♦♦প্রশ্ন :- এক মাযহাব থেকে অন্য মাযহাবে স্থানান্তর: একটি বিশ্লেষণাত্মক পর্যালোচনা

উত্তর:-

শায়খ আওয়ামাহ
আসারুল হাদীসিশ শরীফ… নামক কিতাবে লিখেছেন-
ﺇﻥ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺘﻨﻘﻞ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺬﻫﺐ ﺍﻟﺤﻨﻔﻲ ﺇﻟﻲ
ﺍﻟﻤﺬﻫﺐ ﺍﻟﺸﺎﻓﻌﻲ ﻓﻲ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻤﺴﺄﻟﺔ ،
ﻳﺠﺮ ﺇﻟﻲ ﺍﻟﺘﻨﻘﻞ ﻓﻲ ﻏﻴﺮﻫﺎ ﺇﻟﻲ ﺍﻟﻤﺬﻫﺐ
ﺍﻟﻤﺎﻟﻜﻲ ﻣﺜﻼ، ﻭ ﺇﻟﻲ ﺍﻟﺘﻨﻘﻞ ﺇﻟﻲ ﺍﻟﻤﺬﻫﺐ
ﺍﻟﺤﻨﺒﻠﻲ ﻓﻲ ﻣﺴﺄﻟﺔ ﺃﺧﺮﻱ. ﻭ ﻫﻜﺬﺍ ﺗﻌﻮﺩ
ﺍﻟﺴﻠﺴﻠﺔ ﺇﻟﻲ ﺃﻭﻟﻬﺎ ﻓﻲ ﻣﺴﺄﻟﺔ ﺭﺍﺑﻌﺔ، ﺃﻭ
ﺇﻟﻲ ﻣﺬﺍﻫﺐ ﺃﺧﺮﻱ ﻣﻨﺪﺭﺳﺔ ﻏﻴﺮ
ﺍﻟﻤﺬﺍﻫﺐ ﺍﻷﺭﺑﻌﺔ

কোন একটি মাসআলায় ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) এর
মাযহাব থেকে ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর
মাযহাবে স্থানান্তর, এ ব্যক্তিকে অন্য
একটি মাসআলায় উদাহরণ স্বরূপ ইমাম মালেক
(রহঃ) এর মাযহাবে স্থানান্তরের প্রতি উদ্বুদ্ধ
করবে, কখনও অন্য মাসআলায় ইমাম আহমাদ বিন
হাম্বল (রহঃ) এর মাযহাবে স্থানান্তর করবে।
একইভাবে চতুর্থ কোন মাসআলায়
সে চক্রাকারে প্রথম মাযহাব অথবা অন্য কোন
ইমামের মাযহাব অনুসরণ করবে।
এভাবে তার ক্রমাগমন শুধু চার মাযহাবে সীমাবদ্ধ
থাকবে না। শায়খ আওয়ামাহ বলেন-

ﻳﺆﻭﻝ ﺑﻪ ﺍﻷﻣﺮ ﺇﻟﻲ ﺃﻥ ﻳﺠﺘﻬﺪ ﻟﻨﻔﺴﻪ
ﺍﻟﺨﺮﻭﺝ ﻋﻦ ﺍﻟﻤﺬﺍﻫﺐ ﺍﻷﺭﺑﻌﺔ…… ﻭ ﻋﻦ
ﺍﻷﺭﺑﻌﻴﻦ…

পরিশেষে এ ব্যক্তি শুধু চার মাযহাব থেকেই বের
হওয়াকে পছন্দ করবে না বরং সে এধরণের চল্লিশ
মাযহাব থেকে বের হয়ে যাবে।
হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রহঃ) বলেন-

ﻣﻦ ﺟﻌﻞ ﺩﻳﻨﻪ ﻏﺮﺿﺎ ﻟﻠﺨﺼﻮﻣﺔ ﻛﺜﺮ ﺗﻨﻘﻠﻪ

যে ব্যক্তি নিজের দ্বীনকে তর্ক-বিতর্কের
লক্ষ্যবস্তু বানায় তার স্থানান্তর ও অভিবাসন
বৃদ্ধি পায়।

যে ব্যক্তি মনে করে যে, ইমামদের অনুসরণ ব্যতীত
শুধু দলিলের অনুরসণ করবে, তবে সে এমন মতামতের
অবতারনা করবে যা ইতোপূর্বে কেউ করেনি; অথচ
সে নিজেকে নাসিরুস সুন্নাহ (সুন্নতের সাহায্যকারী)
মনে করে বসে আছে। দলিলের অনুসরণের
নামে মূলতঃ সে তার প্রবৃত্তিকে দলিল হিসেবে গ্রহণ
করেছে। প্রবৃত্তিপূজা মানুষের মাঝে তখন
এমনভাবে জেঁকে বসে যে, সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এর
প্রতি বিষোদগার করতেও কুণ্ঠা বোধ করে না।

ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন-

ﺳﻠﻤﻮﺍ ﻟﻸﻳﻤﺔ ﻭ ﻻ ﺗﺠﺎﺩﻟﻮﻫﻢ، ﻓﻠﻮ ﻛﻨﺎ ﻛﻠﻤﺎ
ﺟﺎﺀﻧﺎ ﺭﺟﻞ ﺃﺟﺪﻝ ﻣﻦ ﺭﺟﻞ ﺇﺗﺒﻌﻨﺎﻩ: ﻟﺨﻔﻨﺎ
ﺃﻥ ﻧﻘﻊ ﻓﻲ ﺭﺩ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﺑﻪ ﺟﺒﺮﻳﻞ ﻋﻠﻴﻪ
ﺍﻟﺴﻼﻡ

তোমরা ইমামদের আনুগত্য করো এবং তাদের
সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়ো না। আমাদের
কর্মপন্থা যদি এই হত যে, যখনই আমাদের নিকট
শক্তিশালী কোন যুক্তিবিদ আগমন করতো আর
আমরা তার অনুসরণ করতাম, তবে আশঙ্কা করি যে,
আমরা হযরত জিবরীল (আঃ) এর আনীত বিষয়েরও
বিরোধীতায় লিপ্ত হয়ে পড়ব।
আল্লামা ইবনে আব্দুল বার (রহঃ) আল-
ইন্তেকা নামক কিতাবে হযরত ইমাম মালেক (রহঃ)
এর ঘটনা উল্লেখ করেছেন। ইমাম মালেক (রহঃ) এর
ছাত্র মায়ান বিন ঈসা (রহঃ) বলেন- একদা আবুল
জুয়াইরিয়া নামক এক ব্যক্তি ইমাম মালেক (রহঃ)
এর নিকট মসজিদে নববীতে আগমন করল। এ
লোকটি মুরজিয়া হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল।

