ে নেয়।" [মুসলিমঃ ৪৬৩৪]

অন্য রেওয়ায়তে রয়েছে যে, "তোমরা শাসকের ততক্ষন পর্যন্ত আনুগত্য করো যতক্ষণ পর্যন্ত না দেখ যে সে কুফরীতে লিপ্ত হয়েছে যা সম্পর্কে তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রমাণ বর্তমান রয়েছে।" [মুসলিমঃ ৪৬২০]

সহীহ বুখারির নিম্নোক্ত হাদিসটি ইমাম আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর পর ইমাম হাসান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর খিলাফতকালের একটি ঐতিহাসিক ঘটনার বর্ণনা দেয়। শৌর্য, ঐশ্বর্য, ক্ষমতা থাকার পরও একমাত্র শান্তির লক্ষ্যে ইমাম হাসান (রাঃ) ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান। ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল।

হাসান (বসরী) (রহঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, হাসান ইবনু আলী (রাঃ) পর্বত সদৃস সেনাদল নিয়ে মু'আবিয়া (রাঃ)-এর মুখোমুখি হলেন। আমর ইবনুল আস (রাঃ) বললেন, আমি এমন সেনাদল দেখতে পাচ্ছি যারা প্রতিপক্ষকে হত্যা না করে ফির যাবে না। তখন মু'আবিয়া (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! 'হে 'আমর! এরা ওদের এবং ওরা এদের হত্যা করলে আমি কাকে দিয়ে লোকের সমস্যার সমাধান করব? তাদের নারীদের কে তত্ত্ববধান করবে? তাদের দূর্বল ও শিশুদের কে রক্ষণাবেক্ষণ করবে? তারপর তিনি কুরায়শের বানূ আবদে শামস শাখার দু'জনঃ আব্দুর রহমান ইবনু সামুরাহ ও আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ)-কে হাসান (রাঃ)-এর কাছে পাঠালেন। তিনি তাদের বললেন, 'তোমরা উভয়ে এই লোকটির কাছে যাও এবং তার কাছে (সন্ধির) প্রস্তাব পেশ করো, তাঁর সঙ্গে আলোচনা করো ও তার বক্তব্য জানতে চেষ্টা কর।'
তারা তার কাছে গেলেন এবং তার সঙ্গে কখা বললেন, আলাপ-আলোচনা করলেন এবং তার বক্তব্য জানলেন। হাসান ইবনু আলী (রাঃ) তাদের বললেন, 'আমরা আব্দুল মুত্তালিবের সন্তান, এই সম্পদ (বায়তুল মাল) আমরা পেয়েছি। আর এরা রক্তপাতে লিপ্ত হয়েছে।' তারা উভয়ে বললেন, (মু'আবিয়া) আপনার কাছে এরূপ বক্তব্য পেশ করেছেন। আর আপনার বক্তব্যও জানতে চেয়েছেন ও সন্ধি কামনা করেছেন। তিনি বললেন, 'এ দায়িত্ব কে নেবে?' তারা বললেন, 'আমরা আপনার জন্য এ দায়িত্ব গ্রহণ করছি।' এরপর তিনি তাদের কাছে যে সব ব্যাপারে প্রশ্ন করলেন, তারা (তার জওয়াবে) বললেন, 'আমরা এ দায়িত্ব নিচ্ছি।' তারপর তিনি তাঁর (মু'আবিয়ার) সাথে সন্ধি করলেন। হাসান (বসরী) (রহঃ) বলেন, আমি আবূ বাকরা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ (দঃ)-কে আমি মিম্বরের উপর দেখেছি, হাসান (রাঃ) তাঁর পাশে ছিলেন। তিনি একবার লোকদের দিকে আর একবার তাঁর দিকে তাকাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, 'আমার এ সন্তান নেতৃস্থানীয়। সম্ভবত তাঁর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা মুসলমানের দু'টি বড় দলের মধ্যে মীমাংশা করাবেন।' আবূ আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আলী ইবনু আবদুল্লাহ আমাকে বলেছেন যে, এ হাদীসের মাধ্যমেই আবূ বাকরা (রাঃ) থেকে হাসানের শ্রুতি আমাদের কাছে প্রমাণিত হয়েছে।
[সহীহ বুখারীঃ ২৫২৩]