সে এসে ইমাম মালেক (রহঃ) কে বলল-

ﻳﺎ ﺃﺑﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ! ﺇﺳﻤﻊ ﻣﻨﻲ ﺷﻴﺌﺎ ، ﺃﻛﻠﻤﻚ
ﺑﻪ ﻭ ﺃﺣﺎﺟﻚ ﻭ ﺃﺧﺒﺮﻙ ﺑﺮﺃﻱ. ﻗﺎﻝ ﻣﺎﻟﻚ:
ﻓﺈﻥ ﻏﻠﺒﺘﻨﻲ؟ ﻗﺎﻝ: ﺍﺗﺒﻌﺘﻨﻲ. ﻗﺎﻝ ﻣﺎﻟﻚ:
ﻓﺈﻥ ﻏﻠﺒﺘﻚ ؟ ﻗﺎﻝ: ﺇﺗﺒﻌﺘﻚ، ﻗﺎﻝ: ﻓﺈﻥ
ﺟﺎﺀﻧﺎ ﺭﺟﻞ ﻓﻜﻠﻤﻨﺎﻩ ﻓﻐﻠﺒﻨﺎ؟ ﻗﺎﻝ : ﺗﺒﻌﻨﺎﻩ .
ﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﺎﻟﻚ :
ﺑﻌﺚ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﺑﺪﻳﻦ ﻭﺍﺣﺪ، ﻭ ﺃﺭﺍﻙ ﺗﻨﻘﻞ، ﻗﺎﻝ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ
ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻌﺰﻳﺰ: ﻣﻦ ﺟﻌﻞ ﺩﻳﻨﻪ ﻋﺮﺿﺔ
ﻟﻠﺨﺼﻮﻣﺎﺕ ﺃﻛﺜﺮ ﺍﻟﺘﻨﻘﻞ

“হে আবু আব্দুল্লাহ! আমার কথা শ্রবণ করুন,
আমি আপনার সাথে আলোচনা করব, বিতর্ক করব
এবং আমার মতামত উল্লেখ করব। ইমাম মালেক
(রহঃ) তাকে বললেন-যদি তুমি আমার উপর
বিজয়ী হয়ে যাও? সে বলল- আপনি আমার অনুসরণ
করবেন। ইমাম মালেক (রহঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস
করলেন-যদি আমি তোমার উপর বিজয়ী হই?
সে বলল- আমি আপনার অনুসরণ করব। ইমাম মালেক
বললেন- আমাদের নিকট যদি তৃতীয় কোন
ব্যক্তি আসে এবং আমরা তার সাথে বিতর্ক
করি এবং সে আমাদের উপর বিজয়ী হয়? সে বলল-
আমরা তার অনুসরণ করব। ইমাম মালেক
তাকে বললেন- আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মাদ
(সঃ) কে একই ধর্ম দিয়ে প্রেরণ করেছেন।
আমি তোমাকে দেখছি-এদিক সেদিক ছুঁটাছুঁটি করছ!
হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয (রহঃ) বলেন-
যে ব্যক্তি তার দ্বীনকে বিতর্কের লক্ষ্যবস্তু
বানায়, তার ছুঁটাছুঁটি বৃদ্ধি পায়”
বর্তমানে এধরণের ছুঁটাছুঁটিকে যারা নিজেদের আদর্শ
হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং সুন্নাহ অনুসরণের
নামে মুসলিম উম্মাাহকে ধোঁকা দিচ্ছে, তাদের
বাস্তবতা অনুসন্ধান করলে এর ব্যতিক্রম
পরিলক্ষিত হবে না। এদের মূল শ্লোগান দলিলের
অনুসরণ হলেও, তাদের কাছে উলামায়ে কেরামের
বিচ্যুতি, একক মতামত ও বিরল বক্তব্য গুলোই
গ্রহণযোগ্য ও পছন্দনীয়। তাদের কাছে প্রকৃত
দলিল সেটিই যা বর্জনীয় হওয়ার ব্যাপারে সকলেই
একমত।

ইমাম আওযায়ী (রহঃ) বলেন-

ﻣﻦ ﺃﺧﺬ ﺑﻨﻮﺍﺩﺭ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﺧﺮﺝ ﻣﻦ ﺍﻹﺳﻼﻡ

যে ব্যক্তি উলামায়ে কেরামের বিরল
বক্তব্যগুলো গ্রহণ করবে, সে ইসলাম থেকে বের
হয়ে যাবে।

সুলাইমান আত-তাইমী (রহঃ) বলেন-

ﻟﻮ ﺃﺧﺬﺕ ﺑﺮﺧﺼﺔ ﻛﻞ ﻋﺎﻟﻢ ﺍﺟﺘﻤﻊ ﻓﻴﻚ
ﺍﻟﺸﺮ ﻛﻠﻪ

“যদি তুমি প্রত্যেক আলেমের রুখসতকে গ্রহণ করো,
তবে তোমার মাঝে সব ধরণের অকল্যাণ ও
নিকৃষ্টতা একত্র হবে”

ইমাম মালেক (রহঃ) এর উস্তাদ ইবরাহীম বিন
আবি আবালাহ (রহঃ) বলেন-

ﻣﻦ ﺣﻤﻞ ﺷﺎﺫ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﺣﻤﻞ ﺷﺮﺍ ﻛﺜﻴﺮﺍ، ﻭ
ﻗﺎﻝ ﻣﻌﺎﻭﻳﺔ ﺑﻦ ﻗﺮﺓ: ﺇﻳﺎﻙ ﻭ ﺍﻟﺸﺎﺫ ﻣﻦ
ﺍﻟﻌﻠﻢ

যে ব্যক্তি উলামায়ে কেরামের বিরল ও একক
মতামতের অনুসরণ করে সে অনেক অকল্যাণের বাহক
হয়। হযরত মুয়াবিয়া বিন কুররা (রহঃ) বলেন-
সাবধান! বিরল বক্তব্য থেকে বিরত থাক।

আল্লামা যাহেদ আল-কাউসারী (রহঃ) ইবরাহীম বিন
আবি আবালাহ্ (রহঃ) এর বক্তব্য এভাবে উল্লেখ
করেছেন-

ﻣﻦ ﺃﺧﺬ ﺷﻮﺍﺫ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﺿﻞ

যে ব্যক্তি উলামায়ে কেরামের বিরল ও শায
বক্তব্যের অনুসরণ করল সে পথভ্রষ্ট হয়ে গেল।
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) হযরত
ইহইয়া আল-কাত্তান (রহঃ) এর
উক্তি বর্ণনা করেন-

ﻟﻮ ﺃﻥ ﺇﻧﺴﺎﻧﺎ ﺇﺗﺒﻊ ﻛﻞ ﻣﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻣﻦ
ﺭﺧﺼﺔ ﻟﻜﺎﻥ ﺑﻪ ﻓﺎﺳﻘﺎ

কেউ যদি হাদীসের প্রত্যেক রুখসতের অনুসরণ করে,
তবে ঐ ব্যক্তি ফাসেক হয়ে যাবে।

ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ) হযরত মা’মার
থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন-

ﻟﻮ ﺃﻥ ﺭﺟﻼ ﺃﺧﺬ ﺑﻘﻮﻝ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻤﺪﻳﻨﺔ ﻓﻲ
ﺇﺳﺘﻤﺎﻉ ﺍﻟﻐﻨﺎﺀ ﻭ ﺇﺗﻴﺎﻥ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ ﻓﻲ
ﺃﺩﺑﺎﺭﻫﻦ ، ﻭ ﺑﻘﻮﻝ ﺃﻫﻞ ﻣﻜﺔ ﻓﻲ
ﺍﻟﻤﺘﻌﺔ ، ﻭ ﺍﻟﺼﺮﻑ ﻭ ﺑﻘﻮﻝ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻜﻮﻓﺔ
ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﻜﺮ ﻛﺎﻥ ﺷﺮ ﻋﺒﺎﺩ ﺍﻟﻠﻪ

কেউ যদি গান শোনা ও মহিলাদের
গুহ্যদ্বারে সঙ্গমের ব্যাপারে মদীনাবাসীর মতামত
গ্রহণ করে এবং মুত’আ ও সরফ পদ্ধতিতে ক্রয়-
বিক্রয়ে মক্কা বাসীর মতামত এবং মাদকদ্রব্যের
ব্যাপারে কুফাবাসীর মতামত গ্রহণ
করে তবে সে আল্লাহর সর্বনিকৃষ্ট
বান্দা হিসেবে পরিগণিত হবে।
উপরোক্ত বক্তব্য থেকে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়
যে, ইজতেহাদের অযোগ্য ব্যক্তির জন্য তালফীক
বৈধ নয়। আল্লামা ইবনে আব্দুল বার (রহঃ) এ
ব্যাপারে ইজমার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন-

ﻫﺬﺍ ﺇﺟﻤﺎﻉ ﻻ ﺃﻋﻠﻢ ﻓﻴﻪ ﺧﻼﻑ

এ বিষয়টির উপর ইজমা হয়েছে। এর সাথে মতানৈক্য
করেছে এমন কারও বিষয়ে আমার জানা নেই।

আল্লামা কারমী বলেন-

ﺇﻋﻠﻢ ﺃﻧﻪ ﻗﺪ ﺫﻫﺐ ﻛﺜﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﺇﻟﻲ
ﻣﻨﻊ ﺟﻮﺍﺯ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ﺣﻴﺚ ﺃﺩﻱ ﺇﻟﻲ ﺍﻟﺘﻠﻔﻴﻖ
ﻣﻦ ﻛﻞ ﻣﺬﻫﺐ

“জেনে রেখ! অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম তালফীক
অবৈধ হওয়ার মতামত ব্যক্ত করেছেন”


শামসুল আইম্মা ইমাম হালওয়ানী (রহঃ) বলেন-

ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﺬﻱ ﺗﻘﺮﺭ ﻣﻦ ﺇﺷﺘﺮﺍﻁ ﻋﺪﻡ
ﺍﻟﺘﻠﻔﻴﻖ ﻫﻮ ﺍﻟﻤﻌﺘﻤﺪ ﻋﻨﺪﻧﺎ ﻭ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﺤﻨﻔﻴﺔ
ﻭ ﺍﻟﺤﻨﺎﺑﻠﺔ ﻓﻼ ﻳﺠﻮﺯ ﻓﻲ ﻋﺒﺎﺩﺓ ﻭﻻ ﻏﻴﺮﻫﺎ
ﻭﺍﻟﻘﻮﻝ ﺑﺠﻮﺍﺯﻩ ﺿﻌﻴﻒ ﺟﺪﺍ

তালফীক অবৈধ হওয়ার
ব্যাপারে যে সিদ্ধান্তটি স্থির হয়েছে এটি আমাদের
নিকট গ্রহণযোগ্য। এবং এটি হানাফী ও হাম্বলীদের
নিকটও গ্রহণযোগ্য। সুতরাং ইবাদত বা অন্য কোন
ক্ষেত্রে তালফীক বৈধ নয়। তালফীক বৈধ হওয়ার
ব্যাপারে যে বক্তব্য রয়েছে সেটি নিতান্তই দূর্বল।
আল্লামা হালওয়ানী আরও বলেন,

ﻓﻠﺬﻟﻚ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺘﻠﻔﻴﻖ ﺑﺎﻃﻼ ﻣﺤﺮﻣﺎ ﻭ ﻫﻮ
ﺍﻟﺬﻱ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻤﺤﻘﻘﻮﻥ ﻣﻦ ﺃﺋﻤﺘﻨﺎ ﻭ
ﻏﻴﺮﻫﻢ

এজন্য তালফীক বাতিল ও হারাম। অধিকাংশ গবেষক
ইমামমদের মত এটি।

যাইনুদ্দিন কাসেম (রহঃ) তাউকীফুল হুক্কাম
ফি গাওয়ামিদিল আহকাম নামক কিতাব
থেকে বর্ণনা করেছেন-

ﺍﻥ ﺍﻟﺤﻜﻢ ﺍﻟﻤﻠﻔﻖ ﺑﺎﻃﻞ ﺑﺈﺟﻤﺎﻉ
ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ

তালফীকের পদ্ধতিতে নির্ণীত হুকুম মুসলমানদের
সর্বসম্মতিক্রমে বাতিল।

ফতওয়ায়ে শামী তে রয়েছে-

“.. ﻭﺃﻥ ﺍﻟﺤﻜﻢ ﺍﻟﻤﻠﻔﻖ ﺑﺎﻃﻞ ﺑﺎﻹﺟﻤﺎﻉ”
ﻗﺎﻝ ﺷﺎﺭﺣﻪ- ﻣﺜﺎﻟﻪ ﻣﺘﻮﺿﺄ ﺳﺎﻝ ﻣﻦ ﺑﺪﻧﻪ
ﺩﻡ، ﻭ ﻟﻤﺲ ﺇﻣﺮﺃﺓ، ﺛﻢ ﺻﻠﻲ ﻓﺈﻥ ﺻﺤﺔ
ﺻﻼﺗﻪ ﻣﻠﻔﻘﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺬﻫﺐ ﺍﻟﺸﺎﻓﻌﻲ ﻭ
ﺍﻟﺤﻨﻔﻲ، ﻭ ﺍﻟﺘﻠﻔﻴﻖ ﺑﺎﻃﻞ، ﻓﺼﺤﺘﻪ ﻣﻨﺘﻔﻴﺔ