হযরত হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সুবিশাল সৈন্যবাহিনী থাকার পরও তিনি আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কথা চিন্তা করে মুসলমানদের মধ্যে হানাহানি পরিহার করেছিলেন। আর এ কারণেই হযরত হাসান (রাঃ) কে গাউসুল আজম হিসেবে ইতিহাসে উল্লেখ করা হয়। আমীর মু'আবিয়ার সাথে সন্ধি করে তিনি মুসলমানদের দু'টি বড় দলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু কি ছিল ওই সন্ধিতে? ঐতিহাসিকদের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে ওই সন্ধির প্রধান শর্তগুলো ছিল নিম্নরূপঃ

১। তাঁর (আমীর মুয়াবিয়ার) কাছে এই শর্তে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে যে তিনি কুরআন, সুন্নাহ এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের অনুসরণে খেলাফত পরিচালনা করবেন।
২। আমীর মু'আবিয়া (রাঃ) এর পর ক্ষমতা ইমাম হাসান (রাঃ) এর নিকট হস্তান্তরিত হবে। অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটলে ক্ষমতা ইমাম হুসেইন (রাঃ) এর নিকট হস্তান্তরিত হবে। অন্যকে মনোনয়ন দেবার কোন অধিকার আমীর মু'আবিয়ার নেই।
৩। আমীর মু'আবিয়া কুফার কোন সম্পদ পাবেন না, যার পরিমাণ ছিল ৫০ লক্ষ দিরহাম। ক্ষমতা হস্তান্তরের সাথে এই সম্পদের কোন সম্পর্ক নেই। তিনি বছরে ইমাম হুসেইন (রাঃ) কে দশ লক্ষ দিরহামের বৃত্তি দেবেন। বায়তুল মাল বণ্টনে তিনি বনি আল-শামসের চেয়ে বনি হাশিমকে গুরত্ব দেবেন। দশ লক্ষ দিরহাম সিফফিন এবং উষ্ট্রের যুদ্ধে নিহতদের পরিবারের মাঝে বিতরণ করে দিবেন।
৪। আল্লাহর জমিনে সাধারণ মানুষ যেখানেই থাকুক, তারা যেন নিরাপদে থাকে। আমীর মু'আবিয়া তাদের নিরাপত্তা দেবেন। তিনি কোনভাবেই, গোপনে বা প্রকাশ্যে, ইমাম হাসান, ইমাম হুসাইন কিংবা আহলে বায়েতের কারো বিরুদ্ধে কোন ধরণের কপটতার আশ্রয় নেবেন না।

তথ্য সুত্রঃ
১। The Succession to Muhammad: A Study of the Early Caliphate By Wilferd Madelung Page 232
২। al-Hadid, Ibn Abu. Sharh Nahj al-Balagha, vol. 4. p. 6.
৩। al-Asqalani, Ahmad Shahab al-Din. al-Isaba fi Tamiiz al-Sahaba, vol. 2. pp. 12, 13.
৪। al-Dinawari, Ibn Qutayba. al-Imama wa al-Siyasa. p. 150
৫। Wajdi, Farid. Dairat al-Marif al-Islamiya, vol. 3. p. 443.
৬। al-Dinawari, Ibn Qutayba. al-Imama wa al-Siyasa. p. 200

তাহলে বুঝা গেল আমিরে মুয়াবিয়া (রা) এর পর ইমাম হাসান এবং ওনার পর ইমাম হোসাইন (রা) এর শাসনভার নেয়ার কথা ছিল এখানে অযোগ্য খবিস ইয়াজিদ কখনো ন্যায় বিচারক ছিল না।


যেই হাদিসকে ভিত্তি করে জাকির নায়েক ইয়াজিদকে প্রশংসা করেছে আর তাকে ন্যায় বিচারক মনে করে ভুল ফতোয়া দিসে সেই বুখারী শরীফের ১টা হাদিসে ৩টা মিথ্যাচার করেছে D. Jakir Naik

https://m.youtube.com/watch?v=rqE33JbZB8k

দয়া করে গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন কাউকে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করার ধোকা দেখুন।


আসুল হাদিসটিতে আসলে কি বলা হয়েছে:-


★★★♦♦কুসতুনতুনিয়া-বিষয়ক হাদীসের অপব্যাখ্যার
অপনোদন♦♦ Hadith of Qustuntunia:-


★ ”…তিনি মহানবী (দ:)-কে বলতে শুনেছেন,
‘নৌযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আমার সাহাবীদের
প্রথম দলটি বেহেশতী হবে।’ মহানবী (দ:)
এর পর বলেন, ‘আমার সাহাবীদের
মধ্যে প্রথম বাহিনী যারা (রোমক) সিজারের
শহর (কুসতুনতুনিয়া তথা কনস্টানটিনোপোল/
ইস্তাম্বুল) জয় করবে, তাদের গুনাহ মাফ
করা হবে’।” [সহীহ বুখারী, ৪র্থ খণ্ড,
হাদীস – ১৭৫]