অর্থাৎ তালফীকের পদ্ধতিতে নির্ণীত হুকুম
সর্বসম্মতিক্রমে বাতেল। (ব্যাখ্যাকার বলেন)
তালফীকের উদাহরণ হল, কোন ওযুকারী ব্যক্তির
শরীর থেকে রক্ত বের হল (এর
দ্বারা হানাফী মাযহাব অনুযায়ী ওযু ভেঙ্গে যাবে),
আবার সে কোন মহিলাকে স্পর্শ করল (এর
দ্বারা শাফেয়ী মাযহাব অনুযায়ী ওযু ভেঙ্গে যাবে), এ
অবস্থায় যদি সে নামায আদায় করে তবে তার নামায
বাতিল। কেননা তালফীক বাতিল।
আল্লামা আব্দুল গণী নাবুলুসী (রহঃ) বলেন,

ﺇﺫﺍ ﻋﻠﻤﺖ ﺫﻟﻚ ﻇﻬﺮ ﻟﻚ ﻋﺪﻡ ﺻﺤﺔ
ﺍﻟﺘﻠﻔﻴﻖ ﻓﻲ ﻭﺟﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻮﺟﻮﻩ ﺇﺟﻤﺎﻋﺎ

যখন তুমি উক্ত বিষয় সম্পর্কে অবগত হলে, তখন
তোমার সামনে স্পষ্ট হয়ে গেল যে,
সর্বসম্মতিক্রমে কোন অবস্থাতেই তালফীক বৈধ
নয়।
ইমাম নববী রহ. বলেন,

ﻭﻭﺟﻬﻪ ﺍﻧﻪ ﻟﻮ ﺟﺎﺯ ﺍﺗﺒﺎﻉ ﺃﻱ ﻣﺬﻫﺐ ﺷﺎﺀ ﻻ
ﻓﻀﻰ ﺇﻟﻰ ﺍﻥ ﻳﻠﺘﻘﻂ ﺭﺧﺺ ﺍﻟﻤﺬﺍﻫﺐ
ﻣﺘﺒﻌﺎ ﻫﻮﺍﻩ ﻭﻳﺘﺨﻴﺮ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺘﺤﻠﻴﻞ ﻭﺍﻟﺘﺤﺮﻳﻢ
ﻭﺍﻟﻮﺟﻮﺏ ﻭﺍﻟﺠﻮﺍﺯ ﻭﺫﻟﻚ ﻳﺆﺩﻯ ﺇﻟﻰ
ﺍﻧﺤﻼﻝ ﺭﺑﻘﺔ ﺍﻟﺘﻜﻠﻴﻒ ﺑﺨﻼﻑ ﺍﻟﻌﺼﺮ
ﺍﻻﻭﻝ ﻓﺎﻧﻪ ﻟﻢ ﺗﻜﻦ ﺍﻟﻤﺬﺍﻫﺐ ﺍﻟﻮﺍﻓﻴﺔ
ﺑﺄﺣﻜﺎﻡ ﺍﻟﺤﻮﺍﺩﺙ ﻣﻬﺬﺑﺔ ﻭﻋﺮﻓﺖ: ﻓﻌﻠﻰ
ﻫﺬﺍ ﻳﻠﺰﻣﻪ ﺍﻥ ﻳﺠﺘﻬﺪ ﻓﻲ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﻣﺬﻫﺐ
ﻳﻘﻠﺪﻩ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺘﻌﻴﻴﻦ

“ব্যক্তি তাকলীদের অপরিহার্যতার কারণ এই যে,
মুক্ত তাকলীদের অনুমতি দেয়া হলে প্রবৃত্তি তাড়িত
মানুষ সকল মাজহাবের অনুকূল বিষয়গুলোই শুধু
বেছে নিবে। ফলে হালাল-হারাম ও বৈধ-অবৈধ
নির্ধারণের এখতিয়ার এসে যাবে তার হাতে। প্রথম
যুগে অবশ্য ব্যক্তি তাকলীদ সম্ভব ছিলো না।
কেননা ফিকাহ বিষয়ক মাজহাবগুলো যেমন সুবিন্নস্ত
ও পূর্ণাংগ ছিলো না তেমনি সর্বত্র সহজলভ্যও
ছিলো না। কিন্তু এখন তা সুবিন্যস্ত ও পূর্ণাংগ
আকারে সর্বত্র সহজলভ্য। সুতরাং যে কোন
একটি মাজহাব বেছে নিয়ে একনিষ্টভাবে তা অনুসরণ
করাই এখন অপরিহার্য”। (আল মাজমু শরহুল
মুহায্যাব, ১/১৯)


এ কারণেই শায়েখ
ইবনে তাইমিয়া বলেনঃ “লাগামহীনভাবে যে মাযহাব
যখন মনে চায়, সেটাকে মানা সুষ্পষ্ট হারাম
ও অবৈধ।(অর্থাৎ যেটা মানবে একটাকেই মানবে এতে বিভ্রান্ত হবে না){ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়া-২/২৪১}


উম্মতের ইজমা হয়ে গেছে যে, এ ৪র্থ
শতাব্দির পর থেকে লাগামহীনভাবে যখন
যে মাযহাব ইচ্ছে সে মাযহাব
মানা যাবে না। সুনির্দিষ্টভাবে
একটি মাযহাবকে মানতে হবে।

{আলইনসাফ-৫২, ৫৭-৫৯, মাদারে হক-৩৪১,
ইন্তিসারুল হক বজওয়াবে মিয়ারে হক-১৫৩,
আলমুআফাকাত-৪/১৪৬, আলমাজমূহ শরহুল
মুহাজ্জাব-১/৯১}




সুতরাং বর্তমানে সাধারণ মানুষের না বুঝে,
শরীয়তের জ্ঞান অর্জন না করে প্রবৃত্তির
চাহিদা অনুযায়ী স্বেচ্ছাচারী হওয়ার কোন সুযোগ
নেই।



♦♦প্রশ্ন:- সাহাবীগন কি তাক্বলিদ করতেন?