★আবু দাউদের
সুনানে বর্ণিত সহীহ হাদীসে বিবৃত
হয়েছে:

عن أسلم أبي عمران قال : غزونا من المدينة نريد القسطنطينية وعلى الجماعة عبد الرحمن بن خالد بن الوليد

হযরত আসলাম আবি ইমরান (রা:)
বলেন, “আমরা কনস্টানটিনোপোল জয়ের
উদ্দেশ্যে মদীনা হতে বের হই। আবদুর
রহমান বিন খালেদ বিন ওয়ালিদ ছিলেন এই বাহিনীর
প্রধান।” [সুনানে আবি দাউদ, ২য় খণ্ড, হাদীস
নং ২৫১২; আলবানীও এই হাদীসকে সহীহ
বলেছে তার ‘তাখরিজ’ পুস্তকে]


★ইমাম তাবারী নিজ ‘তারিখ’ গ্রন্থে বলেন –

فمما كان فيها من ذلك دخول المسلمين مع عبد الرحمن بن خالد بن الوليد بلاد الروم ومشتاهم بها وغزو


আবদুর রহমান বিন খালেদ বিন ওয়ালিদের
সেনাপতিত্বে ৪৪ হিজরী সালে মুসলমান
বাহিনী রোমে (কনস্টানটিনোপোল)
প্রবেশ করেন এবং সেখানে গযওয়া (ধর্মযুদ্ধ)
সংঘটিত হয়। [তারিখে তাবারী, ৪৪ হিজরীর ঘটনা,
০০৫ খণ্ড, ২১২ পৃষ্ঠা; কায়রোর ‘দারুল মা’আরিফ’
প্রকাশনী হতে প্রকাশিত]


অথচ এয়াযীদ আরও বহু পরে ওখানে যায়।

উপরন্তু, তাকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল ৪৯/৫০ হিজরি
শাস্তিস্বরূপ; আর সে ওই
প্রথমে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধাদের
প্রতি বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য করেছিল।


★ইমাম ইবনে আসীর (রহ:) লিখেন:

في هذه السنة وقيل ‏:‏ سنة خمسين سير معاوية جيشًا كثيفًا إلى بلاد الروم للغزاة ، وجعل عليهم سفيان بن عوف ، وأَمَرَ ابنه يزيد بالغزاة معهم فتثاقل واعتلّ فأمسك عنه أبوه ، فأصاب الناس في غزاتهم جوعٌ ومرض شديد ، فأنشأ يزيد يقول ‏:‏

ما إن أبالي بما لاقت جموعهم *** بالفرقدونة من حمى ومن موم
إذا اتكأت على الأنماط مرتفقًا *** بدير مروان عندي أم كلثومِ

فبلغ معاوية شعره، فأقسم عليه ليلحقنّ بسفيان في أرض الروم، ليصيبه ما أصاب الناس، فسار ومعه جمع كثير أضافهم إليه أبوه

”এই বছর, অর্থাৎ, ৪৯ বা ৫০ হিজরী সালে হযরত
আমীরে মোয়াবিয়া (রা:) রোমের
(কনস্টানটিনোপোল) উদ্দেশ্যে এক বিশাল
বাহিনী প্রেরণ করেন। তিনি এর দায়িত্বভার
অর্পণ করেন সুফিয়ান বিন আউফের প্রতি এবং তাঁর
ছেলে এয়াযীদকে ওই বাহিনীর
সাথে যেতে বলেন। কিন্তু এয়াযীদ ‘অসুস্থ
হওয়ার ভান করে এবং যেতে অস্বীকৃতি জানায়’।
যোদ্ধারা যখন ক্ষুধা ও রোগ-ব্যাধিগ্রস্ত হন,
তখন সে ব্যঙ্গ করে কবিতায় বলে, ‘ফারকুদওয়ানা-
এ মহা গযবে তারা পতিত হয়েছে; তাদের জ্বর
বা অন্য যা-ই কিছু হোক, তাতে আমার যায়
আসে না। কেননা, আমি বসে আছি উচ্চ
ফরাশে (ম্যাট্রেস); আর আমার
বাহুবন্ধনে আছে উম্মে কুলসুম (এয়াযীদের
স্ত্রীদের একজন)।’