উত্তর:-  হয়তো গায়রে মুকাল্লিদ
ভাইদের মন খারাপ হতে পারে। এ ব্যাপারে এমন দুজন ব্যাক্তির
কথাকে পেশ করবো যারা গায়রে মুকাল্লিদ ভাইদের
কাছেও গ্রহনযোগ্য আলেম এবং তারাও এ দুজন
ব্যাক্তিকে সালাফ মনে করেন।
এ দুই জন বিখ্যাত আলেম হলেন -

(১) আলী ইবনুল মাদিনী রহঃ , (ইমাম
বুখারী রাহঃ এর বিশিষ্ট উস্তাদ) ।
(২) ইবনুল কাইয়েম জাওজী রহঃ ,
(ইবনে তাইমিয়া রাহঃ এর বিশিষ্ট ছাত্র) ।


এবার তাদের কথাগুলো বলি-
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) লিখেছেন,
ﻭﺍﻟﺬﻳﻦ ﺣﻔﻈﺖ ﻋﻨﻬﻢ ﺍﻟﻔﺘﻮﻯ ﻣﻦ ﺃﺻﺤﺎﺏ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﺎﺋﺔ
ﻭﻧﻴﻒ ﻭﺛﻼﺛﻮﻥ ﻧﻔﺴﺎ ﻣﺎ ﺑﻴﻦ ﺭﺟﻞ ﻭﺍﻣﺮﺃﺓ
ﻭﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﻜﺜﺮﻭﻥ ﻣﻨﻬﻢ ﺳﺒﻌﺔ: ﻋﻤﺮ ﺑﻦ
ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﻭﻋﻠﻲ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻃﺎﻟﺐ ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ
ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﻭﻋﺎﺋﺸﺔ ﺃﻡ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ ﻭ ﺯﻳﺪ
ﺑﻦ ﺛﺎﺑﺖ ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ
ﺑﻦ ﻋﻤﺮ .
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওসাল্লাম এর
সাহাবীদের মধ্যে যাদের ফতোয়া সংরক্ষণ
করা হয়েছে তাদের সংখ্যা নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রায়
একশ’ ত্রিশজন। এদের
মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফতোয়া প্রদান করতেন
সাতজন।

১. উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ)
২. আলী ইবনে আবী তালেব (রাঃ)
৩. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)
৪. উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ)
৫. যায়দ ইবনে সাবেত (রাঃ)
৬. আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)
৭. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ)

একশ’ ত্রিশজন সাহাবীর মধ্যে যাদের
ফতোয়ার সংখ্যা খুব বেশি নয় আবার খুব কমও নয়,
অর্থাৎ যাদের ফতোয়ার সংখ্যা মাধ্যমিক স্তরের,
তাদের সংখ্যা হল, তেরজন।
এ বিশজন ব্যতীত একশ’ ত্রিশজন সাহাবীর
অবশিষ্ট সকলেই যে ফতোয়া প্রদান করেছেন, তার
সংখ্যা খুবই কম। (ই’লামুল মুয়াক্বিয়ীন আন
রাবিক্ষল আলামিন, আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম
(রহঃ), খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১২) ।


এখানে বিবেচনার বিষয় হল, কোথায় সোয়া লক্ষ
আর কোথায় একশ-দু’শ সাহাবী! অবশিষ্ট
সাহাবীরা তাহলে কী করেছেন? স্পষ্টতঃ অন্যান্য
সাহাবীরা ফতোয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত
সাহাবী অভিজ্ঞ ছিলেন, তাদের অনুসরণ করেছেন
র্অথাৎ মুজতাহীদ সাহাবীর তাকলদি করছেনে।
স্পষ্ট হয়ে গেলো প্রায় সকল সাহাবী মুকাল্লিদ
ছিলেন।
এ সম্পর্কে ইমাম আলী ইবনুল মাদীনী রাহ.(১৬১
হি.-২৩৪ হি.)-এর বিবরণ :
তিনি সাহাবায়ে কেরামের সময়ের তিনজন
সাহাবীর মাযহাব বর্ননা করেছেন যাদের মাযহাব ও
তরীকার উপর আমল ও ফতওয়া জারি ছিল। এই তিন
সাহাবীর শাগরিদগণ তাঁদের মত ও সিদ্ধান্ত
গুলো সংরক্ষণ করেছেন,তা প্রচার প্রসার করেছেন।
যে তিন সাহাবীর মাযহাব ছিলো প্রচলিত ছিলো আর
অন্য সাহাবীরা সেই মাযহাবের অনুশরণ করতেন
তারা হলেন
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.(মৃত্যু: ৩২ হিজরী),
যায়েদ ইবনে ছাবিত রা.(জন্ম: হিজরত পূর্ব ১১ ও
মৃত্যু: ৪৫ হিজরী)ও
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা.(জন্ম: হিজরত পূর্ব
৩ ও মৃত্যু: ৬৮ হিজরী)।



আলী ইবনুল মাদীনী রাহ.এর
আরবী বাক্যটি নিম্নরূপ-
ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻓﻲ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﺭﺳﻮﻻﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﻦ ﻟﻪ ﺻُﺤَﻴْﺒَﺔٌ، ﻳﺬﻫﺒﻮﻥ
ﻣﺬﻫﺒﻪ، ﻭﻳﻔﺘﻮﻥ ﺑﻔﺘﻮﺍﻫﻮﻳﺴﻠﻜﻮﻥ
ﻃﺮﻳﻘﺘﻪ، ﺇﻻ ﺛﻼﺛﺔ : ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ
ﻭﺯﻳﺪ ﺑﻦ ﺛﺎﺑﺖ ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ
ﺍﻟﻠﻬﻌﻨﻬﻢ، ﻓﺈﻥ ﻟﻜﻞ ﻣﻨﻬﻢ ﺃﺻﺤﺎﺑﺎ ﻳﻘﻮﻣﻮﻥ
ﺑﻘﻮﻟﻪ ﻭﻳﻔﺘﻮﻥ ﺍﻟﻨﺎﺱ .
এরপর আলী ইবনুল মাদীনী রাহ. তাঁদের
প্রত্যেকের মাযহাবের অনুসারী ও তাঁদের মাযহাব
মোতাবেক ফতওয়া দানকারী ফকীহ তাবেয়ীগণের নাম
উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন,
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর যে শাগরিদগণ তাঁর
কিরাত অনুযায়ী মানুষকে কুরআন শেখাতেন,তাঁর
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মানুষকে ফতওয়া দিতেনএবং তাঁর
মাযহাব অনুসরণ করতেন তারা হলেন এই ছয়জন
মনীষী:
আল কামাহ(মৃত্যু: ৬২ হিজরী),
আসওয়াদ(মৃত্যু: ৭৫ হিজরী),
মাসরূক(মৃত্যু: ৬২ হিজরী),
আবীদাহ(মৃত্যু: ৭২ হিজরী),
আমর ইবনে শুরাহবীল(মৃত্যু: ৬৩ হিজরী)ও
হারিস ইবনে কাইস(মৃত্যু: ৬৩ হিজরী)।
ইবনুল মাদীনী রাহ. বলেছেন,ইবরাহীম নাখায়ী রাহ.
(৪৬-৯৬ হিজরী) এই ছয়জনের নাম উল্লেখ
করেছেন।


ইমাম আলী ইবনুল মাদীনী রাহ.-এর উপরোক্ত
বিবরণের সংশ্লিষ্ট আরবীপাঠ নিমণরূপ-
ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﻘﺮﺅﻥ ﺍﻟﻨﺎﺳﺒﻘﺮﺍﺀﺗﻪ ﻭﻳﻔﺘﻮﻧﻬﻢ
ﺑﻘﻮﻟﻪ ﻭﺑﺬﻫﺒﻮﻥ ﻣﺬﻫﺒﻪ …
এরপর আলী ইবনুল মাদীনী রাহ. লিখেছেন,আবদুল্লাহ
ইবনে মাসউদ রা.-এর (ফকীহ) শাগরিদদের
সম্পর্কে এবং তাঁদের মাযহাবের
বিষয়ে সবচেয়ে বিজ্ঞ ছিলেন ইবরাহীম(নাখায়ী)
(৪৬-৯৬ হিজরী) এবং আমের ইবনে শারাহীল
শাবী(১৯-১০৩ হিজরী)। তবে শাবী মাসরূক রাহ.-
এর মাযহাব অনুসরণ করতেন।
আরবী পাঠ নিমণরূপ-
ﻭﻛﺎﻥ ﺃﻋﻠﻢ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻜﻮﻓﺔﺑﺄﺻﺤﺎﺏ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ
ﻭﻣﺬﻫﺒﻬﻢ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻭﺍﻟﺸﻌﺒﻲ ﺇﻻ ﺃﻥ
ﺍﻟﺸﻌﺒﻲ ﻛﺎﻥ ﻳﺬﻫﺐ ﻣﺬﻫﺐ ﻣﺴﺮﻭﻕ .
এরপর লিখেছেন-
ﻭﻛﺎﻥ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﺯﻳﺪ ﺑﻦ ﺛﺎﺑﺘﺎﻟﺬﻳﻦ ﻳﺬﻫﺒﻮﻥ
ﻣﺬﻫﺒﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﻘﻪ ﻭﻳﻘﻮﻣﻮﻥ ﺑﻘﻮﻟﻪ ﻫﺆﻻﺀ
ﺍﻻﺛﻨﻰ ﻋﺸﺮ …
অর্থাৎ যায়েদ ইবনে ছাবিত রা.-এর যে শাগরিদগণ
তাঁর মাযহাবের অনুসারী ছিলেন এবং তাঁরমত ও
সিদ্ধান্ত সমূহ সংরক্ষণ ও প্রচার প্রসার করতেন
তাঁরা বারোজন।
তাঁদের নাম উল্লেখ করার পর ইবনুল মাদীনী রাহ.
লেখেন,এই বারো মনীষীও তাদের মাযহাবের
বিষয়ে সবচেয়ে বিজ্ঞ ছিলেন ইবনে শিহাব
যুহরী(৫৮-১২৪ হিজরী),
ইয়াহইয়া ইবনে সায়ীদ আনসারী(মৃত্যু: ১৪৩
হিজরী),

আবুযযিনাদ(৬৫-১৩১ হিজরী)এবং
আবু বকর ইবনে হাযম(মৃত্যু১২০ হিজরী)।
এদের পরে ইমাম মালেক ইবনে আনাসরাহ.
(৯৩-১৭৯ হিজরী)।
এরপর ইবনুল মাদীনী রাহ. বলেছেন-
‘তদ্রূপ আবদুল্লাহ ইবনে আববাসরা.-এর
যে শাগরিদগণ তাঁরমত ও সিদ্ধান্ত সমূহ সংরক্ষণও
প্রচার করতেন,সে অনুযায়ী ফতওয়া দিতেন এবং তার
অনুসরণকরতেন,তাঁরা ছয়জন।
ﻭﻛﻤﺎ ﺃﻥ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺳﺴﺘﺔ ﺍﻟﺬﻳﻦ
ﻳﻘﻮﻣﻮﻥ ﺑﻘﻮﻟﻪ ﻭﻳﻔﺘﻮﻥ ﺑﻪ ﻭﻳﺬﻫﺒﻮﻥ
ﻣﺬﻫﺒﻪ .
এরপর তিনি তাদের নাম উল্লেখ করেন।
ইমাম ইবনুল মাদীনী রাহ.-এর পূর্ণ
আলোচনা তাঁর‘ কিতাবুল ইলালে’(পৃষ্ঠা:
১০৭-১৩৫, প্রকাশ: দারুব
নিলজাওযীরিয়ায,১৪৩০হিজরী।) বিদ্যমান
আছে এবং ইমাম বায়হাকী রাহ.-এর ‘আলমাদ
খালইলাস সুনানিল কুবরা’তে ও (পৃষ্ঠা:
১৬৪-১৬৫) সনদ সহ উল্লেখিত হয়েছে।
সুতরাং মনে রাখতে হবে, ইমামগণের
ফিকহী মাযহাবের যে মতপার্থক্য তাকে বিভেদ
মনে করা অন্যায়ও
বাস্তবতার বিকৃতি এবং সাহাবায়ে কেরামের নীতিও
ইজমার বিরোধিতা।



♦♦প্রশ্ন : চার খলীফার তাকলীদ রেখে চার ইমামের তাকলীদ কেন? আমাদের উচিত শুধু কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী চলা তাক্বলিদ করা কুরআন হাদিসে নেই তাই এগুলো মানা বিদআত।

জবাব :- আপনার প্রশ্নটি সম্পুর্ন  অযৌক্তিক । না বুঝার কারণে আপনার মনে এমন প্রশ্ন উদয় হয়েছে। ভাই আপনে নিজেও তো তাক্বলিদ করেন আর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করবেন অথচ সেটাকে না বুঝে নিজেই বিদআত বলতেসেন।এই হল আপনাদের মত নামধারী আহলে হাদিসের সমস্যা।

আমাকে simple একটা জবাব দিন রাসুলুল্লাহ (সা) যে এত হাদিস বলে গেছেন এগুলোর প্রমান কি?
প্রশ্নকর্তা: বুখারী,মুসলিম ও অন্যান্য সহিহ কিতাব।

তাহলে আপনে আমাকে বলুন ইমাম বুখারীকে মানেন কিনা?
প্রশ্নকর্তা : জ্বি অবশ্যই মানি মানব না কেন?

এখন বলুন তাক্বলিদ অর্থ কি?
প্রশ্নকর্তা: কাউকে অনুসরন করা বা মানা

যাই হোক তাহলে আপনি ইমাম বুখারীর তাক্বলিদ করেন স্বীকার করলেন।
প্রশ্নকর্তা: আমরা ওনার লিপিবদ্ধ হাদিস মানি।

তাহলে অন্যরাও তো হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন তাদের মানেন না?
প্রশ্নকর্তা: সহিহ বলে বা বিশ্বস্ত বলে ইমাম বুখারীকে মানি।

জ্বি অবশ্যই সহিহ বলেই মানবেন বিশ্বস্ত বলেই মানবেন কিন্তু বুখারী ও মুসলিমে যে ১০ - ১২ হাজার হাদিস আছে এগুলো কি রাসুলের ২৩ বছরের সম্পুর্ন কথা?আর এত অল্প হাদিসে কি মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব?না সম্ভব না।