”হযরত আমীরে মোয়াবিয়া (রা:) যখন এই
কবিতার শ্লোক সম্পর্কে জানতে পারেন,
তখন তিনি এয়াযীদকে শপথ গ্রহণ করতে ও
কনস্টানটিনোপোলে সুফিয়ান
ইবনে আউফের সাথে যোগ দিতে বাধ্য
করেন, যাতে করে ’সেও ইসলামের
মোজাহিদদের মোকাবেলাকৃত কঠিন পরীক্ষার
অংশীদার হতে পারে’ (এটি এয়াযীদের
প্রতি শাস্তি ছিল)। এমতাবস্থায় এয়াযীদ অসহায়
হয়ে পড়ে এবং তাকে যুদ্ধে যেতে হয়; আর
হযরত আমীরে মোয়াবিয়া (রা:) তার
সাথে আরেকটি বাহিনী প্রেরণ
করেন।”
[’তারিখে ইবনে আল-আসীর’, ৩য়
খণ্ড, ১৩১ পৃষ্ঠা]


★ইমাম বদরুদ্দীন আইনী (রহ:) বলেন::

قلت: الأظهر أن هؤلاء السادات من الصحابة كانوا مع سفيان هذا ولم يكونوا مع يزيد بن معاوية، لأنه لم يكن أهلاً أن يكون هؤلاء السادات في خدمته


”আমি বলি, অসংখ্য সাহাবী (রা:) হযরত সুফিয়ান
ইবনে আউফ (রা:)-এর
অধীনে যুদ্ধে গিয়েছিলেন এবং ‘এয়াযীদ
ইবনে মোয়াবিয়ার নেতৃত্বে যান নি,
কেননা সে তাঁদেরকে নেতৃত্বদানে
অযোগ্য ছিল’।” [‘উমদাতুল কারী’,
শরহে সহীহ আল-বোখারী, ১৪/১৯৭-১৯৮]

★কনস্টানটিনোপোলে সেনা অভিযানের সার-সংক্ষেপ
নিম্নরূপ:

* প্রথম আক্রমণ পরিচালিত হয় ৪২ হিজরী সালে।

* দ্বিতীয় দফায় আক্রমণ হয় ৪৩
হিজরীতে এবং এর সেনাপতি ছিলেন হযরত বসর
বিন আবি আরকা।

* তৃতীয় অভিযান পরিচালনা করা হয় ৪৪
হিজরী সালে এবং এটি নেতৃত্ব দেন আবদুর
রহমান বিন খালেদ বিন ওয়ালীদ।

*৪র্থ বার পরবর্তী অভিযান ছিল ৪৬ হিজরীতে যার
সেনাপতি ছিলেন মালিক বিন আবদির্ রহমান ও
আবদুর রহমান বিন খালেদ বিন ওয়ালীদ।

* ৪৭ হিজরীতে পরবর্তী অভিযান
পরিচালনা করেন মালিক বিন হোবায়রা ও আবদুর
রহমান বিন কায়েমী।

* ৪৯ হিজরী সালে কনস্টানটিনোপোল তিনবার
আক্রমণ করা হয়।

*আর সর্বশেষ ৫০
হিজরীতে যে অভিযান পরিচালিত হয়
তাতে ""ইয়াযীদ"" যোগ দেয় ।


★হযরত আমীরে মোয়াবিয়া (রা:)
এয়াযীদকে আটক করে সিজারের ওখানে পাঠান,
কারণ সে মোজাহিদীনবৃন্দের প্রতি বিদ্রূপ
করতো। তাই শাস্তিস্বরূপ
তাকে ওখানে পাঠানো হয়েছিল, জ্বেহাদের
জন্যে নয়।
অতএব, এয়াযীদ সপ্তম
সেনা অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিল, প্রথম
অভিযানে নয় । আর
বোখারী শরীফে উল্লেখিত হয়েছে,
“আমার উম্মতের মধ্যে সিজারের
নগরী আক্রমণকারী প্রথম সেনা দলের পাপ-
পঙ্কিলতা মাফ করা হবে।”
★রেফারেন্স
★ইবনে কাসিরের আল-বেদায়া ওয়ান্ নেহায়া
★ইবনে খালদুনের ইতিহাস
★ইমাম ইবনে আসীরের ইতিহাস







Top