আর ইমামে আজম (রহ) কে মানতে নিষেধ করেন বুখারী শরীফের হাদিস মানতে বলেন ইমামে আজম বড় ছিলেন নাকি ইমাম বুখারী বড় ছিলেন?ইমামে আজম  ছিলেন ইমাম বুখারীর পিতার উস্তাদের উস্তাদ। আজকে ইমাম বুখারীর যে হাদিস পেয়েছেন ওনার লিপিবদ্ধ করা হাদিস মানতেসেন এটাও ইমাম বুখারীর তাক্বলিদ করা হচ্ছে কারন যদিও আপনে অন্য কিতাবের তাক্বলিদ করছেন না ঠিকই বুখারী শরীফের তাক্বলিদ করছেন।

তখন যদি ইমামে আজম সহ আরো কিছু স্বনামধন্য ইমাম হাদিস সংগ্রহ না করতেন তাহলে ইমাম বুখারী(রহ)'র জন্যও ওই সব সনদ সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে যেত কারন যারা মৃত্যুবরন করে গেছে তাদের কাছ থেকে আর কোনদিন হাদিস পাওয়া সম্ভব নয়। কোন সাহাবায়ে কেরাম হাদিস লিখে সংগ্রহ করেন নি।তখন যদি ইমামে আজমের মত মহান ইমামগন এর আবির্ভাব না হত তাহলে কি হত এই মুসলিম উম্মাহর। ওনারা কুরআন হাদিস পড়ে জেনে ফতোয়া বের করেছেন যেমন ইমামে আজম (লক্ষাধিক হাদিসের হাফেজ ছিলেন) ওনাকে তাক্বলিদ বা অনুসরন করা মানে হল ওনার হাদিসের ফয়সালা মোতাবেক চলা। তিনি বহু সাহাবীর সাথে সাক্ষাতও করেছিলেন এবং হাদিস শ্রবন করেছেন।

তাবেয়ী ইমাম আবু
হানীফা এবং তাবে তাবেয়ী ইমাম
শাফেয়ী, মালিক ও আহমাদ
বিন হাম্বল রহঃ এর তাকলীদের মাধ্যমে কুরআন, হাদীস এবং খুলাফায়ে রাশেদীনের ফাতওয়াও পাওয়া যায়। আর আমাদের কাছে কুরআন হাদীসের সাথে সাহাবাগণও অনুসরণীয়।

ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺑﺴﻨﺘﻲ ﻭﺳﻨﺔ
ﺍﻟﺨﻠﻔﺎﺀ ﺍﻟﺮﺍﺷﺪﻳﻦ ﻣﻦ
ﺑﻌﺪﻱ ﻋﻀﻮﺍ ﻋﻠﻴﻬﺎ
ﺑﺎﻟﻨﻮﺍﺟﺬ

হযরত ইরবাজ বিন সারিয়া রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ
করেছেনঃ তোমরা আমার সুন্নতকে আঁকড়ে ধর। এবং খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নতকে আঁকড়ে ধর আমার পরে। এগুলোকে মাড়ির দাঁত দিয়ে কামড়ে ধর। {আলমুজামুল কাবীর লিততাবরানী, হাদীস নং-৬১৮,
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২, সুনানে বায়হাকী কুবরা,
হাদীস নং-২০১২৫, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৫০, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১৭৯, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৯২২, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-৩২৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭১৪২,
মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৪২০১, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-৪৩৭, মাশকিলুল আসার, হাদীস নং-৯৯৮}


♦♦প্রশ্ন: হানাফী ,শাফেয়ী ,মালেকী ,হাম্বলী হতে আল্লাহ ও রাসূল সাঃ নির্দেশ দেননি ।।

উত্তর:- এটা কোন দল না এটা ইসলামের সঠিকভাবে অনুসরন করার জন্য ওনারা সঠিক মাসআলা মাসায়েল বলে গেছেন।

আপনারা দলের কথা বলতেসেন কিন্তু কথিত আহলে হাদিস দল আপনারা নিজেরা করেন নি?

আপনাদের আহলে হাদীসদের
কয়েকটি দল
১) জমিয়তে আহলে হাদীস
বাংলাদেশ।
২) আহলে হাদীস আন্দোলন
বাংলাদেশ।
৩) আহলে হাদীস যুব
আন্দোলন।
৪)
ফিরক্বায়ে গুরাবায়ে আহলে হাদীস।
৫) কানফারেন্স
আহলে হাদীস।
৬) আমীরে শরীয়ত সূবাহ
বাহার।
৭)
ফিরক্বায়ে সানাবিয়্যাহ।
৮)
ফিরক্বায়ে আতায়িয়্যাহ।
৯) ফিরক্বায়ে শরীফিয়্যাহ।
১০)
ফিরক্বায়ে গজনবিয়্যাহ।
১১)
ইন্তিখাবে মৌলবী মুহীউদ্দীন।
১২) জামাআতুল মুসলিমীন।


এভাবে আহলে হাদীস নাম
দিয়ে দলে দলে বিভক্ত
হওয়ার নির্দেশ না আল্লাহ
দিয়েছেন, না রাসূল
সাঃ দিয়েছেন। তাই এসব
আহলে হাদীস
নামধারীরা কেন পরিত্যজ্য
নয়?

শুধু দলে দলে বিভক্তই
হয়নি ওরা। বরং একদল
আরেক দলকে গোমরাহ,
মুশরিক
ইত্যাদি বলে গালাগালিও
করে থাকে। যা তাদের
লেকচার ও বিভিন্ন
লেখা বই পড়লে যেকোন
পাঠকই বুঝতে পারবেন।
এভাবে বিভক্তির
দিকে আহবানকারীর
মুখে একতার কথা মানায়
কি না? এটি আম
তৌহিদী জনতার হাতেই
ছেড়ে দিলাম এর বিচারের
ভার।
আল্লাহ তাআলা একতার
নামে বিভক্তির
দিকে আহবানকারী ভ্রান্ত
আহলে হাদীস
ফিরক্বা থেকে মুসলিম
জাতিকে হিফাযত করুন।


♦♦প্রশ্ন: রাসূল সাঃ এর অনুসরণ না করে ইমাম আবূ হানীফার অনুসরণ কেন ?

উত্তর:- আপনারা লা-মাযহাবীরা তাক্বলিদ বিদাত বলেন কিন্তু ঠিক ঘেটে ঘেটে নাসিরুদ্দিন আলবানীর ফতোয়া,  ইবনে তাইমিয়া, বায সাহেবের ফতোয়া পড়েন ও মানেন তা কুরআন হাদিসে আছে কিনা তখন সেটাও দেখার প্রয়োজন করেন না।
তাদের তাক্বলিদ করলে শিরিক হয় না আর ৪ মাযহাবের তাক্বলিদ করলে যারা তাবেয়ী ও তাবে তাবেয়ী ছিলেন তাদের তাক্বলিদ করলে শিরিক বিদাত তাই না?ভালই বিচার আপনাদের।

আফসোস হয় এসব কথিত আহলে হাদীসদের কর্মকান্ড দেখে যেখানে পবিত্র কুরআনে,

"জ্ঞানীদের অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে [সূরা নহল-৪৩}

সেখানে তারা জাহিল ও মুর্খদের শায়েখ বানিয়ে তাদের অনুসরণ করছে। যাদের
ব্যাপারে রাসূল সাঃ স্পষ্ট বলেছেন,

"তারা ইলমহীনতার কারণে নিজেরাও গোমরা হবে, আবার
অন্যদেরও গোমরাহ করবে।"

{মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৬৫১১, বুখারী, হাদীস নং-১০০, মুসলিম, হাদীস নং-২৬৭৩} আল্লাহ তাআলা আমাদের এ ভ্রান্ত ফিরক্বা থেকে হিফাযত করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।

এখন কথা হল আহলে হাদিসের মুর্খ আলিমদের শাইখগনের তাক্বলিদ শিরিক হয় না আর তাবেয়ী তাবে তাবেয়ীগনের তাক্বলিদ করলে শিরিক বলে ফতোয়া দেয়।হায়রে মুর্খের দল।


♦♦প্রশ্ন:- চার মাযহাবের দ্বারা বিভক্তি এসেছেঃ মাযহাব ছেড়ে তাই একতার প্রয়োজন।এ মাযহাব কি সালফে সালেহীন গনের যুগে পালন করা হত?

উত্তর:-

সালাফে সালেহীনের মাযহাব
১। ইমাম
বুখারী রহঃ শাফেয়ী মাজহাবের
অনুসারী।
সুত্রঃ নবাব ছিদ্দিক হাসান
খান লিখিত আবজাদুল উলুম
পৃষ্ঠা নং ৮১০,
আলহিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৮৩।
শাহ ওয়ালিউল্লাহ
রহঃ লিখিত আল-ইনসাফ
পৃষ্ঠা নং ৬৭।

আল্লামা তাজ উদ্দীন
সুবকী রহঃ লিখিত
ত্ববকাতুশ
শাফেয়ী পৃষ্ঠা নং ২/২।

২। ইমাম মুসলিম
রহঃ শাফেয়ী মাজহাবের
অনুসারী।
সুত্রঃ ছিদ্দিক হাঃ খান
লিখিত আল-
হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।

৩। ইমাম
তিরমিজী নিজে মুজ্তাহিদ
ছিলেন। তবে হানাফী ও
হাম্বলী মাজহাবের
প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।
সুত্রঃ শা ওয়ালিউল্লাহ
রহঃ লিখিত আল-ইনসাফ
পৃষ্ঠা নং ৭৯।
৪। ইমাম নাসাঈ
শাফেয়ী মাজহাবের
অনুসারী ছিলেন।
সুত্রঃ নওয়াব সিদ্দীক
হাসান খান লিখিত আল-
হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৯৩।
৫। ইমাম আবুদাউদ
রহঃ শাফেয়ী।
সুত্রঃ আল-
হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।
আল্লামা আনোয়ার শাহ
কাশ্মিরী রহঃ ইবনেতাইমিয়ার
উদ্ধৃতি দিয়ে ফয়জুল
বারী ১/৫৮ তে ইমাম
আবুদাউদ
রহঃ কে হাম্বলী বলে উল্লেখ
করেছেন।
৬। ইমাম ইবনে মাজাহ
শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।
সুত্রঃ ফয়জুল
বারী ১/৫৮।
এ গেল ছিহাহ ছিত্তার
ইমামগণের মাজহাব।
অন্যান্য ইমামগণের
মাজহাব নবাব ছিদ্দীক
হাসান খান সাহেবের আল-
হিত্তা থেকে।
৭। মিশকাত শরিফ
প্রণেতা শাফেয়ী, পৃঃ ১৩৫
৮। ইমাম
খাত্তাবী রহঃ শাফেয়ী,
পৃঃ ১৩৫
৯। ইমাম
নববী রহঃ শাফেয়ী,
পৃঃ ১৩৫
১০। ইমাম
বাগভী রহঃ শাফেয়ী,
পৃঃ ১৩৮
১১। ইমাম
ত্বহাবী হাম্বলী, পৃঃ১৩৫
১২। বড় পীর আঃ কাদের
জিলানী রহঃ হাম্বলী,
পৃঃ ৩০০
১৩। ইমাম
ইবনে তাইমিয়া হাম্বলী,
পৃঃ ১৬৮
১৪। ইবনে কায়্যিম
রহঃ হাম্বলী, পৃঃ ১৬৮
১৫। ইমাম ইবনে আব্দিল
বার রহঃ মালেকী, পৃঃ ১৩৫
১৬। ইমাম আব্দুল হক
মুহাদ্দেসে দেহলবীরহঃহানাফী,
পৃঃ ১৬০
১৭। শাহ ওয়ালিউল্লাহ
দেহলবী রহঃ হানাফী,
পৃঃ ১৬০-১৬৩
১৮। ইমাম ইবনে বাত্তাল
রহঃ মালেকী, পৃঃ ২১৩
১৯। ইমাম
হালাবী রহঃ হানাফী পৃঃ ২১৩
২০। ইমাম শামসুদ্দীন আবু
আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ
ইবনে আব্দুদদায়েম
রহঃ শাফেয়ী, পৃঃ ২১৫
২১। ইমাম বদরুদ্দীন
আঈনী রহঃ হানাফী,
পৃঃ ২১৬
২২। ইমাম
যারকানী রহঃ শাফেয়ী,
পৃঃ ২১৭
২৩। ইমাম
ক্বাজী মুহিব্বুদ্দীন
হাম্বলী, পৃঃ ২১৮
২৪। ইমাম ইবনে রজব
হাম্বলী, পৃঃ ২১৯
২৫। ইমাম
বুলকিনী শাফেয়ী, পৃঃ ২১৯
২৬। ইমাম
মার্যুকী মালেকী পৃঃ ২২০
২৭। ইমাম জালালুদ্দীন
বকরী শাফেয়ী, পৃঃ২২০
২৮। ইমাম
কাস্তাল্লানী শাফেয়ী,
পৃঃ ২২২
২৯। ইমাম
ইবনে আরাবী মালেকী,
পৃঃ ২২৪
এমন কি ওহাবীরা তাদের মডেল
৩০। আব্দুল ওয়াহ্হাব নজদীকে ও
হাম্বলী বলে উল্লেখ
করেছেন নওয়াব সিদ্দিক
হাসান খান তার আল-
হিত্তাতু ফিস সিহাহিস
সিত্তাহ’র ১৬৭ পৃষ্ঠায়।
৩১। ইমাম তাহাবী রহঃ ছিলেন
হানাফী রহঃ এর অনুসারী।
Top